নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অস্থির পৃথিবী

স্বপ্ন দেখেছিলাম অনেক বড়, করতে চেয়েছিলাম অনেক কিছু কিন্তু স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব হ্য়নি।আদৌ হবে কিনা জানি না। জীবন নিয়ে দ্বীধাগ্রস্ত।

অস্থির পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব কতটা যৌক্তিক?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০২

রূপগন্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা এক ব্লগারের ব্লগ এবং তাতে বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে আমার আজকের লেখার সূত্রপাত।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সেনাবাহিনীর জন্ম। আমাদের মধ্যে কয়জন আছে যারা মুক্তিযুদ্ধকে সামরিক দিক থেকে বিশ্লেষন করতে জানি? যদি জানতাম তাহলে বুঝতে পারতাম মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনীর ভূমিকা গেরিলাদের থেকে কত আলাদা ছিল এবং এর গুরুত্ব কেমন ছিল। যাই হোক মুক্তিযুদ্ধতো অনেক আগেই শেষ তাই এটা নিয়া আর কথা বলব না। আমার ধারনা আমাদের দেশে সেনাবাহিনী নিয়ে যত বিদ্বেষ,যত ঘৃনা পৃথিবী্র আর কোথাও এমনটি নেই। এত ঘৃনা কেন? কেনই বা এত রাগ? একটা কারণ হতে পারে, অনেকেই মনে করেন সেনাবাহিনী বসে বসে দেশের সম্পদ ধ্বংস করছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন দেশে যুদ্ধ নেই জন্যেই আপনারা যদি এই কথা বলে থাকেন তাহলে বলুন যুদ্ধ না হলে সেনাবাহিনীর কি দোষ? সেনাবাহিনীকে যখন যেখানে নিয়োগ করা হয়েছে তারা কি যায় নি? আপনারা কি জানেন স্বাধীনতার পরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্য তাদের বীরত্বের জন্য বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতিক ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন? পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেককে নিজের জীবন বিষর্জন দিতে হয়েছে? আমি জানি দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এ সব তথয় জানে না, কারন আমাদের সেনাবাহিনীর প্রচার বিমুখতা এবং আমাদের মিডিয়ার সেনাবিদ্বেষী মনোভাব। অথচ দেখুন ভারতে যখন হোটেল তাজ-এ অপারেশন পরিচালনা করতে গিয়ে একজন অফিসার প্রাণ হারালেন তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।

বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনাবাহিনী সম্পর্কে আমাদের মানুষজনের মনোভাব বিশেষকরে মিডিয়ার মনোভাব সুস্পস্ট হয়। কোন কিছু না জেনে, সামরিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে না জেনে একদল লোক টকশোতে বসে গিয়েছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনাবাহিনীকে নিজেদের আবেগ কে নিয়ন্ত্রন করতে বলা হল, সেনাবাহিনী তাই করল। কিন্তু কেউ এটাকে বড় করে দেখল না। অথচ এই বাংলাদেশেই রাস্তায় দূর্ঘটনায় কেউ আহত হলেই ব্যাপক ভাংচুর হয়। আর সেখানে উচ্চপদস্থ এত গুলো অফিসার শহীদ হওয়ার পরও শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারের আদেশ পালন করতে গিয়ে সেনাবাহিনী কোন এ্যাকশনে যায় নি। ঐ দিন সেনাবাহিনী যদি সামরিক শাসন জারি করতে চাইতো তাহলে সেনাবাহিনীর মধ্যে মতৈক্যের কোন অভাব হত না।

আজকাল অনেকেই ১/১১ এবং তার পরবর্তি সময় নিয়ে অনেক কথা বলেন। আমার মনে হয় এখানে সেনাবাহিনী একটা ভুলই করেছিল তখনকার ঐ তত্বাবধায়ক সরকারকে সরিয়ে নতুন তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে। কেননা আমরা তো আসলে ঐ রকম রাজনীতি-ই চাই যেখানে দলবাজি হবে, টাকা দিয়ে ভোট কেনা হবে, হরতাল হবে, অবোরোধ হবে,জ্বালাও-পোড়াও হবে, এসব না হলে তো আমাদের ভাল লাগে না। এখন তো আমরা ভালই আছি আবার জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে কিছুদিন পর যখন আবার হরতাল শুরু হবে তখন আমাদের আনন্দের কোন সীমা থাকবে না । একটা কথা বলি সেনাবাহিনীকে যে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তার কোনরূপ পূর্বঅভিজ্ঞতা সেনাবাহিনীর ছিল না এবং এ ধরনের কোন প্রশিক্ষন কিন্তু সেনাবাহিনীতে দেওয়া হয় না। আর আশ্রয়ন প্রকল্প, খাবার পানি সরবরাহ, বিভিন্ন প্রাকিতিক দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহনের কথা ভুলে গেলেও আমাদের চলবে না।

যারা সেনাকল্যান সংস্থা এবং আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নিয়ে কথা তুলছেন তাদের বলছি.....আপনাদের কি কোন ধারনা আছে এসব টাকা কোত্থেকে আসে? বাঙালির সভাব-ই হল জানি আর না জানি নিজেকে পন্ডিত হিসেবে উপস্থাপন করা। যদি দেশের প্রচলিত নিয়মের মধ্যে থেকে কোন ফান্ড তাদের অর্থ বৃদ্ধির জন্য অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করে তাহলে সমস্যা কোথায়? আর বি এম টি এফ এর কথা বলছেন? আমরা মনে হয় ভুলে গেছি যে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বি এম টি এফ কে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, আর এখন এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। আর অনেকের-ই জানা প্রয়োজন এই লাভের টাকার এক কানাকড়িও সেনাবাহিনীর কোন সদস্যের বেতনের সাথে যোগ হয়না। আর আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে অর্জিত টাকাও কোন সেনাসদস্যকে বেতন হিসবে দেওয়া হয় না।

কেউ কেউ বাধ্যতামূলক ট্রেনিং এর কথা বলেন, ভাল, আমিও তাই চাই। আর এটা যেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে দুই বছরের জন্য হয়। এখন সমস্যা হচ্ছে এই একাডেমিতে এত বিপুল লোকের প্রশিক্ষন সুবিধা নেই তাই আমার প্রস্তাব হচ্ছে যারা মনে করে সেনাবাহিনীর লোকজন কিছু না করে বসে বসে খায় তাদের যেন অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পাঠানো হয়। বেশি না,আমার ধারনা মাত্র ৭ দিন থাকলেই তারা বুঝতে পারবেন আর্মি লাইফ কত কঠিন হতে পারে।

সেনা সদস্যরা ভাল করেই জানে জনগনের টাকায় তাদের অন্যসংস্থান হয়।সেনাবাহিনীতে সরকারি সম্পদ যেভাবে রক্ষা করা হয়,দেশের আর কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন করা হয় কিনা আমার জানা নাই।

আর সবশেষে একটা কথা বলব, রূপগন্জের ঘটনা নিয়ে আগবাড়িয়ে কিছু ভাববেন না। বিডিআর এর ঘটনায়-ও কিন্তু প্রথমে না জেনে একেকজন একেক মন্তব্য করেছিলেন। এটা আমাদের-ই সেনাবাহিনী, দেশের প্রয়োজনে তারা কখনো কোথাও যেতে পিছপা হয়নি, আশাকরি ভবিষ্যতেও হবে না। আমাদের মনে রাখা উচিত দেশে যদি কখনো যুদ্ধ হয় তাহলে এই লোকগুলোই কিন্তু সবার আগে এগিয়ে যাবে, এই দেশ, দেশের জনগন তাদের সাধ্যানুযায়ী যা দিয়েছে তাই নিয়ে।

মন্তব্য ১১৩ টি রেটিং +৪৮/-২২

মন্তব্য (১১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

যুধিষ্ঠির বলেছেন: আমার আর্মি ভাল্লাগেনা। বালের ভাব মারে। আমার বোঞ্জামাই নেভিতে। যাই হোক তবুও।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১

শিপু ভাই বলেছেন: সেনা বাহিনী আমাদের সম্পদ। এখানে বাংলাদেশের নাগরিকরাই চাকরি করে। তারা আমাদেরই সন্তান। কোন ধরনের বিভেদ- বিভাজন কাম্য নয়। ভাল মন্দ সব খানেই আছে।
পোস্টে +

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৫

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: কিরকম ভাব মারে একটু বুঝিয়ে বলবেন ??

পোস্টের কথাগুলো ঠান্ডা মাথায় ভাবা উচিৎ.....সবাই যদি একটু বুঝতো....

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

রিডার ওয়ান বলেছেন:

এই বিষয়ে আজ সামুতে মনে হয় অনেক পোস্ট এসেছে। সব দেখতেও পারি নি। শুধু একটা ছাড়া অন্যগুলিতে কমেন্টও করতে পারি নি। সেই কমেন্টটি আপনারটাতে দিলাম। অনেকে সব অদ্ভুত অদ্ভুত অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছে! B:-)


১. জমিগুলো মূলত রাজউকের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগে শহর সম্প্রসারনের অধীনে করা। এর পাশেই আছে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প। গ্রাম রক্ষা এখানে সরকারের নীতি নয়। শহর সম্প্রসারন মূল ফোকাস।

২. দেশের সকল পেশাজীবির জন্য এধরনের হাউজিং সোসাইটি আছে। সেনা বাহিনীও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এটা ডিওএইচএস নয়। কারন এগুলো নগদ অর্থেই সেনাসদস্যদের কিনতে হবে। ঢাকা শহরের সম্প্রসারনের জন্য অন্যন্য হাউজিং সোসাইটির মত এটিও রাজউকের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগে হচ্ছে। জমি ক্রয়, ডেভেলাপ থেকে শুরু করে বন্টন সবই হাউজিং কতৃপক্ষ করে থাকে। রাজউকের অনুমতি থাকে মাত্র। অপরদিকে ডিওএইচএস সরাসরি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া জমি যা নামমাত্র মূল্যে দেয়া হয় এবং সেটা সরকারী নীতিমালা মধ্যেই।

৩. ওই এলাকার জমির দাম নিয়ে মিডিয়া যেসব অংক দেয়া হয়েছে তা অন্যের বরাত দিয়ে এবং তা অত্যন্ত হাস্যকর। ওই জমিগুলো ভোক্তা পর্যায়ে সেনাসদস্যরা (কমকর্তা ও নন-কমিশনড) প্রতি কাঠা ৩ লক্ষ টাকা করে কিনবেন। তাহলে বিঘা প্রতি দাড়ায় ৬০ লক্ষ টাকা (১বিঘা=২০কাঠা)। ৭০ লক্ষ টাকায় কিনে সেটা ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হবে!? ওই এলাকার অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি গুলো প্রায় একই দামেই (কাঠাপ্রতি ৩ লক্ষ) টাকায় ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করছে। সুতরাং মূল দাম অনেক কম। কেননা জমি কেনার পর এর সাথে ডেভেলাপিং চার্জ যোগ করেই ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হবে। সাধারনভাবে জমির দাম বিঘাপ্রতি ১০ লক্ষের বেশি এলাকাবাসীর পাওয়ার কথা না!

৪. বিঘা প্রতি ১৭ লক্ষ টাকায় (মিডিয়ার খবর অনুযায়ী) যে সেনা কতৃপক্ষ কিনছে তা কিন্তু এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সরাসরি। ওই এলাকার জমিগুলো অন্য আরও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও কিনছে। কিন্তু তারা কেনে দালালদের কাছ থেকে, সরাসরি নয়। ফলে এলাকার মানুষ বেচে ১০ লক্ষে, দালালরা সেটা বেচে ১৫ লক্ষে!

৫. দালালরা এলাকার মানুষের কাছ থেকে কম টাকায় কিনে একধরনের সিন্ডিকেট করে ফেলে এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে দালালদের নির্ধারিত দামে কিনতে বাধ্য করে। সেনাকতৃপক্ষের সাথে খুব সম্ভবত এই কাজটাই তারা ঠিকভাবে করতে পারছিল না! এলাকার মানুষ যাতে সরাসরি তাদের কাছেই বিক্রি করে এজন্য প্রশাসনের সহায়তায় খুব সম্ভবত অন্যদের কাছে (দালালদের কাছে)বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য এসব দালালের কাজগুলো করে থাকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, এক্ষেত্রে খুব সম্ভবত আওয়ামীলীগ নেতারা। এটাই আমাদের দেশের জমি কেনা বেচা এবং রিয়েল স্টেটের সিস্টেম! :|

৬. সেনা কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কারনে এই সিস্টেমের ব্যঘাত ঘটেছে! সরাসরি বিক্রি করতে পারার কারনে বিক্রেতা পর্যায়ে জমির দামও তুলনামূলক ভাবে বেড়ে গেছে। অন্যন্য কোম্পানীগুলোও দালালদের মাধ্যমে কিনতে গেলেও পারছে না। কারন ১৭ লাখের সাথে অন্তত আরও ৫ লাখ যোগ করে কিনতে হচ্ছে। আবার দালালরাও লাভের মুখ দেখতে পারছে না কেননা সরাসরি বিক্রির সুযোগ থাকায় কেউ তাদের কাছে কমদামে বিক্রি করছে না। সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করেও পারছে না প্রশাসনের বাধার মুখে। তাই গুজব ছড়িয়ে এই ধরনের একটি পরিস্তিতি তৈরি করা হল। শুধু গ্রামের সহজ সরল মানুষ নয় শহরের শিক্ষিত মানুষও গুজবে কান দেয়!

৭. বিঘা হিসেবে কিনে নেয়ার পর সেখানে আছে ডেভেলাপিং চার্জ। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এখানে একটা বড় দাও মারে। তারা সঠিকভাবে বালু ভরাট করে না। কিন্তু সেনা কতৃপক্ষ সেটা করার কথা না। তারাত আর ব্যবসা করতে নামে নি!

৮. বাংলাদেশে জমি কেনাবেচাতে অনেক ধরনের নোংরা রাজনীতি থাকে। সাধারনত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গুলো এগুলো সামাল দিতে পারলেও বোঝাই যাচ্ছে সেনা কতৃপক্ষ এটা পারে নি। সরকারের উচিৎ ছিল নিজেরা ক্রয় করে সেনা কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা । সেক্ষেত্রে অনেক সময় লাগত। এখন সেনাবাহিনী নাম ব্যবহার হওয়ায় জনগনের সাথে সেনাবাহিনীর দূরত্ব বোধহয় আরও বাড়ল!

৯. গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারেরই একটা অংশ। বিভিন্ন সময় সরকারগুলো তাদের ভুলভাবে ব্যবহার করেছে। সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়েও আছে অনেক দুর্নীতি। আবার অতীতেও সেনাবাহিনীর কিছু নেতৃত্ব দেশের ক্ষতি করে গেছে। কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী স্রেফ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারনে সেনাবাহিনীর বিপক্ষে অবিবেচকের মত কথা বলে। তারা চায়টা কি? সবসময় হুজুগে মাতা! তাদের অন্তত সত্য ব্যপারটা চিন্তা করা উচিৎ। জমি কেনা বেচা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই মনে হচ্ছে! X(

১০. এই ঘটনায় কয়েকজন হতাহত হয়েছে। আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। গুলি পুলিশ করেছে না সন্ত্রাসীরা করেছে না সেনাবাহিনী করেছে তা বোধহয় ঘরে বসে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। সত্যি যেটাই হোক আমার ধারনা এই ঘটনার জন্য দায়ী ওই জমির দালালরা যারা কিনা একই সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাও।

১১. বাংলাদেশের সাধারন পাবলিককে নিয়ে আমার তেমন অভিযোগ নেই। কারন এরা নিজেরাও জানে না কখন কি বলবে! কথা বলতে ত আর পয়সা লাগে না! বাঙালী মাত্রই অন্যের ভাল সহ্য করতে পারে না। আমি নিজেও ত পাবলিক। তবে আমাদের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ। মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও ভেবে দেখা উচিৎ কি বলছি! চিন্তাভাবনা না করে মাত্রা ছাড়া কথা বলতে গিয়েই আমরা জাতিগতভাবে অনেকবার বিপদে পরেছি।


একটা আলাদা পোস্ট দেয়া উচিৎ ছিল!

ধন্যবাদ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩৪

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমারো মনে হয় আপনার আলাদা পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল। তথ্যগুলো সবারই জানা দরকার।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

মোসাব্বির বলেছেন:
যদি একটু হিসাব দিতেন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের কত অংশ সেনাবাহিনীর পেছনে যায় এবং আমাদের মত গরীব দেশের জন্য তা কতটা যৌক্তিক তাহলে ধারনা আরো পরিষ্কার হতো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২০

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: জাতীয় বাজেটের কত অংশ সেনাবাহিনীর পিছে যায় তা আমার জানা নাই কিন্তু এইটুকু জানি সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের মাত্র ৫% সামরিক সরন্জামাদি কেনা কাটায় খরচ হয়। আমাদের দেশের সেনাবাহিনী আমাদের দেশের মতই গরীব। আমাদের যে কোন প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অবশ্য নেপাল ও ভূটান এর কথা আলাদা।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেউ কেউ বাধ্যতামূলক ট্রেনিং এর কথা বলেন, ভাল, আমিও তাই চাই। আর এটা যেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে দুই বছরের জন্য হয়। এখন সমস্যা হচ্ছে এই একাডেমিতে এত বিপুল লোকের প্রশিক্ষন সুবিধা নেই তাই আমার প্রস্তাব হচ্ছে যারা মনে করে সেনাবাহিনীর লোকজন কিছু না করে বসে বসে খায় তাদের যেন অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পাঠানো হয়। বেশি না,আমার ধারনা মাত্র ৭ দিন থাকলেই তারা বুঝতে পারবেন আর্মি লাইফ কত কঠিন হতে পারে।

এই জন্যই এই বাধ্যতামূলক বিষয়টা জরুরী। আবার অন্য সেনা সদস্যরা যেমন সিভিল বলে নাক সিটকান সেই বিষয়টাও বন্ধ হবে। কারণ তখন সবাই হবে প্রশিক্ষিত। এছাড়াও সকলেই হবে কর্মঠ। তাদের প্রাণ প্রাচুর্য ময় কর্মক্ষমতায় দেশ এগিয়ে যাবে।
ভেবে দেখুন কতটা কার্যকরী একটা দেশের উন্নতির জন্য।

আরকটা বিষয় ভাববার মতো...
ভাল করে গোয়েন্দা লাগান.. দেখূন এর পিছেন দাদাদের কুচক্রী প্লান আছে কিনা? কতিপয় লোভী স্বাধান্ধকে দিয়ে প্লান করে পুরো সেনাবাহিনীকে বদনাম করা এবং জনতা সেনা মূখৌমূখী করার দূরভীসন্ধি থাকতে পারে ......আর মিডিয়ার অন্ধতা এবং স্বার্থবাদীতাতো আজ নগ্ন...যুগান্তর বনাম জনকন্ঠ কিংবা প্রথম আলৌ বনাম বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বন্ধে....

আইজদ্দিন.. হুশীয়ার...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫৮

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: আমি কিন্তু অন্য দৃস্টিকোন থেকে বলেছিলাম। আমি শুধু এটুকু বোঝাতে চেয়েছি যে সেনা জীবন খুব আরামদায়ক কিছু নয়।
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে একজনের প্রতিদিনের প্রশিক্ষণ খরচ ধরা হয় ১ হাজার টাকা। প্রথম সপ্তাহের পর কেউ যদি চলে যেতে চায় তাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে যেতে হয়। দুই মাস পর ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে চলে যাওয়ারও নজির আছে । কেন? আশাকরি বুঝতে পারছেন।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

দুরের পাখি বলেছেন: ছাগুরা বাই-ডিফল্ট সেনাপ্রিয় হয় ।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

পুন্ডরীকাক্ষ পুরোকায়স্থ বলেছেন: সেনাবাহিনি নিয়ে অতটা ইতিবাচকইবা কী করে হওয়া যায়?

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮

মাহাদি হাসান বলেছেন: সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব কেন অযৌক্তিক হবে? মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে সেনাবাহিনীর জন্ম এটা জানতাম না, আমি যতদুর জানি পাকিস্হানি বাহিনীর এক অংশ হিসেবে বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠিত হয়, যারা পাক ভারত যুদ্ধেও অংশগ্রহন করে। সেনাবাহিনীর ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্যের অনেক কারন আছে। এই দেশের দুইটা প্রেসিডেন্টকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, পাকিস্হানি বাহিনীর মত সামরিক শাসন জারি করে দেশের গনতন্তের অগ্রযাএা ব্যাহত করেছে, সেনাবাহিনী নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলিকে সমাধানের ক্ষেেএ ও রক্তের বন্যা বহাতে কার্পন্য করে নাই। এছাড়াও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত মারাত্নক কাজ করেছে এরশাদের শাসন আমলে, পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা, ধর্ষনের মত কাজ করতেও বাকি রাখে নাই, এর পর গত দুই বছর বিদেশি প্রভুদের গোলামি করল জাতিসংঘ মিশন বাঁচাতে, নেতিবাচক মনোভাব না হবার কোন কারন দেখছি না!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৩

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: আপনার প্রথম অংশের উত্তর হয়তো পেয়ে গেছেন।ধন্যবাদ রিডার ওয়ান।
দেখুন পার্বত্য এলাকায় অপারেশন নিয়ে আপনি যেটা বলছেন তা প্রপাগান্ডা ছাড়া কিছুই না।এটা ঐ সময়কার বিদ্রোহী গোষ্ঠি সুপরিকল্পিত ভাবে করত যাতে সেনাবাহিনীর এইসব অপারেশনের বিরুদ্ধে জনমত সৃস্টি হয় এবং সেনাবাহিনী এবং সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে আর সাথে তো আমাদের মিডিয়া ছিলই। এ কারনে প্রথম কয়েকবার এরকম কথা উঠার পর থেকে যে কোন পাড়ায় সার্চ এ গেলে সেনাবাহিনী আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে যেত।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

অ্যামাটার বলেছেন: আপনার কথার সাথে অনেকাংশে একমত। তবে, সাধারণের সাথে দূরত্ব তৈরীতে সেনাবাহিনীও দায় এড়াতে পারে কি?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪২

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: অবশ্যই সেনাবাহিনীর দায় আছে। সেনাবাহিনী সবসময় মিডিয়া থেকে, নিজেদের প্রচার থেকে দূরে থেকেছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হলেও তারা কোন প্রতিবাদ করেনি। এতে করে অনেকের মনে সেনাবাহিনী সম্পর্কে একটা বিরূপ ধারনা সৃষ্টি হয়েছে।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রিডার ওয়ান বলেছেন:
শিপু ভাই বলেছেন: সেনা বাহিনী আমাদের সম্পদ। এখানে বাংলাদেশের নাগরিকরাই চাকরি করে। তারা আমাদেরই সন্তান। কোন ধরনের বিভেদ- বিভাজন কাম্য নয়। ভাল মন্দ সব খানেই আছে।

এর সাথে যোগ করতে চাই, বিভিন্ন সময় সরকারগুলো নিজেদের স্বার্থে সেনাবাহিনীর (যা কিনা রাষ্ট্রের একটা গুরুত্বপূর্ন সংগঠন) নাম ব্যবহার করে জোর করে অনেক কাজ করিয়ে নেয়। বদনামটা হয় সেনাবাহিনীর। দুরত্ব তৈরি হয় সাধারন মানুষের সাথে।

এটা ঠিক যে সেনাবাহিনী অনেক সময় বাড়াবাড়ি করে, বিশেষ করে সামরিক শাসন আমলে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একটা সংগঠন চলে উচ্চপদস্থ কিছু নেতৃত্বে ভর দিয়ে। কিছু লোকের দোষের জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন এই অংশটিকে সামগ্রিকভাবে দোষারোপ করা অন্যায়। তাছাড়া দেশের অন্য সংগঠনগুলি যে খুব ভাল কাজ করছে তাও ত না। রাজনীতিবিদই বলেন, সামরিকবাহিনীই বলেন আর সরকারী আমলা বা ব্যবসায়ীরা বলেন সবাই ত আমাদের দেশের জনগনই! তাহলে কি দোষটা দেশের সব মানুষকে দেব?!?

আর এখন চলছে গনতান্ত্রিক সরকার! সেনাবাহিনী গনতান্ত্রিক সরকারের নেতৃত্বেই আছে!!

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাদা ভাকুরা বাই ডিফল্ট এন্টি সেনা অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয় ;)

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: বিএনসিসি তে আমি সহ যারা ছিলেন বা আছেন, যারা বার্ষিক প্রশিক্ষন শিবির, সেনাবাহিনীর সাথ যৌথ মহড়া, ন্যাশনাল প্যারেডে গিয়েছেন তারা জানেন ট্রেনিঙ কি জিনিষ।

বাধ্যতামূলক ট্রেনিং দেয়া হোক তাদের যারা সেনাবাহিনীকে ছোট করে দেখে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৩

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি আপনি হয়তো কিছুটা দেখেছেন তাই বুঝতে পারছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ট্রেনিং ক জিনিস যারা করেছে তারাই জানে, তার পরেও আছে কমান্ডো, ওগুলোর কথা না হয় নাই বললাম।

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০

১৬ই ফেব্রুয়ারী বলেছেন: একজন গরিব গেলমান, মোবাইল কিনতে চাই ( পাকিস্তানি ব্রান্ড)!!! কোনটা ভালো হইবো সাজেস্ট করেন। :(( :(( ছাগলা আকাশ ও বিষাক্ত মন

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১

রিডার ওয়ান বলেছেন:
@মাহাদি হাসান :

যদিও আপনার মন্তব্য লেখকের উদ্দেশ্যে। লেখকই জবাব দেবেন! তবুও আমি কিছু যোগ না করে পারলাম না।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় তৈরি হয়েছিল।
কথা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একেবারেই আলাদা হবে। যুদ্ধজয়ী একটা বাহিনীর ব্যপারগুলো থাকে অন্যরকম। কিন্তু তখনকার সরকার একটা হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলেন। যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান ফেরত সরকারী কর্মকর্তাদের আবার চাকরিতে ফিরিয়ে নেয়া হল। সেনাবাহিনীও বাদ গেল না। যদিও সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী যুদ্ধের সময় পলাতক বা ইচ্ছাকৃত ভাবে আত্নসমর্পন কারীদের বাহিনীতে ফিরিয়ে নেয়া হয় না। বরং শাস্তি দেয়া হয় । ফিরিয়ে নেয়ার পর শুরু হয় দ্বন্দ্ব। বিপ্লবী আর প্রতিবিপ্লবীরা মারামারি করে মরল আর ফায়দা লুটল সুযোগসন্ধানী পাকিস্থান ফেরতরা। দেশের সব ক্ষেত্রেই এটা হল। দেখুন এখনও রাজাকারদের বিচার করা যায় নি। পাকিস্থানী চেতনায় বিশ্বাসীরাই পরবর্তীতে দেশে রাহু বিস্তার করেছে।

আপনার কমেন্টের বাকী অংশের সাথে পুরোপুরি একমত। শুধু ব্যপারটা হচ্ছে এই কাজগুলিই সেনাবাহিনী না করলে অন্য কেউ আরও খারাপ ভাবে করত। তাছাড়া এর জন্য দায়ী তখনকার নেতৃত্ব। পুরো সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করাটা ঠিক মনে হয় না। এই নেতৃত্বের সমস্যা এখনও আছে, এইজন্যই এখনও বিদেশিদের গোলামী করা লাগছে। নেতৃত্ব দেশের কোনজায়গাই বা ঠিক আছে ?! :( B:-/

১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রিডার ওয়ান বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাদা ভাকুরা বাই ডিফল্ট এন্টি সেনা অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয় ;)

খিকজ... :P ;)

১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আশিক হাসান বলেছেন: রুপগন্জের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সবচাইতে বড় ভুল স্থানীয় হাউজিং কোম্পানী এবং তাদের অনুগত স্থানীয় দালাল শ্রেনীকে হিসাবে না আনা। বাইরের দুনিয়া আর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিবেশ এক না ,বিশেষ করে যেই অন্চলে ভূমিদস্যু স্বরুপ হাউজিং কোম্পানীর লোলুপ দৃষ্টি সেখানে তাদের হওয়া উচিত ছিল আরো কৌশলী আর সাবধানী। এখানে সোজা কথার কোন মূল্য নেই এমনকি ভাল কাজকে রং চড়িয়ে জনগনকে কিভাবে বোকা বানানো যায় এই ঘটনা থেকে সেনাবাহিনীর শিক্ষা নেয়া উচিত।

যেখানে হাউজিং কোম্পানী বিশেষ করে ভুলুয়ার মত কোম্পানী গুলো সাধারন মানুষকে প্রতারিত করে একের পর এক জমিগুলো বন্ধক রেখে প্রতারনার ফাঁদ পাতছিলো সেখানে সেনাবাহিনী মহাসমারোহে যখন নগদ টাকায় জমি কেনা শুরু করে তখন তাদের বোঝা উচিত ছিলো যে হাউজিং কোম্পানীগুলো হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবেনা । এবং বাস্তবে হয়েছে ও তাই একের পর এক প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে । এখানে অবশ্যই বলে রাখা ভাল যে বাঁধাগুলো একে একে অপসারন করা হলেও নতুন করে আরো প্রতিবন্ধকতা তৈরী হচ্ছিলো ,এর পেছনে ইন্ধনে ছিলো রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বেসরকারী হাউজিং কোম্পানীর কালো টাকার খেলা এর মধ্যে বসুন্ধরা ,ভুলুয়া নাম উল্লেখ্যযোগ্য ।

ঘটনা ঘটার পূর্বেই সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগনের সবগুলো দাবী মেনে নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকলে এই মহল নেমে পড়ে সর্বশেষ খেলায় আর সেটা ছিলো সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করানো । এর পেছনে কাদের সুবিধা ছিলো বেশী এটা ক্ষতিয়ে দেখতে খুব বেশী একটা কষ্ট করার প্রয়োজন নেই । কথায় আছে "আকালমানকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়"।

সেনাবাহিনী এখানে অনেক আগেই একটি বিষয় পরিষ্কার করে ছিলো যে কোন ব্যক্তিকে তার বসটভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবেনা ,কারও জমি অধিগ্রহন নয় বরং বাজারদরে ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করা হবে । এখান দেখার বিষয় এই হাউজিং কোম্পানীর টাকায় কে কে বিক্রি করেছে নিজেদের আর সরকার এবং সেনাবাহিনীকে এই ধরনের একটি বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে চেয়েছিল।

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৩

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: ভাদা ভাকুরা বাই ডিফল্ট এন্টি সেনা অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয়

১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৫

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: যুধিষ্ঠির ভাই,

দয়া করে ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না...

বেশীরভাগ সামরিক সদস্য প্রশিক্ষন, চাকুরী আর পেশাগত পরিবেশের কারনে সাধারন সামাজিক পরিবেশ হতে কম বয়স থেকেই দুরে থাকতে বাধ্য হয়। এতে ওদের মধ্যে আচরনগত কিছুটা বৈসাদৃশ্য আসা স্বাভাবিক। দেশের মধ্যে থেকেও ওদেরকে রাখা হয় সাধারন পরিবেশ থেকে দুরে একটা কনফাইনড জেলের মতো জায়গাতে। নিজেদের মত ভাবতে দেয়া হয় না, নিজের পছন্দ মত চলতে দেয়া হয়না, কাজেই ওদের মধ্যে কিছুটা স্বাতন্ত্র আসবেই।

কেন এরকম করা হয়? যাতে একটা সবার মধ্যেইবিশেষ আচরন গত সাদৃশ্য আসে...যাতে সামরিক আদেশ মানার প্রবনতা তৈরী হয়.....সামরিক বাহিনীর কমান্ড কাঠামো ঠিক যেরকম দাবী রাখে। ইন্টারমিডিয়েটের পর প্রশিক্ষন কালীন সময়ে এদেরকে কঠিনতম সামরিক শৃংখলার মাঝে থেকেও স্নাতক লেভেলের পড়াশুনা শেষ করতে হয়, কারন শুধু এইচ এস সি পাশ করলেই কমিশন হবে না....যদি না কেউ বি এ অথবা বিএস সি সফলভাবে পাশ না করে। অনেক ব্লগারই বলেন (খুবই দু:খ পাই, না জেনে বলেন নাকি জেনেও না জানার ভান করেন) ইন্টার পাশ করেই নাকি ১ম শ্রেনীর অফিসার হয় সবাই। সম্পুর্ণ মিথ্যা। কমিশন পেতেই স্নাতক হতে হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেজর থেকে লে: কর্নেল প্রোমোশনের ক্ষেত্রে দরকার হয় পি এস সি (মিরপুর স্টাফ কলেজ) ডিগ্রীর যা ন্যাশনাল কারিকুলামের অন্তরভুক্ত এবং মাস্টার্স ডিগ্রীর সমতুল্য।

এখন বলেন কিভাবে এরা সাধারন আচরন করবে। ভাবের কথা যদি বলেন, এর চেয়ে অনেক বেশী ভাবই আমাদের নব্য চাকুরীতে ঢোকা মাল্টিন্যশনাল কোম্পানীর কারো মধ্যে দেখতে পাই। ভাব খালি ওদের জন্যই ? একই বয়সি একটা ছেলে মা বাবা ভাই বোন ছেড়ে দিনের পর দিন বনে বাদাড়ে পড়ে থেকে তার জন্য সরকার নির্ধারিত বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে, যেখানে অনায়াসেই তার সমবয়সি একটা ছেলে বা মেয়ে তার ৫ গুন বেশি বেতনে সবার মাঝে থেকে আরামের চাকুরি করে যাবে। এটা কি দেশের জন্য কিছুটা হলেও ত্যাগ স্বীকার নয় ??

ডিসিপ্লিনড লাইফ, আনুগত্য, সততা এসবের মধ্যে থাকলে যে কারও মাঝেই শক্ত একটা মেরুদন্ড তৈরী হয়, এটাকেই অনেকে আমরা পছন্দ করি না, সোজা ভাষায় বলি...শালারা ভাব ধরে। কারন অন্যায় দেখলে যেখানে আমি আপনি চুপ থাকি, একজন সামরিক সদস্য সেখানে তার প্রতিবাদ করার সাহস দেখান। এটাই বোধহয় আমাদের ছাপোষা আঁতে আঘাত করে।

আমি রুপগন্জে কি ঘটেছে তা সবিস্তারে না জেনে কোন মন্তব্য করবো না। এটাও যে আমাদের সেনাবাহিনী কে ঘিরে পিলখানার মত কোন ষড়যন্ত্র নয় সেটা এখনই কিভাবে বলি ??

সত্যি কথা তিতা হয়। আমার চারদিকে সবাইকেই আমি দেখেছি জীবনে ১ বার হলেও তারা আর্মি /নেভ/ এয়ারে লাইন দিয়েছে। চান্স না পাওয়া/প্রত্যাখ্যাত অথবা চারিত্রিক কারনে সামরিক একাডেমি থেকে বিতাড়িত মানুষজনই এরকম বিষ বাষ্প ছড়াচ্ছে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে। নিজে না পারুন, কেন আরেকজনের পথে কাঁটা দিচ্ছেন ??

সামরিক সদস্যরা যে যাই করুক, মনে রাখবেন তারা সম্পুর্ন একটা সিভিল সমাজের অনুগত এবং সিভিল সমাজ দ্বারাই পরিচালিত। এরা আমাদেরই সন্তান, ভাই অথবা আত্বীয়। উপরতলার আদেশ ব্যতিত একটা কুটো নাড়ার সামর্থ্য তাদের নেই।কাজেই কর্মীকে না দুষে, কোন দোষের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালক সিভিল প্রশাসনকেই জবাবদিহি করতে হবে।


ধন্যবাদ


২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৭

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতের জন্য ধন্যবাদ। সম্পূর্ন একমত।

২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৩

অরাজনৈতিক বলেছেন: আপনি কতটুকুন জানেন এই সেনাবাহিনী সম্পর্কে?
তাঁদের উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে?
আপনি জানেন বৃহত্তর ঢাকায় কয়টি ডি ও এইচ এস আছে?
আপনি জানেন সৈনিক কি কি কাজে ব্যবহার হয়?
আপনি জানেন সেনা কল্যাণ ফান্ডের টাকা কার স্বার্থে ব্যয় হয়?
আপনি কি জানেন ইউ এন মিশনে অফিসার ও সৈনিকদের টিফিন এ্যালাউন্স এক কেন?

আপনার জমি/বসত ভিটা কখনো সরকার আধিগ্রহন করেছে?

নেতিবাচক কি কি আপনি জানতে চান?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৩

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: আমি জানি যতটুকু আমার জানা দরকার। আমার ধারনা সেনাবাহিনী সম্পর্কে আপনার থেকে একটু হলেও বেশি জানি যদি না আপনি সেনাবাহিনীর কেউ হন।
ঢাকায় ডি ও এইচ এর জমিগুলো সরকারি সম্পত্তি ছিল, যা সরকারের অনুমতিতেই কিছু সংখ্যক সেনাকর্মকর্তা পেয়েছেন।
সৈনিক কি কি কাজে ব্যবহার হ্য়? এটা আবার কি ধরনের কথা? সৈনিকদের এমন কোন কাজে ব্যবহার করা হয় না যা নিয়মের বাইরে। আপনাকে ভুলে গেলে চলবে না সেনাবাহিনীর একটি নিজস্ব আইন আছে।
সেনাকল্যান ফান্ডের টাকা সেনাসদস্যদের স্বার্থেই ব্যয় করা হয়। আপনি খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
টিফিন এ্যালাউন্স নিয়ে আপনার প্রশ্নটা পরিষ্কার নয়। তবে আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি ইউ এন মিশনে, একটা মিশন থাকাকালিন সময় এর জন্য একটা নির্দিস্ট অংকের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখান থেকে পদবী অনুযায়ী একটা বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। এখন যদি বলেন অফিসাররা কেন বেতন বেশি পায় তাহলে আমার বলার কিছু নেই। মিশন না বাংলাদেশের কথা বলি, আপনি কি জানেন একজন সিনিয়র সার্জেন্ট বা একজন ওয়ারেন্ট অফিসার র‌্যাংক এ তার চেয়ে সিনিয়র একজন লেফট্যানেন্ট এর চেয়ে বেশি বেতন পান। আপনি কি জানেন একজন অফিসার কোন বাড়িভাড়া ভাতা পায় না যদি না সে বিবাহিত হয় এবং সে পরিবার নিয়ে না থাকে, সেখানে সকল সৈনিক বাড়িভাড়া ভাতা পায়, বিবাহিত হলে ৪৫% আর না হলে ২০%। আপনি কি জানেন প্রতিরক্ষা সার্ভিস ভাতা সৈনিকদের জন্য ২০% আর অফিসারদের জন্য ১২%? আপনি হয়তো এটাও জানেন না অফিসারদের নিজ খরচে খেতে হয়।
জমি অধিগ্রহন এর ব্যাপারে জবাব মনে হয় পেয়ে গেছেন।

২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪০

দুরের পাখি বলেছেন: হা হা হা । ছাগু ধরার এই টেস্ট ক্ল্যাসিক কিন্তু এখনো সমান কার্যকরী । এতগুলা লোকের মাঝখানে ঠিক জায়গামত লাইগা গেছে , আর কারো লাগে নাই । খ্যাক খ্যাক ।

২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫০

েকউ একজন বলেছেন: সেনা সবসময় শহরে থাকতে চায় কেন?????????
বাংলাদেশই শুধু এমন হয়.......।
আর্মি কেন ব্যবসা করতে নামবে এই ব্যপারটা কখন আমার মাথায় ঢুকেনা...............
এভাবে চললে বাংলাদেশ কেও হয়তো পাকিস্তান এর পরিনতি বরন করে নিতে হবে যা আমরা চাইনা..........।
নিচের লিন্ক গুলো দেখলে ভাল হয়........
Click This Link

Click This Link

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৮

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: কে বলেছে সেনারা সবসময় শহরেই থাকে? আপনি কি পার্বত্য এলাকার কথা জানেন না? খোলাহাটি,যমুনা সেতু , ঘাটাইল এগুলো কোনটাই শহরের কাছাকাছি নয়। ঢাকা সেনানিবাস যখন স্থাপিত হয় তখন শহর এত বিস্তৃত ছিল না।
আর্মি ব্যাবসা করতে নামেনি। সেনাসদস্যদের টাকায় তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করছে শুধু।
আশাকরি আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের মত আচরণ করবে না। কারন এরকম সুযোগ কিন্তু এসেছিল কিন্তু সেনাবাহিনী নেয় নি। আশাকরি সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও যে কোন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই থাকবে।

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২১

লুকোচুরি বলেছেন: সেনা বাহিনী আমাদের সম্পদ। এখানে বাংলাদেশের নাগরিকরাই চাকরি করে। তারা আমাদেরই সন্তান। কোন ধরনের বিভেদ- বিভাজন কাম্য নয়। সেক্ষেত্রে সেনা/সশস্র বাহিনীর উচিত সম্পুর্ণ পেশাদারী মনোভাবের পরিচয় দেওয়া।তারা যদি কারো তল্পী বাহক হয়ে যায়-তখন তাদের উপড় থেকে সাধারন মানুষের আস্থা কমে যায়।

২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৪

দুরণ্ত সাহস বলেছেন: মনের গভীর থেকে + দিলাম আর কিছু বলব না। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের কে। যারা বেশি স্মার্ট, বুদ্ধিজীবি, বেশি শিক্ষিত তাদের কে অনুরোধ করব। ওদের কে জানুন চিনুন বুঝুন। তারপর কথা বলুন।

২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩২

ত্রিভুজ বলেছেন: প্রিয় পোস্টে রাখলাম। আর এই দেশের মানুষরা খুবই অদ্ভুত....

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৮

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলেই অদ্ভূত যখন পারে না তখন কিন্তু এই সেনাবাহিনীকেই ডাকে। চাল বিতরণ-সেনাবাহিনী, পানি দরকার-সেনাবাহিনী, নির্বাচন-সেনাবাহিনী.....আরও অনেক আছে। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে যমুনা সেতুতে টোল সংগ্রহ।

২৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০০

মাহাদি হাসান বলেছেন: @রিডার ওয়ান, যাক লেখকের কাজ আপনি করে দিলেন তাতে কারো আপত্তি থাকবার কথা না। আমারও নেই। তবে আমি যে বিষয়টার ওপর ফোকাস করতে চাইছিলাম সেটা হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব কিছু মত মর্জি আছে যার ফলে বৈধ অস্রের অবৈধ ব্যবহার তারা বিভিন্ন সময়ই করে আসছে। কিন্তু সেটাকে বিল্পবী কাজ কারবার মনে করবার মত ভাড়ামো করা নিতান্তই ইতরোচিত কর্মকান্ড হিসেবে আমি দেখেছি। সংবিধানের দ্বারা তাদের ক্ষমতার সীমা নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও সংবিধান মাড়িয়ে ক্ষমতা দখল করবার নজির আমরা নিকট অতীতেই দেখেছি। গায়ের জোরে কিভাবে ক্ষমতায় থাকতে হয় তার নজির হয়তো জিয়া,এরশাদ, মইন উদ্দিনের বেলায় আমরা দেখেছি। আসলে বাংলাদেশে এক ধরনের সামরিক আমলাতান্রিক প্রশাসন ব্যবস্হা তৈরী হয়ে গেছে অনেক আগে। সংসদীয় ব্যবস্হার সরকারগুলোর মন্রিসভা গুলোর দিকে তাকে বরাবরই আমরা দেখব দুই তিন জন সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার সেখানে আছে। তাই নেতৃত্ব সামরিক বাহিনীর সদস্যহীন কোন ধারনা ন্য়। জাতীয় চার নেতার একজন কিন্তু সেনাসদস্য। নেতৃত্ব যখন বলি তখন আমরা যেন ভুলে না যাই বাংলাদেশ স্বাধিন হবার পর এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীও একটা বড় সময় কাটিয়েছে। তাই তাদের স্বার্থ হাসিল করবার জন্য মিলিটারি আমলাতন্রের পাশাপাশি তারা সংসদকেও স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসাবে পেয়েছে।পাকিস্হানী বাহিনী থেকে আমাদের সেনাবাহিনীর কোন চরিএগত পার্থক্য আছে কিনা সেটা আমাদের দেখা দরকার। অন্তত এই ধরনের ঘটানাই সেই দিকে চোখ ফেরাতে আমাদের বাধ্য করে।

২৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:২৫

রিডার ওয়ান বলেছেন:
@মাহাদি হাসান : আপনার বক্তব্যের সাথে এবার মোটামুটি একমত! আমি শুধু সেনাবাহিনীকে এককভাবে দোষ দিতে চাইনা। কারন আমি তাদের আলাদা কোন এনটিটি ভাবতে নারাজ। তারা নিজেরা যদি ভাবে সেটা তাদের ভুল।

নেতৃত্ব বলতে আমি সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীন নেতৃত্বই বুঝিয়েছি। যেমন- এরশাদ। অল্প কিছু মানুষের জন্য সেনাবাহিনীও আর দশটা প্রতিষ্ঠানের মত কলুষিত হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্থান সেনাবাহিনী থেকে আলাদা কিছু হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু আফসোস ত সেখানেই। এর জন্য দায়ী এরশাদ টাইপের লোকজন যারা স্বইচ্ছায় পাকিস্থানে বন্দী থেকে যুদ্ধের পরে দেশে ফিরে পাকিস্থানী চরিত্রটা ধরে রেখেছে।

আবার সেনাবাহিনীকে যদি আলাদা বা বিশেষ কিছু ধরেও নেই, তাও দেখা গেছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক নেতৃত্বের প্রভাবও ওদের মধ্যে পরেছে। রাষ্ট্র যন্ত্র তাকে বিশেষ কিছু হিসেবে সবসময় ব্যবহার করতে চেয়েছে।

আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটা দেশে সব কিছু ঠিক ভাবে হয় না। যদিও আমাদের স্বপ্নটা ছিল অনেক বড়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৪

রিডার ওয়ান বলেছেন:
@লেখক:


লেখক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমারো মনে হয় আপনার আলাদা পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল। তথ্যগুলো সবারই জানা দরকার।

জ্বী, আপনাকেও ধন্যবাদ।

আমি যে তথ্য দিয়েছি তা পত্রিকা পড়ে আর জমি কেনা বেচা সম্পর্কে ধারনা থেকে। আমার কাছে কোন তথ্য প্রমান নেই! তাই আলাদা পোস্ট দেইনি, মতামত দিয়েছি।

আইএসপিআর যে বিজ্ঞপ্তি দিল তা অসম্পূর্ন। তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভবও নয়। আসলে সরকারেরই (স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়) উচিৎ ছিল বিষয়টি পরিস্কার করা। কিন্তু সেটা করতে গেলে থলের বিড়াল বের হয়ে যেতে পারে! কারন বিষয়টার সাথে খুব সম্ভবত আ'লীগের স্থানীয় নেতারা জড়িত! :| B:-/

যাই হোক, সাংবাদিকরা ত লেগেই আছেন! আমরা সব তথ্যই পাব আশা করি। যদিও পত্রিকার তথ্যে কিছুটা গুজবের মিশ্রনও থাকবে!

২৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫৪

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: একটা বিষয় লক্ষনীয় যে, আমাদের অনেক তথাকথিত পন্ডিত বলেন,সেনাবাহিনীর পিছনে কত টাকা ব্যয় হয়, সেটা জাতীয় বাজেটের কত অংশ, কেন এত! টাকা ব্যয় করা হবে! এই স্বঘোষিত পণ্ডিতরা বোধহয় জানেন না যে, দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমরাই বাজেটের সবচেয়ে কম অংশ ব্যয় করি সামরিক বাহিনীর পেছনে। নেপাল আর ভুটান এখানে ধর্তব্য নয়। কারন এরা নিজেরা স্বাধীন দেশ হিসেবে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে ভারতের উপর নির্ভরশীল প্রাদেশিক রাষ্ট্রের মত। আর এদের উন্নয়ন অবস্থাও আমাদের ধারে কাছে ও নেই।এটা তো স্পষ্টই যে সামরিক বাহীনীর হস্তক্ষেপের কারনে সুবিধাবঞ্চিত স্বার্থপর গোষ্ঠীই রুপগঞ্জ ঘটনার মূল কারিগর।আজকে এই ঘটনা নিয়ে অনেকে মহান ব্লগারই সেনাবাহিনীর গোষ্ঠী উদ্ধার করা নিয়ে ব্যস্ত! কিন্তু আজকেই যে পত্রিকায় এসেছে সেনাবাহিনীর ভূমিকাতে চট্টগ্রাম বন্দর স্বাভাবিক হয়ে আসছে, সেখানে শ্রমিকদের জন্য অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মান করা হয়েছে এটার কথা বলে না কেন এরা? যখন যমুনা সেতু রক্ষনাবেক্ষনে সরকার ব্যর্থ তখন কে সেটার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছে? বন্যায় যখন মানুষ দিশেহারা, রাজনিতীবিদেরা ব্যস্ত ছবি তোলা মার্কা রিলিফ দেয়াতে তখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কি করে তা এরা জানে না? যেখানেই নদী ভাঙ্গন, পাউবো ব্যর্থ ত্বরিৎ সমাধানে তখন কারা সে কাজ করে দেয়? এই সুশীল , সুবিধাবাদী দালালগুলো কথায় কথায় বলে সেনাবাহিনী নাকি বাংলাদেশে বিশাল সুবিধাবাদের জাল বিস্তার করেছে, এদেরকে বলছি পারলে প্রমানসহ দেখান। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী অন্য অনেক দেশের সেনাবাহিনীর চেয়ে অত্যন্ত কম সুবিধা পেয়ে থাকে আর খুব কম দুর্নীতির সাথে জড়িত। সেনাবাহিনীর সুবিধা দেখতে চান? তাহলে ভারত আর পাকিস্তান যান। সেনাবাহিনীর জন্য কি ব্যয় করা হয় যেনে আসুন। আরেক দল বলে সেনাশাসনের কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সেনাশাসনের সময় এদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য কি পরিমান সুবিধা এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে তার প্রমান দেন। সেনাশাসনে , শাসকদের অনেকেই নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন, কিন্তু পুরো সেনাবাহিনী কখনোই কোন অতিরিক্ত সুবিধা লাভ করে নি। সেনা শাসনে , সেনাবাহিনীর ভোগ বিলাসের মাত্রা কোথায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে তা দেখার জন্য মিয়ানমারের দিকে তাকান। শুধু সেনাবাহিনীকে চালানোর জন্য তারা পুরো দেশ শেষ করে দিচ্ছে। আর আমাদের বাজেটে ক্রমান্বয়ে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীর জন্য নূন্যতম বরাদ্দও বাড়ান হচ্ছে না। তবুও এই পন্ডিতদের গাত্রদাহের শেষ নেই। আসলেই তো, সেনাবাহিনী দিয়ে কি হবে! সেনাবাহিনীর টাকা দিয়ে এই বুদ্ধিজীবিদের পাললে দেশের কত লাভ হত! এরা বিদেশ সফর করত, গোলটেবিল বৈঠক করে দেশ উদ্ধার করত, একেক জন একেক দলের পক্ষে গলাবাজি করত।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যখন যে কোন বিপদের মুহুর্তে চ্যালেঞ্জিং এবং জীবন বাজী রাখার ভূমিকা নিতে হয় তখন এই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য আর অতি সাধারণ মানুষরাই এগিয়ে আসবে। আর এই নিকৃষ্ট সুশীল, বুদ্ধিজীবীদের দল বিদেশে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিবে।যেমনটা দেখেছি আমরা একাত্তরে। আমাদের সাধারণ মানুষ আর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের জীবন দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন। আর একদল সুশীল বুদ্ধিজীবী কলকাতায় বসে নীতিকথা আউড়েছেন। আরা যারা এই সুবিধাবাদীদের দলে যোগ দেন নি, তাঁরা দেশের মাটিতে শহীদ হয়েছেন।সেই কলকাতায় বসে ভারত সরাকারের অন্নে পালিত সুশীলগুলোই আবার স্বাধীন দেশে এসে নিজেদের আখের গোছানো শুরু করেছে এবং এখন তারা একটা উত্তর প্রজন্ম তৈরি করে ফেলেছে যারাও একই কাজ করে যাচ্ছে।সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, আমাদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা প্রচারনা চালায় , তাদের উদ্দেশ্য কি তা সবাই বি ডি আর বিদ্রোহের সময় দেখেছেন।এরপর একে একে এটাও আমরা সবাই দেখেছি, সেই শহীদ সেনা কর্মকর্তারা কতটা সৎ আর কর্তব্য পরায়ন ছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া হল বি ডি আর এর সিপাহীদের। দুর্নীতি বিশ্বের কোন দেশের সেনাবাহিনীতে নেই? কিন্তু আমাদের দেশে তা অনেক কম । তারপরও যারা বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলকে তাল বানাতে চায়, পুরো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, এমনকি সেনাবাহিনীর কি দরকার !এই কথা পর্যন্ত বলে তারা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী মীরজাফর ছাড়া কিছু না। এদের বিরুদ্ধে সবারই সচেতন হওয়া দরকার।


৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৬

আহমেদ রশীদ বলেছেন: ১। সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু লোকের নেতিবাচক ধারনা এতটাই প্রকট যে দুই একটি পোষ্ট দিয়ে তা ধূর করা সম্ভব নয়। কালকের ঘটনার পর সাংবাদিকদের প্রতি অামার শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। এরা অার যাই হোক নেমক হারাম নয়। দেশের বেশির ভাগ চালু পত্রিকা চলে ভূমি দস্যুদোর টাকায়। জমি অধিগ্রহন অার বেচা কেনার পার্থক্য সাংবাদিক রা বোঝেন না এমন নয়। কিন্তু কাল সারাদিনই এই কেনা বেচা টাকে তারা অধিগ্রহন বিসাবে প্রচার করলেন। কার স্বার্থে?

২। সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে গঠিত হয়নি যারা বলেন তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অারও খোজখবর নেয়া উচিৎ। ২৫ মার্চের ক্র্যাক ডাউনের পর পরই বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দেয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালি সেনাসদস্যদের প্রায় সকলেই । তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন অন্যান্যদের চেয়ে একটু অালাদা, কারন মুক্তি যুদ্ধে জড়িত হবার পর তাদের ফেবার পথ হয়ে যায় রুদ্ধ। ফাসির দড়ি মাথায় নিয়েই তারা যুদ্ধ যোগ দেয় এবং নেতৃত্ব দেয় সামনে থেকে। ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , হোটেল ইন্টার কনে বোমা ফাটিয়ে তারা যে প্রচারনা পেয়েছে তার চেয়ে অনেক ভয়ংকর অপারেশনের পরও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তত প্রচারণা পায়নি্। সে সময় এদেশ ৩০৬ জন সিএসপি অফিসার এবং প্রায় পনর হাজার পুলিশ কর্মরত ছিল, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। অথচ মুক্তি যুদ্ধে যোগদেয় স্বল্প সংখ্যক পুলিশ এবং মাত্র ৬ জন সিএসপি অফিসার। সেনাবাহিনীর বেলায় ঘটেছে ঠিক উল্টো। মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া প্রায় সকলেই মুক্তি যুদ্ধে যোগদেয়। দল ছুট এসব সিএসপি অফিসার, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং জনতার সমন্বয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১২ই জুলাই।

৩। সেনাবাহিনীর পেছনে বাজেটর কত অংশ খরচ হয় সেটা খঁুজে বের করা কঠিন কাজ নয়। তবে পৃথিবীর যে কয়টি সনাবাহিনী দেশের অর্থৈনতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে বাংলাদেম সেনাবাহিনী তাদের শীর্ষে।

৪। পৃথিবীর তাবৎ সেনাবাহিনীর প্রধান কাজ যুদ্ধের প্রস্তুতি। বিশ্বর এক তৃতীয়াংশ দেশ কোনদিন যুদ্ধ করেনি। তবে তারা সেনাবাহিনী উঠিয়ে দেয়নি। সেনাবাহিনী সম্পর্কে তাদের ধারনাও নেতিবাচক নয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। পার্বত্য চট্টগামে ৩০ বছর যুদ্ধ করেও এরা যুদ্ধ করেছে কিনা এই নিয়ে বাহাস হয়। অথচ সেনা বাহিনী না থাকলে পার্বত্য চট্টগাম এতিদন বাংলাদেশর অংশ থাকেতা কিনা নিশ্চত করে বলা যায়না।

অস্থির পৃথিবী, ধন্যবাদ


৩১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২০

স্বাধীন জামিল বলেছেন: আমি একটু কই...

আমি কিঞ্ছিত সৈরাচারি মনের, হিটলার টাইপ... আমার দেশের দরকার হিটলার টাইপ সেনাবাহিনি, যার একটা খারাপ দিক বাদ দিলেই প্রকৃস্ট নেতা বলা চলে... যা হোক আমি কিছু বিপক্ষে বলব সেনাবাহিনির...

১। আমার একটা কাজিন, নেভির কমোডর ছিলেন, ২য় ইন কমান্ড... বনানি নেভি হেড কোয়ার্টারে থাকতেন... রিটায়ার্ড করেছেন গত বছর... তার ২টা ছেলে... তা বাড়িতে গেলে আমি যা দেখি, তা হলো... একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি, রুম কত গুলা বলতে পারব না, ৩টা কাজের লোক, ২টা কেয়ার টেকার, ৩টা সরকারি গাড়ি...সেই বাসায় ঢুকলে আপনার বের হতে ইচ্ছা হবে না। আমি জানি না, আমাদের সরকারের কত কি আছে । দেশের মানুষ গরীব মনে হবে না ওদের বাসায় ঢুকলে।

২। র‌্যাংগস ভবন ভাঙ্গা হোলো, অবৈধ । ভাল কথা । কিন্তু আমার একটা পুরানো এয়ারপোর্ট কতটুকু জরুরী যে এমন একটা বিল্ডিং ভাংতে হবে যেখানে অনেক গুলা বড় বড় কোম্পানির অফিস আছে, আর এইসব কোম্পানি সরাসরি ট্যাক্স প্রাদান করতেছে । ঠিকাছে বিল্ডিং টা জরুরী ভাঙ্গা, ওখান থেকে রাস্তা হবে, এখন বলেন যারা ওই বিজয় স্বরনী রোড টা ব্যবহার করেন, তারা কতটুকু উপকার পাচ্ছেন। জ্যাম এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ঐ খানে সেনাবাহিনি বসাতে হয়েছে রাস্তা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই গুলা হচ্ছে আমাদের দেশের সরকার এবং তদকালীন সেনাবাহিনির উর্বর মস্তিষ্কের ফসল। প্লান আগেই করতে হবে, কি হতে পারে এবং কি না হতে পারে। তাও যদি রাস্তা টা অরজিনাল প্লান এ করতে পারত। আকাবাকা রাস্তা গুলা করা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধিন বাড়ি গুলা ভেঙ্গে কিন্তু ঐ স্থানে রাজুকের প্লান এ পরা অবৈধ সরকারি বিল্ডিং গুলাকে বাচিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। সেনাবাহিনি সরকার কি করতে পারে তাদের মগজ দিয়ে উপর্জপরি বলতে হয় অসৎ উদ্দেশ্যে। একটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে, হিসাব করতে হবে আমার SWOT. ব্যাবসায়ী দের বিরক্ত করে যে একটা গরীব দেশ উন্নতি করতে পারে না, তা তো দেখতেই পারেন। আর সব সমস্যার ই বিকল্প সমাধান থাকে। ভাঙ্গা ই সব সমস্যার সমাধান না, গড়তে হবে গরীব দেশের উন্নতি তে।

৩। গত বি.এন.পি এর সময় এ.আই.ইউ.বি এর মিজান নাম এ একটা ছেলে কে র‌্যাব ধরে মারছিল এক রাতে এবং সে তার ২দিন পর মারা যায়। পরে জানা যায় যে তারা যে সন্ত্রাসী মিজান কে খুজতেছিল এই মিজান আসলে সে না । কি আর করা, বাংলাদেশে মাফ চাইলে তো আর কিছু বাকি থাকে না ।

৪। ঢা বি তে যে ঘটনা না টা ঘটিয়েছিল ছাত্র এবং সেনাবাহিনি সেখানে তো সেনাবাহিনি নায়ক বেশে ফিরেছিল, তা সবার মনে আছে । কিন্তু আমি মনে করি এই ঘটানার পুর্ব কিছু নিদর্শন ই বলে দেয় ছাত্র রা কতো বিরক্ত ছিল। প্রথম কথা, ঢাবি তে রাজনিতি আছে, থাকবে। সেটা সুস্থ হোক তা সবার ই কাম্য কারন বাংলাদেশ স্বাধিনতার সব গুলা ক্ষেত্রেই ঢাবি এর অবদান না মানার মত নয়, সেখানে সেনাবাহিনি ক্ষমতা নেয়ার পরি সেনা মোতায়েন করা হলো যাতে কোনও অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে । কিন্তু আপনার কি মনে হয়, ঢাবি এর সবাই সন্ত্রাসি ? কাউকে সন্দেহ হলেই তুই তোকারি করা হতো । যাহক বুঝলাম এ রকম ই তাদের ব্যবহার, কিন্তু একটা কথা কি, এই রকম স্থানে ছাত্র দের সাথে খারাপ ব্যাবহার করার পরিনতি কি তা তো মানুষ দেখছেই। ছাত্র ছাত্রি দের যখন ২ঘন্টার মধ্যে হল ছাড়তে বলা হলো, এদিকে পুরা ঢাকা তে কারফিউ, গাড়ি বন্ধ, আমি জানি না কিভাবে একটা মেয়ের পক্ষে তার বাড়ীতে ফিরে যাওয়া সম্ভব, সেনাবাহিনি ই বলতে পারবে। মানুষ বিরক্ত হলে কি ঘটতে পারে তাই ঐ সময় ই বুঝতে পারা গেছে, আর আমাদের সেনা বাহিনি কতোটুকু কার্যকর সমাস্যা সমাধানে তা আমরা ছাত্র রা বুঝছি । আপনাদের ও বোঝার কথা।

৫। আমাদের বি-ডি-আর বিদ্রোহ, আমি জানি না একটা গ্রুপ সমস্যা সমাধানে কতো ধংসাত্মক হতে পারে। নিজেরাই নিজেদের ধংস করে। নিজেরা এতোটাই বিদ্রোহি, যা নিজদের বস দের খুন করতে পারে, তাদের স্ত্রি দের ধর্ষন করতে পারে। তাইলে যারা ধর্ষন করে তাদের পরিবার পরিজন অথবা আত্মীয় স্বজন কতোটুকু নিরাপদ থাকতে পারে । '৭১ এ না হয় পাকি রা ধর্ষন চালিয়েছিল, তাদের ঘ্রিনা করতে পারি, গালি দিতে পারি, কিন্তু নিজেরা যখন নিজেদের ধর্ষন করে তখন কাকে ঘৃনা করবেন, কাদের গালি দিবেন, কার কাছে বিচার দিবেন।

৬। প্রতি নিয়তো যে বর্ডার এরিয়া তে বাংলাদেশী সাধারন মানুষ মারা যাচ্ছে, আমাদের এত নাম করা সেনা বাহিনি কি করে? ভারতীয় রা এসে আমাদের এলাকা থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়, কেউ কিছু বলে না। আর আমাদের বাচ্চা রা তাদের এলাকাতে গেলেই কোর্টে চালান দিয়ে দেয়। আমরা হা করে আমাদের বিখ্যাত সেনাবাহিনির দিকে তাকিয়ে থাকি আর রাস্তা দিয়ে গাড়ি দিয়ে যেতে থাকলে আমরা রাস্তা ছেড়ে দেই, নইলে তো গালি শুনব।

আপাততো এই টুকুই থাক। ধন্যবাদ।

৩২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: স্বাধীন জামিল ভাই র‍্যাব সদস্য মানেই সেনাবাহিনীর সদস্য এই ধারনাটা আপনি কোথায় পেলেন? র‍্যাবে সেনাবাহিনী ছাড়াও বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, আনসার থেকেও তো সদস্য যায়। যাই হোক যে র‍্যাব সদস্য নিরপরাধ মিজানকে খুন করেছিল সে কোন বাহিনী থেকে এসেছিল? একটু যদি ডিটেইল বলতেন।

৩৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩০

টেকি মামুন বলেছেন: আপনার প্রতিটি কথার সাথে আমি একমত ।অকারণেই সেনাবাহীনিকে দোষারোপ করা হয় ।এই করছে সেই করছে ।

৩৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩৪

টেকি মামুন বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম ।সেনাবাহীনিতে আমার কেউ চাকরি করেনা কিন্তু সেনাবাহিনীকে আমার অণেক ভালো লাগে ।

৩৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪০

বাংলার পোলা বলেছেন: @লেখক: কল্পনা চাকমা হত্যাকান্ড মিথ্যা বলতে চান?

আসলে আর্মিকে ঘাটানোর সাহস কারো নেই.....এই জন্যেই সেনাবাহিনীর কোনো দুর্নীতি নিয়ে কোনো পত্রিকা তদন্ত পর্জন্ত করেনা.......

আর তাদের জা শানশওকাত ;) ;) ;) ;)
কয়টাকা বেতন থেকে জে ঢাকা শহরে বাড়ি গাড়ি.......বিবিদের তো মাশাল্লাহ.....কারোর ই ৫০-৬০ ভরির নিচে সোনা দানা নেই X( X( X( X( X( X(
(ডিজি র বউ র কত গয়না ছিলো......ভুলিনাই এখনো)

কোত্থেকে জে পায় সোনার সত্ ছেলেরা X(( X(( X(( X(( X((



৩৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৭

েকউ একজন বলেছেন: কে বলেছে সেনারা সবসময় শহরেই থাকে?
আমি কিন্তু বলিনি সেনা রা সবসময় শহরে থাকে.......।
আমি বলেছি শহরে থাকতে চায় কেন?????????
আর ভাই, আপনি কি আমার লিন্ক টা পড়েছেন???????????
এর পর ও কি বলবেন আর্মি ব্যবসা করেনা???????
বিশ্বের আর কোনো দেশে আর্মির আটা ময়দা ৫ তারা হোটেল এর ব্যবসা আছে কিনা আমার জানা নেই..................

"আশাকরি আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের মত আচরণ করবে না। কারন এরকম সুযোগ কিন্তু এসেছিল কিন্তু সেনাবাহিনী নেয় নি। আশাকরি সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও যে কোন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই থাকবে।"

আমিও আশা করি..........।
কিন্তু এরকম সুযোগ সেনাবাহিনী নেয়নি এই কথাটা মানতে পারছিনা...........
একটু পেছনে ফিরে তাকাই..............তাহলেই হবে।


আপনি বলেছেন অফিসারদের নিজ খরচে খেতে হয়.........।
একটা উদাহরণ দেই.........
অফিসারদের জন্য দুধের লিটার ৮টাকা.........
আর কিছু বলার আছে?????????

আপনি বলেছেন সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের মাত্র ৫% সামরিক সরন্জামাদি কেনা কাটায় খরচ হয়।


তাহলে ৯৫% তাদের অন্য কাজে খরচ হয়..........
একটা কথা বলা হয় ডিফেন্স এ সরকারের বাজেট সবচেয়ে বেশি থাকে...............
যদিও খালি চোখে সেটা এডুকেশন এ................
কিন্তু আমার জানা মতে সাস্থ্য এডুকেশন খাতে বরাদ্দ টাকা এর অনেকটুকুই ডিফেন্স এর সাস্থ্য এডুকেশন খাতে যায়..........

এটা আমার শোনা কথা আগেই বলে নেই.............

আমি দেখছি ৩ সন্তান এর পরিবার যাদের বাবা একজন নায়েক তিনি পর্যন্ত নিজেরা খাওয়ার পর বাজারে বিক্রি করার মত বেচে যেত...........।
অফিসার দের কথা বাদই দিলাম........।

প্রতিবেশি দেশ গুলো যুদ্ধের ঝুকিতে...........
তাদের শো করার ব্যপার আছে...............।
আমাদের ব্যপার টা কিন্তু তা না...............

একটা কথা এখানে দেখতে হবে............
বাংলাদেশ এর কলন্ক জনক অধ্যায় গুলোতে কিন্তু আর্মি কোন না কোন ভাবে জড়িত.............।


ঢাবি এর ঘটনার দিন রাতে আজিজ মার্কেটে কি হয়েছিল.......।
বাস স্ট্যান্ড গুলোতে আর্মি কি করেছিল তা ভুক্ত ভোগি মাত্রই জানে.....
এসব ব্যপার মিডিয়া তে আসেনি............

বাংলাদেশ এর তুলনায় আর্মি অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে..........

সমস্যা টা এখানে...............

লিন্ক টা আর একবার পড়েন প্লিজ........।
Click This Link

আর্মি কেন সাধারন মানুষ এর মাঝে আসবে??????????
তারা থাকবে ব্যরাক এ................
সমস্যা টা শুধু আর্মি এর তা বলবনা.................

সমস্যা টা সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন এর ও বটে.........


"আমার একটা কাজিন, নেভির কমোডর ছিলেন, ২য় ইন কমান্ড... বনানি নেভি হেড কোয়ার্টারে থাকতেন... রিটায়ার্ড করেছেন গত বছর... তার ২টা ছেলে... তা বাড়িতে গেলে আমি যা দেখি, তা হলো... একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি, রুম কত গুলা বলতে পারব না, ৩টা কাজের লোক, ২টা কেয়ার টেকার, ৩টা সরকারি গাড়ি...সেই বাসায় ঢুকলে আপনার বের হতে ইচ্ছা হবে না। আমি জানি না, আমাদের সরকারের কত কি আছে । দেশের মানুষ গরীব মনে হবে না ওদের বাসায় ঢুকলে।"

স্বাধীন জামিল এর এই কথা মিথ্যা না............।


শিপু ভাই এর কথা দিয়ে ই শেষ করি........
"সেনা বাহিনী আমাদের সম্পদ। এখানে বাংলাদেশের নাগরিকরাই চাকরি করে। তারা আমাদেরই সন্তান। কোন ধরনের বিভেদ- বিভাজন কাম্য নয়। ভাল মন্দ সব খানেই আছে।"

৩৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:১৫

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: সবাই সব কিছু বলে ফেলছে, আমি একটু কইতে চাই-
কচুক্ষেত ক্যান্টনমেন্ট টা কি ঢাকার ভিতরে রাখার খুব দরকার ছিল? মানলাম এইটা অনেক আগে হইসে, তখন বুঝা যায় নাই যে ঢাকা এত বড় হবে। ইচ্ছে করলে এইটা এখনও সরানো যায়। কারন এইস্থানে এইরকম রেস্ট্রিকটেড এরিয়া করাটাই অনুচিত। রেস্ট্রিক্টেড বলার কিছু কারন আছে। যারা কচুক্ষেত থাকেন তারা বলতে পারবেন। সাধারন মানুষকে তারা মানুষ মনে করে না। যখন যা ইচ্ছা বলতে পারে, আপনি কিচ্ছু বলতে পারবেন না, আপনার গাড়ী যখন তখন ঘুরিয়ে দিতে পারে, আপনি কিচ্ছু বলতে পারবেন না। "শুয়োরের বাচ্চা, বাস থেইকা নাম, তারপরে তরে বানাইতেসি" বলতে পারে, আপনি কিচ্ছু বলতে পারবেন না। খালি ভাব দেখতে হইব।

আমার টাকায় খায়া পইরা আমার সাথে এত ভাব লইলে আমার ভালো না-ই লাগতে পারে, এতে দোষের কিছু দেখি না।

আরেকটা কথা আছে, অনেকে এমন ভাব করতেছে, যেন আর্মি বিনা পয়সায় আমাদের উপকার করতেসে! এইটা তাদের চাকরী। দায়িত্ব পালন করব, টাকা নিব, সিম্পল বিষয়। যার যার জব এর রেস্পনসিবিলিটি তাকেই পালন করতে হবে। চাকরী কইরা টাকা নিয়া, বারে বইসা বিলাতী মদ খায়া এত মহান সাজার চেষ্টা না করাই মনে হয় ভালো।

বাংলাদেশের আর্মি হইল মেরুদন্ডহীন। সামরিক অভ্যুথান করতে দুইদিন পরেই আম্রিকা লাত্থায়া নামায়া দিব, এই চিন্তায় অভ্যুত্থান করে না। তা না হইলে কবে এরা ক্ষমতা নিয়া নিত। আর ক্ষমতা পাইলে এরাও চুরি করতে ছাড়ে না। ট্রাষ্ট ব্যাঙ্ক এর শেয়ার এর দাম বাড়ার কথা মনে হয় মানুষ এখনও ভুলে নাই।

যাউজ্ঞা, যা কইলাম, পুরাটাই আমার ব্যক্তিগত মতামত!

৩৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৭

েকউ একজন বলেছেন: সবচেয়ে মজার কথাটাই বলিনাই................
বাংলাদেশ আর্মি এর ট্রাষ্ট ব্যাঙ্ক সিকিউরিটিজ ও আছে................।
world এর আর কোথাও এটা বললে আমার মনে হয় তারা হাসতে হাসতে মারা যাবে....................
আর একটা কথা
এগুলো সব আমারও ব্যক্তিগত মতামত.............।

৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৪

শয়তান বলেছেন: প্রাইভেট ডিওএইএস এর পারমিশন দেয়াটা সরকারের উচিৎ হয়নি । সামনে আরও ঝামেলা হবে । সবে শুরু হলো ।

৪০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪২

এক্স বলেছেন: নিজের হাত পার সাথে যেমন বিরোধ করা যায় না তেমনিই কোন দেশের জনগনেরও উচিত নয় তার সেনাবাহিনীর প্রতি ঘৃণা বা বিরোধ রাখা.

আমার হরিনের গল্প মনে পড়ছে, যে পানিতে নিজের সুন্দর সিং দেখে গর্বিত হয়ে উঠেছিল তারপর নিজের কুতসিত পা দেখে বিরক্ত হয়. কিন্তু শেষে কিন্তু সেই পাই তাকে রক্ষা করেছিল শেষ পর্যন্ত আর কাল হয়েছিল তার সেই সুন্দর সিং জোড়া..

সেনারা হচ্ছে আমাদের রক্ষাকারী সাহায্যকারী শক্তি, তাদেরকে উপেক্ষা করে কিছু সম্পদ বাঁচলেও সেই সম্পদের দখল রাখা ও নিজের জান বাঁচানোর কোন গ্যারান্টি আর থাকবে না. বিশ্বের প্রধান সারির দেশগুলির সেনা কর্মকর্তাদের জন্য বড় ব়ড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে. এটা তাদের দেশকে দেয়া সার্ভিসের একটা প্রতিদান. কিন্তু আমরাই এমন অকৃতজ্ঞ জাতি যে সবচেয়ে রিস্কে থেকে কষ্ট স্বীকারকারী সেনাবাহিনীকে পুরস্কৃত করার বদলে অবজ্ঞা করি.

৪১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫০

েকউ একজন বলেছেন: এক্স বলেছেন
বিশ্বের প্রধান সারির দেশগুলির সেনা কর্মকর্তাদের জন্য বড় ব়ড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে.
"বিশ্বের প্রধান সারির দেশগুলির"
dont mind..............
একটু জাস্ট highlight করলাম সবার বোঝার জন্যে......।

৪২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫৬

এক্স বলেছেন: @কেউ একজন -

*প্রথম সারি হবে ...
টাইপো তো মানুষ নিজেই ঠিক করে বুঝে নেয় তো আপনার কমেন্ট করে হাইলাইট করার ইচ্ছা হল কেন?

৪৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৭

েকউ একজন বলেছেন: এ কারণেই হাইলাইট করলাম কারন বাংলাদেশ বিশ্বের প্রধান অথবা প্রথম সারির দেশগুলির একটি না .............।
এ কারনেই ইচেছ হলো,,,,,,,,,,,,,,,,, :-<

৪৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৯

এক্স বলেছেন: @কেউ একজন - আশা করি বুঝতে পারসেন বাংলাদেশ কেন বিশ্বের প্রথম সারির দেশ না.

৪৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১০

শয়তান বলেছেন: স্বাধীন জামিল রে জাঝা ।

৪৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৭

েকউ একজন বলেছেন: এক্স ভাই আপনি কি বোঝাতে চান ক্লিয়ার করেন.............।

৪৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৫২

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: এই দেশটা বড়ই দুর্ভাগা। দেশের কাছ থেকে সব সুবিধা নিয়েও এদেশেরই কিছু মানুষ নিজেদের "সুশীল" প্রমান করতে দেশের বিরোধিতা করতেও পিছপা হন না। একদল ব্লগারকে দেখি কিছু হলেই, সেনাবাহিনীর সাথে জড়িয়ে খালি কল্পনা চাকমা কল্পনা চাকমা করে চিৎকার করে।কিন্তু যখন শান্তি বাহিনী নিরীহ বাঙ্গালি কাঠুরেদের হাত পা বেধে পিটিয়ে মারে তখন এরা চুপ, রাতের আঁধারে মা মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষন করে তখন চুপ, শান্তিবাহিনী যখন বাঙ্গালিদের ঘর পুড়িয়ে দেয় তখন চুপ। এরা এটা দেখেও না দেখার ভান করে যে, সেনাবাহিনীর কারনেই শান্তিবাহিনী আর পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দাপট কমে যায়, পাহাড়ে শান্তি বিরাজ করে। কয়েকদিন আগে পাহড়ে কিছু সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করার পর , অবস্থার যে চরম অবনতি ঘটিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তা এরা পত্রিকায় দেখে নি?আসলে এইসব "সুশীল" দের এটা সহ্য হয় না যে, সেনাবাহিনী পাহাড়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখুক, আমাদের অখন্ডতা রক্ষা করুক।তাইতো বিভ্রান্তিকর কল্পনা চাকমা ঘটনার ভাঙ্গা রেকর্ড বার বার বাজায়। কিন্তু এই প্রশ্ন করে না, শান্তিবাহিনী কেন সেখানে এই তান্ডব চালায়, কোথা থেকে তারা অস্ত্র পায়,প্রশিক্ষণ পায়, কেন শত শত নিরীহ বাঙ্গালী তাদের হাতে মরে শুধু "বাঙ্গাল( সামুর এক ব্লগারও বাঙ্গালিদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে এমন লেখেন)"হওয়ার অপরাধে।এরা আবার নামে বেনামে সংঘটন ও বানায় এই সন্ত্রাসীদের পক্ষে মায়া কান্না কাঁদতে। কিন্তু সব দোষ সেনাবাহিনীর! হবেই তো, কেন না, সেনাবাহিনী তো আর এদের মত দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে না, এতে যে এদের অসুবিধা হচ্ছে!

৪৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:০৬

েকউ একজন বলেছেন: নাহিয়ান ভাই এর মাঝের কথা গুলো এর সাথে পুরোপুরি একমত.......
পাহাড়ে সেনা এর অবদান অসাধারন..............
সেনা এর দায়িত্ব পালন নিয়ে খুব বেশি অভিযোগ তোলার নেই.......
সমস্যা টা হল সেনারা দায়িত্ব পালন এর বাইরেও আর ও অনেক কিছু করতে চায়.................
যেটা রাষ্ট্র এর জন্য কাম্য নয়...........।
আমি আবার ও বলছি এতে সিভিল প্রশাসন এর ব্যর্থতাও কম নয়........

৪৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: মোসাব্বির বলেছেন:
যদি একটু হিসাব দিতেন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের কত অংশ সেনাবাহিনীর পেছনে যায় এবং আমাদের মত গরীব দেশের জন্য তা কতটা যৌক্তিক তাহলে ধারনা আরো পরিষ্কার হতো।



কতটা যৌক্তিক ভাবার আগে ভাবতে , এটা রাখা ততটাই যৌক্তিক ।



সিকিম থেকে যাদের শিক্ষা হয়না , তাদের শিক্ষিত বলা যায়না

৫০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০২

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: নাহিয়ান বিন হোসেন ভাই , এরা হইলো ভাকু বলে লাভ নাই

৫১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৫

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: সেনাবাহিনির মুল সমস্যা তারা সবসময় জনবিচ্ছিন্ন !! থাকে ক্যান্টমেন্টে, রিটার্ড করার পর ডিওএইচএস-এ আর মরার পরার পর বনানী---------------- এমনকি বিয়েও করে সেনাকু---

সেনাবাহিনি দেশ সেবা করে কিন্তু বিনিময়ে কি পরিমান নেয় তার হিসাব কি আপনার জানা আছে !!! একজন অফিসার পুষতে সরকারের কি পরিমান খরচ আপনি জানেন ???

পুলিশ আর আর্মির ছাড়া আর কারো হাউজিং নাই এই তথ্যও আপনি জানেন না। সরকারের অন্য যে হাউজিং গুলা আছে সে গুলা সবার জন্য উন্মুক্ত। রাজউকের পূর্বাচল আর উত্তরা প্রকল্পে কত জন আর্মি অফিসারের প্লট আছে সে তথ্যও আপনার নেই। আপনি এটাও কি জানেন ঢাকায় যাদের জমি আছে তারা রাজউকের প্লটের জন্য আবেদন করতে পারবে না কিন্তু আর্মি তার প্রভাব খাটিয়ে ঠিকই ডিওএইচএস-এ প্লট থাকা সত্ত্বেও রাজউকের প্লট নিয়েছে। আসলে আমাদের আর্মি মানে ভুমি খোর ---

ভাই, কুমিল্লা / চিটাগাং কিংবা বেড়িবাধ এলাকায় গেলে একটু চোখ খোলা রাইখেন, দেখবে শুধু সাইন বোর্ড আর সাইন বোর্ড-- এই জমির মালিক ওমুক মেজর, এটার মালিক -- তমুক কর্নেল----............ একজন মেজর জেনারেল বেতন পায় কত ধারনা আছে.............. ৪০,০০০/- টাকার স্কেলে সর্ব্বোচ্চ ৬০,০০০/- তার বউ পোলাপান পুষতে খরচ কত হিসাব আছে !!! এদের লাইফ স্টাইল দেখলেই বুঝবেন !!! বাকিটা কই থেকে আসে !!!

আর্মিদের কোন ধরনের অডিট মানে আয় ব্যয়ের হিসাব হয় না অন্য কোন তরফ হতে। তাদের কেনা কাটায় সরকারের প্রচলিত আইন মানা হয় না আর নিজেদের কোন আইন ও নাই ............. আহা কি চমৎকার............ বছর খানেক সাপ্লাই কোরে থাকলেই ....................



আর্মিদের নিজেদের জন্য প্রতির া বাজেটে আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয় যা আমাদের কাছে খুব একটা বেশি মনে হয় না। এর বাইরে শিক্ষা, চিকিৎসা, ক্রিড়া ও অন্যান্য খাত থেকে যে অর্থ আর্মির নামে বরাদ্দ সেটাও মুল বরাদ্দের কম না।

এগুলা কোন সমস্যা না । কারন দুর্নির্তি স্বজন প্রীতি সব আমলাদের মত আর্মিতে আছে। সমস্যা যেটা সেটা হলো তারা বারবার আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাতে চায়............... জিয়া, এরশাদ, মইন তার নমুনা।

ছড়ি ঘোরাক সেটা কোন সমস্যা না কিন্ত যখন দেহি যে কারনে তুমি ছড়ি হাতে নিছ সেটা তোমার মধ্যেও প্রকট তখন তো আমরা সহ্য করতে পারি না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২১

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: "থাকে ক্যান্টমেন্টে, রিটার্ড করার পর ডিওএইচএস-এ আর মরার পরার পর বনানী---------------- এমনকি বিয়েও করে সেনাকু---"
তা ভাই আপনি কি বলবেন, তারা কোথায় থাকবে? আর সব সেনাকর্মকর্তাই কি বিয়ে করে সেনাকুন্জে বা মরার পর বনানী থাকে? ডি ও এইচ এস-এ কয়জন অফিসার থাকে? আর আপনার মনে হয় জানা নেই সেখানে অন্যান্য বাহিনীর অফিসাররাও থাকেন।সরকারের খরচের কথা বলছেন? আপনি জানার কমতি আছে জন্যেই এধরনের কথা বলছেন। একজন অফিসারকে পুষতে সরকারের যে টাকা লাগে সেটা কোনভাবেই অন্যকোন সরকারি অফিসার এর থেকে বেশি নয়।প্রশিক্ষণ এর কথা আলাদা কারন আপনারা যদি আপনাদের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণহীন রাখতে চান সেটা আপনাদের ইচ্ছা।
সেনা অফিসারদের কি জমি কেনা নিষেধ? তাদের পরিবারের কি কোন ভবিষ্যত নেই?
যারা ডি ও এইচ এ জমি পেয়েছেন তারা রাজউকে প্লটের জন্য আবেদন করতে পারেন নি এবং করেন নি। আর এবার এই হাউজিং প্রজেক্টেও এমন নিয়ম ছিল যে যারা আগে কখনো জমি পেয়েছেন তারা আবেদন করতে পারবেন না।
আমার পরিচিত এক লেফট্যানেন্ট এর গাড়ি আছে তার বেতন কত জানেন? সর্বসাকুল্যে ১৭০০০ টাকা। এখন আপনারা যারা জানেন না তারাই প্রশ্ন তুলবেন কিন্তু আমি জানি এই গাড়িটা তার নিজের টাকায় কেনা না, তার বাবা কিনে দিয়েছেন। আর যারা বৈদেশিক মিশনের টাকা ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে তারাই অবস্থা সম্পন্ন হয়।
শিক্ষা ক্ষাতে বরাদ্দ থাকতে পারে কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট এর স্কুল কলেজে যে কেউ পড়তে পারে। অন্যান্য ক্ষাতে সেনাবাহিনীর জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ থাকে না।
সেনাশাসনের পক্ষে আমি সাফাই গাইবো না কারন আমিও সেটা পছন্দ করি না কিন্তু আপনি যে মইন এর কথা বললেন, আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই সেদিন এমন পরিস্থিতি ছিল তিনি চাইলে সেনাশাসন দিতে পারতেন তা কিন্তু তিনি করেন নি। তার দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন। সেনাশাসন শেষ হয়েছে বিশ বছর হতে চলল এখনও সেই একই অজুহাতে সেনাবাহিনীর প্রতি ঘৃনা পুষে রাখা মোটেও যৌক্তিক নয়। যেখানে দেশের সার্বিক উন্নতিতে নির্বাচিত সরকারগুলোও খুব একটা সফল নয়।

৫২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৮

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সেনাবাহিনীর জন্ম।......................নয়!!!!!!!!!!!!

পাকিস্তান সেনা বাহিনী উত্তরসূরী হিসাবে বাংলাদেশ সেনাবহিনীর জন্ম।


বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উত্তরাধিকার মাত্র।কেউ বলতে পারবেন না যে , মুক্তিযুদ্ধ উত্তর কালে বাংলাদশে সেনাবাহিনী তার আভ্যন্তরীণ সাংস্কৃতিতে কোন পরবির্তনের প্রয়াস চালিয়েছে।শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্ধা অমুক্তিযোদ্ধা বিবেচনা বিভাজন প্রয়াস চলেছে।

প্রথম কি পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কিছু অবাধ্য সন্তান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রক্তের উত্তরসুরীতা বা কৌলিণ্যের অস্বীকার করার প্রয়াস চালিয়েছিল .............যার নির্মম পরিনতি ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে।

৫৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪২

জেনারেশন৭৫ বলেছেন: প্রতিটি লাইনের সাথেই একমত.......বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ চক্রান্তের স্বিকার। বিডি আর বিদ্রোহের মত সেনাবাহীনির বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের স্বরযন্ত্র উড়ে দেয়া যায় না.....

লেখকের সুরেই বলছি..... মনে রাখবেন......এটা আমাদের-ই সেনাবাহিনী, দেশের প্রয়োজনে তারা কখনো কোথাও যেতে পিছপা হয়নি, আশাকরি ভবিষ্যতেও হবে না। আমাদের মনে রাখা উচিত দেশে যদি কখনো যুদ্ধ হয় তাহলে এই লোকগুলোই কিন্তু সবার আগে এগিয়ে যাবে, এই দেশ, দেশের জনগন তাদের সাধ্যানুযায়ী যা দিয়েছে তাই নিয়ে........

৫৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৭

রোহান বলেছেন: পোষ্টে যেসব আবেগ আপ্লুত কথাবার্তা আছে তার প্রায় সবটাই সেনাবাহিনীর নিচের দিকটার জন্য, উপরের দিকের যেসব কর্মকর্তা আছেন কিংবা ছিলেন তাদের সাথে আসলে বিষয়গুলো যায় না। কিন্তু তাই বলে তাদের বাদ দিয়ে আপনি প্রতিষ্ঠানটাকে দেখাতে পারবেন না। ভাই দেখেন বাংলাদেশের ইতিহাসের যতগুলো কালো ছোপ তার পিছে জলপাই রংটা কতটা প্রকট... রাজনীতির পরাজয়ের সুযোগ দেখিয়ে ৭৫ এ নারকীয় গনহত্যার মাধ্যমে যার প্রবেশ, তাকে সরিয়ে আবার নভেম্বরে জলপাই উত্থান, আবার রক্তপাত, আবার আরেকটি জলপাই বিপ্লব... তারপর ফাঁষি আর গুপ্তহ্ত্যার সুদীর্ঘ ইতিহাস পেরিয়ে আরেকটি জলপাই বিপ্লব... অসফল বিপ্লবের পরে আবারো আরেকটি রক্তপাত, কোর্ট মার্শাল এবং আরেকজন উর্দিধারীর উত্থান... তারপর আবারো গনতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ, রক্তপাত, অভ্যুত্থান...মাঝে অনেকগুলো সময় তারপর আবার ওয়ান ইলেভেন...

এই যে বিডিআর নিয়ে এতো কথা, একটা মজার জিনিস দেখেন এই পিলখানার ঘটনা ঠেকানোর সম্ভাবনা যাদের ছিলো সেই ডিজিএফআই, এনএসআই, নানা সেনা-বিডিআর গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব - সবখানেই কিন্তু বর্তমান কিংবা সাবেক সেনা সদস্যে ভরপুর... দেশের শীর্ষ দুটো দলের মেইন থিংক ট্যাংকে সাবেক সেনাসদস্যের কি কমতি আছে? চারপাশের নানা কমিশন, নানা অধিদপ্তরের প্রধান পদ গুলোতে সেনাসদস্যে ভর্তি....শুধু এক প্রধানমন্ত্রী আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি কিংবা আরেকটা দেশের প্রতি আংগুল তুললেই দায়মুক্তি সম্ভব? নিজেদের মধ্যে পঁচন না ঘটলে কি আর নিজেদের মাঝের লোকজনরাই চোখকান বুঁজে থাকে বলেন?

পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাদের যা যা ভালো সেইটা সত্য আর যা যা খারাপ সেইটা অপপ্রচার এমন একতরফা কথা বলা ঠিক না, অপপ্রচার থাকতেই পারে তাই বলে কোনো এক পক্ষ ধোঁয়া তুলশী পাতা হয় কি?

ভাই আপনার সাথে দ্বিমত নাই - এটা আমাদের-ই সেনাবাহিনী, দেশের প্রয়োজনে তারা কখনো কোথাও যেতে পিছপা হয়নি, আশাকরি ভবিষ্যতেও হবে না। কিন্তু তাই বলে এর নিজের ইমেজ ধ্বংস করার পিছনে এর নিজের অবদান সবচেয়ে বেশী সেইটাও অস্বীকার করতে পারবেন না। আপনি যদি এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেউ হয়ে থাকেন তাইলে নিজেদের মাঝে সচেতনতা তৈরীর চেষ্টা করেন। সবকিছু রাজনৈতিক নেতাদের দোষ, সব কিছু পাশের দেশের ষড়যন্ত্র এই জুজু আঁকড়ে ধরে বসে থেকে নিজেদের মাথার পঁচন দেখেও না দেখার ফলাফল ভালো হয় কি? আপনিই বলেন রুপগন্জে রাজউকের এলাকার ভিতরে আর্মি অফিসারদের থাকার আবাসন বানানোর জন্য আর্মি ক্যাম্প বসিয়ে জমি অধিগ্রহনে কি কোনো বুদ্ধির ছিঁটে ফোঁটাও আছে? আপনি গিয়েছেন কখনো ঐ জায়গায়? আপনি জানেন ঐটা এখন টাইম বোমা, শয়ে শয়ে ভূমিদস্যুর দল ঐ এলাকার মানুষের উপর কি পরিমান ভীতি সঞ্চার করে রাখছে? মানুষের জীবন কি পরিমাণে অতিষ্ট? এমনিতেই দালাল আর রাজনৈতিক নেতারা দিন রাত প্রেশারে রেখেছে তার উপর আপনি ক্যাম্প বানিয়ে বন্দুক হাতে উর্দিধারী পোষাকে লোকজনকে টহল করিয়ে একটা ইনডাইরেক্ট সেল প্রেশার তৈরী করলেন এইটা কি খুব বিচক্ষনের মতো একটা কাজ হলো? দেখেন এখন এইটা নিয়ে রাজনৈতিক কাঁদা ছুঁড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেলো, আপনারা আবার হয়তো পিএম এর কাছে গিয়ে কাঁদবেন রাজনৈতিক নেতারা আমাদের নিয়োগ নিয়ে খেলে, এলাকার লোকদের আমাদের মুখোমুখি করে দেয়... বলেন তো সেনাবাহীনির নিজস্ব কোনো বুদ্ধি নাই? সিভিল প্রশাসন নিয়েও তো রাজনৈতিক নেতারা কতো খেলাধূলার চেষ্টা করে, কই তারা তো সবসময় এমন নির্বোধ আচরণ করে না? দশজন উচ্চ র‌্যাংকের কর্মকর্তার দূর্নীতি পুরা ইন্সটিটিউটকে আহত করে না এমনটা বলে পার পাবার উপায় আছে, সহস্র জুনিয়র অফিসার আর সোলজারদের রক্ত পানি করা পরিশ্রমের সুনাম যারা নষ্ট করে দেয় তারা তো সেই ইন্সটিটিউটেরই মেইন থিংক ট্যাংক...

৫৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৩

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: আমি লক্ষ্য করেছি ভাদারা বাই ডিফল্ট আর্মি বিরোধী থাকে।

৫৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৪

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: আসেন সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামি, ওদের কে বিলোপ করার জন্য সংসদে বিল আনি, এতই যদি আমাদের গাত্রদাহ... দেশে ডিফেন্স সার্ভিস রাখা নিয়ে, ওদের লাইফস্টাইল নিয়ে, ওদের জমিজমা আর বৌ বাচ্চা নিয়ে, পথে ঘাটে যেখানেই পাই আসেন ওদের দিয়ে নাস্তা করি....

কয়টা চাকুরি আছে দেশে বলতে পারেন? যেখানে শপথ করানো হয় দেশের জন্য জীবন দেয়ার ??

একজন মেজর জেনারেল, সিভিল সার্ভিসের একজন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার......তার যদি ২৫ বছরের চাকুরী শেষে ১ টা বাড়ি থাকে তাতেও দোষ ? অন্য ডিপার্টমেন্টের দিকে তাকান তো ? সরকারী কর্মকর্তারা যেসব সুযোগ সুবিধা পান...তার চেয়েও বেশি ব্যবহার করেন, পত্রিকায় দেখে থাকবেন, বেসামরিক প্রশাসনের অফিসার গ্রেডেরও নয়, এরকম সাব রেজিস্টার, কাস্টমস অফিসার, ভূমি অফিসার, বন বিভাগ, সরকারী মন্ত্রনালয় গুলোতে কর্মরত মন্ত্রীদের পি এস লেভেলের অফিসারদের লাইফ স্টাইল কি রকম আলীশান। এগুলি দেখেও আমরা না দেখে থাকি....

ডিফেন্স কে গালি দেয়া, ওদেরকে দোষা খুবই সহজ....বোবা প্রানী না পারে শব্দ করতে, না পারে প্রতিবাদ করতে, কারন আই. এস. পি .আর এর ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ডিফেন্স সদস্য একটা বর্ণ উচ্চারণ অথবা দু কলম লিখলেই তার কোর্টমার্শাল অবধারিত......

আর্মি, নেভী, এয়ার ... আমাদের যাবতীয় সমস্যা এদেরকে ঘিরে হলেও, এই ব্লগে যারা ডিফেন্স কে গালি দিয়ে কমেন্টস দিয়েছেন, আমি বাজি ধরে বলতে পারি, এদের অনেকেই বড় হয়েছেন, ঘুরতে গিয়েছেন বা সাপোর্ট নিয়েছেন কাছে ধারে থাকা ডিফেন্সে চাকুরীরত আত্বীয়, মামা, চাচা, ভাই অথবা নিজের বন্ধুর কাছে, তাদের মেসে অথবা ক্যান্টনমেন্টে...আরো মজার ব্যাপার....এনাদের পরিবারের কেউ ই হয়তো আজকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ডিফেন্সের ফর্ম কিনছেন......

১০ জনকে দিয়ে যেমন ১০০০ জনকে বিচার করা যায়না ঠিক তেমনি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার নিরীখে সশস্ত্র বাহিনীকে কলংকিত করা যাবে না...

এই দেশের সাধারন মানুষ তাদের চরম বিপদের সময়টাতে আপনার আমার মত সুশীলদেরকে পায় না....তারা কিন্তু ইউনিফর্মই দেখে তাদের আশেপাশে.....সেই সব মানুষকে পায়, আপনার আমার মত যাবতীয় মানবিক গুনকে ধরে রেখেও যারা ন্যুনতম চিন্তা বা কাজের স্বাধীনতা পায় না....রোদ ঝড়ের দিনেও যাদের অফিস কামাইয়ের সুযোগ নেই.....মৃত্যুপথযাত্রী হয়েও যাদেরকে শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত দেশের জন্যই সর্বস্ব: দিয়ে যেতে হবে...

৫৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: @ লেখক, অনেক ধন্যবাদ , ভোরের স্বপনকে আপনার চমৎকার জবাবের জন্য।আমি ভাবছিলাম এনাকে এই উত্তর গুলোই দেব। কিন্তু ভাই, এদের এসব বলে লাভ নাই। এরা আর্মির পেছনেই লেগে থাকবে। কিন্তু অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কয়েক কোটি গুনে যে সেনাবাহিনী দেশের জন্য অবদান রেখে চলেছে তা এরা স্বীকার করবে না। এরা শুধু আর্মির অর্থনৈতিক ক্ষমতার কথা বলে। কিন্তু একটাও কি প্রমান দেখাতে পারবে যে , আর্মিরা অন্যদের চেয়ে বেশি তো দূরের কথা, মন্ত্রী, সচিব, এম পি, এমনকি রাস্তার গুন্ডা রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যে পরিমাণ অনৈতিক অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত তার এক কোটি ভাগের এক ভাগ ও করে? পারবে না। তাই দেখেবেন, এরা খালি আর্মির বেতন নিয়ে লাফাবে। কিন্তু যখন উপযুক্ত জবাব দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হবে আর্মির খরচ কোনভাবেই অতিরিক্ত কিছু নয় তখন চুপ মেরে যাবে! তবে একেবারে থামবে না। যখন কোন যুক্তিতেই পারবে না, তখন এই মীর জাফরগুলো মানবাধিকার নিয়ে কাঁদবে, বিদেশীদের পা চাটবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নামে মিথ্যা গল্প বানিয়ে।যেটা আমরা দেখছি। আর্মিরা তো আমাদেরই ভাই। আমার , আপনার বন্ধু, ভাই, নিকট অথবা দূর স্ব্জন রাই তো আর্মির সদস্য। তবুও তাদের প্রতি কেন এত বিদ্বেষ? আসলে মীর জাফররা তো এমনই হবে। আপনাকে ধন্যবাদ এবং আশা করব ভবিষ্যতে এ ধরনের সাহসী, যুক্তিপূর্ন লেখা আরো পাব।

@ ডাস্ট ইন দ্যা উইন্ড, ভাই এই "সুশীল" গুলা পারলে আর্মিরে শেষই করে দিত। আপনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই হয়ত করতে চাইত। কিন্তু এগুলো তো কথাবাজ "সুশীল" ছাড়া আর কিছু না। তাই পারে না। তবে এদের চেয়ে উপরের লেভেলের "সুশীল" আর মীর জাফরগুলা কিন্তু বি ডি আর বিদ্রোহ, রুপগঞ্জের মত ঘটনা বিদেশীদের সাথে হাত মিলিয়ে ঘটিয়ে ফেলেছে। সরকারের কাছ থেকে কিছু আশা করি না। কারন সরকারের নেতা, এম পি রাই এতে জড়িত ছিলেন। কাজেই সরকার আর্মিকে সাপোর্ট দিবে না, কোন সরকারই দেয় না। আমাদের সাধারন মানুষদেরই এই "সুশীল" গুলার বিরুদ্ধে সচেতন হওয়া দরকার, নিজেদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৩

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: দায়বদ্ধতা বলুন আর কষ্ট থেকে বলুন যাই বলেছি মন থেকে বলেছি। আরেকটা কথা বলে যাই, দেশের মানুষের এই ধরনের নেতিবাচক আচরন কিন্তু সেনাসদস্যদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। অনেকেই না বুঝে ঢালাও ভাবে সেনাবাহিনীর বিদ্বেষ করে, সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ মনে করে সেনাসদস্যরাও যদি উল্টোটা মনে করতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে বলুন?

৫৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: যারা সেনাবাহিনীর বিলোপ চায় তারাই রাষ্ট্রদ্রোহী ।

কোথায় সুন্দর ভাবে গঠন করা যায়, তার পরামর্শ দিবে তা না , শুধু দোষারোপ করতে শিখছে , আজ যদি সেনাবাহিনীর বিলোপ করা , কাল ভারত যদি সন্ত্রাস দমনের নামে , সেনাবাহিনী পাঠায় কি দিয়ে ঠেকাবেন , নাকি তারাই ডেকে আনবেন ?


আমি এক ব্লগার বললাম ------>



রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: এই ধরনের সেনাবাহিনী চাই না ( সহমত) , তবে স্বশস্ত্র বাহিনী বিলুপ্তি বোকামী হবে , কারন সিকিম ,

আমরা জলপাই সদস্য সংখা কমিয়ে পলিশ বি ডি আর বাড়ানোর চিন্তা করা উচিত

খুব সুন্দর , তবে এসব বাহিনীর সাথে শক্তির পার্থক্য আছে স্বশস্ত্র বাহিনীর , প্রশিক্ষনের পার্থক্য আছে ,

পলিশ বি ডি আর বাড়ানোর পর , একসময় মনে হবে তাদের সক্ষমতা বাড়াই তখন সেই স্বশস্ত্র বাহিনীই গঠন হবে ,


ভাই স্বশস্ত্র বাহিনী বিলুপ্তি কোনো সমাধান না , কি রকম স্বশস্ত্র বাহিনী গঠন করা উচিত , তা নিয়ে কাজ করা উচিত আমাদের ,


কি রকম স্বশস্ত্র বাহিনী গঠন করা উচিত আমাদের , এই ব্যাপারে একটা পরিকল্পনামূলক পোষ্ট দেন , কিভাবে সক্ষমতা বাড়ানো যায় , দূর্নীতি , ক্ষমতার অপব্যাবহার রোধ করা যায়





তিনি আমাকে আর ঊত্তর দেন না ? আজব লাগে B:-) B:-)

৫৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

রাজামশাই বলেছেন:

আর্মি থাকুক - ক্ষমতার ভাগাভাগি - রক্তাক্ত ইতিহাস বন্ধ হোক

৬০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: আর্মি থাকুক - ক্ষমতার ভাগাভাগি - রক্তাক্ত ইতিহাস বন্ধ হোক


সহমত

৬১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৯

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: আমি আর্মির ঢালাও দোষ দেয়নি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি আর্মিরা ফেরেস্তা না। তারাও আমাদের মত হাতে বন্ধুক থাকায় সময় সময় আমাদের চেয়েও বেশি।

সাধারন মানুষের সাথে তাদের আচরন পশু পাখির পর্যায়ে।
একদিন বনানী দিয়ে মিরপুর আসতেছি দেখি এক মাইক্রো ড্রাইভাররে মাইক্রোর নিচ দিয়ে ক্রোলিং করাচ্ছে । আমার জাস্ট কৌতুহল হল ঘটনা জানার। এর পর ড্রাইভারকে জিগ্গাসা করলাম, ব্যাপার কি ?? সে বলল সিগন্যাল দিছিল আমি খেয়াল করতে পারিনি। একারনে .................

৬২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৯

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: আমি আর্মির ঢালাও দোষ দেয়নি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি আর্মিরা ফেরেস্তা না। তারাও আমাদের মত হাতে বন্ধুক থাকায় সময় সময় আমাদের চেয়েও বেশি।

সাধারন মানুষের সাথে তাদের আচরন পশু পাখির পর্যায়ে।
একদিন বনানী দিয়ে মিরপুর আসতেছি দেখি এক মাইক্রো ড্রাইভাররে মাইক্রোর নিচ দিয়ে ক্রোলিং করাচ্ছে । আমার জাস্ট কৌতুহল হল ঘটনা জানার। এর পর ড্রাইভারকে জিগ্গাসা করলাম, ব্যাপার কি ?? সে বলল সিগন্যাল দিছিল আমি খেয়াল করতে পারিনি। একারনে .................

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৪

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: সেনা মানসিকতা সাধারন থেকে আলাদা হবেই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না তাদের প্রশিক্ষনটাই এমন যাতে তারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে পারে, তাই তাদের আচরন সাধারনের সাথে মিলবে না। ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ঐ সেনাসদস্য হয়ত ড্রাইভারের সাথে এমন কিছু করে থাকবে। আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে যখন সিভিল প্রশাসন ব্যর্থ হয় তখনই সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আর সেনাবাহিনী যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আর কেউ থাকে না, তাই সেনাবাহিনীকে অবশ্যই সফল হতে হয়। ঐ চালককে এমন অবস্থায় যারা দেখেছে তারা কোনদিনই অন্তত সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সিগনাল ভংগ করার সাহস পাবে না। সেনাবাহিনীও যদি ট্রাফিক পুলিশদের মত আচরন করে তাহলে ঐ ড্রাইভাররাই কি সেনাসদস্যদের কথা শুনবে?

৬৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৭

আশিক হাসান বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় খোঁজ করলে দেখা যায় ভারত পাকিস্তান যখন ব্রিটিশের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে তখন স্বাধীনতার পরদিনই আলাদাভাবে জন্ম নেয় পাকিস্তান এবং ভারতের সাথেতাদের নতুন দুইটি সেনাবাহিনীর । এই ভারত এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জন্ম হয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । এই জন্মের মূহূর্তে তাদের কারো রাইফেল থেকে নিক্ষিপ্ত হয়নি একটি বুলেটও এমনকি কোন সৈনিক কে সম্মুখীন হতে হয়নি শপথ ভংগের মত কঠিন বাস্তবতার । একজন নবীন সৈনিক কে প্রশিক্ষন শেষ করে তাকে তার নিজ ধর্মের পবিত্র পুস্তকে হাত রেখে নিতে হয় কঠিন শপথ । এই শপথ যে কোন মুল্যে দেশের স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল এবং সমুন্নত রাখার । শপথ নিতে হয় নিজ দেশের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশের এবং সরকারের আনুগত্য কে মেনে চলার এবং প্রয়োজনে যে কোন স্থানে,যেকোন স্থানে গমন করার। এই কঠিন শপথ ভংগ করলে একজন সৈনিককে বরন করে নিতে হয় দুটি শাস্তি যার একটি তাকে শারিরিকভাবে বরন করে নিতে হয় দেশের কাছ থেকে ,কোর্ট মার্শাল আরেকটি হয় তার মানসিক শাস্তি ধর্মীয় দিক থেকে। পবিত্র ধর্মের নামে শপথ ভংগের জ্বালা তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য করে তোলে শংকিত করে তোলে তার পরলৌকিক জীবনের জন্য ।

আমাদের সেনাবাহিনী যখন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিলো , সে সময়ে যারা পাকিস্তান সেনাবাহীতে প্রশিক্ষন গ্রহন করেছিলো তাদেরকে একইভাবে তাদের পবিত্র ধর্মের নামে শপথ করতে হয়েছিলো এই পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করার। কিন্ত ১৯৭১ এ যখন পাক বাহিনী এই দেশের সাধারন মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হিংস্র হায়েনার মত তখন এই সেনাবাহিনী কিন্ত তাদের শপথের কথা ভুলে গিয়ে ,মাথায় কোর্ট মার্শালের খরগ নিয়ে এবং মৃত্যুর পর ধর্মীয় শাস্তির আশংকা সব কিছুকে পড়োয়া না করে দেশের স্বাধীনতা আর সাধারন মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছিলো।এই অভিজ্ঞতা শুধু আমাদের বাংলাদেশের তথা সেই সময়কার পূর্ব পাকিস্তানের বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর আছে । এই অভিজ্ঞতা এই পৃথিবীর খুব কম সেনাবাহিনীরই আছে যা আমাদের আশেপাশের অনেক দেশের নেই এমনকি ভারত বা পাকিস্তানের মত সেনাবাহিনীর নেই ।

এই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাই আমার কাছে অন্যান্য সেনাবাহিনী থেকে অনেক আলাদা এবং অনেক গর্বের ।

৬৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২২

স্বাধীন জামিল বলেছেন: ব্যাপার টা কেমন দাড়াচ্ছে জানেন, আমার দেশের সেনাবাহিনির লোক বিশ্ববাসির কাছে অনেক প্রয়জনীয়, অনেক সুনাম ও তাদের । কিন্তু আমার দেশের সেনাবাহিনি আমার দেশের জন্যে কতটুকু ভয়ঙ্কর তা আমি একটু হলেও বুঝাতে চেস্টা করেছি । যাহোক আমি আমার সেনাবাহিনি কে অনেক বেশি উপকারী হতে বলছি, অন্যের দেয়া সুনাম নিয়ে আমরা মাথা একটু পরে ঘামাই। ধন্যবাদ

৬৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৬

অয়োময় বলেছেন:
খেয়াল করলাম-

ডাসট ইন দা উইনড, নাহিয়ান বিন হোসেন, আহমেদ রশীদ, রিডার ওয়ান, আশিক হাসান ভাই সহ অনেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
বিপক্ষে যারা মত দিয়েছেন তারা হলেন স্বাধীন জামিল, হুতুম পেঁচার নকশা, সাঝবাতির রূপকথা....
ভোরের স্বপন, মাহাদি হাসান, রোহান, কেউ একজন ভাই গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন।
ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত অপ্রয়োজনীয় লাফালাফি করেছে দূরের পাখি, শয়তান, বাংলার পোলা.....

লক্ষ্যণীয় বিষয় যারা অযথা লাফায় কিংবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে এরা সবাই ব্লগে একটি নির্দিষ্ট ঘরানার ব্লগার যাদের পরিচয় নতুন করে দেয়ার কিছু নেই। এদের উদ্দেশ্য ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই বোঝা যায়।

৬৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৩৮

আমিরনী বলেছেন: Is it right to engage army establishment to build personal housing ?
Is it right to force peoples to sell their land for personal housing?
Is army out of question (angel) ?
Unfortunately, self supporting of army on this issue is not satisfactory to me.seems that army is as like other institutions of BD. It is sad-----

Click This Link

Click This Link
Click This Link

৬৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:১৪

শাহ নেওয়াজ সুপ্রিম বলেছেন:
জনাব,
আদ্যোপান্ত পাঠ করিলাম। জনস্বার্থে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলিয়া ধরিয়া একটি ধন্যবাদযোগ্য কাজ করিয়াছেন।
রচনার ছত্রে ছত্রে আপনার মেধা, উন্নত রুচি ও মননশীলতার দ্যুতি বিচ্ছুরিত হইতেছে। কালোত্তীর্ণ রচনা হিসাবে ইহা নিশ্চিতই বিদগ্ধজনের হৃদয়ে স্থায়ী হইবে। সন্দেহ নাই এইরূপ রচনাই হইবে অনাগত প্রজন্মের নিকট সকল অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করিতেছি।

৬৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৪৫

পাগলামন বলেছেন: পোস্ট আর মন্তব্যগুলো (কিছু কিছু) ভালো লেগেছে।
ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।

৬৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০৯

স্কোয়ার ওয়েভ বলেছেন: একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে এইখানে।

মন্তব্যে অনেকরেই আর্মির সিনিয়র অফিসারদের গালি দিতে শুনলাম। জুনিয়র অফিসারদের ব্যাপারে তারা অনেকটা উদার। ইন্টারেস্টিং ঘটনা হইলো যদি এই রূপগন্জ প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়, আর্মির সিনিয়র অফিসারদের কোন সমস্যাই নাই। কারন তাদের অলরেডি ডিওএইচএসে প্লট আছে। আর যারা ডিওএইচএসে প্লট আছে তারা এইখানে পাবে না। এই প্রজেক্ট হইলো আপনারা যাদের বন্চিত বলেন সেই জুনিয়র অফিসারদের।

৭০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

রঙধনু বলেছেন: এত না প্যাচায়য়া বিবিসির রিপোট টা হুনেন

Click This Link

৭১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

মাহাফুজ বলেছেন: বিভ্রান্ত! :( :(

৭২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

মর্তবাসী বলেছেন: সেনাবাহিনীকে সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে আনা দরকার। মানুষ খেকো বাঘ আর টাকা খেকো সেনাবাহিনী সমান ভয়ংকর।
সেনাবাহিনী থাকবে দেশের সেবার জন্য ব্যাবসা করার জন্য না। এই আবাসন প্রকল্পে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য উপকৃত হবে। দেশে মানুষ না। অস্ত্রধারী যেকোন বাহিনীকে ব্যাবসা থেকে দূরে রাখতে না পারলে তা দেশের জন্য বিপদজ্জনক হবে। কতিপয় দূর্নীতিপরায়ন লোকের জন্য সেনাবাহিনীকে ধবংস হতে দেওয়া যায় না।

৭৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫০

শান্ত মন বলেছেন: সাধারন মানুষের আচার আচরন আর চিন্তাভাবনা, আবেগের সাথে সেনাবাহিনীর বিস্তর ফারাক। সেনাবাহিনী কিন্তু মানুষ না, তারা সেনা।

৭৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩০

বাজেকাম বলেছেন: সম্পূর্ণ লেখা আর মন্তব্যগুলো পরলাম। দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর উপযোগীতা নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। কয়েকটি প্রশ্ন সকলের জন্যঃ
১. আর্মি হাউজিং করার জন্য আর্মি ক্যাম্প কেন বসাতে হবে? যেখানে অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ রেব রয়েছে।
২. সেনা-নৌ- বিমান বাহিনীসহ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের করের টাকায় রেশন পায়। তারা কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে?
৩. কোন সেনা সদস্য দুর্ঘটনায় মারা গেলেও সে হয় বীর সেনানী। কিন্তু মিজানুর রহমান মারা গেলে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য একটু শোকও প্রকাশ করেন না।

আরো অনেক কষ্টরে ভাই.. কতগুলো লিখবো ... হাতে তো ডান্ডা নাই.....

৭৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৭

রুদ্র মোহাম্মদ বলেছেন: আমার প্রশ্নটার উত্তর পেলে ভাল লাগতো।

Click This Link

৭৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৩

নাম তার সজীব বলেছেন: মইন উদ্দিন আহমেদ ভাইয়ের অনেকদিন খোজ নাই বিজ্ঞ জনেরা কেউ বলবেন তিনি কই আছেন?

৭৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৮

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
সেনাবাহিনীর সমালোচনা কেন করা যায়বো না , আপনে আগে সেইটা বলেন ?

সেনাবাহিনীরে সমালোচনার উর্ধ্বে কেন মনে করেন ?

তারা, ভূমিদস্যু হইলে, ধর্ষক হয়লে সেইটা বলা যায়বো না ।


আপনার মতো পুতুপুতু মানসিকতার মানুষরা না , যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে, যেমন রূপগঞ্জের মানুষ, এরকম মানুষরাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই দেশের স্বাধীনতার পথ খুলে দিয়েছিলো ।

৭৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৬

রবিনহুড বলেছেন: দেশ থেকে সেনাবাহিনী তুলে দিয়ে অশ্ত্র গুলো রাজনীতিবিদদের হাতে তুলে দেয়া হোক।

৭৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২৭

নেটপোকা বলেছেন: গতকাল জনৈক ব্লগার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফট-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?” শিরোনামের একটি ব্লগ পোস্ট করেছে এবং সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষ আজ সেই ব্লগটিকে স্টিকি করেছে। এর প্রেক্ষিতে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার বক্তব্য নিম্নরূপঃ

@লেখক ও মন্তব্যকারী কতিপয় ব্লগার,
এই লেখা ও এর প্রেক্ষিতে করা বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে আপনারা একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে আপনাদের চরম বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা প্রকাশ করেছেন। রূপগঞ্জে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত ঘটনার জন্য যারা দায়ী (হোক তারা সেনা কর্তৃপক্ষ, নেপথ্যের মদদদাতা প্রতিপক্ষ ভূমিব্যবসায়ী কোম্পানীসমূহ কিংবা স্থানীয় স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক মহল) - সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার হোক, সেটা আমিও চাই। কিন্তু তাই বলে এ ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে পুরো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে বিষোদগার করার এবং অন্যদেরকে উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে আপনাদের এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রইল আমার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা।

@সেনা কর্তৃপক্ষ,
আপনাদের অদূরদর্শী ও অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনারা সমগ্র সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলেন। কতিপয় উচ্চপদস্থ সেনা নীতিনির্ধারকের ভুল সিদ্ধান্ত ও বেঠিক কর্মপন্থার জন্য আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সকল সেনাসদস্যকে। অতীতেও আমরা দেখেছি রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া, অযোগ্য ও অতি-উচ্চাভিলাষী জেনারেল ও তাদের কতিপয় দোসরদের অবৈধ ক্ষমতার মোহ ও অর্থবিত্তের লোভের মাসুল দিয়েছে নিম্নপদস্থ সাধারণ সেনা অফিসার ও জওয়ানরা। যে সেনাসদস্যরা জাতীয় দুর্যোগের সময় দেশের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়; ২৪ ঘন্টার চাকুরিতে পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূর-দূরান্তে গিয়ে তাদের কর্তব্য পালন করে; উদয়াস্ত খাটুনি দিয়ে ত্রাণসামগ্রী, ঔষধপত্র বিতরণ করে কিংবা আশ্রয়স্থল নির্মাণ করে; বেতনভূক ট্রাফিকপুলিশ থাকতেও রাস্তায় যানজট নিরসনে ট্রাফিকপুলিশের কাজ করে; সিটি কর্পোরেশনের বেতনভূক সুইপার থাকা সত্ত্বেও নির্বিবাদে ঢাকার ড্রেন পরিষ্কারে নামে; জীবন-বাজি রেখে সন্ত্রাসদমন ও অবৈধ অস্ত্র-উদ্ধার অভিযানে নামে; মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার-ইন্সার্জেন্সি অপারেশনে নিয়োজিত থাকে; বেসরকারী কোম্পানীর দেওয়া দরের এক-তৃতীয়াংশ বাজেট দিয়ে জাতির জন্য ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে দেয়; জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃংখলা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রের পথ সুগম করে; যে কোন জাতীয় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলেও সে দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে - আজ তারা জাতির সামনে ছোট হল জেনারেল মইন ও তার মত তার পূর্ব কিংবা উত্তরসূরি কতিপয় টপ-ব্রাসের জন্য। এসব উচ্চাভিলাষী, ক্ষমতা ও সম্পদলোভী পদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের প্রতিও রইল আমার তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা।

@সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষ,
সেনাবাহিনীর মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষপূর্ণ ও উস্কানীমূলক এই পোস্টটি স্টিকি করে আপনারা একদিকে যেমন নিজেরাই নিজেদের ব্লগ নীতিমালা ভংগ করলেন, তেমনি অন্যদিকে এই বিদ্বেষপ্রসূত অপপ্রচারণার পৃষ্ঠপোষকতা করলেন। আপনাদের স্ববিরোধী চরিত্র সম্পর্কে এখন পুরোপুরি নিশ্চিত হলাম। আপনাদের প্রতিও রইল আমার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা। আমি জানি আমার এ বক্তব্যে আপনাদের আঁতে ঘা লাগবে। হয়ত আপনাদের সমালোচনা করার জন্য, আপনাদের নোংরা স্বরূপ উন্মোচন করার জন্য আমার এই পোস্টটিকে আপনারা সরিয়ে ফেলবেন; এমনকি আমাকে জেনারেল কিংবা ব্যান করবেন। তবে মনে রাখবেন, তাতে আমার কিছুই আসবে যাবেনা। আরো মনে রাখবেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানেই স্বেচ্ছাচারিতা নয়। স্বাধীন মত প্রকাশের নামে সুস্থ সমালোচনার পরিবর্তে অন্যকে গালাগালি করার এবং অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রচনা করার সুযোগ দেওয়ার কিংবা এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডকে সমর্থন/পৃষ্ঠপোষকতা করার বর্তমান ধারা চলতে থাকলে এই ব্লগের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

@সচেতন, সুবিবেচনাসম্পন্ন সকল ব্লগারগণ,
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সামরিক বাহিনীর তুলনায় আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পায় কিনা তা যাচাই করার জন্য আপনাদের সবার প্রতি রইল আমার আহবান। কেবলমাত্র পার্শ্ববর্তী ভারতের সামরিকবাহিনীর সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে একটু খোঁজ নেওয়াই যথেষ্ট হবে বলে আমি মনে করি।

৮০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩৩

নেটপোকা বলেছেন: সেনাবাহিনীর মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসাপিডিয়া রচনার চলমান অপপ্রয়াস প্রসঙ্গে

৮১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৩

লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন:

















কথা ১ টাই, সেনাবাহিনী টাকার বিনিময়ে কাজ করে। দেশের টাকা, জনগনের টাকা। ওদের রাখাই হইছে দেশের ক্রান্তিকালে কাজ করার জন্ন। ক্রিতজ্ঞতা প্রকাশের কিছু নাই।

আর এই কাজের প্রতিদান সাধারণ মানুষের জিমি কেড়ে নিয়ে বিলাস বহুল বাড়ি করা না।


























































৮২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১২

নীরজন বলেছেন: লাবিব এর সাথে সহমত।

সেনাবাহিনী সারা বছর বিরাট ব্যাস্ত থাকে....অবশ্য বেশিরভাগই তাদের পিটি প্যারেড নিয়ে ;)

আর্মি জনগনের স্বার্থে কাজ করবেই.....এটা তাদের বদান্যতা না....তাদের দ্বায়িত্ব।

রেশনের চাল-ডাল-চিনি খেয়েও শখ মিটে না....শুধু আরো চাই আরো চাই ভাব......

মুক্তিযুদ্ধের সময় আর্মি কেমন ছিল আর এখন কেমন সেটা আপনিই বিবেচনা করে দেখুন।

অবশ্য আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানস.....যতই আর্মির গুনগান করুন না কেন....কিছুই বুঝবো না।

৮৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৮

নাভদ বলেছেন: যারা নিরীহ গ্রামবাসীর উপর এহেন অত্যাচারের পরেও সেটার থেকে কোন বাহিনীর ভাবমূর্তি নিয়ে বেশী চিন্তিত, আমার কামনা এই যে সেসব ব্লগারের বা তাদের নিকত্মায়ীদের অবস্থা কখনো নিচের ছবিদুটোর পরিবারগুলোর মত না হয় -


প্রথম আলো



ডেইলী ষ্টার



Nine-year-old Mrittika, whose father Abdul Aleem Masud went missing in Saturday's Rupganj violence, weeps almost unceasingly while her mother Kohinoor, right, faints frequently at their Baraisoni village home yesterday.

৮৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৪

মাসুদ যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন: সত্যি কথা তিতা হয়। আমার চারদিকে সবাইকেই আমি দেখেছি জীবনে ১ বার হলেও তারা আর্মি /নেভ/ এয়ারে লাইন দিয়েছে। চান্স না পাওয়া/প্রত্যাখ্যাত অথবা চারিত্রিক কারনে সামরিক একাডেমি থেকে বিতাড়িত মানুষজনই এরকম বিষ বাষ্প ছড়াচ্ছে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে। নিজে না পারুন, কেন আরেকজনের পথে কাঁটা দিচ্ছেন ??

৮৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪

অয়োময় বলেছেন: মাসুদ যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন: সত্যি কথা তিতা হয়। আমার চারদিকে সবাইকেই আমি দেখেছি জীবনে ১ বার হলেও তারা আর্মি /নেভ/ এয়ারে লাইন দিয়েছে। চান্স না পাওয়া/প্রত্যাখ্যাত অথবা চারিত্রিক কারনে সামরিক একাডেমি থেকে বিতাড়িত মানুষজনই এরকম বিষ বাষ্প ছড়াচ্ছে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে। নিজে না পারুন, কেন আরেকজনের পথে কাঁটা দিচ্ছেন ?



একমত।

৮৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৭

রানা চৌধুরী বলেছেন: যুধিষ্ঠির বলেছেন: আমার আর্মি ভাল্লাগেনা। বালের ভাব মারে। আমার বোঞ্জামাই নেভিতে। যাই হোক তবুও।

আর্মি ভাল লাগেনা বলে গালি দিতে হবে আমি তা সাপোর্ট করি না,কারন তারা আমাদেরই কারো না কারো ভাই,চাচা,মামা,খালু,ফুপু,দুলাভাই,আব্বা বা সন্তান। তারা তো মনে হয় এ দেশেরই সন্তান। দেশে কোন দুর্যোগ দেখা দিলে তারাই সর্বপ্রথম দেশ ও জাতির পাশে এগিয়ে আসে। আমরা বড় অকৃতজ্ঞ জাতি।

৮৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১

আশালতা বলেছেন: হঠাৎ করে এই বিষয়টির অবতারণা কারণ কি? এখন তো এটা আলোচনায় আনার প্রাসঙ্গিকতাটাই বা কি? এটা কি সেনাবাহিনীর ইমেজ বাড়ানোর কোনো প্রকল্পের অধীন কিছু? এ ধরণের কাজের জন্য তো ডিজিএফআই কয়েকটি ব্লগ পরিচালনা করে। সেগুলোতে কি কাজ হচ্ছে না?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৪

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: বিষয়টি হঠাৎ করে অবতারণা করা হয় নি, ব্লগটা বেশ আগেই লেখা হয়েছে, সে সময় বিষয়টি প্রাসঙ্গিক ছিল। না এটা ইমেজ বাড়ানোর কোন প্রকল্প না, আপনি যেমন আপনার মত প্রকাশ করার অধিকার রাখেন আমিও রাখি আর কি বিষয়ে আমি লিখব সেটা একান্তই আমার ইচ্ছা। সামুতে কি অলিখিত কোন নিয়ম আছে যে এখানে সেনাবাহিনীকে সাপোর্ট করে কিছু লিখা যাবে না?

৮৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২

আশালতা বলেছেন: রূপগঞ্জে যে স্টাইলে জমি কেনা হচ্ছিল, সেটার সঙ্গে ভূমিদস্যু বসুন্ধরার প্রার্থক্য কোথায়? আমার তো মনে হয়, প্রশ্ন তোলা উচিত, সেনাবাহিনীকে ভূমিদ্স্যুতায় কে বা কারা নিযুক্ত করল? এর পেছনে সেনাবাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার কোনো দুরিভসন্ধি ছিল কি না?
আর যদি সেনা সদস্যরা নিজের টাকায় জমি কিনে ব্যক্তিগত হাউজিং প্রকল্পই করে থাকে, তাহলে জমি কেনা বা প্রকল্প দেখভালের জন্য রূপগঞ্জে সেনাক্যাম্প হল, সেটা কোন আইনে হল?
আর গ্রামবাসীর আন্দোলনের দিন যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে এখনো নিখোঁজ, তাঁদের ব্যাপারে শ্রদ্ধেয় সেনা বাহিনীর বক্তব্য কী? গরীব বলে কী তাদের জীবনের দাম নেই? সেদিন সেনা ক্যাম্পে যে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়েছিল, পরদিন পত্রিকায় ছবি ছাপা হয়েছে, সেই লাশটি কে গুম করল?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৯

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: কি স্টাইলে জমি কেনা হচ্ছিল একটু বলবেন? সাথে কি স্টাইলে কেনাটা সাজেস্ট করেন একটু জানাবেন প্লিজ। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খুঁজতে যাওয়াটা অবান্তর। প্রকল্পই বলেন বা সেনা ক্যাম্পই বলেন যা হয়েছে সবই সরকারের অনুমতি ক্রমেই হয়েছে এখানে কোন আইনের ব্যত্যয় হয় নি, সব কিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। আচ্ছা গুলিবিদ্ধ কেন হয়েছে? কারা সেনা ক্যাম্প আক্রমন করতে এসেছিল। একটা বিষয়ে গ্রামবাসীর আপত্তি ছিল বুঝলাম, সেনা ক্যাম্প তারা চায় না বুঝলাম তো এর জন্যে ক্যাম্প আক্রমন করা কোন আইনে কাভার করে? তারা কি একবারো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছে? লাশ গুম হয়েছে এটা আমার ঠিক জানা নাই পারলে একটু রেফারেন্স দিবেন। আর এটা নিয়ে তেমন কোন কথা হয় নি কেন পরে?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: ও হ্যা আরেকটা কথা আমি বিশ্বাস করি কিছু মানুষ থাকবেই যাদের কাছে সেনাবাহিনীর ইমেজ কখনোই ভাল হবে না। ২ বছরের তত্বাবধায়ক সরকার দেশকে এক চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করলেও এটা নিয়ে এখন অনেক বিতর্ক। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য মানুষ আবারো সেনাবাহিনীকে চাইবে। সম্প্রতি রামুর বৌদ্ধ মন্দির গুলোর পূনঃ নির্মানের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা অনুরোধ করেছিলেন কাজটি যেন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়। কেন এই অনুরোধ করেছিলেন আশাকরি আপনি বুঝতে পারবেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০০

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: রিডার ওয়ান বলেছেন:

এই বিষয়ে আজ সামুতে মনে হয় অনেক পোস্ট এসেছে। সব দেখতেও পারি নি। শুধু একটা ছাড়া অন্যগুলিতে কমেন্টও করতে পারি নি। সেই কমেন্টটি আপনারটাতে দিলাম। অনেকে সব অদ্ভুত অদ্ভুত অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছে! B:-)


১. জমিগুলো মূলত রাজউকের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগে শহর সম্প্রসারনের অধীনে করা। এর পাশেই আছে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প। গ্রাম রক্ষা এখানে সরকারের নীতি নয়। শহর সম্প্রসারন মূল ফোকাস।

২. দেশের সকল পেশাজীবির জন্য এধরনের হাউজিং সোসাইটি আছে। সেনা বাহিনীও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এটা ডিওএইচএস নয়। কারন এগুলো নগদ অর্থেই সেনাসদস্যদের কিনতে হবে। ঢাকা শহরের সম্প্রসারনের জন্য অন্যন্য হাউজিং সোসাইটির মত এটিও রাজউকের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগে হচ্ছে। জমি ক্রয়, ডেভেলাপ থেকে শুরু করে বন্টন সবই হাউজিং কতৃপক্ষ করে থাকে। রাজউকের অনুমতি থাকে মাত্র। অপরদিকে ডিওএইচএস সরাসরি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া জমি যা নামমাত্র মূল্যে দেয়া হয় এবং সেটা সরকারী নীতিমালা মধ্যেই।

৩. ওই এলাকার জমির দাম নিয়ে মিডিয়া যেসব অংক দেয়া হয়েছে তা অন্যের বরাত দিয়ে এবং তা অত্যন্ত হাস্যকর। ওই জমিগুলো ভোক্তা পর্যায়ে সেনাসদস্যরা (কমকর্তা ও নন-কমিশনড) প্রতি কাঠা ৩ লক্ষ টাকা করে কিনবেন। তাহলে বিঘা প্রতি দাড়ায় ৬০ লক্ষ টাকা (১বিঘা=২০কাঠা)। ৭০ লক্ষ টাকায় কিনে সেটা ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হবে!? ওই এলাকার অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি গুলো প্রায় একই দামেই (কাঠাপ্রতি ৩ লক্ষ) টাকায় ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করছে। সুতরাং মূল দাম অনেক কম। কেননা জমি কেনার পর এর সাথে ডেভেলাপিং চার্জ যোগ করেই ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হবে। সাধারনভাবে জমির দাম বিঘাপ্রতি ১০ লক্ষের বেশি এলাকাবাসীর পাওয়ার কথা না!

৪. বিঘা প্রতি ১৭ লক্ষ টাকায় (মিডিয়ার খবর অনুযায়ী) যে সেনা কতৃপক্ষ কিনছে তা কিন্তু এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সরাসরি। ওই এলাকার জমিগুলো অন্য আরও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও কিনছে। কিন্তু তারা কেনে দালালদের কাছ থেকে, সরাসরি নয়। ফলে এলাকার মানুষ বেচে ১০ লক্ষে, দালালরা সেটা বেচে ১৫ লক্ষে!

৫. দালালরা এলাকার মানুষের কাছ থেকে কম টাকায় কিনে একধরনের সিন্ডিকেট করে ফেলে এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে দালালদের নির্ধারিত দামে কিনতে বাধ্য করে। সেনাকতৃপক্ষের সাথে খুব সম্ভবত এই কাজটাই তারা ঠিকভাবে করতে পারছিল না! এলাকার মানুষ যাতে সরাসরি তাদের কাছেই বিক্রি করে এজন্য প্রশাসনের সহায়তায় খুব সম্ভবত অন্যদের কাছে (দালালদের কাছে)বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য এসব দালালের কাজগুলো করে থাকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, এক্ষেত্রে খুব সম্ভবত আওয়ামীলীগ নেতারা। এটাই আমাদের দেশের জমি কেনা বেচা এবং রিয়েল স্টেটের সিস্টেম! :|

৬. সেনা কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কারনে এই সিস্টেমের ব্যঘাত ঘটেছে! সরাসরি বিক্রি করতে পারার কারনে বিক্রেতা পর্যায়ে জমির দামও তুলনামূলক ভাবে বেড়ে গেছে। অন্যন্য কোম্পানীগুলোও দালালদের মাধ্যমে কিনতে গেলেও পারছে না। কারন ১৭ লাখের সাথে অন্তত আরও ৫ লাখ যোগ করে কিনতে হচ্ছে। আবার দালালরাও লাভের মুখ দেখতে পারছে না কেননা সরাসরি বিক্রির সুযোগ থাকায় কেউ তাদের কাছে কমদামে বিক্রি করছে না। সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করেও পারছে না প্রশাসনের বাধার মুখে। তাই গুজব ছড়িয়ে এই ধরনের একটি পরিস্তিতি তৈরি করা হল। শুধু গ্রামের সহজ সরল মানুষ নয় শহরের শিক্ষিত মানুষও গুজবে কান দেয়!

৭. বিঘা হিসেবে কিনে নেয়ার পর সেখানে আছে ডেভেলাপিং চার্জ। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এখানে একটা বড় দাও মারে। তারা সঠিকভাবে বালু ভরাট করে না। কিন্তু সেনা কতৃপক্ষ সেটা করার কথা না। তারাত আর ব্যবসা করতে নামে নি!

৮. বাংলাদেশে জমি কেনাবেচাতে অনেক ধরনের নোংরা রাজনীতি থাকে। সাধারনত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গুলো এগুলো সামাল দিতে পারলেও বোঝাই যাচ্ছে সেনা কতৃপক্ষ এটা পারে নি। সরকারের উচিৎ ছিল নিজেরা ক্রয় করে সেনা কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা । সেক্ষেত্রে অনেক সময় লাগত। এখন সেনাবাহিনী নাম ব্যবহার হওয়ায় জনগনের সাথে সেনাবাহিনীর দূরত্ব বোধহয় আরও বাড়ল!

৯. গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারেরই একটা অংশ। বিভিন্ন সময় সরকারগুলো তাদের ভুলভাবে ব্যবহার করেছে। সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়েও আছে অনেক দুর্নীতি। আবার অতীতেও সেনাবাহিনীর কিছু নেতৃত্ব দেশের ক্ষতি করে গেছে। কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী স্রেফ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারনে সেনাবাহিনীর বিপক্ষে অবিবেচকের মত কথা বলে। তারা চায়টা কি? সবসময় হুজুগে মাতা! তাদের অন্তত সত্য ব্যপারটা চিন্তা করা উচিৎ। জমি কেনা বেচা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই মনে হচ্ছে! X(

১০. এই ঘটনায় কয়েকজন হতাহত হয়েছে। আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। গুলি পুলিশ করেছে না সন্ত্রাসীরা করেছে না সেনাবাহিনী করেছে তা বোধহয় ঘরে বসে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। সত্যি যেটাই হোক আমার ধারনা এই ঘটনার জন্য দায়ী ওই জমির দালালরা যারা কিনা একই সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাও।

১১. বাংলাদেশের সাধারন পাবলিককে নিয়ে আমার তেমন অভিযোগ নেই। কারন এরা নিজেরাও জানে না কখন কি বলবে! কথা বলতে ত আর পয়সা লাগে না! বাঙালী মাত্রই অন্যের ভাল সহ্য করতে পারে না। আমি নিজেও ত পাবলিক। তবে আমাদের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ। মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও ভেবে দেখা উচিৎ কি বলছি! চিন্তাভাবনা না করে মাত্রা ছাড়া কথা বলতে গিয়েই আমরা জাতিগতভাবে অনেকবার বিপদে পরেছি।


একটা আলাদা পোস্ট দেয়া উচিৎ ছিল!

ধন্যবাদ।

এটা এই পোস্টে করা প্রথম কমেন্ট গুলোর একটি। আশাকরি আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন।

৮৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১৭

নূরননবী বলেছেন: সেনা বাহিনী আমাদের সম্পদ। তারা আমাদেরই সন্তান। ভাল মন্দ সব খানেই আছে

৯০| ২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন:
যার জন্য আমাদের দেশকে অন্যদেশের লোকজন চেনে তার মধ্যে সেনাবাহিনী একটি।
বিশেষ সুনাম এনেছে এই বাহিনী।

৯১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: আপনার এন্সার কই?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪০

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: কিছু উত্তর দিয়ে গেলাম। অনেক দিন ব্লগে আসা হয় নি আর এত আগের ব্লগে কোন মন্তব্য থাকতে পারে ভাবি নি।

৯২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১১

বীরেনদ্র বলেছেন: ১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝড়ে কিছুদিনের জন্যে সেনাবাহীনির সাথে কাজ করেছিলাম কুতুবদিয়াতে ত্রানকাজে। একজন কর্নেল তখন আমাকে এই প্রশ্নটা করেছিলেন " আপনারা সামরিক বাহীনির প্রতি বিমুখ কেন"
আপনার বক্তব্যের সাথে আমি বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সহমত হলেও একটা ব্যাপারে দ্বিমত তা হল " রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ" যা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময়।

জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহীনির ভূমিকা প্রসংশনীয়, জাতিসংঘ মহাসচিব বার বার তার উল্লেখ করেছেন। । যেমন সিয়েরা লিউন বাংগলা ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে বাংগলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্যে, বা সেখানে রাস্তার নামকরন হয়েছে বাংলাদেশের নামে। যা আপনি উল্লেখ করেননি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫০

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত। রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ মোটেও গ্রহন যোগ্য নয়। আমাদের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি এর জন্যে অনেকাংশে দায়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.