![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই দেশ, বাংলাদেশ।
তোমার বাবাকে নিয়ে তুমি কেবল গর্ব করবে তা কেনো ,সেটাতে আমার যে কতটা অংশ আছে ,তা কি তুমি জানো ? কত বড় প্রতিদান আছে তার দেশের জন্য তা বলে শেষ করা যাবেনা l দুঃখ কেবল ওনার মত সৃষ্টিশীল মানুষের আমাদের মতো হতভাগা দেশে জণ্ম ! খোকন মামাকে সেই ছোট বয়েস থেকে আমি নিজের মামা হিসাবে জানি মজার কথা তিনি আমার খালু , তার সাথে মাছ ধরতে যাওয়া ,পাখি শিকার করতে যাওয়া , প্রচন্ড গরমে হঠাত করে আসতেন তার বিশ্ববিখ্যাত নীল্ ভেসপা নিয়ে আম্মাকে মানিয়ে নিতে তিন সেকেন্ড মত লাগত তার ,তার পর উনার নীল্ পন্খীরাজে চড়িয়ে আমি আর উল্কা আপ্পুকে নিয়ে চলে যেতেনমতি ঝিলের'' ইগলু'' আইস ক্রিমের দোকানে সেই সময়ে পুর ঢাকা শহরে একটাই আইস ক্রিমের দোকান,সে গরমে আমি আর উল্কাপু যখন খোকন মামার হাত ধরে সেই দোকানটিত়ে প্রবেশ করতাম আমাদের মনে হতো সাইবেরিয়ার কোনো রূপ কথার রাজ্যে চলে এলাম l এরপর আইস ক্রিম খাওয়ার কথা কি বলব, উনি বলতেন দোকানের লোকদের 'আমার দুই মা জননীকে নিয়ে এসেছি খাতিরের কোনো কমতি হলে তোমাদের খবর আছে ! দোকানের সবচেয়ে মজার আইসক্রিম দুজনের জন্য নিয়ে এস ! তুমি বল্লে বিশ্বাস করবে না সে সময়ে যেই আইস ক্রিম আমি আর উল্কাপু আমাদের খোকন মামা আমাদের খাইয়েছেন তোমরা বা এখন এখনকার বাংলাদেশের কোনো পাচ তারা হোটেল গুলুত়ে পরিবেশন করতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে , বড় দুটু নৌকা আকৃতির পরিবেশন পাত্রে চকলেট, ভেনিলা ,স্ট্রবেরী আইসক্রিম থাকতো চারিপাশটা সাজিয়ে দিতো ফ্রুট দিয়ে (কলা, আপেল ,আঙুর , বাদাম পেস্তা )l খোকন মামা আমাদের পাশে বসে থাকতেন অথবা তার ঐতিহাসিক ঝোলা থেকে কাগজ পেন্সিল রং বের করে নিজের মনে কাজ করতেন টেবিলের অন্য পাশে বসে আর দেখতেন আমরা যে কত তৃপ্তি নিয়ে নৌকা ওয়ালা পাত্র থেকে ঘন্টা খানেক লাগিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছি , খোকন মামাকে নিয়ে আমার এমন আনন্দের কত যে স্মৃতি আছে তা বলতে গেলে আমাকে সত্যিকার অর্থে একটি বই লিখতে হবে , তিনি আমার কোনো বড়লোক টাকা ওয়ালা মামা ছিলেন না ,তিনি ছিলেন অনেক বড় হ্রদয়ের মানুষ ! রোজগার করতেন কম কিন্তু তিনি যখন খরচ করতেন তখন যেকোনো কোটিপতি মামাকে হাড়িয়ে দিয়েছেন অনায়েসে ,এ আমি হলফ করে বলতে পারি !!এমন হ্রদয়বান মামা দুরে থাকুক নিঃস্বার্থ মানুষই খুঁজে কেউ পাবে না এ যুগে !
©somewhere in net ltd.