![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই দেশ, বাংলাদেশ।
লেখাটি আমার প্রীতি আপুর। ভাল লাগলো তাই প্রকাশ করে দিলাম।
মাহবুব ভাই , আপনি কি ঢাকায় ? আপনাদের ছবিগুলু দেখে আমাদের সেই পুরান দিনের কথা মনে করিয়ে দিলো। আপনাদের বাসায়ে যখনই যত অনুষ্ঠান হত আমরা চার রত্ন একত্র হতাম মুনমুন,মাহবুব,উল্কা,প্রীতি এরা ছিলো অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ! কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও আমাদের আদরের খালুয়াব্বা অনুষ্ঠান বানানোর বুদ্বি দিয়ে দিতেন ,বলতেন :যা তোরা ছাদে পিকনিক কর,বাজার আমি করছি ! আমদের প্রিয় জানু খাল্লামা জানতেন বুদ্বি কার ! কিন্তু রাগ করার সুযুগ থাকতো না,উনি উদ্বেগ প্রকাশ করতেন ''পোলাপন দিয়ে কিসের রান্নাবানা ,হ্যা এর কোনো মানে আছে ?'' উনি জানার আগেইআমরা যে chiefexecutive এর permission পেয়ে গেছি তা উনি জানতেন না ! মজার কথা হলো খালুব্বাকে আমাদের কখনই পটাতে হতো না ,উনি সব সময়ে বাচ্চাদের এত ভালোবাসেন যে এমনিই আমাদের যে কোনো মজাতে নিজেই বাচ্চা হয়ে যেতেন। তারপর আমরা চার রত্ন খালুব্বার আনা বাজার নিয়ে মহা ধুম মাচিয়ে ছাদের এককোনে চাদর টানিয়ে পিকনিক লাগিয়েছি। সেই প্রথম আমি বায়না ধরলাম খালুব্বার আনা কবুতর বটি দিয়ে কাটবো কিন্তু জানু খাল্লাম্মা কিছুতেই দিবেন না ,বাচ্চাদের আবার বটি দিয়ে কি কাজ ! সেখানেও আমাদের রক্ষাকারী ফেরেশতা আমার প্রিয় খাল্লুব্বা আমার পক্ষ্য নিলেন ,ওদের পিকনিক ওদের কবুতর ওরা না কাটলে ওদের মজাটা রইলো কই ?ব্যাস মামলা আমার পক্ষ্যে ! জানু খাল্লামার শত শঙ্কা কাটিয়ে খালুব্বার instructions-এ জীবনের প্রথম বটি দিয়ে কবুতর কাটার সাফল্য অর্জন করলাম ! আমার অতি প্রিয় মায়াবতি খাল্লামাও সাটিফিকেট দিয়ে ফেললেন ''আরে তুই তো বড় আপার মত সুন্দর করে কুবুতর কেটে ফেললিরে !! এত বড় সাটিফিকেট পেয়ে বুক ফুলে শত গুন হলো আমার ! খালুব্বা মিষ্টি করে হাসলেন।এরপর হই হল্লোর করে করে সবাই মিলে কবুতর ,পোলাও রান্না হলো ইটের চুলাতে।সেকি আনন্দ করে খাওয়া দাওয়া। এরপর মুনমুন,মাহবুব ভাইয়ে অতি উচ্চ স্বরে সালেকা মালেক গাওয়া গামলায় চামুচ পিটিয়ে,আমার অতি আদরের উল্কাপুকে অত্যাচার করে ফেলতাম তাকে গান গাওনোর জন্য শেষমেষ তাকেও গান গেতেই হত ,কারণ আসলে আমাদের মধ্যে উনিই ছিলেন আসল শিল্পী,আমরা ছিলাম fake ! উনার গান শুনতে শুনতে কখন যে সন্ধার অন্ধকার ঘনিযে এসেছে , আমাদের সুন্দর একটি দিনের সমাপ্তি হয়েছে তা জানতেও পারিনি। হঠাতই জানু খাল্লাম্মার ডাকে সম্বিত ফিরে এলো ''দুষ্টরা ঘরে আয়,সারাদিন অনেক দুষ্টামি হয়েছে ! আজ আমি ভাবি ভেবে উদাস হই ,আমাদের ভাই বোনদের মধ্যে যে আদর ,টান আর বড়দের অকৃতিম যে ভালবাসাবায় সিক্ত হয়ে বড় হবার সুযোগটি আমরা পেয়েছে তাকি আমাদের পরের প্রজন্ম পাচ্ছে ? এই অকৃতিম অনুভুতিগুলু আজ হারিয়ে যাচ্ছে ? কিন্ত মাহবুব ভাই আপনার ছবিগুলু দেখে মনে অনেক শান্তি হলো। আজ থেকে ৩৫/৪০ বত্সর আগে আমরা যেখানে ছিলাম সেই জায়গা আজ পূর্ণ হচ্ছে আপনার ,জয়ের ,উল্কা আপুর সন্তানদের দিয়ে ! এগুলু লিখতে লিখতে কখন যে চোখ জাপসা হয়ে উঠেছে বুঝতে পারিনি -এই অশ্রু শুধুই আন্দদের ! সব পিচ্চি গুলুকে আমার আদর আর ভালবাসা দিবেন। আমার অতি প্রিয় খালুব্বাকে তার জন্মদিনের জন্য রইলো আমার শুভকামনা ''আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ ,সবল এবং হাজার বত্সর হায়াত দরাজ করেন , যেন আমরা উনার আদরের ছায়া থেকে বঞ্চিত না হই। আপনি ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে ~প্রীতি
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর স্মৃতির লেখা ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পারিবারিক চিঠি।
''আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ ,সবল এবং হাজার বত্সর হায়াত দরাজ করেন , যেন আমরা উনার আদরের ছায়া থেকে বঞ্চিত না হই। আপনি ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে ~প্রীতি