![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই দেশ, বাংলাদেশ।
লেখাটা আমার প্রীতি আপুর।ভাল লাগলো তাই দিয়ে দিলাম।
মাঝে মাঝে মন খুব খারাপ থাকে ! কোনো কারণ ছাড়াই ,মনে হয় সব কিছু বদলে দেই ,আমার আশেপাশে যা কিছু আছে তা হউক মানুষ,তা হউক আকাশ, বাতাস ,গাছ পালা !তা করতে না পেরে মানুষ হিসেবে উপলব্ধি করতে পারি মানুষের শক্তির সীমাবদ্ধতা ......আমাদের এই বর্তমান পৃথিবী শুধু তুমি আমি ,আমি তুমি।
..এমন একটা জীবন নিয়ে বেচে থাকার স্বাদ বড় বিস্বাদময় , আমি নিজের সুখকে যেমন অন্যের সাথে ভাগ করতে চাই আবার অন্যের দুঃখকে নিজের করে দেখতে চাই ,তবে মানুষ এখন দুঃখকেও ভাগ করে নিতে স্বার্থপর হয়ে উঠেছে ..পৃথিবী নাকি ছোট হয়ে এসেছে , এতে নাকি মানুষ মানুষকে কাছে নিয়ে এসেছে ,তাই নাকি ? কিন্তু এই ফেসবুকে দশজনের মধ্যে একটা সমীক্ষা চালালে দেখা যাবে তার নিকটতম দশ জনের মধ্যে পাচজন স্বজনের ফোন নাম্বার বলতে পারবে না , বলবে সেভ করা আছে ফোনে !!
মানুষের ভালবাসা , পিছুটান ,আদর ,ঘৃনা ,অনাদর,আদর নামক অনুভুতি প্রযুক্তির শক্ত বেড়া জালে শক্তভাবে আটকে গেছে। 'প্রযুক্তি' অনেকটা কারেন্ট জালের মতো ,আমরা হলাম সেই সোনালী ইলিশ, ওই জালে আটকা পরে আমাদের সম্পর্কের মৃত্য হচ্ছে প্রতি সেকন্ডে ,প্রতি মিনিটে ,প্রতি ঘন্টায় !
আমাদের অনুভুতি প্রযুক্তির শীল পাটার ঘর্ষণে সম্পর্ক ঝাপসা থেকে ঝাপসাতর হচ্ছে ,আজ আমার ফোন নাম্বার আমার ভায়ের ফোনে শেভ করা আছে তাই 'নো চিন্তা ডো ফুর্তি' ওর সাথে আমার দূরুত্বের 'দূরুত্ব' 3,656 মাইল আর সময়ের 'দূরুত্ব' ৭ ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা ,প্রজক্তির আলহাদে আলাহদিত হয়ে গত চার /পাচ্ বছরে আমার স্বরটা শোনার পর্যন্ত আকংখা বোধ করেনি ,ওর কাছে আছে প্রযুক্তির সবচেয়ে দামী শক্ত্তিশালী ফোন ,সেখানে শেভ করা আছে ওর নয় বত্সরের ছোটো বোনের ফোন নাম্বার ,ও চাইলে ন্যানো সমযের ভগ্নাঙ্গশ সময়ে ও আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে !
তাই উতলা হওয়ার প্রয়োজন আছে কি ?আহা ! এই সুযোগ সুবিধা ছিলো না আমাদের খালাদের মায়েদের সময়ে ,তাদের আমি দেখেছি ঘন্টা ধরে আত্মীয় স্বজনের জন্য ঈদের দিন রান্না করতেন অপেক্ষা করতেন আত্মীয় স্বজন জন্য,বাবাকে দেখেছি কোনো চাচা /মামা ঈদ ছাড়াও একটু দীর্ঘ সময় দেখা না হলে নিজে গিয়ে অথবা লোক পাঠিয়ে খবর নিতেন ,এখনকার মানুষের প্রযুক্তিসম বুদ্ধি ছিলো না বলে ভাই ,বোন্ ,আত্মীয়স্বজন ঠিকানা নোট বই এ নোট করা আছে বলে আলহাদে আলাহদিত হতে পারতেন না।
প্রযুক্তিওয়ালাদের বুদ্ধির কদর এখানেই শেষ করলে সত্যই তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে ,কেউ মারা গেলেও (মা,বাবা,ভাই,বোন) তা অতি সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে চোখের জল থেকে আরম্ভ করে ফুল, ফুলের তোরা ,হ্রদয় নিংড়ানো ভাষায় (যা নিজের নয় ) দুঃখ জানানোর বাপ্যার এখন সেকন্ডের !
এখন আমরা এমন এক শক্ত্তিশালী প্রযুক্তির বন্ধনে এবং শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত তা কারো পক্ষে সম্ভব নয় তা থেকে ছুটে বেড়িয়ে যাওয়া তা কি চাট্টি খানি কথা ! তাই বন্ধুরা ভয় নেই, কেও কাউকে হারিয়ে ফেলার যদিও সেখানে থাকবে না মায়েদের আমলের ভালবাসা , পিছুটান ,আদর ,ঘৃনা ,অনাদর,আদর নামক কিম্ভুতকিমাকার অনুভুতি যা এখন একটি 'ক্লিক'এ পাওয়া যায়।
আমাদের পরের প্রজন্ম ওদেরকে হয়তো কে কার ভাই /বোন্ এটা বার করতে কষ্ট করে মিউজিয়ামে যেতে হবে না কারণ এক ক্লিকে হলোগ্রাম টেখনলোজীতে জীবত /মৃত সম্পর্ককে ঘরে এনে আদর আপ্যায়ন করা যাবে প্রয়োজনে। এখানে 'প্রয়োজনে' শব্দ খুবই আপেক্ষিক কারণ আমরা এ জীবনে জীবত ভাই ,বোন্ আত্মীয় স্বজন এড়িয়ে চলি ওদের নাম্বার সেভ করা আছে এই উছিলায় !!
আর মৃত্তদের অস্ত্তিত্ব এখনই ক্রিমটোরিয়ামে জায়গা নিচ্ছে জায়েগার অভাবে সেখানে স্মৃতি শব্দটি বড় বেশী নাটকীয় আজকের জীবনে !তাই মায়েদের আমলের কিম্ভুতকিমাকার অনুভুতির 'মারো গুল্লি' ! তাই 'গাহি গান' প্রযুক্তির জয় জয়কার সবর্ত্র !
কথাগুলু ভাবতে ভাবতে মনে হলো আমার চারিপাশে প্রযুক্তির যে স্বচ্ছ ,শক্ত দেওয়াল আমায় ঘিড়ে ফেলেছে তা শক্ত কোনো লাঠি দিয়ে ভেঙ্গে চুড়ে কোটি টুকরো করি যাতে আমি যখন থাকবনা তখন কেউ যেন দুরে বসে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শোক গাথা লিখতে না পারে আর তাতে লাইকের ফুলঝুড়ি না ঝড়ে। ভেঙ্গে চুড়ে চূড়মার করে নুতন কোনো কিছু স্বপ্ন দেখার স্বাদ জাগে ।এই স্বপ্ন বড় অলৌকিক ,যা কখন হবার নয় ,তুবও দেখি কারণ মানুষের মন বড় লোভী ও কাঙ্গাল তা শুধু ভালবাসার ,যা এই প্রযুক্তির যুগ থেকে অপসৃত ,লুপ্ত ,বিতাড়িত যার খোঁজে আমি ক্লান্ত ,পরিশ্রান্ত !
©somewhere in net ltd.