নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অভি ।

এম আসিফ হাসান

একটি অণু থেকে মহাবিশ্বের সবকিছু অন্তর্নিহিত রয়েছে টাইম-স্পেসে।

এম আসিফ হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেন্ট পিটারবার্গ ভ্রমণ

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

গেছিলাম আসলে ঘুরতে না। Saint Petersburg Electrotechnical University তে তিন সপ্তাহের একটা ট্রেনিং নিতে Mechatronics and Robotics এর উপরে। Winter Vacation. তাই ভাবলাম সময়টাকে কাজে লাগাই।

সেই লেনিনগ্রাদ। রাশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী। দ্বীপ শহর। জাদুঘর আর থিয়েটারে ভরা। ১০০ এর ওপর জাদুঘর আর ২০০ এর ওপর থিয়েটার আছে এখানে। খুবই সুন্দর, সাজানো-গোছানো শহর। ইতিহাস সংরক্ষণ কাকে বলে, এদের কাছে থেকে শেখা উচিৎ। মনে পড়ল আমাদের বরেন্দ্র জাদুঘরের কথা। বছরের পর বছর ধরে কাজ চলছে সব খোলা আকাশের নীচে ফেলে রেখে।

আমার কাছে, মস্কোর চেয়ে অনেক সুন্দর শহর মনে হয়েছে। বসবাস করার জন্য পারফেক্ট।

এই সময়টাতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছিল। বাতাসে আদ্রতা বেশির কারনে।

এখানকার বাসিন্দারা খুব গর্ববোধ করে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারা হার মানেনি। ২৭ জানুয়ারী এই লেলিনগ্রাদ অবরোধের ৭৫ বছর পূর্তি ছিল। এ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হলাম। বিস্তারিত, ছবির বিবরণে।

শহরের প্রধান রাস্তা, নেভস্কি প্রসপেক্ট। দেখার মত সুন্দর ভবনগুলো। লেলিনগ্রাদ অবরোধের সময় অনেকগুলো লাউড স্পিকার বসানো হয়েছিল পুর শহর জুড়ে, যার একটি এখনও আছে, এই সড়কের এক ভবনে।

দ্বীপ শহর বলে ছোট ছোট ব্রিজের অভাব নেই। সবখানেই ইতিহাসের ছাপ।

Saint Petersburg Electrotechnical University . যেখানে গেছিলাম। ইউনিভার্সিটির প্রধান ভবন। শত বছরের পুরনো ভবন।-




প্রধান প্রবেশপথ।-





অন্যরকম।


মেঝেতে এগুলো কাঠের টুকরো, যার ওপর দিয়ে হাঁটলে অন্যরকম এক আওয়াজ হয়। এরকম জীবনে দেখেছিলাম না। অনেকটা কাঠের জাহাজের ডেকের মত।-



এগুল কিন্ত সব শত বছরের পুরনো।-


যেখানে আমরা কাজ করলাম।-


সকাল ১০ টা বাজে। যাচ্ছিলাম ইউনিভার্সিটি তে। বের হয়ে দেখি কেবল আলো ফুটতে শুরু করেছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর পরিস্থিতি। সাথে -২০°C তাপমাত্রা। -


Fabergé Museum in Saint Petersburg, Russia . Easter egg সম্পর্কে ধারনা ছিল না। আমি মনে করি, ডাইনোসরের ডিম এর ফসিল হবে। গিয়ে যা পেলাম, বাকি ইতিহাস। ভেতরটা অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে ওভাররেটেড মনে হয়েছে। মনেহয় আমি এ বিষয়ে জানতাম না, তাই। -


প্রায় সব জাদুঘরেই আপনি অডিও গাইড কিনতে পারবেন। ইহা খুব সহায়ক। ছাত্রদের জন্য ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত প্রবেশ মূল্যে ছাড়।

১৯০২ সালের একটা বই। তৎকালীন রাশিয়ান বইগুলো এরকম হত। দেখার পরে মনে হল সবচেয়ে বড় সমস্যা, আপনি শুয়ে থেকে পড়তে পারবেন না । -


Bronze Horseman। পিটার ডা গ্রেট এর ঘোড়ায় চড়া মূর্তি। শহরের প্রধান আকর্ষণ।-



St issacs cathedral। ইহাও খুব ফেমাস। ভেতরে রেনভেশনের কাজ চলছে। তাই ভেতরে যেতে পারলাম না। খুব সুন্দর ছিল।-



Kazan Cathedral । এটা সবচেয়ে সুন্দর ক্যাথেড্রাল। বাহির তাই বেশি সুন্দর। -



Church of the Savior on Bolvany । আমার কাছে এটিও ওভাররেটেড মনে হয়েছে। হয়তো অনেক বেশি Church ঘোরা
হয়েছে তাই। সোভিয়েত সরকার যখন একাধারে সব চার্চ বন্ধ করা শুরু করল, তখন বন্ধ হয়ে যাওয়া চার্চ এটি। এখন জাদুঘর। টিকিট কেটে ঢোকা লাগে!

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি আদর্শ, তথা রাষ্ট্রের মতাদর্শগত উদ্দেশ্য ছিল ধর্মকে নির্মূল করা। বিশেষ ধর্মের দিকে পদক্ষেপগুলি রাষ্ট্রীয় স্বার্থ দ্বারা নির্ধারিত ছিল, কিন্তু বেশিরভাগ সংগঠিত ধর্মকে কখনও নিষিদ্ধ করা হয় নি।
1920 এবং 1930-এর দশকে ধর্মবিরোধী অভিযানের প্রধান লক্ষ্য রাশিয়ান অর্থডক্স চার্চ ছিল। প্রায় সব পাদরীবর্গ এবং তার অনেক অনুসারীকে টর্চার শিবিরগুলিতে পাঠানো হয়েছিল। ধর্মীয় স্কুল বন্ধ ছিল, এবং গির্জা প্রকাশনা নিষিদ্ধ ছিল।
পরে 1941 সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে নাৎসি জার্মানি আক্রমণের পর, জোসেফ স্ট্যালিন যুদ্ধের প্রচেষ্টার জন্য দেশপ্রেমিক সমর্থনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য রাশিয়ান অর্থডক্স চার্চকে পুনরুজ্জীবিত করেন।


Hermitage Museum St. Petersburg এবং White Palace Cleaners এর মাঝের মাঠ। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। লেনিনগ্রাদ অবরোধের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান।-



Hermitage Museum St. Petersburg। ১৭৬৪ সালে তৈরি। অনেক বড় আকারে। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ আর্ট জাদুঘর। মোট ৬ টা ভবন রয়েছে। পুরোটা দেখতে কয়েকদিন লাগবে। এটি এদের প্রধান জাদুঘর এবং প্রধান আকর্ষণ, অহংকার, গর্ব। ছাত্রদের জন্য একদম ফ্রি প্রবেশ মূল্য। নাহলে প্রায় ২০০০ টাকা। অন্য রকম আভিজাত্য ভেতরটা। -



ছাদ।-




আমার কাছে এই জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ মিশরীয় ব্লক। মমি রাখার পাথরের কফিন। এহা এক্সপেকট করেছিলাম না।


মমি। পিরামিড থেকে হাজার মাইল দূরে এই শীতের মাঝে শুয়ে আছে! কাচের বাক্সটা ভ্যাকিউম চেম্বার। আমি তো এটি দেখে পুরাই অবাক। পুরাই আনএক্সপেকটেড । জীবনে প্রথম এভাবে মমি দেখব, ভেবেছিলাম না। অনেকক্ষণ দেখলাম। জীবনের একটা শখ পুরন হল। আমার দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। Studying Egyptology আমার অন্যতম শখ। টানা ৪ ঘণ্টা কাটালাম এই ব্লকে । গ্রিক ব্লকে যাবার সময়ই পাইনি।-



Russian cruiser Aurora । ইহা একটি জাহাজ। যুদ্ধজাহাজ , যা বর্তমানে জাদুঘর। জীবনে প্রথম এভাবে জাহাজ ভ্রমন হবে, ভেবেছিলাম না!
এরকম আরও একটা জাহাজ জাদুঘর আছে। আছে একটা খাবার হোটেলও। -


শহরের একটি মসজিদ।-


শহরের এক মোড়ে । ভবনের গায়ে মূর্তিগুলো লক্ষ্য করেছেন তো?-


State Russian Museum। অনেক বড় জাদুঘর এটিও। ৩ টা wing. মোট ৭ টা ভবন মিলে। এটি প্রধান ভবন।-


Arctic and Antarctic Museum
এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাদুঘর যা পুরোটা উৎসর্গ করা Arctic and Antarctic Exploration এর ওপর।
১৯৩৮ সালে তৈরি। মজার বিষয় হচ্ছে, এই জাদুঘরের অধিকাংশ জিনিষ ১৯৩৮ সালের পরের। মানে আগে জাদুঘর বানিয়েছে, তারপর তৎকালীন জিনিসপত্র নিয়ে এসে জমা করেছে।



প্রথম প্রজন্মের উড়োজাহাজ যা বরফে ল্যান্ড করতে পারে। এখন রঙ করে টাঙ্গিয়ে রেখেছে। পাখা নাই।


চশমা ও মুখোশ!-


পুরো এন্টার্কটিকা কে যারা যারা পিৎজার মত স্লাইস করে ভাগ করে নিয়েছে।-



এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পেরে খুবি ভাল লাগলো।
সেই সময়টা খুব কষ্ট করেছে এই শহরবাসী। অনেক মানুষ মারা গিয়েছিলো। খাবারের প্রচুর অভাব ছিল। জুতা তৈরির কারখানা থেকে নেয়া রাবার ও আঠাও খাবার হিসেবে ব্যবহার হত তখন। চামড়ার জিনিশও খেত তখন। তবে মানুষ কেটে বিক্রির ছবি ও ঘটনা নাকি ভুয়া। তবে মানুষ ও খেতে হয়েছে তখন তাদের।
সবাই আমাকে বলছিল খুব ভিড় হবে, সাবধান। গিয়ে মনে মনে বললাম, তোমরা ভিড় কাকে বলে, দেখনাই। এই ছিল ভিড়ের নমুনা। —


লেনিনগ্রাদ অবরোধের ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। অসম্ভব রকম সুন্দর। নিজে না দেখলে বোঝা যাবে না। আবহ সঙ্গীত টা কোন এক থিয়েটার থেকে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল। দুপুরের মিলিটারি প্যারেড টা দেখতে পারিনি। সন্ধার এই শো তে গেছিলাম।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছিল। তাও অনেক মানুষ ছিল। -২০ °C তাপমাত্রা ছিল। তাও ১ ঘণ্টা ছিলাম। পা অবশ হয়ে যাচ্ছিল । পিপাসা লেগেছিল খুব। ব্যাগ থেকে পানি বের করে দেখি পানি বরফ হয়ে গেছে। তাই চলে আসতে বাধ্য হলাম।-

অনুষ্ঠান

সেন্ট পিটারর্বার্গ মেট্রো।-




Catherine Palace। এই শহরে প্যালেস এরও অভাব নাই। এটি শহরের একটু বাইরে। সুন্দর।-



সোনালি যা দেখছেন, তা সবই কিন্তু সোনার তৈরি। এখানে চক চক করলেই তা সোনা। সূর্যের আলো পড়াতে কি রকম চক চক করছে !
এম্বার পাথরের একটা রুম ছিল, যা প্রধান আকর্ষণ। ছবি তোলা মানা।


Museum of soviet arcade machines
সোভিয়েত আমলের গেম খেলার মেশিন। গেলে তৎকালীন ৫০ কপেক এর আসল কয়েন দিবে, যা মেশিনে ঢুকিয়ে খেলতে পারবেন।-




Мариинский театр / Mariinsky Theatre । ইউরোপের অন্যতম সেরা থিয়েটার।১৮৬০ সালে তৈরি।
গেছিলাম এখানে। একটা ব্যালেট দেখলাম। নাম 'Shurale' । ১৯৩০ সালে লেখা এক তাতার রুপকথা।-


'Shurale'। অন্যরকম । আসলে তুলনা করার মত আমার কাছে কিছু নেই। জীবনে এরকম কিছু দেখেছিলাম না। লাইভ সঙ্গীত অন্যরকম ছিল। অভিনয়, নাচ, সব ভিন্নরকম ছিল। এরকম কিছু কোনদিন দেখিনে। অন্যরকম নতুন এক অভিজ্ঞতা হল। অসাধারন।-


পুরো থিয়েটারটাই যেন এক জাদুঘর। -


শেষপর্যন্ত যতগুলো জাদুঘরে যেতে পেরেছি।-



সব শেষে-


ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গ্রেট।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

এম আসিফ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার ছবি ব্লগ। ভবনগুলোর ভিতরের কারুকাজ দেখে খুব ভালো লাগলো, অসাধারন!
রাশিয়ায় এখন বাক-স্বাধীনতা কেমন?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

এম আসিফ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল না। মাত্র ২ দিন আগে ১১ জন কে এরেস্ট করা হল Gay rights movement থেকে।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চমৎকার অসাধারন।
ছবিগুলো কি আপনার তোলা?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

এম আসিফ হাসান বলেছেন: জী। সবগুল ছবিই আমার তোলা ...

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫২

জুন বলেছেন: এই শহরগুলোর নাম ইউরোপের ইতিহাস ছাড়াও রাশিয়ান উপন্যাস আর গল্পের বইতে কতশত বার এসেছে তার লেখাজোখা নেই। আপনার ছবিতে তার অনেকটাই দেখা হলো। বিশেষকরে মিউজিয়ামগুলোর উপরের ভল্টের কারুকাজগুলো অসাধারন। অনেকটা সিস্টিন চ্যাপেলের মতই।
মমি রাখার পাত্র যাকে সারকোফেগাস বলে তার কতশত নমুনা দেখেছিলাম মিশরের জাতীয় যাদুঘরে তা বলার নয় ।
ভালোলাগা রইলো।
+

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

এম আসিফ হাসান বলেছেন: সারকোফেগাস, জানতাম না। এরা খুব গৌরব করে লেনিনগ্রাদ অবরোধের গল্প বলে। সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল এদের জন্য। অবরোধের ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক বয়স্করা চিৎকার করে কাঁদছিল। বুঝিনাই কি বলছিল।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর দেখে এলেন। দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল আমার

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

এম আসিফ হাসান বলেছেন: ঘুরে যান। তবে অবশ্যই সামারে।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়াও!

জাস্ট অসাম!
এক দারুন ইতিহাস, ঐতিহ্যের মনোমুগ্ধকর ভ্রমনে ভার্চায়াল সংগী করায় কৃতজ্ঞতা :)

++++++

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

এম আসিফ হাসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

হাবিব বলেছেন: ছবি দেখতে দেখতে ভ্রমন করে এলাম আপনার সাথে।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

আমি মুক্তা বলেছেন: অসাধারণ, জানলাম, দেখলাম এবং পড়লাম অবশেষে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হলাম, একবার নয়, বারবার! অসাধারণ!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

এম আসিফ হাসান বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে খুশি হলাম...

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: অসাধারন ছবিব্লগ। কুনু কথা হপে না। পোস্ট প্রিয়তে।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব চমৎকার!!

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ পোস্ট :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.