![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রিমলিন থেকে। বামের আলকিত বিল্ডিং টা কাজান বিশ্ববিদ্যালয় ।
কাজান। রিপাবলিক অফ তাতারস্তান এর রাজধানী। অথবা বলতে পারেন রাশিয়ার মুসলিম রাজধানী। প্রায় ৬০% মানুষ এখানে মুসলমান। ১০১৩ বছর বয়স শহরটার। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার অপূর্ব মেলবন্ধন। সাথে মুসলিম ধাঁচ। রাশিয়ার অনা শহরগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
কাজান রেল স্টেশন। যেখানে এসে প্রথম পৌছালাম। একটা রেল স্টেশন যে এত সুন্দর হতে পারে, আমার ধারনা ছিল না। যেমন বাহির, তেমনি ভেতর। মস্কো থেকে যেতে ১১ ঘণ্টার মত লাগে ট্রেনে। আমরা নাইট ট্রেনে গেছিলাম। হাই স্পীড ট্রেনও আছে। অর্ধেক সময় লাগবে। নাইট ট্রেনও আমাদের ইলেকট্রিক ছিল। দোতালা।
প্রথমেই কাজান ক্রিমলিন। এখানে প্রধান আকর্ষণ হল একটি প্রাচীন চার্চ আর একটি মসজিদ। সাথে আছে আরও কিছু জাদুঘর আর অফিস।
কুল শরিফ মসজিদ। খুব সুন্দর একটা মসজিদ। কাজান ক্রিমলিনের ভিতরে। ১৯৯৫ সালের তৈরি । এর অঙ্গনেই প্রতি বছর কাজানের সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এটি তুলনামূলক অনেক পরে তৈরি আর ক্রিমলিন এরিয়ার মাঝে শেষ স্থাপনা। এটি এমন ভাবে তৈরি করা যে এর ভ্রমণের উদ্দেশে যাওয়া মানুষের জন্য আলাদা গেট। সেখান দিয়ে ঢুকলে পুরো মসজিদ পেঁচানো সিঁড়ি দিয়ে পুরো মসজিদ দেখা যাবে নামাজি দের কোন বিঘ্ন ছাড়াই! একই সাথে সুন্দর আর আধুনিক।
ভেতরে একটি কাঁচের ঘর দেখতে পাবেন, যেখানে একজন সবসময়, ২৪*৭ কোরআন শরীফ পড়ে, নামাজের সময় বাদে যা সারা মসজিদ জুড়ে শোনা যায়। কাঁচের এই ঘরটি সাউন্ড প্রুফ, যাতে নির্ভিগ্নে পড়তে পারে। অসাধারণ!
অতঃপর, দুই ভাইয়ের তৈরি করা এক ইউনিক জাদুঘরে গেছিলাম, সকল ধর্মের জাদুঘর, যেটিকে তারা সকল ধর্মের উপাসনালয় বলছে। প্রাচীন মিসরীয় দের ধর্ম থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় সকল ধর্মের নিদর্শন পাবেন। আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা।
শহর থেকে কিছু দুরে এক ছোট্ট দ্বিপে। এখানে সব ধনীদের সামার হোম পাবেন আর ঘোরার জায়গা। অসাধারণ। পাহাড়ি দ্বিপ। শহর থেকে দুরে, নদীর ধারে, পাহাড়ের পাদদেশে এরকম একটা বাসায় থাকতে মন্দ লাগার কথা না। আরও রয়েছে শত বছরের পুরনো চার্চ, জাদুঘর আর বিভিন্ন খাবার জায়গা। আমরা লাঞ্চ করেছিলাম শত বছরের পুরনো এক রেস্টুরেন্টে। নিচু ছাদ আর পুরু দেয়াল, অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
আচ্ছা, এবার বলেন তো, এটা কি? জাদুঘর? থিয়েটার? না। সরকারি হাসপাতাল। এক মুসলিম ধনী ব্যবসায়ীর দান করা এ ভবনে সরকার এক হাসপাতাল গড়ে তোলে।
এখানে লেখা আছে - 'আল কল আহ', মানে Friendship. তখন কম্যুনিস্ট এর সময় ধর্মীয় কিছু প্রদর্শন নিষিদ্ধ ছিল। তাই এটা এমন ভাবে লিখেছিলেন যাতে দূর থেকে 'আল্লাহ' লেখা মনে হয়।
পেছনে ওটা নদী। জমাট বাঁধা নদী। সামনে আমি জ্যাকেটের মদ্ধে লুকিয়ে! নাইলে গতি নাই। -২০°C তাপমাত্রা...
মানুষ জনের বাড়িঘর গুলা খুব সুন্দর।
রঙ্গিন বাড়িঘর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাঠের তৈরি, তাছাড়া কংক্রিট আর কাঠের মিক্স বাড়িও আছে। নিচতলা কংক্রিট বা পাথরের, অপরতলা কাঠের।
মেচেত আল - মারদখাআনি । অন্যতম পুরাতন একটা মসজিদ। ১৭৬৭ সালের তৈরি। এই অংশ মহিলা দের জন্য। ডানে পুরুষদের। ভেতরে ঢুকেছিলাম।
পুরুষদের অংশে, দোতালায় যখন যাই, সেখানে এক নতুন দম্পতি মাত্র বিবাহ সম্পন্ন করে যেখানে নামাজ পড়ে, সেখানে বিভিন্ন ভাবে ছবি তুলছিল! আমি তো অবাক! ক্যামনে কি! কিছুক্ষণ পরে, এক পর্যায়ে তারা ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে চুম্বনরত অবস্থায় ছবি তুলতে লাগল, মসজিদের ভেতরেই!!! আমি তো হাঁ হয়ে চেয়ে রইলাম। পরে এক বন্ধু দেখে আমার চেতনা ফিরিয়ে আনল। এ দুনিয়াতে যে আর কত কিছুই যে দেখব, আল্লাহই জানে। পরে জানলাম, ইহা ইনাদের কালচার। ব্যাপার না!
আচ্ছা, এবার এটা কি, বলেন তো? জাদুঘর? থিয়েটার? না। ব্যাংক। সরকারী লোকাল ব্যাংকের একটা শাখা। পুরা ফ্লোরেন্স শহরের ব্যাংকের মতন।। (এসাসিন্স ক্রিড ২ এর)।
টাওয়ার। ৪০০ বছর বয়স প্রায়। কাজান শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
এম আসিফ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। প্ল্যান করে চলে আসুন। ইউরোপের মতন খরচ নয়। অনেক কম।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একসময় এই এরা পৃথিবীর অর্ধেকটা দখল করে ফেলেছিল
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভালো যেহেতু লেগেছে,, অব্যশই যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ উপভোগ করলাম।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
মার্কো পোলো বলেছেন: ভালো লাগলো।
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অসাধারণ, আপনি চাইলে আর্কাইভ থেকে আমাদের কে আরো ছবি দেখাতে পারেন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
এম আসিফ হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার আইডিয়া দেবার জন্য। সামনের পোস্টগুলোতে এই ফিচারটি পাবেন। আপাতত আমার ফেসবুক পোস্টে অনেকগুলো ছবি পাবেন। ঘুরে আসতে পারেন।
https://www.facebook.com/oviasif.ovihasan/posts/1919018091480305
https://www.facebook.com/oviasif.ovihasan/posts/1920468278001953
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
নাহার জেনি বলেছেন: আফসোস হয়,,যদি আমরাও যেতে পারতাম।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
এম আসিফ হাসান বলেছেন: প্ল্যান করে চলে আসুন।
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: চমৎকার সব নির্মাণ শৈলি, মুগ্ধ হলাম ।
৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫১
আরোগ্য বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
এম আসিফ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত ঝকঝকে ছবি পোস্টের আকর্ষণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
এম আসিফ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৭
জগতারন বলেছেন:
আমি মুগ্ধ হইয়া এই ছবি ব্লগটি দেখিলাম।
অসাধারন; যেমনই বর্ননা তেমনই সুন্দর সুন্দর ছবি।
আমি একবার মস্কো, রাশিয়ায় ১৯৯৯ সালে রেড়াতে গিয়াছিলাম।
এখনও আমার তিনটি স্মৃতি মনে আছে;
১) Los Angeles, California থেকে যাত্রা KLM Airlines-এ মস্কো, পথে উত্তর মেরু'র ভয়ংক সুন্দর অরোরা রস্মি অবলোকন।
২) মস্কো'র নির্মম ঠান্ডা (যার সাথে আগে কখোনও আমি অভস্ত ও পরিচিত ছিলাম না, তাই সেইরকম পোশাক আমার ছিল না। আর
৩) মস্কো'র চিকন চিকন ও অসাধারন সুন্দুরী মহিলা যাহা আমি আগে কখনও দেখি নাই।
এই লেখায় ব্লগার এম আসিফ হাসান রাশিয়ার কিছু মেয়ে মানুষের ছবি দিলে পাঠক-পাঠিকাদের বুঝতে সুবিধা হত।
আমি সত্য নাকি মিথ্যা বলিয়াছি।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
এম আসিফ হাসান বলেছেন: ১৯৯৯! পুতিন পূর্ববর্তী সময়! আরেকবার এসে ঘুরে যান, অনেক পরিবর্তন হয়েছে মস্কোর। এবার শীতে মুরমান্সক যাবার ইচ্ছা আছে, সেখান থেকে অরোরা দেখা যায়। ২৪*৭ অন্ধকার থাকে জানুয়ারী তে।
কঠিন ঠাণ্ডা। ঝড়ের গতিতে বেয়ে চলা বাতাস সূচের মত গায়ে এসে বিথে। আমার মত জ্যাকেটের মদ্ধে না লুকলে অবস্থা খারাপ।
৩ নং পয়েন্টের সাথে যে কারোর পক্ষেই দ্বিমত পোষণ করা অসম্ভব! অস্বাভাবিক রকম সুন্দরী এরা। বর্তমানে তিন ধরনের তরুণী দেখতে পাবেন ।
প্রথম রকম, যারা খুব সাজু-গুজু করে থাকে, নকল নখ, সুন্দর পরিপাটি পোশাক, কেও কেও বাইরে বরফ পড়ছে তাও মিনি স্কার্ট পরে।
দ্বিতীয় রকম, যারা অতো সাজু-গুজু করা না। ন্যাচারাল।
তৃতীয় রকম, যারা ছেলেদের পোশাক পরে থাকে, ছোট ছোট চুল, ক্ষেত্র বিশেষে রঙ্গিন। কান, ঠোঁটে দুল পরা, চেন গলায়।
মেয়েদের সিগারেট খেতে দেখে প্রথম প্রথম খুব অদ্ভুত লাগতো।
১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শহরটি ঝকঝকে পরিষ্কার, নির্মাণশৈলী অসাধারণ - আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর | পোস্টটি পড়ে সেখানে যাওয়ার খুব ইচ্ছে করছে | তাতারদের কিছু ছবি দিলে ভালো হতো |
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪
এম আসিফ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমরা একটা জাদুঘরে গেছিলাম, যেখানে তাতার দের ট্র্যাডিশনাল ড্রেস আমরা পরেছিলাম। সেগুলো, এবং লোকালদের কিছু ছবি নিচের লিঙ্কে পাবেন।
https://yadi.sk/a/_dP9eaBUcQV8ig
১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
জগতারন বলেছেন:
ভেতরে একটি কাঁচের ঘর দেখতে পাবেন, যেখানে একজন সবসময়, ২৪*৭ কোরআন শরীফ পড়ে, নামাজের সময় বাদে যা সারা মসজিদ জুড়ে শোনা যায়। কাঁচের এই ঘরটি সাউন্ড প্রুফ, যাতে নির্ভিগ্নে পড়তে পারে। অসাধারণ!
সত্যি অসাধারন ও অভিনব !!!
এই রকম বিনম্র ইসলাম-এর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এর আগে কোনও দেশে আছে বলে শুনি নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ। এই স্থান গুলোতে যদি যেতে পারতাম জীবনটা ধন্য হয়ে যেত। আমার দেখা ছবি ব্লগের মধ্যে এটি অন্যতম তাই । +++