![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয়রাজ। পড়তে ভালবাসি, সেই সাথে লিখতেও। অভিযাত্রী নামে একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে লিখি।
ছাত্রজীবন হল পরবর্তী জীবনে প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। শৈশবের সেই ছেলেমানী ব্যাপারগুলো ঝেড়ে ফেলে একজন মানুষ নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরি করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়টাই ছাত্রজীবন। এই পর্যায়ে এসে একজন মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে আবিস্কার করে, নতুন করে তার ভেতরের সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা টের পায়। বাস্তবমুখী শিক্ষার পাশাপাশি সমাজ, দেশ, পৃথিবী সর্বোপরি মানবকল্যানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয় ছাত্রজীবনে।
কেউ কেউ পড়াশুনাকে শুধু পরবর্তী জীবনে আয় রোজগারের পথ হিসেবে ভাবে অন্যদিকে কেউ কেউ এটাতে জীবন গঠনের অনুষঙ্গ হিসেবে মেনে নিতে শুরু করে ছাত্রজীবন থেকেই।
এই সময়ে যেমন অনেক সম্ভাবনা থাকে ছাত্রদের মাঝে তেমনি মাত্র কিছু ভুলের জন্য ছাত্রজীবন হয়ে উঠতে পারে ভীষণ দুর্বিষহ এবং জীবনের কালো অধ্যায়।
তাই সময় থাকতে সময়ের মর্জাদা দিয়ে এই সময়ে এসে মানুষ যে ভুলগুলো করে আগে থেকেই তাতে সচেতন হওয়াটা খুব জরুরী। আমরা এখানে এমন কয়েকটা ভুল নিয়ে আলোচনা করবো যা পরবর্তী জীবনে মানুষকে ভোগায়।
১. সময়ের সদ্ব্যবহার
বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে- “সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়”। এর অর্থ কি জানেন?
সহজ করে বললে সময়ের কাজ সময়ে না করলে যেখানে খুব সহজভাবে কোন একটা কাজ হয়ে যাবার কথা, সেই কাজটি উপযুক্ত সময় চলে গেলে করতে অনেক বেগ পোহাতে হয়। কথাটি সব ক্ষেত্রে সত্য। ছাত্রদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হতে পারে এই কথাটি। কারণ হেলাফেলা করে সময়টা কাটিয়ে দিলে পরবর্তী জীবন পস্তাতে হয়।
২. অলসতা
ছাত্রজীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে অলসতা। দেখা যায়, ঠিকমতো পড়াশুনা না করে ছাত্ররা বেশি পছন্দ করে অন্যান্য কাজ করতে। সব কাজ করা যায় কিন্তু শুধু পড়াশুনা করতে গেলেই কেমন যেন সবকিছু এলোমেলো লাগে। আসলে পড়াশুনার প্রতি এই অনীহা, ভীতির কারণ অলসতা। তাই যত দ্রুত সম্ভব অলসতাকে বিদায় জানানোর সময় এখনই।
৩. ক্লাস মিস করা
তুলনামুলকভাবে অমনোযোগী ছাত্ররা আরেকটা ভুল করে, তারা ঠিক মতো একাডেমিক ক্লাস করতে চায় না। এর ফলে যখন পরীক্ষা চলে আসে তারা তখন দিশেহারা হয়ে যায়। সবকিছু নতুন নতুন লাগে। হতাশ হয়ে পড়ে তখন। এর ফলে পরীক্ষা ভাল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
৪. প্রশ্ন না করা
অনেক ছাত্রছাত্রী থাকে অন্তর্মুখী স্বভাবের। ক্লাস টিচারকে প্রশ্ন করতে তাদের সংকোচ বা লজ্জা লাগে। ফলে টিচার যখন ক্লাসে কোন জটিল বিষয় পড়ান তখন কোনকিছু না বুঝলেও তারা প্রশ্ন করতে পারে না ক্লাস টিচারকে। এরফলে পরবর্তী সময়ে এসে বিপদে পড়ে তারা।
৫. স্টাডি রুটিন না মানা
শুধু মাত্র পড়াশুনা করলেই হয় না। একজন ভাল ছাত্র ও দুর্বল ছাত্রের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ভাল ছাত্র পড়াশুনার ব্যাপারে প্রচণ্ড বুদ্ধিমান। সে জানে কোনটাকে কীভাবে পড়ে মনে রাখতে হয়। শুধু দিনরাত এক করে পড়লেই পরীক্ষায় ভাল করা যায় না। ভাল করতে হলে দরকার একটা প্রোপার স্টাডি গাইড ও রুটিন মানা। একটা স্টাডি প্ল্যান করে পড়াশুনা করা।
৬. ভবিষ্যৎ যব মার্কেট সম্পর্কে না জানা
ধ্রুন আপনি হাঁটছেন, কিন্তু আপনি জানেন না কথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন? তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়? কিন্তু আপনি যদি আগে থেকেই জানেন কোথায় যাচ্ছেন, সেখানকার আবহাওয়া কেমন, সেখানে কীভাবে যেতে হয়, তাহলে আপনার জন্য সেই যাত্রাটা সফল এবং ফলপ্রসূ হবে। তাই আপনি যাই পড়াশুনা করেন না কেন, ছাত্রাবস্থায় যব মার্কেট নিয়ে জানাটা আপনার জন্য খুব জরুরী।
৭. খারাপ সঙ্গীদের সাথে মেশা
ছাত্রজীবনে আপনি কেমন মানুষের সাথে মিশছেন এর উপর নির্ভর করছে আপনার ছাত্রজীবনে ফলাফল কেমন করছেন। একটা কথা আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। এটা শুধু কথার কথাই না। মেনে চলার ব্যাপার।
দ্রষ্টব্যঃ লেখাটি একটি Bangla online portal অবলম্বনে নিজের মতো করে লিখেছি। কোন ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইল।
ভাল থাকুন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩২
জয়রাজ অভিযাত্রী বলেছেন: প্রিয়! এই লেখায় পয়েন্ট ৭টিই। ১০টি টাইপিং করতে ভুল হয়ে গিয়েছিল! ধন্যবাদ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ৭ টা পয়েন্টই খুব গুরুত্বপূর্ন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৯
আরোগ্য বলেছেন: আর তিনটা পয়েন্ট কোথায়?