নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।
শাড়ি পড়লে পূজাকে হিন্দি ছবির নায়িকাদের মতো লাগে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়ে পূজা। সুন্দরী হয়ে পরিবারকে ফেলেছে বিপদে। এস.এস.সি. পরীক্ষা দেবার আগে সে বাসায় যে স্যারের কাছে পড়তো, সেই ভদ্রলোক পূজাকে প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন গোটা বিশেক। মৃত্যু তার সঙ্গে প্রতারণা করে আজো দিব্বি বাঁচিয়ে রেখেছে। এই মৃত্যু ব্যাপারটা অদ্ভুত। আলিঙ্গন করতে চাইলে পাশ কাটিয়ে যায়। প্রয়োজনে দুটো বছর বেশি বাঁচতে চাইলে যেন গলায় পায়ের চাপ দিয়ে এসে শ্বাসরোধ করে।
পূজা আজো তার প্রেমে পাগলাটে স্যারকে মনে রেখেছে। স্যারের জন্য মায়া লাগে। তিনি নিশ্চয়ই তাকে ভালোবাসতেন। শখ করে কেউ বিষ, ঘুমের ওষুধ খায়না। তখন পড়াবার মাঝে স্যারের প্রেমময় দৃষ্টিকে আপদ মনে হতো। আজকাল কেন যেন ওই ভদ্রলোকের বড় চোখ দুটোর কথা মনে পড়ে। উনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন কে জানে! উনি কি এখনো তার মতো চেহারার কোন মেয়েকে রাস্তাঘাটে দেখলে চমকে উঠেন! নাকি প্রতিমা, সরস্বতী নামে কাউকে ভালোবেসে দিব্বি বেঁধেছেন সুখের ঘর।
পূজা যখন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে তখন আচমকা একদিন রাস্তায় তার সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়া মাহাতাব স্যারের দেখা হলো। স্যার শুকিয়ে গেছেন। একটা সুতির শার্ট পরনে। মাথার দুপাশে কানের কাছাকাছি জায়গায় চুলে পাক ধরেছে। পূজা পেছন থেকে ডাকতেই মাহাতাব চমকে উঠে ঘুরে তাকায়। চোখের পলক না ফেলে তার দিকে তাকিয়ে থাকে অন্তত মিনিট তিনেক। নির্লিপ্ত নরম গলায় জিজ্ঞেস করে।
পূজা কেমন আছো?
-স্যার আমি ভালো আছি। আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন! কতো বছর কেটে গেছে এর মাঝে।
ছয় বছর এগারো মাস তিনদিন একটা মানুষের চেহারা ভুলে যাবার জন্য খুব বেশি সময় নয় পূজা।
-স্যার আপনি কিন্তু পড়াবার শেষ মাসের টাকাটা নেননি।
আসলে স্লিপিং পিল খাবার পর নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো আই অ্যাম গুড ফর নাথিং। তাই আর তোমার বাসায় পা রাখিনি।
-আমি তো খুব ছোট ছিলাম স্যার। আব্বা আপনাকে অপমান করেছিলো অকথ্য ভাষায়। আমি পর্দার ওপাশে দাঁড়িয়ে আপনাকে নাজেহাল হতে দেখে হাসছিলাম ফিচফিচ করে। আমাকে ক্ষমা করবেন।
শাড়ি পড়লে তোমাকে দেবীর মতো মনে হয়। কথাটা এর আগে বলেছে কেউ তোমাকে?
- না স্যার। এই কথাটা শুনে আপনার সাথে বসে এক কাপ চা খেতে ইচ্ছা করছে।
টং এর দোকানে খেতে হবে তাহলে। সাড়ে আটহাজার টাকা বেতনে বীমা অফিসে কেরানীর চাকরী করি।
-তাই খাবো স্যার। তাছাড়া ডাল, আলুভর্তা খেয়ে অভ্যাস আছে আমার।
কি বলছো বিড়বিড়িয়ে? তরকারী খাবে চায়ের সাথে!
-না স্যার তেমন কিছুনা। আপনার জীবনসঙ্গিনী কেমন আছেন তা তো জানা হলোনা।
বিয়ের পিড়িতে বসা হয়নি পূজা। আমি নীল স্কার্ট পড়া চুলে দুই ঝুঁটি বায়োলজি, কেমিস্ট্রি পড়া সেই মেয়েটাকে ভুলতে পারিনি।
-আপনাকে মাহাতাব বলে ডাকাটা কি বেয়াদবি হবে স্যার?
বেয়াদবি হবে। ঘুমের ওষুধের ঘোর কেটে আজকাল রাতে ঘুম আসেনা।
-মাহাতাব শোন, বেয়াদব পূজা মধ্যবিত্ত আদরে বাকিটা জীবন তোমার চুলে হাত বুলিয়ে ঘুম পারাতে রাজি আছে। সে হারিয়ে ভালোবেসে ফেলেছিলো তার স্যারকে আরো কয়েকজনম মাধুকরী সোহাগে রেখে হাজার বছর পুরানো সে পাপের প্রায়শ্চিত্য করতে চায়। আর এই মুহূর্তে চোখের কোণে জমে ওঠা জলটা দেবীর শাড়ির আঁচলে মুছে নিতে পারো।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: সুন্দর সাবলীল প্রকাশ..... ভালো লাগলো
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফাউল গল্প।
থার্ডক্লাস হিন্দি সিনেমার কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছেন?
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
আলী বলেছেন: মধ্যবিত্ত আদরে বাকিটা জীবন তোমার চুলে হাত বুলিয়ে ঘুম পারাতে রাজি
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: *আহ ! শেষ হয়েও হলো না শেষ । মহাতাব স্যারের উত্তরটা পাওয়া হলো না সকালের শুভেচ্ছা সহ লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ*