নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্পা আমার জন্য চা বানাতে বানাতে শুকিয়ে গেছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

অর্পা আমার জন্য চা বানাতে বানাতে শুকিয়ে গেছে। আমি খুব চা খাইতো। তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো হয়তো লেখক স্বামীকে বিয়ে করা। চা বানিয়ে বেচারির একটা জীবন কেটে গেলো। যখনই আমার সাথে দুটো চারটে সুখদুঃখের কথা বলতে আসে সে, দেখে আমি মুখ গুঁজে টেবিল চেয়ারে বসে লিখছি। কাহাতক আর অমন থিয়েটারের দৃশ্য সহ্য করা যায়।


তবু রক্ষা সে ভদ্রলোকের মেয়ে। আমায় তেমন গালমন্দ করেনা। সেই যখন বিয়ের আগে প্রেম করতাম, অর্পা চিপস কোল্ডড্রিঙ্ক পছন্দ করতো। বছর ঘুরলে আশীর্বাদ কোলে আসবে সে খবর নেই! এখনো প্রতি বিকেলে লুঙ্গি চেঞ্জ করে প্যান্ট পায়ে গলিয়ে বাসার নিচে দোকান থেকে ওসব ছাইপাশ কিনে আনতে হয়। বেচারি শখ করে খায়। ভারি মায়া লাগে আমার। জানি রাতে ডাল আলুভর্তা আইটেম। তবু জীবনটাকে সুন্দর মনে হয়।
একটু একটু করে পেটের আকৃতিতে পরিবর্তন আসছে মেয়েটার।

নিজেকে বাবা বাবা লাগে। এই তো সেদিনও স্কুলে যেতাম। মা লালশাক দিয়ে ভাত খাইয়ে দিতো। ছোটবোনটা পেছন থেকে দাদাই বলে গলা জড়িয়ে ধরতো আমার। আজ নিজের ঔরসজাত কেউ গুটুগুটু পায়ে হাঁটবে, তাল সামলাতে না পেরে গলা জড়িয়ে ধরবে সে স্বপ্ন দেখি। জীবনটা এতো দ্রুত কেটে যায় কেন? শৈশব বুঝতে না বুঝতেই কৈশোর পেরিয়ে যৌবন এসে গেলো। আজকাল দায়িত্ববান মহাপুরুষের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলি।

আমি তেমন ধর্মে কর্মে বিশ্বাস করিনা। জ্ঞানীদের মোটা মোটা বই পড়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে মাথা বিগড়েছে। ওটিতে যখন অর্পা ধ্বংসের কষ্টে সৃষ্টির জন্যে অপার হয়ে কাতরাচ্ছিলো, আমি শক্তপুরুষ হু হু করে কেঁদে ফেলি। ডাক্তার আমার কোলে মেয়েকে তুলে দেয়। বিশ্বাস অবিশ্বাস ভুলে আমি ডাক ছেড়ে আজান দেই। কৃতজ্ঞ চোখে অর্পার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলি, আমি আজ থেকে সারাজীবন নিজ হাতে তোমাকে চা বানিয়ে খাওয়াবো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি।
অর্পার জন্য শুভকামনা।
+++

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৭

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: বেশ ভাল ! প্রথম মা অথবা বাবা হওয়ার আনন্দটি বোধ হয় এ রকমই হয় !

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি, শুভকামনা রইলে, আশাকরি পাশে থাকবেন সামনে দিন গুলিতে।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: জ্বি দাদা !

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
দারুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.