নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

*"অন্ধকার থেকে আলো: নীলার অনন্ত যাত্রা"**

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:১৬



**"অন্ধকার থেকে আলো: নীলার অনন্ত যাত্রা"**

নীলার জীবনে সবকিছু যেন একটার পর একটা ধস নামছিল। বাবার মৃত্যুর পর মা-ই ছিল তার একমাত্র ভরসা। কিন্তু মাস তিনেক আগে ক্যানসারে মা-ও চলে গেলেন। বিধ্বস্ত নীলা নিজেকে আটকে রাখে শীতল একটা ফ্ল্যাটের চার দেয়ালে—বাবা-মায়ের স্মৃতিতে ঠাসা। দিনের পর দিন সে শুধু জানালার পাশে বসে থাকে, নিচের রাস্তায় ছুটে চলা মানুষের দিকে তাকিয়ে। তাদের হাসি, কথা, ব্যস্ততা... সবই যেন তার থেকে হাজার মাইল দূরে।

একদিন বিকেলে ফেসবুকে হঠাৎ একটা মেসেজ আসে অজানা এক আইডি থেকে:
"তোমার প্রোফাইল পিক দেখে মনে হলো, তুমিও আমার মতো একা। যদি কষ্ট পেয়ে থাকো, গল্পটা শেয়ার করতে পারো। —রাহুল"*

নীলা প্রথমে অবাক হয়। তার প্রোফাইলে কোনো স্ট্যাটাস নেই, শুধু একটা ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোয়াইট ডিপিপি। তবুও রাহুল কীভাবে বুঝল সে একা? কৌতূহলে জবাব দিল: *"আপনি কে?"*

রিপ্লাই এল দ্রুত: *"আমি রাহুল। সাইকোলজি পড়ি। মানুষের মুখোশ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তুমি সত্যি কথা লুকোও না, তাই খুঁজে পেয়েছি।"*

**ভালোবাসা নয়, বন্ধুত্ব**
রাহুলের সাথে কথার সূত্র ধরে নীলার দিনে যোগ হয় নতুন এক রুটিন। সকালে ঘুম ভাঙতেই রাহুলের মেসেজ: *"আজকে রোদ ভালো আছে, বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াও।"* বিকেলে আবার: *"তোমার প্রিয় গানটা শুনে আমাকে বলো কেনো সেটা প্রিয়।"* নীলা প্রথমে সন্দেহ করলেও ধীরে ধীরে খুলে বলে তার মা-বাবার কথা, নির্জনতার ভয়, আর আত্মহত্যার那些 চিন্তা যা তাকে রাত জাগায়।

রাহুল কোনো দিন বলে না, *"সব ঠিক হয়ে যাবে।"* বরং বলে: *"আজকে তুমি বেঁচে আছো, এটাই বড়
**মিথ্যে পরিচয়ের গল্প**
তিন মাস পর রাহুল প্রস্তাব দেয়: *"চলো, আজকে দেখা করি। তোমার প্রিয় কফি শপে।"* নীলা রাজি হয়। কফি শপে গিয়ে দেখে—একটা ফাকা টেবিলে বসে আছে এক মেয়ে, হুইলচেয়ারে। তার হাতে রাহুলের মতোই একটি নোটবুক।

*"আমিই রাহুল,"* মেয়েটি হাসে। *"আসল নাম রুপা। ফেসবুকে ছেলেদের আইডি বানাই, কারণ মেয়ে হয়ে কারও গভীর কথা শোনার সময় পাই না। সবাই সিম্প্যাথি চায়, সমাধান নয়।"*

নীলার চোখে পানি। রুপা বলে আমারও বাবা-মা নেই। পলিওর কারণে হাঁটতে পারি না। কিন্তু এই হুইলচেয়ারই আমাকে শিখিয়েছে—জীবন থেমে থাকে না। দেখো, তুমিও থেমে থাকোনি।"*


**জীবনের নতুন পাতা**
রুপার সাথে বন্ধুত্ব নীলাকে বদলে দেয়। সে আবার পেইন্টিং শুরু করে। রুপার প্রেরণায় নীলার আঁকা ছবিগুলো নিয়ে তারা অনলাইনে একটি পেজ খোলে—"Wheels and Wings"। সেখানে শারীরিক ও মানসিক সংগ্রামের গল্প শেয়ার করে হাজারো মানুষ।

এক বছর পর নীলার প্রথম আর্ট এক্সিবিশন। ওই দিন রুপাকে জড়িয়ে ধরে সে বলে: *"তুমিই আমাকে শিখিয়েছো, অন্ধকারই আলোর জন্ম দেয়।"*


**গল্পের শেষে:**
*"মানুষের পরিচয় তার যন্ত্রণায় নয়, যুদ্ধে। আমরা ভাঙি, ভেঙে নতুন হয়ে জাগি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটি

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৫

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: “আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাজী ফাতেমা ছবি!

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব জীবন অবশ্যই অন্যরকম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: “আপনার ভালো লাগাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ!

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

বাকপ্রবাস বলেছেন: সিনেমাটিক

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: “আপনার সংক্ষিপ্ত কিন্তু শক্তিশালী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.