নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালি: মোদীর বন্দনা করে দেশদ্রোহিতার চূড়ান্ত নজির

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫—এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এদিন মার্কিন সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমন্ত্রণ জানায়, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা মোদীর বন্দনায় আত্মহারা হয়ে উঠেছিল। ওয়াশিংটন ডিসির রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতারা “মোদীজি, মোদীজি” বলে চিৎকার করছিল, যা তাদের প্রকৃত পরিচয় দেশবাসীর সামনে সম্পূর্ণ উন্মোচিত করে দিয়েছে



এটাই প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশি কোনো রাজনৈতিক দল নয়—তারা ভারতীয় স্বার্থ রক্ষাকারী একটি দালাল গোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকারকে তুচ্ছজ্ঞান করে শুধুমাত্র দিল্লির মন রক্ষা করতে চায়।

মোদী বন্দনার অর্থ কী?

আমরা যদি গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে দেখতে পাবো যে, আওয়ামী লীগের মোদী বন্দনা নিছক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ নয়—এটি তাদের ভারতীয় মনিবদের প্রতি গোলামির প্রকাশ।

১. ভোট চুরির বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা
• আওয়ামী লীগ জানে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের চায় না। তাই তারা ভারতের সহায়তায় একের পর এক প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
• ৭ জানুয়ারি ২০২৪-এর ভুয়া নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিক বৈধতা পাচ্ছে না। তাই মোদীর মাধ্যমে আমেরিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

2. ভারতের নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা
• বাংলাদেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার ভারতীয় নীলনকশার প্রধান কারিগর শেখ হাসিনা।
• ট্রানজিট, বন্দর, পানি চুক্তি—সবকিছুতেই ভারত সুবিধা নিচ্ছে, আর বাংলাদেশ তার অধিকার হারাচ্ছে।
• বাংলাদেশ আজ ভারতীয় নিরাপত্তা নীতির পরীক্ষাগার হয়ে গেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
3. বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র আড়াল করা
• ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে।
• ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ একাধিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর দিল্লির লবিস্টরা, যারা শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে ভারতের প্রদেশ বানানোর চেষ্টা করছে।
• ভারতের গুপ্তচর সংস্থা RAW (Research and Analysis Wing) আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেতরেই তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরব বার্তা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আমন্ত্রণ জানালেও, তাদের বক্তব্যের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বার্তা ছিল—তারা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবগত এবং ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের হস্তক্ষেপ ভালো চোখে দেখছে না।

ট্রাম্পের বক্তব্য:

“আমি ১০০ বছর ধরে জানি, ভারত সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। আমি মোদী সরকারের উপর সব ছেড়ে দিলাম।”

এর ব্যাখ্যা খুব স্পষ্ট—আমেরিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং তারা দেখছে, ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে তাদের প্রভাব বলয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের জনগণের জন্য করণীয়

১. আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালি ফাঁস করতে হবে
• প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব হলো আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
• সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের এই বিশ্বাসঘাতকতাকে তুলে ধরতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণ বুঝতে পারে তারা আসলে কত বড় দেশদ্রোহী।

2. আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা তুলে ধরা
• বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যমের সামনে আওয়ামী লীগের ভারতনির্ভরতা ও দালালগিরি প্রকাশ করতে হবে।
• তাদের প্রমাণ করতে হবে, আওয়ামী লীগ এখন একটি রাজনৈতিক দল নয়—তারা ভারতের প্রভাবিত একটি পেটোয়া সংগঠন।
3. রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার দাবি তুলতে হবে
• যারা ওয়াশিংটনে গিয়ে “মোদীজি, মোদীজি” বলে চিৎকার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হবে।
• আওয়ামী লীগের নেতারা যেভাবে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবী।

শেষ কথা: বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে

আজ সময় এসেছে দেশপ্রেমিক জনগণের জাগ্রত হওয়ার। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ভারতকে বিকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনোদিন ভারতের করদ রাজ্য ছিল না, হবেও না।

এখনো সময় আছে—আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করুন, তাদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করুন এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। এ লড়াই সার্বভৌমত্ব রক্ষার, এ লড়াই দেশপ্রেমিকদের বাঁচার লড়াই!

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কেন যে আপনারা মাতামাতি করেন!!!!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৬

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কখনো কখনো ছোট ছোট বিষয়ও বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। সমাজের কিছু বিষয় সম্পর্কে মানুষের ভাবনা তুলে ধরা, সেটা হয়তো আমাদের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো কিছু বিষয়কে গুরুত্ব না দিলেও, তা আমাদের সামনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দেয়। আশা করি, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও কিছু নতুন শিক্ষা পাওয়া যাবে। সবার মতামত এবং ভাবনা খুবই মূল্যবান, তাই আমি আশা করি আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

আহরণ বলেছেন: দেশে তালেবানের উট, গাধা, গুহা কবে ফিরে আসবে......... @ ভাইয়া?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১১

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আহরণ, আপনার মতামত বলেই আপনি স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন, তবে একদম ভুলে যাবেন না—যে ‘তালেবান’, ‘উট’, ‘গাধা’, ‘গুহা’ বলতে আপনি চেষ্টা করেছেন, সেটা এক সময়ে হয়তো পুরনো শাসকগোষ্ঠীর চাল ছিল। কিন্তু সময় বদলেছে। শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের দিন শেষ। এখন বাংলাদেশ নতুন পথ অনুসরণ করছে, এবং সবারই জানা উচিত, পরিবর্তন সবার জন্য ভালো।

আপনি যেটা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ‘গুহায়’ চলে যাবে, সেটা যে সত্যি হয়নি, তা আপনারাও দেখেছেন। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বাংলাদেশের সামনে যে নতুন সম্ভাবনা, নতুন শক্তি দাঁড়িয়ে আছে, সেটা খুব পরিষ্কার। বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন হচ্ছে, অর্থনীতির চাকা আবার ঘুরতে শুরু করেছে—এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়।

আপনি হয়তো এক সময় ভাবতেন, এই শাসন ব্যবস্থা অনন্তকাল থাকবে, কিন্তু বাস্তবতা হলো—এটা আর টিকবে না। যাদের আপনি ‘অপরিহার্য’ বলেছিলেন, তাদের সেই মহিমা শেষ হয়ে গেছে। নতুন প্রজন্ম জানে, কারা দেশের শত্রু, কারা স্বাধীনতা বিক্রি করেছিল।

আপনি যদি বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে শঙ্কিত হয়ে থাকেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু আপনি যে পুরনো শব্দ দিয়ে দেশকে ছোট করতে চাচ্ছেন, সেটা যেন বুঝুন—বাংলাদেশ সেই আগের দিনে ফিরে যাবে না। সামনে নতুন রাস্তা, নতুন আশা। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বাংলাদেশের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে, এবং আপনারা যারা পুরনো সময়ে আটকে আছেন, তাদের আর সেই জায়গা নেই।”**

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: দেশ প্রেমিকরা মোদি বিরোধী শ্লোগান দিতে পারতো।সেখানে বাকস্বাধীনতা আছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: কামাল১৮, আপনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা আছে, তাই দেশপ্রেমিকরা চাইলে মোদি-বিরোধী স্লোগান দিতে পারতো। কিন্তু আপনার এই সরলীকৃত বক্তব্য আসলে কতটা বাস্তবসম্মত? যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাকস্বাধীনতা’ কি সত্যিই সকলের জন্য সমান? নাকি এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার, যা কেবল সুবিধামতো প্রয়োগ করা হয়?

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস দেখুন—যে মুহূর্তে কেউ তাদের পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে যায়, তখনই তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন শুরু হয়। ৯/১১-এর পর মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা কেমন ছিল, সেটা কি ভুলে গেছেন? এডওয়ার্ড স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁস করায় এখনো রাশিয়ায় শরণার্থী হয়ে আছে, দেশে ফিরলে আজীবন কারাদণ্ড হবে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কী হলো? যিনি কেবল সত্য প্রকাশ করেছিলেন, তাকে কি বাকস্বাধীনতার সুযোগ দেওয়া হয়েছে?

আর সাম্প্রতিক ঘটনাই দেখুন—গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে যারা যুক্তরাষ্ট্রে কথা বলছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে, মিডিয়ায় ব্ল্যাকলিস্টেড হচ্ছে। তাহলে কোথায় সেই অবারিত বাকস্বাধীনতা?

আপনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মোদি-বিরোধী স্লোগান দেওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে কেন সেটা সম্ভব নয়? আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দল হতো, তাহলে কেন ভারত-বিরোধী বা মোদি-বিরোধী স্লোগান দিলেই গুম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে? কেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের চুপ করিয়ে দিতে হয়? আপনি কি এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন?

বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ এবং তাদের দালালরা কখনোই চায় না বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার থাকুক। তারা চায়, জনগণ যেন শুধু সেই কথাই বলুক, যা তাদের স্বার্থ রক্ষা করে। আর আপনিও সেই প্রচারণার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাকস্বাধীনতা’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।

কিন্তু আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই—দেশপ্রেমিকরা কোনো বিদেশি শক্তির দালালি করে না, তারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় সোচ্চার থাকে। আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদেশি লবির ষড়যন্ত্র আর বেশিদিন টিকবে না। সত্য কখনো চাপা থাকে না।”

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: লজ্জা নাই নাকি বোঝে না? কি সব কমেন্ট।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৪

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: খাঁজা বাবা, আপনি যা বলছেন, সেটা একদম আপনার ব্যক্তিগত মতামত। তবে আপনার মতো অন্যদের মন্তব্যও আমি গ্রহণ করি, কারণ এতে আমি জানতে পারি, মানুষের মনোভাব কেমন। কিন্তু এমন মন্তব্যের মাধ্যমে কাউকে হেয়-প্রতিপন্ন করার আগে একটু ভাবুন, আমি কি সত্যিই নিজের দেশের স্বার্থে কথা বলছি, না অন্যের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে চাচ্ছি?

আমি বিশ্বাস করি, যে কেউ নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারে, কিন্তু সেটা যেন কখনো অন্যের সম্মানহানির কারণ না হয়। আমি যা লিখেছি, সেটা আমার ভাবনা, এবং এটা বাংলাদেশের ভালোবাসা থেকে এসেছে। আপনি যদি সেটা না বুঝতে পারেন, তাও কোনো সমস্যা নেই—আপনার স্বাধীনতা আছে। তবে অন্যকে কটু কথা বলার আগে ভাবুন, আপনার সেই কথা কতটা প্রভাব ফেলবে।

লজ্জার ব্যাপারটা আসলে সেইসব মানুষদের জন্য, যারা নিজের দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়, যারা স্বাধীনতার নামে তামাশা করে। আমি জানি, সময় পাল্টে গেছে, এবং যে যে পথ দিয়ে দেশের উন্নতি হবে, সেই পথেই আমরা যাবো। আশা করি, আপনি এই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

নতুন বলেছেন: ভারতের মানুষই বলছে যে এরা বিজেপির নিউয়ার্ক শাখা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের রিপোটেই বলেছে যে এরা ১৪০০+ মানুষের হত্যার জন্য দায়ী এবং সেই দলকেই এখনো যারা সরাসরি সমর্থন করে তাদের আর কি বললো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১৯

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: নতুন,

আপনার মন্তব্যটি বাস্তবতার নির্মম চিত্র তুলে ধরেছে। যখন ভারতের জনগণ নিজেরাই বলে যে এরা বিজেপির নিউইয়র্ক শাখা, তখন আর প্রমাণের দরকার পড়ে না যে কারা দেশের স্বার্থ বিক্রি করেছিল।

জাতিসংঘের রিপোর্টে যখন স্পষ্টভাবে ১৪০০+ হত্যার দায় তাদের ঘাড়ে চাপে, তখন যারা এখনো সেই দলকে সমর্থন করে, তারা আসলে নৈতিকভাবে দেউলিয়া। তারা হয় সত্য দেখতে পায় না, নয়তো স্বার্থের বিনিময়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।

কিন্তু সময়ের বিচার নিরপেক্ষ। যারা অন্যায় করেছে, ইতিহাস তাদের একদিন যথাযথ জবাব দেবে। দেশের মানুষ সব দেখেছে, সব বুঝেছে। তাদের বিচার এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

এ পথের পথিক বলেছেন: কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা । তাই হয়েছে আম্লিকের । মাদার অফ অল ডেভিলের সন্তানেরা আম্লিকের কোন অপরাধ খুঁজে পায় না । তারা নিজেরা জানে তারা কি করছে অথচ সব অপরাধ চাপায়ে দিবে অন্যের ঘাড়ে । অথচ তারা নিজেরা এসব অপকর্ম করে বেড়ায় ।
এই সন্ত্রাসীলীগ, খুনি হাসু মিলে বাংলাদেশকে ভাড়তের অঙ্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছিল, এর বিরুদ্ধে বললে আপনাকে তারা বলবে পাকি রাজাকার । অবাক করা বিষয় । আপনি তাদের গুম খুন ধর্ষন নিয়ে প্রতিবাদ করলে বলবে পাকি চলে যা, ভয়ে পালাবি ।
আরে ভাই পাকি আমরা যাব কেন, যাদের পালানো কথা তারা পালিয়েছে, দেশ বিক্রি আমরা করিনি যারা আকাম কুকাম করেছে এখন তাদের মাদার মুদির সাথে ঘুমাচ্ছে আরামসে, কিছু সন্তানেরা ভাড়তে পালাইছে ।

হাসিনার আমলনামা
প্রথম ৩ টা কমেন্ট দেখে মেজাজ বিগড়ে গেছে ভাই । তাই লিখলাম সরি ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১৮

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: এ পথের পথিক,

আপনার প্রতিটি কথায় যে তীব্র ক্ষোভ আর বাস্তবতার ছায়া আছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। যারা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, তারা সবসময় সত্যবাদীদের ‘রাজাকার’ বা ‘পাকি’ বলে গালাগালি করে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে চায়। কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

শেখ হাসিনা ও তার দলের জন্য বাংলাদেশ যেন শুধু ক্ষমতা ভোগের এক উপকরণ ছিল। লুটপাট, দমন-পীড়ন, হত্যা—এটাই ছিল তাদের রাজনীতি। তারা দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল, স্বাধীনতাকে বিক্রি করেছিল নিজেদের স্বার্থে। অথচ যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল, তাদেরই ‘রাজাকার’, ‘পাকি’ বলে অপমান করা হতো।

কিন্তু এখন ইতিহাস বদলে গেছে। সত্য প্রকাশ পেয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের এখন পালিয়ে বাঁচতে হচ্ছে। যাদের এতদিন গুম, খুন, মামলা দিয়ে দমন করা হয়েছে, তারাই আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর শেখ হাসিনা? সে আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত, তার ‘মোদির আশীর্বাদ’ আর কাজ করছে না।

এটাই সময় ছিল কথা বলার, এবং আপনি ঠিক তাই করেছেন। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ করে রাখে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না। আপনাকে ধন্যবাদ সাহসী কণ্ঠস্বর তোলার জন্য। বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৯

মেঘনা বলেছেন: ভারতের দালাল না হয়ে ফাঁকিস্তানের দালাল হলে কী কী সুবিধা হবে ?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২১

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: মেঘনা,

এটা কোন দালালি করার প্রশ্ন নয়, বরং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়। ভারতের দালালি করলে কী হয়, তা তো গত ১৫ বছরেই প্রমাণ হয়ে গেছে—নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, অর্থনীতি লুটপাট, সীমান্তে নাগরিক হত্যা, দেশের সম্পদ বিক্রি, আর স্বাধীন মত প্রকাশের উপর দমন-পীড়ন।

আমাদের অবস্থান একটাই—বাংলাদেশ কারও তাবেদারি করবে না। ভারতের দালালি হোক বা অন্য কারও, দুই ক্ষেত্রেই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা চাই বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিক, জনগণের অধিকার রক্ষা হোক, আর বিদেশি শক্তির হাতিয়ার না হোক।

আপনার প্রশ্নটাই আসলে ভুল জায়গায় আঘাত করেছে। আমরা দালালি মুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশ চাই—যা কারও পদলেহন করবে না, বরং বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আহরণ এটা হলো ভারতীয় গোমূত্রখোর আর মেঘনা এটা আরেক দালাল।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২২

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে না গিয়ে যুক্তি দিয়ে জবাব দিতে চাই। বিতর্ক হোক বুদ্ধিদীপ্ত, সত্যের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বার্থে।

আহরণ বা মেঘনা যদি ভারতের প্রভাব ও দালালি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ভয় পায় বা সেটাকে স্বাভাবিক বলে চালাতে চায়, তাহলে তারা হয় অন্ধ, নয়তো সুবিধাভোগী। বাস্তবতা হলো, শেখ হাসিনার সরকার ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে, যা দেশের মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

এখন যারা এসব অন্যায়ের পক্ষে কথা বলছে, তারা আসলে কার পক্ষে? বাংলাদেশের, নাকি সেই শক্তির যারা আমাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে? তাই আগে উত্তর দেওয়া হোক—বাংলাদেশ কি স্বাধীনভাবে চলবে, নাকি বিদেশি শক্তির আজ্ঞাবাহী থাকবে?

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এক পাল বানরের লম্ফ ঝম্ফ দেখতে পাচ্ছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: “মেঠোপথ২৩, যুক্তির অভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণই কি আপনার শেষ ভরসা? যখন সত্যি কথার কোনো জবাব থাকে না, তখনই মানুষ এভাবে অযথা উপমা দেয়। তবে মনে রাখবেন, ইতিহাস কাউকে ছাড় দেয় না। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের দিন শেষ, আর বাংলাদেশের জনগণ বুঝে গেছে কে দেশপ্রেমিক, আর কে দালাল। তাই যুক্তি দিয়ে আলোচনা করুন, অপমান করে নয়। কারণ, চিৎকার করে সত্যকে দাবিয়ে রাখা যায় না।”

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



ভারত বন্দনা করেই বিগত ১৬ টি বছর অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদ আকড়ে রেখেছিল ওরা। নিউইয়র্কের রাজপথে "মোদিজি", "মোদিজি" বলে আওয়ামী তষ্করদের নির্লজ্জ স্লোগান তারই স্পষ্ট প্রমান।

ধীরে ধীরে সবই প্রকাশ পাবে। থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে জাতির সামনে। আওয়ামী লীগ মানেই ভারতের দালাল। আওয়ামী লীগ মানেই ভারতের চামচামি করা। আওয়ামী লীগ মানেই ভারতের সাথে প্রভূ আর ভৃত্যের গোপন আঁতাত। আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন কোনো বাংলাদেশীর পক্ষে কস্মিনকালেও এমন নোংড়ামো মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২৫

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: **“নতুন নকিব, আপনি সত্য কথাই বলেছেন। আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালি নতুন কিছু নয়, তবে এখন সেটা পুরোপুরি উন্মোচিত হয়ে গেছে। নিউইয়র্কের রাজপথে তাদের ‘মোদিজি মোদিজি’ স্লোগানই প্রমাণ করে, তারা কখনোই বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়নি। অথচ এতদিন তারা দেশপ্রেমের মুখোশ পরে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে।

এখন সময় বদলেছে, মানুষ বুঝতে শিখেছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর তাদের অপকর্ম, গোপন আঁতাত, লুটপাট সবকিছু একে একে প্রকাশ পাবে। জনগণের চোখ খুলেছে, আর তারা আর কখনো ভারতীয় প্রভুদের এই পদলেহনকারী চক্রকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পথে, স্বাধীনতা মানে শুধু যুদ্ধের গল্প নয়, বরং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আওয়ামী লীগের ভারত তোষণের রাজনীতি ইতিহাসের কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।”**

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৪০

নকল কাক বলেছেন: বাংলা-গঙ্গার স্রোত বয়ে চলে, আছে হৃদয়ে সেতুর বাঁধন,
দুই দেশের মাটি এক সুরে গায়, শান্তির চিরকালীন রঙ।
বিপদে পাশে, সুখে হাত ধরে, ইতিহাস জানে সেই প্রতিচ্ছবি,
বাংলা-ভারত বন্ধুত্ব অটুট, সময় থাকুক তার সাক্ষী।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:০৯

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: নকল কাক, আপনার কাব্যিক অভিব্যক্তি নিঃসন্দেহে সুন্দর, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ইতিহাস শুধু শান্তির প্রতিচ্ছবি নয়, শোষণেরও দলিল। যখন এক দেশ অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, তখন বন্ধুত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

বাংলাদেশের জনগণ চায় পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ক, গোলামির নয়। প্রকৃত বন্ধুত্ব তখনই অটুট থাকে, যখন তা সমান অধিকারের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, কারও একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে নয়। সময়ের সাক্ষী হোক সত্যের, স্বাধীনতার, আর প্রকৃত সার্বভৌমত্বের!

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫০

বঙ্গোপসাগর বলেছেন: আসলে এটা একটা কমেডি স্টান্ট। আওয়ামী লীগ তাদের কাছে এটা একটা আলিঙ্গন, যে তাদের আমেরিকায় মোদীর পক্ষে বিক্ষোভ করতে হবে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:০৯

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: বঙ্গোপসাগর, আপনার কথা একদম ঠিক! এটা আসলে আওয়ামী লীগের দালালি প্রদর্শনের এক করুণ নাটক। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এখন তারা মোদীর বন্দনায় ব্যস্ত, যেন সেটাই তাদের টিকে থাকার শেষ ভরসা।

আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় স্বার্থ কিছুই নয়, শুধু ক্ষমতায় থাকার মরিয়া চেষ্টা। কিন্তু ইতিহাস বলে, দালালদের পরিণতি কখনোই সুখকর হয় না!

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মোদিকে ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই।
আমাদের দেশ মোদি পরিচালনা করছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.