![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখকঃ শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফী
দাড়ী আল্লাহর একটি মহান ও বড় নে’য়ামত। দাড়ী দ্বারা তিনি পুরুষকে অনুগৃহীত করেছেন এবং নারী জাতি থেকে তাকে বৈশিষ্ট মন্ডিত করেছেন।
দাড়ী শুধুমাত্র মুখমন্ডলের উপর কয়েকটি কেশগুচ্ছই নয়; বরং ইহা ইসলামের বাহ্যিক বড় একটি নিদর্শন। দাড়ী ছেড়ে রেখে এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। আল্লাহ্ বলেন,
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
“এই কারণে যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই পরিচয়।” [ সূরা হাজ্জ- ৩২]
দাড়ী মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর অনুসৃত নীতির একটি অন্যতম পরিচয়। তিনি দাড়ী ছেড়ে দিতে ও লম্বা করতে আদেশ করেছেন।
কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, দাড়ীর প্রতি এত গুরুত্ব ও তার প্রতি সম্মানের নির্দেশ থাকা সত্বেও অধিকাংশ মুসলমান বিষয়টিকে অতি নগন্য ও তুচ্ছ মনে করে। যেন ঘৃণা ভরে প্রতিদিন তা ছেঁচে ফেলতে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যারা মুন্ডন করে না তারা আরেক ষ্টাইলে তার সাথে খেলা-ধুলা করে। কেউ শুধুমাত্র থুতনীর উপর ছোট ছোট করে রাখে আবার কেউ খুবই হালকা করে কাল একটি রেখার মত করে রাখে। কেউ আবার দাড়িকে গোঁফের সাথে মিলিয়ে দিয়ে গোলাকৃতী করে রাখে।
এই চিত্রগুলো দেখলে একদিকে যেমন দুঃখ লাগে অন্য দিকে তা যেন হাস্যেরও পাত্র। যে মুসলমানকে দাড়ী ছেড়ে দিতে আদেশ করা হয়েছে, দাড়ীকে সম্মান করতে বলা হয়েছে সেই মুসলমান তো দূরের কথা কোন বিবেকবানের পক্ষেও এরকম আচরণ করা শোভনীয় নয়। বড়ই পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ্ তা’আলা যে আকৃতিতে দাড়ীকে সৃষ্টি করেছেন সে অবস্থাতেই তা নিজ মুখমন্ডলে অবশিষ্ট রেখে ইসলামী শিষ্টাচারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকারী এরকম সভ্য মানুষের সংখ্যা আজ খুবই বিরল। (লা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্)
মনীষীদের নিকট দাড়ীর মূল্য ও সম্মানঃ
আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সমস্ত নবী ও রাসূলের বৈশিষ্ট ছিল দাড়ী রাখা। অনুরূপভাবে ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন ও আইম্মায়ে মুজতাহেদীন সকলেই দাড়ী রেখেছেন। এমন কোন বর্ণনা বা ঘটনা খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, তাঁদের মধ্যে কেউ দাড়ী কেটেছেন বা মুন্ডন করেছেন; বরং কারো দাড়ী না গজালে তার জন্য তাঁরা আফসোস করেছেন। সাহাবী ক্বায়স বিন সা’দ (রাঃ) দাড়ী বিহীন লোক ছিলেন। তাঁর সম্প্রদায় আনসাররা বললেন, হায় দাড়ী যদি বাজারে কিনে পাওয়া যেত তবে আমরা তাঁর জন্য দাড়ী কিনে নিতাম।”
প্রখ্যাত তাবেঈ আহনাফ বিন কায়স একজন বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী লোক ছিলেন। তিনি সৃষ্টিগত দিক থেকে খোঁড়া ও এক চোখ অন্ধ ছিলেন। তাঁর দাড়ীও উঠে নি। অথচ তিনি ছিলেন নিজ গোত্রের নেতা। লোকরা বলল, “বিশ হাজার দীনার খরচ করেও যদি যদি দাড়ী কিনে পাওয়া যেত তবে আমরা তাঁর জন্য তা খরিদ করতাম।” কি আশ্চর্য! লোকেরা তাঁর পা বা চোখের ত্র“টিকে ত্র“টি মনে করল না। কিন্তু তারা দাড়ী না থাকাটাকে অপছন্দ করল। কেননা তাঁরা দাড়ীকে মনে করতেন পৌরুষত্বের পরিচয়, মুসলিমের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের পূর্ণতার প্রতিক। তাঁরা দাড়ী বাঁচাতে গিয়ে এবং তার সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে নিজের গর্দান দিয়ে দেয়াকে সহজ মনে করতেন।
কিন্তু আফসোস মুসলমানদের অবস্থা দেখে তারা দাড়ীর প্রতি এতই রুষ্ট যে, অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে হলেও তার বিরুদ্ধে যেন অঘোষিত লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। হাজার টাকা খরচ করেও যদি এমন হত যে আর কখনো মুখে দাড়ী গজাবে না, তারা সে পথেই অগ্রসর হতো। (নাঊযুবিল্লাহ্)
দাড়ী মুন্ডন হারাম হওয়ার দলীলঃ
আল্লাহ্ বলেন,
وَلَآَمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ
“(শয়তান বলে) আমি অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, তারা তখন আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দিবে।” [ সূরা নিসাঃ ১১৯]
দাড়ী মুন্ডন করা বা কর্তন করা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার শামিল।
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"দশটি জিনিস স্বভাবজাত। তম্মধ্যে তিনি উল্লেখ করেছেনঃ গোফ কর্তন করা ও দাড়ী ছেড়ে দেয়া।" [ মুসলিম]
অতএব গোঁফ লম্বা করা আর দাড়ী কেটে ফেলা সুস্থ স্বভাব বিরোধী কাজ।
ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ وَفِّرُوا اللِّحَى وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ
“তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ী ছেড়ে দাও এবং গোঁফ ছোট কর।” [বুখারী ও মুসলিম]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
جُزُّوا الشَّوَارِبَ وَأَرْخُوا اللِّحَى خَالِفُوا الْمَجُوسَ
“গোঁফ ছেঁটে ফেল এবং দাড়ী লম্বা কর আর এর মাধ্যমে অগ্নী পুজকদের বিরোধীতা কর।” [ মুসলিম]
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যাবতীয় বিষয়ে মুশরিক-হিন্দু, ইহূদী-খৃষ্টান ও অগ্নী পুজকদের বিরোধীতা করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ওয়াজিব।
এ জন্যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“যারা কোন জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।” [ আবু দাউদ, আহমাদ হাদীছ সহীহ ]
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন,
مَنْ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَارِبِهِ فَلَيْسَ مِنَّا
“যে ব্যক্তি গোঁফ কাটে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।” [ তিরমিযী, নাসাঈ, হাদীছ সহীহ ]
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নির্দেশ ওয়াজিব বা আবশ্যকতার দাবী রাখে।
অন্য দিকে দাড়ী মুন্ডন করার মাধ্যমে নিজেকে নারীদের কাতারে শামিল করা হয়। কেননা নারীরা দাড়ী বিহীন। কোন নারী যদি পুরুষের আকৃতি ধারণ করে এবং কোন পুরুষ যদি নারীর আকৃতি ধারণ করে তবে তারা লা’নতপ্রাপ্ত।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীর সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষকে এবং পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারীনী নারীকে অভিশাপ করেছেন।” [ছহীহ আবু দাউদ, তিরমিযী]
দাড়ী রাখা ওয়াজিব না সুন্নাত?
এ নিয়ে মানুষ মতোবিরোধ করলেও দাড়ী রাখা যে ওয়াজিব সেটাই প্রনিধাণযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য কথা। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়ী রেখেছেন বলেই ইহা নবীজীর সুন্নাত বলে তার গুরুত্ব কমিয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কেননা নবীজী দাড়ী নিজে রেখেছেন এবং তা রাখার জন্যে নির্দেশও দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ তা’আলা যেমন ফরয করেন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তেমনি ফরয বা ওয়াজিব করেন। তার কারণ হচ্ছে নবীজী কখনো নিজের কল্পনা প্রসূত কোন কথা বলতেন না। আল্লাহ্ তাঁর নিকট যা ওহী করতেন তিনি তাই বলতেন। (সূরা নজমঃ ৩,৪) তাছাড়া নবীজী দাড়ীর বিষয়ে যে সকল আদেশ সূচক শব্দ ব্যবহার করেছেন তার বিপরীতে এমন কোন হাদীছ খুঁজে পাওয়া যাবে না যা দ্বারা দাড়ীকে সুন্নাত বা মুস্তাহাব সাব্যস্ত যাবে।
তিরমিযীতে একটি হাদীছে বলা হয়েছেঃ
كان يأخذ من لحيته من عرضها وطولها
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দৈর্ঘ ও প্রস্ত দিক থেকে তাঁর দাড়ী কাটতেন।” এ হাদীছটি মওযু বা জাল যার কোন ভিত্তি নেই। ইমাম তিরমিযী হাদীছটি বর্ণনা করার পর নিজেই একথার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। [ দ্রঃ ছহীহ তিরমিযীঃ হা/২৭৬২]
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, দাড়ী মুন্ডন করা হারাম। ইমাম কুরতুবী (রঃ) বলেন, দাড়ী মুন্ডান, উঠানো বা কর্তন করা কোনটাই জায়েয নয়। শায়খ বিন বায (রঃ) বলেন, দাড়ীকে সংরক্ষণ করা, পরিপূর্ণ রাখা ও তা ছেড়ে দেয়া ফরয। এই ফরযের প্রতি অবহেলা করা জায়েয নয়। শাইখ ইবনে উসাইমীন (রঃ) বলেন, দাড়ী রাখা ওয়াজিব, উহা মুন্ডন করা হারাম বা কাবীরা গুনাহ।
প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকাহবিদগণও দাড়ী ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব ও কেটে ফেলাকে হারাম বলে মত প্রকাশ করেছেন।
হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ র্দুরে মুখতারে (২য় খন্ড/৪৫৯ পৃঃ) বলা হয়েছেঃ পুরুষের জন্য দাড়ী কর্তন করা হারাম। নিহায়া গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, দাড়ী এক মুষ্টির বেশী হলে তা কেটে ফেলা ওয়াজিব। কিন্তু এর চাইতে বেশী কর্তন করা যেমনটি পশ্চিমা দেশের লোকেরা এবং খোঁজা পুরুষেরা করে তা কেউ বৈধ বলেননি। আর দাড়ী সম্পূর্ণটাই কেটে চেঁছে ফেলা হিন্দুস্থানের ইহূদী ও কাফের-মুশরেকদের কাজ।”
মালেকী মাযহাব মতে দাড়ী কাটা হারাম। (আল আদাভী আলা শারহে কিফায়াতুত্ তালেব রাব্বানী ৮ম খন্ড ৮৯ পৃঃ)
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) তাঁর প্রখ্যাত গ্রন্থ ‘আল উম্ম’ উল্লেখ করেছেন যে, দাড়ী কর্তন করা হারাম।
শাফেঈ মাযহাবের আলেম আযরাঈ বলেনঃ সঠিক কথা হচ্ছে কোন কারণ ছাড়া সম্পূর্ণ দাড়ী মুন্ডন করা হারাম। (হাওয়াশী শারওয়ানী ৯ম খন্ড ৩৭৬ পৃঃ)
হাম্বলী মাযহাবের বিদ্বানগণও দাড়ী মুন্ডনকে হারাম বলেছেন। (ইনসাফ, শরহে মুন্তাহা)
অতএব দাড়ী মুন্ডন করা বড় পাপ। এ থেকে তওবা করা আবশ্যক। অবশ্য দাড়ী মুন্ডন করা ও কেটে ছোট করার পাপ এক সমান নয়। যদিও উভয়টিই পাপের কাজ।
অনেক মানুষ দাড়ী মুন্ডন করাটাকে খুবই ছোট ও তুচ্ছ ব্যাপার মনে করে। কিন্তু ইহা মুন্ডন করা কোন সময় সবচেয়ে বড় গুনাহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। কেননা এটা প্রকাশ্যে পাপের কাজে লিপ্ত হওয়ার অন্যতম। আর প্রকাশ্যে এভাবে অন্যায়ে লিপ্ত হয়ে তওবা না করলে হতে পারে দাড়ী মুন্ডনকারী আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবে না। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلا الْمُجَاهِرِينَ
“আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করা হবে। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে পাপের কাজে লিপ্ত হয় তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না।” [ বুখারী ও মুসলিম ]
তাছাড়া কোন মানুষ যদি দাড়ীকে অপছন্দ করে বা তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে অথবা দাড়ীওয়ালা মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তবে সম্ভাবনা আছে একারণে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে কুফরীতে লিপ্ত হবে এবং মুরতাদ হয়ে যাবে। কেননা নবী (ছাঃ) যা নিয়ে এসেছেন তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা বা ব্যঙ্গ করা বা তা ঘৃণা ও অপছন্দ করা ইসলাম ভঙ্গ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। আল্লাহ্ বলেন,
ذَلِكَ بِأَنَّهُمُ اتَّبَعُوا مَا أَسْخَطَ اللَّهَ وَكَرِهُوا رِضْوَانَهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ
“এই কারণে যে, তারা এমন বস্তুর অনুসরণ করেছে যার প্রতি আল্লাহ্ রাগাম্বিত। আর তারা তাঁর সন্তুষ্টিকে অপছন্দ করেছে। ফলে তিনি তাদের আমলগুলো বরবাদ করে দিয়েছেন।” [ সূরা মুহাম্মাদঃ ২৮]
সাবধান মুসলমান! নিজের আমল বরবাদ করবেন না বা অজ্ঞতা বশতঃ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেন না।
প্রিয় ভাই! সালাত সিয়াম ও অন্যান্য ওয়াজিব বিষয়ে আপনি যেমন আপনার পালনকর্তার আনুগত্য করেছেন। কেন এই বিষয়টিতে তাঁর নাফরমানী করছেন? উভয় বিষয়ের আদেশকারী রব কি একজনই নয়? কোথায় আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন? কোথায় ঈমানের বলিষ্ঠতা ও সত্যতা? শরীয়তের বিধান নিয়ে কেন এই ছিনিমিনি খেলা?
পুরুষের সৌন্দর্য দাড়ী মুন্ডানোতে নয়। আল্লাহ্ তা’আলা মানুষকে সৃষ্টি করে তাকে নারী জাতী থেকে আলাদা ও বৈশিষ্ট মন্ডিত করেছেন। পৌরুষত্বের পরিচয় দাড়ী প্রদান করে তার সৌন্দর্য্যকে প্রস্ফুটিত করেছেন। কিভাবে মানুষ তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাকে পরিবর্তন করে নিজেকে নারী জাতীর সাথে সাদৃশ্য করতে চায়? ইসলামের শত্র“দের সাথে নিজেকে মিলিত করতে চায়? আর ধারণা করে যে, এতেই রয়েছে অতিরিক্ত সৌন্দর্য্য ও ব্যক্তিত্ব!? দাড়ী মুন্ডন না করলে বা না কাটলে যেন পুরুষের সৌন্দর্যই ফুটে উঠে না। পুরুষকে দাড়ী দিয়ে যেন আল্লাহ ভুল করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ্) তাই সেই ভুল শোধরাতে তারা যেন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
আল্লাহ্ বলেনঃ
أأنْتُم أعْلَمُ أمِ اللهُ
“তোমরাই কি বেশী জ্ঞান রাখ না আল্লাহ্ অধিক জ্ঞান রাখেন?” [ সূরা বাকারাঃ ১৪০]
দাড়ী বিহীন পুরুষ যদি অধিক সুন্দর হত তবে তা করতে আল্লাহ্ অপারগ ছিলেন না। কিন্তু তিনি এর মাধ্যমে পুরুষকে সম্মানিত ও মর্যাদাবান করতে চেয়েছেন। পার্থক্য করেছেন নারীদের থেকে।
সম্মানিত ভাই! আপনার এই কাজে কি দুনিয়াবী কোন উপকার আছে কি? পাবেন কি আখেরাতে কোন ছওয়াব-নেকী? কেন আপনি নিজেকে আল্লাহর ক্রোধের সম্মুখিন করছেন? কেন আপনি প্রতিদিন একটি অযথা পরিশ্রমে নিজেকে ক্লান্ত করছেন? কেন সময় ও অর্থের অপচয় করছেন?
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের সবাইকে তোমার সন্তুষ্টি মূলক কাজ করার তাওফীক দাও এবং যে কাজে তোমার অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ রয়েছে তা থেকে আমাদেরকে বিরত রাখ। আমীন॥
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩২
রিফাত হোসেন বলেছেন: দাড়ী শুধুমাত্র মুখমন্ডলের উপর কয়েকটি কেশগুচ্ছই নয়; বরং ইহা ইসলামের বাহ্যিক বড় একটি নিদর্শন[/su !!!
লৌল ।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
অরণ্যচারী বলেছেন: শরীরের অন্যান্য জায়গার চুল নিয়ে ইসলাম কি বলে সেই লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
ফরেক্স ট্রেডার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমি যেদিন থেকে জেনেছি দাড়ি রাখা ওয়াজিব সেদিন থেকে দাড়ি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার এবং গত হরতালে জামাতি সন্দেহে পুলিশ আটকিয়েছিল, তারপর আল্লাহর অশেষ রহমতে তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, আমি জামাতি নই।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
পুংটা বলেছেন:
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
ফরেক্স ট্রেডার বলেছেন: @ পুংটা
পোষ্টের বিষয়টার সাথে আপনার কমেন্ট টা এতো ভালো মানায় না।
আশাকরি সব বিষয় না দলাদলি করার চেষ্ঠা করবেন না।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫১
ইনফা_অল বলেছেন:
(সূরা সাবা: আয়াত ৩১)
"কাফেররা বলে, আমরা কখনও এ কোরআনে বিশ্বাস করব না এবং এর পূর্ববর্তী কিতাবেও নয়। আপনি যদি পাপিষ্ঠদেরকে দেখতেন, যখন তাদেরকে তাদের পালনকর্তার সামনে দাঁড় করানো হবে, , তখন তারা পরস্পর কথা কাটাকাটি করবে। যাদেরকে দুর্বল মনে করা হত, তারা অহংকারীদেরকে বলবে, তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই মুমিন হতাম"।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫১
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: @রিফাত হোসেন, অরণ্যচারী, সব কিছুর মাত্রা আছে! এর পরে কোন মন্তব্য করার আগে সেটা মাথায় রাখবেন আশা করি। দাঁড়ি, ইসলামের একটি অনুষঙ্গ, মানলে মানবেন, না মানলে নাই। আর হ্যাঁ, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, তাই শরীরের সব জায়গার চুল নিয়েই ইসলামের ব্যাখ্যা আছে। যদি কোনদিন মন থেকে জানতে চান, জানানো হবে! তবে আবারও বলছি, আপনাদের মত কিছু **তোলা আবালের জন্যই জামাতের ছাগুরা মানুষকে উস্কে দিয়ে ফায়দা লুটছে এখনও, যেটা আর সহ্য করা হবে না। সুতরাং, সাধু সাবধান!!!
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২
রিফাত হোসেন বলেছেন: আসছে সাব্বির সাহেব দ্যা গ্রেট নিউবি ।
আপনি বলেছেন..
''
তবে আবারও বলছি, আপনাদের মত কিছু **তোলা আবালের জন্যই জামাতের ছাগুরা মানুষকে উস্কে দিয়ে ফায়দা লুটছে এখনও, যেটা আর সহ্য করা হবে না। সুতরাং, সাধু সাবধান!!!
ইসলাম কি এই শিক্ষাই আপনাকে দিল ?
আর রহমানের বান্দা তারাই যাহারা যমিনের উপর বিনয়ের সহিত বিচরন করে আর মূর্খ লোকেরা যখন তাহাদের সহিত (মূর্খচিত) কথা বলে তখন তাহারা শান্তি স্থাপক কথা বলে।
সূরা ফোরকান, আয়াত ৬৩
১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: হা হা হা, তো আপনি বিনয়ের সাথে বিচরণ করছেন??? সরাসরি ইসলামে আছে এমন একটি জিনিষকে নিয়ে কটাক্ষ করে আবার আল-কুরাআনের আ্য়াতের রেফারেন্স টানছেন???
তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ। সূরা আছ-ছফ-১১
রেফারেন্স আমি আরও দিতে পারি, কেন যেন আর দিতে ইচ্ছে হচ্ছে না, কারণ অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে অবস্হান করাই উত্তম, আর আপনারা ঐ দু এক লাইন ছাড়া (যেটা আপনাদের কিছু আবালীয় কমেন্টে কাজে লাগে) কুরআনের অন্যান্য হুশিয়ারী সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখেন কিনা সন্দেহ!!!
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: লল, গালি দেওয়ার রেফারেন্স দেন, আমিও শিখি, বিদ্যা অল্প তো, এক্টু বড় করি,
amar মন্তব্যের সাথে আপনার দেওয়া আয়াতের কোন মিল পেলাম না।
যাই হোক, জয় উগ্রবাদী ইসলামের জয়!
শিবির. (ছুপা ভার্সন ) এর এড্রে স janar ইচ্ছা অনেক
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫২
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: ইসলাম উগ্রবাদী কোন ধর্ম নয়, কোন কালে ছিলও না! ইসলাম অস্ত্র ধরার কথা তখনই বলেছে, যখন অন্যায় ঠেকাতে অন্য আর কোন উপায় ছিল না! আর অন্যায় দেখে শান্তি পরম ধর্ম বলে ঘরে বসে থাকা ইসলাম শেখায় নি! তাহলে যারা ৭১' এর মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সেই বীর সেনানীদের ঘরে চুপচাপ বসে থেকে নিজেদের ধার্মিকতার প্রমাণ দেখাতে হত! অথচ প্রকৃতপক্ষে আসল মুসলিম এরাই! যারা নিজেরা কথার বা যুক্তিতে না পেরে কুৎসিত গালি দেয় (শিবির আমার কাছে গালির সমান!), প্রতিউত্তরে তাদের গালি দিতেও মুখে বাধে!
আমার দেওয়া আয়াতের সাথে আপনার কথার মিল আপনি নাই পেতে পারেন, কারণ ওটা পেলে তো আর দাড়ী রাখা নিয়ে "লোল" টাইপ কমেন্ট মারতেন না! "আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। কারণ, এদের কোন শপথ নেই যাতে তারা ফিরে আসে।" সূরা আত তাওবাহ-১২! আর হ্যাঁ, যে আয়াতের রেফারেন্সটা আপনি দিয়েছেন, একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঐ আয়াতটা নিজেই একটু নিজেকে পাঠ করে শোনান! আগেই বলেছি, আপনারা মানলে মানেন, না মানলে নাই, দয়া করে কোন ধর্মের কোন কিছু নিয়ে কোন কিছু না বুঝে কটাক্ষ করবেন না! তা সে ইসলামই হোক, সনাতন ধর্মই হোক বা অন্য যে কোন ধর্মেরই হোক! এখানে শিবির বা অন্য কারো গুণগান গাওয়া হয়নি, পোষ্টের বা কমেন্টগুলোর কোথাও এ বিষয়ে একটা কথা লেখা নেই, আপনি দিব্যি এখানে শিবির খুজে পেলেন! আপনাদের কেন বারবার ধর্মের কথা বললেই শিবির আর ছাগু শুনতে হয়, তা বুঝিনা, আর আমার রাগটা এখানেই!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭
বোকামন বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম