নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তমোময়ী(পর্ব-১)

৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬



শ্রেয়সী ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী। অসম্ভব সুন্দরী পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার মেয়েটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসে সপ্তাহ দুয়েক পরে। দু সপ্তাহ মানে ততদিনে পড়াশোনা অনেকটাই এগিয়ে যায়। সম্ভবত নিজের পশ্চাৎপদতা উপলব্ধি করে প্রথমদিন ক্লাসে অনেকটাই মুষড়ে ছিল। বসেছিল আমার পাশের ডেস্কে। ফাস্ট পিরিয়ডে জয়ন্ত বাবু ক্লাস ছিল; বেশ কয়েকবার বিরক্তি প্রকাশ করেছিল। সঙ্গে বেশ ভাবুক ভাবুক লাগছিল।ওর অন্যমনস্কতায় ও করুণ মুখশ্রীতে আমার মনোযোগে বিঘ্ন ঘটছিল। প্রথম দিকে আড় চোখে দেখলেও, পরে বারে বারে চোখ চলে যাচ্ছিল ওর দিকে। ফাস্ট পিরিয়ড শেষ হতেই, নিজেকে এক পর্যায়ে আর সামলাতে না পেরে আগবাড়িয়ে জিজ্ঞেস করি,
-তোমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? উল্লেখ্য আমি শুরুতে কাউকে তুই বলতে পারি না। যাইহোক আমার কথা শেষ না হতেই,
- হ্যাঁরে। বড্ড পিছিয়ে গেছি। কিচ্ছু তো বুঝতে পারছি না।
ক্লাসের নোটপত্র আদান-প্রদানে আমি বরাবরই উদারহস্ত। কাজেই নিজের স্বভাবসিদ্ধ বৈশিষ্ট্যের কারণে জানাই,
-আমার কাছে এ পর্যন্ত যা ক্লাস হয়েছে সব লেকচারগুলো আছে। যদি আগ্রহী হও তাহলে আমি তোমাকে সেগুলো শেয়ার করতে পারি।
তৎক্ষণাৎ এক চওড়া হাসিতে ওর মুখের দ্যুতি যেন ঠিকরে পড়লো। সাথে সাথেই জানালো,
-তুই দিবি আমাকে? সত্যিই দিবি তো? বড্ড উপকার হবে তাহলে..
সেই থেকেই শুরু।তার পর থেকে ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।ক্লাসে ডেক্স কারো নামে ফিক্সড ছিল না ঠিকই কিন্তু ও আগেভাগেই পৌঁছে পাশের ডেক্সটা আমার জন্য দখলে রাখতো। বিষয়টা শুরুতে একটু চোখে পড়ার মতো ছিল ঠিকই কিন্তু আমার মন্দ লাগতো না। ওর এই আগবাড়িয়ে করা বন্ধুত্বের সম্পর্কটা পরবর্তীতে প্রগাঢ় সম্পর্কে পরিণত হয়। উল্লেখ্য আরও পরে তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে আবদ্ধ থাকেনি, প্রসারিত হয়েছিল দূর বহুদূরে..

বলতে দ্বিধা নেই নিজের দুর্বলতার কারণে আমি আগবাড়িয়ে কোনদিন ওর পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইনি। বুদ্ধিমতী মেয়ে শ্রেয়সী সম্ভবত সে কারণে জানতে চায়নি আমার পরিবার সম্পর্কেও। আমার ধারণা, সম্পর্ক গড়ে ওঠে নিজেদের মধ্যে। সেখানে পরিবারের ভূমিকা গৌণ। আর সেই যুক্তিতে তাদের পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামানো অহেতুক সময় নষ্ট বা একপ্রকার বোকামিই বৈকি। উল্লেখ্য ওসব বিষয় নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিল না আমার কোনকালেই। ঘনিষ্ঠতার সূত্রে বুঝেছি ধনী পরিবারের সন্তান মেয়েটির চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল,সে ছিল অসম্ভব সাহসী। রাতবিরাতে একাকী এখানে ওখানে আসা-যাওয়া বা যখন-তখন হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তার জুড়ি মেলা ভার। আর তার এ কাজের দোসর ছিল পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফি। পৈত্রিক সূত্রের বিষয়টিতে পরে আসছি।

এমনিতেই অসম্ভব অনুরাগ ছিল ফটোগ্রাফির প্রতি। সুযোগ পেলেই যার নেশায় ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়তো কাছে বা দূরে কোথাও। সব সময় যে সঙ্গে লোকজন থাকতো তা নয়।আর এটাই ছিল ওর প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে অনুপস্থিতির প্রধান কারণ।আগে আগে ওর কয়েকজন ফটোগ্রাফার বন্ধু সহযোগী হলেও। সম্প্রতি দলবেঁধে ফটোগ্রাফিতে যেতে ও আর তেমন আনন্দ পেত না। এতে নাকি একজন ফটোগ্রাফারের মৌলিকত্ব নষ্ট হয়। নিজের ভালোলাগা মন্দলাগা এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। তাই শেষের দিকে একাকিই বেরিয়ে পড়তো পছন্দমত কোনো জায়গায়। বেশ কয়েক মাস পরে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ। জানিয়েছিল, তার উপর ওনাদের নাকি অগাধ আস্থা। ছোট থেকেই ওনারা ওকে কোনো কাজে বাধা দেননি। আর এই স্বাধীনতাই ওকে করে তুলেছিল ফটোগ্রাফির নেশায় নেশাতুর। জানিয়েছিল নেশাটা নাকি ও ওর বাবার কাছ থেকেই পেয়েছিল। আর এ কারণেই বাবার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় একপ্রকার সারাক্ষণ মেতে থাকতো ফটোগ্রাফি নিয়ে।

উল্টোদিকে ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার ধারণা ছিল একেবারেই তলানিতে। জীবনে একটা ক্যামেরা কেনার সৌভাগ্য হয়নি যেখানে, ফটোগ্রাফি তো কোন ছার। তবে হ্যাঁ প্রসঙ্গ উঠলে একজন গুনমুগ্ধ শ্রোতার মতো মন দিয়ে ওর কথাগুলো শুনে গেছি। আমার এই অত্যুৎসাহীতার কারণে হয়তো আমাকে ফটোগ্রাফি শেখানোর একটা নেশা মনে মনে বোধহয় ওকে পেয়ে বসেছিল। ক্লাসের ফাঁকে সামান্য সময় পেলেই ও চলে যেতো ওর চেনা ছন্দে। শুধু যে একতরফাভাবে বলে যেত তা নয়। প্রশ্নও করত মাঝে মাঝে। ভালো উত্তর দিতে না পারলে দিদিমণি রেগে যেতেন। ওর কাছে বাহবা পাওয়ার তাগিদ তখন থেকেই মনে মনে তৈরি হয়। কাজেই আমাকেও একটুআধটু ওর ভাষণের পাশাপাশি জার্নাল গুলোতেও পাতা উল্টিয়ে দেখতে হতো। স্বভাবতই অনুমেয় পড়াশোনার বাইরেও প্রচুর সময় আমাদের এভাবে অতিবাহিত হতে থাকে ক্যাম্পাসের ভেতরে।

ওর সঙ্গে আমার এই বন্ধুত্বকে বিশেষ শ্রেণিতে চিহ্নিত করতে সহপাঠীদের সময় লাগেনি। প্রথমে আমাদের দেখে একটু আধটু ফিসফিসানি পরে কানাঘুষো কানে আসতে থাকে আমরা নাকি প্রেম করছি। কয়েকজন আরও এক কদম এগিয়ে মুখ টিপে হাসতে লাগলো আমাদের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে। যদিও বিষয়টা ছিল আমার কাছে রীতিমতো উপভোগ্যের। এমন একজন সুন্দরী নারীর সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মনে মনে বেশ পুলকিত বোধ করতাম। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে ব্যবধান যে বিস্তর সে কথা ভেবে নিজেই নিজেকে প্রবোধ দিতে থাকি, আল্টিমেট রেজাল্ট যাই হোক আপাতত যে কদিন পাচ্ছি সেটাই বা কম কিসে।

এরই মধ্যে এক রবিবার ভোরবেলা ওর সঙ্গে বের হতে পারবো কিনা জানতে চাইলে, আমি উচ্ছ্বসিত হই। আগে ওর সঙ্গে ক্যাম্পাসে সময় কাটিয়েছি বড়জোর দুই/তিন ঘন্টা হবে। কিন্তু একটা গোটা দিন এই প্রথম! যা ছিল আমার কাছে কল্পনাতীতও বটে। কিন্তু নিজেকে যতটা সম্ভব সংযত রেখে বলি,
-রবিবার সকাল-সন্ধ্যায় দুটি টিউশনি ছাড়া তেমন কোনো কাজ নাই। সেক্ষেত্রে তোর প্রয়োজনে টিউশনি দুটিকে না হয় অন্যদিন পড়িয়ে দেবো।
আমার সম্মতি পেয়ে ও খুশি হয়। আবারো জানায়,
- একটু বেশি সময় লাগতে পারে অসুবিধা নেই তো?
আমিও তৎক্ষণাৎ উত্তর দেই,
- না না কোন সমস্যা নেই। তোর যতক্ষণ লাগে সময় দিতে পারবো।
মনে মনে বলি বরং কম সময়ের জন্য হলে রীতিমতো কষ্ট পেতাম। যাইহোক পরিকল্পনা মতো পরেরদিন খুব ভোর বেলা ভারি শীতবস্ত্র পরে আমরা ট্রেনে চেপে বসি। ভোরের ট্রেন হলেও যথেষ্ট ভিড় ছিল। মূলত পাইকারি বাজার থেকে কেনা সবজি বিক্রেতাদের ভিড়েই এ সময় ট্রেন ছিল অনেকটাই পরিপূর্ণ।বসার আসনগুলোতে কিছু জায়গা অবশ্য তখনও ফাঁকা ছিল। শীতকাল হওয়ায় সকলেই ছিল মহাকাশচারীদের মতো অবস্থায়। তবে শীতকালের জন্য এমন ভিড় অবশ্য বেশ ভালোই লাগছিল। ট্রেনের ভেতরে লোকসমাগম ও জানালাগুলো বন্ধ থাকায় পরিবেশটি হয়ে উঠেছিল রীতিমতো উষ্ণতম; এক প্রকার আরামদায়ক বৈকি।

ও হ্যাঁ যে কথা উল্লেখ করতে ভুলে গেছি।আগে থেকে ট্রেনের সময় সারণি দেখে বেশ কিছুটা আগেই আমরা স্টেশনে পৌঁছে যাই। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হয়নি। একেবারে নির্দিষ্ট সময়েই ট্রেন স্টেশনে চলে আসে।আগেই বলেছি যাত্রী ভিড় শুরুতে না থাকলেও ক্রমশ এগিয়ে যেতেই সবজির পাশাপাশি যাত্রীর ভীড় বাড়তে থাকে। পাশাপাশি দুটি সুবিধামতো জায়গা দেখে আগেভাগেই আমরা বসে পড়ি। শ্রেয়সী বসে জানালার পাশে। শুরুতে কিছুক্ষন নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব চললেও একসময় নিজেদের গল্প যেন শেষ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকায় সম্ভবত সময় নষ্ট না করতে সে ব্যাগ থেকে একটা ফটোগ্রাফীর জার্নাল বের করে ঘাটতে থাকে।আমি উপায়ন্তর না পেয়ে জানালার বাইরে ছুটে যাওয়া প্রান্তরের দিকে দৃষ্টিপাত করি। যদিও মন পড়েছিল শ্রেয়সীর দিকেই। আড়চোখে তাই আরেক দৃষ্টি ওর দিকেই নিমগ্ন রাখি। জীবনে প্রথম কোনো নারীকে এমন সঙ্গ পাওয়া;ফলে প্রতিটি মূহুর্তই এসময় আমার কাছে দারুণ রোমাঞ্চকর মনে হতে থাকে। ট্রেন কখন থামছে কোথায় থামছে এসবে আমার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। অদ্ভুত এক রোমাঞ্চকর অনুভূতির সঙ্গে ওর শরীরের একটা মিষ্টি ঘ্রাণ মিশেমিশে এসময়ে মাদকতার ন্যায় আমাকে আবিষ্ট করে ফেলে।এমন সময়ে চতুর্থ ব্যক্তিকে জায়গা করে দিতে আমি আরও ওর শরীরের দিকে ঝুঁকে পড়ি। গায়ের সঙ্গে গা ঘেঁষে আরও নিবিষ্ট হয়ে বসে থাকি। জানিনা আমাকে কিছুটা সুযোগ দিতেই বা প্রকৃতই অন্যমনস্কতা যে কারণেই হোক আমার এমন আচরণে সামান্যতম ভ্রুক্ষেপ না করে জার্নালের একের পর এক পাতা ওল্টাতে থাকে। অস্বীকার করবো না ওর এই আপাত ভ্রূক্ষেপহীনতা কিছুটা আমাকে প্রলুব্ধ করে তোলে। মনে মনে কিছুটা প্রশ্রয় পেয়ে যাই। ফলস্বরূপ বাকি রাস্তাটা ওর স্পর্শ নিয়ে আমি মুদ্রিত নয়নে হৃদয় দিয়ে অনুভব করি এক অনির্বচনীয় সুখানুভূতি। স্বভাবতই এ কারণে দেড় ঘন্টার রাস্তা কখন যে শেষ হল খেয়াল ছিল না। লোকজনকে নামতে দেখে কনুইয়ের গুঁতো দিয়ে বলে,
- কিরে এভাবে বসে থাকবি?ট্রেন তো প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে।
আমি ঘুম ঘুম চোখে কিছুটা আড়মোড়া খেয়ে অবাক চোখে বাইরে তাকিয়ে সলজ্জিত হয়ে বলি,
-সেই ভোররাতে উঠেছি তো একটু ঘুম এসে গেছিল।
-হ্যাঁ সে ঠিক বুঝেছি,বলে একটা রহস্যময়ী হাসি দিয়ে আমার নাকটি আলতো করে চেপে আবারো বললো,
-পাক্কা দেড়ঘণ্টাতেও বাবুর মন উঠলো না, আরও সময় চায়,বলে সামনে এগোতে ইশারা করে।

ট্রেন থেকে নামতেই বুঝতে পারি যথেষ্ট বেলা উঠে গেছে। এতটা বেলা হয়েছে দেখে ম্যাডামের মুড বিগড়ে গেলো। বিরক্তির সাথে ক্যামেরার ব্যাগের পাশাপাশি গায়ের সোয়েটার গুলোকেও খুলে একে একে আমার দিকে ছুড়ে দেয়। এতক্ষণে ওর গোটা শরীরে যেন বস্তা মোড়ানো ছিল। কাঁধের ব্যাগ থেকে হালকা একটা জ্যাকেট বের করে গায়ে চাপিয়ে নিল। দুহাত দিয়ে চুলগুলো ঠিক করে নিজেকে হাল্কা শীতের উপযোগী করে তোলে।জ্যাকেটের কোনো বোতাম না লাগানোয় বুকের সামনের দিকটা ছিল সম্পূর্ণ অনাবৃত। হলুদ রঙের জ্যাকেটকে দু-দিকে ঠেলে রেখে বড়বড় উন্নত স্তনযুগল যেন ঠিকরে বেরোচ্ছিল।এমন বুকের অধিকারী হওয়ায় আলাদা অহংবোধ বোধহয় শ্রেয়সীর মতো শহুরে নারীদের মনের মধ্যে বোধহয় কিছুটা কাজ করে। ডেনিম ব্লু জিন্সের উপরে হাল্কা ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবীতে পরীর মতো শ্রেয়সী তাই স্টেশন রোড ধরে হাঁটার সময় অগণিত মানুষের দৃষ্টি শুষে নিচ্ছিল।

স্টেশন রোডকে পিছনে ফেলে আমরা এবার হুগলি নদীর গা ঘেঁষে হাঁটতে থাকি। শুরুতেই দৃষ্টি যায় দূরে রক্তিম দেবের দিকে। মূলত ওনার দর্শনার্থী হতেই আমাদের আজ এখানে আগমন হহ্যহহ্য আমার সঙ্গে। উনি অবশ্য ততক্ষণে নদীর ওপারে যথেষ্ট উপরে অবস্থান করছেন। কাজেই কতকটা বেলা হওয়ায় কিছুটা নিরাশ হই। অবশ্য সে নিরাশা ছিল শ্রেয়সীর তাগিদেই।প্রভাতের সূর্যোদয় দেখতে না পেয়ে বেচারী খুবই বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। কিছুটা ব্যর্থ মনোরথ হয়ে আরো একটু অগ্রসর হতেই একটা কটু গন্ধ নাকে আসে। মনে মনে ভাবতে থাকি আশেপাশে কোথাও কোনো মৃত জন্তুর গলিত দেহাবশেষ থেকেই সম্ভবত গন্ধটা আসছে।শ্রেয়সীকে দ্রুত পা চালাতে বলে আরও কিছুটা অগ্রসর হতেই বুঝি আমার অনুমান অকাট্য নয়। তবে মৃত জন্তুর নয় হুগলি নদীর তীর ঘেঁষে অনেকটা জায়গা জুড়ে মৎস্যজীবীরা মাছ শুকাচ্ছেন। যেখানে লোটে মাছের প্রাধান্য বেশি। যদিও অন্যান্য মাছও কম বেশি ছিল সেখানে। এমন দুর্গন্ধের সঙ্গে হাজার রকমের মাছি মিলে স্থানটিকে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছিল। এমন একটি স্থান যে কারোর ভালোলাগার কথা নয়। স্বভাবতই ভালো লাগেনি আমারও। কিন্তু এরই মধ্যে একটা ঘটনা বিষয় আমাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে। এত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও মানুষগুলোর কাজের প্রতি একাগ্রতা দেখে আমি বেশ অবাক হই। এত দুর্গন্ধের মধ্যেও লোকগুলো মনেপ্রাণে কাজ করছে ভেবে মনের বিরক্তি ভাব আপ্রাণ অবলোকনের চেষ্টা করি। তবে লৌকিকতার খাতিরে নিজের বিরক্তভাবকে গোপন রাখলেও মনে-মনে ব্যস্ত হয়ে পড়ি এখান থেকে বের হওয়ার জন্য। যদিও এতকিছুর পরও তাড়াতাড়ি স্থানটি ছেড়ে বেরোতে পারিনি। অবশ্য আমার কিছু করার ছিল না। শ্রেয়সী ক্যামেরা নিয়ে আপন মনে দুর্গন্ধযুক্ত বিভিন্ন রকম মাছেদের ছবি তুলতে থাকে। অগত্যা ওকে সময় দিতে আমিও পিছন পিছন ঘুরতে থাকি। অবশেষে একসময় ওর ছবি তোলার পর্ব শেষ হয়। সাথে সাথে আমরাও এখান থেকে বের হই।

সেদিন খালিপেটে আরো ঘন্টা দুয়েক ঘোরাঘুরি করে কিছুটা শ্রান্ত হয়ে অবশেষে একটি ঘুমটি দোকান থেকে সকালের প্রাতরাশ সেরে নিই। বুঝতে পারি সকালের হাঁটাহাঁটিটা অনেকটাই বেশি হয়ে গেছে। উল্লেখ্য এতোটা হেঁটেও শ্রেয়সীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়লো না। হয়তো বা এমন হাঁটাচলায় অভ্যস্ত হওয়ায় চোখে মুখে কোনো ক্লান্তি ধরা পড়েনি। অগত্যা কিছুটা বাধ্য হয়ে নিজের ক্লান্তিকে গোপন করে ওকে অনুসরণ করতে থাকি। ক্রমশ বেলা গড়িয়ে দুপুর হতে থাকে। পরের দিকে একটা সময় মন সায় দিলেও শরীর যেন আর পেরে উঠছিল না। বুঝতে পারি মধ্যপ্রদেশে ভয়ঙ্কর খাবারের জন্য টান ধরেছে। ওদিকে শীতের দুপুর হলেও মাথার উপর রোদ্র ছিল বেশ চড়া। এমন সময় সামনে একটি ভাতের হোটেল পাওয়ায় দুজনে ঢুকে পড়ি। ভেতরে ঢুকে বুঝতে পারি হোটেলটি তেমন পরিচ্ছন্ন নয়। কিন্তু আশেপাশের অন্যান্য যে হোটেলগুলিকে ইতিপূর্বে দেখেছি সেগুলোকে এর চেয়ে সুবিধার বলে মনে হলো না। কাজেই একপ্রকার বাধ্য হয়ে উদরপূর্তি করার মতোই সামান্য সব্জি ভাত খেয়ে বেরিয়ে আসি।

পেটে ভাত পড়তেই আবার শক্তি ফিরে পাই। নতুন উদ্যোমে আবারো দুজন হাঁটতে থাকি। ওকে পাশে নিয়ে এভাবে হাঁটতে খুবই ভালো লাগছিল। আগেও বলেছি পথ চলতি মানুষের কৌতূহলী দৃষ্টি ছিল শ্রেয়সীর দিকে। অবশ্য ও সবে ওর কোনো ভ্রূক্ষেপ ছিল না। ওর এই আপাত ভ্রূক্ষেপহীনতা আমাকে রীতিমতো অহং করে তোলে। এমন একজন সুন্দরীকে পাশে নিয়ে হাঁটার জন্য নিজেকে মনে মনে খুব সৌভাগ্যবান মনে হতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে একটা বিষয় লক্ষ্য করি বিকেলের পড়ন্ত বেলায় কপোত-কপোতিদের ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। মনে মনে প্রলুব্ধ হতে থাকি শ্রেয়সীকে নিয়ে যদি এমন করে একটু প্রেম উদ্যানে বসার সুযোগ পেতাম .. যদি এমন পরিবেশে কানে মুখ ঠেকিয়ে বলতে পারতাম,
-ওগো প্রিয়তমা জন্ম-জন্মান্তর আমি শুধু তোমাকেই চাই...পরক্ষণেই আমার যাবতীয় শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। এত আগডুম বাগডুম চিন্তা না করাই ভালো।এতে হয়তোবা হিতে বিপরীত হতে পারে। শ্রেয়সীকে হয়তো চিরদিনের জন্য হারাতেও হতে পারে।
জানিনা উপরওয়ালা হয়তোবা আমার পার্থনা অলক্ষ্যে মঞ্জুর করেছিলেন।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

হাবিব বলেছেন: অনেক দিন পর পেলাম আপনার পোস্ট

৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আলাদা ভালো লাগা। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় হাবিব ভাইকে। আপনার পোস্ট দেখেছি। কিন্তু গতকাল থেকেই নিজের পোস্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবকাশ হয়নি।আজ রাতে সব ডিউ পোস্টে যাবো। হ্যাঁ ভাই অনেকদিন পর পোস্ট দিলাম আপনাদের উপস্থিতি না পেয়ে মনমরা হয়ে গেছিলাম। যদিও সঙ্গে আরও অনেক কারণ ছিল। যাইহোক ভালো থাকবেন সবসময় এই দোয়া করি।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




দেখা যাক উপরওয়ালা ছাপ্পর ফেড়ে গল্পকারকে কি দেন!

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আশাকরি এমন করেই আগামীতেও পাশে পাবো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: কোন ইচ্ছেটা সৃষ্টিকর্তা কবুল করেছিলেন
চিরদিনের জন্য হারানোর না কি একটুখানি কেছে পাবার? :-B
শ্রেয়সী নামটার সাথে কেমন যেন বর্ণনার সৌন্দর্য মিলে মিশে আছে।

সবগুলো পর্ব পরার ইচ্ছে আছে- লিখে যান।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহে হে.....এই কৌতূহলটুকুকে আরও কিছুক্ষণ ধরে রাখতে অনুরোধ করবো। আশাকরি পরবর্তীতে আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
শ্রেয়সী মানে উৎকৃষ্টতম কল্যাণময়ী বা শ্রেষ্ঠা। নামের সঙ্গে সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়াতে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পরের পর্ব আজকালের মধ্যেই পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।

পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা ভাই আপনাকে।


৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: প্রেমে পড়া বারণ.........

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না সবসময় তা খাটে না.... কখনও বা তা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১০

ইসিয়াক বলেছেন: তমোময়ী মানে কী?

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তমোময়ী মানে অন্ধকারে ব্যপ্ত।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৩

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: "তোমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? উল্লেখ্য আমি শুরুতে কাউকে তুমি বলতে পারি না।" - এটুকু বুঝিনি

কাহিনী ভালোই হচ্ছে। ফলো করবো সিরিজ টা।

ইসিয়াক বলেছেন: তমোময়ী মানে কী?
তমোময় অর্থ তো জানি অন্ধকারপূর্ণ, সেটারই নারীবাচক শব্দ হবে হয়তো।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তোমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? উল্লেখ্য আমি শুরুতে কাউকে তুমি বলতে পারি না।" - এটুকু বুঝিনি"-ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।টাইপো হয়ে গেছে।তুমির পরিবর্তে তুই হবে। ঠিক করে দিয়েছি।
কাহিনী ভালো হচ্ছে মনে হওয়ায় খুশি হলাম।প্রত্যাশা মতোই আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো আশাকরি।
তমোময়ীর অর্থ আপন ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: + রইলো লেখাতে।
সাথে আমি আছি।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা আপনাকে।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৫৫

সোহানী বলেছেন: চলুক! অল্প বয়সের প্রেমের উপাক্ষান।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহে হে...আপু ঠিকই বলেছেন।এই বয়সে বডিগার্ড হতেও মন্দ লাগতো না।
আশাকরি পরবর্তীতেও পাশে পাবো।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: প্রেমে একেবারে টইটম্বুর লেখা। তাড়াতাড়ি শেষ করবেন কিন্ত। আপনি সবসময় এক্সপ্রেস ট্রেনে আমাদের উঠিয়ে ছাড়েন। ক্যানো একটু লোকাল ট্রেনে বসলে সমস্যা কি :-* এই যেমন এইটা মাত্তর তিন পর্ব :`> পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম পদাতিক :)
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: : প্রেমে একেবারে টইটম্বুর লেখা।"-হেহেহে...আপু ঠিকই বলেছেন। তবে পরের দিকে এই টইটম্বুর নাও থাকতে পারে। আশাকরি সাথে থাকবেন।আর এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনার অসুবিধা ভেবেই লোকাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি।তাও আপনি আরো লোকাল চান? আসলে আমি তো একটু দূরে থাকি তাই আমাকে একটু দূরপাল্লার যানবাহনের আশ্রয় নিতে হয়।হেহে হে.
হ্যাঁ আপু আজকালের মধ্যেই পরবর্তী পর্বের পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগছে।
নতুন একটা ধারাবাহিক নিয়ে হাজির হয়েছেন। আপনার আগের ধারাবাহিকের এই ধারাবাহিকটা জনপ্রিয়তা পাবে আশা রাখি।

আপনার ছাদ বাগানের সবজি দেখে আমি মুগ্ধ! আপনার হাতে ফসল ভালো হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। হ্যাঁ অনেকদিন ছাদবাগান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অনিয়মিত হয়ে গেছিলাম। তবে এখন থেকে আবার দুদিকেই নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো। ভাইকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। আগের ধারাবাহিক অনেকটাই বড়। এখনও মাঝপথে পৌঁছায়নি।হাতে টুকটাক ছোট গল্প থাকায় ভাবলাম মাঝে মাঝে দু একটি পোস্ট করি।যে কারণে তিন পর্বের এই গল্পের অবতারণা।

"আপনার ছাদ বাগানের সবজি দেখে আমি মুগ্ধ! আপনার হাতে ফসল ভালো হয়।"- হেহে হে...এবার কলকাতায় এলে ভাইকে নিজের হাতের সবজি না খাইয়ে ছাড়বোনা। কোনো যুক্তি কিন্তু শুনবো না আগে থেকেই বলে রাখলাম।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাক্কা দেড়ঘণ্টাতেও বাবুর মন উঠলো না, আরও সময় চায়,বলে সামনে এগোতে ইশারা করে। ধান্দাবাজ পুরুষদের ধান্দাবাজী মেয়েরা সহজেই বুঝতে পারে। শ্রেয়সীও এর বাইরে না। আপনের চরিত্র তো দেখি ফুলের (???) মতো পবিত্র!!! :P

আপনার প্রেমিক মনের চিন্তা-ভাবনাগুলো একটু বেশী সিনেমাটিক হয়ে গিয়েছে। আরেকটু রাখঢাখ করলে ভালো হতো। =p~

যাই হোক, পরের পর্ব তাড়াতাড়িই পাবো আশা রাখি, আর আপনের সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়ার কথা আর কি বলবো! ওইটা ইহকালে শেষ হবে বলে মনে হয় না। :-B

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিরিটেনের রাজকার্য ফেলে রেখে এভাবে ব্লগে সময় দেওয়ায় কৃতার্থ বোধ করিতেছি। পরবর্তী পর্ব এইমাত্র পোস্ট করলাম। আমি নিপাট ভদ্রলোক। মনে কোন কু নেই। যেটা দেখি সোজাসাপ্টা বলে ফেলি।আর গল্প তো গল্পই। তার সঙ্গে বেচারা লেখকদের ধরে টানাহেঁচড়া কেন? চরিত্র নিয়ে যদি বলেন তাহলে নিজেকে একজন সৎ চরিত্রবান বলেই মনে করি। লেখককের ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে এমন তুলনা নিঃসন্দেহে সাংঘর্ষিক বৈকি।অনেকটা না পাওয়ার যাতনা গল্প চেটেপুটে উপভোগ করা এই আর কি।
আর 'সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' সিরিজ যথারীতি দুই এক সপ্তাহের মধ্যে আবার পোস্ট করব।আপনারা না বড্ড তাড়া দেন।আপনি আর জুনাপুর জন্যেই এত তাড়াতাড়ি পোস্ট দিতে হয়।নইলে আরো একটু সময় নিয়ে পোস্ট দিতুম।হেহেহে...

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রেমের উপাখ্যান পড়ে ভালো লাগলো। সহপাঠীদের এই কানাঘুষোর ব্যাপারটা বেশ মজাদার। কত রকম ফিকশন যে তৈরি হয়!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় তমাল ভাই আপনাকে।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম মুখরোচক আলোচনা হলো ক্লাসের প্রেম। ঠিকই বলেছেন ভাই যারা করে তাদের নিয়ে যেমন আলোচনা হয় তেমনি না করেও মাঝে মাঝে এর সঙ্গে আরেক জনের নাম জড়িয়ে দেওয়া ও গসিপের মজাই আলাদা। পুরানো কথা মনে করিয়ে দিলেন ভাই। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো গল্প।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,





কৌতূহলবশত আপনার গল্পটি দেখে কিছু অংশ পড়ে বাকিটুকু পরবর্তীতে পড়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু গল্প শুরু করতেই এমন হল যে পুরোটা শেষ না করে আর উঠতে পারলাম না আটকা পড়ে গেলাম অনেকটা। গল্পের শুরুটা অনেক ভালো লেগেছে আশা রাখি পরবর্তী অংশ গুলো অনেক সুন্দর হবে।

আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য করা দেখেই বুঝেছিলাম হয়তো আপনিও খুব ভালো লেখেন। এখানে এসে দেখলাম আমার ধারণাটি সঠিক। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

- দেয়ালিকা বিপাশা

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,

আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট; সুস্বাগতম আপনাকে।

"কৌতূহলবশত আপনার গল্পটি দেখে কিছু অংশ পড়ে বাকিটুকু পরবর্তীতে পড়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু গল্প শুরু করতেই এমন হল যে পুরোটা শেষ না করে আর উঠতে পারলাম না আটকা পড়ে গেলাম অনেকটা। গল্পের শুরুটা অনেক ভালো লেগেছে আশা রাখি"-পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।আমি একজন হাতুড়ে লেখক।ব্লগে কয়েকজনের অনুপ্রেরণায় সামান্য লেখালেখি করি।তারই একটি নমুনা গল্পটা। আপনার আটকে পড়ায় আপাত দৃষ্টিতে দুঃখিত এভাবে হয়তোবা কিছু সময় নষ্ট হয়েছে বলে কিন্তু ভালোও লাগছে যে নুতন পাঠক হিসেবে আপনার ভালো লেগেছে জেনে। আশাকরি আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো।


"আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য করা দেখেই বুঝেছিলাম হয়তো আপনিও খুব ভালো লেখেন। এখানে এসে দেখলাম আমার ধারণাটি সঠিক। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।"-এইরে! এবার যে বিপদে ফেললেন। তবে আরো কিছু পোষ্ট পড়লে তখন দেখবেন আপনার ধারণার পরিবর্তন ঘটবে।হেহে হে...দিন শেষে আমরা ব্লগার। শখের বশে লেখালেখি করি।চাই শুধু একটু অনুপ্রেরণা।আর সেটাই আমাদের একমাত্র মূলধন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।


আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যেও রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু একটু করে জমে ওঠা রোমান্সের অনুভূতিটা ভালো লেগেছে। শ্রেয়সী এবং লেখকের মধ্যকার দূরত্বটা আগামীতে কমে আসবে, এটাই আশা করছি।

গল্প সাবলীল ধারায় এগিয়েছে। পোস্টে দ্বাদশ ভাললাগা। + +

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার অবশেষে আপনিও..... লজ্জায় পালানোর উপক্রম আমার.....

গল্পের নায়কের সঙ্গে লেখককে এভাবে মিশিয়ে ফেলায় অস্বস্তি বোধ করছি‌।স্যার আপনাকে সম্মান রেখেই বলছি।আমার ক্ষুদ্র পরিসরে লেখক চোখের সামনে যা কিছু দেখবেন বা শুনবেন সেগুলোকে উপজীব্য করে তুলবেন নিজের লেখনীতে (যদিও কখনোবা নিজের জীবনের কথাও থাকে)। বিভিন্ন স্বত্তা তাই লেখকের লেখনীতে ধরা পড়ে।তাই গল্পের চরিত্রকে একটা বিশেষ চরিত্রের আঙ্গিকে না দেখে লেখকের ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে মেলানোটা কখনোবা বেশ অস্বস্তিকর বৈকি।আর যদি ব্যক্তি আপনি হন তাহলে তো লজ্জায় মরে যাওয়ার উপক্রম। আশাকরি স্যার আমার প্রতিমন্তব্যটি খারাপভাবে নিবেন না প্লিজ।

"গল্প সাবলীল ধারায় এগিয়েছে। পোস্টে দ্বাদশ ভাললাগা। + +"
- গল্প সাবলীলভাবে এগিয়েছে মনে হওয়াতে ও পোস্টে দ্বাদশ লাইক প্রদান করাতে এবং ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা স্যার আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।


১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের সাথে দেয়া ছবিটা সুন্দর!
কিন্তু আপনার "সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া" সিরিজের ক্যাপশন পিকচারটা মোটেই সুন্দর হয়নি, মোট তেরটি পর্ব পড়ে আসলেও এ কথাটা কোথাও বলা হয়নি (আমার দ্বারা), অন্যরা যদিও কেউ কেউ বলেছেন। সে ছবিটা বদলানো সম্ভব কিনা, তা ভেবে দেখবেন। আপাততঃ ছবিবিহীন থাকলেও অসুবিধে নেই।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

"শিরোনামের সাথে দেয়া ছবিটা সুন্দর!"- অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

"কিন্তু আপনার "সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া" সিরিজের ক্যাপশন পিকচারটা মোটেই সুন্দর হয়নি, মোট তেরটি পর্ব পড়ে আসলেও এ কথাটা কোথাও বলা হয়নি (আমার দ্বারা), অন্যরা যদিও কেউ কেউ বলেছেন। সে ছবিটা বদলানো সম্ভব কিনা, তা ভেবে দেখবেন। আপাততঃ ছবিবিহীন থাকলেও অসুবিধে নেই।"- জ্বী স্যার দু একজন ইতিপূর্বে বলেছিলেন। আমি গ্রাম বাংলার এক শাশ্বত চিত্র তুলে ধরতে এই ছবিটা দিয়েছিলাম। তবে আজ আপনি বলার পর আর ছবি দেবো না। এবিষয়ে আপনার পরামর্শ আমার কাছে ফার্স্ট প্রায়োরিটি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
উল্লেখ্য 'তমোময়ী' গল্পটি শেষ করে আবার 'সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' সিরিজ পোস্ট দিবো। এক বছরের অধিক হয়ে গেছে আর সময় নেবো না। খুব দ্রুতই পোস্টটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৫

শায়মা বলেছেন: নায়িকারা সব সময় এত সুন্দর হয় কেনো?

এই নায়িকাকে তো দেখতেই পাচ্ছি যেন .....

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ আমার কি আনন্দ বলে বোঝাতে পারবো না।আপুকে এই গরিবের ভিটেয় কোথায় যে বসতে দেই। আশাকরি ভালো আছেন। মনে হচ্ছে কতযুগ পরে দেখা পেলাম।হেহে হে...

"নায়িকারা সব সময় এত সুন্দর হয় কেনো?"-আপু অন্যের কি মনে হয় জানিনা। তবে আমার ছোট থেকেই উত্তম কুমারের ছবিগুলো দেখে মনে হতো প্রেম করতে গেলে সুচিত্রা সেনের মতো না হলে হবেনা। অবশ্য আমি সাদা মনের মানুষ। জানিনা মেয়েরা উত্তম কুমারকে না পেলে আপোষ করে কিনা...হেহেহে

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ইদানিং আমার ঝামেলা দিনকে দিন বাড়তে বাড়তে বাড়তে তালগাছ উঠে গেছে।

আর নামতেও পারিনা। গরীবের ভিটে বড়লোকের বাড়ি কোথাও আসার টাইম পাইনা ভাইয়া। :(

১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না আপু ঝামেলাকে এতটা বাড়তে দেওয়া ঠিক হয়নি।আগেই তাতে লাগাম টেনে ধরা দরকার ছিল। তবে যেটা হয়ে গেছে তাকে আর নুতন করে বাড়তে দেওয়া ঠিক হবে না।লাগাম পড়ানো বাঞ্ছনীয়। সঙ্গে একটু বলি তালগাছ থেকে নামার জন্য মই হাতছাড়া কিছুতেই করবেন না আপু।

'গরীবের ভিটে বড়লোকের বাড়ি কোথাও আসার টাইম পাইনা ভাইয়া। "-ঠিক আছে সময় না পেলে আর জোর করবো না। তবে অপেক্ষায় থাকবো কখন আপুর সম হয়.....

ভালো থাকবেন সবসময়।

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়া শেষ, কাল দ্বিতীয় পর্ব পড়বো আর পরশু তৃতীয় (আশা রাখি)!

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার আগমনে খুশি হলাম।প্রথম পর্বটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি আগামীকাল ও পরশু সময় পেলে পড়বেন। আপনার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একটু ঝামেলায় ছিলাম , তাই সময় করে দেখা হয়ে উঠেনি ।
গল্পের গাথুনী হয়েছে চমতকার । শ্রেয়সি কখন প্রিয়সি হয়ে
উঠে তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে পড়তে হবে। গল্পটি
এখন পর্যন্ত যা দেখাছে আমাদেরকে তাতে মনে হলে এটা
আগাগোড়া একটা বেশ সরস গল্পই হবে শেষ পর্যন্ত ।
এমনতর শ্রেয়সি, সাথে চমতকার বুঝমান সাথী খুব
কমই মিলে গল্প কথার জগতে । যাহোক পরের পর্ব
দেখার জন্য চললাম ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই,
"একটু ঝামেলায় ছিলাম , তাই সময় করে দেখা হয়ে উঠেনি ।
গল্পের গাথুনী হয়েছে চমতকার।"
আপনি যে সময় নিয়ে এসেছেন এবং পরপর সবকটি পর্ব পড়েছেন এটা আমার কাছে এক বিরাট পাওনা।আর এর উপর যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। ব্লগে সেটা আমার এক বিরাট পাওনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

"শ্রেয়সি কখন প্রিয়সি হয়ে
উঠে তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে পড়তে হবে।"- ..... শ্রেয়সী কখনো প্রেয়সী হয়েছে সেটা অবশ্য আমার আর নতুন করে বলার নাই। হেহে হে.... তবে আগাগোড়া আর সরস গল্প আপাতত হলো না যেহেতু আপনি সবকটি পর্ব ইতিমধ্যে পড়েছেন তাই বিষয়টি অনুমেয়। চেষ্টা করেছিলাম সরস প্রেমের গল্প লিখতে কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলাম না। আশাকরি আগামীতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাবো।

কমেন্ট পড়ে আপনার চমৎকার পর্যবেক্ষণে চমৎকৃত হলাম। শ্রেয়সীর সঙ্গে বুঝমান সাথী"। দারুণ লাগলো কথাটি।+

পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম।কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।


২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সে সময় দিতে ভুলে গিয়েছিলাম ।
ফরিদপুরে নদীতে জেলেদের জালে গতকাল
ধরা পড়া বিরল প্রজাতির বৃহত আকারের
হলুদ রংয়ের লিসমিস পাঙ্কটাটা কচ্ছপটি
স্রেয়সির দৃষ্টি গোচরে দিয়ে গেলাম ।
কচ্ছপটি এখন ফরিদপুর বন বিভাগের
হেফাজতে আছে ।

জানা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রানী বিদ্যা বিভাগের দুজন ছাত্রী গবেষনার
জন্য এটা নিতে আগ্রহী । স্রেয়সি আগ্রহী হলে
চেষ্টা করে দেখতে পারে ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
আপনার আবার কমেন্টে আসায় অত্যন্ত খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সঙ্গে কচ্ছপের ছবি দেওয়াতে প্রীত হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছবি পেয়ে ভীষণ লেগেছে।শ্রেয়সী তো রীতিমত স্পীকলেস। চোখদুটোও ছানাবড়া। অবশ্য এমন সুন্দর কচ্ছপের ছবি যে কারো ভালো লাগারই কথা।

"সে সময় দিতে ভুলে গিয়েছিলাম ।
ফরিদপুরে নদীতে জেলেদের জালে গতকাল
ধরা পড়া বিরল প্রজাতির বৃহত আকারের
হলুদ রংয়ের লিসমিস পাঙ্কটাটা কচ্ছপটি
স্রেয়সির দৃষ্টি গোচরে দিয়ে গেলাম ।
কচ্ছপটি এখন ফরিদপুর বন বিভাগের
হেফাজতে আছে ।"+

জেলেদের জালে পড়েও জলজ প্রাণীটি যে ভালো আছে।এটা একটা গ্রেট পাওয়া। তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বিজ্ঞানের উন্নতিতে দুই শিক্ষার্থীকে কচ্ছপটি দেওয়া যেতেই পারে। দেশের আইনের চোখে বিজ্ঞানের অন্যদিকে প্রমোট করা জরুরি

পরিশেষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর প্রতিমন্তব্যদুটি দেখে গেলাম ।
ধন্যবাদ ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইজান,

আপনি বিভিন্নভাবে সামু ব্লগে নিজের মৌলিক ব্যক্তিত্ব তুলে ধরেছেন। এক্ষণে আরেকবার তার প্রমাণ পেলাম। আমরা অনেকেই প্রতিমন্তব্য পড়ে আসি।কেউ কেউ নীরবে পড়ে যান।কেউবা প্রতিমন্তব্যে একটি ছোট্ট লাইক দিয়ে নিজের উপস্থিতির সাক্ষ্য রাখেন। কিন্তু এমন করে কমেন্টের মাধ্যমে আগমন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা আমার কাছে এক্কেবারে প্রথম এবং অভিনবত্ব লাগলো।সামু ব্লগে এমন গুণী ব্যক্তির সান্নিধ্য লাভ করে ধন্য। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথম পর্ব থেকে শুরু করলাম। দেখি কোথায় নিয়ে যায় আমাদের কে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগমনে খুশি হয়েছি। ঠিক আছে আপু শুরু করুন।দেখি আপনাদেরকে কতদূর নিয়ে যেতে পারি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা আপনাকে।

২৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: গল্পের শুরু চমৎকার । দেখা যাক পরের পর্বে কি আছে!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট সুস্বাগতম আপনাকে। প্রথম পোষ্ট পড়া শেষ করলেন। যদি ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পোস্টে আপনার মন্তব্যটি দেখেছি। শুরুটা ভালো লেগেছে মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০২

হাবিব বলেছেন:





প্রথম পর্বটি পড়লাম। ভালোই লাগলো। তবে সবার মন্তব্যে যা বুঝলাম তেমন ভালো লাগেনি। আরেকটু সহজ আর ছোট বাক্য আশা করেছিলাম। তবে আমি হয়তো ব্যস্ততার মধ্যে পড়েছি বলে এমনটি মনে হতে পারে। আশা কলছি বই আকারে বেরুলে গল্পটি আরো সাজানো গোছানো হবে। আরেকটু আবেগ থাকবে।

গল্প পড়ার সময় মনে হয়েছে আপনি ব্যস্ততার মধ্যে লিখেছেন। অনেক বানান ভুল দেখলাম।

সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে।

শুভকামনা প্রিয় পদাতিক ভাইয়ের জন্য।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

আপনার মন্তব্যটিকে যথার্থ মূল্য দিতে সময় নিয়ে এডিশনে গেছিলাম। কয়েকটি জায়গায় সংশোধন করেছি ঠিকই কিন্তু তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল চোখে পড়লো না। মূলত এ কারণেই প্রতিমন্তব্য দিতে দেরি হওয়া। যাইহোক এমতাবস্তায় আপনার কাছে অনুরোধ সংশ্লিষ্ট স্থানগুলো যদি সংশোধনী আকারে একবার উল্লেখ করতেন তাহলে খুবই উপকৃত হতাম।
ভালোবাসা সহ শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:০৯

মুক্তা নীল বলেছেন:

দাদা ,
শ্রেয়সী নামটির সাথেই গল্পের সৌন্দর্য রোমান্টিকতার আভাস পাচ্ছি। আশা আছে , প্রতিটি পর্ব পড়ে মন্তব্য করার ।
আর আমার দাদা লেখা গল্প না পড়লে কি হয়?
শুভকামনা জানিয়ে গল্পটি পড়া শুরু করলাম ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোনের আগমনে আনন্দ পেলাম।এ যেন দীর্ঘদিন পর ভাইয়ের বাসায় বোনের আগমনের মতোই লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ বোনকে।শ্রেয়সী নামটির মধ্যে রোমাঞ্চকর একটা ফিলিংস থাকলেও গল্পটার মধ্যে আরেকটা গল্প আছে।আর সেই জন্যই নামকরণ হয়েছে তমোময়ী। আশাকরি পরবর্তীতে তার আভাস পাওয়া যাবে।
"আর আমার দাদা লেখা গল্প না পড়লে কি হয়?"-সত্যিই এমন আন্তরিক সম্মোধন ব্লগে নিঃসন্দেহে একটা বাড়তি পাওনা। কৃতজ্ঞতা জানাই সামু ব্লগকে। অচেনা অজানা মানুষগুলোর মধ্যে মুছে যাক হাজার মাইলের ব্যবধান।সামু হয়ে উঠুক যথার্থ মিলনমেলা।
আমি যদিও বোনের দ্বিতীয় পর্বের কমেন্ট দিয়ে উত্তর দেওয়া শুরু করেছি। আশাকরি পরবর্তী পর্বেও এভাবে বোনের আগমন উপভোগ করতে পারবো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

২৮| ০২ রা জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৯

ছাকিব নাজমুছ বলেছেন: ভালো লেগেছে । পরের পর্ব গুলোও পড়ে ফেলব দ্রুত । ধন্যবাদ ।

০২ রা জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সময় করে পড়বেন- আশা ব্যক্ত করাতে খুশি হলাম। অগ্রিম ধন্যবাদ রইলো।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৯| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: শুরুটা ভাল লেগেছে।
বাকিগুলো ও পড়ব :)

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় করে পরবর্তী পর্বগুলোতে আসবেন এই অপেক্ষায় রইলাম।

ভালো থাকবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.