![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই সাধারণ একজন মানুষ...একটু অসাধারণ হবার চেষ্টা করছি...
ডাহুকের বুকের মতন সাদা হাতে যার লোমদের ঢেউ জেগে আছে,
ভাবিয়া রেখেছি আগে-কোনো এক জলে ভেজা বাতাসের ভোরে
শিমূল তুলার মত ভেসে যাওয়া আমারেই একান্ত আপনার করে
কাছে টেনে নেবে সে-খালি পায়ে দাঁড়াবে সে উঠানের ঘাসদের কাছে।
উঠানের বাদাম পাতার নিচে বসে আছি ধূলালাগা শিশিরের পাশে
সে এক ‘ছাতারে’ হয়ে আমায় খুঁজিয়া নেবে পাতা উল্টিয়ে--
জানিনা যে ভালবাসা,তাই দেবে ঠোঁটে নিয়ে আমাকে শিখিয়ে
তারপর হয়তোবা পড়ে যাব ঠোঁট থেকে সুকোমল ঘাসে।
দুর্গা টুনটুনির মত ঘর আমি বাঁধিয়াছি দুই পাতা জোড়া দিয়ে দিয়ে-
বেশি নয়-চার হাত উপরে সে বাসা দোলে রোদমাখা কুয়াশার আঘাতে,
বেশি নয়- আমি খুঁজি এ’টুকু শান্তি যা সে নিয়ে আসে সাথে,
ছোট ছোট পালক আর সুতা দিয়ে বানানো সে’ বসত আছে সীমাহীন ধৈর্য্যকে নিয়ে।
চন্দনার মত যদি আসিত সে আমার প্রেমের ধান সাবাড়ের লোভে
(হয়তো আসিয়াছে সে)-আমি তারে কখনোই উড়াতাম না তো,
সবাই খাঁচায় তারে পেতে চায়—ফাঁদ পাতে কতো--
আমি তারে ধরিনাকো,বাঁধিনাকো,নিজেকে তুলিয়া দিই জোনাকির মত হাতে
বিপুল উৎসবে।
হয়তো আমায় তার পড়ছেনা মনে-যখন সোনালী চিল দুপুরের বুকে
পাক খায়; জবাঝাড় জেগে ওঠে বারবার বাতাসের তালে,
মাঠচড়াই-এর পাল ধূলা ঝাড়ে – সেগুন পাতায় চিরবিদায়ের কালে--
যদি থাকে থাকনা সে আমায় মনে না করে কচুপাতাটির নিচে সুখে।
বটফল হয়ে আছি- শঙখশালিখ এক হয়তবা মধ্যাহ্ন প্রহরে
আসবে বটের কাছে- ফল খাবে ঘুরে ঘুরে আগ্রহের সাথে--
আনন্দে নষ্ট হব-তফাত ঘুচিয়া যাবে শালিকে আমাতে
সে সেই শঙখ হবে – তাই ভেবে বসে আছি পাতার আড়ালে আমি দেড় যুগ ধরে।
কিছুই চায়নি শুধু সন্ধ্যার অন্ধকারে ছাতিমের তলে বসে জ্বেলেছিল ‘দীপ’--
ডাহুকের ঠোঁট থেকে শুধু নিয়ে পড়েছিল কপালের মাঝখানে গোলাপিয়া টিপ।
জানি আমি মন তার নিরীহ বকের মত ভীত হয়ে থাকে
তাই আমি চাক-দইয়ালের মত নিরীহ বিশ্বাসে
আসিয়াছি; এ হৃদয় মেটে হাঁস হয়ে ভালবাসে-
কন্ঠী ঘুঘুর মত চোখ যার সেই ‘নীলিমা’কে ।।
©somewhere in net ltd.