নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এভাবে বেঁচে থাকা বন্ধ করলাম...

দীপায়ন তূর্য

খুবই সাধারণ একজন মানুষ...একটু অসাধারণ হবার চেষ্টা করছি...

দীপায়ন তূর্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘শিরোনাম অকল্পনীয়’ অথবা ‘তোমায় নিয়ে আমার একুশে’

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০২

হে আমার প্রিয়তম,

আজ থেকে ঠিক দু’বছর আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমার সঞ্চিত সাহসের অভাব দূর করে যতদিন না তোমাকে অসঙ্কোচের নগ্ন সৌন্দর্যের কামুকতায় আমি ফুটাতে পারব আমার নোংরা কবিতার খাতায়—ততদিন আমি আমার ক্লান্তিদায়ক লেখা থেকে বিরত থাকব।
আমি আমার কথা রেখেছি কিনা করে দেখতে চাও পরীক্ষা?—করো।
তার আগে কথা দিলাম তোমায় আমি জাগিয়ে তুলবো।

আমি দেখেছি—আজকাল তোমার রূপের উচ্ছ্বসিত ও তরল বর্ণনা করতে গিয়ে সব সভ্য ও নাগরিক কবিরাই ব্যর্থ পিপাসার জ্বালা নিয়ে পানি থেকে তোলা মাছ বা তার পোনাদের মতই খাবি খেয়ে চলে। তোমার নগ্ন পবিত্র শরীরের কল্পনায় তারা অশ্লীলতার মোজা পড়ায়। গরম পাউরুটির স্বাদ ওঠা তোমার শরীরের গন্ধে মুখে রুমাল চেপে ধরে—লজ্জায়। তোমার ঠোঁটের লালার স্পর্শে কেবল জীবাণুর ভয়ে বারবার তারা চারপাশকে সতর্ক করে তোলে। তারা ভুলেও ভাবতে পারেনা তোমার দুটি স্তনের বোঁটার মাঝে পার্থক্য থাকতে পারার সম্ভাবনার ডাক। এখনো তোমার ত্বকের মসৃণতা তাদের মনে এনে দেয় আপেল-কুল কিংবা কলা গাছের ভেতরের সাদাস্তরের রূপক। তোমার নিতম্ব এখনো নরম পেলব তাদের চিন্তার রাজ্যে। ফুসকুঁড়ির দাগ থাকা নিতম্ব বা পিঠ—তাদের জন্য সেকি অসহ্য দুঃস্বপ্নের! তোমার যোনীর নোনা বদ্ধ স্বাদ তাদের শিউরে দিবে- পাগল করে গায়ের লোমে কাঁপন ধরাবে। রাত্রি শেষের গভীর চুম্বন তারা ভাবে সেকি মোহময়! বাসী মুখে যে ঘ্রাণ তুমি গোপনে লুকিয়ে রাখো তার খোঁজ যেন তাদের কাছে ইনকা সভ্যতার মত ধোঁয়াটে।

তোমার দেহের ভারে বুকের সমস্ত বাতাস বের হয়ে যেতে পারে এমনটা কোন্‌ ছার কবি মরণেও ভেবেছে?! প্রতি মুহূর্তের ব্যবধানে চলতে থাকা আমায় নিয়ে তোমার ভয়াল কল্পনা—‘পরকীয়া’— তাদের চেতনার অণ্ডকোষে বঙ্কিমের বাঙালী লাঠির সেই আঘাত সমান।

এত মূঢ় কেন তারা—হে প্রেয়সী!

মুঠোফোনে তোমার স্ব-মেহন ও শীৎকারের ধ্বনির ঝঙ্কার নেই তাদের ঝুলিতে। অগ্নিবন্ধনে বাঁধা পড়ার আগে তোমার একের পর এক মিলনের ব্যর্থ আকাঙ্খা ও চেষ্টা যেন তাদের কাছে এক প্রবল ‘ছিঃ’!

কিন্তু দেখ— আমার-হে-প্রিয়—
তাদের আমি হাসপাতালের ব্যবহৃত সুঁইয়ের মতই ফেলে দিয়ে এসেছি চিরতরে। তোমার-তুমিকে তারা এতটুকু কল্পনা দিয়ে পারেনা স্পর্শ করতে। তাই আমি তোমার স্তনবৃন্তের মিল-অমিলের দৃঢ়চেতা এসিডসম চিত্রকল্পনা করতে গেলেই তারা ডুবো লঞ্চের তলিয়ে যেতে থাকা আরোহীদের মতই আর্তনাদ করে। তাদের বেওয়ারিশ লাশ শুধু ভেসে ওঠে ভুয়ো মহাকালের চরে— অগোচরে।
তাদের আবর্জনা সাফ-সুতরো হবার মূল্যবান সময়ে আমি তোমার দক্ষিণ-স্তনবৃন্তে পাই ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ—আর উত্তরবৃন্তে পাই কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের ক্রমাগত গলতে থাকা বরফ শীতলতা।

তুমি নির্বিঘ্নে ঘুমোও প্রিয়তম। আমার সাহস সঞ্চয়ের মুহূর্তে তোমার ঘুমন্ত নগ্ন পবিত্রতা মহাবিশ্বের শেষ পরিণতির তত্ত্বের চেয়েও মূল্যবান ও অমোঘ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.