![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই সাধারণ একজন মানুষ...একটু অসাধারণ হবার চেষ্টা করছি...
“ইদানিং অপারেশন থিয়েটারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করি।
বেশীনা- সপ্তাহে দু-তিন বার।
তোমাকে ঢুকিয়ে দিই থিয়েটারে . . . . .”
—আগ্রহীরা ভুল ভাববেন না;
যাকে অপারেশন রুমে এগিয়ে দিই তিনি
চিকিৎসক স্বয়ং—সুনির্দিষ্ট করে বললে
বলতে হবে শল্য চিকিৎসক।
কিছুদিন আগে এ বিদ্যায় সকলের আস্থাভাজন হয়েছেন—ভালো স্কোর করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় নিজের পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।
তারপর স্থান পেয়েছেন কৃতী মহলে।
তিনি আবার আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গীও বলা যায়।
মাঝে মাঝে অপারেশন রুমের দরজার কাছে হেঁটে আসি।
ভেতর থেকে কখনো চাপা শ্বাস –
কখনো বা উচ্চকিত শব্দ – আবার কখনো
শন্শন্ ফন্ফন্ আর্তনাদ শোনা যায়।
তারপর শেষমেশ বের হয়ে আসে টিংচার আয়োডিনে ধোয়া কিছু জীবাণুমুক্ত শব্দ!
দৌড়ে পালিয়ে এসে ভাবি—হলোটা কী এত সময়!
এ আমি শুনলাম কী?
দিব্যদৃষ্টিতে বুঝতে পারি যার উপর এই অস্ত্রোপচার
তাকে চেতনানাশক না দিয়েই ডাক্তাররা প্লাস্টিক সার্জারী করেছেন।
ফলে প্রথম থেকে শেষ অবধি হয়ে উঠেছে অসুর থেকে গান্ধর্ব।
তার এই আমূল পরিবর্তন আমার কাছে যদিও
মনে হয়েছে প্রাকৃতিক অনাচার।
প্রস্তাব আমিও পেয়েছিলাম
কাটাকুটির মাস্টার হবার।
সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছি।
বলেছি “নার্ভের দরকার আছে এতে।
এত চাপ নিতে গিয়ে বুক যদি কাঁপে,
করে ফেলি বেসামাল গোলমাল,
তার দায় মাথা পেতে নিয়ে যদি মাথাটা হারাই!
তার চেয়ে ঢের ভালো স্তুপস্তুপ স্তুপাকারে বাক্য জমাই।
তারপর তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে আমি দৌড়ে পালাই।”
হে সকল চিরন্তন বিশুদ্ধ লেখনী—
তোমাদের জনপ্রিয়তা সৃষ্টির জন্য
ডাক্তারখানায় নিতে গিয়ে তোমরা ঘুমিয়ে পড়লেও
রুদ্ধকন্ঠে ঘুমন্ত তোমাদের ছুরি কাঁচির সামনে সঁপে দিয়ে আসার অমার্জনীয় অপরাধকে তোমরা ক্ষমা কোরো।
আমি না নিলেও অন্যরা যে দ্বিধা করবেনা।
শুধু প্রশ্ন জাগে শব্দহীন কাগজের পাতায় তোমাদের অস্তিত্ব
আজ কতটা সংকটের সম্মুখীন? ।।
©somewhere in net ltd.