![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে নিয়ে গবেষণা চলছে । জানলে জানাব ।
কবিতায় ভালোবাসা জন্মে কবি, কবিতায় মনঃপান্সীতে পাল তুলা যায়, তাতে বসে প্রিয়সীর মুখায়ব চাঁদ তারার সাথে সাদৃশ্য খুজায় ব্যাস্ত রাখা যায় । আমি বলি কি কবি এই স্থবির ভালোবাসায় বেঁচে থেকে লাভ কি ? মনঃপান্সী তো চলা দরকার, সামনে এগোনোর নামই তো জীবন; জীবন থেকে ছিটকে তো স্বপ্ন বুনা যায় না । বাস্তবতার হাওয়া'টা এবার লাগাও পালে । চলুক তরী হেলেদুলে । তাতে বাস্তবতার আঘাতে ভালোবাসার যে ভগ্নাংশ টুকু অবশিষ্ট থাকবে, তা নাহয় দু'জনে ভাগ করে নিবো । কবি তুমি একটু বেশিই নিয়ো; তাতে তোমার কবিতার খোরাক নিশ্চই হবে । আমি জানি আমি ঠকবো না, কবিরা ঠকায় না । তোমার কবিতায় আমাকে তোমার ভুবনটা দিয়ে বসে আছো ।
আমি বাস্তব বাদী বটে কবি, কিন্তু তোমার ভুবনের খবর আমি রাখি । সেটা সাজাতেই তো নিজেকে ব্যাস্ত রাখি । তুমি আর তোমার ভুবন; আমার যে বড় বাস্তব কবি । যেমনটা তোমার কবিতায় আমি । চল জল লোকাই, আসো বৃষ্টিতে ভিজি ।
আমার কাব্যিক মন,
তোমার বাস্তববাদী ভুবন,
সেই ভুবনের মহারাজা তুমি
সামান্য প্রজা আমি ।
আমার স্বপ্ন পাখির ডানায়
তোমার স্বপ্ন বাক্স বন্দী,
কবি,তুমি বড় আত্মভোলা-
দেখনি আমার বাক্স খোলা ।
আমার কাছে হাত ধরা মানে কবিতার জন্ম । আমি তোমায় নিয়ে লিখে যাই কাব্য থেকে মহাকাব্য নীরবে । তোমার কাছে ইটের পর ইট সাজালে যেমন ঘর হয় । সে ঘরে কবির মৃত্যু তুমি দেখনা । আমার কাছে তেমন তোমার চোখের দিকে তাকালে লাইনের পর লাইন নিয়ে মহাকাব্য হয় । আমার নিঃশ্বাসে ভালোবাসার বাতাস ঢুকে, আমি বাঁচি । সেটা তুমি বুঝো না ! তোমার নীরবতায় গোস্বা হয়, আমি নীরবতায় কবিতা আওড়াই । তুমি বকুনি দাও, আমি তোমার ঠুটের ভাজেভাজে ভালোবাসা খুজি । তোমার কার্লি চুলের প্রতিটা বাঁকে স্বপ্ন আঁকি ।
বেখেয়ালি মন
করে জ্বালাতন
কবির পানে ধাঁয়
বোকা কবি বুঝে না
কি করি উপায় ।
কবি,তুমি আমার হাত ধরে বসে রও, কিন্তু তুমি বুঝো না আমার অনুভূতি । তুমি কান পেতে শুনো না আমার শিরায়-উপশিরায়, প্রতিটি রক্ত কণিকায় বয়ে চলে তোমার ভালোবাসার পার ভাঙ্গা স্রোত । তোমার নীরবতায় আমার মরণ হয় বারবার, তোমার উদাস নয়নে তুমি দেখো না । যে ঘর আমি ইটের পর ইট দিয়ে গড়ি, সে ঘরের দরজায় অপেক্ষার চাহনি কি তোমার নজর কারে না কবি ? রাখালের মনকাড়া বাঁশি ঠাই পায় না সে ঘরের দখিণা জানালায়, সেখানে তোমার কবিতার সদাই বিচরন । তুমি নিঃশ্বাসের বড়াই কর কবি ? তোমার ভালোবাসার সিন্ধুক খোলে দেখো; আমার প্রাণটাই যে তোমার নামে দলিল করা । আমি বকুনি দেই একটি অভিমানের কবিতা পাবার আশায়, কবি তুমি কি কোনদিনই বুঝবে না ?! তুমি আমার কার্লি চুলের বাঁকে স্বপ্ন আঁকো বলেই তো আমি বেণী করে একের পর এক বাঁক গড়ে তুলি ।
মন খারাপের দুপুরে ,চল ঝাপাই পুকুরে
বৃষ্টি ভেজা পথে চলি পাশাপাশি
আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল গুজে এসো কাছাকাছি
ভালোবাসার এই মধু ক্ষণে, চল গোস্বা ভাঙ্গি দু'জনে ।
©somewhere in net ltd.