নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেক ধারীরা দূরে থাকুন

পাহাড়ি জাহিদ

বামের ডানে - ডানের বামে আমার সুস্পষ্ট অবস্তান facebook.com/zahid.hassan.5667

পাহাড়ি জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলীগ অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা না দেওয়ার যুক্তি কতটা হাস্যকর

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৯

আওয়ামীলীগ অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা না দেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিরোধীতা করলেও সরকার চালাচ্ছে মূলত অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কথার ফুলঝুরির মাঝে বর্তমান সরকারী দল যতই ব্যাপারটা চাপিয়ে রাখার চ্যাস্টা করুক না কেন এইটাই চরম সত্য বাংলাদেশের ইতিহাসে এত সংখ্যক অনির্বাচিত ব্যাক্তি কখনো এই ভাবে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন না ।

প্রাচীন এই দলটিতে অসংখ্য অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ থাকলেও অনির্বাচিত ৭ উপদেষ্টা ক্ষমতাসীন আ’লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৬৫ সদস্যের মন্ত্রীপরিষদের মন্ত্রী মর্যাদার ৭ জন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার ৬ জন ছাড়াও রয়েছে ৩ জন টেকনোক্রেট মন্ত্রী। টেকনোক্রেটদের মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছে আইন ও শিল্পের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ , বিভক্ত ২ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের ৬১টি জেলা পরিষদও এবং সবশেষে উপমহাদেশের শতশত বছরের ঐতিহ্য ভেঙ্গে আওয়ামীলীগ জাতীয় সংসদের স্পীকার পদ পরিচালিত করছে অনির্বাচিতদের দ্বারা।

প্রধানমন্ত্রীর সাত উপদেষ্টা হচ্ছেন ড. তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক আমলা ও জনতার মঞ্চের নেতা এইচটি ইমাম, আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষক নেতা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসক নেতা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, শেখ রেহানার দেবর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, জনতার মঞ্চ নেতা ড. মশিউর রহমান ও গওহর রিজভী।

জনপ্রশাসন চালাচ্ছেন উপদেষ্টা সাবেক সচিব এইচটি ইমাম।এইচটি ইমামকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলীর সমণ্নয়কারী ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ আটটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কাজ করেন তিনি, প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা ওয়ান-ইলেভেনের পর মহাজোটের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হয়ে লাইমলাইটে আসেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বপালনরত অবস্থায় স্পিকারের অনুপস্থিতিতে তিনি খোন্দকার মোশতাক আহমদ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলীর সমণ্নয়কারী ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ আটটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।



প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোদাচ্ছের আলীকে স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ পাঁচটি বিষয়,ওয়ান-ইলেভেনের সময় এই উপদেষ্টা কারাবন্দি শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার হিসেবে, পরে কানের বিশেষজ্ঞ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শেখ হাসিনার চোখ ও কানের সমস্যা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে তিনি সকলের নজরে আসেন। তখন থেকেই তিনি প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।



সাবেক সচিব তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাবেক আমলা ড. তৌফিক-ই এলাহী বীরবিক্রম বিদ্যুৎ সেক্টর নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত দেন, সেসবই বাস্তবায়ন করে থাকেন তারা। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা যতটা না দেশের স্বার্থ রক্ষায় তৎপর তার চেয়ে বেশি তৎপর বিদেশিদের খুশি করতে।



সাবেক সচিব ড. মসিউর রহমানকে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ছয়টি বিষয় । পদ্মা সেতু ইস্যুতে বেশ বড় ধরনের বিতর্কে জড়িত ছিলেন উপদেষ্টা মসিউর রহমান। এক সময় তাকে উপদেষ্টার পদসহ সব ধরনের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এখন যেন সময় বদলে গেছে।ভারতকে দেয়া ট্রনজিট সুবিধা থেকে অর্থ আদায় প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা দুধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট দেয়ার পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিল, ট্রানজিট থেকে বাংলাদেশ মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জনে সক্ষম হবে। এমন বলা হয়েছিল, ট্রানজিট বাবদ আয় থেকে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে পরিণত করা যাবে। যখন জানা গেল ট্রানজিট থেকে শুল্ক বা ফি আদায় আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ, তখনও অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত বললেন, ট্রানজিট বাবদ একটা কিছু পাওয়া যাবেই। কিন্তু অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান আপত্তি তুললেন। ট্রানজিট বাবদ ভারতের কাছ থেকে তিনি কিছুই নিতে নারাজ। কিছু নেয়াটা হবে তার ভাষায় ‘অভদ্রতা’, তার ভাষায় বাংলাদেশ এখন সভ্য দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত। ট্রানজিটের বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে কিছু নিলে বাংলাদেশ অসভ্য দেশে পরিণত হবে। এমন অভদ্রতা আমরা করতে পারি না।



গওহর রিজভীকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ চারটি বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ড. গওহর রিজভী। তিনি দীর্ঘকাল দেশেই ছিলেন না। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি উদয় হন। তিনি পেশাদার কূটনীতিক নন এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। অথচ তিনি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণাই নেই। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনার অভিজ্ঞতাও তাঁর নেই। তার পরও তিনি সরকারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে আমরা দুই উপদেষ্টার দৌড়ঝাঁপ দেখেছি। তাঁরা কখনো ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের সঙ্গে, কখনো নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেননের সঙ্গে, আবার কখনো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নানা রকম আশার বাণী জনগণকে শুনিয়েছেন।একের পর এক টিভি মাধ্যমে, পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজেদের প্রাজ্ঞ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। বেশ কয়েকবার টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ঢাকায়ই তিস্তা চুক্তি হবে এবং মমতাও আসবেন। তা ছাড়া মনমোহনের এই সফরেই দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। কিন্তু কোনোটাই যখন হলো না, তখন তাঁরা বড় ধরনের হোঁচট খেলেন।অবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফর্মুলা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শক্ত অবস্থান নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত ও আনুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি বলেই দিয়েছিলেন, যেহেতু তিস্তা হয়নি, সেহেতু অন্য কোনো চুক্তি করতে তিনি রাজি নন। তাতে বাংলাদেশের শেষরক্ষা হয়েছিল। কিন্তু উপদেষ্টারা তো বসে থাকার পাত্র নন। তাঁরা ট্রানজিট দেওয়ার জন্য নানা রকম ফাঁকফোকর খুঁজতে থাকলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের এক মাসের মধ্যেই তাঁরা তাতে সফল হলেন।

ভারতের প্রতি উপদেষ্টার 'অতি ভালোবাসা'র খেসারত দিতে হলো বাংলাদেশকে।

গত ৪ মার্চ২০১২ ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও গওহর রিজভীকে ইঙ্গিত করে জাতীয় সংসদে বলেন, 'ট্রানজিট, শুল্ককাঠামো ও টিপাইমুখ বাঁধসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা যেভাবে কথা বলেন তাতে মনে হয়, তাঁরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা নন, তাঁরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ভারত সরকারের উপদেষ্টা।'

সংসদে মেনন বললেন তাঁরা যেন হাসিনার নন, মনমোহনের উপদেষ্টা!

ড. আলাউদ্দিন আহমেদ (শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনীতি)উপদেষ্টা নিজে আওয়ামীপন্থী শিক্ষাবিদ হওয়ায় এবং শিক্ষামন্ত্রী বাম ঘরানার রাজনৈতিক দল থেকে আগত বিধায় সরকারের রাজনৈতিক আস্থা তুলনামূলকভাবে উপদেষ্টার ওপর অনেক বেশি। এছাড়া নেতাকর্মীরাও উপদেষ্টার সঙ্গেই বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (প্রতিরক্ষা) ,শেখ রেহানার দেবর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী । কথিত আছে, সেনা নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতিতে প্রভাব বিস্তার করে আছেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক বিষয়ক উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি ক্ষমতাবান একজনের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে সেনা প্রশাসনে একক ক্ষমতা দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিষয় তার নির্দেশেই পরিচালিত হয়ে থাকে।



এক হিসাবে জানা গেছে, বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাবদ গত সাড়ে চার বছরের হিসাবে সাত উপদেষ্টার পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা।

উপদেষ্টাদের সময় কাটছে যেভাবে



জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৮০ দিনের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে- এই কথা বলে , সরকার ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৩টি পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। ২০১২-এর ১ জানুয়ারি গণভবনে নবনিযুক্ত প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন প্রশাসকদের। মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন হওয়ার কথাও ছিল।



স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৬১ প্রশাসকের পেছনে সরকারের গত ১৯ মাসে খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৫শ’ টাকা। এ খরচের মধ্যে রয়েছে একজন প্রশাসকের মাসিক সম্মানী ২৭ হাজার ৫শ’ টাকা। যানবাহনের জ্বালানি খরচ প্রতি মাসে ১৯ হাজার টাকা এবং আপ্যায়ন খরচ ৩ হাজার টাকা। এতে একজন প্রশাসকের পেছনে সরকারের মাসিক খরচ হয় ৪৯ হাজার ৫শ’ টাকা। জেলা পরিষদের প্রশাসকদের জন্য দামী যানবাহন (জীপ) এবং অফিস সজ্জার জন্য সরকারের মোট খরচ হয়েছে আরও প্রায় ২শ’ কোটি টাকা। গাড়ির জন্য একজন চালকও নিয়োগ দিতে হয়েছে। তার জন্যও তো বেতনসহ নানা খরচ আছে।

জেলা পরিষদ আইন

এরশাদ সরকারের সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্বাহী আদেশে উপমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। তখন চেয়ারম্যান করা হয়েছিল জেলারই কোন আসন থেকে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যকে। যদিও তিনি জেলা পরিষদের জন্য নির্বাচিত ছিলেন না। তার পরেও এটা ঠিক যে, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বিএনপির শাসনামলের দুই মেয়াদে এবং তারও আগে জিয়াউর রহমান ও বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের শাসনামলে জেলা পরিষদে প্রশাসক বা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারী কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। উপসচিব পর্যায়ের একজন আমলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতেন। তার পদবি ছিল প্রধান নির্বাহী, জেলা পরিষদ।

উদাহরণ স্বরূপ সিলেট জেলা পরিষদ



১৯৮৯ সনে বিভিন্ন অনগ্রসর উপজাতি অধ্যুষিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সর্বাঙ্গীন উন্নয়নকল্পে রাঙ্গামাটি , বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (১৯৮৯ সনের ১৯নং আইন) অনুযায়ী রাঙ্গামাটি , বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ স্থাপিত হয়। এ উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটি , বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ বিল, ১৯৮৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে।

জেলা পরিষদ অর্গানোগ্রাম

আইনটি ৬ মার্চ, ১৯৮৯ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন

একই বছর ২৫শে জুন অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানসহ ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদ গঠিত হয় কিন্তু আজ অব্দি ার কোন নির্বাচিত প্রতিনিধির মুখ দেখেনি পার্বত্য বাসী ।

পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ খাগড়াছড়ি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে বিগত ০২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সনে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি,১৯৯৭ এর ‘গ’খন্ড অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন-১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১২ নং আইন) অনুসারে ২৭শে মে ১৯৯৯ ইং তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ অরগানোগ্রাম

পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ জেলা পরিষদসমূহের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কর্তৃক বিধি অনুসারে নির্বাচিত হবেন। পরিষদের প্রধান নির্বাহী হবেন একজন উপজাতীয় চেয়ারম্যান। পরিষদে বিভিন্ন জাতিসত্তা হতে ২১ জন সদস্য থাকবেন।

এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণও পরিষদের সদস্য থাকবেন। পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর অনুরূপ পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ জন্মাব্দি চলছে অনির্বাচিতদের দ্বারা ।



মাঝার বিষয় হলো শান্তিচুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট গত ১৪ এপ্রিল ২০১০, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সরকারের পক্ষে তখন চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বান্দরবান জেলার বাসিন্দা মো: বদিউজ্জামান রিট দায়ের করলে ২০০০ সালের ২৯ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলাম আরেকটি রিট দায়ের করলে ২০০৭ সালে ২৭ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত বছর ১৪ মে হাইকোর্টের বর্তমান বেঞ্চ দু'টি রিট আবেদনে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। ওই দিনই রুলের শুনানি শুরু হয়। গত ২৩ মার্চ শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়। মোট ২০ কার্য দিবস শুনানি গ্রহণ শেষে আদালত রায় দেয়া শুরু করেন। দু'টি রিট আবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর, সম্পাদন ও বাস্তবায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ সংশোধনী আইন ১৯৯৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।



হাইকোর্টের রায় : শান্তিচুক্তি বৈধ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক

৩ মার্চ ২০১১ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনকে অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশ

ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুভাগের বিল সংসদে পাস হয় গত ২৯ নভেম্বর ২০১১, মাত্র ৪-৫ মিনিটের মধ্যে এ বিলটি পাস করা হয়। তখন সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ওই বিল আইনে পরিণত হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির ৯০ দিনের মধ্যে দুই অংশে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী দুই অংশে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন। অতিরিক্ত সচিব খোরশেদ আলম ঢাকা উত্তর এবং অতিরিক্ত সচিব মো. খলিলুর রহমানকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন নির্বাচন কমিশন (ইসি),এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পিছু হটে। নতুন ইসির অধীনে নির্বাচনে সম্মত হয় সরকার এবং এ লক্ষ্যে বিলে সংশোধনী আনার কথাও বলা হয়েছে। তবে কবে ডিসিসি নির্বাচন হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আর যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন না হবে ততদিন পর্যন্ত এই দুই অনির্বাচিত ব্যক্তি ঢাকা শাসন করে যাবেন।

ভাগ হলো ডিসিসি: সংসদে কণ্ঠভোটে বিল পাশ

জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত না হয়েও ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। এ ছাড়াও প্রথমবার এবং সংরক্ষিত কোটায় সংসদ সদস্য হয়ে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাও প্রথম।

সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত দেশের প্রথম নারী স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী

এত অনির্বাচিত ব্যাক্তিদের ক্ষমতার স্বাদ দিয়েও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাছিনা এবং তাঁর দল কেন বারবার বলছেন অনির্বাচিত কারও কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে না , সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গঠিত সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন পরিচালিত হবে।

অনির্বাচিত কারও কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে না

দেশের গণতন্ত্রের মরূদ্যানে তত্বাবধায়ক সরকার নামক যে চারা গাছের জন্ম হয়েছিলো আওয়ামীলীগের হাত ধরে, সেটাকে তারাই আবার নির্দয় ভাবে উপড়ে ফেলেছে মহীরুহে পরিণত হওয়ার আগেই। অথচ যথাযথ পরিচর্যা করা হলে এ মহীরুহই শান্তি ও সমৃদ্ধির সুশীতল ছায়া দিতে সক্ষম আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে।

কারণ বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকারের জনপ্রিয়তায়ও পড়েছে ভাটার টান। এ রুড় বাস্তবতা তাদের না বুঝতে পারার কথা নয়। তাছাড়া ডেস্টিনি, হল মার্ক ও সোনালী ব্যাংক কেলেংকারি, শেয়ার বাজার কারসাজি, কুইক রেন্টালের নামে অর্থ লোপাট, রেলের কেলেংকারি, দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মাসেতুতে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের ঋণ চুক্তি বাতিল, বি এন পি নেতা ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা ইত্যাদি ইস্যুতে বর্তমান সরকার বেশ বেকায়দায় রয়েছে। সরকারের এ ইমেজ সংকটের কারনে আগামী নির্বাচনে তাদের দলের ভরাডুবির সমূহ সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এ আশংকা থেকেই হয়তো ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা হিসাবে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহলের অনুধাবন করা উচিত এতে তাদের জনপ্রিয়তার পাল্লা কমছে বৈ বাড়ছে না। এ সিদ্বান্ত তাদের জন্য শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।



তাই কথার ফুলঝুরিতে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানকল্পে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃ স্তাপন করে জনগণকে মুক্তি দিন



"প্রচলিত বিধান মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তিন মাস পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের অনির্বাচিত প্রতিনিধির যুক্তিটি ও আর ধোপে টিকছে না। কারন সংসদ ভেঙ্গে গেলে তখন আর কেউ নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে বিবেচিত হবেন না।"

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা না দেওয়া যাবে না আওয়ামীলীগের নেতাদের মুখে এই কথা শুনা আর পর্ন তারকা সানি লিওনের মুখে আমি ভার্জিন কথা শুনা একই শোনায়।


বাংলাদেশের আইন শোভা অর্থাৎ সংসদের নেতা স্পিকার নিয়োগ করেছেন একজন অনির্বাচিত ব্যাক্তিকে।


সেই সাথে আইন মন্ত্রী ও একজন অনির্বাচিত ব্যাক্তি।


এদের দুইজনের ছবিও যুক্ত করে দিন পোষ্টে।


২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: এবার লও ঠেলা.................

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯

পাহাড়ি জাহিদ বলেছেন: ঠেলা এবার সামলা :P :P

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

শিপন মোল্লা বলেছেন: এতো বড় পোস্ট। পড়তে পারুম না।

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

পাহাড়ি জাহিদ বলেছেন: জানতে হলে পড়তে হবে

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৮

পালের গোদা বলেছেন: The point is, the FINAL decision is still made by an elected person, i.e. PM Hasina. There is nothing wrong with giving various responsibilities to unelected people as long as the supreme responsibility, including the responsibility for everything these unelected people do, continues to lie on an elected person. What AL is saying is that the top person in the country with the highest power should not be an unelected person under any circumstances.

Sorry for not typing in Bangla. I'm typing from phone.

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

পাহাড়ি জাহিদ বলেছেন: অনির্বাচিত কাউকে স্তানিয় সরকারের যেকোন স্তরে বসানো কি সংবিধান সন্মত ??

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: বেগম খালেদা জিয়া দেশের ৯ম সংসদে নির্বাচিত ব্যক্তি । সংসদের বিরোধীদলীয় প্রধান, বাংলাদেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ার পারসন । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান রূপে মেনে নেবেন ?

বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১০ জন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে নিয়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন । আমার মতে এতে দেশের ক্ষমতা কোন অনির্বাচিতের হাতে যাবে না । আর এটা সংবিধানে যোগ করে নিয়ে ১৬তম সংশোধন করা হলে আর সাংবিধানিক সমস্যাও থাকবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.