নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাখির মতো উড়তে চাই, মুক্ত বাধাহীন।বন বনানীর মাথার উপর অাকাশ সীমাহীন।

গিরি গোহা

ইচ্ছে হলেই চলো ব্লগে

গিরি গোহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুনদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে একটি অনুরোধ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

‘মোরা একটি ফুলের জন্য যুদ্ধ করি, মোরা একটি মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করি’। এই গানটি কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে একটি। এই কালজয়ী গানটি যখন মেঘ শুনবে তখন সে কি বলবে? সে যখন জাতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিবে, তোমরা একটি ফুলের জন্য যুদ্ধ করতে পারলে আমার মা-বাবার বিচারের জন্য যুদ্ধ করতে পারলে না কেন? কেন আন্দোলন করতে পারলে না?
তোমরা একটি মুখের হাসির জন্য যদি যুদ্ধই করবে তবে, আমার মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করলে না কেন?



২০১২ সালের ১১ ফেব্রয়ারী অর্থাৎ আজকের এই দিনে বাংলাদেশে সংগঠিত হয় স্মরনকালের হত্যাকান্ড। প্রখ্যাত সাংবাদিক দম্মতি সাগর-রুনিকে নিজ বাড়িতে কেবা কারা হত্যা করে যায়। আজ ৫ বছর পরেও এই ‘কে বা কারা’ শব্দুগুলো ব্যবহার করতে হচ্ছে। হত্যাকান্ডের পরপরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনীকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু সেই ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে আজ ৫টি বছর পেরিয়ে গেল। হত্যাকান্ডের বিচার হওয়াতে পরের কথা আজ অবধি তদন্ত রিপোর্টই শেষ করতে পারেনি সরকার কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকতা কর্মচারীরা। সেই সাথে একজন খুনীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আর কেউ গ্রেফতার হবে বলে মনেও হয় না। কারণ বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি নিজ মুখে বলে দিলেন, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আমার জানা নেই।



তবে তিনি আশাব্যক্ত করেছেন, যেকোন মুহুর্তে র‌্যাব হত্যারহস্য প্রকাশ করবেন। আমি ঠিক জানি না, তিনি কি মনে করে এই আশাব্যক্ত করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট কি আলাদীনের চেরাগের দৈত্য নাকি? দৈত্যরা যেমন যেকোন মুহুর্তে হাজির হয় কিন্তু কেউ সঠিক সময় বলতে পারে না সে কখন হাজির হবে! নাকি আদৌও হাজির হবে না। তবে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না হবারও সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সেই সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করে দিয়েছে প্রয়াত সাগর-রুনির জ্ঞাতি ভাই সাংবাদিকরা। অতি সম্প্রতি বই মেলায় একজন সাংবাদিকের একটি বই দেখলাম। বইটির নাম সাংবাদিক সাংঘাতিক। বইটি হাতে নিয়ে কয়েকপেজ আওড়াতেই একটি লাইন চোখে পড়ল। লেখক সাহেব বলেছেন, ‘কাক কাকের মাংস না খেলেও সাংবাদিকরা কিন্তু সাংবাদিকদের মাংস খায়।’

সাগর রুনি হত্যাকান্ডের পর সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হলেও পরবর্তিতে সেই আন্দোলন হালে পানি পায় নি। পানি না পাওয়ার কারণ হিসেবে অনেক সাংবাদিক বলেছেন, ইকবাল সোবহান চৌধুরীর রাতারাতি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বনে যাওয়াটাই নাকি আন্দোলন বন্ধের মূল কারণ। প্রকৃত কারণ কি তা আমরা আম জনতা জানি না। হয়তো কোনদিন জানতেও পারবো না।

কিন্তু এই দেশের একজন নাগরিক এবং তরুনদের পক্ষ থেকে একটি দাবি এই সরকার এবং বিচার ব্যবস্থার কাছে উপস্থাপন করছি। এই দেশে এমন হাজারো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর বিচার হয়নি। সেই বিচার না হওয়া তালিকায় যেন সাগর-রুনির স্থান না হয়। সেই হতভাগা সন্তানদের তালিকায় যেন মেঘের নামটি না পড়ে। দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের জন্য এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সাগর-রুনি হত্যার বিচার করুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: সবকিছুরই বিচার হওয়া উচিত।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

গিরি গোহা বলেছেন: সহমত।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা কেন অন্যের দোষকে নিজ কাঁধে নিয়ে ঘুরছে কে জানে?

একটা ফুলের জন্য যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা অন্য জেনারেশন; সেই গানটা ভুলে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.