![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকানরা নাকি দেশ প্রধান হিসাবে নারীকে দেখতে চায় না। তারা আজীবন মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলতে অভ্যস্ত। তারা কখনো মিসেস প্রেসিডেন্ট বলতে চায় না। এটা বাহ্যিক রূপ। কিন্তু অন্তনিহিত রূপটি আরো পরিষ্কার। নারীরা কখনো আবেগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। ব্যক্তিগত জিগাংসা ভুলতে পারে না। সবকিছুতেই তারা ব্যক্তিগত জিগাংসাটাকেই সামনে প্রতিস্থাপন করে কথা বলে। ঠিক সে কারণে উন্নত বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্রই রাষ্ট্র প্রধানহিসাবে নারীদেরকে দেখতে চায় না।
তাদের সেই চিন্তার বাস্তব প্রয়োগ আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়েই বুঝতে পারলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগেও জমকালো পরিবেশে সাংবাদিকদের বললেন, গাইবান্ধার লিটন হত্যার সাথে জামায়াত জড়িত। আবার গত দিন লিটন হত্যার প্রধান আসামী হিসাবে জাপা নেতাকে গ্রেফতার করা হলো। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় এমপি মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডের মূল হোতা সরকারের শরিক দল জাপার সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে পুলিশ বলেছে কাদের খানের পরিকল্পনা ও তার অস্ত্রেই খুন করা হয়েছে এমপি লিটনকে এবং এর পক্ষে সকল প্রমাণ এখন পুলিশের হাতে। এই ঘটনায় প্রকৃত খুনি সনাক্ত হয়েছে একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচারেরও প্রমাণ হয়েছে আরেকবার। তদন্ত চলাকালিন অবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী অবস্থানে থেকে সংসদের দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এ খুনের সাথে জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তার কথায় সুর মিলিয়ে পুলিশের আইজিপি, আ.লীগ নেতা এবং কিছু দলকানা গণমাধ্যম এ হত্যাকান্ডের সাথে জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে লাগাতার বক্তব্য ও অপপ্রচার চালিয়েছে। বিনা অপরাধে সুন্দরগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর ও তাদের ছেলে স্বজন, সাবেক জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন জনকে গুম করে রাখা হয়েছিল। গাইবান্ধা ও পার্শবর্তী জেলা গুলোতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের উপর গণগ্রেপ্তার চালানো ও তাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে। শুধু মাত্র মিথ্যা বক্তব্যকে পুঁজি করে এত গুলো পরিবারের উপর জুলুম করা হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরকে। এখন পুলিশ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত করে বলছে এ খুনের মূল হোতা সরকারের সহযোগি জাপার সাবেক এমপি কাদের খান। তাহলে তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার আগেই সংসদের দাঁড়িয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার কিসের ভিত্তিকে, কোন অধিকারে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর ক্ষতিপূরণ কে দিবে? এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় প্রমাণ হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে এমপি, মন্ত্রী, পুলিশ ও কিছু নীতিহীন গণমাধ্যম জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে লাগামহীন বক্তব্য দিয়েছে যা সময়ের ব্যবধানে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু তাতে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরকে এবং বহু পরিবারের শান্তি কেড়ে নেয়া হয়েছে।
আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান রেখে বলতে চাই, আপনার নিজের অবস্থানের দিকে তাকিয়ে কথা বলা উচিৎ। আপানার এমন দায়িত্বহীন অবস্থান ও বক্তব্যের কারণে বহু নিরপরাধ জনগণকে পুলিশের হাতে জীবন দিয়ে হয়েছে। লোমহর্ষক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে। অসংখ্য পরিবারের সুখ শান্তি হারিয়ে গেছে। হাজারো ছাত্রের সুন্দর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারা প্রকোষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজারো ছাত্র জনতা। জাতি এর শেষ দেখতে চায়। সুতরাং আপনার উচিৎ অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার ও ভূল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। আপনি ক্ষমা চাইবেন কি...??
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রীকে এই অবস্হানে নেয়ার জন্য জামাত-শিবির ও আরো কিছু বাংলাদেশ-বিরোধীদের অবদান আছে।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮
মিঃ আতিক বলেছেন: জামাতিরা বলেছিল " প্রধান মন্ত্রির এ মন্তব্য তদন্ত বাধা গ্রস্থ করবে", তদন্ত বাধা গ্রস্থ হয় নাই, অন্য দলের সন্দেহ ভাজন আসামিরা ধরা পরেছে। এখন জামাত কে প্রধান মন্ত্রি ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: আপনার সাহস দেখে আমি বিস্মিত। তাড়াতাড়ি ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোস্ট দিন।