নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাখির মতো উড়তে চাই, মুক্ত বাধাহীন।বন বনানীর মাথার উপর অাকাশ সীমাহীন।

গিরি গোহা

ইচ্ছে হলেই চলো ব্লগে

গিরি গোহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী! আপনাকে দেখে আজ সত্যিই হাসি পাচ্ছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আপনাদেরকে কয়েকমাস আগের কথা স্মরন করবার অনুরোধ করব। চীনের প্রেসিডেন্ট যেদিন বাংলাদেশ সফরে আসে সেইদিনটির কথা স্মরন করুন তো। জানি, সেই দিনটির কথা স্মরন করতে আপনাকে খুব বেশি বেগ পতে হবে না। কারণ, সেইদিনের জ্যামের কথা ঢাকাবাসী বহুদিন মনে রাখবে। মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা বসে কাটাতে হয়েছে। সেইদিন রাষ্ট্রিয় অনুমতি ব্যতিরেখে একটি গাড়িও চলাচল করতে পারেনি।

আরো তো কত রাষ্ট্রপতিই বাংলাদেশ সফরে আসে তখন কি এমন কিছু লক্ষ্য করতে পারেন? হয়তো তাদের যাতায়াতের সময় ঘন্টাখানেক রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কিছুক্ষন পর আবারো চালু করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেইদিন কি এমন ঘটল যার কারণে সারা শহর বন্ধ করে দিতে হল। সেই দিনটি বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে উৎকন্ঠাময় দিন ছিল। উৎকন্ঠা ঠিক চীন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নয় বরঞ্জ আমাদের পাশ্ববর্তি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কে কেন্দ্র করেই এই উৎকন্ঠাময় পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। ভারতের সবচেয়ে আস্থাভাজন আওয়ামীলীগ সরকারও এই দিন ভারতের ভয়ে তটস্থ ছিল। সেইদিন দাবার গুটির নিয়ন্ত্রন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ছিল না। সেই ভয় থেকেই পুরো অর্ধেকটা দিন রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। স্বার্থে আঘাত হানলে ‘র’ যে আর হাসিনার বন্ধু হয়ে থাকে না তা দ্বিতীয়বার বুঝতে পারছে চলতি মাসের জঙ্গি হামলাগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন।

প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলতে জঙ্গি জঙ্গি বলে গলা ফাটিয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি এই দাবিকে জোরদার করতে বেশ কয়েকটি জঙ্গি নাটকও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু সেগুলো আর হালে পানি পায় না। সরকার এতোবেশি বকবক করেছে যে কোনটা সত্যি আর কোন মিথ্যা সরকার হয়তো নিজেরাই বুঝতে পারে না। তাই তো জঙ্গি গ্রেফতারের নিউজ দেখলেই আমজনতা নাটক নাটক বলে চেঁচিয়ে ওঠে। আর নাটক বলবেই বা না কেন? একজন ব্যক্তিকে ৬-৭টি গুলি করার পরও তার শরীরে বেঁধে রাখা বোমাটি বিষ্ফোরিত হল না কেন? এও কি সম্ভব? তবে কি হামলাকারীকে স্বয়ং জেমস বন্ডের শিষ্য বলে ধরে নিবো! যিনি কিনা নিজের জীবন দিয়ে বোমাটিকে রক্ষা করে গেলেন!



বাংলা সিনেমায় আমরা বারংবার দেখেছি, সবকিছু ঘটে যাওয়ার পরে পুলিশ অফিসার এসে বলেন, ‘ইউ আর আন্ডার এরেস্ট’। আর আজকে জঙ্গিদের হামলা টামলা আর যতোকিছু আছে সবকিছু বাস্তবায়ন হয়ে যাবার পরই ডিএমডি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এইসব হামলার তথ্য আমাদের কাছে আগেই ছিলো’।



হামলার তথ্য আগেই ছিলো, তবে হামলার আগেই গ্রেফতার অথবা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারলেন না? তথ্য থাকার পরও হামলা প্রতিহত করতে না পারা কি ব্যর্থতা নয়? কবে তাকে কি তিনি বসে বসে ঘোড়ার ঘাস কাটার জন্য ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? যদি ঘাস কাটা আর রাজনৈতিক বক্তৃতা দেবার জন্যই যদি আসাদুজ্জামান মিয়াকে রাখা হয় তবে আমার বলার কিছু নেই। সে ঘাস কাটুক কাটতেই থাকুক তাতেই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে!

একবার ভাবুন তো, হঠাৎ করেই বাংলাদেশে এই জঙ্গি উপদ্রব শুরু হল কেন?
প্রতিরক্ষা চুক্তির কথা কি ভুলে গেলেন?
প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে না পারলে ভারতের আশু ক্ষতির কথা কি ভুলে গেলেন?
চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার কারণে ভারতের গাত্র জ্বালার কথা কি ভুলে গেলেন?

যদি ভুলে না যান তবে ভাবুন। ভাবতেই থাকুন। আমাদের ভাবনা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। এমনকি আমাদের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এখন ভাবনা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। কারণ বল এখন তার নিয়ন্ত্রনেও নেই। এমনকি বল তার দৃষ্টিসীমার মধ্যেও নেই। সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। অতএব, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতেই হচ্ছে। আর প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন করতে হবে তার যৌক্তিক কারণ হিসেবে এই জঙ্গি হামলা গুলো প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত এমন ঘটনা যে ঘটতেই থাকবে তা আন্দাজ করে বলে দিচ্ছি। এখন গালে হাত দিয়ে শুধু ঘটনা দেখুন। এতোদিন গালে হাত দেওয়া লোকের মধ্যে ছিল বিরোধী দল এবং আমজনতা। আর আজকে গালে হাত দেওয়া মানুষের সারিতে প্রধানমন্ত্রীও সামিল হলেন। হাসি পাচ্ছে! আজ সত্যিই হাসি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী! আপনার এই অবস্থা দেখে সত্যিই হাসি পাচ্ছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: তিনি মনে হয় না এসব কথার পরোয়া করেন।

নির্বাচন কমিশনের ভাবসাব দেখে মনে হয় ২০১৯ সালেও ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি হবে। অবশ্য একটি ব্যতিক্রম হতে পারে। বিএনপি এবার হয়তবা ২০১৯ এর নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচন থেকে দূরে থাকার শক্তি সাহস এবার মনে হয় না দেখাতে পারবে। নির্বাচন প্রহসনমূলক জেনেও নির্বাচনে যেতে বাধ্য হবে। এবং তা হবে দেশের জন্য আরেক অশনি সংকেত। এতদিন বিএনপি রাস্তায় নামতে না পারলেও নতি স্বীকার করে নি। এর অন্যথা হওয়াটা হবে বেদনাদায়ক।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

গিরি গোহা বলেছেন: হ্যাঁ দেশ এবার সাংবিধানিক ভাবেই স্বৈরশাসনের অন্তভুক্ত হয়ে পড়তে যাচ্ছে।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

মো: খায়রুল ইসলাম বলেছেন: ভাই সকল কথা তো ভালো বলেছেন। কিন্ত আগের মতো তো ব্লগে নিরাপত্তা নেই। সরকারের পক্ষে গেলে জঙ্গির হাতে মারা পরবেন আর সরকারের বিপক্ষে গেলে গ্রেফতার হবেন। মিডিয়ায় জঙ্গি বলে চালিয়ে দিবে। হা... হা... হা... :D

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

গিরি গোহা বলেছেন: ভাই এই কথা আমিও মাঝে মাঝে ভাবি। ভয় লাগে। দেশটাতো বাংলাদেশ। অসম্ভব কিছু নাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.