নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঙ্খা

পাঙ্খাবাবা

আমি পাঙ্খাবাবা ছবিগুলা নেট থেকে নেওয়া

পাঙ্খাবাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাঁজার নৌকা পাহাড় বাইয়া যায়

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:০৪

অতীত ঝাপসা

বর্তমান টলটলয়মান

ভবিষ্যৎ খানাখন্দ




লিখবো মাতাল জীবনের ইতি কথা .........



গাঁজার নৌকা পাহাড় বাইয়া যায়........... এই রকম হাজার হাজার কথা লোকের মুখে প্রচলিত।



অতি প্রাচীন এই নেশাদ্রব্যটি আমাদের কাছে অতি সুপরিচিত। Cannabis sativa নামরে এই গাছটা মাদকসেবীদের কাছে অতি প্রিয়।এর সক্রিয় উপাদান হলো টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল Δ9-tetrahydrocannabinol (THC)। ভয়ংকর এই জীবন বিনাষী নেশায় আসক্ত হই কিভাবে তা আর মনে নেই।



নবীন যৌবনে আমি কত সময় এর নেশায় আবিশষ্ট থেকেছি তার কোন ইয়ত্যা নাই ।এখান যোগ বিয়োগ করার জন্য আর সময় নষ্ট করবো না। কাগজের পোটলা খুলে একবার দেখে নেওয়া আত্মতৃপ্তির চেষ্টা । এর পরে চলতো আয়োজন ধীরে ধীরে বিষপাতা গুলি ছাড়িয়ে নিয়ে দুই তিন ফোট পানির সাহায্যে চলতো হাতের তালুতে পেষণ । তামাক পাতার সহযোগে চলতো আরও একবার পেষন। এর পর কাটনী দিয়ে কেটে কুচি কুচি করা। অন্য দিকে নারিকেল এর ছোবা দিয়ে চলতো গুইট্টা পোড়ানো অনেকটা তামাকের টিক্কা পুড়ানো। কুচি করে কাটা মিহি মিশ্রন ভরা হতো কলকি উপরের অংশে তারপর তাতে দেওয়া হতো গুইট্টা বা আগুন। একটা লাল শালু কাপড়ে পেচিয়ে দেওয়া হইতো ব্রহ্মটান। হাক.................মউলা।



ধোঁয়া ফুসফুসে প্রবেশ করা মাত্র দেহের আগ্রাসী প্রক্রিয়ায় শোষন করে নিত এই ধোয়ার সক্রিয় উপাদান আর তামাকের নিকোটিন। দীর্ঘ দুই তিনটি টানের ফলে ধীরে ধীরে রক্তে মধ্যে প্রবেশ করতো এই টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল যার প্রভাবে স্নায়ু হতো উত্তেজিত আর তামাকে নিকোটিনের সম্মিলিত প্রভাবে রক্ত পেতো তার প্রয়োজনের তুলনায় কম অক্সিজেন এবং এই সম্মিলিত প্রভাব আমাকে নিয়ে যেতো এক কামহীন ভাবুক জগতে। আমার চারপাশ জুরে তখন হাজার তারা ঝিলিমিলি, মন প্রফুল্ল, চিত্ত হতো উৎদ্বেলিত। মোট কথা চার পাশে বিরাজ করতো এক বসন্ত আবহ।





দিন যায়.....



সব সময় এই টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল এর প্রভাব বলয়ে থাকার ফলে আমার স্নায়ু গুলি এক নিদৃষ্ট মাত্রা এই উপাদানে অভ্যস্ত হয়ে উঠে। বুঝতে পারি তখন আমি এর মাঝে পতিত হচ্ছি। ভাবি এ আর এমন কি। এর স্বপক্ষে যুক্তি দাড় করাতে থাকি । আত্মতৃপ্তি পাই, খুজে পাই এর মধ্যেই আছে ক্রিয়েটিভিটি। আকন্ঠ নিমজ্জিত হই এর মাঝে।



যখন এই নিদৃষ্ট মাত্রার কম হয় তখন শরীর করে বিদ্রোহ। ফলাফল তীব্র মাথা ব্যাথা। সামান্য পেরাসিটামল তাতেই শান্তি। আবার ফিরে যাই সমতা আনয়নের জন্য। আমি এর নাম দেই সমতা চক্র। এই সমতা চক্র আমার প্রত্যহিক জীবনের অংশীদার হয়ে উঠে। মোহবিষ্ট এই জগতের আনাচে কানাচে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াই নিজের মনে।



বহুদিন এই সমতাচক্র আবদ্ধজীবন কাটানো ফলে আমি আস্তে আস্তে এক হেলুশিনেশন এর জগতে প্রবিষ্ট হই। বাস্তবতা, চারপাশ, সামাজিক বন্ধন, দ্বায়িত্বোবোধ আস্তে আস্তে কমতে থাকে। দীর্ঘদিনের অর্জিত আমার সংস্কৃতি, আমার কৃষ্টি, আমার অহংবোধ পরাজিত হতে থাকে প্রতিক্ষনে । একটি নিদৃষ্ট ভাবনা ও এক নিদৃষ্ট সমতা চক্রে আবদ্ধ হয় জীবন। আমি ছিটকে পড়ি স্বাভাবিক মানবিক প্রবৃত্তি হতে। আমার মাঝে পরিলক্ষিত হতে থাকে অস্বাভাবিকতা।





আমি এখন আমার নিদৃষ্ট সমতা চক্রের বাইরে আর কিছুই চিন্তা করতে পাড়ি না। আমার চিন্তার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আমি আমার নিজের ভাবনায় ডুবে থাকি সবসময় । সমাজ হতে বিছিন্ন হয়ে পড়ি ।



একদিন ভোরে আমারা সমস্ত মানবিক, সামাজিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। লোকজন আবিস্কার করে এককালে পরিচিত একজন আর স্বাভাবিক নেই।



বহুমাত্রিক চিকিৎসা শেষে, পুরানো সময়ের অভ্যাস, জীবন যাত্রা, পরিবর্তন আনয়ন করাই চেষ্টাই নিয়োজিত আছি এখনও।



তাই অনুরোধ এই ভয়ংকর আবেশ থেকে নিজেকে মু্ক্ত রাখূন।







মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১২

সত্য সন্ধানী আমি বলেছেন: গাঁজার পোস্ট প্রিয়তে যায়....:)


সবাই ফিরে আসুক এই ভয়ংকর আবেশ থেকে।ভাল থাকুন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৬

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৪

পটল বলেছেন: জয় পাঙ্খা বাবা

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৬

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: জয় পাঙ্খা বাবা

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৬

বাদ দেন বলেছেন: খুব সম্ভবত এই রকম পোস্ট ফেডারেল ক্রাইমের পর্যায়ে পড়ে ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৭

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: কি যে বলেন

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:২৭

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: :| :|

০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৩৬

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: ;)

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৫৩

বাদ দেন বলেছেন: । এর পরে চলতো আয়োজন ধীরে ধীরে বিষপাতা গুলি ছাড়িয়ে নিয়ে দুই তিন ফোট পানির সাহায্যে চলতো হাতের তালুতে পেষণ । তামাক পাতার সহযোগে চলতো আরও একবার পেষন। এর পর কাটনী দিয়ে কেটে কুচি কুচি করা। অন্য দিকে নারিকেল এর ছোবা দিয়ে চলতো গুইট্টা পোড়ানো অনেকটা তামাকের টিক্কা পুড়ানো। কুচি করে কাটা মিহি মিশ্রন ভরা হতো কলকি উপরের অংশে তারপর তাতে দেওয়া হতো গুইট্টা বা আগুন। একটা লাল শালু কাপড়ে পেচিয়ে দেওয়া হইতো ব্রহ্মটান।

আমিও একটু ফেডারেল ক্রাইম কইরা নিলুম :-0 :-0

১২ ই জুন, ২০১২ রাত ২:৫১

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: হুমম

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৫৪

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: যারা গাঁজা সেবন করে তারা জীবনে একবার না একবার পাগল হয়। লেখা ভাল লাগল

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০১

অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: আমি আস্তে আস্তে আবেশের দিকে যাচ্ছিলাম।আমার বন্ধুদের মাঝে গাজা নিয়ে খুব আলোচনা হত। কৌতূহলী আমি নিজেকে আবিষ্কার করি দিনে দিনে আমি আসক্ত হয়ে পড়ছি । চেষ্টা করছি বাদ দিতে।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০৫

hks001 বলেছেন: তাহলে এখন জেনে নিই কিভাবে গাঁজা তৈরী করতে হয়...

এক বুইড়া বাডার কান্ড দেখেন

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:১৭

পুংটা বলেছেন: মানুষ স্বভাবতই নেশাখোর... B-))

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:২৫

জাহাজী পোলা বলেছেন: :D :D :D

০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: ;)

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪১

হারিয়ে যাব বলেছেন: ভাই যান দেখি প্রথমেই কলকে ধরেছেন। চালিয়ে যান :-P

১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: ;)

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৩৪

সন্জু ৩০৭ বলেছেন: এই পাগলা ঘোড়াটাকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন এক ভাবে ধরে ফেলতো, সে প্রমান ও পেয়েছি। কিন্তু তাদের যে সুবিধাটুকু ছিল তা হল নির্ভেজাল ও উৎকৃষ্ট খাওয়া-দাওয়া আর তার সাথে তার সাথে অনেক কম জীবনের জটিলতা।

এখনকার যুগে আমরা এসব থেকে অনেক দুরেই বসবাস করে থাকি।

উদ্দেশ্যের মাঝেও ভিন্নতা আছে। আগে গাজার ব্যবহার ছিল মুলত সাধনা, ব্যথা নিবারন আর সারাদিনের ক্ষত-খামারের পরিশ্রম শেষে মজমার আসর জমিয়ে আড্ডা মারতে।

আর এখন এর প্রধান উদ্দেশ্যই নেশা করে মাত হওয়া, দুঃখ ভুলে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করা, আর বিশেষভাবে সময় গুলোকে উপভোগ করা।

আমরা উঠতি বয়সি তরুন বাঙালি জাতি এখন যে ৩টি নেশায় আক্রান্ত তা যথাক্রমে মেয়েমানুষের নেশা(বেহাল্লাপনা বা সেক্সুয়াল ক্রেজ), টাকার ও ক্ষমতার নেশা ও তামাক,মদ,বাবা,ডাইলের নেশা।

আপনি আমি এমন আমরা অনেকেই এসবের সাথে জড়িত। কিন্তু পরিস্থিতির কারনে সবাই চেষ্টা করি অধিকাংশক্ষেত্রে এড়িয়ে চলতে। কিন্তু এভাবে এরিয়ে চলার চাইতে মনে হয় সমস্যাগুলোকে সমাধানের চেষ্টা করা ভাল।

কিন্তু কেমন বা কিরুপ সমাধান তা আমি নিজেও জানি না।

I just know living under this addiction its not a real life, but just shadow living stepping towards the painless black end.

আমি জীবনের নাটকীয়তায় স্তব্ধ। এখন নিজেকে একটা কীট ছাড়া কিছুই মনে হয় না।
অথচ আমি খুব ভাল মত জানি আর উপলব্ধি করি আমকে এ নেশা ধীরে ধীরে ব্যতঃাহীন মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

অনেকেই ভাবছেন "ব্যথাহীন মৃত্যু" সেটা কি জিনিষ, আর সেটা হলেই বরং ভাল।
আমি সেটা চাই না।

শিশু ভুমিষ্ট হতে যে ব্যথা তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যথা মৃত্যুতে। আর সেটাই ওরিজিনাল ডেথ, পেইনফুল আর নির্ভেজাল।

অন্তত সে জন্যে হলেও আমাকে পাল্টাতে হবে।
আজ হোক কাল হোক।
সবাই ভাল থাকেন।
আমরা সবাই নেশাগ্রস্থ। কেউ বা মেয়েতে, কেউ তামাকে, কেউ ক্ষমতা আর টাকাতে, কেউ ধর্ম পালনে আর বিজ্ঞানে,গবেষনায় , কেউ মানুষে, আর কেউ কবিতায়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৩৮

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩

বীরেনদ্র বলেছেন: Canabis sativa, হল নিম্নমানের গাজা। Canabis Indica অপেক্ষাকৃত ভাল মানের, Tetrahydrocanabinnol প্রধান আল্ক্যালয়েড হলেও আরো অনেক পদার্থ থাকে। এটা physical Dependence করায় না, এলকোহলের চেয়ে গাজা কম ক্ষতিকর বস্তুত গাজা নেশা জাতীয় দ্রব্যগুলোর মধ্যে সবচে কম ক্ষতিকর।

গাজা নেশা, সুতরাং ক্ষতিকর। মনের জোর থাকলেই তা ছাড়তে পারবেন। গাজা ছাড়া সিগারেট ছাড়ার চেয়েও সোজা। এখানে

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: যাইতে দ্যান

০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৬

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.