![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আর কি বলবো আমার সম্পর্কে, কথায় আর কাজে আমার পরিচয়।
ছোটবেলা থেকেই টোকন এককেন্দ্রীক। তার ভাল লাগতো একা থাকতে। আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে থাকতে, বাতাসের ঝাপটায় দুহাত ভরে উপভোগ করতে। সমবয়সীদের সাথে গল্প করা, আড্ডা দেয়া ভিতর থেকে আসতো না । একেবারে যে অসামাজিক ছিলো তা না । ক্রিকেট ভালো পারতো, প্রতি বিকেলবেলা গলি-পার্কে খেলতো। আড্ডা যা দেয়ার তা হতো সব খেলা-ধুলা কেন্দ্রীক। কিন্তু তার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগতো গল্পের বই পড়তে, ফ্যান্টাসির ভিতর ঢুকে যেতে। প্রত্যেকটা চরিত্র সে তার কল্পনায় দেখতে পেতো। কোন বই ভাল লাগলে শেষ না করে উঠতো না। রাত শেষ হয়ে যাক, তার ঘুম আসবে না শেষ না করা পযন্ত।
ফ্যান্টাসির জগতে বিচরণ তার কাল হয়ে দাড়ালো। পর্নগ্রাফির জগতে তার প্রবেশ, টোকনের নিজেকে হারিয়ে ফেলার শুরু। তার খেলা-ধুলা, পড়া-লেখা, সামাজিক দেখা-সাক্ষাত, কথা-বার্তা, সবকিছুতেই তার অধ:পতনের শুরু আস্তে আস্তে। ক্লাস এইটের টোকন হঠাত করেই এ খারাপ দুনিয়ার সন্ধান পেয়ে গেলো। এর আগে ধর্ষন কি, সে বুঝতই না। সিনেমায় দেখতো ভিলেন মেয়েদের শরীরের কাপড় ছিড়ে ফেলতো এবং তার সাথে গড়াগড়ি করতো ।
তাদের বন্ধুদের একটা গ্রুপ ছিলো। যারা তিন গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়তো, মাঝে মাঝে মাসুদ রানা, কুয়াশা, ক্রুসেড সহ আরো সিরিজ পড়া হতো। ক্লাসের মধ্যেই পড়া হতো গল্পের বই। পাঠ্যপুস্তকের উপর রেখে পড়া হতো। স্যাররা জানতো এসব। তাই মাঝে মধ্যেই রেড দিতো ক্লাসের মধ্যে। গল্পের বই পেলে কেল্লা ফতে। বইতো যাবেই সাথে মাইর ফ্রি। ক্লাস এইটের তেমনই কোন একদিন একটা বই পেল টোকন পড়ার জন্য বন্ধুদের মাধ্যমে, যেটা ক্লাস চলা অবস্থায়ই শেষ করতে হবে বাসায় নেয়া যাবেনা। গল্প গুলো যেন কেমন অন্যরকম, গল্পের বইয়ের মত না, না্রী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে সব কিছু। কেমন জানি অস্বস্তি লাগছিলো তার ক্লাসের মধ্যে এসব পড়তে, এরি মধ্যে দুইটা ঘটনা ঘটলো পরপর।
টোকন যে বেন্চে বসা ছিলো, তার পিছনেই রাজু ছিলো। ও খুব চালু ছিলো তখনই, প্রেম করতো ক্লাস এইটেই। রাজু টোকনের সাথেই বইটা পড়তে ছিলো পিছনে বসে, টোকনের জানার বাইরে। এমনিতেই ওর অস্বস্তি হচ্ছিলো, লজ্জা লাগছিলো। কয়েকটা গল্পের পরই রাজু মজা পেয়ে কয়েকটা শব্দ জোরে পড়লো। টোকন খারাপ বই পড়াটা আর আগালো না এরপর। তারকিছুক্ষণ পর ইংলিশ স্যার ক্লাসে রেইড দিবেন জানা গেলো। যে যার মতো গল্পের বই লুকানোর চেষ্টা করলো। টোকনের কাছে যেটা ছিলো, ওর বন্ধুর কাছে দিয়ে দিলো যার কাছ থেকে নিয়েছিলো। রেইড শেষ হওয়ার পর টোকন খোজ করলো বইটা কই। রিপ্লাই আসলো জানালা দিয়ে ফেলে দিছে সে। জানালার কার্নিসে আছে। ছুটির সময় ওর ঔই বন্ধু বললো, টোকন তুই যদি এসব বই পড়তে চাস, তাইলে ফ্লাইওভারের নিচে ওসব বই বিক্রি করে, কিনে নিস। টোকনের মাথায় গেথে গেলো তথ্যটা।
টোকনের অভ্যাস ছিলো ক্লাসের হোমওয়ার্ক, প্রাইভেট এগুলা শেষ করে গল্পের বই পড়া। বেশকিছুুদিন পর টোকন বাসায় একা ছুটির দিন। কোন গল্পের বইও নাই পড়ার মতো। খেলার সময়ও হইনি। কি করবে কোন কাজ পাচ্ছে না । মনে পড়লো ওসব বইতো কিনতে পারে, পড়তে পারে, ওই বইটা শেষ হয়নাই যে। একটা তাড়না ছিলো বইটা শেষ করতে হবে, যদিও অস্বস্তি হচ্ছিলো। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো কিনবে, চেক করলো টাকা আছে কিনা। আছে, কিনতে পারবে। ....................
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
দূর্লব বলেছেন: স্বাগতমম।