নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কানা গলি

বারবার শুধু ছিটকে পড়ি অশ্লীল কারাগারে

প‌্যাপিলন

Eat, Pray, Love

প‌্যাপিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ফরমালিন মুক্ত ব্লগের সন্ধানে

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

রোড টু মনরোভিয়া

কাফি সিম্বা লাইবেরিয়ার দায়িত্ব পেয়ে প্রথম সফরেই গ্রান্ড বাসার ন্যাশনাল হাইওয়েতে জনগনের তোপের মুখে পড়ে পুরাই বিলা হয়ে গেলেন। ফলশ্রুতিতে মন্ত্রীসভার জরুরী বৈঠক। ’গেল বছরে ৩৩৬ টি দুর্ঘটনা ৭০০ লোকের প্রানহানি,হাজারের ওপর আহত’- আতকে উঠলেন প্রেসিডেন্ট। এটা কি সড়ক নাকি জাহান্নামের প্রবেশ পথ। কাফি সিম্বার তৎপরতায় ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিহাসের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পৃর্ববর্তী ৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ১ বছরের মাথায় প্রতিবেদন দাখিল করে ফেলল। ততদিনে কাফি সিম্বা ক্ষমতার কুলোটা মুলোটার রস আস্বাদনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় জনগনের প্রতি দরদ বেশ ভালই সামলে নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক ন্যাশনাল হাইওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের সাহায্যার্থে একটি আধুনিক ও বৃহত সিমেট্রি তৈরি করা হলো, নিহতদের অতি উন্নত মানের আবলুস কাঠের কফিনের ব্যবস্থা করা হলো, আহতদের নির্বিঘ্নে ঠ্যাং কাটার উন্নত যন্ত্র হাসাপাতালে প্রতিষ্ঠা করা হলো, দামী ক্রাচের ব্যবস্থা করা হলো। সিমেট্রি পরিদর্শন করতে গিয়ে যন্ত্রচালিত কপিকলের সাহায্যে কফিন কবরে নামানোর প্রক্রিয়া দেখে কাফির গর্বে বুক ফুলে উঠল। আহ.. কি তৃপ্তিৃ. .....জনগনের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দটা নিউরণ থেকে অঙ্গ প্রতেঙ্গে যখন ঠিক ছড়িয়ে পড়ব পড়ব করার সময়েই এক কুলাঙ্গার সাংবাদিকের চিৎকারে সব ভেস্তে গেলে। শ্লাদের জ্বালায় সিমেট্রিতেও শান্তি নাই। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স মর্কটটাকে যথাযথ ট্রিটমেন্ট দেয়ার আগেই কাফি তাকে ডেকে তার ক্ষোভের বৃত্তান্ত জানতে চাইলেন। মর্কটটার পরামর্শ শুনে গোরস্থানের মতো পবিত্র জায়গাতেও মন্ত্রী আমলাগণ অট্টহাসিতে ভেঙে পড়লেন। এত আধুনিক সিমেট্রি, দামী কফিন, ক্রাচের ব্যবস্থা না করে রাস্তা উন্নতকরণ আর গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখলেই নাকি জনগণ রক্ষা পায়। .....হা...হা....হা......। মুর্খ জনগণ এর চে’ আর বেশি কিই ভাবতে পারে। কাফি সিম্বা বুঝতে পারলেন মুর্খ জনগনকে শিক্ষিত করে তুলতে না পারলে এ ধরনের আরো আজগুবি ভাবনায় তারা ডুবে থাকবে। ইশারায় শিক্ষামন্ত্রীকে এ বিষয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়ে খোশ চিত্তে প্রাসাদের পথে রওয়ানা হলেন। পথে আবার ছোট শ্যালকের কফিনের কারখানাও পরিদর্শন করতে হবে।



আমজনতার জুস

ফাপস ভাইয়ের আগমনে বিপ্লবী জনতার মুহুর্মুহু শ্লোগানে মশিউরের একটু গলা মেলাতে ইচ্ছে করল, যদিও সে বয়স আর নাই। জ্যাম কিছুতেই ছাড়ছেনা দেখে বাস থেকে নেমে পড়ে জটলার দিকে এগিয়ে আরো মুগ্ধ মশিউর। ফুটপাতে জুড়ে কেমিক্যালমুক্ত আম বিক্রির বিশাল ব্যবস্থা, সাথে আবার সুদৃশ্য প্যান্ডেল, মরিচ বাতির ঝলকানি। ফাপস ভাই অতি গণতান্ত্রিক বলেই ফিতা কাটার ধার দিয়ে গেলেননা, কোন বক্তৃতাও দিলেননা, কেবল যুবগীল নেতাদের পিঠে একটু চাপড়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। এই চাপড় শুধু চাপড় নয়, এর ম্যাসেজটা অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ। দেশের রাজকীয় ফল আম যখন ক্যামিকেলে সয়লাব, তখন যুবগীল নেতারা জনগণকে কেমিক্যালমুক্ত আম খাওয়ানোর জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখলেও কম হয়ে যায়। পুরো ঢাকাবাসীদের জন্য স্থানে অস্থানে ফুটপাত জুড়ে এই আম বিক্রিকে বিক্রয় হিসেবে নয়, বরং সেবার বহিপ্রকাশই বলা যেতে পারে। জনগণের না হয় হাটা চলায় একটু অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু মওসুমী ফল আম থেকে পুষ্টি না পেলেতো দুর্বল হয়ে হাটাই বন্ধ করে দিয়ে ঘরে শুয়ে থাকতে হবে। নিজের যুক্তির শানিত ধারে মশিউরের মুখ মন্ডল উজ্জল থেকে উজ্জলতর হওয়ার পথেই বাধ সাধলো এক রিক্সাওয়ালা। ’ এত ঢাকঢোল পিটাইয়া ওষুধ ছাড়া আম না বেইচা আমে যাতে ওষুধ না মিশাইতে পারে সেইডা সরকার দেখলেই পারে’- মুর্খ রিক্সাওয়ালার এহেন মন্তব্যে মশিউর বড় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। এই ধরনের মন্তব্যকারী অশিক্ষিত লোকগুলারে শিক্ষার আলোতে না নিলে বাঙালী এক পা সামনে গিয়ে দু পা পিছিয়ে আসবে। কেবল স্বাক্ষরতা বাড়ালেই হবেনা, প্রকৃত শিক্ষিত না করতে পারলে বাঙালী জাতির উন্নতি নাই- হতাশ মশিউর বাড়ির পথ ধরে।



কেমিক্যাল মুক্ত ব্লগ

আমাদের অতিপ্রিয় সামুব্লগেও একইভাবে পাঠককে কেমিক্যালমুক্ত ব্লগ খাওয়ানোর চেষ্ট চলছে অনেকদিন ধরে। প্রথমে আমার প্রিয় পোস্ট সংকলন, তারপর বাৎসরিক, বাৎসরিক থেকে মাসিক। ইদানিং কেউ সাপ্তাহিক সেরা ব্লগের সংকলন দেয়ারও চেষ্টা করছে। পাঠকের চেয়ে লেখকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে কি আর করা। তবে এ ব্যাপারে কতৃপক্ষই যা করার করতে পারে। আবজাব হাজার হাজার পোস্টের চেয়ে সারাদিন ভাল দশটি পোস্ট প্রকাশে দোষ কি? তবুও চিকনে কিছু মুর্খ পাঠক (টিআরপি, বিজ্ঞাপন বিজনেস এগুলা বোঝার মতো জ্ঞান যাদের এখনও হয় নাই) এখনও আশা করে ব্লগারদের ব্যক্তিগত সংকলন নয় সামু এক সময় শুধু সংকলন হওয়ার মতো মানসম্মত পোস্ট প্রকাশ করবে।



তবে এই কেমিক্যাল মুক্ত ব্লগ খাওয়ানো কিছুদিন পর ঝিমাইয়া পড়লেও সৃষ্টিকর্তার জাতে ওঠাটা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। আপনি নতুন ব্লগার, মাইরা দেখেন একটা সংকলন পোস্ট, আপনারে আর ঠেকায় কে?:P

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এটা ঠিক যে প্রচুর পোস্ট সামুতে আসে এর কারণ বোধ করি সামুতে নিকের বাহুল্যতা। সামু একটি সাগর বলা যেতে পারে। তাই এখানে দশটি পোস্ট নয় বরং কোটি পোস্ট আসুক তারমধ্যে থেকে বেছে বেছে যখন সংকলন পোস্ট এর আয়োজন করা হয় তখন ব্লগারদের মাঝে নিজের লেখার মান যাচাই করে নেয়ার এবং তাতে কিছুটা গুনগত মান বজায় রাখার চেষ্টা বাড়ে। যেটা হাতে গোনা মাত্র দশটি পোস্টে সম্ভব নয়। সামুতে যে পরিমাণ ব্লগার আছেন তারা যদি ধরুন একদিন সবাই একটি করে পোস্ট দেয় ওইদিন সামুতে পোস্ট আসবে লাখ খানেক। তাহলে ভেবে দেখুন সেই অনুযায়ী কত ভাল আছেন। আমিতো মনে করি এখনো লেখকের চেয়ে পাঠকই বেশি। সামুতে যেহেতু সব ধরনের লেখাই প্রকাশিত হয় তাই কেউ যদি নিজ উদ্যোগে কবিতা, গল্প কিংবা ফিচার, ছবি অথবা মিথ নিয়ে সংকলন করে এতে পাঠকদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী সবকিছু আলাদা ভাবে একসাথে পাওয়া হয়ে যায়।

আমরা ফরমালিন যুক্ত ফল যেমন সাস্থের ক্ষতি চিন্তা করে খেতে পারিনা তেমনি কেউ ফরমালিন মুক্ত ফলের ব্যাবস্থা করলে তাকে সাধুবাদ জানাতেও যেন কৃপণতা না করি।

তবে একেবারেই নতুন ব্লগারদের সংকলন না করাই ভালো এতে করে সংকলনের মান বজায় নাও থাকতে পারে কারণ ব্লগটি সম্পর্কে এবং ব্লগার ও তাদের পোস্টের মেধা সম্পর্কে বুঝতে সময় নেয়া উচিত।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

প‌্যাপিলন বলেছেন: চমতকার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ। তবে সামুতে প্রতিদিন আসা পোস্টের দুই তৃতীয়াংশ বা আরো বেশি ন্যুনতম স্টান্ডার্ড এর বাইরে। শুধু লিখলেই প্রকাশিত হয় এই কারণে অনেক লেখা আসে যাদের ঐ বিষয়ে একাডেমিক বা অন্য কোনভাবে ঐ টপিকের ওপর গভীরতা নেই। এছাড়া আরো একটি বিষয় আছে সেটা হলো নির্জলা প্রতারণা।
উদহারণ - একটা রম্য পড়ে খুব মজা পেলাম। বাসায় ফিরে যখন রস আলোতে সেই লেখা পড়ি তখন নিজেরে কি পরিমান বেকুব লাগে সেটা ভুক্তভুগীই ভালো জানে। মোটামুটি সিনিয়র এক ব্লগারের একটা রম্য পড়লাম যেটা কয়েক মাস আগে উন্মাদে পড়ে ফেলেছি। এছাড়া প্রচুর তথ্যমূলক পোস্ট দেয়া হয় যেগুলো উইকি, বাংলাপিডিয়া বা অন্যান্য এনসাইক্লোপিডিয়ায় খুব সহজেই পাওয়া যায়। এর মানে কি দাড়ায় যে এসব ব্লগারের ধারণা যে সামুর পাঠকরা ইন্টারনেটে ঐ সমম্ত সাইট ব্রাউজ করতে পারেনা বা তারা ইংরেজি জানেনা, তাই কষ্ট করে বাংলায় তুলে ধরা হয়! আর পত্রিকার কাট পেস্টের এত আধিক্য যে এদের ধারণা যে বেশিরভাগ ব্লগার পত্রিকাও পড়েনা তাই তাদের জন্য কষ্ট করে তুলে ধরা হয়। এদের কারণে কিছু ব্লগার ভালো পোস্টগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন কিন্তু সেখানেও বিরাট কিন্তু থেকে যায়। ধরুন আপনি ইতিহাসে ইন্টারেস্টেড সেখানে ফটোগ্রাফির কোন পোস্টগুলো এ মাসে সেরা হয়েছে সেটা আপনার বিচার করা কঠিন। কারণ ফটোগ্রাফির কিছু টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে যেমন ফোকাস, এপারেচার, শাটার স্পিড, মিটারিং....এই বিষয়গুলো জানা না থাকলে ফটেগ্রাফির পোস্টগুলোর জাজমেন্ট কঠিন। আমার সেল ফোনে কিছু ছবি তুলে পোস্ট দিয়ে ফেললাম কিন্তু টেকনিক্যাল কোন এসপেক্ট উল্লেখ করতে পারলামনা, তাহলে এর থেকে আরেকজনের কিছু শেখার থাকলনা। আমার পোস্টটা যদি আরেকজনের কাজেই না লাগে (সেটা ব্যবহারিক বা আত্বিক) তাহলে সেটা আসলে বৃথাই, শুধু মিথ্যা কিছু পুলক বাড়ায়। আবার ইতিহাসের সাথে আমার ফটোগ্রাফিক দক্ষতা থাকলেও কবিতার আমি কিছু নাও বুঝতে পারি। এভাবে একজন ব্লগার যেমন সব বিষয়ে দক্ষ হতে পারেনা তেমনি তার নানা বিষয়ে তার সঙ্কলনের মানটা ঠিক প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যায়।

আসলে সঙ্কলন পোস্ট মন্দের ভাল। যেমনটি ফরমালিন মুক্ত আম বিক্রয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও আর কতদিন আমরা মন্দের ভালো নিয়ে পড়ে থাকব, আমরা কেন রিজিড হবোনা আমাদের মানের প্রশ্নে? সব কিছুতে ছাড় দিতে দিতে পঙ্গু হয়ে গেছি। তাই খুব ইচ্ছে করে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে, আপসকামীতা আর সহ্য হয়না।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন প্রতিটা পোস্টকেই মডারেশনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে? অর্থাৎ-প্রতিটা পোস্ট মডারেটর পড়ে গুণ যাচাই করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিবেন? এটা সম্ভব না। ভালো পোস্টগুলা আসলে নিজে উদ্যোগী হয়ে পড়ে নেয়া উত্তম। তবে মডারেটরদের উচিত খারাপ পোস্ট, দুই লাইনের পোস্ট, কপি পেস্ট এসব মুছে ফেলার ব্যাপারে আরো কঠোর হওয়া। সেদিন একটা ফালতু পোস্ট রিপোর্ট করসিলাম আমি সহ আরো অনেকেই, কিন্তু ওটা এখনও বহাল তবিয়তে আছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২

প‌্যাপিলন বলেছেন: আসলে প্রতিটি পোস্ট মডারেশন করা সম্ভব নয়, সেটা কিছুটা অটোক্রেটিক প্রক্রিয়ার মধ্যই পড়ে যাবে। তবে এক ধরনের (এরা সংখ্যায় বেশি এবং বেশি পোস্টে ব্লগকে ভারাক্রান্ত করে রাখে) ব্লগার আছে যারাই মুলত এক লাইন, দুই লাইন, পত্রিকা থেকে কাট পেস্ট করে ব্লগকে অসুস্থ করে রাখে। এই ব্লগারদের চিহ্নিত করে এদের পোস্টগুলো মডারেশনে গেলে পরিবেশটা একটু ফিরে আসতো। আপনার সাথে একমত যে ভালো পোস্টগুলো নিজ দায়িত্বে খুজে নিতে হয়। কিন্তু সামহয়্যার যদি ভাল পোস্টগুলোই প্রকাশ করত তাহলে খারাপ হতোনা। তবে সেটা সম্ভব নয়, রিসোর্সের কারণে। এখন শুধু যদি সেইসব ব্লগারদের বোধোদয় তাহলেই সুস্থ ব্লগিং সম্ভব।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার নির্জলা প্রতারণা কথার সাথে শতভাগ সহমত জানাচ্ছি ভাই।

এছাড়া প্রচুর তথ্যমূলক পোস্ট দেয়া হয় যেগুলো উইকি, বাংলাপিডিয়া বা অন্যান্য এনসাইক্লোপিডিয়ায় খুব সহজেই পাওয়া যায়। এর মানে কি দাড়ায় যে এসব ব্লগারের ধারণা যে সামুর পাঠকরা ইন্টারনেটে ঐ সমম্ত সাইট ব্রাউজ করতে পারেনা বা তারা ইংরেজি জানেনা, তাই কষ্ট করে বাংলায় তুলে ধরা হয়! আর পত্রিকার কাট পেস্টের এত আধিক্য যে এদের ধারণা যে বেশিরভাগ ব্লগার পত্রিকাও পড়েনা তাই তাদের জন্য কষ্ট করে তুলে ধরা হয়।

তবে এখানে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। সেবা প্রকাশনী বেশির ভাগ ইংরেজি উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ করে বই বের করে। সেগুলো মানুষ পড়ে আনন্দ পায় তৃপ্ত হয়। পাঠকের জন্য সজহ সাধ্য হয় নিজে খোঁজ করে পরার চেয়ে। অতএব কেউ যদি ইংরেজি উইকি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে কিছু দেয় সেখানে অসুস্থতা থাকেনা। আর যে কোন বিষয় নিয়ে লিখলে যদি পত্রিকা এবং নেটের সাহায্য নেয়া হয় সেখানেও অসুস্থতা থাকেনা তবে অবশ্যই সেটা হুবুহু কপি হলেও সূত্র উল্লেখ করে দেয়া প্রয়োজন। সবাই যে সব কিছু জানবে এটা যেমন সত্য নয় তেমনি সূত্র উল্লেখ করে তথ্য শেয়ার করা কোন অপরাধ নয় এবং সেটা অসুস্থতা নয়।

তবে মৌলিক সাহিত্য যারা কপি করে প্রকাশ করে সেটা অমার্জনীয় অপরাধ।


এভাবে একজন ব্লগার যেমন সব বিষয়ে দক্ষ হতে পারেনা তেমনি তার নানা বিষয়ে তার সঙ্কলনের মানটা ঠিক প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যায়।


সুন্দর বলেছেন তবে গল্প, কবিতা, ফিচার কিংবা ছবি নিয়ে যে একজনের দক্ষতা থাকবেনা সেটা ভাবাও সমীচীন নয়।

আর সত্যি বলতে গেলে অনেকেই ছবি তোলেন কোন প্রকার ফোকাস, এপারেচার, শাটার স্পিড, মিটারিং. না মেনেই তাই বলে কি তার পোস্ট সংকলনে স্থান পাবে না এই বিচার ঠিক হবে না। হয়ত আজকে আপনার একটু উৎসাহ তাকে আরও ভাল কিছু করতে আগ্রহ বাড়াবে।

আমরা জাতি হিসেবে এখনও পিছিয়ে রয়েছি কারও ভেতর প্রতিভা দেখলে বিকশিত হবার সুযোগ না দিয়ে। শুধু রবীন্দ্রনাথ নিয়ে পরে থাকলে জীবনানন্দের প্রেমের কবিতা আর পাওয়া হত না কিংবা আল মাহমুদ অথবা শামসুর রহমান পেতাম না। এটাই আমাদের ৪২ বছরের স্বাধীনতার তাৎপর্য।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনেক বিষয়েই সহমত পোষণ করছি।
তবে মন্দের ভালো সংকলন পোস্ট নিয়ে আগ্রহ নেই।
বেশিরভাগই এটা আত্মীয়করন সংকলন হয়ে থাকে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০২

প‌্যাপিলন বলেছেন: হুম...আত্নীয়করণই এখন বড় সিন্ডিকেট....
যাই হোক, এগুলো নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো...আসুন নিজের মতো লিখি, নিজের মতো পড়ি

মন্তব্যে ধন্যবাদ দুর্জয়দা

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: হুম বুঝলাম ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

প‌্যাপিলন বলেছেন: হুম

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

এরিস বলেছেন: ভালো পোস্টগুলা আসলে নিজে উদ্যোগী হয়ে পড়ে নেয়া উত্তম। তবে মডারেটরদের উচিত খারাপ পোস্ট, দুই লাইনের পোস্ট, কপি পেস্ট এসব মুছে ফেলার ব্যাপারে আরো কঠোর হওয়া।

হাসান ভাইয়ের সাথে একমত।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

প‌্যাপিলন বলেছেন:

আমার পোস্টটার উদ্দেশ্য ছিল এটা বোঝানো যে আমরা সবসময় খারাপের মধ্যে একটু ভাল খুজি, সে ভালোর সব ভাল নয় বিধায় সেখান থেকে আর কিছু ভাল খুজি। সংকলন পোস্টটা ঠিক সেরকমই। পুরোটা ভাল কেন আমরা করতে পারিনা যদিও ব্যবসায়ীক কারনে সামু সেটা করতে পারেনা আর ব্যবসায়ীক স্বার্থ দেখলে মুক্ত চিন্তার প্রোমোশন কখনই সম্ভব নয়।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ কামনা জানতে আবার এলাম ...
আপনার পরিবারের সবার জন্য রইল দোয়া ...
আনন্দ ঘিরে থাক আপনাদের প্রতিটি মুহূর্ত :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.