![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জেল পলাতক পুলিশ!!!!! শেষমেশ এই সামুতে আশ্রয় নিলাম।
আজকেও আসছি ফেসবক নিয়ে। ফেসবুকে যেসব লোকেরা এইরকম কর্মকান্ডের জন্ম দেয় তাদের জন্য ......
শুরুতেই এই ছাতার হাসি।
কারো মেজাজ বিগড়ে দেয়ার জন্য এই দুইটা ইমোজিই যথেষ্ট।
আপনি লিখলেন Hi । কিছু মানুষ লিখবে Hiii..............
এসকল মানুষ ফেসবুকে কাজ করে এবং এদের হাতে অত্যধিক সময়।
কিছু প্রানী আছে, সারাদিন রাত ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। যখন ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো ব্লক করে দেয় , তার পরেও এরা হার মানে না ।
তখন বড় বড় পেজে গিয়ে ভিক্ষার হাত বারাইয়া দেয়। "অ্যাড মি। আই আম ব্লকড।"
কিছু পেজ বা গ্রুপ আছে যারা আমজনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। "লাইক ফর নরেন্দ্র মোদি, কমেন্ট ফর ছাগলের লাদি"
যেখানে স্পষ্ট লেখাই আছে মোদিকে ভোট দিতে চাইলে লাইক দিন আর ছাগলের লাদি কে ভোট দিতে চাইলে কমেন্ট করুন , তার পরেও কিছু প্রজাতি আছে কমেন্ট এ গিয়ে লিখবে নরেন্দ্র মোদী।
কিছু মানুষ ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আকীকা ছারাই নিজের নামের পরিবর্তন করে।
এই যেমন ধরেন , ধর সাইকেল মুতে আসি , কঠিন বাতাসে লুঙ্গি আকাশে , লুঙ্গির তলে আগুন জ্বলে , ভি আই পি বাপের থ্রিজি পোলা , পাতলা পায়খানা , সানি লিওনের ক্যামেরাম্যান , চুপ কথা বলা যাবে না , ঝুলন্ত হাগু , নুনু বাকা , নিউটনের নাতি ইত্যাদি কত কি...।
আপনি কি জানেন ,কুকুরও ফেসবুক চালায় ?????
বিশ্বাস হয় না? আসুন।
ফেসবুকে একটা আবাল মার্কা পোস্ট করুন , "আপনি ছেলে হলে হা হা রিয়েকশন , মেয়ে হলে ভালোবাসা রিয়েকশন, আর কুকুর হলে লাইক দিন।"
কিছু সময় অপেক্ষা করেন দেখবেন অনেক কুকুর পেয়ে যাবেন।
কিছু কিছু মানুশ বড় বড় পেজে পোস্টের অপেক্ষায় থাকে। সেখানে পোস্ট হবার সাথে সাথেই সুবৃহৎ অপ্রাসাংগিক ইতিহাস তুলে ধরে।
কিছু কিছু মানুষ সারাদিন গেম খেলতে আমন্ত্রন জানায়। ((ভাই আমি খেলব না। তুই আমারে মাফ কইরা দে।))
এছারা মোবাইল ভিত্তিক বিজ্ঞাপন, জামা কাপর পড়া শেখানো , অশালিন ভাষার ব্যবহার এগুলা না হয় বাদই দিলাম।
কিছু মানুষ আবার সবার ছবিতে একই কমেন্ট করে। ডোনাল্ট ট্রাম্পের ছবিতেও Nice pic , শেখ হাসিনার ছবিতেও Nice pic, হিরো আলমের ছবিতেও Nice pic, কাউয়ার ছবিতেও Nice pic.
কিছু মানুষ আবার খাবারের ছবি আপলোড করে। এইসব ছবি দেখে মানুশ মনে মনে গালি দিয়ে চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে দেয়। তারপরেও এরা মজা পান।
কিছু আপা আছে মাঝে মাঝে খাবারের ছবি দিয়ে আজব আজব নাম দিয়ে আপলোড করেন।
এরপর ক্যাপশনে লিখেন জিবনে প্রথম "phunsukh wangdu" বানাইলাম", কিংবা আমার বানানো "ছাগলের মুতের হীটলারি জুস"।
কমেন্টে সবাই ইয়াম্মি,জোস ,অস্থির বলে আওয়াজ তোলে।
এদের গালি দিলেও গালির অপমান করা হয়।
কেউ কেউ কমেন্ট এ এসে লাইক দেয়। আবার কেউ কেউ কমেন্টে এসে কমেন্ট করে "NO COMMENT"
কেউ কেউ আছেন একবারে ২০ টা ৩০ টা অপরিচিত মেয়ে সিলেক্ট করে। তারপর একই লেখা ইনবক্সে পাঠায় । এর মধ্যে কেউ রিপ্লাই দিলে তার সাথে গ্যাজানো শুরু করে ।
কিছু মানুষ বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাড করে। আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে বের হয়ে গেলেন। কিন্তু এরা আপনাকে খুজে বের করবেই। আবার অ্যাড করবেই।
কিছু কিছু জীব ফ্রেন্ড লিস্টে ঢুকেই ৪০ ৫০ টা পোস্টে লাইক দিয়ে নোটিফিকেশন এর বন্যা তৈরি করে। কেউ কেউ আবার বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েই নিজের জানান দেয়ার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেন।
কিছু মানুষ আবার সব পোস্টেই হা হা রিয়েকশন দেয়।।
যেমন ভাত খেলাম ...হা হা।
আয়নাবাজি অসাধারন সিনেমা......হা হা
জ্বর আসছে..........হা হা।
আমার ক্যান্সার.........হা হা।
কেউ কেউ আবার কমেন্টেই কথপকথোন শুরু করে দেয়।
----কিরে কেমন আছস?
----এইত ভাল
----কোথায়?
----বাসায়।
----গরু কিনছো??
.............................
কিছু মানুষ ফেসবুক কে হাত পাতার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
ফ্রেন্ড লিস্টের কেউ নাম মাত্র মুল্যে কম্পিউটার বিক্রি করবেন????
দাদা ,ফ্রেন্ড লিস্টের কারো কাছে কি দুটা বালিশ হবে??
এরকম কত শত যে আজাইরা বাজাইরা জিনিস আছে যা জুকার ফেসবুক প্রতিষ্ঠার আগে ভুলেও কল্পনায় আনেন নি।
বাঙালি যে ফুলপ্যান্ট কেটে আন্ডারওয়্যার হিসেবে ব্যবহারে সুদক্ষ তা ফেসবুকের বহুমুখী ব্যবহার থেকে আবারো প্রমানিত।
credit: RnaR
https://www.youtube.com/watch?=s3dP1-HemkE
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: তওবা তওবা!! মুই এই কাম হরলাম কোন কালে???
মুই আম্মেরে কোন সময় বকা বকি করছেলাম???
এইয়া মুই খালি পাগলা ফেসবুকার যারা হ্যাগো কইল্লাম।
মুই আম্মের দারে মাফ চাইলাম।মোরে এক্কেলে খাস দেলে মাফ কইররেন।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কেউ কেউ আবার কমেন্টেই কথপকথোন শুরু করে দেয়।
----কিরে কেমন আছস?
----এইত ভাল
----কোথায়?
----বাসায়।
----গরু কিনছো??
এই আকাম আমি করি (হাহাহাহাহাহা
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন:
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্য পড়ে স্যতি আনন্দিত হয়েছি। আমি আঞ্চলিক ভাষায় উপন্যাস একখান লিখেছি।
অবলীলা (আঞ্চলিক ভাষায়)
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: দেখেছিলাম এক সময় সিলোটি ভাষা মারি দেছেন। আন্নের বউয়ে মজার সালন রান্ধে গানখানা আর খুব বালা লাগসে ...।আন্নে এক্কেরে অলরাউন্ডার।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আসলে সত্যি খুব ভাগ্যবান। গান গেয়ে আমি আমার বউকে খুশি করতে পেরেছি। আমি সত্যি অনেকে বড় গায়ক, আপনার মতামত কী?
পলাশমিঞার জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছিল। আমি যা শিখেছি তা কাজে লাগালে দৈনিক লাখ টাকা রুজি করতে পারব না। কিন্তু সমস্যা হলো, কেউ আমাকে টাকা দিতে চায় না
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: কেউ আমাকে টাকা দিতে চায় না হেইডা তাগো সমস্যা। বউকে খুশি করা খুবই কঠিন কাজ । আপনি সেটা করতে পেরেছেন ।তাই আপনি আসলেই বড় মাপের গায়ক।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি অন্তত আমার পয়েন্ট বুঝতে পেরেছেন।
আমি বেকার। ঘরে বসে থাকি। ঘণ্টায় ঘণ্টা চা পাই। শখ করে মজার খাবার খাই। ভাত খাওয়ার পর আমি দিনে কফি খাই। এসব বলতে হয় না, সময়মত পাই।
এখন আপনি বলুন, আমার জন্য আর বাড়াবাড়ি করা বিপদে পড়ার নাম নয় কি?
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি আমাকে বকাবকি করেছেন। আমি আর কমেন্ট করব না।