নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলকধাঁধার নিলাম

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৭





ভদ্রলোকের আর কিছু থাকলো না একটা শ্যাওলা ধরা পুরোনো আমলের বাড়ি ছাড়া! দীর্ঘদিন রোগে ভুগে রোগা স্ত্রীটি মারা যাবার কিছুক্ষণ পরে তিনি বাড়িটির সাথে তার সম্পর্কের নিবিড়তার ব্যাপারে সচেতন হলেন। এই বিলম্বিত অনুধাবনে অনুতপ্ত হবার ফলে তার চোখের কোণে জল চিকচিক করতে লাগলো। জলের কণাগুলো গড়িয়ে পড়বে কী পড়বে না এ নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলো, তবে সদ্যমৃত স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে স্বয়ংক্রিয় প্রতিবর্তী ক্রিয়ায় ভদ্রলোকের সদ্যজীবিত আবেগ গা ঝাড়া দিয়ে উঠলে অশ্রুকণাগুলো টপটপ করে গাল বেয়ে পড়তে থাকে ঘরের ভাঙা মেঝের ওপর। স্ত্রীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চালাবার মত যথেষ্ঠ টাকা ছিলোনা তার কাছে। তাই তিনি ঠিক করলেন বাড়িটা বিক্রী করে দেবেন। বাড়িটির সাথে সদ্যলদ্ধ সম্পর্কটিও টিকে থাকছে না, এই হতাশায় ভদ্রলোক আরেক প্রস্থ কেঁদে নিলেন, আর তখন যেন সহমর্মিতা অথবা রাগে বাড়ি থেকে বেশ কিছু ইট সুড়কি খসে পড়ল। কত কষ্টের টাকায় তার ঊর্ধ্বতন কততম যেন পূর্বপুরুষ এই বাসস্থান তৈরি করেছিলেন! তখন সেটা ছিলো অট্টালিকাস্বরূপ। সে কত আগেকার কথা! ভদ্রলোক দেখেননি এসব, শুধু শুনেছেনই। এরপর বাড়িটার কী যেন রোগ হল, ইট সুড়কি খসে পরতে শুরু করল, মরচে ধরল ছিটকিনিতে, ফাটল ধরতে শুরু করল ছাদে আর মেঝেতে। ভালো রাজমিস্তিরি না দেখিয়ে সবাই যার যার মত করে পিঠটান দিলো, খুঁজে নিলো নতুন আবাস। ছোট্ট, ঘুপচি ফ্ল্যাটে গাদাগাদি করে থাকতে লাগলো, আবার কেউ কাগজপত্রের নানা কায়দাকানুন করে, কিছুটা বা অনেকটাই এধার-ওধার করে গ্রামের বিশাল জমিজমা বানিয়ে বেচে, শহরে এক খন্ড জমি কিনে বাড়ি বানানোর সংগ্রামে দিনানিপাত করতে লাগলো। তো শেষমেষ বিশাল বাড়িটার ভঙ্গুর অবয়বের সাথে জোড় বেঁধেই কী না, কেবল উল্লেখিত ভদ্রলোক আর তার স্ত্রী থেকে গেলেন। একবার অবশ্য এক রাজমিস্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো বাড়িটির পুনঃনির্মাণকাজে, কিন্তু অসতর্ক অবস্থায় ভদ্রমহিলার রুগ্ন শক্ত হাতকে কাঠখন্ড মনে করে হাতুড়ি দিয়ে পেড়েক গাঁথতে গেলে তার মজুরী বাকি রেখেই তাকে বিদায় করে দেয়া হয়। বিদায়ের সময় ভদ্রলোক ভুল করে মিস্তিরিকে আবার আসতে আহবান জানিয়ে ফেলায় তার ইস্তিরি তখন থেকে আতঙ্কে স্নায়ুবৈকল্য রোগে ভোগা শুরু করেন, এবং আজ তার মৃত্যুর কারণও সম্ভবত এই। ভদ্রলোক আজ বড় একা। একাকীত্বের সাগরে ডুবে যেতে চাইলেও বৈষয়িক ভাবনারা গভীর থেকে বুদবুদ হয়ে ভেসে উঠছে। বেচারার কাছে অর্থকড়ি কিছু নেই। স্ত্রী সৎকার কীভাবে করবে? গভীর বিরাগে চোখ উল্টানো, জিভ বের করে মটকা মেরে মরে পড়ে থাকা ভদ্রমহিলার দিকে একবার তাকিয়েই আবার ভয় পেয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলেন তিনি। দৃশ্যটা খুব সুখকর না। আর মরা এভাবে ফেলে রাখাটা স্বাস্থ্যকরও না, আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসা দরকার! বাড়িটা বিক্রী করার যোগাড়যন্ত্র করতে হবে। স্ত্রীর মত তিনি বাড়িটাকেও বিশ্বাস করেন না। অবশ্য স্ত্রীকে অবিশ্বাস করার কারণ বললে সাধারণত যা মনে আসে, ব্যাপারটা সেরকম কিছু না। চিররুগ্না এই মহিলার অন্য পুরুষের সাথে ছেনালী করার অবকাশই ছিলো না, ঠিক যেমন ভদ্রলোকের ছিলো না উত্থিত করার ক্ষমতা (এটা সে হারিয়েছিলো বিয়ের কিছুদিন আগে, তার শিশ্নের ওপর ছাদ থেকে একটা ইট খসে পড়ার ফলে) । তাই বলা যায় তাদের একে অপরের সাথে মানিয়েছিলো ভালো। পারস্পরিক খবরদারির কোন প্রয়োজন ছিলো না। ভদ্রলোকের অবিশ্বাসের প্রসঙ্গটা আসলে শ্বাসের সাথে জড়িত। সারাক্ষণ হাপড়ের মত ওঠানামা করছে স্ত্রীর বুক। কন্ঠনালী থেকে বয়লার ইঞ্জিনের মত শব্দ। নিস্তরঙ্গ বাড়িতে, অচন্দ্রচেতন শরীরে এই অসুস্থ অর্কেস্ট্রাই তার কাছে মায়ার অবলম্বন অথবা জীবনঅভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো। শ্বাসটুকু থেমে গেলে কেউ আছে তার পাশে, এই আশ্বাস থেকে সে বঞ্চিত হত। এখন, এই একলা বাড়িতে মরা পাশে নিয়ে থাকাটা মোটেও নিরাপদ না, ভদ্রলোক ভাবেন। রুগ্ন স্ত্রী'র সুকালপ্রয়াণ কিছুটা ব্যথাতুর ঘটনা হলেও, বাড়িটা টেঁসে যাবার উপক্রম করলে সেটা হবে আরো ভয়াবহ। বাড়িটাকে বিশ্বেস নেই। তবে বাড়িটা ছাড়া তার এই মুহূর্তে কেউ নেইও। একে বেচে দিলে একটা জাঁকালো সৎকার অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। দীর্ঘদিন ঘরঘর করে নিজের শ্বাসনালীর সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় ভদ্রলোকের গোপন অক্ষমতা কাউকে বলতে পারেনি বলে ভদ্রমহিলার এ সম্মানটুকু প্রাপ্য! তারপরেও অনেক টাকা বেঁচে যাবে, সেটা দিয়ে নতুন বাসস্থানে বদলি হওয়া যাবে কী? বাড়িটা কতদামে বিকোবে? ভাবনার দোলাচলে দুলতে দুলতে ভদ্রলোক উত্তপ্ত হয়ে ওঠা মগজটাকে একটু বিশ্রাম দেবার সিদ্ধান্ত নেন। তখনই নীচতলায় একদল মানুষের সোরগোলে সচকিত হয়ে ওঠেন তিনি। এত হল্লা হচ্ছে কীসের? তার স্ত্রীর অনন্তনিদ্রার খবর কী ইতিমধ্যে জেনে গেছে পাড়ার মানুষজন? ব্যাপারটা দেখার জন্যে তড়িঘড়ি করে নীচে নেমে তিনি আবিস্কার করেন, সদরদরজা এবং প্রাচীরের কড়ি-বর্গা খুলে নীচে পড়ে পথচারীদের চলাফেরার অসুবিধে করছে বলেই এত গোলমাল।

-বাড়িটা মাগনা পায়া তো লাটের বাট হয়া গেছেন মিয়া। একটু তদারকি করতে পারেন না? নিজে তো মরবেন আমাগোরেও মারবেন।

-কী তদারকি করব? আর না করলেই বা কী? আপনারা কোন খোঁজখবর রাখেন আমাদের? আমার স্ত্রী আজকে মারা গেলো, অনেক আগেই যেতে পারতো, কই কেউ তো কোন খবর নিতে আসে নি!

-ইন্নালিল্লাহি...

-কখন?

-কেমনে?

-আহারে বড় ভালা মানুষ আছিলো। কারো সাতে পাঁচে নাই, এমুন মানুষ এই যুগে বিরল।

প্রতিবেশীদের নানাবেশী ভন্ডকথায় লোকটা বেশ আমোদ পায়। সেইসাথে উৎকন্ঠিত হয় মৃত্যুসংবাদের বাতাসের সাথে সখ্যতা এবং দ্রুতগতির বহমানতার কথা ভেবে। আত্মীয় স্বজনরা সব ছুটে আসবে এখন। তারা কী বাড়ি বিক্রীর টাকায় ভাগ না বসিয়ে পারবে? চাইলেই কী পারা যায়! এটা হল গিয়ে অটোমেটিক রিফ্লেক্স, মানুষের চোখের মধ্যে পোকা উড়ে বসতে গেলে যেমন হুট করেই চোখের পাঁপড়ি বন্ধ হয়ে যায়, তেমন এই বাড়িটা বিক্রী করতে গেলেও এমন ঘটনাই ঘটবে। শহরের অভিজাত প্রান্তে যার সুদৃশ্য, সুরম্য এ্যাপার্টমেন্ট আছে, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা আছে, সেই সুদূরতম ধনী আত্মীয়ও বাড়ি বেচার কথা উঠলে তার নিজের অংশের অতি ক্ষুদ্র দশমিকাংশের দাবী না তুলে পারবে না। সেই অটো-রিফ্লেক্সের জোরেই বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ল প্রতিবেশীরা। ছোট্ট মফস্বঃলী পাড়াটায় সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। আদেশপ্রাপ্ত হয়ে অনুজদের একদল বাঁইবাঁই করে ছুটছে ভদ্রলোকের নিকটতম আত্মীয়কে খবর দিতে। খুব শীঘ্রই বার্তাচক্র সম্পন্ন হওয়ায় ঘন্টাখানেকের মধ্যে বাড়িটা মানুষের ভীড়ে গিজগিজ করতে থাকে। এত মানুষ দেখে বাড়িটা থেকে আরো কিছু ইট-সুড়কি-কড়ি-বর্গা খসে পড়ে হয়তোবা অটোমেটিক রিফ্লেক্সেই। এই রিফ্লেক্সের কারণ বলা মুশকিল, বাড়িরা স্মৃতিকাতর হয় কী না কে জানে! পুরোনো স্মৃতি,ক্ষোভ অথবা ক্ষয়িষ্ণুতা যেকোনটাই কারন হতে পারে। এই প্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ভদ্রলোকের আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণিত করে সমবেত লোকসকলের আলোচনার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে দেয়, এবং তারা পছন্দের বিষয়বস্তু পেয়ে গোপন স্বস্তি অপ্রকাশ্য রাখতে পারে না।

-বাড়িটার যা অবস্থা, বেচে দেয়াই ভালো।

-আরে, এই বাড়ি কিনবে কে? এইটা কি থাকার মত? প্রমোটরদের দিয়া দেন। মাল্টিস্টোরেড শপিং মল বানায়া দিবে। কাজটা অবশ্য আমিই করতে পারি। লোকসান দিয়া হইলেও কইরা দিমু। নিজেদের সম্পত্তি বলে কথা!

নারীমহলের সাবেকী একজন নাকি কন্ঠে গেয়ে কেঁদে ওঠে,

-এঁ তোঁদের সাতপুরুষের ভিঁটে, এঁ বেঁচিস না!

সবাই কড়া চোখে তাকায় মহিলার দিকে। তার ছেলে ফিসফিসিয়ে ভর্ৎসনা করে ওঠে,

-মা, ইদানিং তুমি খুব বেশি বাংলা সিনেমা দেখছো!

মহিলার তখন আজ রাতের দূরদর্শনসূচীর কথা মনে পড়ে যাওয়ায়, এবং অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সন্নিকট হওয়ায় একইরকম একঘেয়ে সুরে কৌশলে প্রস্থানের আহবান জানায়,

-ওঁরে, আঁমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না। আঁমাকে নিঁয়ে চল তোরা।

-আহ! কেবল এলে, এখনই চলে যাওয়াটা কেমন দেখায়!

পুনর্বার ছেলের ধমক খেয়ে সে বিমর্ষ মুখে মৌন হয়ে থাকে।

প্রতিবেশীরাও বেশ কৌতুহলী চোখে পর্যবেক্ষণ করছিলো বাড়ির মালিকানদের আলোচনা। যুৎমত সময় পেয়ে তারাও সৎকারকার্য পিছিয়ে দিয়ে সোৎসাহে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।

-কনস্ট্রাকশনের কোন কাজ হইলে আমারে বইলেন। দোকান থিকা কম দামে রড বিক্রী করুম।

আজ যা কিছু ভেঙে পড়ল কেউ খেয়াল করার আগেই নিয়ে সঁটকে পড়তে হবে। ভবঘুরেদের দল একযোগে ভাবে। এসব আলাপচারিতা এবং কূটকাচালির মধ্যে ভদ্রলোক বড় বিপন্ন বোধ করেন। কত আশা ছিলো বাড়িটা তড়িঘড়ি করে বেচে দিয়ে যা পাবেন তাই দিয়ে দূরে কোথাও চলে যাবেন! স্বার্থপরেরা তা হতে দেবে কেন! দুনিয়ার বে-ইনসাফির কথা ভেবে সে বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে গিয়েও সামলে নেন, বাড়িটাকে বিশ্বেস নেই। দেখা যাবে এইটুকু বাতাসেই আরো আরো খসে পড়ছে সরঞ্জামাদি, বিক্রী-বাট্টা বা পুনর্নির্মাণ বিষয়ক আলোচনাকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে। কিন্তু এই তীব্র হাহাকারে ভরা দীর্ঘশ্বাসের সাথে কী আপোষ করা যায়! আচ্ছা, সে না হয় তার মৃত স্ত্রীর জন্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবেই গেলো, যাক!



-ভাইজান কী একটু প্রাইভেটে কথা বলবেন আমার সাথে?

ভদ্রলোক বিরক্তির দৃষ্টিতে তাকান অনাহুত বক্তার দিকে। কে আবার কোন ফন্দীতে এসেছে বলা দুস্কর! আরে, এ যে সেই বেখেয়াল রাজমিস্ত্রীটা! যে একবার তার স্ত্রীর হাতে ভুল করে পেড়েক গাঁথতে গিয়েছিলো। এসব লোক থেকে খুব সাবধান! নিজেকে বলল সে। ভালো করে খোঁজ না নিয়েই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। তাকে পাড়ার কেউ চিনতো না। তাড়িয়ে দেয়ার পর আর কখনও দেখাও যায়নি। এরা থাকেই সবসময় ধান্দাবাজীতে।

-আপনে কিন্তু আমারে আবার আইতে কইছিলেন, মনে আছে?

হ্যাঁ, সেটা একটা গাধার মত কাজ হয়েছিলো। বিপদজনক লোকটা ঠিকই মনে রেখেছিলো, তক্বে তক্বে ছিলো, এখন উপলক্ষ্য পেয়ে চলে এসেছে।

-কী চাই তোমার?

-দেখেন, আমি আপনার একটা বড় ক্ষতি কইরা ফালাইসি। সেইদিন আমি আরেকটু হৈলেই একটা দুর্ঘটনা ঘটায় ফালাইসিলাম। যদিও কিছু হয় নাই, আবার একেবারেই কিছু হয় নাই এইডাও কওন যায় না। ভাবীসাবে তো সেই আতঙ্কেই এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিল...

-ফ্যাচফ্যাচ বন্ধ করে কী চাও বলে ফেলো।

-আইচ্ছা, হুনেন। আমি কিন্তু এলাকা ছাইড়া কোথাও যাই নাই। আপনাদের দেইখা রাখতাম। কখন কী বিপদ-আপদ হয়। আপনারা একলা মানুষ। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা তো সব সাপের মত। চান্স পাইলেই ছোবল দিবে। আইজকা দেখতাসি তো কী অবস্থা। এইরকম কিছু একটা হবে, আগেই আঁচ করতে পার্সিলাম। আমি চাই আপনার একটা উপকার করতে। বিনা পয়সায় কইরা দিমু...

-তোমার কাছ থেকে আর উপকার নিচ্ছি! এর আগেরবার হাতে পেড়েক গাঁথতে গিয়েছিলে, এইবার তো বুকে গজাল গাঁথবে!

-আমার ওপর ভরসা রাখেন। আমি এই কয়েক বছরে অনেক শিখসি-জানসি। আমি অন্যদের মত আপনার বাড়িরে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং বানায় দিতে পারমু না, আমার প্ল্যানটা ভিন্ন। পেরাইভেটে বলা লাগবো।



কথা বলতে বলতে তারা ততক্ষণে যথেষ্ট পরিমাণ প্রাইভেসি অর্জন করে ফেলেছে!

-কী প্ল্যান বলে ফেল!

ভদ্রলোকের কন্ঠে অকৃত্রিম কৌতূহল।

-আমি এই বাড়িটারে একটা গোলকধাঁধা বানামু।

-মানে! তাতে লাভ কী! কেনই বা বানাবে?

-আমার গোলকধাঁধা জটিল জিনিস। হাত মশক কৈরা দেখসি। এখন কাজে লাগামু। আপনার যতসব ধান্ধাবাজ আত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশী, তারা সবাই গোলকধাঁধার চক্করে পৈড়া খালি ঘুরবো আর ঘুরবো। আপনে যতক্ষণ চান ঘুরামু।

-প্ল্যানটা অভিনব, কিন্তু তাতে লাভটা কী হবে আমার?

-ভাইজান, লাভের কথা আমারে জিগায়েন না। আপনার জন্যে এই যে কাজটা করতাছি, আমার কী লাভ হৈবো কন? এইখানে লাভ লোকসানের কিছু নাই। আর্থিক লাভ হৈবো না আপনার, ঐসব ভাইবেনও না। তয় আপনার এইসব সাপ-শকুন পরিচিত মানুষজনের একটা ভালো শিক্ষা হইব, এইডা যদি বিবেচনা করেন, তাইলে কাজ শুরু কৈরা দেই।

ভদ্রলোক এবার বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

-হ্যাঁ, হ্যাঁ! ওদের শিক্ষা দেয়া দরকার। স্বার্থপিশাচ সব একেকটা। তুমি কাজ শুরু করে দাও!

-আপনে তাইলে ধীরে ধীরে বাইরের দিকে আগাইতে থাকেন। সদর দরজার ঐখানে দাঁড়ায়া মজা দেখেন। আমি কাম শুরু করি। শেষ কইরা আমিও চইলা আসুম আপনার কাছে।



বেখেয়ালী রাজমিস্ত্রী নিপুন হাতে তার কাজ শুরু করে।



একেকজন বৈষয়িক জ্ঞানাধারের অধিকারী পরস্পরের সাথে নানারকম তর্ক-বিতর্ক, কিছু মিমাংসা কিছু রিরংসা কিছু জিঘাংসা শেষে যাবার উপক্রম করে।

-তাহলে ঐ কথাই রইলো। আমরা এটাকে একটা মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং বানাবো।

যেন মামলার রায় দিচ্ছেন এমন রাশভারী কন্ঠে একজন আলোচনার সমাপ্তি টানার প্রয়াস নেন।

-কথা কিছুই ফাইনাল হয়নাই। তবে আরো কথা হবে। বহুৎ কথা বাকি আছে। এখন যাই। এই আমার স্যান্ডেলটা কই রাখলাম রে?



তিনি স্যান্ডেলের খোঁজে ঘুরপাক খেতে থাকেন।



কী সমস্যা! বাড়িটার ডিজাইন চেঞ্জ হয়ে গেলো নাকি? বের হবার দরজাটা কই? রাশভারী ব্যক্তিটি বেভুলো মনকে বয়সের দোষ দিয়ে প্রবোধ দেন। কিন্তু ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে একটা ভৌতিক অনুভূতি আচ্ছন্ন করে তাকে, বিচ্ছিন্ন করে বৈষয়িক পৃথিবী থেকে।



যারা অবশিষ্ট ছিলো এসব মহাপরিকল্পনায় অংশ নিতে-অল্প কয়েকজনই, বেশিরভাগই কুলোতে না পেরে চলে গেছে। বাকি কজনের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনায় কেউ কাউকে হুমকি ধামকি দেয়নি, কিন্তু শীতল চাহনি দিয়ে তারা একে অপরকে জানান দিয়েছিলো, এই মহাসম্পদ কুক্ষিগত করার জন্যে যেকোন কিছু করে ফেলতে দ্বিধা করবে না কেউ। এখন তাদের বরফ শীতল মুখের পেশীগুলো বেমক্কা ভয় পেয়ে গলে পড়ছে যেন। ঘামছে সবাই। প্রথমদিকে কেউ কাউকে পাত্তা দিচ্ছিলো না। বেরুবার পথ খুঁজতে গিয়ে বারবার একে অপরের সাথে দেখা হয়ে যাওয়াটাকে অনভ্রিপেত কাকতাল বলে অবজ্ঞা করছিলো। এখন ঘেমে-নেয়ে, ভয়ের শরবৎ পান করে তারা আবারও পরস্পরের কাছাকাছি হয়। পাকা মাথা তাদের। সবাই মিলে বসলে একটা উপায় বের হবেই। তাদেরকে বোকা বানানো কী যা তা ব্যাপার? তারা ঠান্ডা মাথায় পর্যালোচনা করে নিখুঁত একটি মানচিত্র তৈরি করে সময় নিয়ে। এই প্রথম কোন ব্যাপার তাদের কাছ থেকে সর্বসম্মতি পায়! দৃপ্ত পদক্ষেপে হেঁটে বেরুবার রাস্তার দিকে এগোয়।

-হ্যাঁ, মানচিত্র অনুযায়ী, সামনে, বায়ে-ডানে-আবার বায়ে এইতো এসে গেছি!

কয়েকজোড়া চোখ সাগ্রহে তাকিয়ে দেখে একটা খাটে তাদের দিকেই যেন বিকট ভেংচি কেটে শুয়ে আছে অদ্যমৃত ভদ্রমহিলা!



-ভাইজান কেমুন মজা পাইলেন।

-খুব ভালো! তুমি একটা কাজের কাজ করেছো! উচিৎ শিক্ষা হয়েছে ব্যাটাদের!

-এখন যান, ভাবীজানের লাশটার একটা ব্যবস্থা করেন। এই ব্যাপারে আমি আর হেল্প করতে পারুম না। খোদাপেজ।

-হ্যাঁ, হ্যাঁ, করছি যাও যাও!



ভদ্রলোক টিকিট কাউন্টার খুলে বসেছেন। এবং কীভাবে যেন ক্যানভাসারদের ভাষা রপ্ত করে দর্শকদের আকৃষ্ট করার জন্যে অনর্গল বকে চলেছেন তার নবনির্মিত গোলকধাঁধায় উত্তেজনাময় ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে। টিকেট বিক্রীও হচ্ছে দেদারসে!



-ভাইজান আপনি ভাবীসাবের লাশের ব্যবস্থা না কৈরা এই কাম করতাছেন! তাইলে আর তাগো লগে আপনার পার্থক্য হৈলো কী!

-পার্থক্য থাকা লাগবে না। তুমি পারলে আমাকে আরো হেল্প কর।

দাঁত খিঁচিয়ে বলেন ভদ্রলোক।

-আচ্ছা ভাইজান। যা কন। আমার মাথায় নতুন প্ল্যান আইছে। একটু পেরাইভেটে বলতে চাই।

"পেরাইভেট" এর কথা শুনে ভদ্রলোকের চোখ চকচক করে ওঠে।

-কিক্কিক্কি!

তিনি এগিয়ে যান নতুন প্ল্যান শুনতে।









কিছুক্ষণ পরে ভেঙচি কেটে বিশ্রী ভঙ্গীমায় শুয়ে থাকা লাশটির পাশে জমায়েতদের সংখ্যা একজন বাড়ে।



মন্তব্য ২৪৪ টি রেটিং +৫২/-০

মন্তব্য (২৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪১

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: পইড়া আসি B-))

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চয়ই!

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৪

আমি শুভও বলেছেন: ভালো লাগলো

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৮

ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী বলেছেন: ভাল গল্প । চালায়ে যান ...

১৬ কোটি মানুষের দেশ আমাদের...আমরা কি পারি না অন্নপূর্নাকে ভোট দিয়ে "ইমাজিন কাপ" এ্যাওয়ার্ডটিকে নিজেদের করতে ।আসুন না চেষ্টা করে দেখি :)

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা দেখা যাক!

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: পার্থিব জীবন! '

মাঝে মাঝে মনে হয় কি বিশ্রী, কি নোংড়া, কি অসভ্য!

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ডার্ক সাইডটা খুব পীড়িত করে, কিন্তু এসব নিয়ে লিখতেই ভালো লাগে।

শুভরাত্রি আপু!

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
একটু অন্যরকম।
কেমন যেন, কিন্তু ভালো।
আপনার লিখা বরাবরই ভালো হয়।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়।

শুভরাত্রি।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৫

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: সচেতন মনে অবচেতনভাবে বিভ্রম ঢুকে যাচ্ছে !

শেষ মেষ লোকটা নিজেও নিজের গোলক ধাঁধায় আটকা পরল !

গল্পটা প্রথম দিকে হালকা ঝুলে পরলেও শেষ দিকে এসে মোড় নিয়েছে , ঝুলে পরার মূল কারণ একটা বিষয়কে বারবার টেনে লম্বা করা ।

কত কষ্টের টাকায় তার ঊর্ধ্বতন কততম যেন পূর্বপুরুষ এই বাসস্থান তৈরি করেছিলেন!

যেন শব্দটা সম্ভবত পরে হবে ।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস শহিদুল। গল্প যেন ঝুলে না যায় এই ব্যাপারে সতর্ক থাকবো।

আর এই সূক্ষ্ন ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ঠিক করে নিচ্ছি।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৫

প্রিন্সর বলেছেন: ঐ রাজমিস্ত্রীর ব্যাপারে আমার একটু কনফিউশন আছে । কংশ মামাদের একটা ভালো শিক্ষা হয়ে গেলো ।
সব মিলিয়ে ভালোই লাগলো । :)

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাজমিস্ত্রীটা একটু রহস্যময় চরিত্র। সে কোথা থেকে এসেছে কেউ জানেনা। থাকুক একটু কনফিউশন!

শুভরাত্রি!

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৭

অচন্দ্রচেতন বলেছেন: হাম্‌স্‌ ~ শেষ লাইনটার মানে কি? অ্যালান পো আর ডার্ক হিউমারের একটা ব্লেন্ড পাইলাম মনে হইলো। অনেকদিন পরে সামুতে এত্তবড় (!) একটা গল্প পড়লাম।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: লাস্টের লাইনটার মানে হল, এর আগে যারা মৃতার ঘরে আটকা পড়ে গেছিলো, ভদ্রলোকটিও তাদের সাথে যুক্ত হলেন!

আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। এ্যালবামটা শুনছি ভাইয়া। দারুণ কাজ হয়েছে একটা!

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১০

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক বড়-- অবসরের জন্য রাখলাম।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, একটু বড়ই! আপনার অবসর আনন্দময় হোক!

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: শুরুতে সহজ সরল, কিন্তু শেষে এসে আমি নিজেই তো আপনার সৃষ্ট গোলকধাঁধায় পড়ে গেলাম, আচ্ছা বলুনতো আপনি নিজেও কি পড়েন নি.............আমি এটা বলতে পারি শেষটা লিখতে গিয়ে আপনি কিছুটা হলেও ধাধায় পড়েছিলেন.........শেষটা এভাবে না হয়ে ওভাবে, নাকি ওভাবে না হয়ে এভাবে............হা-হা-হা..........

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা! সত্যি বলতে কী, শুরুতেই আমি আটকে যাচ্ছিলাম, গল্পটাকে কীভাবে পরিণতি দেবো ভেবে। মাঝপথে এসে ফিনিশিংটা খুঁজে পেলাম, বাকি অংশটুকু লেখাই সহজ হয়েছে বরং!

অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে!

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১২

জর্জিস বলেছেন: ভাল লাগল ++++

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস জর্জিস!

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৫

উজবুক ইশতি বলেছেন: গল্প বুঝতে অনেক সময় লাগছে............ভাল লাগলো

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইশতি।

শুভরাত্রি।

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২৮

রাখালীয়া বলেছেন: ভাল লাগলো ।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাখালীয়া। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩০

নীল-অভ্র বলেছেন: চমৎকার একটি গল্প।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নীল অভ্র! শুভরাত্রি।

১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২৮

হামিম কামাল বলেছেন: হাসান ভাই। আপনার গল্পের ক্রিটিক হওয়ার মত যোগ্যতা আমার নেই। তবুও বলব, গোলক ধাঁধাঁর জায়গাটুকু অনেক ফাঁকা ফাঁকা লেগেছে। আরও একটু বর্ণনা থাকলে, আমার ভাল লাগত। আপনি সন্তুষ্ট হলে আর কিছু বলার নেই। আর যা বলার, তা হল- রাজমিস্ত্রির ভূমিকাটুকু যতখানি জটিল, তার চরিত্রচিত্রণ সে অনুপাতে ততখানি সরল করেছেন। এটা কেন? রাজমিস্ত্রির ব্যাক্তিত্তের আরও গভীরে যেতে পারলে শেষের থ্রু টা আরও বেশি গাঁথত মনে।
একজন দেখলাম এলান পো-র ঘ্রাণ পেয়েছেন। আমি তা মনে করি না। পো-র গল্পের চেয়ে আপনার গল্পে রূপক অনেক বেশি। পো-র অস্বাভাবিকতার বর্ণনার একমাত্রিক ভিন্ন বহুমাত্রিক অর্থ করা যায় না। আপনার বর্ণনায় যায়। এটাই আমার বেশি পছন্দের।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গোলক ধাঁধার অংশটা নিয়ে আমারও খুঁতখুঁতানি ছিলো। আরো ডিটেইল করা যেত। মনে হচ্ছিলো কেউ বলবে এ ব্যাপারটা। ঐ অংশটা নিয়ে আমার কিছুটা অতৃপ্তি আছে। তবে রাজমিস্ত্রীর চরিত্রটা ইচ্ছে করেই ডিটেইল করিনাই। একটু রহস্যের আবরণে ঢাকতে চেয়েছি। ফ্রম নোহোয়্যার একজন এসে সবাইকে নাড়িয়ে দেবে, এরকমটা দেখাতে চেয়েছি। তবে ভালোর তো কোন শেষ নেই। নিশ্চয়ই আরো ভালোভাবে করা যেত।

শুভরাত্রি হামিম!

১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২৯

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: শুরু থেকে বেশ সুন্দরভাবেই পড়ছিলাম......মাঝখানের পর খটকা লেগে গেলো.........কনফিউজড....

আরেকবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখি এইবার.....

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব বেশি জটিল কিছু না। আরেকবার পড়ে দেখলে পরিস্কার হবে আশা করি।

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৩

ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কলকাতার কোন এক পরিবারের কাহিনী :#)
কেন মনে হচ্ছিলো সেটাও ধরে ফেলেছি। সুনীল সমরেস বাবুদের লেখা পড়ার প্রভাব।

আর গল্পে এমনতর লোকদের সবসময় গোলকধাধার মধ্যেই পড়তে হয়।

গল্পে ভালোলাগা রইলো

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন। রিসেন্টলি যে দুটো বই পড়েছি, একটা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের আরেকটা দুলেন্দ্যু ভৌমিকের। ডায়লগ লিখতে গিয়েও কলকাতার টোন এসে যাচ্ছিলো। ভাবলাম যে ওভাবেই লিখে দিই। হাহা! তো সেটা আর করলাম না।

ভালো লাগা জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস।

১৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:১০

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: মচৎকার , আপনি মানুষের ডার্ক সাইডের কথা তুলে ধরেছেন কিন্তু এই গল্পে কাঠ মিস্ত্রী কোন ধরনের মানুষের অন্ত্ররগত সেটা বুঝতে পারলাম না

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা হচ্ছে মানুষের ডার্ক সাইডকে তুলে ধরার জন্যে তৈরি একটি চরিত্র। এখানে সাহিত্যের একটি উপাদান ব্যবহার করেছি যাকে বলে জাদুবাস্তব বা ম্যাজিক রিয়ালিজম। গল্পের বাস্তবে কোন একটা মেসেজকে জোরালো করতে বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে এরকম চরিত্র চিত্রন করা জায়েজ আছে!

ধন্যবাদ এবং শুভরাত্রি!

১৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৭

বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: প্রথম দিকটায় বেশ ডিটেইল যাচ্ছিলেন। গোলক ধাধায় ঢোকা মাত্র ডিটেইল ছেড়ে উড়ে উড়ে চলে গেলেন। ব্যাপারটা পড়ার তৃপ্তি নষ্ট করেছে হামা ভাই।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। অভিযোগটা বেশ গুরুতর। দেখি আরো কিছু যোগ করা যায় কী না!

শুভরাত্রি।

২০| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:২৭

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: আমার একটা ইচ্ছা আছে, আর তা হলো, যখন অখন্ড অবসর পাবো মনের অবসরের কথা বলছি, তখন আপনার রিসেন্ট বেশ কিছু লেখা যেগুলো পড়া হয়ে উঠে নি, সেগুলো প্রিন্টআউট করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়বো, যাই হোক এইবার গল্পটা পড়ে আসি :)

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে, আপনার নিকের বানান ঠিক করে ফেলেছেন দেখি! রিসেন্ট লেখাগুলোয় আপনার উপস্থিতি মিস করেছি!

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫৯

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: হুমম, আমি পার্সোনাল লাইফ নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছি, তার উপর মন মেজাজের অবস্থাও খুব একটা ভালো না, এইজন্যে ব্লগে তেমন থাকি না, থাকলেও কিছু করতে ভালো লাগে না, তবে আপনার গল্পগুলো একদিন সময় করে পড়বো, অবশ্যই পড়বো।

বাই দ্যা ওয়ে, আপনার হানাকেগ্রাফী পোস্টের খবর কি?

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: তার দুইটা ছবি দেখা বাকি আছে। ঐ দুইটা শেষ করলে আশা করি লিখতে বসতে পারবো!

২২| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৩৭

ফেরদৌসী বলেছেন: আমার যখন মন খারাপ হয়, বিশেষত তখন আপনার গল্প পড়তে আসি, আর আরো বেশি মন খারাপ করে ফিরে যাই।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখা পড়ে কেউ মন খারাপ করেছে শুনলে কিন্তু আমি বেজায় খুশি হই B-))

ভালো থাকবেন ফেরদৌসী।

২৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৩২

নোমান নমি বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে যে কমেন্টসটা করবো ভাবছিলাম সেটা ভিয়েনাস করে দিয়েছে। কলকাতার গল্প মনে হচ্ছিলো।

গত কিছুদিন আপনি যেরকম লিখেছেন এটা অন্য ধাঁচের। কাহিনী কিংবা গল্প না। গোলক ধাঁধার ব্যাপারে সামান্য কনফিউজড। মানে ডিটেইলস পেলে ভালো হতো।

আপনার এই লেখার ধরনটা বেশী ভাল্লাগছে। ঘোর নাই। কিন্তু থেমে যেতে হয়নি।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নোমান। লেখার ধরণে একটু ভিন্নতা আনতে চেয়েছি। কলকাতার ধাঁচটা চলে আসছিলো, ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রশ্রয় দিয়েছি। একটা গল্প থাকুক একটু আলাদা!

২৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৮

আরমিন বলেছেন: আমার কাছে এই গল্পটা আগা গোড়াই খুব ভালো লাগলো! শুধু একটি প্রশ্ন, গোলোক ধাঁধাঁয় একবার ঢুকলে যদি বের হওয়া না যায়, তাহলে লোকটি কিভাবে তার বউএর সৎকার করত?

পোস্টে ১২তম ভালোলাগা!

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আরমিন। লোকটার কদর্য দিক যখন বের হয়ে আসলো, তখন তাকে রাজমিস্ত্রী অভিশপ্ত করে দিলো। এভাবেই কাটুক তার লাশ সংলগ্ন জীবন। লোকটি তো গোলকধাঁধা থেকে লাভের মুখ দেখার পর তার বউয়ের সৎকারের কথা ভুলেই গিয়েছিলো!

২৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০০

মামুন হতভাগা বলেছেন: একটু অন্যরকম

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন!

২৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০৯

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: নিতান্তই ভালো লাগলো হামা ভাই ++++++++

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস চয়ন!

২৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১৬

নীরব দর্শক বলেছেন: চমৎকার লাগল

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

ফয়সাল হুদা বলেছেন: গল্প যথেস্ট ভালো লেগেছে।ইচ্ছেমত বহুবিধ ব্যাখ্যায় নেয়া যায়।

তবে যে প্রতীকী বা রহস্যময় চরিত্র রাজমিস্ত্রী যিনি ফ্রম নোহোয়্যার একজন এসে সবাইকে নাড়িয়ে দেবে(আপনার মতে) তাকে দিয়ে গল্পের শুরুতে (অসতর্ক অবস্থায় ভদ্রমহিলার রুগ্ন শক্ত হাতকে কাঠখন্ড মনে করে হাতুড়ি দিয়ে পেড়েক গাঁথা) নিয়ে আনাটা ধোঁয়াটে মনে হল !

-----------------
প্লাস ।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই ভালো। গল্প নিয়ে পাঠক বিভিন্নভাবে চিন্তা করলে সেটা লেখকের জন্যে তৃপ্তিকর।

ঐ অংশটা বিশেষ কিছু ভেবে লিখিনি। একটা ডার্ক কমেডির আবহ তৈরি করতে রেখেছিলাম। তবে চরিত্রটাকে আবার ফিরিয়ে আনবো এটা মাথায় ছিলো।

ভাবতে চাইলে এভাবে ভাবতে পারেন, অপার্থিব চরিত্রগুলোর নিজেকে শোধরানোর ক্ষমতা যত বেশি, রক্ত মাংসের মানুষের ক্ষয়ে যাবার প্রবণতা ঠিক ততটাই। সেই পুরোনো জরাজীর্ণ বাড়িটার মত।

২৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৬

নস্টালজিক বলেছেন: ইন্টেরেস্টিং হইসে লেখা!

ভালো লাগসে!

শুভেচ্ছা!

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু! কিন্তু শুভেচ্ছা কেন আবার! আইচ্ছা তোমারে অভিনন্দন!

৩০| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

মুনসী১৬১২ বলেছেন: গল্পটা পড়ে ছোটবেলার ক্যানভাসের কথা মনে পড়ল... সাধারণ কিন্তু কথার মায়া জালে বক্তা দর্শকদের টেনে নিয়ে যেত তার কাঙ্কিত উদ্দেশ্যে. ওষুধ বিক্রির বিষয়ে....

গল্পে আপনার বক্তব্যও সাধারণ থেকে ধীরে ধীরে পাঠককে গোলকধাঁধায় নিয়ে গেছে............


ভালো লাগা অনেক

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইলো আপনার মন্তব্যে।

শুভবিকেল।

৩১| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৭

টুকিঝা বলেছেন: আমারও মাঝে মাঝে কিছু মানুষদের এরকম গোলক ধাঁধায় ফেলে দিতে ইচ্ছে করে!!!

গল্প বা বাস্তবতার রিফ্লেকশান ভাল লেগেছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: উড়াধুড়া ইচ্ছা টুকি!

থ্যাংকস।

৩২| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

সায়েম মুন বলেছেন: কিছুটা ভিন্নমাত্রার গল্প। বেশ ইন্টারেষ্ট নিয়ে বাড়ির গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে শেষ পর্যন্ত পথ খুঁজে পাইনি। কিংবা বলা যায় একটা সুরঙ্গ পথে ঢুকে বিভিন্ন দৃশ্যাবলি দেখতে দেখতে অনেক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। শেষের কিছু দৃশ্য ভাল করে দেখার আগেই হুট করে বের হয়ে এসেছি। ফলে মস্তিস্কটা কিছুটা শূন্য লাগছে। শেষের দিকে আর একটু ডিটেইল হলে ভাল হতো বিশেষ করে রাজমিস্ত্রীর কাজ কারবার নিয়ে। মাঝখানে এট্টু ঝুলে পড়েছে। কিন্তু সেটা ওভারকাম করেছেন। তবু বলা যায় সব মিলিয়ে আলাদা ফ্লেবার পেলাম।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। এটা অনেকেই বলছে রাজমিস্ত্রী এবং গোলকধাঁধার অংশটা আরো ডিটেইল হলে ভালো হত। মেনে নিচ্ছি। তবে শেষটা হুট করেই করার ইচ্ছা ছিলো। যেন পাঞ্চটাও ঠিকমত পৌঁছোয় আবার আরো পড়ারও ইচ্ছে জাগে!

শুভবিকেল।

৩৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩

জলপতনের নিরবতা বলেছেন: ভালো লাগলো +++++

০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো আছেন আশা করি।

৩৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

গাজী খায়রুল হাসান বলেছেন: ভালো লাগা হামা ভাই।পুষ্টে প্লাস ++++++

০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভবিকেল।

৩৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাহি বলেছেন: চমৎকার। ফিনিসিংটা খুব সুন্দর হইছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রাহি!

৩৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪২

মিনাক্ষী বলেছেন: পড়লাম, এই গল্পটাতে জটিল শব্দ কম বলে পড়ে আরাম পেয়েছি। এই প্রথম মনে হলো, নাহ আপনার লেখা গল্প আমিও বুঝতে পারি :D :D । ভালো লাগলো

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মিনাক্ষী।

৩৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪২

নিমা বলেছেন: জঠিল সুন্দর

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ নিমান্টি।

৩৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৫৯

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: বাস্তবতাই সত্য সাথে কিছু মিস্ট্রি.......বাহ হাসান ভাই.........আমি মনে হয় দুই বার পড়লাম...পুরাই মুগ্ধ.....

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুইবার পড়সেন! বলেন কী! অনেক ধন্যবাদ!

শুভরাত্রি।

৩৯| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৪০

ভারসাম্য বলেছেন: গল্পের প্রথম দিকটায় একটু ডিটেইলস্‌ থাকলেও ঝুলে পড়া মনে হয়নি আমার কাছে তবে গোলকধাঁধার অংশটুকু আরেকটু ঝুলিয়ে দিয়ে পাঠককেও কিছুটা ধাঁধায় ফেলে দিলে আরও ভাল হত। ব্লগে অবশ্য পাঠকদের কমেন্ট গুলো ধাঁধা কাটিয়ে দেয়। না হলে, গল্পটা আরো কয়েকবার পড়তে হত হয়তো।

যাই হোক, সব মিলিয়ে যথেষ্ট ভাল লেগেছে। গোলকধাঁধার খপ্পড়ে আবারও পড়তে হবে হয়তো।

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভদুপুর।

৪০| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:০০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:


কিন্তু অসতর্ক অবস্থায় ভদ্রমহিলার রুগ্ন শক্ত হাতকে কাঠখন্ড মনে করে হাতুড়ি দিয়ে পেড়েক গাঁথতে গেলে তার মজুরী বাকি রেখেই তাকে বিদায় করে দেয়া হয়।

গল্পটা নিয়ে ভাল একটা আলোচনা করা যেত বাট আমি নিরুপায় ...!

তবুও এই লাইনটা দীর্ঘ সময় ভাবাবে...

ভাল থাকুন আপন গল্পকার...

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার সাথে লেখা নিয়ে আলোচনা মিস করি। ভালো আছেন আশা করি। ভালো থাকবেন।

৪১| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:১৯

শীখা বলেছেন: অনুর্বর মৃত্তিকায় ক্রমশ শিকড় ছড়িয়ে মানুষেরা একদিন গাছ হয়ে যায়

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এতদিন পর আপনি কোথা থেকে! আপনার সেই নিধিরামের পোস্ট কত যে পড়সি। গুড ওল্ড ডেইজ। এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। শুভদুপুর।

৪২| ১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হাসান ভাই, গল্পটা বুঝার জন্য দুইবার পড়তে হল। আর একটু দিটেইলস থাকলে মনে হয় ভাল হত। তবে গল্পটা অসাধারন ছিল। দারুন লেখেন আপনি। আমিতো আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম।

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডিটেইলস আসলেই আরেকটু থাকা দরকার ছিলো। এডিট করার সময় পাচ্ছি না!

অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্যে।

৪৩| ১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৩

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: হ হাসান ভাই দুইবার পড়ছি.......

১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে, আমি বিশ্বাস করসিলাম তো!

৪৪| ১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

সালমাহ্যাপী বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে পড়লাম

বরাবরের মতই ভালো লেগেছে।

২১ তম ভালো লাগা

১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সালমা। শুভকামনা।

৪৫| ১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: গল্পের শেষাংশে যে গোলকধাঁধার কথা বলা হয়েছে সেটা কি আসলেই করা যায়?

এছাড়া গল্পের শেষ বাক্য অর্থাৎ "কিছুক্ষণ পরে ভেঙচি কেটে বিশ্রী ভঙ্গীমায় শুয়ে থাকা লাশটির পাশে জমায়েতদের সংখ্যা একজন বাড়ে।" এটার অর্থ বুঝলাম না। এখানে "জমায়েতদের সংখ্যা একজন বাড়ে" এর অর্থ কী?

১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের জাদুবাস্তবে জাগতিক লোভ-লালসা-ব্রীড়াকে ঘুরপাক খাওয়াতে করা যায়।

শেষের লাইনের তিন প্যারা আগে চলে যান।

-হ্যাঁ, মানচিত্র অনুযায়ী, সামনে, বায়ে-ডানে-আবার বায়ে এইতো এসে গেছি!
কয়েকজোড়া চোখ সাগ্রহে তাকিয়ে দেখে একটা খাটে তাদের দিকেই যেন বিকট ভেংচি কেটে শুয়ে আছে অদ্যমৃত ভদ্রমহিলা!


এদের সাথে, অর্থাৎ ভদ্রলোকের আত্মীয়দের সাথে ভড্ড়লোক নিজে যুক্ত হন।

পাঠ এবং জিজ্ঞাসার জন্যে ধন্যবাদ রুমান!

৪৬| ১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫২

নক্ষত্রচারী বলেছেন: দীর্ঘদিন অপেক্ষা শুধু এ মুহূর্তটির জন্য, শুধু এরকম একটু ফাঁকা জায়গায় একটু আশ্রয় পাবার জন্য । অবশেষে পেলাম............

আমার ব্লগজীবনের প্রথম মন্তব্য আপনাকে করে গেলাম ।

"এ রকম একজন মিস্ত্রী পেলে মন্দ হত না । গোলক ধাঁধাঁ তৈরীর জন্য নয় । বরং লাইফের গোলক ধাঁধাঁ গুলো সল্ভ করে দেয়ার জন্য "।


১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি মন্তব্য করার অধিকার পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার লেখনী দিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করুন।

প্রথম মন্তব্যটি আমাকে করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!

৪৭| ১০ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ভালো লাগছে!

বুঝতেও কোন সমস্যা হয় নাই! লাস্টে ভদ্রলোক বেটায় গোলধাধায় চক্করে পড়ে লাশসংলগ্ন মানুষের সংখ্যা বাড়ায়!


রাজমিস্ত্রীটা কে আসলে? নিয়তি নাকি অন্যায়ের প্রতিকারকারী?

পুরোনো বাড়ি ছেড়ে সবাই বিভিন্ন দিকে চলে যাওয়া কি মানুষের মধ্যে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়াকে মিন করেছেন? আবার বাড়িটা থেকে সামান্য লাভের আশায় সেই সম্পর্কের সুত্র ধরেই আবার ফিরে আসা! লোভ আরকি? এরকম কিছু নাকি?

১০ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রশ্ন করে নিজেই ঠিকঠাক উত্তর দিয়া দিলে কেম্নে হবে? /:)

রাজমিস্ত্রীটা কে সেইটা একটা রহস্য থাকুক! নিয়তি, বা অন্যায়ের প্রতিকারকারী, অথবা মানুষের বিবর্তিত শুভবোধ!

৪৮| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫৭

দূর্যোধন বলেছেন: আপনার কোনো গল্প বেশকিছুদিন পর দুইবার পড়লাম।গতকালই ফেবুতে ডার্ক কমেডি নিয়া স্ট্যাটাস দেওনে অফলাইনেই পইড়া ফালাইছিলাম।সত্য বলতে,আশাহত হইনাই।অসাম হইছে!

রুগ্ন মহিলার হাতে রাজমিস্ত্রীর পেরেক ঠোকাটা কিঞ্চিৎ অসংলগ্ন লাগছিলো।অসুস্থ মহিলা পেরেক ধইরা দাড়াইয়া আছে-এইটা কল্পনা কইরাই অসংলগ্ন লাগছিলো।তবে ডার্ক কমেডিতে হাস্যরস আনার জন্য এইটা মাইন্যা নেওয়া যায়ই।রাজমিস্ত্রী ঠিক কি কারনে বৃদ্ধের পরোপকারে রাজী হইলো বুঝলাম না,কারন সে দুই দুইবার আসলো উপকার করতে!বাস্তবের সাথে এই ক্যারেক্টারটা খুঁইজা পাইতাছিনা :(
রহস্য না রাইখ্যা শানে নুযুল কইয়েন (যদিও তাতে কাহিনীর মজা কমবে বইলা মনে হয় না)

নিশ্চিতভাবেই প্লাস!

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আশাহত হন নাই জেনে স্বস্তি পাইলাম। পেড়েক ঠোকার ব্যাপারটা মূলত ডার্ক কমেডি ফ্লেভারটা জোরালো করার জন্যেই ব্যবহৃত হয়েছে। আর ঐ মহিলা দাঁড়ায়া থাকবে কেন? সে তো চিররোগাক্রান্ত। সে বিছানায় শুয়ে কোঁকাইতেসিলো।

রাজমিস্তিরি দুইবার উপকার করতে আসলো কই? আদতে সে কী কারো উপকার করে? না, সে হৈলো পানিশার। গোলকধাঁধা তৈরি করাতে ভদ্রলোকের খুব কী উপকার হৈসিলো? তার কসাইগোত্রের আত্মীয় স্বজনেরা বিপদে পড়সিলো, শত্রুর অপকারকে নিজের উপকার ধরলে উপকার। আর লোকটা যখন এই পরিস্থিতি কাজে লাগায়া লাভের মুখ দেখতে চাইসিলো তার স্ত্রী সৎকারের কথা ভুলে গিয়ে, তখন সেও পানিশড হৈলো গোলকধাঁধার চক্করে ঢুইকা যায়া!

আমাদের বিবেক এখন পেড়েকবিদ্ধ। সে যদিও আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। গেলেও সে নিজেকে উন্মোচিত করেনা সহজে। সময় নেয়। আর উন্মোচিত করার পর আমরা খেই হারিয়ে এক অসীম আবর্তনের চক্রে বাঁধা পড়ে যাই!

৪৯| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০৫

রেভোল্যুশন ব্ল্যাক বলেছেন: গোলকধাধা সেট না কইরা নিলামে তুলা ঠিক হয় নাই /:)

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিলামে তো তোলেনাই। গোলকধাঁধাকে নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন কর্সিলো। নিলাম হবে এখন! গোলকধাঁধার মধ্যে আবদ্ধ অনুভূতি, দোষ-গুন, জীবন-মৃত্যুর বাহুবন্ধনী, সবসহ নিলামে তোলা হবে। গল্প শেষ হবার পর!

৫০| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৩

দূর্যোধন বলেছেন: দুইবারই তো।প্রথমবার গোলকধাঁধা তৈরী করতে আসলো,লাস্টে আরেকবার চিপায় লইয়া গেলো 'পেরাইভেট' কথা কইতে।বৃদ্ধ লোকটাতো আত্মীয়স্বজনের কাছ থিকা নিস্তারই চাইতাছিলো,সেইটা শাস্তি দিয়া হউক আর যেকোনো ভাবেই হউক!উপকারই হইছে।

তবে রোগী মহিলাটারে 'বিবেক' হিসাবে কল্পনা করতে মন্দ লাগতাছে না।চিরদিনই রুগ্ন থাকে-কখনোই সবল না। :)

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ, আমি ঐ দুইটা মিলা একটা ধরসি। ভদ্রলোক আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে নিস্তার পাইতে চাইতেসিলো, কারণ সে একাই বাসাট বিক্কিরি কৈরা পুরাটা খাইতে চাইসিলো। মিস্তিরি যদি এত উপকারী প্রাণী হৈতো তাইলে বাড়িটা বিক্রীর ব্যবস্থা করে দিলেই পারতো! নির্মাণকর্ম তার পেশা। আর মানুষকে নিয়ে খেলা তার নেশা! B-)

৫১| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ব্লগে আসাটা সার্থক হল। চমৎকার সময় কাটল তোমার লেখা পড়ে। কিপিটাপ হামা ডিয়ার। :)

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সোনিয়া! ব্লগে নিয়মিত হয়ে যাও আবার।

৫২| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২২

শফিক আসাদ বলেছেন: হামা ভাই। কেমন আছেন?

বাড়িওয়ালারা না। রাজমিস্ত্রীদের জন্য আমার কৌতুহল। আমার অসুস্থতাই আমার সুখ।

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি।

http://tinyurl.com/3qwsd7t

৫৩| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৪

চতুষ্কোণ বলেছেন: এখন এই লেখা পড়ার মুডে নাই। শয়তানি করতে ঢুকছি ব্লগে। :#) পড়ে পড়ুম।

এখন আর কেউ আড্ডা পোস্ট দেয় না ক্যান! :((

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আড্ডা! দেয় নিশ্চয়ই। আমরাই বয়স্ক আর গম্ভীর হয়া গেসি /:)

৫৪| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:২৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: নাইস।

দীর্ঘদিন রোগে ভুগে রোগা স্ত্রীটি মারা যাবার > এখানে রোগা শব্দটি কেমন জানি লাগছে।

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস তানিম!

আমার কাছে তো ঐটা তেমন কিছু লাগছেনা। থাকুক!

শুভরাত্রি।

৫৫| ১১ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:০৩

ইসরা০০৭ বলেছেন: সময় করে এসে পড়বো।:)

১১ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে ইসরা। সুপ্রভাত!

৫৬| ১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০৮

রুহান রুহান বলেছেন: মন্তব্যের পাশে আরেকটা মন্তব্য যোগ হলো। চমৎকার লিখেছেন।

১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রুহান।

৫৭| ১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৮

রোকন রাইয়ান বলেছেন: অফিসে, বাসায় পড়ব...

১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে। শুভদুপুর।

৫৮| ১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪

শায়মা বলেছেন: হায় হায়!

১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হায় হায় কর কেন এসো গোলকধাঁধাতে
ঘোরাবো আজব ঘোরা রাত্রি বা প্রভাতে B-)

৫৯| ১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাতে পেরেক ঠোকার ব্যাপারটা এখনও মাথায় ঢোকে নাই অবশ্য, তবে অনেকটাই পরিস্কার এখন গল্পটা। একটু সময় নিয়ে বসে এডিট করে নিয়ো গোলকধাঁধার অংশটা। আরো ভাল লাগবে তাহলে।


৯.৫/১০

১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আধা মার্ক বেড়ে গ্যালো! ওকে, দশ পাওয়ার জন্যে গোলকধাঁধার অংশটা নিয়ে বসব!

৬০| ১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: চমৎকার বিন্যাস ও উপমা প্রয়োগ ফিকশনকে উপভোগ্য করেছে। ++

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: উপভোগ্য হয়েছে জেনে ভালো লাগলো সোনালী ডানার চিল।

৬১| ১১ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬

নীলঞ্জন বলেছেন: এটা তৃতীয়বার। এর আগে দুইবার শুরু করেছিলাম। কোন না কোন ঝামেলায় শেষ আর করা হয়নি।
এখন পড়ে শেষ করলাম।

চমতকার গল্প।++++++++++++

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলঞ্জন!

৬২| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:২৯

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: পরুম না ;)
বুঝবো না তাই।
প্লাস।

******* আপনি আমার ব্লগের প্রথম ভিজিটর ছিলেন। 8-|

১২ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ তাই?

শুভ ব্লগিং।

৬৩| ১২ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮

রবি_জল বলেছেন: মোরাল... লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু !! সুন্দর হয়ছে হাসান ভাই। +++

১২ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সরলার্থে তাই! ধন্যবাদ রবি জল!

৬৪| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪৮

রেভোল্যুশন ব্ল্যাক বলেছেন: এইরকম শেষ না হওয়া গল্প লিখবার মনচায় তয় কাচ্চির গন্ধ পাইলে কি আর হুশ থাকে /:)

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগে তো ছাগু জবাই তারপরে না কাচ্চি /:)

৬৫| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০৩

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: তেত্রিশ তম প্লাস ।পরীক্ষায় পাই খালি তেত্রিশ আপনার পোষ্টেও দিলাম তেত্রিশতম ভালোলাগা ।আমার কপালে কি খালি তেত্রিশ সংখ্যাটাই আছে:)

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! তেত্রিশ বছর বয়সের চক্করে পইড়েন না আবার। কেউ কথা রাখবে না!

৬৬| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৮

রেভোল্যুশন ব্ল্যাক বলেছেন: শেষ কচিটারে জবাই দিলে কার শিং ধইরা মজা নিমু :(

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আইচ্ছা এক্টু নধর কৈরা তার্পর দ্যান B-))

৬৭| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০১

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: হামা ভাই লেখা ভাল পাইলাম, অনেক ভাললাগা রইল :)

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোমাস!

৬৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:০৬

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:


নাইস-----------
প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্রের লেখার রিফ্লেক্স মানে প্রতিবিম্ব মানে ছায়া পেলাম মনে হয় অনেক খানি জুড়ে


"কিছুক্ষণ পরে ভেঙচি কেটে বিশ্রী ভঙ্গীমায় শুয়ে থাকা লাশটির পাশে জমায়েতদের সংখ্যা একজন বাড়ে।"----এই কথাটার মানে কি বুড়ো লোকটা ও মরে গেলেন ? নাকি রাজমিস্ত্রী টা ?


১৩ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শরৎচন্দ্র আর আমি! কিছুটা অবাকই লাগলো শুনে।

না, ওরা কেউ মারা যায় নি। যে ঘরটাতে মহিলার লাশ ছিলো, সেখানে আগে থেকেই কিছু আত্মীয় স্বজন আটকা পড়ে গিয়েছিলো বেরুতে গিয়ে। ভদ্রলোক তাদের সাথে যুক্ত হলেন।

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভদুপুর।

৬৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৪১

আরজু পনি বলেছেন:

লেখাটা কতো বড় সেটা না দেখে পড়া শুরু করেছিলাম এবং কেন যে তারাতারি শেষ হলো। একদফায় পড়ে শেষ করলাম এবং আমি নিজে্ও মনে হচ্ছে গোলকধাধায় পড়ে গেলাম!
তবে গল্পটাতে সততার একটা গন্ধ পেলাম কি?!


হামার গল্পে সাধারণত পোড়া মাংসের গন্ধ (একেবারেই আমার নিজস্ব মতামত) থাকে ...এটাতে আর কিছু যেন

৩৪ তম প্লাস সাথে এতো সুন্দর একটা ইমেজের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভ সকাল :)

১৩ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি। শুভদুপুর!

৭০| ১৩ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫

বাদ দেন বলেছেন: স্বয়ংক্রিয় প্রতিবর্তী ক্রিয়ায়
। রুগ্ন স্ত্রী'র সুকালপ্রয়াণ
কিছু মিমাংসা কিছু রিরংসা কিছু জিঘাংসা
অদ্যমৃত ভদ্রমহিলা



শরীরে এই অসুস্থ অর্কেস্ট্রা
অটোমেটিক রিফ্লেক্স


মাগনা পায়া তো লাটের বাট
ভেংচি কেটে শুয়ে আছে
ফ্যাচফ্যাচ বন্ধ করে


মুভ এন পিকের আইসক্রীমের মত, এক গল্পে তিন রকমের স্বাদ, ভাল মিক্সিং। সুরিয়ালিজম, ইম্প্রেশনসিজম, রিয়েলিসম :D

প্লট জটীল, গ্রেট গল্প

১৩ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! তোমার উপমাটাও জটিল হৈসে। ভালো লাগলো শুইনা।

শুভদুপুর।

৭১| ১৩ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৭

হিবিজিবি বলেছেন: বরাবরের চেয়ে অন্যরকম। শুরুটা সহজ মনে হচ্ছিল কিন্তু শেষে এসে আসলেই গোলক ধাঁধায় পড়ে গেছিলাম!! জীবনটা জটিল, বেশি লোভ করলে গোলক ধাঁধায় পড়ে যেতে হয়!

১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: তবে অনেকেই আছে লোভের ছুরি দিয়ে যাবতীয় জাল কেটে কেটে বের হয়ে যেতে পারে। আটকায় না।

ধন্যবাদ হিবিজিবি!

৭২| ১৩ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:


আমি কিন্তু কোন তুলনা দেইনি হাসান ভাই , বলেছি লিখার ধরণটা > ছায়া আছে ---
নীচে দেওয়া শব্দ গুলো খেয়াল করুন তো

ভদ্রলোকের আর কিছু থাকলো না > ভদ্রলোক আরেক প্রস্থ কেঁদে নিলেন > পিঠটান দিলো > দিনানিপাত করতে লাগলো > সদ্যমৃত > অদ্যমৃত > ভদ্রমহিলার এ সম্মানটুকু প্রাপ্য! >

বিশেষ ভদ্র লোক , ভদ্র মহিলা , আর ও কিছু শব্দ আছে এই রকম ------

যা হোক শুভ বিকেল ----

১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষনের জন্যে ধন্যবাদ। শুভদুপুর। ভালো থাকবেন।

৭৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাইয়া, গল্পটা পড়ে শেষ করলাম, এখন লগ আউট অপশন টা খুঁজে পাব তো নাকি "ভেঙচি কেটে বিশ্রী ভঙ্গীমায় শুয়ে থাকা লাশটির পাশে জমায়েতদের সংখ্যা একজন বাড়বে ??


:) :) :) :) :) :) :) :) :) :)

অনেক ভালো লেগেছে ।

১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! অনেক ধন্যবাদ!

৭৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৭

আবু সালেহ বলেছেন: পুরাই জটিল.......আপ কিপউট আপ................

++++++++++++++++++++++

১৪ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৪

গাধা মানব বলেছেন: ৩৭ তম ভাল লাগা! :) :)

১৪ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

অন্তি বলেছেন: আটত্রিশতম ভালো লাগা। মাথা পুরো হ্যাং হয়ে আছে। পরে আবার পড়তে হবে পুরোটাই।

১৪ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে অন্তি। শুভবিকেল।

৭৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

rudlefuz বলেছেন: আপনার গল্প পরে কিছুই বুঝি না তাই নিয়মিত আপনার লেখা পড়া হয় না।

তবে এই গল্পটি বুঝেছি এবং ভালোও লেগেছে।

এখানে রাজমিস্ত্রিটিকে কি কোন প্রতিকি অর্থে ব্যবহার করেছেন??

১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! রাজমিস্ত্রী সম্পর্কে ৪৮ নং কমেন্টের জবাবটা দেখতে পারেন।

৭৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৯

বোহেমিয়ান বলেছেন: আজকে পড়মু কালকে পড়মু কইরা পড়া হয় নাই।আজকেও না :( আগেরটার কয়েকটা লাইন দেখতে আসছিলাম।আশা করি শীঘ্রি পড়ে নিব।

১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাড়াহুড়োর কিছু নেই। সুবিধামত সময় পেলে পড়ে নিয়েন।

শুভকামনা।

৭৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: প্রথমত: ভাবী সাহেব লাশ,
________________ল্লাহ ( উপযুক্ত শব্দ প্রয়োজন মাফিক বসুক)

এটুকু জানা আছে লাশ হয়ে গেলে পচন উপলক্ষে বস্তু ও আত্মার ভোজসভা বসে। তাছাড়া শোকবার্তা নিলামে তুলে ফেলতে দেরী করার নিয়ম নেই।

একটা পেলান দরকার, হামা, দুর্দান্ত পেলান!

১৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ________________ল্লাহ ( উপযুক্ত শব্দ প্রয়োজন মাফিক বসুক)

ভেরি উইটি হাসনাইন!

শুভদুপুর।

৮০| ১৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

নাসরীন খান বলেছেন: চমৎকার লাগল।তেমনটি হয় নিয়ম।তবে প্লানটা ভালো ভেবাচেকা দিল মানুষগুলিকে।

১৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাসরীন!

৮১| ১৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৫

সানজিদা হোসেন বলেছেন: আগেই পড়েছি। কানেকশনের ভেজালের কারনে কমেন্ট করতে পারিনি।গল্প দুর্দান্ত হয়েছে।

১৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন খোলা প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো সানজিদা। গল্পটা মনে হয় আসলেই ভালো হয়েছে! B-)

৮২| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:১৫

নীলঞ্জন বলেছেন: খুব ব্যস্ত নাকি হামা ভাই?

নতুন গল্প কি বেড়াতে গেছে?

অপেক্ষায় আছি।

১৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ব্যস্ত না। গল্প লেখা হয়ে উঠছে না। এইতো কদিন আগেই না দিলাম! অপেক্ষা কতদূর তরাণ্বিত হবে বলতে পারছি না!

৮৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪০

ধ্রুব তারা বলেছেন: হাসান সাহেব, ভালো লেগেছে লেখাটা।

১৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবতারা সাহেব!

৮৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০৮

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: চমৎকার লাগলো ভাই।প্রথমদিকে মনে হচ্ছিলো গল্প টা খুব ধীরে সামনের দিকে এগোচ্ছে।শেষে এসে মনে হলো আরেকটু দেরীতে শেষ হলেই কিইবা এমন হতো ??
শেষ করেও একটা ভয় মনে কাজ করলো,গোলক ধাধাঁয় হারানোর ভয়।

লোভ এমন একটা জিনিস যা বেশিরভাগ মানুষকেই ধুম্রজালে বন্দি করে ফেলতে পারে।ভালো লিখেছেন।
পোস্টে ভালোলাগা।
পোস্ট প্রিয়তে।

১৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরেকটু দেরী হল না, হয়তোবা আমার বেশি তাড়াহুড়ো ছিলো! আমি নিজেও চেয়েছিলাম গল্পটা আরো বাড়াতে, কিন্তু নানাবিধ ঝামেলায় তা আর হল কই! আর একবার যখন সুর কেটে গেছে, আর হবেও না বলে মনে হয়!

প্রিয়তে নেবার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ!

৮৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৭

যাযাবরমন বলেছেন: চমৎকার সমাপ্তি।

১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভসন্ধ্যা।

৮৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২২

জানালার বাইরে বলেছেন: চমৎকার প্লটের অসাধারণ উপস্থাপনা হামা ভাই।

ভাল লাগা রইল। অটোমেটিক রিফ্লেক্সে নয় কিন্তু :P

১৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা! অনেক ধন্যবাদ। কমেন্ট পৈড়া মজা পাইলাম। ভালো থাকুন।

৮৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোঃ কবির হোসেন বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই আপনার এ গল্পে মানুষের একটা রূঢ় কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। তবে কেমন যেন পড়ে আপনার অন্যান্য গল্পের মত মজা পেলাম না। এটার চেয়ে এর আগের লেখা "পাইপলাইনের সংযোগসুত্র'' গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, এক মন্তব্যে দুটো লেখা সম্পর্কে মতামত জানতে পারলাম।

ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা!

৮৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৩৬

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: অনেকদিন তোমার কোন গল্প পড়া হয়না। সিরিয়াস ধরণের লেখা পড়তে এবং পড়ে ভাবতে বা নিজেকে ভাবাতে ইচ্ছে করেনা :|

১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবতে হৈবোনা। এইডা এক্টা হাসির গল্প :-B

৮৯| ২০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
পড়লাম ( এবারে কিন্তু "পড়লুম" বলিনি ) গল্পটা ।
লিখেছেন -" বাড়িরা স্মৃতিকাতর হয় কী না কে জানে!" । এখানে এসেই মনে হলো মন্তব্যে আপনাকে বলি - " বাড়িরা স্মৃতিকাতর হয় কী না একথার জবাবে একটা " দ্য ঘোষ্ট হাউজ" বা " হন্টেড লজ " এ জাতীয় একটা গল্প লিখে ফেলুন ।"
ওম...মা... শেষে এসে দেখি আপনি তা ই লিখে ফেলেছেন !

কাকতালীয় ? না ভৌতিক ? ( ভেংচির ইমো হবে )

ভালো আছেন তো ?

২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! পড়লুম বা পড়লামে কোন সমস্যা নেই। আপনার যেটা ভালো লাগে বলুন! ভালো আছি। ভৌতিক আছি!

শুভরাত্রি!

৯০| ২০ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২১

কালীদাস বলেছেন: এই লেখাটা ভাল হৈছে :D

২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু ভ্রাতা।

৯১| ২০ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সোমহেপি বলেছেন: এ গল্পটা অন্য গুলোর মত না।সবটার কাহিনী পড়ার পর মাথায় রয়ে গেল।আগের গুলোতে বিশেষ করে আমি যেদিন থেকে পড়তে শুরু করি সেগুলোতে তেমনটা ছিলোনা। ওগুলোতে গল্প পড়ার পর পুরোটার হিসাব নিকাশ কিংবা পুরো ঞটনাটা একসাথে মিলানো কষ্টসাধ্য ছিলো।কিন্ত্ত এটার মধ্যে সরলীকরণ হয়েছে।

তবে গোলক ধাঁধার এখানটায় জমে নাই।শর্ট হয়ে গেছে।
ভাল লাগা।

২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফাঁকিবাজি করতে চাইনাই। কিন্তু হয়া গেলো গা, কী করুম!

থ্যাংকস সোম।

৯২| ২১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

অদম্য১২৩৪ বলেছেন: চরিত্রগুলির আচরণের পেছনকার সতত ক্রিয়াশীল অনুঘটকগুলোর চিত্রায়নে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন

২১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।

৯৩| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১

যাযাবর৮১ বলেছেন:
এক টানে পড়লাম B-) বেফোখ হইছে ভাইজান +++++++++

ওমা আমার কি হইলো B:-) আমিও কি গোলকধাঁধায় আটকা পড়লাম :(


:-B :-B :-B :-B
শুভকামনা সর্বক্ষণ
থাকুক সুস্থ দেহ মন। :)

২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভসন্ধ্যা।

৯৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:০১

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ভালো গল্প

২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৯৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৮

নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইল....
+++++++++

২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৯৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫০

~মাইনাচ~ বলেছেন: সুপার মাইনাচ


আপনার গপ পড়ে একটা অপচেস্টা চালালাম। :(


আছেন কেমন?

২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিসের অপচেষ্টা? ভালো আছি।

শুভদুপুর।

৯৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১১

সকাল রয় বলেছেন: গল্পর প্রথম অংশটা থামতে হয়নি খুব ভালোই চলছিল। কিন্তু মাঝামাঝি মনে হলো, লেখা রেখে লেখক কোথাও যেন গিয়েছিলেন তাই মধ্যবর্তি অংশে প্রথমের টোন টা থাকেনি। শেষে তারই রেশ কিছুটা লেগে ছিল কিন্তু প্রথমাংশের মতো হয়নি।

তবে ছোট কথায় বেশ বেড়েছে বলেই গল্পটা গল্প হলো।

২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে।

শুভদুপুর!

৯৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৬

মন কানা বলেছেন: ভালোইতো । :-B

২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: খারাপ না! 8-|

৯৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৪৯

রুপ।ই বলেছেন: অপূর্ব !

২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী! ধন্যবাদ :#>

১০০| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:১৩

এ্যরন বলেছেন: বাহ্ . .. ... আপনি আপনার নামের প্রতি সুবিচার করেছেন ।।

২৬ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এ্যারন!

১০১| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:০৯

সুখী পাগলা বলেছেন: কিছু শকিং মুভি এর লিস্ট দেন ভাইয়া প্লিয , সঙ্গে এক্তু বর্ণনা দিয়ে দিয়েন :#)

২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: Click This Link

এইখানে দেখুন।

১০২| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সুখী পাগলা বলেছেন: Thanks :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#)

২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাই প্লেজার!

১০৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

মন কানা বলেছেন: ভাই, উপরের দিকে কিছু প্যারা দেন । পরতে অসুবিধা হয় । লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে ।

২৭ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার পরামর্শ মনে থাকবে।

শুভসন্ধ্যা।

১০৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:১৯

ইলুসন বলেছেন: অসম্ভব রকম ভাল লাগল। আগে একবার পড়েছি। আজকে আবার পড়লাম। কারো কোন বিপদ হলে কিছু আত্মীয় থাকে যারা বিপদ থেকে উদ্ধার করার উপায় বলার মাঝেও নিজেদের স্বার্থ খুজে ফিরে। সিম্প্যাথি জিনিষটা বিরক্তিকর, আর সেটা যদি কোন স্বার্থান্বেষী মহল থেকে আসে তাহলে তা বিরক্তির সীমা ছাড়িয়ে যায়।

২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইলুসন! শুভরাত্রি।

১০৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:০৭

জ্বীন কফিল বলেছেন: হে মহান গিলগামেশ আপনি চমৎকার লিখেছেন

২৮ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: গিলগামেশ আবার কী হে জ্বীন? B:-)

১০৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:১৮

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: দেরি হয়ে গেল। তাও, শাদী মুবারক ভাই।

২৮ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। ভালো আছেন আশা করি।

১০৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫১

ফারিয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা। শেষটা যদিও আশানুরুপ মনে হয়নি। আপনার লেখার গতি সুন্দর!

২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফারিয়া। শুভরাত্রি।

১০৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৪

জ্বীন কফিল বলেছেন: গিলগামেশ আবার কী হে জ্বীন?
-------------------------------------------------------------
এই দ্যাখেন একেবারে ভুলে গেছেন। অবশ্য নিজেকে চিনতে পারলে আপনি অস্থির হয়ে পড়বেন। আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাদ জ্বীন কাহারাইন এল কেহেরমান এল সুমেরী আপনার মহাকাব্যের বড় ভক্ত ছিলেন। হে ইউরুক নগরীর রাজ মহাকবি গিলগামেশ আপনি আজ হাসান মাহাবুব নামে আবার এই জগতে এসেছেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ হ্যাঁ, তাই তো! আমি হই একজন দুঃখিত।

১০৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল লাগল :)

২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

১১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:২৫

সমতল চোখ বলেছেন: ভালো লাগলো

২৯ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।

১১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

পোকেমোন০০৭ বলেছেন: এত্তত্তওওওওওওওওওও কতিন করে লিখতে পারেন আপনি /:) .....তারিফ করার ভাষা নাই :||

২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কঠিন কৈরা লিখলেই কি ভালো হয়! চেষ্টা করি ভালো লেখা লিখতে, কঠিন বা সহজ...তবে মনের জটিলতাগুলো ছাপ ফেলে লেখায়, এজন্যেই হয়তো কঠিন লাগে...

শুভদুপুর।

১১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩০

পোকেমোন০০৭ বলেছেন: মনের জটিলতাগুলো ছাপ ফেলে লেখায়, অনেক সুন্দর কথা প্রিয় ব্লগার।

২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগায় প্রীত হলাম। ভালো থাকুন।

১১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৬

আহাদিল বলেছেন: অনেক দিন বাদে আপনার একটা লেখা পড়লাম!
ভালো লাগল!
সহজ এবং গভীর!

২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন থেকে নিয়মিত দেখতে পাবো আশা করি (অবশ্য আমার নিয়মিত লেখা হয়ে উঠবে কী না সেটাও একটা কথা!)।

থ্যাংকস মিশু!

১১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৩

যাযাবর৮১ বলেছেন:

প্রিয় হাসান মাহবুব
আপনাকে miss করি খুব
ভাইজানের লিখার কি শান
বড়িয়ে দিছেন ব্লগের মান :)

৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও আমাকে মিস করি খুব...

১১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৮

কথক পলাশ বলেছেন: আমরা আমাদের দেহবাড়ীটাকেও কি এমনি গোলকধাঁধাঁ বানিয়ে ফেলছিনা!
নিজেরা কর্পোরেট পণ্য হয়ে দেদারসে বিক্রি করছি ব্যক্তিসত্ত্বা। বিবেকটা ঠিক ঐ রুগ্ন মহিলার মতই দাঁত ভেংচি কেটে প্রদর্শনী হয়ে আছে। খসে পড়ছে মানবিকতার পলেস্তারা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: নাইস ওয়ে অফ থিংকিং পলাশ! এ্যাপ্রিসিয়েটেড।

ভালো লাগলো অনেক দিন পর দেখে।

১১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

পাগলমন২০১১ বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগা ভাইয়া।
তোমার লেখা পড়ে অন্যরকম এক অনুভূতি জাগে মনে।

শুভকামনা থাকলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভদুপুর।

১১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১০

মারুফ মেহেদী বলেছেন: ভালো লাগলো । আপনার লেখা গল্পগুলো শেষ করার টার্গেট নিয়ে বসেছি । দেখা যাক কয়দিন লাগে

০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! বলেন কী! মনে হয়না পারবেন। বোরিং! /:)

শুভকামনা রইলো।

১১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৬

ডেভিড বলেছেন: গল্পে থেকে বের হওয়া গেলেও শেষ অংশটা বুঝতে সময় লেগেছে অর্থাত গোলক ধাঁধায় আটকে ছিলাম অনেকক্ষণ (আসলে এখনওকি বের হতে পেরেছি সেটা গল্পের খাতিরে সত্য হলেও বাস্তবে উত্তরটা না’ই হবে)। গল্পটা খুব এনজয় করেছি, রাজমিস্ত্রির চরিত্রটার রহস্যময়তা স্বার্থক (পাঠককে বেশি ভাবিয়েছে- মন্তব্য পড়ে জেনিছি)।

ভাল থাকুন

২৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ডেভিড! অনেকদিন পর কথা হয়ে ভালো লাগলো।

আপনিও ভালো থাকুন।

১১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

নীলপথিক বলেছেন: একটা বৃত্তপূরনের ব্যাপার আছে গল্পটায়, সচেতন ভাবে করেছেন কিনা জানি না। মানুষকে যে পন্থায় ফাদে ফেললো সবাইকে, একসময় নিজেকেই পড়তে হল সেই ফাদে।

অন্যগুলোর মতই হাসান মাহবুবিয়। বানানের জন্য দু:খিত। ভালো থাকবেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন। শুভসন্ধ্যা।

১২০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৪

অর্ণব আর্ক বলেছেন: প্রিয় লেখকের লেখা পড়ছি দীর্ঘদিনপর। মনে হয় ৬ মাস পর।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে নিয়মিত দেখলে ভালো লাগবে। ভালো আছেন আশা করি।

১২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৭

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: সুন্দর হইসে ভাই। অদ্ভুত লেখা। শেষটায় বুঝতে পারিনাই।
''কিছুক্ষণ পরে ভেঙচি কেটে বিশ্রী ভঙ্গীমায় শুয়ে থাকা লাশটির পাশে জমায়েতদের সংখ্যা একজন বাড়ে।'' - এইটা কে?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা হৈলো মৃতার স্বামী।

আমার ব্লগে স্বাগতম চুক্কা বাঙ্গী।

১২২| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বেশ ভাল্লাগসে ভাইয়া। :)

১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.