নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৮



"আপনাকে তিনটে বিকল্প দেয়া হবে। এর মধ্যে থেকে যেকোন একটি বেছে নিতে পারবেন। বিকল্প তিনটি হল, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র এবং গ্রন্থ। যেকোন একটি বেছে নেবার পরে সেটির আয়ুস্কাল সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দেবে আমাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ। মনে রাখবেন, বেছে নেয়া বিষয়টির উপভোগ্যতার সাথে আপনার আয়ুস্কাল প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকবে। যেমন, আপনি যদি নির্বাচন করেন "চলচ্চিত্র" এবং আমাদের পরবর্তী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলচ্চিত্রের উপভোগ্যতার কাল '১০' নির্ধারণ করা হয়, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আর সর্বোচ্চ দশটি চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারবেন। যদি দুইদিনেই দশটি দেখে ফেলেন, তাহলে আপনার আয়ু হবে দুইদিন। আর যদি মনস্থির করেন যে বাকি জীবন আর কোন চলচ্চিত্র উপভোগ করবেন না, অথবা নয়টি চলচ্চিত্র দেখার পরেই ক্ষান্ত দেবেন, তাহলে স্বাভাবিক আয়ুস্কাল পাবেন। আমরা আপনার সুস্থ এবং নিরাপদ জীবনের জন্যে সমস্ত সুব্যবস্থা করব। শৈল্পিক অনাচার বন্ধ করে একটি বাস্তবসম্মত এবং উৎপাদনশীল পৃথিবী তৈরি করতে আপনার অবদান আমাদের একান্তই কাম্য। অধিবাস্তব পঙক্তি, লেন্স-ননসেন্স, আর তুলির আঁচড় দিয়ে যারা পৃথিবীর মানুষকে মোহগ্রস্থ, আমরা বলব 'বিভ্রান্ত' করে অন্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখাতো, উদ্ভট চিন্তার অনুৎপাদনশীল সেসব মানুষ এবং তাদের প্রশস্তিকারীদের হত্যা করা হয়েছে। আপনাকে বাঁচিয়ে রাখাটা অবশ্য আমাদের পরিকল্পনারই অংশ। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন আপনাকেই বেছে নেয়া হল। একজনকে বাঁচিয়ে রেখে আমাদের পরিকল্পনার সাফল্যের সাক্ষী করে রাখা, ব্যাপারটা এভাবে ভাবতে পারেন। যাই হোক, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কাছে পৌঁছে যাবে বিষয়ের তালিকা, আপনি যেকোন একটি বেছে নেবেন। আপনাকে আনন্দের সাথে জানানো হচ্ছে যে, শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে আপনাদের তথাকথিত শিল্পকলার আরো কয়েকটি শাখা যোগ করা হয়েছে, এবং উপভোগ্যতার মান নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তা হল দশ। আপনি জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ আর দশটি বই পড়তে পারবেন, অথবা দশটি চলচ্চিত্র দেখতে পারবেন, অথবা দশটি গান শুনতে পারবেন, অথবা দশটি চিত্র দর্শন করতে পারবেন। বেছে নিন। "



*

আমি বেছে নিয়েছিলাম চলচ্চিত্র। শিল্পবিরোধী অভ্যুত্থান হয়ে গেলো কিছুদিন আগে। সারা পৃথিবী জুড়ে চলল নির্মম হত্যাযজ্ঞ। যাদের হাতের ছোঁয়ায় কাগজে তৈরি হত শব্দঅরণ্য, সেলুলয়েডে অনুভূতির চলমান দৃশ্যকল্প তৈরি হত তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, সুরস্রষ্টা, গায়ক, অভিনেতা, জাদুকর সহ সবরকম শিল্পচর্চাকারীকে। শুধু তাই না, যারা তাদের অনুরাগী ছিল, বিদগ্ধ সমঝদার বা উন্মাদ ভক্ত, সকলকেই এই বিশাল হত্যাযজ্ঞের আওতায় আনা হয়েছে। কোন সমন না, পূর্বসতর্কতামূলক বাণী না, আচম্বিতে তারা হামলা করে একেবারে নিকেশ করে দেয় সকল শিল্পানুরাগীকে। সামান্যতম প্রতিরোধ করার সুযোগ পায়নি কেউ। কারণ তাদের বেশিরভাগই বুঁদ হয়েছিলো নতুন সৃষ্টির অন্বেষায় অথবা উপভোগে। তারা প্রস্তুত ছিলোনা, অবশ্য প্রস্তুতি থাকলেও কদ্দুর কী করতে পারতো তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ! তারা সৃষ্টি করতে জানতো কেবল, ধ্বংস না। পৃথিবীতে গান-গল্প-সিনেমা এসব পছন্দ করে না এমন মানুষ কয়জনা? কিন্তু আক্রমণকারী দলের লক্ষ্যবস্তু ছিলো তারাই, যারা এসবকে জীবনের অঙ্গ মনে করে। যাদের কাছে শিল্পের জন্যে জীবন, জীবনের জন্যে শিল্প না। আক্রমণকারীদের সাথে পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলাপে আমি জানতে পারি, তাদের এই অতি ভাবপ্রবণ মানসিকতাকে পৃথিবীর উন্নতির জন্যে অন্তরায় বলে মনে করে তারা। সেজন্যে বৈষয়িক জ্ঞানহীন সেসব মানুষ নামক আপদকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার সৎকর্মের গুণে তাদের মুখে আত্মপ্রসাদের হাসি ফুটে ওঠে। বাকি ছিলো যারা, যাদের কাছে শিল্প এবং সৃষ্টি দৈনন্দিন জীবনের সময় কাটানোর উপলক্ষ্য মাত্র, তাদেরকে একটি সমন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং তাতে বর্ণিত থাকে শিল্পবিহীন জীবন মানুষকে কীভাবে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। সেইসাথে হুমকিও দেয়া হয় তাদের কথামত না চললে পরিণতি কেমন হতে পারে। এই দলটাকে তারা খুব সহজেই কব্জা করে নেয়। তারা সানন্দে একটি প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষর করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় যে, আর কখনও তুলিজাত, কলমজাত, অথবা ক্যামেরাজাত এমন কিছু উপভোগ করবে না যা তাদের মনকে ক্ষতিকর আবেগ দ্বারা উদ্বেলিত করতে পারে। অবশ্য সে সুযোগও ছিলো না, কারণ পৃথিবী থেকে সমস্ত শিল্পকর্ম ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিলো। অল্প কিছু রেখে দেয়া হয়েছে এক্সপেরিমেন্টের জন্যে, যার সাথে সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে আমি জড়িত হয়ে গেছি। আক্রমণকারী এবং বেঁচে যাওয়া মানুষদের যৌথ তদারকিতে আছি এখন। বেঁচে যাওয়া দলটি অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ মানিয়ে নিয়েছে আক্রমণকারীদের সাথে। তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত শিল্পবিনাশী দলটি হাতে মারণাস্ত্র নিয়ে টহল দেয় আমার চারপাশে। অন্যেরা কাজে লেগে গেছে কলকারখানা, অফিস এবং ফ্যাক্টরিতে। আক্রমণকারীদের আশ্বাসে নতুন উদ্যম ফিরে পেয়েছে তারা। অপ্রয়োজনীয় আবেগ বিবর্জিত উন্নততর পৃথিবীর স্বপ্নে বিভোর, যেখানে সমস্ত ভাবপ্রবণতাকে পেশী এবং গ্রন্থিতে প্রবাহিত করে কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। শিল্পীদের গোরস্থানে কলকারখানার বাৎসরিক উন্নয়নের বিবরণ পেশ করে অনুষ্ঠিত হবে আনন্দমেলা। যা ইচ্ছে করুক তারা, সেসব দেখার জন্যে আমি এক বছর বেঁচে থাকলে তো! আমার জীবন এখন দশটা সিনেমা দেখার মোট সময়কালের সমান। স্বাভাবিকভাবে সবকিছু চললে দশটা সিনেমা দেখতে আমার সর্বোচ্চ সময় লাগতো এক সপ্তাহ। কিন্তু এটা স্বাভাবিক সময় না। আমাকে সিনেমা দেখার সময় নিজের আয়ু বন্ধক রাখতে হবে একটু একটু করে। অবশেষে অপরিশোধের দায় নিয়ে আমি মারা যাবো। কার এত দায় পড়েছে এত হিসেব করতে? যেখানে মন মাতাল করা সুর নেই, বিষাদরাতের সঙ্গী হিসেবে প্রিয় পঙক্তিরা নেই, মন ভালো করার জন্যে ত্রিরত্নের নৌবিহারের সময়কার হাস্যকর কর্মকান্ড পাঠের সুযোগ নেই, হাতে আছে গুটিকয়েক সিনেমা আর পুষ্টিকর খাদ্য। এই বেঁচে থাকাকে আমি অস্বীকার করি। যত তাড়াতাড়ি এর যতি টানা যায় তত ভালো।



তারা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আমার আকাঙ্খিত যেকোন চলচ্চিত্র সরবরাহ করা হবে।



মনের মধ্যে মৃত্যুচিন্তা ছাপিয়ে তোলপাড় তুলেছে এখন সম্ভাব্য ওয়াচলিস্ট। কত কী দেখার আছে বাকি! ফেলেনির নাইট অফ ক্যাবিরিয়াতে গণিকার চরিত্রে তার সহধর্মীনি জিওভান্নি ম্যাসিনি কেমন করেছে? রাতের রোমের রাস্তায় সে কি ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলো? লা স্ত্রাদার অবহেলিত ভাঁড়বালিকা এখানেও কী হৃদয় ভাঙার শব্দ শুনতে পাবে? মাইকেল হ্যানিকের নতুন ছবিটার অনেক প্রশংসা শুনেছি। সত্যজিত রায়ের অপু ট্রিলজি এখনও শেষ করা হয়নি, কী লজ্জা! টারান্টিনো...



*

-আমাদের সদ্যসমাপ্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর দশ মিনিটের মধ্যে আপনাকে দশটি সিনেমার লিস্ট দিতে হবে। যদি তা না দিতে পারেন, তাহলে আপনাকে শিল্প অনুরাগী ভেবে নিয়ে হত্যা করা হবে অথবা অন্যদের মত ফ্যাক্টরির কাজে লাগিয়ে দেয়া হবে। জলদি করুন।

আমি আর বেশি ভাবতে গেলাম না। দশ মিনিটের জায়গায় এক মিনিটের মধ্যেই ওয়াচলিস্ট দিয়ে দিলাম। এত দ্রুত ওটা দেয়ার ফলে সে বেশ অবাক হল, সেইসাথে এক্সপেরিমেন্টের সূচনালগ্নে উপনীত হয়ে উৎফুল্ল হয়ে আমাকে তাদের কার্যকালাপের কিছু বিবৃত করল, অনেকটা সাফাই গাইবার ভঙ্গিতে,

-দেখুন, আপনার মধ্যে হয়তো একটা ধারণা প্রথিত হয়েছে যে আমরা যাবতীয় অনুভূতির হন্তারক। এটা একদমই ভুল ধারণা। মানুষের মধ্য থেকে অনুভূতি বিলীন করে দেইনি আমরা। তারা কাজ করবে, ভালোবাসবে, জোছনা রাতে চাঁদ দেখে মুগ্ধ হবে, কিন্তু অনুভূতির কোনরকম কাগুজে, সুরেলা বা লেন্সাবদ্ধ প্রতিলিপি তৈরি করতে পারবে না। এসব অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার। আমাদের অভ্যুত্থানটা মূলত শিল্প এবং সৃষ্টিবিরোধী। একমাত্র একটা জিনিসই আপনারা সৃষ্টি করতে পারেন এখন,

ঠোঁটে একটা শ্লেষের হাসি ঝুলিয়ে রেখে সে বলল,

সেটা হল, সন্তান উৎপাদন।

-আমি কি জানতে পারি, কেন এবং কিসের জন্যে এসব? আর আপনারা কারা?

-আপনার অনুসন্ধিৎসু মনকে আমরা সবসময়ই স্বাগত জানাই। কেন এবং কিসের জন্যে সেসব বলতে গেলে দীর্ঘসূত্রিতার অবতারণা ঘটবে। এর চেয়ে আপনার নিজস্ব প্রজ্ঞার ওপর আমরা ভরসা করি বরং, কী বলেন? আর আমরা কারা? কখনও শিল্পের ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহিতা চেয়েছেন তার অস্তিত্ব সম্পর্কে? আপনারাই তো সেই মানুষ যারা শিল্পের প্রলম্বিত ছায়ায় মনকে সঁপে দিয়ে অসীমের মাঝে নিজেদের লীন করে দিতে চেয়েছিলেন। বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ডকে কলমের নিবে অথবা বেহালার তারে ধারণ করতে চেয়েছিলেন। মরণশীলতার জুজুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেঁচে থাকার মতলব করেছিলেন শতাব্দীর পর শতাব্দী।

-সেটা কি খুব অন্যায় কিছু ছিলো?

-ন্যায়-অন্যায়ের কথা এখানে বাদ রাখুন! যুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে হাঙ্গেরির বিষাদী মানুষদের যখন বিষণ্ণ রোববারের সুর শুনিয়ে দলে দলে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেন তখন কি ন্যায় অন্যায়ের কথা কিছু ভেবেছিলেন আপনারা? এতগুলো প্রাণনাশের দায় সেই শিল্পীর ওপর বর্তালে আপনারা কি তা মেনে নেবেন?

-এটাই তাহলে অভিযোগ?

-অভিযোগ বা উদাহরণ কোনটাই না। ধরে নিন আমরা অপশিল্পী, আমরা শিল্প এবং শিল্পী হন্তারক। কিংবা ধরে নিন আমরা স্রেফ কৌতূহলের বশে একটা পরীক্ষা করে দেখছি, সুর, চিত্র, গ্রন্থবিহীন পৃথিবী কেমন হয়। সবকিছুরই তো একটা বিপরীত মেরু থাকে তাই না? কেন আপনার ইচ্ছে করে না, শিল্পবিহীন পৃথিবী কেমন হবে তা দেখতে? এটাও কিন্তু বেশ জবরদস্ত একটা শিল্প ভাবনা হতে পারে, কী বলেন? এটা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যেতে পারে, গান তৈরি হতে পারে, উপন্যাস লেখা যেতে পারে, হয়েছেও এমন। অসীমকে সসীমের মধ্যে ধারণ করার যে কুটকৌশল আপনারা উদ্ভাবন করেছিলেন তারই প্রতিবর্তী ক্রিয়া এই আক্রমণ। যাই হোক, আর বেশি কথা বাড়াবো না। হ্যাপি মুভি মোমেন্টস! বিদায়!



*

আমার মত একজন সিনেফিল, সিনেমা যার কাছে খাবারের মত, তাকে দশটি সিনেমা দিয়ে কদিনই বা জীবন্মৃত অবস্থায় জিইয়ে রাখা যায়? বেশ বুঝতে পারছি, আমাকে নির্বাচন করার ব্যাপারটা কোনমতেই দৈবক্রম না। তারা এমন একজনকেই বেছে নিয়েছে, যার জীবন, স্বপ্ন, অনুভূতি সবই সিনেমাকে ঘিরে আবর্তিত। সিনেমা দেখার জন্যে আয়োজনে কোন খামতি রাখেনি তারা। হোম থিয়েটার, সুদৃশ্য কভারের অডিও কমেন্ট্রি এবং আরো নানাবিধ ফিচার সমৃদ্ধ ডিভিডি, পপকর্নটাই দেয়নি শুধু হাহা! তবে এমনিতে খাবার দাবারের আয়োজনেও কোন কমতি নেই। অপশিল্প অভ্যুত্থান এবং হত্যাযজ্ঞের আগে আমার জীবন যেভাবে চলত ঠিক সেভাবেই রাখা হয়েছে। এবং মজার ব্যাপার হল, এই যে পৃথিবীতে এত মৃত্যু, এতসব বিশাল পরিবর্তন সংঘটিত হল, তা আমার প্রতি তেমন প্রভাব ফেলেনি। আমি এই মুহূর্তে ভাবছি কোন সিনেমাটা দিয়ে শুরু করা যায় মৃত্যুর দিকে পদযাত্রা। তারা একদম ঠিক মানুষটিকেই বেছে নিয়েছে পরীক্ষার জন্যে।



তিন দিনে আমি পাঁচটা মুভি দেখে শেষ করলাম। অন্য বিকল্পগুলোর চেয়ে সিনেমা বেছে নেয়াতে সুবিধে হয়েছে। এর মধ্যে বাড়তি হিসেবে গান এবং নাচও পাওয়া যায়। এখন মনে হচ্ছে ছবি নির্বাচনে ভুল করে ফেলেছিলাম কিছুটা। সিনেমার এই বহুশৈল্পিকতাকে ঠিকঠাক কাজে লাগানো উচিত ছিলো। তালিকায় মিউজিক্যাল মুভি যদি রাখতাম বেশি করে, তবে ভালো হত। সিংগিং ইন দ্যা রেইন, সাউন্ড অফ মিউজিক এর গানগুলো শুনতে ইচ্ছে করছে খুব। ওগুলোকে তালিকায় রাখিনি অনেকবার দেখা বলে। প্রচুর পরিমাণে সাইকোলজিক্যাল ড্রামা দেখার ফলে আমি আমার মনস্তাত্ত্বিক বিবর্তন কীভাবে হবে এ সম্পর্কে সচেতন ছিলাম ভালোভাবেই। তাই অতি আকাঙ্খিত এবং দূর্লভ চলচ্চিত্রগুলো হাতে পেয়ে আমার প্রাথমিক উচ্ছাস এবং সিনেদর্শন পরবর্তী সময়ে ঘোরগ্রস্থতা একসময় কিছুটা থিতিয়ে যাবে এবং গ্রাস করবে মৃত্যুভয় এ তো সহজেই অনুমেয়! সিনেমার চিত্রনাট্য হিসেবে আমার বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্টই কাব্যিক। শৈল্পিকও বটে! সিনেমা দেখতে দেখতে মৃত্যু... পর্দা নেমে এলে পরে আমার জীবনের বাতিও নিভে যাবে! সেই মুহূর্তে বার্গম্যান এর দ্যা সেভেন্থ সিলের মত মৃত্যুদেবতা কি নেমে আসবে, দেখা দেবে আমাকে? নাকি টেক্সাস চেইন স ম্যাসাকারের লেদারফেসের মত রক্তলোলুপ উন্মত্ততায় যান্ত্রিক করাত দিয়ে বিদীর্ণ করবে আমার বুক? আমি জানি, আর দুটি সিনেমা দেখার পর মৃত্যুবিষয়ক রোমান্টিক ভাবনা উবে গিয়ে আতঙ্ক গ্রাস করবে আমায়। সময় বুকের ওপর চেপে বসবে জগদ্দল পাথরের মত। শিল্পভাবনা স্থগিত করে রাখতে হবে হয়তোবা চিরজীবনের জন্যে। মিশে যেতে হবে অপশিল্পীদের ভীড়ে। আর কখনও সিনেমা দেখা হবে না, গান শোনা যাবে না, বই পড়তে পারবো না। দীর্ঘ ক্লান্তিকর এক জীবন আমার সামনে অপেক্ষা করছে। এই অর্থহীন, অনুভূতির রূপান্তরে অপারগ জীবন কি আমার কখনও কাম্য ছিলো? এই জীবন কি আমি যাপন করতে পারবো? কখনই না!

বিলি ওয়াইল্ডার এবং আগাথা ক্রিস্টির অসামান্য মেলবন্ধনে নির্মিত "উইটনেস ফর দ্যা প্রসিকিউশন" দেখা হয়নি এখনও। আমার এক সিনেফিল বন্ধু বলেছিলো এটার টুইস্টটা আমি কোনভাবেই অনুমান করতে পারবো না আগে থেকে, দেখা যাক কতটুকু সত্যি হয় তার কথা!



*

-কেমন চলছে আপনার সিনেমাদর্শন? এক সপ্তাহে আটটা দেখে ফেলেছেন। লোভ সামলানো দায়, তাই না? হাহা!

-আমার প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখা হয়েছে, ভালো! নিজেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে হচ্ছে।

-তো, আপনার স্ট্রাটেজিটা কি ঠিক করলেন? আজকে রাতের মেন্যুতে কি ডিশ? নাকি তল্পিতল্পা গুছিয়ে রেখে আত্মসমর্পণ করবেন?

-আত্মসমর্পণ করে কী হবে? আপনারা আমাকে কী দেবেন? কিসের লোভে আমি আত্মসমর্পণ করব?

-ভেবে দেখুন, আপনার জীবনের মূল্য কি অবশিষ্ট দুটি চলচ্চিত্রের সমান? এতদিন যাবৎ এত এত মাংস চর্বি জমা করলেন শরীরে, মগজের নিউরন আলমারিতে কত কত বৈদ্যুতিক প্রবাহ বয়ে গেল, সমৃদ্ধ হল, ঋদ্ধ হল ব্রেইনশোকেস, এখনও কুমারত্ব অটুট রেখেছেন। আপনি একজন সঙ্গিনী পেতে পারেন, সন্তানের জন্মদাতা হতে পারেন...

-তো? তাদেরকে আমি গান গেয়ে শোনাতে পারবো না, আমার সন্তান রঙচঙে রঙিন রূপকথার বই পড়তে পারবে না কখনও, পিক্সারের এ্যানিমেশন ফিল্ম দেখতে পাবে না...

-কিন্তু সভ্যতার অন্য সব উপকরণই পাবে তারা। ভেন্ডিং মেশিন থেকে কোকাকোলা-যেখানে সেখানে, খেলার জন্যে আধুনিক উপকরণ, নরম বালিশ, সার্বক্ষণিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বাঙ্গি জাম্পিং, প্যারাসুট, বিনোদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধাই পাবে আপনার সন্তান। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সমস্ত সুফল আপনারা ভোগ করতে পারবেন। আমাদের কর্মীরা নিরলস খেটে যাচ্ছে ফ্যাক্টরিতে। আর শুনুন এক মাসের মধ্যে আপনাকেও ফ্যাক্টরিতে যোগ দিতে হবে, যদি ফিল্মগুলো দেখা শেষ না করেন। বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর দিন সীমিত।

-মৃত্যু অথবা ফ্যাক্টরি, মৃত্যুফ্যাক্টরি! এই মৃত্যুফ্যাক্টরিকে আমি অস্বীকার করছি। এখানে মানুষ আছে, মানুষের অনুভূতি আছে, কিন্তু তাকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। এটা কতটা কষ্টের হতে পারে বেশ আঁচ করতে পারছি। মনে হয়না একমাস পরে আপনারা আমাকে দেখতে পাবেন এখানে। হয় বাকি দুটো সিনেমা দেখে শৈল্পিক মৃত্যুবরণ করব, অথবা দ্বিধার দোলাচলের ঝাঁকি অসহনীয় রকম কষ্টকর হয়ে গেলে আপনাদেরকে সুযোগ না দিয়ে নিজেই নিজের জীবন কেড়ে নেব।

-আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আপনি বেশ হালকাভাবে নিয়েছেন মনে হচ্ছে। ক্ষুণ্ণ কন্ঠে বলল সে। "কীভাবে ভাবলেন যে আমাদের ফাঁকি দিয়ে, আমাদের পরীক্ষাকে অবজ্ঞা করে এত সহজেই পার পাবেন? আত্মহত্যা করার মত মানসিক শক্তি আপনার নেই তা আমরা ভালোই জানি। এর চেয়ে এক কাজ করুন, সিনেমা দেখে জীবনের অপচয় না করে বরঙ নতুন কোন কন্সপিরেসি থিওরি আবিস্কার করুন। আমরা কারা, কেন এসব করছি এসব প্রশ্নের একটা সিনেমাটিক, টুইস্টেড জবাব বের করুন। কে জানে হয়তো বা নতুন কিছু পেয়েও যেতে পারেন। কোন অসঙ্গতি থাকলে সেসব নিয়ে ভাবুন। নেভার গিভ আপ ওল্ড বাডি! চা'ও!"



*

অসঙ্গতির কথাগুলো উল্লেখ করার পর আমি ব্যাপারটা নতুন এক দৃষ্টিকোণ থেকে খতিয়ে দেখতে শুরু করি আবার। চোখে পড়ার মত বেশ কটি অসঙ্গতিই আছে, আমার চোখে পড়েনি কেন আগে? প্রথমত: আমাকে বন্দী করে হত্যাযজ্ঞের কথা, শিল্প বিনাশের কথা, অদ্ভুত শর্তাবলীর কথা বলতে কেবল একজনই আসে। কেন? তার সাথে মুখোশ পরিহিত কিছু সঙ্গী থাকে, তিন চারজনের বেশি কখনই না। অশৈল্পিক অপশক্তির সাংখ্যিক বিবরণ কি তাহলে মিথ্যা? দ্বিতীয়ত: আমাকে ঘর থেকে বের হবার সুযোগ দেয়া হয়নি কখনও। ম্যাসাকার এবং ফ্যাক্টরি কার্যক্রম ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। আমি বাস্তবে তা হতে দেখিনি। তবে কি এটা একটা সেট আপ? আমাকে নিয়ে খেলছে কেউ? আর আমিই বা কেন অবলীলায় সব বিশ্বাস করে গেছি, কখনও যাচাই করে দেখতে চাইনি, কেন, কোন ড্রাগের প্রভাব? অসঙ্গতিগুলো প্রকট হয়ে ফুটে ওঠে আমার চোখে। আমি উত্তেজিত হয়ে উঠি। কেউ বা কারা যেন খেলছে আমাকে নিয়ে, খুব ইন্টারেস্টিং একটা খেলা। ক্রিয়েটিভ, নিঃসন্দেহে! হয়তোবা কোন পাগলা ডিরেক্টর, নয়তো কোন ব্যর্থ গল্প লিখিয়ে, নাহ ভালোই ফেঁদেছে গপ্পোটা। বেশ ভালো চিত্রনাট্য। আইএমডিবি রেটিংয়ে আট পাবে। আমি মরছি না, দশম সিনেমা দেখার সাথে সাথে আমার শৈল্পিক মৃত্যু হবার কোন সম্ভাবনাই নেই! বিশাল বড় প্লটহোল ছিল কিছু তাদের চিত্রনাট্যে, কেন যে আগে খেয়াল করিনি! ঠিক আছে, এখন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, শিল্প, জীবন, নান্দিকতা এসবের দ্বৈরথকে আমার পাশে বসিয়েই দেখবো নবম চলচ্চিত্রটি, আমার লিস্টের একমাত্র মিউজিক্যাল "মেরি পপিন্স"। সিনেমাটা দেখার পর মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। চিরসবুজ জুলি এন্ড্রুস এবং দেবশিশুরা। দারুন প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত এ্যানিমেশন, মাইন্ড রিফ্রেশিং একটা ছবি। সেই কেতাদুরস্ত নিয়মানুবর্তী ব্যাংকারের সব নিয়ম ভাঙার আনন্দটা যেন আমি অনুভব করতে পারছি, গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছে,

"Let's go fly a kite

Up to the highest height!"

ঠান্ডায় গলা বসে গেছে। গলা দিয়ে স্বর বেরুচ্ছে না। এই দুটো লাইন খুব সুন্দর। অনুবাদ করা যেতে পারে। অনুবাদ শেষে পরবর্তী 'তথাকথিত' শেষ মুভিটা দেখবো। এ্যারনোফ্সকির "দ্যা ফাউন্টেন"। খাতা-কলম, কি বোর্ড কিছুই অবশ্য নেই সাথে। তাতে কী! মাথায় জমা থাকুক। আমি "দ্যা ফাউন্টেন" এর ডিভিডি ছেড়ে দিলাম।



*

ছবি দেখায় এত মগ্ন ছিলাম, খেয়ালই করিনি কখন নিঃশব্দে কারা এসে পাশে দাঁড়িয়েছে।

-আজকে কিন্তু আমি একা না। আরো অনেকেই এসেছে আমার সাথে।

আমি চমকে ফিরে তাকালাম তার দিকে।

-রং গেইজ মিস্টার, বাট আই লাইকড দ্যা ওয়ে অফ ইয়োর থিঙ্কিং! খেয়াল করেছেন আপনি এই কয়দিনে একবারও গান গাইতে পারেন নি। মেরি পপিন্সের অনুবাদও আপনি করতে পারবেন না।

-তার মানে...?

-হ্যাঁ, আমরা কিচ্ছু বানিয়ে বলিনি। আপনার সন্দেহ নিরসনে সবাই একটি করে কাটা মাথা নিয়ে এসেছি অপশিল্প অভ্যুত্থানে পরাজিত এবং নিহতদের। দেখুন না, যাচাই করে দেখুন। আপনার পরিচিত অনেককেও পেতে পারেন।

-দেখুন না, একদম ফ্রেশ মাথা, নট ফেইক। স্টুডিওর সরঞ্জাম না এগুলো।

-এ্যাই তোরা কিন্তু বেচারাকে ছবি দেখতে দিচ্ছিস না। এটা ঠিক না। বেচারার জীবনের শেষ ছবি। আরাম করে দেখুক। দেখেন মিস্টার, আপনি ছবি দেখেন।



এবার আর অবিশ্বাস করার উপায় থাকে না। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের জৈবিক অংশটা চিৎকার করে জানিয়ে দেয়, ওরা এসেছে। ওরা এসেছে জীবনের নান্দনিক সত্তাকে হত্যা করতে। ওরা অনুভূতির বিবর্ধনকারীদের হত্যা করতে এসেছে যারা বিশ্বাস করত মানুষ মারা যায়, শিল্প মরে না, তাই শিল্পের মধ্যে অসীমকাল ধরে বেঁচে থাকার অনন্য সুন্দর উপায় বের করেছিলো, গান, সিনেমা, চিত্রকর্ম ইত্যাদির রূপে। আমি এসবের কিছুই পারতাম না, তারপরেও বেঁচে থাকার সঞ্জীবনি শক্তি হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম শিল্পকে, বিশেষ করে সিনেমাকে। এখন যে ছবিটি দেখছি, সেটা যেন আমার এই অনুভূতির অবিনশ্বরতা তত্ত্বের সাথে অদ্ভুতভাবে মিলে যায়। ফাউন্টেন! ভালোবাসার শাশ্বত রূপের খোঁজে অভিযানে বেড়োয় তিন কালের তিন মানুষ। একজন মায়ান যোদ্ধা, একজন ডাক্তার, একজন মহাকাশচারী। ভালোবাসার অবিনশ্বরতা অথবা নিত্যতা সূত্র, কী হাস্যকর লাগছে ভাবতে এখন। আমি দুই হাত তুলে সারেন্ডারের ভঙ্গিতে এগিয়ে যাই তাদের দিকে।

-আপনারাই জয়ী হলেন। আমি বেঁচে থাকতে চাই। নিরামিষের মত। যন্ত্রের মত। পেটমোটা কেরাণীর মত। আপনাদের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে চাই। চলুন।

-কিন্তু আমাদের তো এখন ফেরার কোন উপায় নেই মিস্টার। সর্বশেষ সভায় আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, সর্বশেষ ছবিটি তিন-চতুর্থাংশের বেশি দেখা হয়ে গেলে সেটাকে ওয়াচড বলে গণ্য করা হবে। সুতরাং, আপনার যেটা প্রাপ্য, অর্থাৎ মৃত্যুদন্ড, সেটার জন্যে প্রস্তুত হন। শেষ সময়টা ছবি দেখতে থাকুন। সময়টা ভালো কাটবে।

সবাই খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠলো এই অদ্ভুত প্রস্তাবে।

-অথবা এমন ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারেন যে, আর্ট মাস্ট ফাইন্ড আ ওয়ে। মানুষ গান গাইতে পারবে না তো কী হয়েছে? তাদের হয়ে পাখি গান গাইবে। চলচ্চিত্র তৈরি করতে পারবে না তো কী হয়েছে, দীঘির জলে আকাশের ছায়াচিত্রে সৃষ্টি হবে নতুন চলচ্চিত্র, মৃত্যুকালীন সময়ে এমন মহত্তর চিন্তা ভাবনা নিঃসন্দেহে আপনার আত্মাকে উচ্চতর স্থানে নিয়ে যাবে।

এবারের রসিকতাটায় তারা আরো বেশি আমোদ পেল। হাসির শব্দে কান ফেটে যাবার যোগাড়।

সিনেমাটা শেষ হতে আর মিনিট দশেক বাকি। এ্যারোনফসকি যথারীতি তার সিগনেচার স্টাইলের ক্রেইজি ক্যামেরা মুভমেন্ট আর প্যারালাল স্টোরিটেলিং দিয়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছে স্ক্রিন। আমি নিথর চোখে তাকিয়ে দেখছি তা। মৃত্যুভয় আর শূন্যতা ছাড়া কোন অনুভূতি কাজ করছে না। অপশিল্পবাদীরা খুব আনন্দ পাচ্ছে। আমার মৃত্যুর পর পৃথিবীতে রাজত্ব করবে শুধুই তারা। আমি জানি, কোন উত্তরাধিকারী রেখে যেতে পারবো না, জানি আমার বিরুদ্ধাচরণে তাদের কিছুই এসে যাবে না। প্রতিশোধের নেশা নেই, বাঁচার আকুতি নেই আমার। শুধু মনে হল বলেই অথবা আমার অবচেতনে হয়তোবা ধারালো যুক্তিবাদী কটূবাক্যের ঢিল ছুড়ে তাদেরকে ঘায়েল করার কোন ইচ্ছে ছিলো, সেই উদগ্র বাসনা নাকি অটোমেটিক ডিফেন্স রিফ্লেক্স থেকে আমি বলতে শুরু করলাম,

-পৃথিবীতে শিল্পীদের তৈরি নৈরাজ্য সৃষ্টি হোক, অথবা অপশিল্পীদের সুখরাজত্ব, কোনকিছুতেই কিছু এসে যায়না আমার। স্রেফ মনে হচ্ছে আমার, তোমরা সবাই ব্যর্থ শিল্পী ছিলে। শিল্পী হতে না পারার যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খেতো বলে নিজেদের অক্ষমতাকে পুঁজি করে এই বিশাল চক্রান্ত করেছো এবং সফলও হয়েছো। তাই শিল্পের ওপর দায় চাপাও, হাঙ্গেরিয়ান শিল্পীর বিষণ্ণ রবিবারের সুর শুনে আত্মহত্যার মিছিলে শামিল তরুণ তরুণীদের তোমরাই পরিচালিত করতে চেয়েছিলে। পারোনি। শিল্পবিদ্বেষী হওয়া সুখের ব্যাপার। কিন্তু ব্যর্থ শিল্পী হওয়াটা অনেক কষ্টের।



*

মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সে বুঝতে চেয়েছিলো কীভাবে মারা যাচ্ছে। কাকতালীয়ভাবে তার বচন শেষ হবার সাথে সাথে সিনেমাটাও শেষ হয়ে যায়। তাই সে জানতে পারেনি অপশিল্পবাদীদের তৈরি নিখুঁত স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার ফলে নাকি তাদের প্রতিহিংসাপরায়ন আচমকা আক্রমণে তার মৃত্যু ঘটেছিলো। ব্যর্থ শিল্পী অথবা অপশিল্পবাদী, দুটো শব্দের সাথেই শিল্প জুড়ে আছে। মৃত্যুর সময় এ বোধটা যদি সে কোনভাবে ছড়িয়ে দিতে পারতো! পেরেছিলো কী না তা নিশ্চয়ই জানা যাবে একদিন!





মন্তব্য ২৪০ টি রেটিং +৪৪/-০

মন্তব্য (২৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৩

দূর্যোধন বলেছেন: ফার্স্ট !

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি আমার আগের গল্পটা এখনও পড়েন নাই। কিন্তু কমেন্ট করসেন। এইগুলা ঠিক না /:)

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯

দূর্যোধন বলেছেন: আমি বিজি আছি । ভুইলা যেন না যাই,তাই কমেন্ট কৈড়া দাগায়া রাখি । প্রবলেম ? ;)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: দাগ হারায় গ্যালে প্রব্লেম। আগের দাগটা মনে হয় হারায় গেসে গা /:)

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:০২

বাদ দেন বলেছেন: ?????????????????
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

:-& :-& :-& :-& :-& X(( X(( :-* :-* :-*

ক্লাসড

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত যতিচিহ্ন, ইমো, ইংরাজি... আমি তো কিছুই বুঝলাম না :|

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১১

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনার নতুন পোষ্টে আমার ৩০০০ তম কমেন্টটা করবো ভাবছিলাম !সারাদিন তেমন কমেন্ট করা নাই ২৯৯৯ তম কমেন্ট করে বসে ছিলাম আপনার পোষ্টে কমেন্ট করার জন্য /:) আর আপনি এতো দেরীতে পোষ্ট দিলেন যে আমার ৩০০০ তম কমেন্টটা অন্য এক পোষ্টে করে ফেলতে হইছে :|

গল্প পড়ে আবার কমেন্ট করছি হা-মা ভাই :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি কিভাবে জানতেন যে আমি আজকে লেখা দিবো? ইশ অল্পের জন্যে ৩০০০ তম কমেন্ট পাইলাম না। আরো অনেক আগেই দিতে পারতাম। নেটের প্রব্লেমের কারণে দেরি হৈলো!

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

শুরুটা যতটা সহজ ছিলো, শেষটা তেমন না।
শেষে কঠিন ব্যাপারাদি আছে :)
আবার পড়া লাগবে।।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভপাঠ দূর্জয়!

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১২

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: কমেন্ট করার সাহস হারায়া ফেলসি ভাইজান........মাথায় মোটামুটি কড়া জ্যাম লাগছে..........মুভি নিয়া এরকম কোন ক্লাসিক পোষ্ট লাইফে পড়ছি নাকি সন্দেহ আছে........

ভয়াবহ একখান লেখা...............+++++++++ দিয়া প্রিয়তে নিয়া রাখলাম.........

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা মাথায় নিয়া ঘুরতাসিলাম বহুদিন। নামায়া শান্তি পাইলাম। আর তুমি প্রিয়তে নেয়াতে অতি আনন্দিত! থেংকু ব্রো! এই ল্যাহাডা রুশোর ই বুকের জন্যে দিমু।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ওরে বাবা কি কঠিণ লেখা কিন্তু বিষয়বস্ত অনেক গভীরে। তিনবার পড়েছি,,,,,শুধু আপনার লেখা বলে। এক মুঠো ভালা লাগা রেখে গেলাম রাতের আঁধারে,,,,,,,,,,,,,

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত বড় লেখা তিনবার পড়সেন! অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভরাত্রি।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮

rudlefuz বলেছেন: সিনেমা না থাকলে খামু কি?? :O

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি গোপন সূত্রে খবর পাইসি এরম দিন আইতাসে!

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
শেষ করেছি দ্রুত...!

আমি আর মুভি দেখমুনা...

মৃত্যুকালীন বোধটা ছড়িয়ে যেতে পারেনাই ... এটা ভালই হইছে...!!!!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধু মুভি না, সৃজনশীল সবকিছুর ওপরেই নিষেধাজ্ঞা। বাট আর্ট মাস্ট ফাইন্ড আ ওয়ে, রাইট?

শুভরাত্রি।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪০

স্বপনবাজ বলেছেন: কঠিন !

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভরাত্রি!

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
কী কমেন্ট করমু ! :| লাইক বাটনের কাজটাই করতে পারলাম ।আবার পড়বো ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠকের প্রতি একটু অত্যাচার হয়ে গেল মনে হয় এই বেলা!

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৪

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
পোস্টের সাইজ দেইখাই ডরাইছি !! /:) /:)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ২,৯৪৬ শব্দ। কী আর এমন বেশি!

১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৮

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আজ দুপুরে যখন আপনার শীতের শহর গল্পটা পড়ছিলাম তখন হঠাৎ মনে আজ আপনি নতুন পোষ্ট দিবেনই ! কাকতাল আর কি । মিলে গেলো :D

গল্প পড়ার পর মনে হইছে যদি সত্যিই এমন কিছু হয় তবে আমি গল্প কবিতা মিলেয়ে দশটা বই চাইবো ।পড়েই শেষ করে দেই এই জীবন !

হা-মা ভাই বন্ধুকের নলটা ধরে রেখেছেন একদম খুলি বরাবর, এ গল্প থেকে অনেকদিন নিস্তার পাবো না । আরো অনেকবার পড়বো ।

গুড নাইট ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকে দেয়ার ইচ্ছা ছিলো না, কিন্তু লিখতে বসে শেষ না করে উঠতে পারলাম না!

টেলিপ্যাথি বৈলা তাহলে সত্যিই কিছু আছে নাকি! :-B

গুডনাইটমেয়ারস B-))

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৩

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: বাবারে, এত লম্বা!!! B:-)

প্রথমবার পড়ে কিছুই বুঝি নাই, :| দ্বিতীয় বারে একটু মাথায় ঢুকছে, :#) তৃত্বীয় বারে একেবারে আউলায়ে ফেলছি :(

এখন আবার পড়ব

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখার পেছনে এত সময় দিয়েছেন জেনে সত্যিই কৃতজ্ঞ বোধ করছি।

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৭

জেমস বন্ড বলেছেন: কি পড়ুম বুঝতাছি না বরাবর এর মতন ই পড়ে ভেগে যাচ্ছি কিন্তু একটা পদচিহ্ন না দিলেই নয় শত হোক সিনেমা নিয়া এরকম লেখা বাপস :| :|

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি!

১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:২২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
উরিব্বাপরে!!!
সৃজনশীল সব নিষেধ!!!
আমি এমনেই মরে যামু...

বাট আর্ট মাস্ট ফাইন্ড আ ওয়ে, রাইট?

রাইট, রাইট, রাইট.....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাইট রাইট!
গুড নাইট!

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:২২

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: ক্লাসিক ওয়ান , তবে এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করছেন , যার জন্য আরও বেশী আকর্ষনীয় হইছে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৫

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকটা জিনিস, এখন যে ছবিটি দেখছি, সেটা যেন আমার এই অনুভূতির অবিনশ্বরতা তত্ত্বের সাথে অদ্ভুতভাবে মিলে যায়। ফাউন্টেন! ভালোবাসার শাশ্বত রূপের খোঁজে অভিযানে বেড়োয় তিন কালের তিন মানুষ। একজন মায়ান যোদ্ধা, একজন ডাক্তার, একজন মহাকাশচারী এইটা কি আপনার কল্পনা , নাকি সত্যিই এইরকম কোন সিনেমা আছে , থাকলে নাম কি ?

হাঙ্গেরিয়ান শিল্পীর বিষণ্ণ রবিবারের সুর শুনে আত্মহত্যার মিছিলে শামিল তরুণ তরুণীদের তোমরাই পরিচালিত করতে চেয়েছিলে।
আসলেই কি এরকম কোন শিল্প আছে , থাকলে তার নামটা একটু বইলেন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কথা কম লিংক বেশি!

দ্যা ফাউন্টেন

বিষণ্ণ রোববার

১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: একদমে পুরোটা।

অনেক দিন পরে হাসান মাহবুব আমার মন ভরাল

সেরাম একটা গল্প পাঠ হল। সাসপেন্স, থ্রিলার, নাটকীয়তা, হাইপার রিয়ালিটি এবং অতি অবশ্যই পরাবাস্তবতা- কি নেই

দূর্দান্ত।

প্রিয়তে ম্যান।

অ.ট : আপনার উপর আমি অভিমান করেছি। অর্ধেক ভাঙছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাগ করসো কেন? আরে দেখা করুম শিগগীরই। পত্রিকা নিতে হৈবো মাস্ট!

প্রিয়তে মনে মনে নিলে হৈবো না। মাউস দিয়া ক্লিক কৈরা নিতে হৈবো!

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৩

আশফাকুল তাপস বলেছেন: আমি খুব অনেস্টির সাথে আমার অপিনিয়ন দিচ্ছি।গল্পটার শুরু যতটা আকর্ষনীয় ভাবে হয়েছিলে শেষের দিকে এসে সেটা থাকে নাই।প্রোটাগনিস্ট অসঙ্গতিগুলি খুজে বের করার পরে আমি কাহিনীতে একটা নতুন মোড় বা টুইস্ট এক্সপেক্ট করেছিলাম।হঠাৎ করে সে আবার সারেন্ডার করল কেন?

এই গল্পের ভিত্তি শিল্পের (আর্ট) সাথে শিল্পের (ইন্ডাস্ট্রি) সংঘাত।আমি ভাবছিলাম এরকম একটা গল্প দাড় করাইলে কেমন হয়,শিল্প বনাম ধর্মান্ধতা।একদল ধর্মান্ধের হাতে বন্দি এক আরব শিল্পী তরুনী।খুব ক্লিশে হয় যায় কি?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার অনেস্ট মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। গল্পটায় আসলে বিভিন্ন বাঁক রয়েছে, একেকটা বাঁকে একেকরকম পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে। আপনি যেটা বললেন, আর্ট এবং ইন্ডাস্ট্রির সংঘাত সেটাও খুব ঠিক আছে। তবে গল্পটা মূলত আমার ব্যক্তিগত শিল্পদর্শন থেকে লেখা। কল্পনার ক্যানভাসে যা একবার আঁকা হয়, তা অবিনশ্বর। অনুভূতির মৃত্যু নেই। অনুভূতিরা ভেসে বেড়ায় মর্ত্য থেকে স্বর্গে অনন্ত নক্ষত্ররাজির মধ্যে। এক মুহুর্তের গভীর অনুভূতি একটা আস্ত অনর্থক জীবন বা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুকে ছাপিয়ে ওপরে উঠতে পারে। আর শিল্পমাধ্যমগুলো এসবেরই ধারক। আমার এভাবে ভাবতেই ভালো লাগে। তারপরেও মানুষ মাত্রই মৃত্যুভয়ে ভীত। তাই প্রোটাগনিস্টের সারেন্ডার করা। তারপরেও কিন্তু সে শিল্পবাদী কিছু কথা বলেছে। আমরা আশাবাদী হতে পারি তার কথাগুলোর মাধ্যমে!

আপনার বর্ণিত প্লটটা কিছুটা ক্লিশেই লাগলো। তবে কীভাবে লিখবেন তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

শুভরাত!

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৩২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ওরে বাপরেহ! মারাত্মক হৈসে হাসান ভাইয়া ।
সু-ঠান্ডা প্রভাত ||

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ শীত মুন!

২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৮

মেলবোর্ন বলেছেন: দুইটা দুঃখ: ১।ধুর গল্প পড়তে গিয়ে ছবির শেষ সময়ের বর্ননা পড়তে পারলাম না

২। শেষে কেমনে মরিল তাহা অজানা থাকাতে মাথা অউলাইয়া আছে।

আর আমি ভাল পড়ুয়া না বিধায় গল্পের মাঝে মাঝে দুইবার করিয়া পড়তে হইসে ইহা নিতান্তই আমার ব্যর্থতা বলিয়া স্বীকার করছি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠকের যেকোন বিড়ম্বনার জন্যে কেবলমাত্র লেখককে দায়ী করা যাবে।

শুভদুপুর!

২৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৬

নক্ষত্রচারী বলেছেন: কি ভয়ংকর !

শিল্প দিয়ে শৈল্পিক অনুভূতিকে হত্যা করা । চমৎকার হইসে !

শুভকামনা ।।

অঃটঃ ব্যস্ততার কারণে একটু তাড়াহুড়া কইরা পড়সি; পরে ধীরে সুস্থে পড়ুমনে :P

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধীরে সুস্থে আরেকবার পৈড়ো। দেখা হবে কালকে!

২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৫

স্তব্ধতা' বলেছেন: অনেকদিন সামুতে গল্প পড়িনা..আসলে বলা ভালো, একাডেমীক কামলা সংক্রান্ত পড়ার পড় টুকটাক ব্রাউজিং আর নিত্য নতুন হত্যাযজ্ঞের খবর পড়া ছাড়া আর কিছু পড়া হয়না। আপনার গল্প সবসময় চিন্তার খোরাক দেয়, সময় ও মনোযোগ দাবী করে । সে দাবী যেহেতু মিটাতে পারিনা, তাই আসা হয়না এদিকে খুব একটা।

দূর্দান্ত লাগলো গল্পটি।নাহ, 'দূর্দান্ত' বলতে আসলে কি বোঝাতে চাইছি, তা বোধ হয় শব্দটি দ্বারা পরিষ্কার হলোনা।'দূর্দান্ত' বলতে বোঝাতে চাইছি, গল্পে অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ আর্গুমেণ্ট তৈরী হয়েছে, যা স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা দূরহ। কিন্তু আপনার গল্পে আপনি খুব সুন্দর করে তার একটা যোগ সূত্র করেছেন এবং একটা সমাপ্তি টেনেছেন।এই কঠিন বিষয়ের এত সহজ ভাবে সমাপ্তি টানতে পারাটা মোটেই সহজ না।আবার এই ভাবেও বলা যায় যে আর্গুমেণ্ট (এখানে আর্গুমেণ্ট এর সুযোগ্য বাংলা শব্দ প্রতিস্থাপন করতে পারছিনা, হয়তো আপনি বুঝবেন) অনেকগুলো হলেও আপনি তা একটি সূতোয় গাঁথতে পেরেছেন।

শিল্পের জন্য জীবন, জীবনের জন্য শিল্প, শিল্পীর নৈরাজ্য, অপশিল্প এবং ব্যর্থ শিল্পী এই শব্দগুলোতে অনেক গুলো আর্গুমেণ্ট তৈরী হয়েছে, যার প্রত্যেকটিই বিষদ আলোচনার দাবীদার এবং আলোচনার সে জায়গাটা আপনি যথেষ্টই প্রশস্ত করে রেখেছেন।

যেমন নিধন হওয়া শিল্পীদের ক্ষেত্রে বলেছেন ''যাদের কাছে শিল্পের জন্যে জীবন, জীবনের জন্যে শিল্প না।''...এটি বোধ হয় অঙ্গাঅঙ্গি। শিল্পের জন্যই ডেডিকেটেড যার জীবন, যে জীবনটি ব্যয় হয় যে শিল্পের জন্য, সেই শিল্পই আবার সৃষ্টি হয় জীবনের জন্য, জীবনবোধ এর থেকে, যে বোধ তার পারিপার্শ্বিকতা যার মানে আরও জীবন।তাই তাদের শিল্প হয়তো তাদের স্ব-স্ব জীবনের জন্য নয়, কিন্তু তাদের শিল্প বৃহদার্থে জীবনের জন্যই। তবে মূল যে জায়গাটা আলোচনার দাবী রাখে তা হচ্ছে, 'ব্যর্থ শিল্পি' এবং 'অপশিল্পবাদী'।

ব্যর্থ শিল্পী কে? বা কারা? কিসের মানদণ্ডে আপনার প্রোটাগনিষ্টের হন্তারকেরা ব্যর্থ শিল্পী এটি পরিষ্কার হলোনা। একটা সমাজ একজন শিল্পীর শিল্প কর্ম গ্্রহন না করলে কি সেই শিল্পী ব্যর্থ? তবে কি আমরা কি ভ্যানগগকে ব্যর্থ শিল্পি বলবো? অথবা কমল কুমার মজুমদারের জীবদ্দশায় 'অন্তর্জলী যাত্রা' সর্বসাকুল্যে ২৫ কপি বিক্রি হয়েছিলো, তাকে কি আমরা ব্যর্থ শিল্পি বলবো? যদি তাই হয় তবে তাদেরকেই আপনার শিল্পমনষ্ক প্রোটাগনিষ্টের হন্তারক হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আপনারই কি একটু খারাপ লাগছেনা? আর যদি আপনার গল্পে 'ব্যর্থতা'র সংজ্ঞা ভিন্ন হয় তবে, 'ব্যর্থ শিল্পি' কারা বা কিসের বিবেচনায় তা একটা ব্যখ্যার দাবী রাখে বোধ হয়। বোধ করি এটা শুধুই 'সফল শিল্পিদের' বিরুদ্ধে 'ব্যর্থ শিল্পীদের' যুদ্ধ নয়।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আর কমল কুমার সেরেসকে গিলোটিন এ চড়িয়ে গলাগলি করে বাংলা টানছেন, আর মুচকি মুচকি হাসছেন, দৃশ্যটা কেমন হবে তাই ভাবছি :) :)

আপনার এই বক্তব্যটি গল্পের হট স্পট '' ব্যর্থশিল্পী অথবা অপশিল্পবাদী, দুটো শব্দের সাথেই শিল্প জুড়ে আছে''...এই খানে অনেক আশার আলো দেখতে পাই, কিন্ত সে আশা মরিচীকার। শিল্পীর সঙ্গে সততার সম্পর্কটা তাই গুরুত্বপূর্ণ (পুরোনো ক্যাচালটা মনে পড়ে গেলো :) :))।অসততার সাথে শিল্পের বিরোধ আছে। তাই অপশিল্পবাদী ইজ এ ডেড শিল্পী। তার আর শিল্পী হবার কোন সম্ভাবনা নাই।ওয়ানস ইউ ক্রিয়েট এ ফ্র্যাঙ্কেন্সটাইন, দ্যা ফ্র্যাঙ্কেন্সটাইন রুলস এবং দ্যা সাইণ্টিস্ট (পড়ুন আর্টিষ্ট) ইজ ডেড। তাই আপনার প্রোটাগনিষ্টের আশাবাদটা একটা দূরাশাবাদ।

তবে এক কথায় গল্পের প্লটে বরাবরের মতো 'হামা' ষ্টাইল নতুনত্ব, বরাবরের মতোই উপাদেয়।শুভেচ্ছা থাকলো, আর আমার মন্তব্যতো মাশাল্লা বরারবরের মতেই জুয়েল গার্ণার :) :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পটা লেখার সময় আপনার সাথে সেই পুরোনো তর্কটা মনে পড়ছিলো। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এমন দাঁড়িয়েছে, যাতে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে একজন শিল্পী অপটিমিজমের আলো না দেখালেও অতিমাত্রায় স্বাধীনতার সুবাদে ক্রাইমকে গ্ল্যামারাইজড ডার্ক সাইডগুলোকে লেডলাইট দিয়ে সুসজ্জিত করতে পারেন কী না সেই প্রশ্ন এসেই যায়। আমেরিকার স্কুলে ম্যাসাকারের কথাটা চিন্তা করেন। এখন ভাবেন স্করসিসের "গুডফেলাস" এর কথা। খুবই প্রশংসিত একটা ছবি। কিন্তু ফ্ল্যাশি ক্যামেরা ওয়ার্ক, নায়কোচিত মাফিয়া, চটকদার সংলাপ "আমার কাছে আমেরিকার প্রধানমন্ত্রী হবার চেয়েও গ্যাংস্টার হওয়াটা জরুরী ছিলো", এই মুভিটা দেখার সময় আমারও গ্যাংস্টার হতে ইচ্ছে করত। মানুষ খুন করতে, ইচ্ছেমত ক্ষমতা প্রয়োগ করার ইচ্ছে জাগতো। শিল্পের এই যে নেতিবাচক প্রভাব, তাকে আমরা তার শক্তি হিসেবে দেখবো, নাকি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলে অপশিল্প হিসেবে দেখবো? স্করসিস শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেন, কারণ তিনি স্পেশাল ওয়ান। তার কর্ম শিল্প এবং জীবনের দ্বান্দ্বিক সীমারেখার ঊর্ধেই অবস্থান করবে। কিন্তু ফ্রেড ভোগেল? শিল্পজগতে এ্যানার্কিস্টরা থাকতে পারে, হাংরি জেনারেশনের কবিদের মত। কিন্তু হাংরি জেনারটা ছিলো একটা মুভমেন্ট। কবিতা লেখার কারণে জেল খেটেছে তারা, তারা জীবনের প্রতি দায়বদ্ধ না থাকলেও শিল্পের প্রতি ছিলেন। এজন্যে তাদেরকে অপশিল্পী বলব না আমি হাজার ঋণাত্নক মতামত থাকা স্বত্ত্বেও।

ব্যর্থ শিল্পী আমি বলছি তাদেরকে, যারা অনেক বড় কিছুর স্বপ্ন দেখতো কিন্তু শেষতক ক্র্যাপ তৈরি করত। উদাহরণ এডওয়ার্ড উড জুনিয়র যাকে অফিসিয়ালি পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে ডিরেক্টর হিসেবে ডিক্লেয়ার করা হয়েছে, অথচ তার অরসন ওয়েলস।

মানিক, ভ্যান গগ তারা তো শিল্পের জগতের রাজকুমার। তাদেরকে ব্যর্থ শিল্পী বলতে যাবো কেন? তাদের কাছে জীবন ছিলো শিল্পচর্চার জন্যে। তারা মহান।অপশিল্পী বা ব্যর্থ শিল্পীর রোষানলে তারা পড়বে না তো কে পড়বে!

অনেকদিন পর কথা বলে ভালো লাগলো। শুভদুপুর!

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩০

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: অনেকদিন পর সামুর পাঠক হবার কল‍্যাণে এমন সাহিত‍্য পড়লাম।

ধন‍্যবাদ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সামুকেও ধন্যবাদ।

২৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

রুদ্র মানব বলেছেন: কঠিন লেখা কিন্তু পড়ে ভাল লাগলো ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

২৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৫

নেক্সাস বলেছেন: আমি আপনার পোষ্টে প্রথম কমেন্ট করবো বলে দিনে ৫০ বার ভিজিট করি। কিন্তু পারলাম না...ধুর



মনের মধ্যে মৃত্যুচিন্তা ছাপিয়ে তোলপাড় তুলেছে এখন সম্ভাব্য ওয়াচলিস্ট। কত কী দেখার আছে বাকি! ফেলেনির নাইট অফ ক্যাবিরিয়াতে গণিকার চরিত্রে তার সহধর্মীনি জিওভান্নি ম্যাসিনি কেমন করেছে? রাতের রোমের রাস্তায় সে কি ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলো? লা স্ত্রাদার অবহেলিত ভাঁড়বালিকা এখানেও কী হৃদয় ভাঙার শব্দ শুনতে পাবে? মাইকেল হ্যানিকের নতুন ছবিটার অনেক প্রশংসা শুনেছি। সত্যজিত রায়ের অপু ট্রিলজি এখনও শেষ করা হয়নি, কী লজ্জা! টারান্টিনো...

আবেগ গন বিষাদে আক্রান্ত হয়ে উঠে মন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভবিষাদ নেক্সাস।

২৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৮

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ক্ল্যাসিক।

এক কথায় ক্ল্যাসিক।

কতবার যে ঝাঁকুনি খেলাম, হিসেব নেই, কতবার যে দোলাচলে পরলাম, তারও হিসেব নেই।

কতবার যে শেষটা নিয়ে ফ্যান্টাসী সাজালাম, সেই হিসেবও রাখতে পারিনি।

হ্যাটস অফ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পে আপনার রোলার কোস্টার ভ্রমণ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ!

২৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৭

অনীনদিতা বলেছেন: কি নেই এই লেখায় :)

দূর্দান্ত।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা!

৩০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক কঠিন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কষ্ট করে পরার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!

৩১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৯

জান্নাতুল ফেরদৌস. বলেছেন: বুঝলাম না সবার দু তিন বার লাগল কেন পড়ে বুঝতে? নাকি আমিই কিছু বুঝিনি!!! btw last para তে একটা টাইপু আছে may be। 'প্রথিংসাপরায়ন' না হয়ে প্রতিহিংসাপরায়ন হবে না?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক করে নিলাম। ধরিয়ে দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!

৩২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪২

সোহাগ সকাল বলেছেন: এখনও পড়িনাই। মোবাইল দিয়া পড়বো। তাই আগেই কমেন্ট কইরা গেলাম।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে। শুভদুপুর।

৩৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: এক কথায় দূর্দান্ত আপনার লেখনী শক্তি-আমি বিমোহিত

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আপনার নতুন সিরিজটা পড়া শুরু করব শিঘ্রই।

৩৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৫

অনাহূত বলেছেন:
চক্ষে আমার তৃষ্ণা
অনুভুতিতে মৃত্যু। জমে গ্যাছে বস্।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা অর্ণব। ভালো থাকো, সৃজনে থাকো।

৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৩

ডানাহীন বলেছেন: কারখানা তালাবদ্ধ হতে পারে শিল্প নয় । তারা আমাকে হত্যা করতে পারে ধ্বংস নয় কারন আমি বাঁচি আমার চিন্তার অনুরননে আর তাকে ছড়িয়ে দেই । মানুষ মাত্রই সৃজনশীল এবং সৃজনশীলতা ভুঅভ্যন্তরস্থ লাভার মত, যখন এটা বের হতে চায় তখন পথ তৈরি করে নেয় । অনুভুতিই তো জীবন ...
আপনার আশংকা যৌক্তিক তবে ভয়ের কিছু নেই বলে মনে হয় ... মৃত্যু শুধুই এক ভয়ঙ্কর কবিতা ... শৃঙ্খল শুধুই এক পরাবাস্তব প্রাচীর ।

লেখাটা নিউরনে অনেক স্টিমুলেশন জুগিয়েছে .. সে জন্য বাড়তি ধন্যবাদ ...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি এরকম আশঙ্কা কখনো করি না। আমি শিল্প এবং সৃজনের অমরতায় বিশ্বাস করি। আর তাই তো অপশিল্পী নাকি ব্যর্থ শিল্পীরা এই আক্রমণ চালিয়েছে তা ভাবার বিকল্প রেখে দিয়েছি।

শুভবিকেল!

৩৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভাল লিখেছ, হামা। :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সোনিয়া!

৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

দহন আহমেদ বলেছেন:

মৃত্যু অথবা ফ্যাক্টরি, মৃত্যুফ্যাক্টরি! /:) /:)

প্রিয়তে নিয়ে গেলাম! :D

++++++++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয়তে নেবার জন্যে। শুভবিকেল।

৩৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

হাসি .. বলেছেন: আপনার পোষ্টেই ঢুকতে ভয় হয়, কি যে কঠিন করে লিখেন না।

++++

:)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: না না না না ভয়ের কী আছে! নির্ভয়ে আসবেন :#>

৩৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

সাদেকুর বলেছেন: যেখানে সমস্ত ভাবপ্রবণতাকে পেশী এবং গ্রন্থিতে প্রবাহিত করে কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে।

অসাধারণ বল্লেও কম বলা হবে।

(আমি কিন্তু আপনার ভক্ত হতে যাচ্ছি)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! কম কম বলাই ভালো!

শুভবিকেল।

৪০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: দ্বন্ধ টা চলে আসছে চিরকাল, শিল্প কি আমাদের জীবনের অংশ নাকি অতি অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে অসীমকে সসীমের মধ্যে ধারন করার কূটকৌশল । শিল্প বিহীন পৃথিবী সত্যিই কেমন হবে ? যে কারনে মানুষ কখনও রোবট হবেনা- কলমজাত, তুলিজাত, সুরজাত আর ক্যামেরাজাত শিল্প সৃষ্টির ইচ্ছে মানুষের মাঝে থাকবে বলেই ।

হলফ করে বলতে পারবোনা যে পুরোটাই হৃদয়ংগম করতে পেরেছি । তবে এটুকু বুঝেছি, আমাকেও যদি এরকম একটা অপশন দেয়া হয় আমি নিশ্চিত 'ফাউন্টেন' কে ই বেছে নেব । 'ফাউন্টেন' দেখার পর মৃত্যুকে পরম আনন্দজনক কিছু একটা মনে হবে বলেই বিশ্বাস করি ।

মরচে ধরা মগজে অনেকদিন পর একটা ধোলাই (স্টর্মিং) পড়লো । ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পৃথিবীর সব যন্ত্রে মরীচা পড়ে যাবে, যদি সুর, গান, লেখালেখি সব কিছু থামিয়ে দেয়া হয়। সভ্যতা মানে শুধু বড় বড় দালানকোঠা আর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শক্তিশালী ডিভাইস না। বিজ্ঞানের অগ্রগতির চাকা থমকে যাবে শিল্পের হাত না ধরলে।

অনেক ধন্যবাদ মামুন। শুভবিকেল।

৪১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৮

মিরাশদার১০ বলেছেন: অনেকদিন পর পড়তে আসলাম এবং মুগ্ধ হলাম। সুন্দর চিন্তা, ভালো লেখা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ, আবার আসবেন!

৪২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: দারুণ !! আরেকটা ক্লাসিক লেখা !! পড়তে পড়তে বুঝতে পারছিলাম "জানার আছে অনেক কিছু"।

শিল্পবিহীন জীবন দিয়ে নুন্যতম উৎপাদনশীলতাও আশা করা সম্ভব না। জীবনের জন্য শিল্প হলেও আসলে শিল্পের জন্য কাউকে না কাউকে তো জীবনে দিতেই হবে, না হলে যে শিল্পের উৎপাদনশীলতা কমে যাবে !! অনেকটা গল্পের ভিলেনের মতই এখানে বলা যায়, "সবাই যদি শুধু শিল্প উপভোগেই ব্যস্ত থাকে তবে সৃষ্টি করবে কে ?"

+++++++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রকৃত শিল্পীরা সংখ্যায় হয়তোবা অনেক কম, কিন্তু তাদের প্রভাব অনেক বেশি। টমাস আলভা এডিসন কিংবা সত্যজিত রায় কাউকে ছাড়াই কাউকে আমি জীবন থেকে বাদ দিতে চাই না।

অনেক ধন্যবাদ!

৪৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪০

বিপুলা বলেছেন: ভালো লাগলো ভাইয়া....পোস্ট টা আনকমন ছিলো....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে! স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

ভিয়েনাস বলেছেন: শিল্পানুভূতির বাহিরে অবস্থান সে একঘেয়ে ছাড়া কিছুনা ।

সুন্দর লাগলো যদিও পুরোটা হয়তো বুঝে উঠতে পারিনি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস!

৪৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭

ব্রেথ অব ফেট বলেছেন: :-&

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধুর!

৪৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯

নীলফরিং বলেছেন:


এসএমএস যুগ বনাম শিল্প ও সাহিত্য। অথবা, প্রকৌশলী যুগ বনাম শিল্প ও সাহিত্য

লগ আউট করে ফেলেছিলাম। বাধ্য হয়ে কমেন্ট করার জন্য লগইন করলাম। লেখায় ইংরেজী বা পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রভাব প্রকট। বিশেষতঃ রুশ সাহিত্য।

এ স্টাইলে গল্প বা প্রবন্ধগুলো জটিল আকার ধারণ করে। অনেকেই ভুল করে তাকে ক্ল্যাসিক বা অন্যকিছু বিশেষণে বিশেষায়িত করে। জটিলতা তাতে আরো বাড়ে বৈকি।

Arts for Arts Sake পর্যন্ত ব্যাপারটা ঠিক আছে। তবে, যাদের কাছে শিল্পের জন্যে জীবন, জীবনের জন্যে শিল্প না ব্যাপারটায় একটু আপত্তি আছে, দাদা। থাকাটা তো অস্বাভাবিক না,তাই না? দর্শণে পার্থক্য থাকতেই পারে।

আসলে সবকিছুই এই পোড়া জীবনের জন্য। জীবন নেই তো কিছু নেই। আলো-ছায়া নেই। প্রেমিকার মালতীবুক বা প্রেমিকের সুবিশাল আশ্রয় তথা কোথাও কিছু নেই। যতক্ষণ জীবন আছে ততক্ষণ সব আছে। বাকী সব ফানুসের রঙিন মেলা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পে তো কোন মতামত চাপিয়ে দেয়া হয়নি। নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিতে দ্বান্দিক অবস্থানগুলো দেখা হয়েছে। সুতরাং আপত্তির কোন অবকাশ নেই, শিল্পের জন্যে জীবন যাদের, তাদের একজন প্রতিনিধি মূল চরিত্রে ভূমিকায় ছিলো বটে, তবে তার মৃত্যুকে ঘোরময় শিল্প থেকে নিরেট বাস্তবতায় চলার পথে একটা স্টপেজ, এই হিসেবেও দেখতে পারেন। আর কিছু কিছু মানুষ থাকেই আজীবন ঘোরগ্রস্থ, জীবন তাদের অনুগত বান্দা, সাধারণ মানুষ যেমন ঈশ্বরের কাছে। ঐশ্বরিক সৃজনীশক্তি দিয়ে তারা তৈরি করতে পারে অন্য পৃথিবী। তাদেরকে ঈর্ষা করি আমি। কেন অমন হতে পারলাম না!

ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে।

৪৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫

আবু সালেহ বলেছেন: কমেন্ট করার ভাষা নাই....হামা ভাই......

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আবু সালেহ!

৪৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: শিল্পের অস্যামান্যতা অনুধাবনকল্পে তারই প্রবাহমান গুনরাজির অসীমান্তিক মহাভাবসাগরে ডুব দিয়ে অমূল্য নিধি খুঁজতে হবে । শিল্প বিশেষত সঙ্গীত হল ব্যষ্টিগত কলাসরূপ যার লক্ষ্য পাশ্চাত্যের মত বহির্মুখি স্বরসঙ্গতিভিত্তিক ঐকতানের চরম সৌন্দর্যে নয়, নাদব্রক্ষের সাথে ব্যক্তিগত মিলনে অন্তর্মুখি সাচ্ছন্দ্যে এর প্রকাশ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৪৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
টানটান শিল্পবোধের এক অদ্ভূত মাত্রাযানে পরিভ্রমণ করলাম যেন!!

এই গদ্য থেকে আমি কয়েকটা কবিতার রসদ পেলাম।
শুভকামনা আপনার জন্যে.......................

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কবিতাগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। লিখুন আরো অনেক অনেক।

৫০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৫

কাউসার রুশো বলেছেন:
আমার খুব খুব ভালো লাগছে এই ভেবে যে, এক মুঠো চলচ্ছবিতে এরকম অসাধারন মানের একটি লেখা পেতে যাচ্ছি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক আপনি আগেই এসে গেছেন। গিয়ে লিংক দিয়ে আসতে হল না। শুভকামনা রুশো!

৫১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৪

কয়েস সামী বলেছেন: শুরুটা এতই চমৎকার লাগসে যে অফিসে বসেই গল্পটা শেষ করি। সবচাইতে আকর্ষণীয় দিক হল এর ঝরঝরে বর্ণনা। থিমের অভিনবত্ব ও ভাল্লাগসে। ধন্যবাদ। আমার নেক্সট গল্প নির্মানাধীন। কালকের মধ্যে নামাতে পারব ইনশাঅাল্লাহ। খুব কনফিডেন্স আপনার ভাল লাগবে। জানাবেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! আপনার গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

৫২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩২

সকাল রয় বলেছেন:
অনেকগুলো নতুন শব্দ
নতুন আঙ্গিক

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ সকাল রয়।

শুভরাত্রি।

৫৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটা কি তোমার একটা সিনেমা পোস্ট ছিল না, শকিং মুভি কালেকশন বা সামথিং লাইক দ্যাট, সেটার প্রভাবে লেখা?

অবশেসন?


সুন্দর!




শুভ বড়দিন.....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পের থিমটা হুট করেই মাথায় আসছিলো। তারপর লিখতে গিয়ে আরেকটু বাড়ালাম ভাবনাটা।

শুভ বড়দিন আপু।

৫৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৫

অবসরপ্রাপ্ত বাউন্ডুলে বলেছেন: অদ্ভুত এক পটভূমিকায় লিখেছেন.... প্লটটা একটা ঝাঁকুনি দিয়ে গেলো.... অসাধারণ....
আমি ঐ জায়গায় থাকলে মনে হয় টিভি সিরিজ দেখার জন্য ঝুলোঝুলি করতাম... ১০ টা সিরিজ সবগুলো সিজন নিয়ে বসলে, আয়ু মোটামুটি বছর পাঁচেক তো পেতামই.... হাহাহাহা....
লেখায় প্লাস, ভাইয়া.... অসাধারণ....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! জোস বুদ্ধি।

অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৫৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এটি একটি মাস্টারপিস হবার যোগ্যতা রাখে........থিমটা আসলেই সেইরকম...............তবে হা.মা. ভাই আরেকটু সহজ করে গল্পবললে আমাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হয়............

বই, চিত্রকলা, গান, চলচ্চিত্রবিহীন জীবনের চাইতে ওপারে চলে যাওয়াই শ্রেয় মনে করব..................সেজীবন যেন দেখতে না হয়........

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! এই লেখায় শিল্পমনস্ক মানুষদের আনাগোনা দেখে খুব ভালো লাগছে।

ভাষাটা বেশি কঠিন হয়ে গেছে? একেকটা থিমের জন্যে ভাষার গতি এবং রকম বদলে যায় দেখেছি আমি!

শুভরাত্রি!

৫৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট ভালো লাগা না দিয়ে পারছিনা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। শুভরাত্রি!

৫৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: একজন শিল্পহান্টারকে দেখুন Click This Link দেখা শেষ হলে আমার কমেন্টটি মুছে দিবেন। দারুন এইপোস্ট এর সাথে এই লিংকটা অসুন্দর ঠেকছে। তারপরও মজা পেয়েছি এবং কিছুটা রিলেটেড তাই লিংক দিলাম

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, কিছুটা রিলেটেড। থাকুক কমেন্টটা। এই জিনিস হারায় ফেললে চরম মিস হবে!

৫৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: দারুন গল্প!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি!

৫৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৪

তবু গল্প লিখছি আমি বাঁচবার! বলেছেন: আমি চাইবো আমার মতন

প্রজাপতি
ফরিং
আর
জলের মত
রাতের মত

তারপর
একেবারেই চলে যাব

জীবনের নান্দনিক সত্তা
আর ব্যর্থ শিল্পীদের
সাথে অপশিল্পীদের যোগ বিয়োগ ভালো লাগলো

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৬০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে আপনাকে লেখাটির জন্যে বোঝা যাচ্ছে । অনেক চিন্তার খোরাক জোগাড় করেছেন ।
ভালো লেগেছে "স্তব্ধতা' র মন্তব্য আর আপনার প্রতি উত্তর । বেশ জম্পেশ সাহিত্য আলোচনা । অনেক গতানুগতিক মন্তব্যের মাঝে এটি একটি বিদগ্ধ আলোচনা । একটি লেখা নিয়ে এরকম আলোচনা কেবল টেবিলে চা'য়ের কাপে ঝড় তুলে করার কথা । [ চালিয়ে যা্ওয়া যায়না ? ]
কঠিন বাস্তবের দৃশ্যপটে আপনার মতো করেই বলি - "আমি দুই হাত তুলে সারেন্ডারের ভঙ্গিতে এগিয়ে যাই তাদের দিকে।
-আপনারাই জয়ী হলেন। আমি বেঁচে থাকতে চাই। নিরামিষের মত। যন্ত্রের মত। পেটমোটা কেরাণীর মত। আপনাদের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে চাই। চলুন।"

এটাই হয়তো চরম সত্য । শিল্পী- অশিল্পী, চক্রী - কুচক্রী, স্রষ্ঠা - হন্তারক যে যাই ই বলুক, ভাবুক , করুক । এখোন আমার প্রয়োজন বেঁচে থাকার, তা পেট মোটা কেরানীর মতোই নিরামিষ হোক না কেন ! হা...হা..হা..

বরাবরের মতোই সুন্দর ...

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্তব্ধতার সাথে আগে এরকম আলোচনা নিয়মিতই হত। সে অনেকদিন পরে আমার ব্লগে কমেন্ট করল। আরো অনেকজনের সাথেই হত। মিস করি। নস্টালজিক হৈলাম।

শিল্পের জগতের টিকিট কাটুন। ঐসব চরম সত্যি ফত্যির মুখ সীলগালা করে দিয়ে আনন্দে বাঁচুন :-B

৬১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৩

সিডির দোকান বলেছেন: ভালা অইছে রে......

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আইচ্ছা।

৬২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৬

নস্টালজিক বলেছেন: পুরা দাগ দ্যা ফায়ার! /:)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: চোরাবালি দেখুম সনিতে। রিয়ার স্টলে সিটে বইসা শিষ বাজাইতে বাজাইতে।

৬৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩২

শশী হিমু বলেছেন: গল্পটা ঠিকঠাক মজ্জাগত হয়নাই আমার :(

আবার আসবো। এখন ঘুম্পাইছে। |-)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি!

৬৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৭

অচিন্ত্য বলেছেন: ++++++++++++++
আবারো চমৎকার, অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা পেলাম আপনার ! মাঝের একটি চিন্তা খুবই ভাল লেগেছে- কথক নিজেকে একটি প্র্যাকটিক্যাল জোকের অংশ ভাবছে, অথবা একটি জীবন্ত সিনেমার চরিত্র ভবছে- অপূর্ব ! সিনেমা জগতের সঙ্গে আমার নিজের তেমন যোগাযোগ নেই। সিনেমাখোর কিছু বন্ধুর কল্যাণে হলে থাকতে কিছু সিনেমা দেখা হয়েছিল। ‘সাউন্ড অফ মিউজিক’ তার মধ্যে একটা, এবং এটাই আপনার তালিকায় আমার একমাত্র কমন সিনেমা। আপনি শিল্পব্রতী এবং শিল্পশৌখিন গোষ্টীকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পৃথক করেছেন।

আপনার শব্দের ব্যবহার সত্যিই তাক লাগানো। ‘শব্দঅরণ্য’ অতি সুন্দর প্রকাশ। ‘নিকেশ’ শব্দটির একটি নবতর ব্যবহার দেখলাম, অথচ শব্দটি যথাযথ প্রমিত অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।। ‘ইতি টানা’র পরিচিত শব্দযুগলের জায়গায় ‘যতি টানা’র ব্যবহার বেশ লেগেছে। ‘তোলপাড়’ আর ‘তুলেছে’ একসাথে এই প্রথম দেখলাম। নতুন দেখে বেশ ভাল লাগল এবং মনে হল এরা খুব সহজেই একসাথে বসতেই পারে। ‘কাগুজে, সুরেলা বা লেন্সাবদ্ধ প্রতিলিপি’ অত্যন্ত সুন্দর এক্সপ্রেশন। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য আপনার কাছ থেকে আগাম ধার করে রাখলাম- ‘অনুভূতির সুরেলা প্রতিলিপি’ শব্দজোট। ‘আজকে রাতের মেন্যুতে কি ডিশ?’ এক্সপ্রেশনে কথককে একেবারে সরাসরি সিনেমাখোর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাহ হাহ। ‘নিউরন আলমারি’, ‘মৃত্যুফ্যাক্টরি’ শব্দগুলোর ব্যবহারে চমৎকৃত না হয়ে পারা যায় না। বিশেষ করে ‘মৃত্যুফ্যাক্টরি’ শব্দের মধ্যে অনেক বড় পরিসরের একটি বিরুদ্ধ হাওয়ার প্রতি রুদ্ধ আবেগ জমা পড়ে আছে।

এই পৃথিবীর অশিল্পীগোষ্টীর প্রতি আমাদের সম্মিলিত উচ্চারণ হোক ‘আর্ট মাস্ট ফাইন্ড আ ওয়ে’

লেখাটি পড়তে পড়তে আজকের বড় দিনের শুরুর ভাগটা আমার চমৎকার কাটল। চমৎকার আরো একটি লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

[বিনয়ের সঙ্গেঃ গোরস্থান, দীর্ঘসূত্রিতা, জবাবদিহিতা, দূর্লভ, ঘোরগ্রস্থতা, সম্বলিত- শব্দগুলোর সঠিক রূপ হবে যথাক্রমে গোরস্তান, দীর্ঘসূত্রতা, জবাবদিহি, দুর্লভ, ঘোরগ্রস্ততা, সংবলিত।]

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই মন্তব্যটা মাঝেমধ্যে পড়ব। নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানোর জন্যে!

অনেক ধন্যবাদ অচিন্ত্য। বানানগুলি ঠিক করে নেব। শুভদুপুর।

৬৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: প্রিয় বিষয়ে প্রিয় গল্পকারের লেখা। সরাসরি প্রিয়তে হামা ভাই। সময় পেলে ডিটেইলস মন্তব্য করবো। তবে অসাধারন লেগেছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তন্ময়। সময় পেলে কথা হবেনে আরো গল্পটা নিয়ে।

৬৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আহমেদ জী এস,

শিল্পের জগতের টিকিট কাটাই আছে নইলে এই কামরায় উঁকি দিয়ে দেখি ???? B:-/
তবে টিকিটটা "সিটিং সার্ভিস" এর না যে থামাথামি নেই মোটেও । আমারটা লোকাল টিকিট ! ঘাটে ঘাটে থামতে হয় যে.... :( ;)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কামরায় তো তেমন ভালো ডেকোরেশন নাই। চলেও খুব মন্থর গতিতে। তারপরেও উঁকি দিয়েছেন বলে অনাক ধন্যবাদ জানাই।

৬৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০১

ইলুসন বলেছেন: শিল্প-সংস্কৃতিবিহীন পৃথিবী ভাবতেই যেন কেমন লাগে। সত্যি যদি এমন হত তাহলে মানুষ কি করত? সারাদিন কাজ করত আর বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে ঘুম? আর বাচ্চা উৎপাদন? অসাধারণ থিম লেখাটার। খুবই ভাল লেগেছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চিন্তাটা মাথায় এসেছিলো, তবে আস্বস্ত হয়েছি এটা ভেবে যে এরকম কখনও হবে না।

অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।

৬৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

মুসাফির৭৫৮৪ বলেছেন: মাম্মা তুমার গল্প সেইরাম হইসে। এইরাম গল্প আমি মাগার পড়িনাইক্কা
মাম্মা আমি একদিনেই আরো জ্ঞানী হইসি
কিন্তু মাম্মা তুমার লেখা বুঝিনাই তয় সেইরাম হইসে


মাম্মা, সামনের ইলেকশন এ জ্ঞানী দল বানাইতেসি। তুমি কোন পাদ নিবা আমার ব্লগে যায়া যানায়া আইসও। :-B

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি মায়াবী পদ নিমু মাম্মা। হানিমুন ভালো কাটসে তো মাম্মা! ;)

৬৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪

মাক্স বলেছেন: অতৃপ্তি রয়ে গেল:(:(

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও :(

৭০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: বহুদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম আপনার লেখার। অন্যান্যবারের মতই দুর্দান্ত। ক্ষেতের থেকে পটল তুলার মত করে যেভাবে আর্টিস্টদের মেরে ফেলা হইল..... ব্যাপারটা হৃদয়বিদারক। :P

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও লেখার অপেক্ষায় ছিলাম। আপনার খুচরো কাব্য পাইতাসিনা অনেকদিন!

৭১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪২

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: গল্পের শিরোনামটা অদ্ভুত লাগলো। +

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিরোনামটা রবি কাক্কুর কাছ থিকা ধার করা :-B

৭২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪৯

ফারিয়া বলেছেন: অনেক বড় ভাইয়া, আজ অর্ধাংশ পড়লাম, কাল এসে পুরোটা সমাপ্ত করব! :)
তবে আপাতত মনে হচ্ছে চিন্তা করার মত বিষয়!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বাকিটা পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো।

শুভ সকাল।

৭৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অনেক দিন পর পড়লাম আপনার লেখা। খুব ভাল লাগল। অন্যরকম। আশা করি ভাল আছেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বর্ণা। ভালো আছি। আপনিও ভালো আছেন আশা করি।

৭৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮

সায়েম মুন বলেছেন: জমাট গল্প। শেষ পর্যন্ত সুপারগ্লুর মত আটকে গিয়েছিলাম। :P

এক জায়গায় বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমাটার কথা মনে পড়েছিল। মনে হচ্ছিল কথক সিজোফ্রেনিয়ার রোগী।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিল্পী এবং শিল্প সমঝদারেরা বেশিরভাগই সিজোফ্রেনিক অল্প বা বেশি মাত্রায়। এইটা আমার কথা না, কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি যেন কইসিলো!

৭৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৩

প‌্যাপিলন বলেছেন: শিল্প বিবর্জতি হওয়ার চেষ্টা করেছি অনেকবার কিন্তু শক্তির অবিনশ্বরতার মতো শিল্প বহুবিধ ফরমেটে অবস্থান করে। তাই আপাত দৃষ্টিতে শিল্পবিবর্জিত মনে হলেও হয়তো অন্যরকম এক শিল্পের ফরমেটে ডুবে থাকি

গল্প হলেও মনোজগতে বড় রকমের ভাবনার খোরাক দিয়ে গেলেন। অসাধারণ.....

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভদুপুর।

৭৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬

সানজিদা হোসেন বলেছেন: পড়লাম ,বুঝলাম তারপর একটা ঝাঁকুনি খেলাম।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানজিদা।

আপনার এবং নবজাতকের জন্যে অনেক শুভকামনা।

৭৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩০

ফারিয়া বলেছেন: একটা ঘোর লেগে যাচ্ছিল শেষদিকে, তবে সব মিলিয়ে প্লাস পাবার যোগ্য! B-))

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক প্লাসে পাস করসে B-)

৭৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৩

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: অনেক বড় গল্প তাও পুরোটা পড়লাম।গল্পই টেনে আনল শেষ পর্যন্ত কি হয় তার জন্য..
ভিন্নরকম চিন্তার গল্প।
গল্পে ভাল লাগা রইলা ভাইয়া।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তুলি।

শুভরাত্রি।

৭৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: বিষয়বস্তুর অভিনবত্ব আর আপনার ঝরঝরে বর্ণনা..... এককথায় অসাধারণ!!! প্লাস ও প্রিয়তে :)

শুরুটা পড়ে ক্রিশ্চিয়ান বেলের ইকুইলিব্রিয়াম মুভিটার কথা মনে পড়ে গেল

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পটির সাথে ইকুইলিব্রিয়ামের খানিক সাদৃশ্যের কথা আরো একজন বলেছে। দেখতে হবে সিনেমাটা।

অনেক ধন্যবাদ এবং স্বাগতম আপনাকে।

৮০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১

সোমহেপি বলেছেন: মানুষের যে শিল্পবোধ আমার মনে হয় সেটা প্রকৃতি থেকেই।নেচার উজ দ্যা বেষ্ট ফিল্ড অব আর্ট।সমগ্র সৃষ্টিটাই শিল্পময়।বিদগ্ধ এক মানুষ বলেছিলো শিল্প না হলে পৃথিবীর 'চলবে'।কিন্ত্ত আমার চিন্তা এ চলা হবে শিল্পের বিপরীতে চলা।স্রোতে থেকে স্রোতের বিপরীতে চলার মত।শিল্পে থেকে শিল্পের বিপরীতে চলার মত।সৃষ্টির ধর্ম যদি শিল্প হয় তাহলে সে চলা হবে অধার্মিক।

অসাধারণ গল্প এঁকেছেন হাসান ভাই।আপনার কিছু গল্প আগের যেগুলো পড়ে আমার মনে হত একধরনের শব্দমোহ কিংবা শব্দব্যূহের মত।তাতে প্রাণ পাওয়া যেত না।
এ গল্পটার কথা যদি বলি তাহলে বলব এখানে প্রাণ পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিল্প না থাকলেও পৃথিবীর চলবে, পৃথিবীর অস্তিত্ব নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। নানারকম জৈব-খনিজ পদার্থের সমন্বয়ে একটা গ্রহ বৈ তো আর কিছু না। শুধু পানি আর বাতাস আছে বলে আমরা বাঁইচা থাকতে পারি। কিন্তু এই বেঁচে থাকাটাই সব না, হাওয়া থেকে হাওয়াঘর, হাওয়াপিস্তল, মাটি থেকে মৃত্তিকামন মানুষ ছাড়া আর কে বানাইতে পারে? আর না বানাইলে চলবেই বা কীভাবে!

থ্যাংকস সোম!

৮১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কালীদাস বলেছেন: ইন্টারেস্টিং থিম! ক্রিসমাসের রাতে পড়তে পারলে আরও ভাল লাগত :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! ক্রিসমাসের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।

৮২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৫

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমি কেন যেন অত্যধিক মজা পাই নাই !

বেশি বর্ণনাময় লাগলো, কিছুটা প্রবন্ধ স্টাইল, আমারই ব্যর্থতা মনে হয় ! দুইবার পড়লাম, দেখি আরেকবার পড়ে ।

তবে অভিনব থিম !

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার নিজের কাছেও এই আশঙ্কাটা কাজ করসিলো যে কারো কারো এরকম লাগতে পারে। লেখালেখির ক্ষেত্রে ভাষাটা অনেক সময় নিজের ইচ্ছামত চলে না। ভাবনার সাথে সম্পর্কিত। কোন গল্প ভাবতে গেলে মনে হয় যে এইটায় কাব্যিক ভাব না থাইকাই পারে না, কোন গল্পের পুরাটা জুড়ে হিউমার থাকে আবার কোন কোনটা কাটখোট্টা হয়া যায়।

৮৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৫

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: প্রথম লাইন থেকেই একটা অ্যাট্রাকশন কাজ করছে , তারপর ধীরে ধীরে ডুকে গ্যাছি গল্পের ভেতর ।

এক কথায় চমৎকার , আপনার সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম ভাল গল্প এটি , নিঃসন্দেহ ।

এ গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত , পাঠকরা যেন একটা দর্শনের ভেতর দিয়ে এগিয়েছে । চোখের সামনে ভেসে উঠেছে মরুভুমি তুল্য শিল্প সাহিত্য হীন একটা সমাজের ছবি ।

যেখানে লেখক নিজের সাথেই সব কথা বলেছে , পাঠকদের চিন্তার সুযোগ দেয় নি ।

পাঠকদের কিছু চিন্তার ক্ষেত্র দিলে আরো চমৎকার হত । মোটকথা চিন্তার ক্ষেত্র কম ।

শেষ দিকে এসে একটু চমকে গ্যাছি , ব্যর্থ শিল্পীদের কথা শুনে ।

আমার মতে - ব্যর্থ শিল্পীরা ম্যানিয়াক থেকেও ভয়ংকর , বিশেষ করে যখন রাইটার্স ব্লক শুরু হয় ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা আসলে বেশ কিছু জিনিসের ব্লেন্ড। শিল্প বিষয়ক আমার নিজস্ব দর্শনের সাথে ফ্যান্টাসি এবং সাসপেন্সের মালমশলা যোগ করসি! আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছে জেনে খুশি হলাম। রাইটার্স ব্লকের সময়টা বড়ই খারাপ। ভয় ভয় লাগে!

শুভরাত্রি শহিদুল!

৮৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৫

গাধা মানব বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

৮৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৫

একজনা বলেছেন: আমি ব্লগে নতুন। আপনার লেখার সাথে তাই তেমন পরিচিত না। শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম রবীন্দ্রনাথ অথবা হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে কোনো লেখা হবে হয়তো। আগ্রহ নিয়েই পড়তে শুরু করলাম। তারপর.... ইতিহাস!!

পড়া শেষ করে অনেকক্ষণ মনিটরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। পড়া শেষ হয়েও একটা ঘোর কাজ করছিল। ভাবলাম, এতক্ষণ কি হেলুসিনেসন হল নাকি আমার! কি ছিল এটা এতক্ষন! আপনার মুভি অবসেসন নিয়ে ফিকশন নাকি ফ্যানটাসি! যাই হোক তীব্র চুম্বকার্ষণ ছিল লেখায়। শব্দবিন্যাসগুলো অসাধারণ লেগেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ছোট গল্পের মতন শেষ হয়েও শেষ হলনা। অতৃপ্তি থেকে গেল (কিভাবে মৃত্যু হল সেই ব্যাপারটা আরকি)।

চমৎকার লেখেন আপনি তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

ভালো থাকবেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ! অনুপ্রানিত হলাম আপনার মন্তব্যে। স্বাগতম আমার ব্লগে। হ্যাপি ব্লগিং!

৮৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬

sushama বলেছেন: চক্ষে আমার তৃষ্ণা , পোস্ট টা শেষে মনে হচ্ছিল, মনে আমার তৃষ্ণা, অনেক ভাল লেগেছে :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুষমা! শুভদুপুর।

৮৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৫

অদৃশ্য বলেছেন:


হাসান ভাই....

অনেক সময় লাগলো লিখাটি শেষ করতে... তারপরও এই টাইপের লিখাগুলো পড়বার জন্য নিরিবিলি সময় বেশি ভালো....

ভালো লেগেছে লিখাটি...

শুভকামনা...

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটিকে সময় দেয়ার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

শুভদুপুর।

৮৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০০

সোমহেপি বলেছেন: গ্লিওসিন গ্লসিয়ার এর ভাবনাটা আপনার আগের (কিংবা অন্য আরো কারো ) গল্প সম্পর্কেও বলা যায়।

ঘটনা এখানে না। ঘটনা হইল এমন হইলে সমস্যা কি?কেডা কোন কালে কোন ভাবে সংগা দিয়া গেছে ঐগুলোই মানতে হইব ক্যান?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার যেমন কোন কিছু মেনে লেখার বাধ্যবাধকতা নাই, পাঠকেরও তেমনই স্বাধীনতা আছে তার পাঠ আকাঙ্খা/প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার!

৮৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আমার বর্তমান অবস্থার সাথে কিছুটা মিলে যায়, সিনেমা অত না দেখলেও এককালে বই পড়ার অভ্যাস ছিল, চারটা টাটকা বই হাতের কাছে পড়ে আছে, অথচ পড়ার সুযোগই করে উঠতে পারছি না । জীবনে অনেক হিসাব আইসা পড়ছে, সময়ের ভালই অভাব :(

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও! আফসুস। গত বইমেলার সব বই এখনও পৈড়া শেষ করতে পারি নাই।

শুভ নববর্ষ জাদীদ।

৯০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫২

মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: শব্দের উপর আপনার দখল দেখে আমি সব সময় অবাক হই । অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা । থিমটাও সুন্দর ।সিনেমা শিল্প নিয়ে এমন লেখা কোন দিন পড়ি নি ।

কিছুকিছু জায়গা বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছিল । দ্বিতীয়বারে সেটা কেটে গেছে ।

কামলা দিয়ে আজাইর বইসা ছিলাম । সময় কাটানোর জন্য আপনার ব্লগে ঘুরতে এলাম । পুরাতন লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ছি ।


নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৌরভ! তোমাকেও শুভেচ্ছা।

৯১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

অনীনদিতা বলেছেন: HAPPY NEW YEAR

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: Happy new year!

৯২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

চারণভূমি বলেছেন: একটি উন্নত মানের গল্প। উপভোগ করেছি।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চারণভাই! স্বাগতম আমার ব্লগে।

৯৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

অন্তরন্তর বলেছেন:
হাসান ভাই লিখাটা এক কথায় অপূর্ব।
তিন দিন পরেছি কিন্তু মন্তব্য করতে পারিনি।
আপনার লিখা সবসময় ২/৩ বার পড়তে হয় ।
একজন শক্তিশালী লিখকের অনবদ্য লিখা।
শুভ কামনা এবং ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্তর! আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইলো।

৯৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

মানুষ বলেছেন: মনে হল Equilibrium মুভিটার একটা অংশ, যেটা ক্যামেরাতে ধারণ করা হয়নি।

Happy new year :-)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটা দেখা হয় নাই।

হ্যাপি নিউ ইয়ার!

৯৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: HAPPY NEW YEAR :) :) :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাপি নিউ ইয়ার!

৯৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: গল্পটা আগে একবার পড়েছিলা্‌ম,

ভালো লেগেছে হাসান ভাই।
চিন্তা করি,
এত ছোট ছোট ঘটনাগুলোকে
শেষ প্যারাতে এসে জোড়া দেন কিভাবে।

আসলেই কঠিন।
সত্যি ভালো লাগলো।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফারাহ।

শুভেচ্ছা নতুন বছরের।

৯৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি দেখেছি আপনার গল্পগুলো খুব সুখের সময় পড়া যায়না।কিন্তু পড়ার পর থ হয়ে যেতে হয় এটা সত্য। এখন যেমন!
শিল্প সংস্কৃতি ছাড়া পৃথিবীর কথা ভাবতেই কেমন ভেতর শুকিয়ে যাচ্ছে।

দূর্দান্ত সত্যিই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাফ্লো। নতুন বছর শুভ হোক।

৯৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৭

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আমি যখন কোনো লেখা পড়তে গিয়ে মূলভাব ধরতে ব্যার্থ হই বা দেরী হয় তখন খুব রাগ হয় নিজের উপর।কখনোবা নিজের অসহায়ত্বে নিজেই হাসি।সেই সাথে লেখকের মেধার জন্য ঈর্ষা হয় বৈকি।সামুতে একমাত্র আপনার লেখা পড়তে গেলেই এই অনুভূতিটা কখনো কখনো কাজ করে। স্বীকার করতে আপত্তি নেই আজও তেমন একটা দিন।২য় বার পাঠে বাধ্য হলাম :)

একটা মুভি দেখেছিলাম "ইকুইলিব্রিয়াম"।খানিকটা সেই ধাঁচের লেখা।
মোদ্দাকথা পাঠকের মন কে নিয়ে খেলার ক্ষমতা আপনার আছে।কখনো কখনো মনে হয় কি জানেন ? সবাই গল্প লিখার আগে প্লট ঠিক করে আর আপনি কি লিখলে পাঠকের রিএকশন কেমন হবে সেটা ভেবে প্লট সাজান।জানিনা বুঝাতে পারলাম কিনা নাকি আমি ভুল।তবে একথা স্বীকার করতেই হবে আপনার লেখা যতোই পড়ি কখনো গতানুগতিক মনে হয়নি।

ভালো লাগলো।অনেক অনেক শুভকামনা ভাই।নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনার আর আপুর জন্য।ভালো থাকবেন,খুব ভালো।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চেয়ারম্যান সাব! বহুদিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম। ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।

ইকুইলিব্রিয়াম দেখা হয় নাই। বেশ কয়েকজন এই মুভিটার কথা উল্লেখ করল এখানে। এখন তো না দেখা ফরজ হয়ে গেছে!

আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে প্লট নির্বাচন সবসময় আগে থেকে নির্ধারণ করা থাকে না। যেটা হয় সাধারণত, মূল চিন্তাটা থাকে, ওটা লেখার সময় আরো অনেক কিছু যোগ করা হয়। গত কিছুদিন ধরে গল্পের বিভিন্ন বাঁকে পাঠককে সেইসাথে আমাকেও নিয়ে যেতে উৎসাহী হচ্ছে আমার কলম। এ কারনে বাঁক বাড়ছে, ভ্রমণে ঝাঁকি পাচ্ছি আমরা! লেখার সময় এগুলো চলে আসে, লেখার আগে মূলত থিমটা নিয়েই ভাবি। যেমন এই লেখাটার আগে কয়েক সপ্তাহ শুধু ভেবেছিলাম আমাকে যদি দশটা মুভি দেখার সাথে জীবনের আয়ূ বেঁধে দেয়া হয় তাহলে কীভাবে চলার সিদ্ধান্ত নেব।

আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

৯৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মাক্স বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা:)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা!

১০০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ওফ!!!
মাস্টারপিস!
শুরুতে সায়েন্স ফিকশন মনে হচ্ছিল। আজ থেকে অনেক বছর পরের পৃথিবীতে কি ঘটতে চলেছে এমন কিছু। কিন্তু কিছুটা পড়ার পর বুঝলাম সায়েন্সটা এখানে মুখ্য বিষয় না।
শিল্প- সংস্কৃতি বিহীন পৃথিবীর কথা ভাবা যায়না। অসংখ্য সামাজিক জটিলতা আর রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে শিল্প-সংস্কৃতিই আমাদের বেঁচে থাকার খোঁড়াক জুগিয়ে যাচ্ছে।
আপনার গল্প আমাকে চিন্তার খোঁড়াক যুগিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে লেখার অনেক জায়গা আছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজিম। অনুপ্রাণিত হলাম মন্তব্যে। ভালো থাকুন, সৃজনে থাকুন।

শুভরাত্রি।

১০১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
নতুন বছরের শুভেচ্ছা হা-মা ভাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার তরফ থেকেও শুভেচ্ছা রইলো। ভাল কাটুক ২০১৩।

১০২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ভাই মিষ্টি খাইতে মুন্চায় :) মামনির জন্য অনেক অনেক আদর আর দোয়া রইলো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাদের শুভকামনা সবসময় কাম্য। মিষ্টি খাওয়াইতে পারলে খুশি হইতাম। কিন্তু আপনারে পাই কই!

১০৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অভিনন্দন, ভাই।

ছোট্ট বুড়িটার জন্য অনেক অনেক আদর ও দোয়া..........

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোবাসা পৌঁছে দেবো আমার মেরি পপিন্সের কাছে।

১০৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

ইখতামিন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে!

১০৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

সালমাহ্যাপী বলেছেন: অনেক অনেক টাইম নিয়ে পড়ে গল্পটা শেষ করলাম এবং বুঝলাম।

প্রথম কথা এত সুন্দর করে লিখেন কি করে বা ফিনিশিংটাও খুব মারাত্মক সুন্দর ভাবে দেন। কিভাবে কিভাবে??? আপনারে আসলেই হিংসা হয় :( :)

দ্বিতীয় কথা আরেকটু সহজ করে লিখলে কি হয়??? তাহলেই তো কম কষত করে সহজে বুঝা যায় :(

তৃতীয় কথা আপনাকে দেখি সবাই অভিনন্দন দিচ্ছে।আমিও দিলাম না জেনেই।আর মামনিকেও আদর দিলাম। আর মামনি মিনস কি আপনার মেয়ে?? দ্যাট মিনস আপনি বাবা হয়েছেন??? B:-) !:#P

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সালমা। লেখা বেশি কঠিন হয়ে গেসে? আচ্ছা খেয়াল রাখবো ব্যাপারটা।

আমার একটা মেয়ে হয়েছে গত ৩রা জানুয়ারি। আপনি জানেন না! ফেসবুকে ছবি দিয়েছি তো!

১০৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

পঞ্চপাণ্ডব বলেছেন: চক্ষে আমার লোল :-B

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: তো আমি কী করুম? হুদাই!

১০৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

সালমাহ্যাপী বলেছেন: এখন দেখলাম ভাইয়া।

মাশাল্লাহ অনেক অনেক কিউট হয়েছে। অনেক অনেক অভিনন্দন আপনাদের।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সালমা! এত মানুষের শুভাশীষ পাচ্ছে, আমার মেয়ে নিশ্চয়ই ভাগ্যবতী হবে!

১০৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটা।
অনেক অনেক শুভ কামনা আর অনেক আদর ও দোয়া রইল ছোট্ট মামনির জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা নতুন বছরের এবং বাবা হওয়ার জন্য।
ভালো থাকুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোকেয়া। ভালো থাকুন।

১০৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:
লিখাটা আর ও একবার মন বসিয়ে পড়তে হবে বুঝার জন্য ---
নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।

১১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:
ওহ খেয়াল করিনি --- আপনাদের বাবু মনিটার জন্য দোয়া রইল অনেক

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ উপহার এবং দোয়ার জন্যে। ভালো থাকবেন।

১১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০১

কয়েস সামী বলেছেন: স্বপ্নে দেখলাম আপনে আমারে অনেকগুলা লিংক দিছেন আপনার লেখা নতুন গল্পগুলোর। তাই ঘুম থেকে উঠেই আপনার ব্লগে আসলাম!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবে যে আবার নতুন লেখা দিতে পারবো! :(

১১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

অনির্বান বলেছেন: ব্লগে লেখার আগে কোথায় লিখতেন?


বাবুমনিরে আদর।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখতাম ডায়েরিতে, প্যাডে, ক্লাশনোটে, সেলফোনে!

ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: ঠিক ঠিক, ব্যর্থ প্রেমিকের প্রেমের প্রতি ঘৃণা অপ্রেমিকের চাইতে বেশী অথবা আলাদা। অপ্রেমিক প্রেম নিয়ে মাথাই ঘামায় না, কিন্তু ব্যর্থ প্রেমিক খোজে প্রতিহিংসা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যর্থ প্রেমিকেরা প্রতিহিংসাপরায়ণ খুনী না হয়ে সিজোফ্রেনিক শিল্পী হোক বরঙ।

শুভসন্ধ্যা বারামদী।

১১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

রাজসোহান বলেছেন: গল্পটা অনেক মসৃণ হইছে।

অফটপিকঃ একটা ফুটফুটে গল্প ল্যাখেন নইলে কয়দিন পর বকা খাইবেন মেরি পপিন্স আম্মাজানের কাছে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মেরি পপিন্সের কাছ থেকে বকা শোনার অপেক্ষায় আছি!

১১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

সানজিদা হোসেন বলেছেন: বাবা হওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নবজাতকের সুস্থ্যতা কামনা করি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার বাবুটাও ভালো আছে নিশ্চয়ই।

১১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪২

সেলিম তাহের বলেছেন: ব্লগে আনিয়মিত, তাই সব পোস্ট পড়া হয়ে উঠে না।
এই গল্পটা বিশেষ ভাবে নাড়া দিয়ে গেলো। জয়তু!

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভভোর।

১১৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

ক্ষণিকের আগুন্তক বলেছেন: ভাইয়া আমি আপনার সাথে কি কোন ভাবে যোগাযোগ করতে পারি? ইমেল অথবা ফেসবুক আইডি কি পাওয়া যাবে? বলতে পারেন আমার একটু দরকার ছিল।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা আমার ফেসবুক একাউন্ট

Click This Link

১১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সম্ভবতঃ আমার পড়া ব্লগের প্রথম গল্প ছিল এটা। চিহ্ন রেখে গেলাম।

এবং প্রিয়তে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর!

শুভরাত।

১১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৬

প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং স্বাগতম।

১২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ ।।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.