ধীরলয়ের রানমেশিন

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

সর্ব কনিষ্ঠ ক্যারিবিয়ন টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ১৯৯৩-৯৪ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ধীরলয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং করে সুখ্যাতি অর্জন করা তারকাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রথমদিকেই থাকবেন তিনি। প্রথম ৫৩ টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র ২ টি !!! ২০০৬ সালে ভারত সফর থেকে ক্যারিয়ারের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতে থাকে। ৩ বছরে ৭ সেঞ্চুরি,১৪ হাফ-সেঞ্চুরিসহ গড় করে ফেলেন ৭৩.০৯ মাত্র ২৩ টেস্টেই। তাইবলে সবসময় ধীরলয়েই ব্যাট করেছেন ব্যাপারটি তা নয়। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ দ্রুততম শতক করারও গৌরবও রয়েছে তার। ২০০২-০৩ মৌসুমে গায়ানার বৌরদায় অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান মাত্র ৬৯ বলে !!!

তার ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের পাশে বসেন ২০০৩ সালে,হ্যামিল্টন টেস্টে,নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রহকারী হিসেবে ৬ষ্ঠ স্থানে পৌঁছান ও অ্যালান বর্ডারের ১১,১৭৪ রান অতিক্রম করেন। শচীন টেন্ডুলকারের ১৬ বারের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙ্গে ১৭ বারের মত অপরাজিত থাকেন তিনি।

২০০৫ সালে সম্প্রচারসত্ত্ব নিয়ে সাতজন খেলোয়াড়সহ তৎকালীন অধিনায়ক ব্রায়ান লারা'র সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের বিবাদ ঘটলে অধিনায়কের চেয়ারে বসেন তিনি। শতক দিয়েই উদযাপন করেন অধিনায়কত্ব। গ্রাহাম ডোলিংয়ের পর মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত খেলায় অপরাজিত দ্বি-শতক হাঁকান । ব্যাটিংয়ে আরও অধিক মনোযোগ দেবার অভিপ্রায়ে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন ২০০৬ সালে। হয়ে ওঠেন রান-মেশিন। ১০,০০০ রানের চূড়ায় পৌঁছান ১৪০তম টেস্টে।
৮,৭৭৮ (ওডিআই) ও ১০,৮৩০ (টেস্ট) রান করা এই ক্যারিবিয়ন সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২৫ নভেম্বর,২০১২ সালে,বাংলাদেশের বিপক্ষে।
১৯৭৪ সালের ১৬ আগস্ট গায়ানায় জন্মগ্রহন করেন ক্যারিবিয়ন এই বাহাতি।

শুভ জন্মদিন !!! শিবনারায়ণ চন্দরপল ......

১ টি +০/-০