নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
নির্বাচন যত কাছে আসবে, যোগ-বিয়োগের ঘটনাগুলো ততই বাড়বে। অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেও সেটা দর্শকসমাজ হরহামেশা প্রত্যক্ষ করেছেন । অসংখ্য রাজনৈতিক অভিনেতা পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছেন এবং কোন্ নেতার নামে জিন্দাবাদ দিতে হবে তা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। জিন্দাবাদ ভুল হলে ব্যবসাতো শ্যাস এমনকি ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। তাই খুবই টেনশন নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন অনেকে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বলতে বলতে যিনি মুখ দিয়ে ফেনা তুলতেন, নির্বাচনী হিসাব-নিকাশে তিনি কিভাবে খাল কাটা জিয়ার কীর্তন করবেন তা বার বার আউড়িয়ে নিচ্ছেন। যাতে জনসভায় বা মিডিয়ার সামনে মুখ ফসকে আগের পীরের তাবিজ বেরিয়ে না যায়। বিম্পি থেকে আমলীগ, জামাত থেকে বিম্পি, লুচ্চার লাঙ্গল ছেড়ে একলাফে নৌকায় বা নৌকা থেকে গলাধাক্কা খেয়ে ধানের শীষে..... কি না হচ্ছে বাংলাদেশে। সব সম্ভবের এই দেশে এবারের নির্বাচনে আরো কত যে ভেল্কিবাজী-চিতবাজী অপেক্ষা করছে, সময়েই তা বোঝা যাবে।
এরাই দেশের আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ। দেশ চালান, চালিয়েছেন বছরের পর বছর। জনগণের খেদমত করেন, আবার নীতির কথা-আদর্শের কথা বলতেও ছাড়েন না।
জনগণ শুধু একটা ভোটের মালিক বই তো নয়। ভাত-কাপড়-কাজ-বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিবেন তো সৃষ্টিকর্তা। শুধু মসজিদ-মন্দির বানানোর দায়িত্ব নেতাদের-রাষ্ট্রের। শিক্ষা-চিকিতসা-জীবনের নিরাপত্তা?? ... একটা ভোট দিয়ে এতকিছু দাবী করা তো অন্যায়! তার চেয়ে আল্লা, আল্লা কর বা মুক্তিযুদ্ধ আর বীরদের কীর্তন করো, বাঙালী-বাংলাদেশী নিয়ে উপাদেশ বিতরন করো অথবা ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানরে একটা আচ্ছা মতো বকা দেও.... এটাই তো রাজনীতি। শুধু ভোট দিলে চলবে! নীতির রাজা যে রাজনীতি সেটা বুঝতে হবে না!
দেশ আগাচ্ছে। কারণ দেশ বাবাজীর সামনের দিকে না গিয়ে আর উপায় নেই।
ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে, ধনী-দরীদ্রের ব্যবধান বাড়ছে, ঢাকায় বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে, কৃষকের উতপাদন ব্যয় বাড়ছে, অভিনেতাদের নির্বাচন ব্যয় বাড়ছে, ব্যবসায়ী সুশীলের সংখ্যা বাড়ছে, ঘুষ-দুর্নীতি বাড়ছে, নদী দখল- বাড়ী দখল-জমি দখল বাড়ছে, গার্মেন্টসে বা জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে দুনিয়ার সর্বনিম্ন মজুরীতে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী-ছিনতাই-ডাকাতি-প্রতারণা বাড়ছে, ব্যাংক ফাঁকা করে টাকা লূটের ঘটনা বাড়ছে, রাজনীতিকদের বিলাসিতা-বিদেশ সফর-উন্নত চিকিতসা-গলাবাজী-চাপাবাজী-ধাপ্পাবাজী বাড়ছে, মোবাইল ব্যবসা-সুদখোর-দেশী বিদেশী দালালী বাড়ছে, পানির চেয়েও কম দামে তেল-গ্যাস ব্লক বিক্রি, কয়লা খনি বিক্রি, বন-বাওড় বিক্রি- রেন্টাল কুইকরেন্টালে বিদ্যুত বিক্রি বাড়ছে।.... এত এত এত বাড়াবাড়ির মধ্যেও কোন শালায় বলে দেশ আগাচ্ছে না!! দেশ তো আগাতে বাধ্য। তা না হলে এত এত সুযোগ্য রাজনৈতিক অভিনয় শিল্পীদের এদেশে জন্মই তো বৃথা। তোরা জনগণ তো শুধু একটা ভোটের মালিক, বাকী মালিকানা তো ওই শিল্পীদের, আর আল্লার.... রাজনীতির মঞ্চে অভিনয় যে কত কষ্টের.... বাঙালীরা সেটা বুঝলো না!!
পুকুরচোর-ছুপাচোর, ছাগু-বলদ, মাস্তান-চাঁদাবাজ, নীতিবিক্রেতা-দেশবিক্রেতা, বেহেস্ত বিক্রেতা-তেতুল বিক্রেতা, সংবিধান বিক্রেতা-কমান্ড বিক্রেতা.. সবাই সুবিধামতো মার্কা নিয়ে আপনার সামনে হাজির হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। যাকেই ভোট দেন কোন সমস্যা নেই। ঘুরে ফিরে সেই পাঁচ ভাগ খাউয়া পার্টির দখলে দেশ। আর পচানব্বই ভাগ মানুষের আমড়া চুষতে চুষতে দফারফা সারা।
...... আপনার মালিকানা জাহির করার সময় আসছে। বুড়ো আঙ্গুলের মাথায় কালি লাগাতে রেডি হন....
©somewhere in net ltd.