নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ,২০১৩ মন্ত্রীসভায় অনুমোদন হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো!
না !তেমন কোন নড়াচড়া দেখছি না ফেসবুকার-ব্লগারদের। কোন রকম একটা ইস্যূ পেলেও যারা ঝাঁপিয়ে পড়েন ফেসবুকে! স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দিতে থাকেন তারাও এব্যাপারে যারপরনাই নিরব ।
বুঝলাম, বাঁশেরকেল্লার ছাগুরা মহাখুশি তাই তারা তালিয়া বাজানোর ঠেলায় স্ট্যাটাসের কথাই ভুলে গেছে! বিএনপিও নাস্তিকগো দেখে নেওয়ার একখান মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেয়ে মুখে একখান কলা ঢুকাইছে। হেফাজত তাদের ১৩ দফার গুরুত্বপূর্ণ দফা পূরণ হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ দেয়ায় ব্যস্ত। কিন্তু তার মানে আমলীগার ব্লগার-ফেসবুকাররাও কি মুখে কুলুপ এটে বসে থাকবে! মুক্তমনা, স্বাধীন,মনবতাবাদী, এথিষ্ট ইত্যাদি উপাধীতে যারা নিজেদের সকাল-বিকাল জাহির করেন তারাও কোন টু শব্দটি করবেন না! এতই দলকানা!!
তাইলে কি তারা ধরেই নিয়েছেন যে, লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবেই!এবং তখনই ব্লগ-ফেসবুকে সরকার-লীগের সমালোচনাকারীদের দেড়হাত দেখিয়ে দেবে?
কিন্তু কথা হচ্ছে যদি মহাজোট আবার ক্ষমতায় আসেও তা হলেও তো এই জঘণ্য হেফাজতী মার্কা কালা কানুনের শিকার এড়াতে পারবে না মুক্তমনা ফেসবুকার-ব্লগাররা। এমনকি আমলীগার ব্লগার-ফেসবুকারও এর শিকার হতে বাধ্য।কোন ছোট নেতা যখন অপেক্ষাকৃত বড় নেতার বিরুদ্ধে যাইবো তখনই হেফাজতী আইনের ফান্দে ফেলাইবো! কোন মাফ নাই।
আর যদি বিএনপি জোট ক্ষমতায় আইসেই পড়ে!তাইলে তো খবরই আছে। লীগের পয়দা করা হেফাজতী আইন দিয়েই লীগার ব্লগার-ফেসবুকারগো শায়েস্ত করবো। আর সাথে অন্য সব মুক্তমনাদেরও আমলীগ-জামলীগ ছিল মাইরা হাইকোর্ট দেহাইবো।
আচ্ছা একটা কথা কন দেহি... তত্ত্বাবধায়ক আইলেই সমস্যা! এটা এত তাড়াতাড়ি বুঝে গেলেন আর হেফাজতী মার্কা কালা কানুন বানাইলে কি হইবো কিছুই বুঝতাছেন না! কেন??
আওয়াজ দেন দয়া কইরা!এট্টু আওয়াজ দেন! তা না হইলে হেফাজতী মার্কা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন বুমেরাং হইবো কোন সন্দেহ নাই।
এখন ঠেকাতে না পারলে.....
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ,২০১৩-এর ৫৭ ধারার অপরাধ:
ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি,আইনশৃঙ্খলার অবনতি,ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। ন্যূনতম শাস্তি হবে সাত বছর আর সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই জঘণ্য হেফাজতী মার্কা কালা কানুনের শিকার এড়াতে পারবে না মুক্তমনা ফেসবুকার-ব্লগাররা। এমনকি আমলীগার ব্লগার-ফেসবুকারও এর শিকার হতে বাধ্য।কোন ছোট নেতা যখন অপেক্ষাকৃত বড় নেতার বিরুদ্ধে যাইবো তখনই হেফাজতী আইনের ফান্দে ফেলাইবো! কোন মাফ নাই।
আর যদি বিএনপি জোট ক্ষমতায় আইসেই পড়ে!তাইলে তো খবরই আছে। লীগের পয়দা করা হেফাজতী আইন দিয়েই লীগার ব্লগার-ফেসবুকারগো শায়েস্ত করবো। আর সাথে অন্য সব মুক্তমনাদেরও আমলীগ-জামলীগ ছিল মাইরা হাইকোর্ট দেহাইবো।
আচ্ছা একটা কথা কন দেহি... তত্ত্বাবধায়ক আইলেই সমস্যা! এটা এত তাড়াতাড়ি বুঝে গেলেন আর হেফাজতী মার্কা কালা কানুন বানাইলে কি হইবো কিছুই বুঝতাছেন না! কেন??
আওয়াজ দেন দয়া কইরা!এট্টু আওয়াজ দেন! তা না হইলে হেফাজতী মার্কা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন বুমেরাং হইবো কোন সন্দেহ নাই।
এখন ঠেকাতে না পারলে.....
সাধে কি কয় আত্মঘাতি বাঙালী!!!!!! এরা এমনই! এখঅনে তো আর বিরিয়ানী নাই! সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নাই...
চাইলেই কি শাহবাগ জমানো যায়