নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
বছর পাঁচেক আগের কথা। আমার খুব পরিচিত এক তালাকপ্রাপ্ত মহিলা গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। নাম তার ঝুনু। গরীব বিধবা মা একটু স্বাচ্ছ্যন্দে জীবনযাপনের আশায় নিজের গচ্ছিত পুঁজি এবং ধারদেনা করে বিদেশ পাঠান মেয়েকে। রাসুলের পূণ্যভূমির মানুষকে সেবা করে অর্থ এবং সোয়াব দুটোই কামাতে চেয়েছিলো ঝুনু। কিন্তু সৌদিআরব গিয়েই সে বুঝতে পারে তার মতো মহিলার জন্য সৌদিআরব দোযখের চেয়েও খারাপ জায়গা। গৃহকর্তা এবং তার দুই ছেলে কাজে যোগদানের দিন থেকেই ঝুনুর উপর যৌন নির্যাতন শুরু করে। বাড়ীর গিন্নি গৃহকতৃীও ঝুনুকে স্বামী-ছেলের নির্যাতন মেনে নেয়ার অনুরোধ করে। স্বল্প শিক্ষিত ঝুনু আরবী না বুঝলেও, আকারে-ইঙ্গিতে-কৌশলে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয় কি তার কাজ। ঘর মোছা, ঝাড়ু দেয়া আর বাপ-ছেলেদের যৌন খায়েশ মিটানো। প্রথম প্রথম সেও চেয়েছিলো শত নির্যাতন করলেও সে অনেকদিন পর্যন্ত সৌদি থেকে যাবে এবং অনেক টাকা রোজগার করে তারপর দেশে ফিরে যাবে। কিন্তু ঝুনুর শারীরিক গঠন তিন সৌদি পুরুষের যৌন নির্যাতন সহ্য করার পক্ষে অনুপযোগী ছিলো। কয়েক দিনের মধ্যেই সে বুঝতে পারলো, সে এখানে থাকলে লাশ হয়ে দেশে ফিরবে এবং সেটা খুব দেরিতে নয়। গৃহকর্তা মাঝে মধ্যে কিছু ব্যাথানাশক ওষুধও খেতে দিতো ঝুনুকে। কিন্তু উপর্যপুরি নির্যাতন ঝুনুর শরীর-মন সইতে পারতো না। মাস দু’য়েকের ভিতর চলার শক্তিও ক্ষীণ হয়ে আসে ঝুনুর। অনেক অনুরোধের পর গৃহকর্তৃীর সহায়তায় মার কাছে ফোন করে ঝুনু। মাকে বোঝায় সে, যদি মেয়েকে জীবিত দেখতে চাও তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই যে করে হোক দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে তাকে। নতুবা তার লাশ দেশে ফিরবে এবং সেটা হয়তো দু’এক মাসের মধ্যেই।
মায়ের সে যে কি আহাজারি তখন! মেয়েকে ফেরত নিয়ে আসার জন্য দিক-বিদিক ছোটাছুটি করে সে। শেষ সম্বল গ্রামের একটুকরা বসত-ভিটা বিক্রি করে প্লেনের ফিরতি টিকিটের অর্থ যোগাড় করে ঝুনুর মা। একটা মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায়, সৌদিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায়, সৌদী নামক দোযখ থেকে কপালগুণে জীবীত ফিরে আসে ঝুনু।
ঝুনুর ঘটনা আমার নিজের জানা একটা উদাহরণ মাত্র। এরকম অসংখ্য ঘটনা, অসংখ্য নির্যাতন, উপর্যপুরি যৌন নির্যাতন চলছে সৌদির ঘরে ঘরে। বিদেশ থেকে যাওয়া নারী গৃহপরিচারিকাদের তারা গণিমতের মাল হিসাবেই বিবেচনা করে। আইনও সেখানে ধর্ষকের পক্ষে। প্রথমতঃ বিদেশী হিসাবে সৌদীয়ানদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অভিযোগ দায়ের করা খুবেই কঠিন। দ্বিতীয়তঃ বিচার বা অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ধর্ষিতারই শাস্তি হবে বেশি। তাই একজন বিদেশী গৃহপরিচারিকাকে যৌন নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। এধরণের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই সৌদিতে নারী শ্রমিক পাঠাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু মুসলমানদের দেশ হিসাবে মক্কা-মদিনার পবিত্র ভূমিতে বাংলাদেশী নারীদের কাজ করতে যাওয়ার অনুমতি আছে অনেক আগে থেকেই।
সৌদির শেখদের সামলাতে আবারও গৃহপরিচারিকার কোটায় ৭ লাখ গৃহ যৌনকর্মী নিতে চায় সৌদিআরব। বাংলাদেশ থেকে নতুন করে সৌদিআরবে গৃহ যৌনকর্মী সরবরাহ না করার জন্য অনুরোধ করছি।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
টুনা বলেছেন: স হমত।
যেই কোন অবস্থাতেই সৌদি আরবে খাদ্দামা অর্থাৎ গৃহ পরিচায়িকা কাম যৌনদাসী প্রেরণ বন্ধ করতে হবে। এর জন্য জনমত গঠন করতে হবে। শালারা ইসলামের খাদেম বলে কিন্তু ইসলামের কোথায় মেয়েদের একা অন্যের বাড়িতে বিদেশ বিভূঁইয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন খাদ্দামা অর্থাৎ গৃহ পরিচায়িকা কাম যৌনদাসী প্রেরণ বন্ধ করে দেয়ায় হারামীর বচ্চাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আম্বা -বিম্পি সবাই আছে গদি দখল এবং গদি টিকিয়ে রাখার ধান্ধায়। এই ব্যপারে চিন্তা করার সময় কই? সফি হুজুর কই? গার্মেন্টসে কাজ করলে ইসলাম থাকেনা কিন্তু সৌদি আরবে তাদের বাপদের যৌনদাসী হলে দোষ নাই
সবাই ধান্ধাবাজ
আল্লাহ্ আমাদের মা-বোনদের হেফাজত করুন।আমীন।
ভাল থাকবেন সবাই।
http://www.arabnews.com/news/462543
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
নতুন বলেছেন: আসলেই বিষয়টি বন্ধকরা উচিত...
যেই কোন অবস্থাতেই সৌদি আরবে খাদ্দামা অর্থাৎ গৃহ পরিচায়িকা কাম যৌনদাসী প্রেরণ বন্ধ করতে হবে।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
টুনা বলেছেন: আজকের সৌদি গেজেটের একটা কার্টুন দেখেন-
বলা হচ্ছে গরীব হলেও কেবল বিয়ে করে। পয়সা থাকলে বিয়ের প্রয়োজন নেই
লিংক- http://www.saudigazette.com.sa/
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
ইয়াংেমন বলেছেন: সৌদি আরবে নারীদেরকে পাঠানো বন্ধ করতে হবে।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
কাফের বলেছেন: শালারা পুরাই সাইকো!
গৃহকর্মর বদলে আমাদের দেশী নেড়ী কুত্তা পাঠাইয়া দেয়া হোক ওদের বিগার মিটানোর জন্য।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
আহলান বলেছেন: সৌদিয়ানদের দোষ দেবার আগে নিজ দেশের কথা চিন্তা করি। আমাদের সমাজেও এমন উদাহরণ আছে .... আমরা যেখানে কাজের বুয়া পেতে হিমশিম খাই সেখানে সৌদী যেয়ে কাম করার কি দরকার? কোম করলে থাকা খাওয়ার অভাব হয় এই দেশে? না গ্রামে , না মফস্বলে , না শহরে , সর্বত্র কাজের বুয়ার ডিম্যান্ড এখন আকাশ ছোয়া .... তারপরেও যদি কেউ নিজ দেশ ছেড়ে পরদেশে গিয়ে মারা খাইতে চায় ..তো কি করার আছে ?
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
মশিকুর বলেছেন:
কুলাঙ্গার সবদেশেই থাকে, সৌদিআরবে যে কুলাঙ্গার নাই সেটা কে বললো?
বাংলাদেশের শ্রমিকদের দায়দায়িত্ব কিছুটা বাংলাদেশ সরকারের উপরও পরে, আর যদি দায় না নিতে পারে তাহলে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা উচিৎ(যে কোন দেশে)।
এমনতো না যে সৌদিআরবে গিয়ে কাজ করা ফরজ।
তবে একটি উদাহরন(ধরে নিচ্ছি সত্য) দিয়ে বলা ঠিক না যে, সৌদির প্রতি ঘরে ঘরে চলে নির্যাতন।
বিদেশ(যে কোন দেশ) থেকে ফিরে এসে সবাইই কিছু উলটাপালটা কথা বলে, যা জীবনেও প্রমান করা সম্ভব না। কোন অভিযোগ করলে তা প্রমান করার ক্ষমতা থাকতে হবেরে ভাই!!!, তানা হলে দুনিয়ার সব লোকের বিরুদ্ধেই যে কোন অভিযোগ করা যায়।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
দুনিয়ার সবচেয়ে রেসিস্ট আর বদমাইস জাতি এই সৌদিগুলান। অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মি নিয়োগ বন্ধ করা হোক। কিন্তু বন্ধ করবে কে? সবগুলা আছে টাকার ধান্দায়, দেশের মানুষের কথা কেউ চিন্তা করে না।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
মদন বলেছেন: যেখানের নিজের দেশে মেয়েদের একা ড্রাইভারের সাথে গাড়ীতে বের হতে দেয় না সেখানে অন্য দেশ থেকে কাজের মহিলা আনে কিভাবে?? এখানে কি পর্দার বিধান মওকুফ????
একজন যুবতী মেয়েকে কিভাবে এভাবে একা বিদেশ বিভুয়ে পাঠানো হয় যেখানে তার নিরাপত্তার বিষয়টি কি তার পরিবারও ভাবে না? টাকার কাছে মানুষ এতোটাই অসহায়?
আমাদের সরকারের কথা...
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১২
বিডি আইডল বলেছেন: জানা আপা...উপরের হ্যারিয়ার টু এর মন্তব্যটা দেখার অনুরোধ থাকলো। আপনি নিজেও একজন মহিলা।
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৪
আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ হ্যারিয়ার টু,
পুটুতে চুলকানি বেশী উঠলে মিরিনাল সাবের কাছে যাউ......হে বুলে চুলকাইয়া দিতে উস্তাদ......কুন জায়গাত কুন দাগ আছে ব্যাবাক বুলে মুখস্থ.........।
Click This Link
১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২২
বাঙ্গালীর কুঠার বলেছেন: বর্বর অসভ্য আরব গোষ্ঠীকে সুপথে আনার জন্য আল্লাহপাক সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ(সঃ) কে এত জায়গা থাকতে এই ষ্টুপিডদের ঐজায়গায় পাঠীয়েছিলেন, আল্লাহতায়ালা ভাল ভাবেই জানেন কাকে কোন ঔষধ দিতে হয়। তারপরও কয়লা ধুলেও ময়লা..................।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
আহমদ মোতেয়দ বলেছেন: You said very well, It's really pathetic situation for maids. Not only in KSA all the GCC (Gulf Country Council) (Kuwait, KSA, UAE, Oman, Bahrain, Qatar) countries are same & same situation for all nationalities, whoever come as a maid.