নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লার নিয়মে রুটি ভাগ

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

নাসিরউদ্দিন হোজ্জা নিজের মতো করেই পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাত দেখলেন পথের পাশেই একদল ছেলে জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে। নাসিরউদ্দিন হোজ্জা ছেলেদের দলটার আরো একটু কাছাকাছি আসতেই ছেলেরা তাকে হাত উচিঁয়ে ডাক দিলো। তাদের কাছে যাওয়ার অনুরোধ করলো। হোজ্জা সাহেব পন্ডিত ব্যক্তি হিসাবে সবার কাছেই পরিচিত। তাই ছেলেগুলোও হোজ্জা সাহেবের সহায়তা নিতে চাইলো।

নাসিরউদ্দিন হোজ্জা ছেলেগুলোর কাছে গেলেন। ছেলেগুলোকে জিজ্ঞেস করলেন, কি সমস্যা তোমাদের? আমাকে ডাকলে কেন?

ছেলেরা তাদের রুটিগুলো দেখালো। বললো, তারা গ্রামের এক লোককে সবাই মিলে কাজে সাহায্য করেছে। লোকটা খুশি হয়ে তাদের কিছু পয়সা দিয়েছে। সেই পয়সা দিয়ে তারা দোকান থেকে রুটি কিনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রুটি ভাগকরা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছে তারা। লোকের চেয়ে রুটির পরিমাণ কম। লোক আট জন অথচ রুটি ৭টি। সবাইকে খুশি করে কিভাবে রুটি ভাগ করা যায় তা তারা বুঝতে পারছে না। এই কঠিন কাজটাই তারা নাসিরউদ্দিন হোজ্জাকে করতে অনুরোধ করলো।

নাসিরউদ্দিন হোজ্জা বেশ খুশিই হলেন ছেলেদের কথা শুনে। বললেন, এ তো খুব সোজা কাজ। ৭টি রুটি ৮ জনে ভাগ করে খাবে। সমস্যা কোথায়?

ছেলেরা বললো, না! ভাগটা আপনিই করেন। তাহলে আর কারো কোন আপত্তি থাকবে না। আমরা সবাই শ্রম দিয়েছি, তাই এই ইনামও সবারই প্রাপ্য।

নাসিরউদ্দিন একটু চিন্তা করলেন! তারপর বললেন, আচ্ছা! ভাগ করার দু’টি নিয়ম প্রচলিত আছে। একটা আল্লার নিয়ম! অন্যটা মানুষের নিয়ম। তোমাদের রুটি আমি কি আল্লার নিয়মে ভাগ করবো? না মানুষের নিয়মে?

ছেলেরা উত্তর দিতে একটু ইতস্তত বোধ করলো! এ ওর দিকে একটু মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো! এর মধ্যে একজন বলে উঠলো আল্লার নিয়মে ভাগ করাই তো ভালো। তারপর সবাই একসাথে বললো- হ্যা হোজ্জা সাহেব আপনি আল্লার নিয়মেই রুটিগুলো ভাগ করেন!

হোজ্জা ৭টি রুটি নিজের হাতে নিয়ে নিলো। তারপর প্রথমে যে ছেলেটা আল্লার নিয়মে ভাগ করার পক্ষে কথা বলেছিলো তাকে আস্তো তিনটা রুটি দিয়ে দিলো। ছেলেটার চোখ তো ছানাবড়া। সে যদি তিনটা পায় অন্যরা কি পাবে!

তারপর হোজ্জা অন্য একটি ছেলেকে দুইটা রুটি দিলো। আর এক জনকে দিলো একটা রুটি। অবশিষ্ট একটি রুটির অর্ধেকটা দিয়ে দিলো আর একজনকে। বাকী অর্ধেক ছিড়ে ছিড়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম ছেলের হাতে ধরিয়ে দিলো। অষ্টম ছেলেটা পেলো খুবই ছোট একটি টুকরো।

ছেলেরা সবাই খুবই বিমর্ষ হয়ে গেলো। আরে! হোজ্জা সাহেব এটা কি করলেন? জ্ঞানী মানুষ বলে দেশে-বিদেশে নাসিরউদ্দিন হোজ্জার বেশ নামডাক আছে। কিন্তু তাই বলে আল্লার নিয়মে রুটি ভাগ করার কথা বলে এরকম করলো হোজ্জা! ছেলেরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না।

তিনটা রুটি পাওয়া ছেলেটাই কথা শুরু করলো। সেই মূলত অঘোষিত নেতা এদের মধ্যে। বললো- হোজ্জা সাহেব! আপনি এ কেমন রুটি ভাগ করলেন। আমি তিনটা রুটি পেয়েও তো খুশি হতে পারি নি।

নাসিরউদ্দিন হোজ্জা খুব নরম সুরে বললেন, তোমরাই তো সবাই মিলে বললে আল্লার নিয়মে ভাগ করতে??

সবাই উত্তর দিল, হ্যা! আমরা তো তাই বলেছি! কিন্তু এ কিরকম আল্লার নিয়মে রুটি ভাগ??

হোজ্জা আবারও খুব ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিলেন, তোমাদের বয়স কম! কিন্তু তারপরেও তো আল্লার নিয়মের ভাগ-বাটোয়ারার মধ্যেই তোমরা বড় হচ্ছো। আচ্ছা বলতো এই গ্রামে বড়লোকের সংখ্যা কতজন?

সবাই বললো- ঐতো! চৌধুরীরাই তো শুধু বড়লোক এই গ্রামে!

নাসিরউদ্দিন আবার বললেন, হ্যা! এই গ্রামের মতো সারা দেশের অবস্থাও একই। বড়লোকের সংখ্যা হাতে গোনা, মধ্য বিত্তের সংখ্যা তার চেয়ে একটু বেশি, গরীবের সংখ্যা সেখানে অগণিত। আল্লার নিয়মে তাই গরীবরা খেতে পায়না আর বড়লোকরা খাবার নষ্ট করে। আমিও তোমাদের সেই আল্লার নিয়মেই ভাগ করে দিয়েছি। বড়লোক, মধ্যবিত্ত, নিন্মমধ্যবিত্ত, আর বাকীসব গরীব ও নিস্ব। আল্লার করা শ্রেণীবিভাগই অনুসরণ করতে চেয়েছি।

ছেলেরা আবার বিরক্তির সুরেই জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা মানুষের নিয়মটা কি?

নাসিরউদ্দিন হোজ্জা বললেন, মানুষের নিয়মটাই অনেক বেশি মানবিক নিয়ম! সবাই সমান ভাগ পাওয়াটাই মানুষের নিয়ম।

ছেলেদের মুখে এবার হাসির রেখা দেখা গেলো। বললো- আমাদের আল্লার নিয়মের দরকার নাই। আপনি মানুষের নিয়মেই আমাদের রুটি ভাগ করে দেন। বলেই সবাই নিজ নিজ হাতের রুটি আবার হোজ্জার হাতে তুলে দিলো।

হোজ্জা রুটিগুলো নিয়ে ঘাসের উপর বসে পড়লো। নিজের কাঁধের চাদরখানা ঘাসের উপর বিছিনে নিলো। তারপর রুটিগুলো ছোট ছোট টুকরো করে যতদুর সম্ভব সমান আট ভাগে ভাগ করে চাঁদরের উপর রাখলো। আর বললো- যার যে ভাগ পছন্দ নিয়ে নাও! মানুষের নিয়মে ভাগে কোন সমস্যা নাই।

ছেলেরা তখন মহাখুশি!!

নাসিরউদ্দিন হোজ্জা মিষ্টি সুরে আবার বললেন, তুমি না বললে, তিনটা রুটি পেয়েও তুমি খুশি হতে পারো নি! খুবই মানুষের মতো ভাবনা! আর ঐ বড়লোকগুলো দেখো! এত পেয়েছে! তারপরও আরো পেতে চায়! আরো পেতে চায়! আর গরীবরা না খেয়ে মরে! আল্লার নিয়মে ভাগ-বাটোয়ারা!!



(বেশ আগে পড়া নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্প অবলম্বনে লেখা)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

আদু চাচা বলেছেন: http://min.us/l8IhFbhiUd4sq

http://min.us/lynqjrHYZXjtp

http://min.us/lwiDunImouCA6

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: নাসিরউদ্দিন হোজ্জার এরকম গল্প কেউ লিখে থাকলে, তার বুদ্ধি আর আপনার সমানই হবে।

পৃথিবীটা এমন না, যে মানুষরা জন্মের আগে কোন পরিশ্রম করেছিলো, এখন পৃথিবীতে সেই পারিশ্রামিক ভাগ করে দেয়া হচ্ছে।
বরং পৃথিবীটা মানুষের জন্য একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র মাত্র। আল্লাহ মানুষকে ইবাদত করার জন্য পৃথিবিতে পাঠিয়েছেন।
প্রতিটি মানুষ তার কর্মের ফল আখেরাতে পাবে।
বাধ্যতার পারিশ্রামিক জান্নাতে সন্তুষ্ট হয়ে থাকা আর অবাধ্যতার পারিশ্রামিক জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করা।

পৃথিবীটা বেহেশত না, যে এখানে চাহিবা মাত্র সবাই সব কিছু পেয়ে যাবে আর সন্তুষ্ট থাকবে।
পৃথিবীর জীবনটাই শেষ কথা বা সব কিছু নয়, এটা হলো মানুষের জন্য একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র মাত্র।
আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদের দ্বারা এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা দিয়ে পরীক্ষা করেন।

"অবশ্য ধন-সম্পদে এবং জনসম্পদে তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের কাছে এবং মুশরেকদের কাছে বহু অশোভন উক্তি। আর যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং পরহেযগারী অবলম্বন কর, তবে তা হবে একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার। (Aali Imraan: 186)"

"তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদের কে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তি দাতা এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু। (Al-An'aam: 165)"

"আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। (Taa-Haa: 131) "

"এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। (Al-Baqara: 155)"

মানুষের মর্যাদা কখনোই আল্লাহর সমপর্যায় না, বর‍ং আল্লাহই সব কিছুর শ্রোষ্টা।
কাজেই কোন ব্যাপারেই আপনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি চাইতে পারেননা বরং সকল মানুষকেই আল্লাহর কাছে তার কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
সাম্যবাদের ভুতরাও আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না।

আপনি বলেছেন , "নাসিরউদ্দিন হোজ্জা বললেন, মানুষের নিয়মটাই অনেক বেশি মানবিক নিয়ম! সবাই সমান ভাগ পাওয়াটাই মানুষের নিয়ম।"

মানুষের নিয়ম মানবিক বা অমানবিক দুটোই হতে পারে, কিন্তু কি ভাবে মানুষের নিয়ম আল্লাহর চেয়ে ভাল হতে পারে।
মানুষের তৈরা করা অর্থনৈতিক নিয়মের ভিতর আমরা দেখতে পাই সামন্তবাদ, পুজিবাদ, সাম্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশ ইত্যাদি।
এর সবগুলোর মধ্যেই আছে কিছু সুবিধা থাকলেও অনেক অসুবিধা আছে, যেমন বৈষম্য, সম্পদের অসমবন্টন, শোষন ইত্যাদি।

সাম্যবাদ ব্যাবস্থায় সম্পদে ব্যাক্তি মালিকানা না থাকলে যা হয় সেটা হল, কারখানা মুজুরী দেয়ার ভান করে আর শ্রমিকরা কাজের ভান করে।

এমন যদি হয়, সবাই একদিন সকালে উঠে দেখল প্রত্রেকেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেছ।
সাভাবিক ভাবেই সবাই এই সম্পদ নিজ ইচ্ছামত ভোগ্য পণ্য কেনার জন্য ব্যায় করতে চাবে। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখল, যে কোন বিক্রেতা নেই এবং কেউ পণ্যও উৎপাদন করছে না।
ভাবুন দেখি কি অবস্থা হবে তখন। সে সময় সব কিছু অচল হয়ে যাবে, কারণ এটা জান্নাত নয় যে বিকল্প ব্যাবস্থা থাকবে।
আবার যদি সবাই শ্রমিক হয় তখন মুজুরি দেয়ার কেউ থাকবে না, তখনই বা কি অবস্থা হবে।


"তারা কি আপনার পালনকর্তার রহমত বন্টন করে?
আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছি,
যাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে। তারা যা সঞ্চয় করে, আপনার পালনকর্তার রহমত তদপেক্ষা উত্তম।
(Az-Zukhruf: 32)"

ইসলামি অর্থনৈতিক নিয়মের মধ্যে সবগুলো সুবিধাই রয়েছে অথচ কোন অসুবিধা নেই।
কিন্তু ইসলাম ধর্মে এই সব শ্রেণিপ্রথা এবং বর্ণপ্রথা বা অন্য কোন ভেদাভেদের সমস্যা নেই।
ইসলাম ধর্মই শোষিত-নির্যাতিত মানুষের কথা এবং ধনী-গরীবের পার্থক্য যুক্তিযুক্ত ভাবে কমানোর কথা চিন্তা করেছে।
ইসলাম মানুষের বুস্তুগত এবং মানসিক উভয় সমস্যার সমাধান নিয়ে চিন্তা করে।
এখানে গরীবদের এবং অক্ষমদের জন্য রয়েছে হাদিয়া, সাহায্য, দান, রাস্ট্রীয় ভাতা, বিনা সুদে ঋণ, যাকাত, ফেতরা, সদকা, ইত্যাদি ।

কাজেই সাম্যবাদী রাষ্ট্র বলতে যদি শুধু আর্থিক সমস্যা সমাধানের কথা চিন্তা করা হয়, তবে ইসলাম ধর্মের বিরোধীতা করা অত্যান্ত বোকামি।
কারণ আল্লাহ সম্পদশালীদেকে অন্যদের সাথে সম্পদ ভাগাভাগির কথা বলেছেন।

নীচের আয়াত গুলো দেখুন। -
"আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যা দিয়েছেন,
তা আল্লাহর, রসূলের, তাঁর আত্নীয়-স্বজনের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্যে,
যাতে ধনৈশ্বর্য্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়।
রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর।
নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। (Al-Hashr: 7)"

"তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না।
তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত।
তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। (An-Noor: 22) "


"তিনিই উদ্যান সমূহ সৃষ্টি করেছে-তাও, যা মাচার উপর তুলে দেয়া হয়,
এবং যা মাচার উপর তোলা হয় না এবং খর্জুর বৃক্ষ ও শস্যক্ষেত্র যেসবের স্বাদবিশিষ্ট
এবং যয়তুন ও আনার সৃষ্টি করেছেন-একে অন্যের সাদৃশ্যশীল এবং সাদৃশ্যহীন।
এগুলোর ফল খাও, যখন ফলন্ত হয় এবং হক দান কর কর্তনের সময়ে এবং অপব্যয় করো না।
নিশ্চয় তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। (Al-An'aam: 141)"

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: "নাসিরউদ্দিন হোজ্জা মিষ্টি সুরে আবার বললেন, তুমি না বললে, তিনটা রুটি পেয়েও তুমি খুশি হতে পারো নি! খুবই মানুষের মতো ভাবনা! আর ঐ বড়লোকগুলো দেখো! এত পেয়েছে! তারপরও আরো পেতে চায়! আরো পেতে চায়! আর গরীবরা না খেয়ে মরে! আল্লার নিয়মে ভাগ-বাটোয়ারা!!"

আবারও ভাবুন পৃথিবীতে ঐ ছেলেরা যমন আছে তেমনি ঐ বড়লোকগুলোরাও আছে।
ইসলামে আল্লাহ সম্পদশালীকে সম্পদ ভাগ করে দিতে বলেছন।
একথা বলেননি আরো চাও, আরো জমাও।
এখন যদি কেও সম্পদ ভাগ করতে না চায় তবে সেই দোষতো মানুষেরই হবে।

আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করছেন কাউকে সম্পদ দিয়ে এবং কারো সম্পদের ক্ষতি করে, যে কারা কারা আল্লাহর নির্দেষ মেনে চলে এবং সম্পদ ভাগাভাগি করে।

এভাবেই আল্লাহ সম্পদের একটা ব্যালেন্স রেখেছেন, মানে ইসলামি নিয়মে সম্পদ ভাগাভাগি করলে তা সকলেই পাবে।

আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করবেন ঠিকই, কিন্তু আল্লাহ মানুষকেই সম্পদ ভাগাভাগি করতে নির্দেষ দিয়েছেন।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: গল্পের অতো গভীরে যেতে চাচ্ছিনা।
আমার খুবই ভালো লেগেছে। হোজ্জার রসিকতার তুলনা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.