নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টানা পঞ্চম বছর শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড। তালিকায় শীর্ষ দশে এশিয়ার তিন দেশ থাকলেও ভারতের অবস্থান ৬০তম ও বাংলাদেশের অবস্থান ১১০তম। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এটাই ভারতের সর্বনিম্ন অবস্থান। দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী চীন থেকে ৩১ ধাপ পিছিয়ে। গতকাল বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা প্রতিবেদন ২০১৩-১৪ প্রকাশ করে। উচ্চমানের উদ্ভাবনী গুণসম্পন্ন ও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক দেশগুলোই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বলে সংস্থা জানায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র টানা চার বছরের নিম্নমুখী অবস্থা থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে এবার। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে জার্মানি দুই ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে এসেছে। এশিয়ার আরো দুটি দেশ হংকং সপ্তম এবং জাপান নবম স্থানে রয়েছে।
১৪৮টি দেশের এ প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ১১০তম, নেপাল ১১৭তম, পাকিস্তান ১৩৩তম, ভূটান ১০৯তম, মিয়ানমার ১৩৯তম এবং লাওস ৮১তম অবস্থানে রয়েছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ দেশ ভারতের অবস্থান ৬০তম।
প্রতিবেদনে ভারতের ব্যাপারে বলা হয়েছে, দেশটির মৌলিক খাতগুলোয় হতাশাজনক অর্জনের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়েছে। বলা হয়, দেশটির পরিবহন সরবরাহ, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ও জ্বালানি অবকাঠামো এখনো অপর্যাপ্ত এবং অর্থনৈতিক চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যাশিত নয়।
এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে মালয়েশিয়া। দেশটির অবস্থান ২৪তম। এ ছাড়া ২৯তম স্থান নিয়ে বৃহৎ চারটি উদীয়মান দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে চীন। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান ৫৩তম, ব্রাজিল ৫৬তম, ভারত ৬০তম এবং রাশিয়া ৬৪তম। এ ছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সুইডেনের স্থান ষষ্ঠ, নেদারল্যান্ডস অষ্টম এবং যুক্তরাজ্য দশম স্থানে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস স্যাওয়াব বলেন, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা লালন করার ক্ষেত্রে একটি অর্থনীতির জন্য উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিযোগিতা র্যাং কিং তৈরিতে যে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচাই করা হয় তা হচ্ছে- বিভিন্ন দেশের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ, পণ্য ও বাজার সক্ষমতা, শ্রমবাজার সক্ষমতা, অর্থবাজার উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি, বাজারের আকার, বাণিজ্য ও উদ্ভাবন। হিন্দুস্থান টাইমস, ডাব্লিউইএফ।
©somewhere in net ltd.