নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
ইরানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ লুৎফুল্লাহ সাফি-গোলপায়েগানি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্কে যোগ দেয়া ‘পাপ' এবং ‘আন-ইসলামিক'৷ তবে দেশের আইন অনুযায়ী এসব নেটওয়ার্কের সদস্য হওয়া অবৈধ নয়৷
তবে একটা বিষয়ে দ্বিধা রয়েছে৷ সেটা হচ্ছে, সামাজিক নেটওয়ার্কে যোগ দেয়াটা অবৈধ না হলেও ভিপিএন তথা ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক'এ প্রবেশ করাটা অবৈধ৷ আর ফেসবুক, টুইটারে ঢুকতে হলে ইরানিদের এই ভিপিএন ব্যবস্থায় প্রবেশ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই৷
তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়াচ্ছে? ইরানে যে বর্তমানে দুই কোটি ফেসবুক আর টুইটার ব্যবহারকারী রয়েছে তারা কি আইনবিরোধী কাজ করছে? এসব ব্যবহারকারীর মধ্যে রয়েছেন নতুন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতারাও৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ সম্প্রতি তার টুইটার অ্যাকাউন্টের (https://twitter.com/JZarif) মাধ্যমে ইহুদি নতুন বছর উপলক্ষ্যে ইহুদিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ একই রকম বার্তা এসেছে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির নামে থাকা একটি অ্যাকাউন্ট থেকে৷ যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্টের কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই৷ কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইটার ব্যবহারের কথা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম৷
এদিকে বার্তা সংস্থা ডিপিএ ইরানের বার্তা সংস্থা ‘ফারস' এর বরাত দিয়ে শনিবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার নিয়ে তদন্ত হতে পারে৷ আইন বিষয়ক ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলহাম আমিনজাদেহকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে গেছে৷
উল্লেখ্য, ইরানে প্রায় ৫০ লক্ষ ইন্টারনেট পেজ ব্লক করে দেয়া হয়েছে৷ সরকার মনে করে, সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোতে নিয়োগ করা ‘মহা শয়তান' যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ভয়ংকর গোয়েন্দা অস্ত্র'৷ সূত্র: ডিডব্লিউ
©somewhere in net ltd.