নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
ফেলানীরা কাটাতারে ঝুলে থাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলি খেয়ে! অসহায় গরুব্যবসায়ীদের চোরাকারবারী আখ্যা দিয়ে বলিউডী স্ট্যাইলে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ! আবার ভারতীয় দালালেরা যখন বাংলাদেশী নারীদের পাঁচার করে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে ব্যবসা-নির্যাতন চালায় বা হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলো বাংলাদেশী রোগীর টাকা লুটতে হা করে বসে থাকে বা যখন ইলিশ চোরাচালান হয় তখন তাদের আচরণ ভিন্ন! ভারতীয় স্যাটেলাইট সন্ত্রাস এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে! ভারতীয় পণ্যে বাংলাদেশকে সয়লাব করে ফেলার অবাধ সুযোগ, জলপথের করিডোর, বিদ্যুৎ করিডোর পাওয়ার পাকা বন্দোবস্ত, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তন্ন তন্ন করে খুজে বিনা শর্তে বুশব্যাক! শুধু বিরামহীনভাবে দিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ! বিনিময়ে পাচ্ছে প্রতিশ্রুতির পাহাড়। ছিটমহল সমস্যার সমাধান করবে না তারা, শুকিয়ে মরে গেলেও হবে না তিস্তার জলবন্টন চুক্তি। বাংলাদেশী টেলিভিশনের ছাড়পত্র তাদের দেশে কখনও দেবেনা তারা! অবশ্য একটা জিনিস তারা দিতে যাচ্ছে সময়মতোই, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লার বিষাক্ত গ্যাসে মানুষও মরবে, মরবে সুন্দরবনও! এতকিছুর বিনিময়ে বিশাল পাওনা বাংলাদেশের। বাংলাদেশের মানুষকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে যে তারা মরেনাই!
কাটাতারের বেড়া দিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে ফেললেও সুখ মোটেও আসছে না তাদের। তাই এখন ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত! বাংলাদেশে মোল্লারা যেভাবে লাফাচ্ছে তাতে তো পাকিস্থান হতে আর দেরী নেই! ড্রোনই যেখানে একমাত্র সমাধান!
তারপরও অকৃত্রিম বন্ধ রাষ্ট্র ভারত! গুলি করলেও, ড্রোন হামলা করলেও, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো একই বিবেচনা করলেও.... ভারত মহান!
শুনেছি বাংলাদেশ সরকার ড্রোন মোতায়নের বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা চেয়েছে দিল্লীর কাছে! ব্যাখ্যা তো তারা দিবেই, যেমন ফেলানী হত্যার ঐতিহাসিক বিচার তারা করে ফেলেছে!!
©somewhere in net ltd.