নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে! পাশাপাশি ঘুষ-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-লুটপাটের হারও বাড়ছে সমান তালে।
কৃষকরা কি ঘুষ খায়? কৃষক-শ্রমিক তথা উৎপাদক শ্রেণী কি দুর্নীতি করে? উদয়-অস্ত পরিশ্রম করে যারা মাটির বুক চিরে সোনা ফলাচ্ছে! দেশের অগাছা-পরগাছা সবারই উদর যারা পূরণ করছে! রাষ্ট্রকে যারা সারা জীবন শুধু দিয়েই যাচ্ছে! সেই সব শ্রমজীবী মানুষ যাদেরকে আমরা খেটে খাওয়া মানুষ বলি, তাঁরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন কোন সহায়তাটা পাচ্ছে?? সকল রাষ্ট্রীয় সহায়তা কেন শুধু দুর্নীতিবাজ-লুটেরা শ্রেণীকে আরো মোটা-তাজা করছে??
আসলে কৃষক-শ্রমিকরা দুর্নীতি করতে চাইলেও সেই সুযোগ তাদের সামনে নেই। অথচ দেশ ঘুষ-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-লুটপাটে এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে! এত এত খারপ কাজগুলো করছে কারা তাহলে??
অবশ্যই তথাকথিত একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিতরাই ঘুষ-দুর্নীতি-লুটপাটের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত। তারাই এগুলোর শ্রষ্টা, তারাই পালনকর্তা! যত বড় শিক্ষিত, তত বড় দুর্নীতিবাজ, তত বড় চোর! ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে! তবে সংখ্যাটা এত কম যে মিথ্যার ভিড়ে সত্য ঢাকা পড়ে যাচ্ছে!
কৃষক শ্রমিকের সন্তানও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে উঁচু দরের দুর্নীতিবাজে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষার উদ্দেশ্যও তাই! কত দ্রুত সার্টিফিকেট লাভ করা যায়! কত দ্রুত একটা চাকরী পাওয়া যায়! কত দ্রুত দুর্নীতির নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা যায়! তারপর জনগণের পকেট কেটে, লুটপাট-দুর্নীতি-নির্যাতন করে কত দ্রুত বড়লোক হওয়া যায়!.... এটাই তো শিক্ষার উদ্দেশ্য! জ্ঞানার্জনের জন্য শিক্ষা, সেটা এখন ছাত্র-অবিভাবক সবাই ভুলতে বসেছে!
শিক্ষা ব্যবস্থাও একেবারে সোনায় সোহাগা! কতটুকু দুধে কতটুকু পানি মিশাতে হবে তা ছাত্ররা স্কুলেই শিখে যাচ্ছে। এমনকি কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনও মানুষকে দুর্নীতি থেকে মুক্ত রাখতে পারছে না! কঠোর আস্তিকও নিশ্চিন্তে ঘুষ-সুদ খাচ্ছে! স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বলছে, ভাই একটু নিচেয় গিয়ে দেখেন যে টাকার পরিমাণটা বাড়াতে পারেন কি না? এই ফাকে আমি নামাজটা পড়ে নিই! বা হাসিমুখেই বলছে, হজ্বে যামু, একটু বাড়ায়ে দেন!
তারপরও দেশ আগাচ্ছে! শিক্ষিতের হার বাড়ছে! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-অনুষ্ঠান! দ্রুতগতিতে বাড়ছে বকধার্মীক-ধর্মব্যবসায়ীর সংখ্যাও! বাড়ছে আগাছা! বাড়ছে পরগাছা! বাড়ছে দুর্নীতিবাজ-ঘুষখোর-সুদখোর-লুটপাটকারী!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: এটাকে সু-শিক্ষা বলবো, না কু-শিক্ষা বলবো !
উপরের কমেন্টসটা ভুল এসেছে আশাকরি কেটে দিবেন।