নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
পিতৃত্বে অক্ষমতার জন্য পানীয় জলের গুণাগুণও কারণ হতে পারে। বিশেষ করে অপরিশোধিত জল দীর্ঘ দিন পান করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি বিভাগের গবেষক ঈশিতা দেব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁর যুক্তিকে স্বীকৃতি জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নাল ‘সিস্টেমস বায়োলজি রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন ২০১৩’-তে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত গয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঈশিতা বলেন, “পানীয় জলের গুণাগুণের প্রভাব শুক্রাণুতে পড়ে। অনেক দিন থেকে জলের সঙ্গে আর্সেনিক, সিসা, পারদ প্রভৃতি ভারী ধাতু শরীরে গেলে সেগুলি রক্তে ও শুক্রে মেশে। অতিরিক্ত মদ এবং ধূমপানের ফলে জমা হয় ক্যাডমিয়াম। এগুলি প্রজননের উপযুক্ত শুক্রাণু সৃষ্টিতে বাধার সৃষ্টি করে। শাক-সবজিতে ব্যবহৃত অতি মাত্রায় সারও অনেক ক্ষেত্রে এ জন্য দায়ী হতে পারে।”
বিশেষ করে পানীয় জল নিয়ে দক্ষিণ অসমের পুরুষদের সতর্ক করেছেন ঈশিতা। কারণ বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জল একই প্রকৃতির। প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিতে আর্সেনিকের ব্যাপক প্রভাব ধরা পড়ায় এই অঞ্চলও নিরাপদ নয়। আর ওই জল পান মানেই শক্ত ধাতব পদার্থও গলাধঃকরণ করা।
তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে ঈশিতা দেখিয়েছেন, সন্তান উত্পাদনে অক্ষমতার জন্য অর্ধেক ক্ষেত্রে পুরুষেরা দায়ী। মহিলাদের বন্ধ্যত্ব নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে বলে তিনি পুরুষদের প্রজনন-অক্ষমতার কারণ খতিয়ে দেখতে আগ্রহী হন। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করেন শিলচরের মেডিল্যান্ড ফার্টিলিটি অ্যান্ড টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার-এ।
পরবর্তী কাজ করেছেন অসম ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ-ইস্ট হিলস ইউনিভার্সিটি (নেহু)-র ল্যাবরেটরিতে। তাঁর গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক, অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহুয়া সেনগুপ্ত জানান, স্থানীয় স্ত্রী রোগ চিকিত্সক কুশলকুমার কর প্রথমে প্রজননে অক্ষম পুরুষদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখনই তিনি ঈশিতাকে নিয়ে বরাক উপত্যকার আটটি জায়গার ভূগর্ভস্থ জল সংগ্রহ ও পরীক্ষা করেন। দেখা যায় আর্সেনিক, পারদ ও সিসার মাত্রা সেখানে অধিক। পরে ওই এলাকা থেকে সংগৃহীত শুক্র পরীক্ষা করেও ওই সব ভারী ধাতুর সন্ধান মেলে। সঙ্গে মেলে ক্যাডমিয়ামও।
কুশলবাবুর কথায়, “দক্ষিণ অসমে পুরুষদের সন্তান উত্পাদনের অক্ষমতা বেড়ে যাওয়া বড় উদ্বেগের। দক্ষিণ অসমের জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি সরকারি পরীক্ষাতেই ধরা পড়েছে। সিসা ও পারদের জন্য দায়ী কৃষিকাজে এবং চা-বাগানে সারের ব্যবহার। ওই সার ভূগর্ভের জলে মেশে এবং তাই দীর্ঘ দিন ধরে পান করলে সিসা, পারদের উপস্থিতি শরীরে ধরা পড়ে।” আর ক্যাডমিয়াম?
তিনি বলেন, “ক্যাডমিয়ামের ব্যাপারটা আলাদা। এটা তৈরি হয় অতিরিক্ত ধূমপান থেকে।”
একই জল মহিলারা পান করলে কি তাঁদের ওপরেও প্রভাব পড়বে না? মহুয়াদেবী বলেন, “এ নিয়ে এখনও গবেষণা হয়নি। তবে মহিলাদের একই ধরনের প্রভাব পড়ার কথা নয়। কারণ মহিলারা নির্দিষ্ট মাত্রার প্রজনন কোষ নিয়েই জন্মান। পুরুষদের মতো নিয়মিত তৈরি হয় না।”
তবে কি ভারী ধাতু-যুক্ত জল পান বন্ধ করলে পুরুষরা আবার প্রজনন শক্তি ফিরে পেতে পারেন? তাঁর মতে, এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, যাঁদের শুক্রে একবার ভারী ধাতু মিশে যায়, সেগুলিকে কোনও কালেই পুরোপুরি অপসারণ সম্ভব নয়।
সূত্র: আনন্দবাজার
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
তুষার মানব বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
আবু শাকিল বলেছেন: মাথা ন স্ট ম্যান,শুদ্ধ পানি পামু কই !