নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলকানাদের অন্ডকোষ সমাচার

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গ্রামের এক মিটিংয়ে হন্তদন্ত হয়ে হাজির হলেন গ্রামের বিশিষ্ট মাতবর রাখাল ঢালী। আগে থেকেই পেতে রাখা চৌকিতে বসে পড়লেন নিজের গাম্ভীর্য বজায় রেখেই। কিন্তু বসার সময় ধুতির কাছাটা খুলে গেলো তার। বিবাদমান বিষয়ের উত্তেজনায় মাতবর মহাশয় বুঝতেই পারলেন না ধুতির কাছা খোলার কথা। ফলে এক পাশ দিয়ে একটা অন্ডকোষ ধুতির ফাঁক গলিয়ে উঁকি দিয়ে পড়লো।

গুরুতর অভিযোগ নিয়ে শুরু হলো শুনানী। মাতবর রাখাল ঢালী গম্ভীরভাবে মনোযোগ সহকারে শুনানী শুনছেন। কিন্তু উপস্থিত সালিশদারদের মধ্য হতে হঠাত হঠাত এক এক জন একটু নড়ে চড়ে বসছেন। যে লোকই মাতবরের বেরিয়ে পড়া অন্ডকোষ দেখছেন তিনিই তাড়াতাড়ি ধুতি একটু ফাঁক করে নিজের অন্ডকোষ একটু খানি বের করে দিচ্ছেন। মাতবর বলে কথা। তাকে মান্য তো করতেই হবে। এমনকি তার হুকুম, তার আচরণ, তার চিন্তা সবকিছুই ফলো করা গ্রামের মানুষের কর্তব্য।

নতুন কেউ আসলেও প্রণাম করে সভাস্থালে বসেই যখন মাতবরের কাপড়ের দিকে চোখ যাচ্ছে তখনই মাতবরের মতো অন্ডকোষ বার করে সঠিকভাবে বসতে চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার একই কাজ দুই বার করছেন। মাতবরের ডান পাশের অন্ডকোষ উঁকি দিয়েছে কিন্তু উনি ভুলে বামপাশেরটা বের করে ফেলেছেন। তাই নিজগুণেই আবার সংশোধন করে নিচ্ছেন। মাতবরেরও যে ভুল হতে পারে এটুকু বোঝার মতো বা বুঝলেও ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার মতো যোগ্যতা বা সাহস কারুর নেই।



আপনি আওয়ামী লীগ বা আরো কোন লীগ করেন সেটা কোন সমস্যা নয়। কিন্তু আপনিও যদি অন্ডকোষ বের করে বসেন? সেটাই দেশ ও জাতির জন্য বড় সমস্যা। শতবছর পূর্বের যে মানসিকতা, কুপমন্ডুকতা, অতিভক্তি! আপনি একবিংশ শতকের একটা মানুষ হয়েও যদি সেটাই ফলো করেন? তাহলে আপনাকে তো দলকানা বলতেও মানুষ লজ্জ্বা পাবে!



অ্ন্ডকোষ যারা বের করতে চাচ্ছেন বা ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন তারা একটু বিবেচনা করুন, ধুতির কাছাটা নিজগুণেই আবার সারা যায় কি না!

সুন্দরবন রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের ১০ না ২৫ কিলোমিটার, বা সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে কি হবে না! এসব আপাতত বাদ দেন। শুধু নিচের বিষয়টা চিন্তা করেন!



বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র করলে বিদ্যুতের দাম পড়বে ইউনিট প্রতি ৪ টাকা। আর ভারতের সাথে যৌথ রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম পড়বে ইউনিট প্রতি ৮টাকা ৮৫ পয়সা। তাও যদি ভারত কয়লার দাম না বাড়ায়!

বলেন দেখি, দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিদ্যুত কেনার জন্য আমলীগের কেন এত ব্যস্ততা?? কেন এত গোয়ার্তুমী??

এই হাসিনা সরকারই গত ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর ওরিয়ন গ্রুপের সাথে চুক্তি করেছে তিনটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের। চুক্তি অনুযায়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৫২২ মেগাওয়াটের একটি হবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায়। এছাড়া খুলনার লবণচরা এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র হবে। সরকার মাওয়ার বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে ইউনিট প্রতি চার টাকায় এবং লবনচরা ও আনোয়ারার কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট তিন টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুত কিনবে বলে চুক্তিতে বলা হয়েছে।



দেশী প্রতিষ্ঠান হলে চার টাকা আর ভারতীয় হলে নয় টাকা! বলি টাকা তো আর হাসিনার পকেট থেকে আসবে না? পাবলিকের পকেটই তো কাটা হবে? এতে হাসিনার কি আসে যায়? তার কাছে ৪ টাকা আর ৯ টাকা তো সমানই। কিন্তু গ্রামের যে কৃষক ১২০ টাকা বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতো তাকে এখনই হাসিনার কুইক রেন্টালের ঠেলায় গুনতে হচ্চে ৪ থেকে ৫শত টাকা। রামপালের বিদ্যুত জাতীয় গ্রীডে ঢুকলে ঐ চাষার কি বিদ্যুত ব্যবহারের ক্ষমতা থাকবে??



বুঝলাম আপনি দলকানা? তাই বলে এত? নিজের ভাগে কম পড়লেও বোঝেন না??? অন্ডকোষ বের করতেই হবে? ১৫% বিনিয়োগ করে ৫০% মধু খাওয়া! আর কয়লার ব্যবসা, যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তির ব্যবসা তো আছেই! আবার পাবলিকের ভোটও চান!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

মাসুদ রশিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। চতুর্দিকে অন্ডকোষের ছড়াছড়ি।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সুন্দরবন ধ্বংশ হবে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.