নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
বাংলাদেশের কি এখনও সেই সাহস হয় নি? আমেরিকার চোখ রাঙানীর তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশ কি পারে না সংসদে ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করে একটা প্রস্তাব পাশ করতে???
সমাজতান্ত্রিক বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস গত বুধবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করেছেন। মানবতার পক্ষে গাজাবাসীর পক্ষে তারা জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। আর এদিকে, ইসরাইল প্রশ্নে দক্ষিণ এশীয়ার বৃহত্তম শক্তি ইন্ডিয়া (দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশও এটি) লোকসভায় একটা নিন্দা প্রস্তাব আনতেও ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানের অবস্থানও তথৈবচ। নব্বইভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশেরও তেমন কোন নড়াচড়া চোখে পড়ছে না। সংসদে একদিন একটু আলোচনা, একটা নিন্দা প্রস্তাব- এই পর্যন্তই। ইসরাইলের গাজা আক্রমণ প্রশ্নে বিএনপি-জামাতের অবস্থান আরো করুণ। ঢাকার রাজপথে নিয়মিত প্রতিবাদ-বিক্ষোভ যেটুকু হচ্ছে তা মূলতঃ বামপন্থিরাই করছেন।
বাংলাদেশের ইসলামিক দল দাবীদার, ইসলামের হেফাজতকারী দাবীদারদেরও ইসরাইল প্রশ্নে পরিষ্কার কোন অবস্থান নেই। তসলিমা নাসরিন কিছু কইলেই তিড়িক্কি দিয়ে রাজপথ দাবিয়ে বেড়ায় এরা। নাস্তিকদের কোতল করতে ঘোষণা দেয় ধর্মীয় জলসায় বসে। কিন্তু যখন ইহুদিরা গাজা আক্রমণ করে বা আমেরিকা ইরাক-আফগানিস্তান আক্রমণ করে এরা তখন মিউ মিউ করে আর নিজেদের আন্ডা-বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমেরিকা তখন এদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কম্পোলচারী,আর ইসলাম, মুসলমান, বর্বরতা, যুদ্ধের নামে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ সবকিছুই এই মুমিন সমাজের কাছে তখন অপশনাল!
সৌদি বাদশা থেকে আইএসআইএস ,মিশরের আল সিসি থেকে পাকি-আফগান আল কায়েদা সবাই হামাসকে উচিত শিক্ষা দিতে আর আমেরিকার সেবাদাস হিসাবে নজর কাড়তে ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে তারা ইসলামের নামে হামাসের বদনামই প্রচার করছে।
আবার আসি কিমিউনিস্ট-সমাজতান্ত্রিক ল্যাটিন আমেরিকার কথায়। চিলি ও এল সালভেদর ইতিমধ্যে তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে দেশে তলব করে নিয়েছে। ইকুয়েডর, ব্রাজিল ও পেরুও তাদের রাষ্ট্রদূতদের ইসরাইল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কুটনৈতিক কোন সম্পর্ক নেই সেটা ঠিক। শোনা যায় ইসরাইলের বাংলাদেশ সংক্রান্ত সকল কাজ ঢাকাস্থ আমেরিকান দুতাবাসেই হয়। কিন্তু তারপরও রাষ্ট্র হিসাবে মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে আর নগ্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটা শক্ত অবস্থান অন্তত বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়ার উদ্যোগ তো নেয়া উচিত!
পাঠক লাল গোলদার
০১ আগষ্ট ২০১৪
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
রাজিব বলেছেন: যদি আপনার বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেখানে একটু কষ্ট করে আবার দেখে নিয়েন ইসরায়েল সম্পর্কে কি লেখা আছে। আর পাসপোর্ট না থাকলে যার আছে আর থেকে দেখে নিয়েন।
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: নিয়ামুল ইসলামের সঙ্গে সহমত। যাদের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রের কোনো রকমের সম্পর্ক নাই, তাকে কিছু বলা না বলা সমান।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশ ইজরাইল নামক কোন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতিই যেখানে দেয় নি সেখানে অন্যকিছুর কোন দরকার আছে বলেতো মনে হয় না। আমাদের কাছে ওরা অবৈধ, ওদের সব কাজ এমনিতেই অবৈধ। আর বলিভিয়া ওদের রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা মানবিকতার খাতিরে বলতেই পারে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।