নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসলে লেখার কিছুই নেই

পাটন

আমার আমিকে খুঁজি

পাটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিজ্ঞানীর মহাবিপদ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

গতকাল রাত্রে মহামান্য বিজ্ঞানী নিউটন এসে হাজির।
আমি- কি ব্যাপার আপনি এখানে?
নিউটন- আর বলোনা ভাই,লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে! ছি! ছি!
আমি- কেন কি হয়েছে?
নিউ -আরে বেয়াক্কেল হয়েছে আমার মাথা।
আমি - ওকি আপনি ওভাবে কথা বলছেন কেন? এটাতো বিজ্ঞানীদের ভাষা নয়?
নিউ- আরে রাখ তোমার বিজ্ঞানী! আমি জ্বলছি আমার জ্বালায়!
আমি- একটু খুলে বলা যায়না?
নিউ- আরে গাড়োল আমার তিনটা সূত্র আছে জানো ত?
আমি- তা জানবোনা কেন? কতবার পড়েছি।প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।এভরি ইকুয়েশন হ্যাজ
নিউ- আরে রাখ তোমার হ্যাজ।আমি এখন কি করব তাই বল?
আমি- সমস্যাটা কি সেটাইতো বুঝতে পারছিনা?
নিউ- রাস্কেল,তাহলে খুলেই বলি।বিজ্ঞানীদের প্রত্যেকটা সূত্র সর্বকালের জন্য,সর্বস্থানের জন্য সত্য হতে হয়।কিন্তু আমার এটাতো বাংলাদেশের জন্য আর চলছেনা।
আমি- কেন কেন?
নিউ- তোমাকে নিয়েতো আর পারছিনা।বলি খবর টবর রাখ কিছু?
আমি- রাখি বলেইতো মনে হয়।
নিউ- তাহলে এই যে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় যাহা ঘটলো,কিংবা রামুতে যা ঘটলো তাতে তো বিপরীত প্রতিক্রিয়া হলোনা।মালুরা কি কারো ঘর ভাঙ্গতে পারলো কারও? তাহলে আর আমি ঠিক আছি কই?
আমি- তা রামুর ঘটনার পর এবার আবার ঘটলো।মানুষ অত সূত্র নিয়ে ঘামায় নাকি?
নিউ- তুমি তার বুজবে কি? দু একটি ঘটলে সমস্যা ছিলোনা।কিন্তু এখনতো এটা নিয়মিত হবে।তখন!
তখন কি হবে? এইতো সেদিন প্রেতাত্মাদের সম্মেলনে এই নিয়ে আমাকে জেরা করা হলো।সেবার কোনরকমে পার পেয়েছি।কিন্তু এভাবে বারবার যদি আমি ভুল প্রমানিত হই!
আমি- আমি কি করতে পারি?
নিউ- তুমি বই থেকে এই কথাগুলো উঠিয়ে নেবার একটা ব্যবস্থা করতে পারকি?
আমি- না।
নিউ- না।না কেন?
আমি- আমি হলাম ক্ষ্যামতাহীন,টাকাহীন।টাকা থাকলে না হয় একটা কথা হত।আছে নি টাকা?
নিউ- মরলে কি কেউ রয়্যালিটি দেয়,যে টাকা থাকবে।আমি এখন কি করব? একটা পথ বের কর।অত আশা করে তোমার কাছে এলাম কেন?হায় হায় আমার কি হবে? আমি কি জবাব দিব? ভ্যাঁ
অত বড় বিজ্ঞানীর কান্না দেখে আমি একটা কিছু করবার জন্য মনস্থির করলাম।বললাম এদেশের ব্যবস্থা না হয় একটা আমি করব,কিন্তু!
নিউ- আবার কিন্তু কি?
আমি- পাকিস্তানের কি হবে?
নিউ- কি বলছ? সেখানে কি বিজ্ঞান বই পড়ানো হয়?
আমি- বলাতো যায়না।বিজ্ঞানের সব সুখ সুবিধা সবাই ভোগ করে।তাহলে পড়াতে দোষ কি?
নিউ- সেটা না হয় পড়ে ভাবা যাবে।তুমি কি করবে বলোতো?
আমি- আমার খোঁজে এক ছাইবাবা আছে।তাকে বলব আপনার কথা।লোকটা খুব দয়ালু।তিনি বাংলাদেশের বইয়ের ঐ জায়গাগুলো ছাই দিয়ে লেপ্টে দিবেন।তারপর মানুষ একদিন আপনার সূত্র ভুলে যাবে।কি রকম বুদ্ধি হলো?
নিউ- চমৎকার! আমাকে বাঁচালে।যাই এবার ওদিকটা সামলাই।ওখানেও নিশ্চয়ই তোমার মত কোন না কোন বন্ধু পেয়ে যাব।যাই।ধন্যবাদ।
আমি- যাই বলতে নেই।বলুন আসি।
নিউ- আসি তাহলে।
তিনি উধাও হলেন।আমি ভোরবেলা ছাইবাবার খোঁজে বের হলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

হাবিব শুভ বলেছেন: এখানে ত প্রতিক্রিয়া হলোই। হিন্দু ছেলেটি এডিট করে মূর্তির ছবি লাগিয়েছে। সেটা দেখে হুজুর রা মূর্তি ভাঙছে ।আবার সে ভাঙ্গায় গণজাগরণ মঞ্জ গজিয়ে উঠেছে।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল্লাগসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.