![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও আমি জন্মসূত্রে মুসলিম তবুও আমাকে দ্বিতীয়বারের মত আস্তিক হতে হয়েছে। এই ব্যাপারে আমার নিজের অভিজ্ঞতা আর মতামত সবার সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি এই পোস্টে।
ব্লগে বেশ কিছু নাস্তিক যারা আগে মুসলিম ছিল তাদের অভিজ্ঞতা পড়লাম কিভাবে তারা নাস্তিক হয়েছে। শুরুর দিকের ঘটনাগুলোয় আমার সাথে তাদের অনেক মিল আছে। সেগুলো বলেই শুরু করছি।
ছোট বেলা থেকেই বাবা মার কল্যাণে ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছুই শিখলাম, সব কিছু এতই গভীরভাবে বিশাস করতাম যে ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করার কোন চিন্তাই মাথায় আসতনা। ছোট বেলা থেকেই নামাজ পড়া রোজা রাখা সহ ধর্মীয় পুস্তিকাদি পড়া খুব আগ্রহের সাথেই করতাম। নিয়মিত কোরান পড়তাম, আরবী বাংলা দুই ভাষাতেই কোরান খতম দিয়েছি। নিজের ঈমানের উপর কখনই কোন সন্দেহ ছিলনা। আশ পাশের আর দশটা ছেলের চাইতে আমার ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান আর ইবাদতের পরিমাণ অনেক বেশী ছিল যা নিয়ে আমার মা বাবার গর্বের সীমা ছিলনা।
আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেলাম। আমার চিন্তা ভাবনা আর জানার পরিধি আরও বিস্তৃত হল। ইসলামকে আঘাত করার জন্য নাস্তিকেরা যে তথ্যগুলো পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে সেগুলোও জানতে পারলাম। প্রথম প্রথম খুব অবাক লাগত যে এইসব তথ্যের কথা আমি আগে জানতামনা। মনে মনে খুব কষ্ট পেতাম। এসব ব্যাপার এড়িয়ে চলার কথা ভেবেছিলাম ঈমান চলে যাবে এই ভয়ে। কিন্তু একসময় ভাবলাম ইসলাম যদি সত্যিই হয় তাহলে এর মাঝে লুকোচুরির কিছু থাকা উচিৎ নয়। যাদের জ্ঞান অর্জন করার সামর্থ, ইচ্ছা বা সুযোগ নেই তাদের কাছে লুকোচুরির ব্যাপার থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে নয়। তারপর আরও জানার চেষ্টা করতে থাকলাম। মুসলিমদের তরফ থেকে নাস্তিকদের যুক্তি যখন খন্ডন করা হত সেগুলো পড়ে খুবই আনন্দিত হতাম। কিন্তু জ্ঞান অর্জনের জন্য আমার নেয়া স্ট্র্যাটেজি ভুল ছিল। কেন ভুল ছিল তা পরে আলোচনা করছি। আস্তে আস্তে অবিশ্বাস আমাকে গ্রাস করা শুরু করল। জীবনে প্রথম বারের মত মনে হল, সত্যিইতো সবকিছুর পিছনে একজন স্রষ্টা আছে এমনতো নাও হতে পারে, ইসলাম তো সত্য নাও হতে পারে। আস্তে আস্তে অবিশ্বাস আরও দৃঢ় হল। সব কিছু খুলে আর বলছিনা তবে এটুকুই বলি যে আমার ঈমান খুব ঠুনকো ছিলনা যে সহজেই ভেঙ্গে যাবে। আমি নিজেই বুঝতে পারিনাই যে ঠিক কি কারনে আমি বিশ্বাস হারিয়েছিলাম।
তবে মা বাবা কে এসব কিছুই বললাম না। ভয়ে যে বলিনি তা নয় বরং উনারা শুনলে খুবই কষ্ট পাবেন তাই বলিনি, দুই ভাই এর মাঝে আমিই বেশী ইবাদত করতামতো তাই। দোযখের ভয় আমার বিশ্বাস ফেরাতে পারেনি, তবে এই অবিশ্বাস আমাকে এক ফোঁটা শান্তিও দিতে পারেনি। মা নামাজের কথা জিজ্ঞেস করলে মিথ্যা বলতাম যে পড়েছি। এই মিথ্যাটা বলার পর আমি এতটুকু অনুতপ্ত হতাম না যা আমাকে ভীষণ অবাক করেছিল। না, নাস্তিকতা আমার নীতিবোধ কেড়ে নিতে পারেনি তবে তখন নীতিবোধকে তেমন গুরুত্বপূর্ণও মনে হয়নি। এটা ভেবে সীমাহীন দুঃখ পেতাম যে আমি মরে গেলে চীরদিনের মত অস্তিত্বহীন হয়ে যাব আর কোনদিন কিছুই জানতে পারবনা। জীবনেকেও মাঝে অর্থহীন মনে হয়েছিল। শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আবার আস্তিক হবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু মনে অবিশ্বাস একবার ঢুকে গেলে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা কঠিন। এর মাঝে মা বাবা হজ্ব করে এলেন। প্রচন্ড খুশি মনে হজ্বের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে লাগলেন আর আমি ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হলাম। আমি জানি যে তারা মিথ্যা খুশিতে আত্মহারা হয়ে আছে কিন্তু কিছু বলতেও পারছিলামনা আর নিজেও খুশি হতে পারছিলামনা যদিও কষ্ট করে খুশি হবার ভান করে যাচ্ছিলাম। নাস্তিকতার দীর্ঘ কিছু সময় আমি যে মানসিক কষ্ট ভোগ করেছি তা বর্ণনা করার মত নয়। মূল কারন লুকালেও কারও কাছে লুকাতে পারতামনা যে আমার কোন মানসিক সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন জনের পরামর্শে সাইকিট্রিস্ট দেখিয়েছি এমনকি সিলভা মেথডের মেডিটেশনও করেছি। আমি জানতাম এসব কিছুই আমার সমস্যার সমাধান দিতে পারবেনা।
মনে প্রশ্ন জাগল, অন্য নাস্তিকেরাও কি আমার মত মানিসিক অশান্তিতে থাকে? ভাব সাব দেখে মনে হল যে তারা শান্তিতেই আছে। তাহলে আমার সমস্যাটা কি? ভাবলাম আমি হয়তো নাস্তিক হওয়াটাকে মেনে নিতে পারছিনা। চিন্তা করে দেখলাম এটাও ভুল। আসলে আমি চীরদিনের জন্য হারিয়ে যাব এই ব্যাপারটাই আমার শান্তি কেড়ে নিয়েছিল মনে হয়। তাই এই ব্যাপারটা ভুলে থাকার চেষ্টা করলাম, অন্যান্য কাজে ডুবে থেকে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলাম, যা সত্য তা তো মেনে নিতেই হবে। পুরো শান্তি ফিরে না পেলেও কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলাম।
চিন্তা করা চালিয়ে গেলাম। আমার নাস্তিক হবার পিছনে খুব বড় কারণ খুঁজে পেলামনা। অন্য যারা নাস্তিক হয়েছে তাদের যুক্তিগুলো দেখলাম। খুবই সাধারণ। যেমন মানুষ নিজের প্রয়োজনে ধর্ম বানিয়েছে এমন প্রমান আছে, গরু হালচাষে লাগে বলে হিন্দুরা গরু খাওয়া পাপ বলে চালিয়ে দিল, এমন ধরনের আরও কিছু প্রমান আছে। আবার, আল্লাহকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো যে আল্লাহ তুমি যদি থেকেই থাকো তাহলে আমাকে শাস্তি দাওতো? কোন ফলাফল না পেয়ে বিশ্বাস হারানো। এছাড়া ইসলামের বর্তমান অবস্থা যাচাই করেও অনেকে বিশ্বাস হারায়। কেন মুসলিমদের মাঝে এত ভিন্ন মত? কেন মুসলিমরা এত মিথ্যাবাদী দূর্নীতিবাজ হতে পারে? কেন ইসলাম স্বাধীন ইচ্ছায় এত নিয়ম কানুন করে বাধা দেয়? আল্লাহ কিভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারেন যে গরীব দুঃখি যারা ইসলাম ভাল করে জানার সুযোগ পায়নি অথবা যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর ঘরে জন্ম নিয়েছে কিন্তু অত্যন্ত ভাল মানুষ তাদেরকে দোযখে পাঠাতে পারেন?
হঠাৎ করে একদিন বুঝে ফেললাম মানুষের মৌলিক কিছু সমস্যা আছে যা সম্পর্কে তারা সবসময় সচেতন হতে পারেনা। ইউটিউবে একবার একটা মজার কুইজ দেখেছিলাম, যেখানে সাদা আর কালো ড্রেস পরা কিছু মানুষ মঞ্চে হাঁটাহাঁটি করছে আর একটা ফুটবল একে অন্যের সাথে আদান প্রদান করছে। কুইজে প্রশ্ন ছিল সাদা ড্রেস পরা মানুষগুলো কতবার বল আদান প্রদান করে? সেদিকেই নজর দেয় বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু এদিকে যে একটা কালো গরিলা হঠাৎ মঞ্চে প্রবেশ করে তা সবার চোখ এড়িয়ে যায় কারণ সবার চোখ তখন সাদা মানুষদের দিকে। ভিডিও রিপ্লে করে সবাই গরিলা দেখে অবাক হয়ে যায় যে এটা তাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। ব্লগের আস্তিক নাস্তিক সবারই এই সমস্যা আছে দেখলাম। একবার অবিশ্বাস করার পরেই সব নাস্তিক এর দৃষ্টিভংগী বায়াসড হয়ে যায়, তারা একপাক্ষিক ভাবে শুধু ইসলামের খুঁত গুলোই বের করার চেষ্টা করতে থাকে। একপাক্ষিক মানসিকতা নিয়ে মানুষ যখন কিছু খুঁজে তখন সে শুধু সেগুলোই দেখে যা সে দেখতে চায় এবং সেগুলোই শুনে যা সে শুনতে চায়, অন্য অনেক কিছুই তার দৃষ্টি এড়িয়ে যায় ঠিক ওই গরিলাটার মত।
এভাবেই আমি বুঝতে পারলাম যে ইসলাম সম্পর্কে জানার যেই স্ট্র্যাটেজি আমি নিয়েছিলাম তাতে ভুল ছিল। আবার সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন করে শুরু করব। অনেস্টলি, বিন্দুমাত্র পক্ষপাত মূলক মনোভাব রাখবনা। এই আচরণের জন্যই হয়তো আল্লাহ সত্যের পথ আমার সামনে খুলে দিয়েছিলেন। নতুন ভাবে কোরান পড়া শুরু করলাম, আর সত্য চোখে ভাসতে লাগল। আমি বিশ্বাস ফিরে পেলাম। আমার সব প্রশ্ন দূর হয়ে যায়নি কিন্তু আস্তে আস্তে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাচ্ছি। এভাবে যখন সত্য জানছি তখন খেয়াল করে দেখলাম এখনকার বেশীরভাগ মুসলিম অনেক ভুল ভাবে ইসলামকে জানে আর মানে (এভাবে ভুল বলাটাও মনে হয় ঠিক হলনা, আসলে বলা উচিৎ আমার দৃষ্টিতে ভুল। আমার যুক্তি প্রত্যেকেই স্বাধীন ভাবে চিন্তা করে সঠিক না ভুল তা ঠিক করে নিক, কারও কথাতে প্রভাবিত হয়ে নয়)। আমার নিজের পূর্বের আস্তিক জীবনেও অনেক ভুল খুজে পেলাম, অথচ সেই সময় তা ভুল মনে হয়নি। ট্র্যাডিশনালি এই ভুল ইসলাম জেনেই নাস্তিকেরা ইসলামকে অস্বীকার করে।
এরা যদি একবার ভাবত যে লোকজন দেখে আমি ইসলাম শিখবনা, মানুষের ব্যাখ্যায় আমি আমি ইসলাম বুঝবনা বরং নিজের চেষ্টায় ইসলাম জেনে নিব তাহলে তারা বুঝে যেত কতটা সত্য এই ইসলাম। এরা ভাবে নবী যা যা করেছে তার সব কিছুই অন্ধভাবে অনুসরন করার নাম ইসলাম। মুসলিমরা যেহেতু ভাবে যে নবীর ভুল হওয়া সম্ভব না তাই এরাও ভাবে যে নবীর ভুল হওয়া সম্ভবনা এটা বিশ্বাস করা ইসলামের অংশ। অথচ নবীর (সঃ) কিছু ভুল নিয়ে আল্লাহ কোরানেই বেশ কয়েকবার তিরষ্কার করেছেন। মুসলিমরা ভাবে নবী (সঃ ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, এটা মেনে নিতে তাদের সমস্যা। এটা মেনে নিতে আমার কোন সমস্যা নেই তবে যাদের এটা মেনে নিতে সমস্যা আছে তাদের জন্য সমাধানও আছে। মুহাম্মদ (সঃ ) যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ এবং তাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেননা এটা শুধু মাত্র হাদীসের ভিত্তিতে বলা হয়। কোরানে বরং বলা আছে আল্লাহ রাসুলদের মাঝে একজনকে আরেকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেননি। হাদীস সংকলনের ইতিহাস নিয়েতো নাস্তিকেরা খুব ভাল ভাবেই জানে। আর হাদীস বিশ্বাস করা ঈমানের অংগ না। যাদের এটা মানতে সমস্যা তারা সেটা ইগনোর করুক তাহলেই তো হয়। মুসলিমরা ভাবে যে অমুসলিম মাত্রই কাফির, তাই নাস্তিকেরাও সেটাই ভাবে কিন্তু কখনই কোরান যাচাই করে দেখেনা যে ঠিক কাদের ক্ষেত্রে আল্লাহ কাফির শব্দটা ব্যবহার করেছেন। তারাই কাফির যারা নিশ্চিৎ ভাবে আল্লাহ ও তার নবীদের সম্পর্কে সত্যতা জেনেও তা অস্বীকার করে। আমি যেটা বুঝেছি কোরান অনুযায়ী আজকের শান্তিকামী খ্রীষ্টান বা হিন্দুরাও কাফির নয়। কাফির না থাকলে তাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করারও কোন সুযোগ নেই। মুসলিমরা (এমনকি স্কলাররাও) ভাবে যে মুসলিম না হলে স্বর্গে প্রবেশ করা যাবেনা। আমি বলি নিশ্চয়ই আল্লাহ এ ব্যাপারে ভালো জানেন, তবে কোরানের কিছু আয়াতে স্পষ্ট করে বলা আছে কেউ যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করে, সৎ কাজ করে আর পরকালে বিশ্বাস করে তবে সে ইহুদীই হোক আর খ্রীষ্টানই হোক স্বর্গে যাবে। কিন্তু এর বিপরীত একটা কথাও কোরানে আছে যে কেউ স্বর্গে যেতে চাইলে তাকে ইসলাম ধর্মের হতে হবে। আরও খুঁজে দেখলাম যে ইসলাম নতুন ধর্ম নয়, কোরানে বহুবার বলা আছে যে এটা ইব্রাহীমের ধর্ম, মুহাম্মদ (সঃ ) তুমি নতুন ধর্ম প্রচার করছনা বরং ইব্রাহীমের ধর্মই প্রচার করছ। আমি জানিনা কোনটা সত্য, আল্লাহই ভাল জানেন তবে আমি জানি আল্লাহ অবিচার করবেন না। এমন অনেক উদাহরণ আমি দিতে পারি যা মুসলিমেরা ভুল জানে সেই কারনে নাস্তিকেরাও ভুল জানে। সেসব বিষয়ে আলাদা পোস্ট দেয়া যায় এখানে আর বেশী আলোচনা না করলাম।
আমার বিশ্বাস একটা দিনের জন্য কোন নাস্তিক যদি ধর্মীয় ভাবে নয় একান্ত নিজের মত করে প্রার্থনা করে বলে ‘ইশ্বর তুমি যদি থেকেই থাকো তাহলে সত্যটা আমাকে দেখাও, আমি আবারও সত্য জানার শেষ চেষ্টা ক৬রব, আমি সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করব। তারপরও যদি সত্য না দেখি তাহলে জেনে রেখ তোমার অস্তিত্ব আমি অস্বীকার করব, সেক্ষেত্রে আমি দোষী নই’ তবে আল্লাহ অবশ্যি তাকে সত্য দেখাবেন। কিন্তু এই নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে সত্য খুঁজার মানসিকতা কতজন নাস্তিক দেখাতে পারেন সেটাই প্রশ্ন।সবার জন্য শুভকামনা।
মানুষের জীবন যদি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার মৃত্যু সেই জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। ধর্ম ছাড়া অন্য কোন মতবাদই এত গুরুত্বপূর্ণ এই মৃত্যু কে নিয়ে কোন আলোচনা করতে পারেনা।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা।
২| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:১১
মুসাফির... বলেছেন: ১নং মন্তব্যের সংশোধনী: ২য় লাইনের প্রথম শব্দটি "আপনার" পড়তে হবে।
৩| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:১৭
প্রযুক্তি বলেছেন: বায়াসড শব্দটা দিয়েই সব পরিস্কার হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা আস্তিকরাও কিছুটা বায়াসড যার কারণ হল জ্ঞানের অভাব। আমি এখানে কিছু লোক দেখেছি, যারা বলে তারা নিরপেক্ষ কিন্তু লেখায় তার ছাপ পাইনি। তবে এটা ঠিক যে, নিরপেক্ষ হয়ে সব যাচাই করা কঠিন। আপনার মত একটা কথা আমি আশেপাশের ভাই বোন বন্ধু বান্ধবকে সব সময় বলি যে, আল্লাহ ন্যায়বিচারক। তাই বিভ্রান্তিতে পরার কোন কারণ নেই।
আর একটা কথা অনেকেই বলে যে, আগে ভাল হই। তারপর নামায পড়ব, রোযা রাখব, ধারণাটা ভুল। মানুষ ফেরেস্তা নয় যে ভুল করবেনা। কিন্তু নামায রোযার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। নামায পড়তেই হবে রোযা রাখতেই হবে। এরপর খারাপ ভাল যাই করেননা কেন, সব আল্লাহ বুঝবেন। ঐযে বললাম আল্লাহ ন্যায়বিচারক।
সরল সুন্দর লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমার মনে হয় আস্তিকেরা কিছুটা নয় ভাল ভাবেই বায়াসড, তবে তারপরও সৌভাগ্যক্রমে তারা সঠিক দিকেই বায়াসড হয়েছে। যদিও এই বায়াসড হবার জন্য তাদের এবং সমাজের লাভ হচ্ছে না বরং ক্ষতিই হচ্ছে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৪| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:২০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এরা যদি একবার ভাবত যে লোকজন দেখে আমি ইসলাম শিখবনা, মানুষের ব্যাখ্যায় আমি আমি ইসলাম বুঝবনা বরং নিজের চেষ্টায় ইসলাম জেনে নিব তাহলে তারা বুঝে যেত কতটা সত্য এই ইসলাম।
বেশ ভাল লাগল আপনার লেখাটা পড়ে।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাদের ভাল লাগা মানেই আমার সর্থকতা। ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৪
নাম বলবো না বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক। আমীন।
৬| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৭
ব্লুম্যাজিক বলেছেন: One of the best post I've read. ThankQ very Much.
May Allah Help you to keep this good work up.
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
৭| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৩৫
হাসিব আনোয়ার বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন: ব্লগীয় নাস্তিকদের সৌভাগ্য যে আপনি আস্তিক হয়ে গেছেন। নইলে কোন নাস্তিক যদি এই ধরণের যুক্তি দিতো " যুদ্ধবন্দিনীরা স্বেচ্ছায় পিতা-স্বামী-পুত্রের হত্যাকারীদের শক্তিমত্তা এবং বীরত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে বিছানায় ঝাঁপ দিয়ে ছহবত করে" বিস্তারিত দেখতে , তাহলে একজন নাস্তিক হিসেবে আমাদের বড় ধরণের বিপদে পরতে হতো। এই রকম যুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নাস্তিক আস্তিক হয়ে গেছেন দেখে হাপ ছেড়ে বাঁচলাম বলতে পারেন।
৮| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৩৯
কল্পচারী বলেছেন: Alhumdulillah!
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
৯| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪১
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: তারাই কাফির যারা নিশ্চিৎ ভাবে আল্লাহ ও তার নবীদের সম্পর্কে সত্যতা জেনেও তা অস্বীকার করে।
===============
আপনার কথার মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায়। কেউ যদি নিশ্চিৎভাবে জানতে পারে যে নবী রা সত্য কথাই বলছেন তবে অস্বীকার করবে কেন? নবী সত্য বলছেন বলে নিশ্চিতভাবে জানা মানে তো পরকালে কি শাস্তি আছে সেটাও নিশ্চিৎভাবে জানা। যেই শাস্তির কথা জেনেও কেউ ইচ্ছা করে সত্য অস্বীকার করবে কিসের জন্য?
এই অর্থে ধরলে কাফির বলে কোনো কিছুর অস্তিত্বই থাকে না।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি, সামান্য বড় হতে পারে তাই একটু অপেক্ষা করার অনুরোধ করলাম।
১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: 27:14 ''তারা অন্যায় ও অহংকার করে নিদর্শনাবলীকে প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলো সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল। অতএব দেখুন, অনর্থকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল?''
21:62-68
তারা বললঃ হে ইব্রাহীম তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ?
তিনি বললেনঃ না এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে। অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা কথা বলতে পারে।
অতঃপর মনে মনে চিন্তা করল এবং বললঃ লোক সকল; তোমরাই বে ইনসাফ।
অতঃপর তারা ঝুঁকে গেল মস্তক নত করে, তুমি তো জান যে, এরা কথা বলে না
তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ?
ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরই এবাদত কর, ওদের জন্যে। তোমরা কি বোঝ না?
তারা বললঃ একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও।
কোরান থেকে এগুলো মাত্র কয়েকটা উদাহরণ, যেখানে বুঝা যাচ্ছে অন্যায়, অহংকার আর উদ্ধত আচরণের জন্যই তারা বিশ্বাস করেও অস্বীকার করেছিল। এছাড়া ফিরাউনের কথা বহু জায়গায় কোরানে বলা আছে যেখানে ক্ষমতার দম্ভে মুসা (আঃ ) এর সব কথা বিশ্বাস করেও ফিরাউন অস্বীকার করেছিল।
আবু জেহেল এর মত নিশ্চিৎ কাফিরের কথাও আমরা জানি যে নবী (সঃ ) এর সত্যতা বুঝতে পেরেছিল তবু তাকে ঘৃণা করত শুধু তার নিজের ট্র্যাডিশনের উপর মাত্রাতিরিক্ত ভালবাসার কারনে।
ইতমামুল হুজ্জাহ বলে একটা আরবী শব্দ আছে যার অর্থ ‘বিশ্বাসযোগ্য ভাবে কোন বার্তা সরবরাহ করা যেখানে মনে সন্দেহের কোন অবকাস থাকেনা’। রাসুলগন এর চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে আর কেউ আল্লাহর বানী পৌছাতে পারবেনা। তাই রাসুলদের সময়কার সকল অবিশ্বাসীকেই (যাদের প্রতি ইতমামুল হুজ্জাহর প্রয়োগ ছিল) কাফির বলে গন্য করা যায়। আজকের অবিশ্বাসীরা কাফির কিনা তা শুধু আল্লাহই বলতে পারেন। আমার ধারণা বেশীরভাগ অবিশ্বাসীই কাফির নয়।
কোন অপরাধী যখন বিচারের মুখোমুখি হয় সে জানে যে সে অপরাধ করেছে এবং অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয় এটাও সে জানত। তবু বিচারের সময় সে দাবী করে সে নির্দোষ। খুনের অপরাধ মৃত্যদন্ড জেনেও মানুষ খুন করে। সে ভাবে সে ধরা পড়বেনা। কাফিররাও নিজেদের অহং বোধে আর শয়তানের প্ররোচনায় আর দুনিয়ার প্রলোভনে এতই অন্ধ হয়ে যায় যে তারা ভাবে তাদের কিছু হবেনা, বা হলেও কিছুদিন পর মুক্তি পেয়ে যাবে। এর উদাহরণ কোরানেই আছে। সঠিক আয়াতটি মনে নেই তবে বক্তব্যটা এমন যে ইয়াহুদীরা বলত তারা নবীকে বিশ্বাস করেনা যদিও তারা সকল সত্য দেখত। তারা বলত যে তারাই স্বর্গ যাবে, আর যদিও নরকে যায় কিছুদিন পর স্বর্গে ফিরে আসবে। আল্লাহ প্রশ্ন করেছিলেন যে তারা কি আল্লাহর কাছ থেকে এমন ওয়াদা পেয়েছে?
১০| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৭
নীল_পদ্ম বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ @
মহানবী ( সাঃ ) এর সময় যারা ইসলামের বিরোধীতা করেছিল তাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বাস করত যে মুহাম্মাদ সত্য কথাই বলছেন। তারপরও তারা বিরোধীতা করেছে। লেখক সম্ভবতঃ এই রকম কিছু বলেছেন।
১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার ধারনা ঠিক। উপরে উত্তর দিয়েছি। ধন্যবাদ নীল_পদ্ম ভাই।
১১| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৯
সজীব আকিব বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
সব কিছু খুলে আর বলছিনা তবে এটুকুই বলি যে আমার ঈমান খুব ঠুনকো ছিলনা যে সহজেই ভেঙ্গে যাবে।
> ছোডবেলার ঈমান বড়ই মারাত্মক।
যেহেতু মুছলমানরা আল্লাহর অস্তিত্ব ও কোরানের অলৌকিকতার দাবি করে তাই তা প্রমাণের দায়িত্ব মুছলমানদেরই। কিন্তু তারা কি তা প্রমাণ করতে পেরেছে?
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অন্য অনেকের চেয়ে আপনাকে সত্যি ভাল একজন নাস্তিক হিসেবে জানি। আমার ধারণা নীতিগতভাবে আপনার সাথে আমার তেমন পার্থক্য নেই, শুধু বিশ্বাসগত ভাবে পার্থক্য আছে। আমি যদি ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজের কোন ক্ষতি না করে বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করি, তাতে আমি আস্তিক হলেও আপনার দুঃখিত হবার কারন নেই, যদি না আপনি ইসলাম বিদ্বেষি হয়ে থাকেন। আপনার দেয়া ধন্যবাদ দেখেই বুঝেছি আপনি দুঃখিত হননি।
যেহেতু মুছলমানরা আল্লাহর অস্তিত্ব ও কোরানের অলৌকিকতার দাবি করে তাই তা প্রমাণের দায়িত্ব মুছলমানদেরই। কিন্তু তারা কি তা প্রমাণ করতে পেরেছে?
আপনার দৃষ্টিভংগীর এই ভুলটি নিয়েই আমার পোস্টে আলোচনা করেছি। আমার ধারণা বেশীরভাগ মুসলিম আপনাদের চেয়েও বেশী বায়াসড। মুসলিমরা দাবী করলে করুক, তারা প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে হোক, এগুলো থেকে আপনি কেন সিদ্ধান্ত নিবেন? আপনার নিজের বিবেক বুদ্ধি আছেনা? যেহেতু কোরান দাবী করে যে কোরান অলৌকিক তাই অন্য কে কি ভাবল তা নিয়ে চিন্তা না করে নিরপেক্ষভাবে আপনার কি একবার নিজস্ব চিন্তা করা উচিৎ নয়? নিজের স্বতন্ত্র চিন্তায় যদি কোরান সম্পর্কে কনভিন্সড না হতে পারেন আর সেই চিন্তা করার সময় আপনি যদি সত্যিই সততার আশ্রয় নিয়ে থাকেন তবে আপনি ভুল করলেও আমার ধারণা আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন যদি কোরান সত্য হয়।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১২| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৫৩
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: নীল_পদ্ম@ এটা কি সম্ভব বলে মনে করেন? কেউ বিশ্বাস করে যে মহম্মদ এর বাক্য সত্য, তার বিরোধিতা করলে যাবজ্জীবন নরকবাস। তার পরেও সে কিসের জন্য বিরোধিতা করবে? একটা কারণ তো থাকা চাই বিরোধিতা করার!
১৩| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৫৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খুব ব্যস্ত আছি ভাই সকল, সময় করে সকলের মন্তব্যের জবাব পরে দেব। নজর রাখবেন। ধন্যবাদ।
১৪| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ২:০০
নীল_পদ্ম বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ @
কারণ তো অবশ্যই আছে, এবং সেটা হচ্ছে ইগো। ইগো'র কারণে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। এতদিন ধরে মহানবী ( সাঃ ) এর বিরোধীতা করার পর কিভাবে মুহাম্মদের কথা মেনে নেবে!!!
কিন্তু ভাই, সবই তো ইতিহাসে লেখা আছে। ইসলাম ধর্ম যখন এসেছে তখনকার মানুষও কিন্তু লেখা-পড়া জানত, ইতিহাস লিখত। এমন কিন্তু না যে, মুহাম্মাদের জীবনী বা ইসলামের আগমন রুপকথার গল্প। আপনারা মানেন আর না-ই মানেন, ইতিহাস তো অস্বীকার করতে পারেন না।
যাইহোক, আমি ভাই কম বুদ্ধিমান আস্তিক মানুষ। ইসলাম নিয়ে কোন প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারব না, কারণ, ধর্ম সম্পর্কে খুবই কম জানি। যেটুকু জানি সেটুকু বিশ্বাস করার মত সত্যতা আমার কাছে আছে বলেই আমি মনে করি। আপনারা যেটা (নাস্তিকতা) জানেন সেটাই বিশ্বাস করেন, কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৯
শেলী বলেছেন: আপনার কথাগুলি যেন আমারই কথা।
একটা প্রশ্নের জবাব আমি জানি যেটা হল স্বর্গে যেতে হলে ইসলাম ধর্মেরই হতে হবে কেন? আল্লাহ ত সবসময় ইসলামটাই পাঠিয়েছেন, ইহুদী,খ্রীষ্টান ধর্ম পাঠাননি। ইব্রাহীম থেকে সবাই বলেছেন, আমরা মুসলিম। কিন্তু পরে তাদের অনুসারীরা তাদের ধর্মটা পাল্টিয়ে নিয়েছেন।
ইসলাম মানে হল আত্মসমর্পন। আর মুসলিম মানে আত্মসমর্পনকারী। যে কেউ আত্মসমর্পন করবে সেই আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ শেলী।
জ্বী আপনি ঠিকই বুঝেছেন, আমিও আসলে তাই বুঝাতে চেয়েছি। কোরানে মিনিমাম চার/পাঁচ বার বলা হয়েছে ইসলাম নতুন ধর্ম নয়, বরং ইব্রাহীম (আঃ ) থেকেই মূল ইসলাম শুরু হয়। তাই যারা শিরক না করে, পরকালে বিশ্বাস করে আর সৎ কাজ করে এমন ইহুদী খ্রীস্টান স্বর্গে যাবেনা আমরা তা বলে দিতে পারিনা, আল্লাহ নিজেই বিচার করবেন যা হবে ন্যায় বিচার।
১৬| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৪
শিশির সিন্ধু বলেছেন: ভালো লাগলো
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সত্যিই? ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৪
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: তাই? আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ২:৫৪
রাহীম বলেছেন: মুহাম্মদ (সাঃ) এর যুগে অনেক কাফের ছিল তারা কোনদিন মুহাম্মদ (সাঃ) এর চরিত্র নিয়ে কোন সন্দিহান ছিলনা, তারাই তাকে আল আমীন বা বিশ্বাসী বলে উপাধি দিয়েছে ।
ঐ যুগে আরবী ভাষার উপর বড় -বড় কবি সাহিত্যিক ছিল তারা ছিল ইসলামের দুশমন, তারা একবাক্য এটা স্বীকার করে নিয়েছে এই কোরআন মানব রচিত নয় ।
চিন্তাশীল লোকদের কাছে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলবো , ভাইয়েরা আপনারা চিন্তা করুন: মুহাম্মদ (সাঃ) যিনি কোনদিন কোন বিদ্যালয় বা কোন শিক্ষালয়ে যাননি । যিনি লিখতে বা পড়তে কিছুই যানেননা অথ্যাৎ উম্মি তার পক্ষে কি এমন কোরআন রচনা করা সম্ভব!
আপনারা সন্দেহ করে বা না জেনে অন্যান্য মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন।
তাদের পাপ ও আপনাদের বহন করতে হবে ।
আপনাদের কাছে কি কোন প্রমাণ রয়েছে যে, হিসাব -নিকাশ হবে না ??
১৯| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩০
আমি কেউ না বলেছেন: +
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৫
মুসাফির... বলেছেন: নাস্তিকদের তেনা পেচানী আর যুক্তির বহর দেখুন এই লিন্কে:
১৪০০ বছরের পুরাতন ধর্ম বনাম আধুনিক বিজ্ঞানের অহঙ্কার...
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার লেখাটি সময় করে পড়ব।
২১| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১০
রৌদ্রবালিকা বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো...
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ।
২২| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১২
মারুফ৫৭১ বলেছেন: সব কিছুই মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে...
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই কারও কথায় বা দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রভাবিত হইয়েননা। নিজে সত্য জানার চেষ্টা করুন, ইনশাল্লাহ মাথার উপর দিয়ে যাবেনা।
২৩| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:২০
কাকপাখি ২ বলেছেন: মানুষের জীবন যদি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার মৃত্যু সেই জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। ধর্ম ছাড়া অন্য কোন মতবাদই এত গুরুত্বপূর্ণ এই মৃত্যু কে নিয়ে কোন আলোচনা করতে পারেনা।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জ্বী ভাই, এই মৃত্যুর পর যদি কিছু নাই থাকে তাহলে দুনিয়াতে এত মানবতা, ন্যায় নীতি ইত্যাদির সত্যিকার ভাবে কোন মূল্য নেই। কারণ জীবন খুবই সীমিত, কি আসে যায়?
২৪| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৩২
এস এইচ খান বলেছেন: আপনার এ সহজবোধ্য লেখাটিতে নাস্তিক এবং আস্তিক উভয়ের জন্য চিন্তার খোড়াক রয়েছে।
ধন্যবাদ চমৎকার লিখার জন্য।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লেখাটি সহজবোধ্য করতে পেরেছি বলে আল্লাহকে ধন্যবাদ।
আপনি পোস্টের মূল বক্তব্য ধরতে পেরেছেন ভাই। এই লেখাটি আমি আস্তিক নাস্তিক দুই পক্ষকেই আলাদা ভাবে উদ্দেশ্য করে লিখেছি, আমার ধারণা সবাই অন্তত একবার নতুন ভাবে চিন্তা করবে।
বিষয়টি বুঝার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৫| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৪৭
উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: সরল, সহজ এবং সুন্দর
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম।
২৬| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৫
মো: সালাউদ্দিন ফয়সাল বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার প্রকাশ করার ভঙ্গি। লেখা চালিয়ে যান।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন।
২৭| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২৩
শোভন এক্স বলেছেন: আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে, আপনি যেটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করবেন সেটাই বিশ্বাস করবেন। আপনাকে অভিনন্দন।
আপনি বলেছেন "একবার অবিশ্বাস করার পরেই সব নাস্তিক এর দৃষ্টিভংগী বায়াসড হয়ে যায়, তারা একপাক্ষিক ভাবে শুধু ইসলামের খুঁত গুলোই বের করার চেষ্টা করতে থাকে।"
- এই কথাটা বিপরীতভাবেও বলা যায়, আস্তিক হলেও দৃস্টিভঙ্গী বায়াসড হয়ে যায়। আমরা সব সময় আমাদের বিশ্বাস বা ধারনার প্রতি বায়াসড। যদি পক্ষে-বিপক্ষের সব যুক্তি নিয়েই স্টাডি করতে থাকেন, আপনার ধারনা আবারো বলদে যেতে পারে। এজন্য হুজুররা পরামর্শ দেবে শুধু নামাজ কোরান নিয়ে থাকতে হবে, যিকির করতে হবে, যাতে মগজ ফ্রী না থাকে এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অন্য অনেকের চেয়ে সজীব আকিব, পারভেজ আলমের মত আপনাকেও সত্যি ভাল একজন নাস্তিক হিসেবে জানি। আমার ধারণা নীতিগতভাবে আপনার সাথে আমার তেমন পার্থক্য নেই, শুধু বিশ্বাসগত ভাবে পার্থক্য আছে। আমি যদি ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজের কোন ক্ষতি না করে বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করি, তাতে আমি আস্তিক হলেও আপনার দুঃখিত হবার কারন নেই, যদি না আপনি ইসলাম বিদ্বেষি হয়ে থাকেন। আপনার দেয়া অভিনন্দন দেখেই বুঝেছি আপনি দুঃখিত হননি।
আপনি যে লাইনটি কোট করেছেন তার আগের লাইনেই আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আস্তিকেরাও বায়াসড। আমার মনে হয় আস্তিকেরা নাস্তিকের চাইতেও বেশী বায়াসড, তবে তারপরও সৌভাগ্যক্রমে (আমার ধারণা অনুযায়ী) তারা সঠিক দিকেই বায়াসড হয়েছে। যদিও এই বায়াসড হবার জন্য তাদের এবং সমাজের লাভ হচ্ছে না বরং ক্ষতিই হচ্ছে।
আপনি বললেনঃ যদি পক্ষে-বিপক্ষের সব যুক্তি নিয়েই স্টাডি করতে থাকেন, আপনার ধারনা আবারো বলদে যেতে পারে। এজন্য হুজুররা পরামর্শ দেবে শুধু নামাজ কোরান নিয়ে থাকতে হবে, যিকির করতে হবে, যাতে মগজ ফ্রী না থাকে এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য।
আপনার কি ধারণা বিপক্ষের সব যুক্তি ভালভাবে স্টাডি না করেই আমি দৃঢ় বিশ্বাসী থেকে নাস্তিকে পরিণত হয়েছিলাম? আমি কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় নাস্তিক ছিলাম আর দোজখের ভয় আমাকে আস্তিক হবার জন্য প্রভাবিত করতে পারেনি। হুজুররা কি পরামর্শ দেয় সেটা আমি কিন্তু খুব ভাল করে জানি। আমি এসবের সাথে খুব ভালভাবে ইনভলভড ছিলাম। সে জন্যই আমি এর প্রভাব জানি। তাই আমি যখন নিরপেক্ষ হয়ে চিন্তা করেছিলাম তখন নামাজ, রোজা, জিকির ইত্যাদির কাছ থেকে দূরেই ছিলাম, মগজ ফ্রী রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে সফল হয়েছিলাম।একটা কথা ভেবে দেখবেন তখন কিন্তু আমার নাস্তিক হবার দিকেই বায়াসড হবার বেশী সম্ভাবনা ছিল যেহেতু আমি বিশ্বাস হারিয়েছিলাম, আর আমি অন্য কারো যুক্তি নিয়ে যতনা চিন্তা করেছি তার চেয়ে বেশী করেছি নিজে বুঝা যুক্তি নিয়ে। ভবিষ্যতে যদি আমার এই ধারণা বদলেও যায় আমি এটা অন্তত জানি যে আমি অনেস্টলি সত্য খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম। পরে যদি দেখা যায় সত্যি আল্লাহ আছেন তাহলে আমি আল্লাহকে এটা অন্তত বলতে পারব যে আল্লাহ আমি সৎ ভাবে চেষ্টা করেছিলাম তুমি ন্যায় বিচারক হলে ন্যায় বিচার কর। আপনার প্রতিও এই অনুরোধ রইল, সত্যি বায়াসড না হয়ে, কারও যুক্তি না শুনে নিজের যুক্তির দিকে মনযোগ দিয়ে খুঁজুন, তার পরও যদি কনভিন্সড না হতে পারেন তাহলে আপনার খুব বেশী দোষ দেয়া যাবেনা।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২২
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আসলেই নাস্তিক/কিংবা আস্তিক..........ম্যাক্সিমামই বায়াসড........।
কিন্তু আমরা ইসলামিক জ্ঞানের অভাবে....... মুখস্তবিদ্যায় নামাজ পড়ি....রোযা রাখি.....মুসলিম সাজি.....। ইসলামবিরোধী কোন চিন্তা আসলে পাছে আল্লাহ নারাজ হন.....কিংবা গুনাহ হয় সে ভয়তে সব সময় চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করি। এটাই কি ইসলাম.....?
ইসলাম সম্বন্ধে নিতান্তই মূর্খ বলে বেশি কিছু বলার সাহস পেলামনা........তবে আপনার লেখাটা আসলেই চমৎকার......।
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি পোস্টের মূল বক্তব্য ধরতে পেরেছেন ভাই। এই লেখাটি আমি আস্তিক নাস্তিক দুই পক্ষকেই আলাদা ভাবে উদ্দেশ্য করে লিখেছি, আমার ধারণা সবাই অন্তত একবার নতুন ভাবে চিন্তা করবে।
বিষয়টি বুঝার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এখন থেকে আর বায়াসড হবেননা। নিজেই সত্য জানার চেষ্টা করবেন।
২৯| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪
এম এস জুলহাস বলেছেন:
বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখা।
Click This Link
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লেখাটাও বেশ ভাল লেগেছে আমার।
৩০| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০২
অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: অসাধারন লাগলো আপনার লেখা...++
ভালো থাকবেন
১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও ভাল থাকবেন। কলম দাদীকে নিয়ে আপনাদের উদ্যোগ আমার মন কেড়ে নিয়েছিল। আপনাকে স্বাধুবাদ।
৩১| ১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২
অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: আমার নিজের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি লেখাটার মধ্যে!
আপনি গোঁড়ামির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে আস্তিকতা আর নাস্তিকতাকে দেখেছেন, তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমিও ঠিক একই কাজ করেছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ মুসলমান তাদের মনে সন্দেহ থাকলেও এই কাজটা করতে চায়না, মনে খুঁতখুঁতানি নিয়েই জীবন পার করে। অথচ আল্লাহই বলেছেন সৃষ্টির মধ্যে তাঁকে খুঁজে নিতে, তিনি যে প্রখর মস্তিষ্ক দিয়েছেন সেটা দিয়ে সব বিবেচনা করতে।
এটা সত্যি ইসলামের দুর্ভাগ্য(কিংবা আল্লাহরই কোন পরীক্ষা!) যে সম্ভবত ইসলাম ধর্মই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিকৃত হয়েছে। বা বলা যায় সুবিধাবাদীরাই বছরের পর বছর ধরে এই কাজটা করেছে।
আমি ব্লগিং্যের শুরুতে নাস্তিকদের সাথে তর্ক শুরু করেছিলাম। কিন্তু একটূ সাদা চোখে দেখলেই কিন্তু এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কায়দাটা বোঝা সম্ভব! সেটা বোঝার পর থেকেই তর্ক বন্ধ করে দিয়েছি। আপনি তো একবার অন্তত নিরপেক্ষভাবে পুরো ব্যাপারটা নিজের মতো করে যাচাই করেছেন, এরা কখনোই সেটা করবেনা! নাস্তিকতা সোজা কথায় জিদ বা অহংকার ধরনের কিছু, সেটা এরা নিজেরাও ভাল করে জানে, পাছে ইগোতে ঘা পড়ে, তাই কখনো ভুলেও ধর্মের ভাল কিছু চোখে পড়েনা।
শব্দের জট, এখান-সেখান থেকে তুলে আনা হাদিস, লাদেন, ধর্মোন্মাদনা হচ্ছে এদের অস্ত্র। আপনি একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন... আমাদের ইসলাম সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে আমরা নিজস্ব জ্ঞান থেকে যতোদূর সম্ভব বলতে পারি, নিজেদের ধর্মটাকে ব্যাখ্যা করতে পারি, এরা সেটা পারেনা। এ সম্বন্ধে কথা উঠলেই শুরু করে কোথায় কোন হুজুর কি অপরাধ করেছে, কোথায় বোমা ফেলেছে... অথচ নিজেদের বিশ্বাস(কিংবা অবিশ্বাস!) সম্বন্ধে স্পষ্ট কোন বক্তব্য দিতে পারেনা। সেই পুরনো কথা... মানবতাই নাস্তিকতার ধর্ম, মানুষের উপকারই নাস্তিকের জীবনের লক্ষ্য... ইত্যাদি ইত্যাদি। হায়রে... তসলিমা, হুমায়ূন আজাদের রগরগে চুলকানি মূলক লেখাই যদি মানবতার চাবিকাঠি হয়, তাহলে থুতু মারি নাস্তিকতার মুখে।
আরেকটা মুখস্থ কথা আছে 'প্রকৃতি।' অতি হাস্যকর। যদি জিজ্ঞেস করা হয় প্রকৃতি কি, ত্যানা প্যাঁচানি স্পষ্ট। যদিও শেষমেষ সবকিছু আমাদের উপরই চাপানো হবে।
আলবার্ট আইনস্টাইন নামক ব্লগার বিরাট উৎসাহ নিয়ে কয়দিন ধরে আস্তিকতার বিরূদ্ধে 'চরম' কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। দেখে আমার বেশ হাসি পেয়েছে। আমার পুরনো কিছু নাস্তিক বন্ধু এখনো আছে... তাদের তুলনায় এই লোকটা নাস্তকতার দিক দিয়ে মহা মূর্খ! এবং টোটালি বায়াসড। ওই পোস্টে গিয়ে নাস্তিকদের আস্ফালন দেখে মজাই পেয়েছি।
আপনার মতো আমিও যেহেতু একসময় নাস্তিকতার দিকে খুব ঝুঁকে পড়েছিলাম, তাই এই ব্যাপারটা বুঝি। আর আমার মনে হয়, অনেক নাস্তিকই মানসিকতার দিকে দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের চেয়ে অনেক বেশি বায়াসড। এই ব্লগেই কোন একটা পোস্টে একবার দেখেছিলাম রাসূল(সা.) কে হোমোসেক্সুয়াল প্রমাণ করার জন্যে লিঙ্ক দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছেন! কি বলবেন এদের?? অবিশ্বাসের বিষবাষ্পে উন্মাদ??
আমার কোন নাস্তিক বন্ধু আপনার পোস্ট, এই কমেন্ট পড়লে বলবে, এরকম 'নাস্তিকতা টাইপ ইসলাম' দিয়ে কি হবে! এই ব্লগের নাস্তিকরাও এমন কথা বলবেন নিঃসন্দেহে, আপনি বিশ্বাসকে ডিফেন্ড করার জন্যে রাস্তা খুঁজছেন। প্রকৃত ব্যাপার হল, ডিফেন্ড করতে আমার বয়ে যায়নি, আমার নিজের যুক্তি, বিশ্বাস আমার কাছে ১০০% ঠিক আছে। কিন্তু ফুটবলে যেমন স্ট্রাইকারও ডিফেন্ডারের মতো বল ক্লিয়ার করে প্রয়োজনের সময়, তেমনি নাস্তিকদের প্রয়োজনেই এই 'ডিফেন্ড' করতে হয়। আমার চোখে এটাই অফেন্স, এটাই আমার বিশ্বাসের ভিত্তি।
আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি ভাল লেগেছে
আশা করি নাস্তিকদের চিরাচরিত প্যানপ্যানানির ভালোই জবাব দেবেন!
১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার সব কথার সাথে পুরোপুরি সহমত। একবার যখন নাস্তিক হতে পেরেছিলাম তখন আমার কোন ঠেকা ছিলনা যে ভালমানুষ হয়ে নিজের মত করে ইসলাম পালন করতে হবে। আমি সত্য জেনেই ইসলামে ফিরে এসেছি।
সন্দেহ থাকলেও অনেক মুসলিম ইসলামকে প্রশ্ন করতে ভয় পায় তার মূল কারণ এই যে তারা জানে জ্ঞান অর্জন করার সামর্থ, যোগ্যতা, ইচ্ছা বা সুযোগ কোন একটা তাদের নেই। সে কারণেই অজ্ঞতার মাঝে নিজেকে আটকে রেখে নিজের, দেশের, দশের, ইসলামের সবারই সামান্য হলেও ক্ষতি করে যাচ্ছে নিজেরই অজান্তে।
এর সুযোগ নিয়েই কিছু ইসলাম বিদ্বেষী তাদের কাজ করে যাচ্ছে। তবে এসব করে ইসলামের প্রচার এবং প্রসার কিছুই তারা রোধ করতে পারছেনা।
ভাল থাকবেন।
১২ ই মে, ২০১১ রাত ৮:২৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: এর সুযোগ নিয়েই কিছু ইসলাম বিদ্বেষী তাদের কাজ করে যাচ্ছে। তবে এসব করে ইসলামের প্রচার এবং প্রসার কিছুই তারা রোধ করতে পারছেনা।
এর সাথে অবশ্যই যোগ করতে হবে যে, এর সুযোগ নিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীরা আরও হাজারগুন ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
৩২| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৫০
শেলী বলেছেন: আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
যে পাপগুলির জন্য মুসলিমরা দোযখে যাবে তার সবগুলিই মানসিক রোগ,যেমন পরকিয়া,হিংসা,হোমো। তাহলে কি মানসিক রোগীরা দোযখে যাবে? আমার যদিও মনে হয় মানুষ যতখানি কন্ট্রোল করতে পারে নিজেকে ততখানির উপর টেষ্ট হয়,তার পরও এই প্রশ্নটা আমার মনে আসে, কারন আমি জানি এবং বিশ্বাস করি যে রাগ করা খারাপ, জেনেও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা। এমন অনেক মানুষ আছে যারা জানে তারা খারাপ কাজ করছে তবু তারা তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছেনা।
আগের প্রশ্নটার সাথে মিলিয়ে আরেকটা প্রশ্ন, আত্মহত্যা অনেকে করে যাদের নিজের মনের উপর কন্ট্রোল থাকেনা। বিশেষ করে ডিপ্রেসড রোগীদের বেলায়। আমার একজন চেনা মানুষের এই দশা হয়েছিল,পরে কিছুটা ভাল হয়ে যায় বলে আর করেনি।
আমি আশা করি আপনার সাথে এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি ডিসকাস করতে পারি। আমিও আপনার মত নাস্তিক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তার দের কাছে থেকেও শুনলাম,নাস্তিকতাও একটা মানসিক রোগ।
১৩ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:০৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপু আপনি মনে হয় আমাকে অনেক জ্ঞানী ভাবছেন। তাহলে ভুল করেছেন। তবে আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমার নিজের এখন পর্যন্ত যা ধারণা তা বলছি। এটাকে আপনি নিজের যুক্তি এবং কোরান এর কথা দিয়ে যাচাই করে নিবেন।
2:285 আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না.......
এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ কাউকে তার এমন কোন কাজের জন্য শাস্তি দিবেননা যা নিয়ন্ত্রণ করা তার ক্ষমতার বাইরে। (তাফসির দেখে নিতে পারেন)
এখন মূল কথা হচ্ছে আল্লাহ খুব ভাল করেই জানেন কার মানসিক অবস্থা কেমন। কেউ যদি সজ্ঞানে আত্মহত্যা করে যেটা তার ইচ্ছাকৃত তাহলে অবশ্যই তাকে জাহান্নামে যেতে হবে। তবে নিজের মনের উপর কোন্ট্রোল হারিয়ে আত্মহত্যা করলে কোরান অনুযায়ী তার শাস্তি হবার কথা না। শেষ বিচারে আল্লাহই বিচার করবেন তাদের মনের উপর কন্ট্রোল ছিল কি ছিলনা। এতটুকু নিশ্চিৎ থাকুন আল্লাহ ন্যায় বিচারক।
পরকীয়া, হিংসা, হোমো সব ক্ষেত্রেই একই কথা খাটে। সত্যিই তাদের মনের উপর কতটুকু নিয়ন্ত্রণহীনতা ছিল তা আল্লাহই জানেন, তিনিই বিচার করবেন। আমি অনেককে দেখেছি যারা খারাপ জেনেও একটা খারাপ কাজ করে আর বলে যে বিরত থাকার চেষ্টা করেও পারিনা। আসলে এদের অনেকে বিরত হবার আন্তরিক চেষ্টা করেনা। অবশ্যই এদের অন্যায়ের ক্ষমা হবার কথানা। কঠিন ভাবে আন্তরিক চেষ্টা থাকার পর ব্যর্থ হলে ভিন্ন কথা।
আপনিও নাস্তিক থেকে আবার আস্তিক হতে পেরেছেন বলে আপনাকে মোবারকবাদ। আপনি যদি একাগ্র ভাবে সত্যের পথে থাকেন তাহলে কোন নাস্তিক তো দূরের কথা শয়তানও আপনাকে আপনার পথ থেকে বিচ্যুত করতে অক্ষম। এটা আল্লাহর দেয়া নিশ্চয়তা।
যেকোন বিষয় নিয়ে ডিসকাস করতে পারেন, আপনাকে স্বাগতম। ভাল থাকবেন।
৩৩| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২৩
অনিক আহসান বলেছেন: মানুষ এক অর্থে ধার্মিক প্রানী ...কারন তার ব্রেনের সেলফ ডিফেন্স ক্ষমতা অন্য যে কোন প্রানীর চাইতে ভালো..।
নিয়ান্ডার্থাল মানবদের থেকে শুরু করে মেহেদি পরাগ ভাই আপনার আমার পর্যন্ত সব মানুষই কোন না কোন পর্যায়ে স্রস্টা /স্রস্টাদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে...এই প্রয়োজনীয়তা জীবনের রহস্য আর যন্ত্রনা ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা ...এর বেশী কিছু না...।
মানুষের সামাজিক বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে তার আতংক,তার আকাঙ্ক্ষা আর সুন্দর অথচ ভীতিকর মানবীয় অভিজ্ঞতার বহির্প্রকাশ হচ্ছে ধর্ম আর ধার্মিক অনুভুতিগুলি...। শিল্পকলার মত ধর্মও একটা মানবীয় মতবাদ।
যতক্ষন পর্যন্ত একটি ধর্ম সংক্রান্ত মতবাদ মানুষের প্রয়োজন মিটাতে পেরেছে,তার সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছে ততক্ষন মানুষ তাকে ধরে রেখেছে আর ব্যার্থ হলে তাকে নির্দ্বিধায় ছুরে ফেলে অন্য আর একটি ধর্মীয় ধারনা কে বেছে নিয়েছে..।এমনকি এক সময় জেসাস আর মোহাম্মাদ কেও তাদের পৌত্তলিক প্রতিপক্ষরা নাস্তিক অবিশ্বাসি বলেছে...কারন তারা ঐ সময়ের প্রচলিত অলৌকিক ধারনার বিরোধিতা করেছিলেন...
আজকে বর্তমান পৃথিবীতে এক্সিস্টিং ধর্মগুলি কোন ভাবেই মানুষের সমস্যার সমাধান দিতে পারছে না...মানুষের মনে ধীরে ধীরে যে ঈশ্বর আকৃতির গহব্বর তৈরি হচ্ছে তা কোন না কোন মতবাদের মাধ্যমে পুরন হবেই...আর সেটাকে কেউ নাস্তিকতা বললেও বলতে পারে..।
১২ ই মে, ২০১১ রাত ১১:১০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি আপনার দৃষ্টিকোন থেকে খুব সুন্দর বলেছেন। বিশ্বাস করুন, আমিও ঠিক এভাবেই ভেবেছিলাম একসময়।
একটা ব্যাপারে আমার তরফ থেকে আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমি জীবনের রহস্য আর যন্ত্রনা ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা থেকে ধর্মে ফিরে আসিনি, একজন নাস্তিক হিসেবে আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন এভাবে নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়া যায়না।
ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে গেলেও কিন্তু ঠগ বাছার প্রক্রিয়া বন্ধ করে পুরো গাঁ জ্বালিয়ে দেয়া অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত হবে কেননা, অন্তত একজন ভালমানুষও ওই গাঁয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে। তেমনি ৯৯% ধর্মের মাঝে যৌক্তিক কারণ না পেয়ে আপনি যদি সিদ্ধান্তে আসেন যে ১০০% ধর্মই মিথ্যা তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এমনকি এক সময় জেসাস আর মোহাম্মাদ কেও তাদের পৌত্তলিক প্রতিপক্ষরা নাস্তিক অবিশ্বাসি বলেছে...কারন তারা ঐ সময়ের প্রচলিত অলৌকিক ধারনার বিরোধিতা করেছিলেন..
বিরোধিতা করেছিলেন এতেই কি প্রমাণ হয়ে যায় এগুলো সত্য নয়? আপনি একটা জিনিসকে নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলছেন, ব্যতিক্রম কিন্তু অহরহ হয়। রাখাল বালক প্রতিদিন বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করে লোকজুনকে ধোঁকা দিত বলে লোকেরা ভেবেছিল এটা ওই বালকের নিয়ম। ব্যতিক্রমের কথা যদি লোকেরা চিন্তা করত তাহলে আর রাখাল বালককে বাঘের পেটে যেতে হতনা।
আমিতো বলেছিই আজকের মানুষ যেভাবে ইসলাম জানে তা অনেক ভুল। আপনি মানুষের জানা দ্বারা প্রভাবিত। আমিও ছিলাম। তাই নিজে জানতে চেষ্টা করুন। তাহলে বুঝতে পারবেন মানুষের জানা ভুলভাল শরিয়া আইন দিয়ে আজকের সমস্যার সমাধান মনমতো না পেলেও কোরানে সব সমস্যার সমাধানই আছে। বিশ্বাস করলেননা তাই তো? একটা ছোট্ট উদাহরণ দেইঃ
আয়াতটা ঠিক মনে নেই তবে কোরানে এমন একটা বক্তব্য আছে যে লোকেরা যেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নবীর কাছে এসে আল্লাহর কাছ থেকে তার সমাধান দাবী না করে। কারণ যা যা গুরুত্বপূর্ণ তা আল্লাহ ইতিমধ্যেই কোরানে দিয়ে দিয়েছেন। নতুন সমস্যার সমাধান কোরানে দিলে তা পালন করা মানুষের জন্য ফরজ হয়ে যাবে। আল্লাহ বরং আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছেন। বলেছেন কোরানের বাইরে বাকি সব সমস্যার ব্যাপারে লোকেরা যা ভাল মনে করে তা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আয়াতটা পরে খুঁজে এখানে দিয়ে দিব ইনশাল্লাহ।
ভেবে দেখুন, সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেলনা? দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজকের মুসলিমরা ধর্ম ব্যবসায়ী আর শয়তানের ফাঁদে পড়ে ভুলভাল শরিয়া আইনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজে। কোরানের এই আয়াত চোখে পড়েনা।
মোট কথা কেউ যদি ইশ্বর হবার দাবী না করত তাহলে তো কথাই ছিলনা। তবে যেহেতু কেউ কেউ ইশ্বর হবার দাবী করছে তাই তাদেরকে অবশ্যি গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিৎ। তাদের বক্তব্য নিজের বিবেক দিয়ে যাচাই করা উচিৎ। ভুল মনে হলে ছূঁড়ে ফেলে দিন, আর সত্য মনে হরে আঁকড়ে ধরুন। অন্যের কথায় প্রভাবিত হবেননা। নিজেই জানুন। আমি ইসলামে সত্য খুঁজে পেয়েছি।
৩৪| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১০
অন্ধকারের রাজপুএ বলেছেন: আস্তিকরা সবসময় এমন ফাল ই পারব শয়তান তো কম কুমণ্রনা দেনাই এনাদের কানে।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: নিজে যে খামাখা একটা ফাল দিয়া গেলেন তা বুঝেন? এখানে খারাপ কথা কি বললাম পারলে তা দেখান। ধর্মীয় গোঁড়া দের চেয়ে আপনারা আরও বেশী গোঁড়া। আল্লাহ আপনাদের সুমতি দিন। তবে চেষ্টা না করলে সুমতি আর পেতে হবেনা।
৩৫| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১:৩৩
অন্ধকারের রাজপুএ বলেছেন: yallah ....... bangla typing a vhul korsi ... shoytan koisi tar por o bujhen na? not astik i meann nastik ... Allah maf korun amay
১৩ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:০৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইয়াল্লাহ , সামান্ন ভুলে কত বড় ভুল হয়ে গিয়েছে দেখেছেন? শয়তান শব্দটা দেখে খানিকটা দ্বিধায় পড়েছিলাম। তবে ভেবেছি এটা নাস্তিকের খোঁচা মার্কা কথা।
৩৬| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১:৩৪
অন্ধকারের রাজপুএ বলেছেন: hoise vhaijaan .. ar boka dienna
১৩ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:১০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আইচ্ছা ভাইজান, আর বকা দিমু না। আমি তো বুঝিনাই যে আপনি নাস্তিকের কথা বলছিলেন। আপনার চেহারা কিন্তু রাজপুত্রের মতই সুন্দর
৩৭| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৪৪
অন্ধকারের রাজপুএ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টটা কিন্তূ জোশ হয়েছে ভাইয়া। আর চেহারার কথা বলে লজ্জা দেবেননা । :#>
৩৮| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১৫
আমি তাসনিম বলেছেন: pore vallglo, but kisu kothar 7e dimot.
"হাদীস বিশ্বাস করা ঈমানের অংগ না" bollen but jesob hadis er referencing r lipiboddhokoroner sohih itihas pawa jay jegula k sohih hadis bola hoy, jegulor bornona kari dhoren jemon hojrot Ayesha, Abu Hurayra (a) etc theke ashche sguloke amra obissas korbo kemne?
ar kafir bolte apni ja bujhechen ta vul o hote pare, doya kore kuran ba hadis er ayat tule dhorun. bcoz biggo islami scolar ra kafir kader k bola hoyeche ta niye ja bolechen tar 7e apnar kothar omil pawa jay. r ha jader kase islam er bani pouse ni tara je dojhokhe jabei ta bola hoyto thik hobena, Allah neay bichar kari so uni neay bichar sara kauke dojhokhe pathaben na eta somporke nischit thakun. dhonnobad
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ আর কাফির বলতে আপনি যা বুঝিয়েছেন তা ভুলও হতে পারে, দয়া করে কোরান বা হাদীস এর আয়াত তুলে ধরুন।
---------------------------------------
জ্বী, এখানে শুধু আমি নিজে যা বুঝেছি তা বলেছি, তা ভুল হতে পারে অবশ্যই, যদি কেউ পরিষ্কার কোন রেফারেন্স দেয় অথবা আমি নিজেই বুঝতে পারি যে আমার ধারণা ভুল তবে তা স্বীকার করে নিতে আমার এক মূহুর্তও লাগবেনা। উপরে ১০ নং মন্তব্যের উত্তরে কাফিরদের ব্যাপারে কিছু কোরানের আয়াত তুলে ধরেছি একটু পড়ে দেখবেন। তার সাথে আরও কিছু কথা আমি যোগ করি। ইসলাম বিদ্বেষীরা যেমন কোরানের কিছু আয়াত দেখিয়ে বেড়ায় যে কাফির নিধন করার অনেক নির্দেশ এসেছে আল্লাহর তরফ থেকে, তেমনি মুসলিমরাও পাল্টা অনেক আয়াত দেখাতে পারে যেখানে নির্দেশ দেয়া আছে মুসলিমদের না ঘাটালে কাফিরদের ঘাটানোর দরকার নেই। এবার আপনি যদি সবগুলো আয়াত একসাথে বিবেচনা করেন তাহলে বুঝবেন যে কাফির নিধনের নির্দেশগুলো শুধুমাত্র নবী (সঃ ) এর সময়ের জন্য প্রযোজ্য কারণ তারা ইতমামুল হুজ্জাহ (১০ নং মন্তব্যের উত্তরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে) প্রাপ্ত হবার পরেও নবীর বানী অস্বীকার করেছিল। কোরানের রেফারেন্স থেকেই আমরা জানি নূহ (আঃ ), লুত (আঃ ), হুদ (আঃ ), মুসা (আঃ ) ইত্যাদি বিভিন্ন নবীর বিরোধিতাকারীরা নবীদের দোয়ায় আল্লাহর গজবে ধ্বংশ প্রাপ্ত হয়েছিল। মুহাম্মদ (সঃ ) এর সময়কার কাফিরদেরও একই শাস্তি প্রাপ্য তবে আল্লাহ সরাসরি গজব না দিয়ে নবীকেই আদেশ করেছেন তাদের কতল করতে। তবু যারা জিজইয়া কর দিত আর শান্তিপূর্ণ থাকতে চাইত তাদের জন্য তাদের জন্য কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে কোরানের আয়াতগুলো দেখুন।
9:14 যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেনএবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
8:17 সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।
এছাড়া সূরাহ মুহাম্মদ (47) এর ১-১১ নং আয়াতগুলো দেখুন। তাহলে ভেবে দেখুন নবীর পরবর্তী মুসলিমদের ক্ষেত্রে কে সিদ্ধান্ত নিবে যে কোন কাফিররা মৃত্যুদন্ড ডিজার্ভ করে আর কোন কাফিররা ভবিষ্যতে আল্লাহর অনুগ্রহ পেয়ে মুসলিম হয়ে যাবে? এখন কি বুঝা যাচ্ছে না কাফির বলে আল্লাহ কাদেরকে বুঝাতে চেয়েছেন?
আজকে যারা অমুসলিম তাদের কাছে কোরানের বানী কতটা সঠিক ভাবে পৌছেছে তা জানিনা। আমি দেশের বাইরে থাকার সুবাদে অনেক ইহুদী খ্রীস্টান দেখি যারা অত্যন্ত ভাল মানুষ, ইসলামের প্রতিও তাদের ততটা বৈরী মনোভাব নেই, তারা তাদের ধর্ম ঠিকভাবে মানে, মোটকথা বড় কোন ধরনের অন্যায় আমি তাদের অনেকের মাঝেই দেখিনা। এই লোকগুলো এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে, পরকালে বিশ্বাস করে, ভালকাজ করে, তাই শুধুমাত্র ইসলামের বানী সঠিকভাবে তাদের কাছে পৌছায়নি বলে যদি তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করা হয় তাহলে তা আমার কাছে সুবিচার বলে মনে হবেনা। আমি এইটুকু জানি আল্লাহর বিচার নিয়ে কারও কোন প্রশ্ন থাকবেনা। তাই হাশরের ময়দানে নিশ্চই তাদের আরও বড় কোন অপরাধের ব্যাপারে আমরা জানতে পারব অথবা দেখতে পাব যে তারা মুক্তি পেয়ে গিয়েছে, যদি এই দুয়ের কোনটাই না হয় তাহলে অনেকের মনেই প্রশ্ন থেকে যেতে পারে যে এটা সুবিচার হলনা। নিশ্চিৎ ভাবে কেউ কিছু বলতে পারেনা। স্কলাররা কাফির শব্দের মানে অবিশ্বাসী ধরে নিয়েছে যা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়নি তার কারন কোরানের আয়াত দিয়েই আমি বলেছি।
আর হাদীসের ব্যাপারে যা বললেন তা নিয়ে অনেক কথাই লিখা যায়। আপনি কি তাহলে হাদীস বিশ্বাস করাটা ঈমানের অংগ বলে মনে করেন? কোন সাতটি বিষয়ে ঈমান আবশ্যিক তা আরেকবার দেখে নিতে পারেন। সহিহ হাদীসের সঙ্গা কিন্তু ইমাম বুখারী তা অন্য সংকলকেরা দিয়ে যাননি। তা অনেক পরে দেয়া হয়েছে। হাদীস যত সহিহই হোকনা কেন গায়েবী সাহায্য ছাড়া আজ আর এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভবনা যে সেই সহিহ হাদীস ১০০% সত্য। নিশ্চিৎ ভাবে তখনই বলা যেত যদি আমরা তাওয়াতুর হাদীসের সন্ধান পেতাম। দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত কোন হাদীসই তাওয়াতুর হাদীস হবার শর্ত পূরণ করতে পারেনি। প্রসঙ্গত সহিস আর তাওয়াতুর হাদীসের সংগা কপি পেস্ট করে দিলামঃ
Sahih: It is that Hadith the narrators of which are righteous, trustworthy and God-fearing persons of sound and dependable memory; it should be free from any apparent or latent blemishes; and should not be inclined to harbour opposition to those equally or more trustworthy persons compared to themselves.
Tawatur: It is that Hadith which is quoted by such a large number of persons that in normal circumstances it is impossible that on a manifest subject so many people would, at one and the same time, agree on a false matter, when there is no evidence of any pressure on them too.
বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ ) বলেছিলেন যে তিনি আমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছেন, কোরান আর সুন্নাহ। তিনি এটাও বলেছিলেন যে এই ভাষণ যেন তার প্রতিটি উম্মতের কানে পৌছে দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনদিন তাঁর হাদীস পৌছে দেবার কথা বলেননি, বরং তিনি হাদীস লিখতে নিষেধ করেছিলেন। হাদীস আর সুন্নাহর পার্থক্যটা নিজে জেনে নিতে চেষ্টা করতে পারেন। না পারলে জানাবেন আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
আমার কাছে সবচেয়ে বড় পশ্ন দেখা দিয়েছে এটাই যে, কেন নবী (সঃ ) এর আমল সহ পরবর্তী চার খলিফার আমলে হাদীস সংকলন নিষিদ্ধ ছিল। কারও কারও এমন ব্যাখ্যা পেয়েছি যে, তখন কোরান সংরক্ষণই বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর তখন হাদীস সংকলন করলে তা কোরান সংরক্ষনের কাজে অন্তরায় সৃষ্টি করত। তবে আমার কাছে এই ব্যাখ্যা তেমন গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি কেননা, কোরান অনুযায়ী কোরানের সংরক্ষক আল্লাহ নিজেই। কেন উনারা আল্লাহর কথার উপর ভরসা রাখেননি? আর এ বিষয়ে নবী (সঃ ) যা বলেছিলেন তা এই ব্যাখ্যার মত নয়, তিনি বলেছিলেন যে আল্লাহর দেয়া কিতাবের পাশে কি তোমরা আরও কিতাব বানাতে চাও? কোরান যদি হাদীসের উপরই নির্ভরশীল হয় তাহলে তো ইসলাম নির্ভরশীল হয়ে যায় বুখারী সাহেবের হাদীস যাচাই বাছাই করার প্রজ্ঞার উপর। ইসলাম কি এতই ঠুনকো? যাই হোক, এত প্রশ্নের পরেও আমি হাদীসকে পুরোপুরি বর্জন করতে পারবনা, ভাল কিছুকে অবশ্যই ফলো করব যেখানে প্রশ্ন আসবে সেটা এড়িয়ে যাব, অন্ধ অনুসরন করবনা। আপনি হাদীস অবিশ্বাস না করতে চাইলে শরীয়া আইনগত কিছু সমস্যা আসবেই। তবে হাদীস অবিশ্বাস করলে আপনার ঈমান চলে যাবার কোন কারণ আমি দেখিনা।
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ jesob hadis er referencing r lipiboddhokoroner sohih itihas pawa jay jegula k sohih hadis bola hoy, jegulor bornona kari dhoren jemon hojrot Ayesha, Abu Hurayra (a) etc theke ashche sguloke amra obissas korbo kemne?
-------------------------------------------------------------------------
ইমাম বুখারী, আবু হুরায়রা থেকে বর্ননা করেছেন: ' তোমাদের জন্য অপয়া হল তোমাদের নারী, তোমাদের পশু এবং তোমাদের বাড়ী।'
ইমাম বুখারী আবার একই অধ্যায়ে বর্ননা করেছেন যে আয়শা (রাঃ ) আবু হুরায়রার (রাঃ ) বর্ননাকে মেনে নেননি এবং বলেছেন নবী(সঃ) আসলে বলেছিলেন, 'অজ্ঞতার যুগে মানুষ বলত তোমাদের জন্য অপয়া হল তোমাদের নারী, তোমাদের পশু এবং তোমাদের বাড়ি'।
আবূ হুরায়রা একজন মহান সাহাবী, কিন্তু এই হাদীসের বর্ননায় উনি ভুল করেছেন।বুঝা যায়, উনি পুরাটা শুনেননি,কিন্তু ভেবেছিলেন শুনেছেন।
আমরা জানি যে ''করিম বিড়াল দেখে ভড়কে গিয়েছিল'' এই কথাটা দশ কান ছড়াতে ছড়াতে ''করিম সুন্দরবনে বাঘ শীকার করে এসেছে'' কথাতে রুপান্তরিত হয়ে যায়। জার্নালিজমের একটা ক্লাসে আমার শিক্ষক এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন। ক্লাসরুমের প্রথম বেঞ্চের ছেলেটা একটা কাগজের লিখা কানে কানে পাশের জনকে বলল, এভাবে শেষ ছেলেটা কানে কানে যা শুনেছে জোড়ে তা সবাইকে বলেছিল। কাগজ মিলিয়ে দেখা গিয়েছিল যে দুটো বাক্যের মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান। নবী (সঃ ) এর ওফাতের শত শত বছর পর লিখিত হওয়া হাদীসে তাঁর মূল বানীর কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে তা চিন্তার বিষয়।
৩৯| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৬
রিপেনডিল বলেছেন: @তাসনিম, বিজ্ঞ বলতে আপনি কাদের বোঝাচ্ছেন? সহজ ভাষায় যিনি জানেন তিনিই বিজ্ঞ। আর আল্লাহ জানার জন্য আমাদের দিয়েছেন কুরআন, আর ইতিহাস তো আছেই পরাজিত আর বিজীত দুপক্ষ থেকেই। আপনি কি কুরআন পড়েন নি? এবার বোঝার দ্বায়িত্ব তো আপনার। নিজের বিবেক এবং বুদ্ধি থেকে চিন্তা করে দেখুন সমাধান পেয়ে যাবেন, আর যদি অমুক পীর তমুক ইমাম, অমুক মওলানা আর তমুক আলেম এর দ্বারস্থ হন তবে নানাজনের নানা মতবাদে নিজেই বিভ্রান্ত হবেন।
লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা প্রকাশের জন্য।
আসিফ মহিউদ্দিনের ব্যাপারে একটি কথাই বলব তিনি আধুনিক সমাজ ব্যবস্থাকে স্টান্ডার্ড ও নিখুত ধরে দুনিয়ার সকল সময়ের সকল সমাজ ব্যবস্থাকে বিচার করছেন। তার ধ্যান ধারনা শুধু নবীর যৌনতা তেই সীমাবদ্ধ। বহুবার তাকে প্রশ্ন করেছিলাম আজকে যে আইন কে স্ট্যান্ডার্ড বলছেন সেটা যদি ২০ বছর পরে বাতিল হয়ে যায় তখন তো আপনিও দোষী হবেন। এভাবে চিন্তা করলে দুনিয়ায় নিরপরাধ কাউকেই খুজে পাওয়া যাবে না।
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আসিফ সাহেবের যুক্তিবোধের নমুনা দেখে আমি এখন বুঝতে পারি একটা মানুষ কিভাবে নাস্তিক হতে পারে। তার যুক্তি অনুযায়ী একটা বেশ্যাকে বেশ্যা বললেই নাকি দুনিয়ার সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়ে গেল। তার যুক্তির কথা আর ভাবতে যাবেননা, ফালতু যুক্তিতে ভরা। এই টাইপ ব্লগারকে সবাই এত গুরুত্বপূর্ণ নাস্তিক ভাবে কেমন করে আমার মাথায় আসেনা। শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে বেশী বেশী কপি পেস্ট মার্কা পোস্ট দিলেই কি সে চরম যুক্তিবাদী হয়ে গেল? আমি তো তার যোগ্যতা একটা গর্দভের চাইতেও কম দেখি।
৪০| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৭
ছোটমির্জা বলেছেন:
ব্লগে আসার পর ''ব্লগ নাস্তিক্য'' দেখে ১মে আমি ভাবলাম কোন জগতে আইলাম!!
দিনের পর দিন আল্লাহ পাক, ইসলাম, নবী-রাসূল, আল্লাহ পাক নিয়ে বিষোদগার দেখে আমার মত অনেকেই অবাক হয়েছে।
ওদের সমস্যাটি কি, ঠিক কি কারণে ওরা এমন- প্রথমে বুঝি নাই। ক্ষেপেও গেছি কয়েকবার ওদের উপর।
তয় কিছু মানুষ আমাকে সাহায্য করেছে ঐ- লেজকাঁটা শেয়ালদের অযাচিত ঘৃণ্য ব্যবহারকে সামলে নেওয়ার জন্য।
যা বুঝেছি::
দলভারী করা-সামাজিকভাবে একাকীত্বের অসহায়ত্ব মোচন-লেজকাঁটা শেয়ালের গল্পের মতন আরকি,
কিছু আস্তিকদের আক্রমণ ঠেকাতে অফেন্সিভ ওয়েতে ডিফেন্স- সেপ্টিক ট্যাংকের থিকথিকে পোকার সাথে যুদ্ধ করে লাভ নেই জেনে আস্তিকের অবহেলাকেই সমীহ মনে করা,
ব্লগে মশার মত প্যাঁন প্যাঁণ, ঘ্যান ঘ্যান করা- মশা শ্রেষ্ঠ কারণ সে হাতিকে কামড় দিতে পারে, হাতি পারেনা- এই ধারনার বাতাসে ফু দেয়া।
নাস্তিক্যের নামে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ান-এরাই বেশী সাম্প্রদায়িক। সেটা অন্ধের মত না দেখতে পাওয়া।
আরও মারাত্মক হল এরা ইসলামের মুল ৫টি বিধানের কোন কথায়ই না ।
বলে ইসলামকে মহীরহু ধরলে পাতার শিরার-অনু পরমানুর দোষ নিয়ে ইসলামকে অভিযুক্ত করে। যেন ইসলাম বিরোধীতা করাই ''মহান ব্লগ নাস্তিক্য''।
খুব করুণা হয় এই ব্লগ গাধাদের দেখ্লে।
এরা সবাই একজোট হয়ে থাকে- চোর ছ্যাচ্ছড়, নেশাখোর, লুল, দেশ-দ্রোহী যাই হোক না কেন- ব্লগ নাস্তিকেরা একজনের জন্য অন্যজন হাজিরা দেয়। পক্ষের যে কারো -১০০ খুন মাফ।
এরা- মুসলিমরা কেন আধুনিক নয় এই শ্লোগান দিতে দিতে ভুলে যায়- সমাজ, দর্শন, রাজনীতি, ভ্রমণ, প্রযুক্তি- ফ্যানাটিক হয়ে হয়ে যায় প্রাগৈতিহাসিক!!
(দু এক জন বাদে সবার কাহিনীই এক- ৮ মাসে এদের এই মাকাল ফল কালচার দেখেই বেশী বিনোদন পেয়েছি)
ব্লগে এখন মাত্র একজন ''কি-বোর্ড'' কাঁপাণ ব্লগ নাস্তিক আছেন- যিনি নিজে মানুষের কাছে আশা করেন যুক্তি আর নিজে মতবাদ দেন-গালিতে, কূটচালে, গেরিলা এ্যাটাকে।
--------
পোস্টের সহজ সাবলীল লেখা ভাল লাগল। ফিরে এসেছেন এই বেশ।
২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে যে আন্তরিক ভাবে সত্য খোজে তাকে আল্লাহ সঠিক পথ কেন দেখাবেননা? আল্লাহর অশেষ রহমতেই ফিরে আসতে পেরেছি।
৪১| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৪৩
এস. এম. রায়হান বলেছেন: লেখাটি বেশ ভাল লাগলো। মনের ভাবনাগুলো নিজ ভাষায় সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন, যেটি আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। আমি নিজেও জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পিক টাইমে প্রায় ৩ বছর ইসলামের বাহিরে ছিলাম। ইসলামের বিভিন্ন বিষয় এবং ঈশ্বর নিয়ে সমালোচনামূলক বেশ কিছু লেখাও আছে।
২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান ভাই। আপনিও ফিরে আসতে পেরেছেন বলে অভিনন্দন। ভাল থাকবেন।
৪২| ২৪ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
মুসাফির... বলেছেন: নতুন অথচ অনেক দিনের চিন্তার ফসল আমার এই অনুভুতি..
একবার দেখার আমন্ত্রন..
ব্লগের নাস্তিকতা- ইসলাম এবং আমরা...
২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মন্তব্য করে এসেছি আপনার পোস্টে। ধন্যবাদ।
৪৩| ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২৯
ফেরদৌসী বলেছেন: মূগ্ধকর বিশ্লেষণধর্মি লেখা।
আসিফ মহিউদ্দিন এর কথায় উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।ইসলামে যেমন উগ্র মৌলবাদীরা ইসলাম বিনষ্ট করছে,নাস্তিকতা তেও আসিফ মহিউদদিন নাস্তিকতাধর্মি মৌলবাদ ছড়াচ্ছে, যার অন্যতম লক্ষ্য যুক্তি, মূক্তচিন্তা কোনটাই ছড়ানো নয়, বরংচ ইসলামকে আক্রমন করা।উনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ি ইসলাম অসহনশীল, তা সত্যি হলে উনি সবচেয়ে বেশি ইসলামপন্হি কারন আস্তিক বিশেষত মূসরিম দের আক্রমণ করাতেই উনি উনার সকল মেধা এবং শ্রম ব্যয় করছেন অশ্লীলভাবে।এবং আক্রমণাত্নক ভাবে।
মূসলিমরা যেমন উগ্র পন্হি মূসলিমদের নিয়ে বিব্রত এবং তারা সত্যিকার ইসলামকে বিনষ্ট করছে,নাস্তিকরাও তাকে নিয়ে বিব্রত হওয়ার কথা,উগ্র মৌলবাদিতার কারণে।
২৪ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসিফ এর কথায় উত্তেজিত হইনি আপু। তার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন যথাযথ। এক কথায় সে ইসলাম বিদ্বেষী। আসলে এদের সাথে ইসলাম নিয়ে তর্ক করতে আল্লাহ নিষেধ করে দিয়েছেন। তাই আমি মূলত তর্ক করি না যদিও দেখে সেটা তর্ক বলেই মনে হবে। তবে কথা বলতে বাধ্য হই কারন ব্লগে অনেক সাধারন মানুষ আছে যারা ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানেনা। তারা এদের কথায় ইনফ্লুয়েন্সড হইয়ে বিপথে যেতে পারে। সাথে সাথে ইসলামের পক্ষে যুক্তি দেখলে হয়তো বিপথে যাবার আগে একবার চিন্তা করে দেখবে এই আশাতেই তাদের পোস্টে মন্তব্য করে আসি। তবে আমি এমন কিছু বলিনা যার কারনে ধর্মান্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
কিছু দিনের মধ্যে আরও দুতিনটি পোস্ট দিব ইনশাল্লাহ, একেবারে নতুন চিন্তা ধারায়। আমার ধারণা ব্লগে এভাবে কেউ আগে লিখেনি। আমন্ত্রন রইল, পড়তে আসবেন।
ভাল থাকুন।
৪৪| ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৩২
কবিতা বালিকা বলেছেন: +
২৮ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪৫| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২৭
নিশাচর নাইম বলেছেন: অসাধারন লেখা।ধন্যবাদ চমৎকার এক লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
২৮ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:৩৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। ভাল থাকুন।
৪৬| ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
মামুন আবদুল্লাহ বলেছেন: চমৎকার
২৮ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:৩৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।
৪৭| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৫
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: বেশ চমৎকার লিখেছেন
ব্যস্ততার কারণে ব্লগে নিয়মিত নই। আপনার পোষ্ট দেখে ভালো লাগলো। বিশ্বাসের সাথেই থাকুন
২৮ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইনশাল্লাহ বিশ্বাসের সাথেই থাকব। ধন্যবাদ। পরীক্ষা কেমন হল?
৪৮| ২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
আমিই রূপক বলেছেন: সকলের জ্ঞাতার্থে একখানা হাদিস লিখছি। কোরআনতো বটেই ইসলামের ইতিহাসও সাক্ষ্য দেয় যে যুদ্ধবন্দিনীদের ধর্ষন করা নিষেধ।
বুখারী শরীফ- হাদিস নং- ৩৫৪২
হযরত আবু ওবাইত (রা) বলেন, সরকারী মালিকানাধিন এক গোলাম যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে প্রাপ্ত এক রমণীকে ধর্ষন করলে তার কুমারীত্ব টুটে যায়। হযরত ওমর (রা) গোলামটিকে শাস্তি দিয়ে নির্বাসনে পাঠান। কিন্তু ধর্ষিতাকে কোন শাস্তি দেন নাই।
হযরত যুহরী (রাহঃ) বলেন, কুমারী দাসীর সাথে কোন আযাদ ব্যক্তি জোর পুর্বক জিনা করলে তাকে বেত্রাঘাত করে করতে হবে এবং জরিমানা আদায় করতে হবে।
সুতরাং ইসলাম কোন যুদ্ধবন্দিনীকে কিংবা দাস দাসীকে ধর্ষন করা জায়েজ করে নাই।
লেখককে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য। এবং অভিনন্দন শান্তির পথে ফিরে আসার জন্য।
২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর দুটি হাদীস জানানোর জন্য। ইসলাম বিদ্বেষীরা বলে যে দাসীদের নিজস্ব ইচ্ছা বলে কিছু ছিলনা। তাই দাসী ধর্ষন করা নাকি ইসলামের অন্তর্ভুক্ত !!!! এরা একটা রেফারেন্সও দেখাতে পারেনা যেখানে বলা হয়েছে দাসী ধর্ষন করা যায়েজ। অথচ হাজার হাজার জায়গাতে যে বলা হয়েছে দাসীদের সাথে মানবিক আচরন করতে সেটা তাদের চোখে পড়েনা। কাউকে ধর্ষন করা কি মানবিক আচরনের মধ্যে পড়ে? যেসব দাসী স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্কে রাজী ছিল তাদের সাথে যৌন সম্পর্ক ইসলাম জায়েজ করেছে, ধর্ষন জায়েজ করেনাই। আর দাসপ্রথা বিলুপ্তির জন্য যা যা করা দরকার ইসলাম তার সবই করেছে। আর কোন খুঁত না পেয়ে বিদ্বেষীরা সর্বদা দাসী আর বহু বিবাহ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আপনার উল্লেখ করা হাদীস দুটো আমার কাজে আসবে, আবারো ধন্যবাদ।
৪৯| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৪৭
ইন্জিনিয়ার জনি বলেছেন: হুমমম পড়লাম, ভালো লিখেছেন মেহেদী ভাই। শুভ কামনা রইল।.
৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ জনি ভাই। আপনার জন্যও শুভ কামনা।
৫০| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৫১
নির্ণয় বলেছেন:
এরা যদি একবার ভাবত যে লোকজন দেখে আমি ইসলাম শিখবনা, মানুষের ব্যাখ্যায় আমি আমি ইসলাম বুঝবনা বরং নিজের চেষ্টায় ইসলাম জেনে নিব তাহলে তারা বুঝে যেত কতটা সত্য এই ইসলাম।
খুবই কনফিউজিং কথা। নবী তো মানুষ ছিলেন। এখন "মানুষের ব্যাখ্যায় আমি আমি ইসলাম বুঝবনা" এর আওতায় তো তিনিও পড়েন। তিনি বাদ পড়লে ইসলামকে পাবো কোথায়? কোরানের আয়াতগুলো মানুষ জেনেছে একজন মানুষের কাছ থেকে। সেগুলোর ভেতর থেকে যাচাই বাছাই করে কোরান হিসেবে সংকলনও করেছে মানুষ। সেগুলোর সাপোর্টিং লিটারেচারও কালেক্ট করেছে মানুষ। এদের বাদ দেয়া যায়?
সমস্যাটা হচ্ছে "সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য" ইসলামে এমন সব বিব্রতকর ব্যাপার আছে যা বহু মুসলমানই মন থেকে মেনে নিতে না পেরে তুলনামূলকভাবে উদার ব্যাখ্যায় স্বান্তনা খোঁজে। যাতে সব পাল্টে
গেলেও নামটা অন্তত টিকে থাকে। এইসব উদার ব্যাখ্যারই সারমর্ম হল "নিজের মত বুঝে নেয়া"। যে যত বেশি বিব্রত, সে তত বেশি "নিজের মত করে" বুঝে নেবে।
লজিকালি এর কোন বেস নাই। কিন্তু প্রবণতাটা আশা জাগানিয়া। এটলিস্ট ধর্মীয় সহিংসতা-বিদ্বেষ কিছু মাত্রায় কমবে, অপেক্ষাকৃত উদারদের "নিজের মত করে বুঝে নেয়া" এর প্রচেষ্টার কারণে।
০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: যেখানে কনফিউজিং মনে হচ্ছে তা জিজ্ঞেস করবেন পরিষ্কার করার চেষ্টা করব।
//নবী তো মানুষ ছিলেন। এখন "মানুষের ব্যাখ্যায় আমি আমি ইসলাম বুঝবনা" এর আওতায় তো তিনিও পড়েন। তিনি বাদ পড়লে ইসলামকে পাবো কোথায়?//
এটা খুব সাধারণ মানুষও বুঝবে বলে আর বিষদ বলা লাগেনা। নবী এর আওতায় পড়বেনা এটা সাধারণ যুক্তিতেই বুঝার কথা ছিল, তবু আপনি তো আসলে আমার ভুল ধরতে এসেছেন তাই এই পয়েন্ট আপনি ছাড়বেননা। ওকে। আপনার সুবিধার্থে এইখানে এডিট করে দিলাম যে নবী ছাড়া আর কারও কথায় আমি ইসলাম বিশ্বাস করবনা। এবার দেখুন কনফিউশনটা দূর হয় কিনা। প্রথমত নবীর সাথে কথা বলার কোন সুযোগ আমাদের হাতে নাই। হাদীস যে নবীর বানী ছিল তার পূর্ণ নিশ্চয়তা নেই, কারণ নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে হাদীস সংকলিত হয়নি। তাই হাদীসকেও মূল সোর্স ধরতে পারবেননা। আর কোরান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মানুষের মুখে মুখে চলে আসছে, তাই এটা মানুষের নিজস্ব কথা নয় তা পরিষ্কার বুঝা যায়। একমাত্র সন্দেহ যদি করতে পারেন তা হল কোরান নবীর নিজের মুখের কথা। এর বাইরে আপনি হাদীস ঘেটে পাবেন যে কোরান এও কিছু অদল বদল হয়েছিল। কিন্তু আগেই বলেছি হাদীসের কোন কথা এতটা অথেন্টিক নয় যতটা অথেন্টিক কোরানের কথা। একটা জিনিস যখন একই সময়ে অসংখ্য মানুষ দ্বারা প্র্যাক্টিস হয় তখন তার কোন কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, পরিবর্তন করা হলে তা ধরা পড়তে বাধ্য। তাই যে কোরান আমরা পাচ্ছি তা মানুষের ভায়া হয়ে পেলেও মানুষের ব্যাখ্যার মাধ্যমে পাচ্ছিনা। কোরান যেমন বদল হোয়া সম্ভব ছিলনা তেমনি কিছু সুন্নাহও (হাদীস নয়) বদল হওয়া সম্ভব ছিলনা কারন সেগুলো একই সাথে অসংখ্য উম্মত দ্বারা প্র্যাকটিস হয়ে আসছিল। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সুন্নতে খাতনা, ওজুর নিয়ম ইত্যাদি আরও অনেক। তাই আপনাকে কোরান এবং সুন্নাহ থেকেই বুঝে নিতে হবে, এর বাইরে কারও কাছ থকে ইসলাম বুঝতে গেলে সেই লোকের নিজস্ব মতামত দ্বারা আপনি প্রভাবিত হবেন।
//কোরানের আয়াতগুলো মানুষ জেনেছে একজন মানুষের কাছ থেকে।//
একজন নয় একই সাথে বহুজন মানুষের কাছ থেকে, যাদের প্রত্যেকে হুবুহু দাঁড়ি কমা সহ একই কথা জানিয়েছে। তারা কেউ দাবী করেনাই কোরান তাদের নিজস্ব বানী। তাই এটা মানুষের কাছ থেকে জানা হলোনা, বরং মানুষের ভায়া হয়ে মুহাম্মদ (সঃ ) এর কাছ থেকেই জানা হল।
//সমস্যাটা হচ্ছে "সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য" ইসলামে এমন সব বিব্রতকর ব্যাপার আছে যা বহু মুসলমানই মন থেকে মেনে নিতে না পেরে তুলনামূলকভাবে উদার ব্যাখ্যায় স্বান্তনা খোঁজে। যাতে সব পাল্টে
গেলেও নামটা অন্তত টিকে থাকে। এইসব উদার ব্যাখ্যারই সারমর্ম হল "নিজের মত বুঝে নেয়া"।//
হাহাহা, এমন একটা প্রশ্ন অনেক আগেই আশা করেছিলাম, যাক অবশেষে তা পেলাম। আচ্ছা আমি তো ইসলাম ছেড়েই দিয়েছিলাম, দোজখের ভয়ে আমি ইসলামে ফিরে আসিনি। মন থেকে মেনে নিতে না পেরে যদি উদার ব্যাখ্যায় স্বান্তনাই খুঁজতাম তাহলে কি আর ইসলাম থেকে কখনো বের হতাম? বের যখন হয়েছিলাম এতেই তো প্রমাণ হয় যে এখন স্বান্তনার জন্য ইসলাম পালন করছিনা। ইসলামকে পরিষ্কার সত্য জেনেই পালন করছি। আর এটা দেখছি যে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণাই বেশী এমনকি মুসলিমদের মাঝেও। এছাড়া নামটা টিকিয়ে রেখে আমার কি লাভ হচ্ছে বলুন? মুসলিম হিসেবে আমিতো দুনিয়াতে আলাদা কোন সুবিধা পাচ্ছিনা, আমি থাকি সুইডেনে, আর এখানে মুসলিম হিসেবে বরং অনেক অসুবিধার মাঝেই পড়তে হয়, মিথ্যা স্বান্তনার জন্য কি আমি নিজের গায়ে অসুবিধা টেনে আনতাম? না, সত্য বলে বিশ্বাস করি বলেই এটা টেনে এনেছি। এবার ভেবে দেখুন আপনার বলা কথাটা ঠিক কিনা। ইসলামে আসলে বিব্রতকর কিছুই নেই, সবই ম্নুষের ভুল ধারণা। সামনের পোস্টগুলোতে এসব কথা বলার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
৫১| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৯
মেলবোর্ন বলেছেন: আপনার এই পোস্ট টা অনেকের ভুল চিনতা দুর করবে। ভালো লেখা।
সময় হলে আমার পোস্ট গুলো দেখবেন আসাকরি ভালোলাগবে,
Lesley Hazleton: On reading the Koran:
Click This Link
Sleeping while facing feet on kaba:
Click This Link
Interview with Muhammad Ali:
Click This Link
০৪ ঠা জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার পোস্টগুলো পড়ে দেখব। ভাল থাকুন
৫২| ০৩ রা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৮
নির্ণয় বলেছেন:
নবী মানুষ। তিনি মারা যাওয়ার পর যারা কোরান লিপিবদ্ধ করেছে তারাও মানুষ। হাদিস সংকলনকারীরাও মানুষ। মাযহাবগুলোর গুরুরাও মানুষ। আজকের পৃথিবীর মুফতিরাও মানুষ।
সমস্যাটা হচ্ছে শুধু নবী মানবো যার মাধ্যমে কোরান জেনেছি বললে সম্ভাব্য সেফ সাইডগুলোর ভেতর সবচেয়ে নিরাপদটাতেই থাকা যায়। কারণ সেটা বাদ দিলে তো আর কিছু থাকেনা।
আমি না হয় আপনার ভুল ধরতে এসেছি। তাতে রাগ করেন না। বরং চারপাশে দেখুন উইদিন ইসলাম আপনার মাযাহাব না মানা, মুফতি না মানা দৃষ্টিভঙ্গী কে কিভাবে দেখা হয়। আদৌ কী ইসলামিক প্র্যাক্টিস সাসটেইন করবে মানুষের ব্যাখ্যা ছাড়া।
"হাদীস যে নবীর বানী ছিল তার পূর্ণ নিশ্চয়তা নেই"
"কারণ নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে হাদীস সংকলিত হয়নি। "
কোরানও কিন্তু নবীর সরাসরি তত্ত্ববধানে লিপিবদ্ধ হয়নি!
"এর বাইরে আপনি হাদীস ঘেটে পাবেন যে কোরান এও কিছু অদল বদল হয়েছিল। কিন্তু আগেই বলেছি হাদীসের কোন কথা এতটা অথেন্টিক নয় যতটা অথেন্টিক কোরানের কথা।"
সমস্যাটা এটাই। হাদিসের এইসব বক্তব্যই আপনার শেষ নিরাপদ জায়গাটাকে অনিরাপদ করে তোলে। সেটাকে নিরাপদ করতেই আপনি হাদিসকে আপনি "মানুষের দ্বারা" ভেবে ইগনোর করতে চান।
আচ্ছা কোরানে যে একজন আলেমবুজুর্গ কর্তৃক একটা শিশুকে মেরে ফেলার গল্প আছে সেটার ব্যাপারে আপনার কী মত? সেটা তো কারো ব্যাখ্যা না, ডাইরেক্ট আল্লাহর কথা।
কোরানের সূত্র ধরে কেউ যদি সেই কাজের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে ধর্মের মধ্যে থেকে তা ঠেকাবার উপায় কী? সেটা ঠেকাবার ব্যাখ্যা তো মানুষকেই দিতে হবে, তাইনা?
"কোরান যেমন বদল হোয়া সম্ভব ছিলনা তেমনি কিছু সুন্নাহও (হাদীস নয়) বদল হওয়া সম্ভব ছিলনা কারন সেগুলো একই সাথে অসংখ্য উম্মত দ্বারা প্র্যাকটিস হয়ে আসছিল।"
হাসলাম অনেকক্ষণ। আপনি বলছেন কোরান বদল হওয়া সম্ভব ছিলোনা। অথচ যখন হাদিস যখন সেরকম বদল হওয়ার সাক্ষী দেয় তখন আপনি বলেন - "হাদীস যে নবীর বানী ছিল তার পূর্ণ নিশ্চয়তা নেই, কারণ নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে হাদীস সংকলিত হয়নি। তাই হাদীসকেও মূল সোর্স ধরতে পারবেননা।"
তাহলে বদল হওয়ার ইতিহাসটা জানা যাবে কোথা থেকে?? যেখান থেকে জানা যায় সেটাকে তো আপনি বাতিল করে দিচ্ছেন!!!
"কোরান যেমন বদল হোয়া সম্ভব ছিলনা তেমনি কিছু সুন্নাহও (হাদীস নয়) বদল হওয়া সম্ভব ছিলনা কারন সেগুলো একই সাথে অসংখ্য উম্মত দ্বারা প্র্যাকটিস হয়ে আসছিল। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সুন্নতে খাতনা, ওজুর নিয়ম ইত্যাদি আরও অনেক।"
- তা-ই যদি হত তাহলে মেয়েরা হাত বাঁধবে কী করে তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন থাকতো না। খুতবার পরে মুয়াজ্জিন দাঁড়াতে বলবে না ইমাম তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতো না। কোন ইমাম সঠিকভাবে নামাজ পড়ায় আর কে পড়ায়না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতো না! নামাজ তো অসংখ্য উম্মতের প্র্যাক্টিস করা বিষয়!!!
নিশ্চয় আপনার ফিরে আসাটা মনের টানেই হতে পারে, সেটা দোজখের ভয়ে হতেই হবে আমার সেরকম ধারণা না। কিন্তু নিজের মত বুঝে নেয়াটা সেই বিব্রতকর বিষয় থেকে বাঁচার চেষ্টারই নাম।
কারণ একবার ইসলাম ত্যাগ করে আবার ফিরে আসার পর যদি আপনি নিজের মত করে ব্যাখ্যা দাঁড় না করান যে এই যাওয়া-আসাও ইসলামে গ্রহণযোগ্য তাহলে আপনি আপনার প্রত্যাববর্তনকে নিজের কাছে জাস্টিফাই করবেন কী করে! আপনি বিব্রত কারণ আপনি জানেন একবার ইসলাম ত্যাগের শাস্তি একবার মৃত্যুদন্ড। আপনি সুইডেনে থাকেন, তাই সেখানে এই শাস্তি কার্যকর করার সুযোগ নেই কারোর পক্ষে। আর আমিও মন থেকে চাই কারোরই যেন ধর্মের গিলোটিনে মাথা কাটা না যায়।
শেষে একটা মজার বিষয়ের দিকে দৃষ্টি ফেরাই। ৫৩ নম্বরে মেলবোর্ন মানুষের মতের লিংক দিয়েছেন, সঠিকভাবে কোরান পড়ার ব্যাপারে! সেই মানুষের মতই লাগে করান ঠিক মত পড়ে বুঝতে, নিজের মত বুঝে নেয়া গেল না!!!
০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ২:০৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রশ্নগুলো করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রশ্নগুলো এইখানে না লিখে যদি মনের মাখেই রেখে দিয়ে আমার ব্লগ থেকে চলে যেতেন তাহলে আর এর উত্তরগুলো এইখানে লিখা হতনা। আপনি না পেলেও অন্যান্ন পাঠকেরা উত্তরগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
//নবী মানুষ। তিনি মারা যাওয়ার পর যারা কোরান লিপিবদ্ধ করেছে তারাও মানুষ। হাদিস সংকলনকারীরাও মানুষ। মাযহাবগুলোর গুরুরাও মানুষ। আজকের পৃথিবীর মুফতিরাও মানুষ।চারপাশে দেখুন উইদিন ইসলাম আপনার মাযাহাব না মানা, মুফতি না মানা দৃষ্টিভঙ্গী কে কিভাবে দেখা হয়। আদৌ কী ইসলামিক প্র্যাক্টিস সাসটেইন করবে মানুষের ব্যাখ্যা ছাড়া।//
আপনি আবারও সেই মানুষকেই টেনে আনছেন। একটা ব্যাপার বুঝুন, যে কেউ দাবী করল যে সে নবী আর অমনি আমি ছুটে গিয়ে সব বিশ্বাস করে ফেললাম ব্যাপারটা সেরকম না। তার দাবীটাকে অবশ্যই নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করে দেখব, যদি তা কোন সেন্স মেক করে তবেই মেনে নেয়ার সম্ভাবনা আসে। কোরানে বলা আছে এটা কোন মানব রচিত বই নয়, সে জন্যই আমি যাচাই করে দেখব যে এই দাবী সত্য হুবার সম্ভাবনা আদৌ আছে কিনা। আসলে, কারও ব্যাখ্যা শুনারই দরকার নেই এটা আমি কোথাও বুঝাতে চাইনি, অবশ্যই শুনা উচিৎ, তবে শুনার সাথে সাথেই মেনে না নিতে বলছি, ফাইনাল ডিসিশানটা নিতে হবে সকল ব্যাখ্যা শুনার পর কোরান সুন্নাহর সাথে মিলেয়ে নিজের বিবেকে তা প্রশ্নবিদ্ধ করার পর। এরপর যদি আমি কনভিন্সড হই যে সত্যি কোরান মানব রচিত নয় তবে আমি এতে বিশ্বাস আনতে পারি। মানুষের ব্যাখ্যা ছাড়া ইসলাম টিকে না থাকার কোন কারণ দেখছিনা, আর ব্যাখ্যা তো মানুষ করবেই, তবে সকলের উচিৎ ব্যাখ্যাটা সঠিক কিনা নিজে তা যাচাই করে দেখা। মাযহাব না মানা লোককে কে কিভাবে দেখল তাতে আমার তেমন কিছু আসে যায় না, মানুষের কথাতেই যদি ইনফ্লুয়েন্সড হতাম তাহলে এত যাচাই বাছাই আর করা লাগতনা, আর আমি মাযহাব মানিনা এই কথাও ঠিকনা, বরং বলতে পারেন মাযহায অন্ধভাবে অনুকরন করিনা, কোথাও প্রশ্ন আসলে তখন কোরান সুন্নাহ দিয়ে যাচাই করি।
//কোরানও কিন্তু নবীর সরাসরি তত্ত্ববধানে লিপিবদ্ধ হয়নি! তাহলে বদল হওয়ার ইতিহাসটা জানা যাবে কোথা থেকে?? যেখান থেকে জানা যায় সেটাকে তো আপনি বাতিল করে দিচ্ছেন!!!//
হাদীসকে আমি বাতিল করে দিচ্ছিনা, আমি বলতে চেয়েছি হাদীস কোন ইসলামিক নিয়ম নীতির মূল সোর্স হতে পারেনা। যেসব হাদীস কোরান সুন্নাহর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাগ্রহণ করতে কোন সমস্যা নেই। তবে কত যে হাজার হাজার ভুল হাদীস আছে তা আর এখন প্রমানের অপেক্ষা রাখেনা। সেই হাদীসের (যার কিনা ভুল হবার সম্ভাবনা আছে) সূত্র থেকেই জানা যায় যে কোরান কিছুটা বদল হয়েছিল। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে হাদীসের ভিত্তিতে ১০০% নিশ্চিৎ ভাবে বলা যায় না যে কোরান বদল হয়েছিল। বরং বলা যায় হয়তো হয়েছিল, অথবা হয়নি। এখন সাধারণ যুক্তিতে আসি, কোরান একই সাথে বহু সংখ্যক মানুষ দ্বারা মুখস্ত হয়ে আসছে যুগ যুগান্তর, এটাই আসলে কোরানের ফুলপ্রুফ ফ্রম চেঞ্জ হওয়াটা নিশ্চিৎ করেছে। সামান্য এতকুও যদি বদল হত তাহলে আমরা অন্তত একটা আলাদা কোরান পেতাম আজ। আর কোরান অবশ্যই নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে মানুষের মুখে মুখে মুখস্থ হয়েছিল (যদি লিখিত ভাবে লিপিবদ্ধ না হয়ে থাকে)। এই ব্যাপারে কোরানিক ভার্সও আছে। জিব্রাঈল (আঃ ) নিয়মিত এসে নবীকে কোরান মুখস্তের ব্যাপারে সহায়তা করেছেন (সঠিক আয়াতটা মনে নেই), সিকুয়েন্স ঠিক করে দিয়েছেন, অথচ হাদীস থেকে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস পাই!! কোরানের সিকুয়েন্স নাকি উসমান (রাঃ ) এর সময় ঠিক হয়েছিল!! তাহলে তারাবী নামাজের সময় এবং অন্য অনেক নামাজে যে সম্পূর্ণ কোরান পড়া হত সেই সিকুয়েন্সটা কে ঠিক করে দিয়েছিল? উসমান (রাঃ ) এমন উলট পালট করল আর সকলেই তা জ্বী হুজুর বলে মেনে নিল? হাহাহা এত সহজ নয় ভাই, মাথাটা নিরপেক্ষভাবে খাটান তাহলে বুঝতে পারবেন।
//তা-ই যদি হত তাহলে মেয়েরা হাত বাঁধবে কী করে তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন থাকতো না। খুতবার পরে মুয়াজ্জিন দাঁড়াতে বলবে না ইমাম তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতো না। কোন ইমাম সঠিকভাবে নামাজ পড়ায় আর কে পড়ায়না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতো না! নামাজ তো অসংখ্য উম্মতের প্র্যাক্টিস করা বিষয়!!!//
এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। এটার উত্তর খুব সহজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটাই হচ্ছে মূল সুন্নাহ (রাকাত, রুকু, সেজদার সংখ্যা ইত্যাদি সহ) কেননা এটাতে কারও কোন দ্বিমত নাই। এখন নবী হয়তো মাঝে মাঝে একটু ভিন্ন নিয়মে নামাজ আদায় করেছেন (ভিন্ন নিয়মগুলো তাই সুন্নাহ নয়, চারের মাঝে ইচ্ছামত একটা নিলেই তা সুন্নাহ) তাই ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের সৃষ্টি হয়েছে। যে ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই আর যা প্রজন্মান্তরে চলে আসছে সেগুলোই সুন্নাহ। এমন একটা হাদীসও আছে যেখানে বলা আছে বিভিন্ন গোত্র একই রকম সমস্যার জন্য তাদের নিজেদের সমাধান পদ্ধতির ব্যাপারে নবীর মতামত জানতে চেয়েছিল। নবী প্রত্যেকের আলাদা সমাধানকেই এপ্রুভ করেছিলেন। তাই এখান থেকে হাদীস রচিত হলে দেখা যাবে আরও বিভিন্ন মাযহাব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে, প্রত্যেকে দাবী করবে যে তাদেরটাই সঠিক, অথচ নবী যেখানে সবগুলোই সঠিক বলেছিলেন। এভাবেই আপনার বাকি উদাহরনগুলোর জবাব হয়ে যায়, যেমন কোনদিন মুয়াজ্জিন দাঁড়াতে বলেছিলেন আবার কোনদিন ইমাম বলেছিলেন, নবী কোনটাতেই মানা করেননি।
//আচ্ছা কোরানে যে একজন আলেমবুজুর্গ কর্তৃক একটা শিশুকে মেরে ফেলার গল্প আছে সেটার ব্যাপারে আপনার কী মত? সেটা তো কারো ব্যাখ্যা না, ডাইরেক্ট আল্লাহর কথা। কোরানের সূত্র ধরে কেউ যদি সেই কাজের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে ধর্মের মধ্যে থেকে তা ঠেকাবার উপায় কী? সেটা ঠেকাবার ব্যাখ্যা তো মানুষকেই দিতে হবে, তাইনা?//
এই ঘটনা হযরত খিজির (আঃ ) ঘটিয়েছিলেন মুসা (আঃ ) এর সামনে। মুসা (আঃ ) এতে খুব রাগান্বিতও হয়েছিলেন। হযরত খিজির এর জ্ঞান যে হযরত মুসার চেয়েও অনেক গভীর ছিল তা কোরানে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে। খিজির পরে বলেছিলেন যে ঐ শিশুটিকে হত্যা না করলে সে তার মা বাবার জন্য ভবিষ্যতে অনেক কষ্টের কারণ হত, এই কথা শুনে মুসা পরে লজ্জিত হন। এইখানে আল্লাহ ডাইরেক্ট একটা পূর্ব ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এখানে কোথায় বলা হল যে খিজির শিশু হত্যা করেছেন বলে আমাদেরকেও তা করতে হবে? আপনি কি জানেননা যে কোরানে বলা হয়েছে উপযুক্ত কারণ ছাড়া কেউ কোন মানুষকে হত্যা করলে তা সমগ্র মানব জাতিকে হত্যার সমান? এই কাজের পুনরাবৃত্তি কে করতে যাবে? তাকে ঠেকাবার জন্য মানুষের ব্যাখ্যারওতো দরকার নেই, কোরানেই ব্যাখ্যা দেয়া আছে। খুবই হাস্যকর প্রশ্ন করে ফেলেছেন এটা আপনি। কেউ এই কাজ করতে গেলে তাকে ঠেকানোর কথাও কোরানে আদেশ দেয়া আছে।
//কারণ একবার ইসলাম ত্যাগ করে আবার ফিরে আসার পর যদি আপনি নিজের মত করে ব্যাখ্যা দাঁড় না করান যে এই যাওয়া-আসাও ইসলামে গ্রহণযোগ্য তাহলে আপনি আপনার প্রত্যাববর্তনকে নিজের কাছে জাস্টিফাই করবেন কী করে! আপনি বিব্রত কারণ আপনি জানেন একবার ইসলাম ত্যাগের শাস্তি একবার মৃত্যুদন্ড।//
এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার উল্লেখ করেছেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুরো একটা পোস্ট দেয়া যায়। প্রথমত, একটা হাদীস অনুযায়ী এটা বলা হয়ে থাকে যে কোন লোক যদি ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় (মুরতাদ হলে) তবে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। যদিও কোরানে এই রকম কোন কথা বলা নেই তবু ধরে নিলাম যে হাদীসটা সত্য। এখন ইসলাম গ্রহণ করা বলতে সাধারণ যুক্তিতে এটাই বুঝা যায় যে কেউ বুঝে শুনে সজ্ঞানে ইসলাম কবুল করেছে। জন্মসূত্রে মুসলিম হয়ে অনেকদিন খুব বেশী না বুঝেই ইসলাম পালন করে যদি কেউ আবিষ্কার করে যে সে আসলে এক্সিডেন্টালী মুসলিম তবে তার ইসলাম ত্যাগ করাকে ঠিক ইসলাম ত্যাগ করা বুঝায় না। বরং কেউ যদি নিজের আগ্রহে মুসলিম হয়ে থাকে আর পরে সেটা ত্যাগ করে তখনই বলা যায় সে ইসলাম ত্যাগ করেছে। তাই মুরতাদ ধারণা নিয়ে মুসলিমদের অনেক ভুল ধারনা আছে। আমি এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি তবে এখানে এর বেশী প্রয়োজন মনে করছিনা। শুধু মুরতাদ সম্পর্কিত কোরানের একটা আয়াত দেখাই যেখানে মৃতুদন্ডের কোন কথা বলা হয়নি।
৫/৫৪ হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।
আর আমি আপনাকে বারবার বলছি যে বিব্রত হবার মত কোন ব্যাপার আমার কাছে ছিলনা। আপনি তা কেন জোড় করে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছেন? প্রত্যেকের মতামতকে সম্মান করতে শিখুন। ইসলাম পালন করার আসলেই আমার কোন ঠেকা ছিলনা, নামাজ পড়া, রোজা রাখা, যাকাত দেয়া এগুলো দৈনন্দিন জীবনে কত কষ্টের কাজ তা বুঝতে চেষ্টা করুন, খামাখা কেউ নিজের ঘাড়ে এইসব টেনে আনবেনা। আমার প্রত্যাবর্তন আমার কাছে পুরোপুরি জাস্টিফাইড, আমি সত্য খুঁজে পেয়েছি ইসলামে।
//৫৩ নম্বরে মেলবোর্ন মানুষের মতের লিংক দিয়েছেন, সঠিকভাবে কোরান পড়ার ব্যাপারে! সেই মানুষের মতই লাগে করান ঠিক মত পড়ে বুঝতে, নিজের মত বুঝে নেয়া গেল না!!! //
যে লিঙ্কের কথা বলা হচ্ছে তা যে শুনতেই হবে এমন ফরজ কিছু কি কোরানে আছে? আপনি মানুষের মতামত নেন, তবে তা অন্ধ অনুকরন করার আগে নিজে যাচাই করে নিজের বিবেকের কাছে ক্লিয়ার হয়ে নেন। তার মতামত যদি নাও গ্রহণ করেন তাতে নিজের মত বুঝে নিতে সমস্যা কোথায়? নিজের মত বুঝে নেয়া গেলনা এটা কিরকম কথা বললেন আপনি? তবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৫৩| ০৩ রা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮
নির্ণয় বলেছেন: আমিই রূপক যে দুটূ হাদিস দিয়েছেন তা আপনি বাতিল করে দেননি মানুষের ব্যাখ্যা হিসেবে। ইন্টারেস্টিং।
প্রথম হাদিসে দাসকে শাস্তি দেয়া হয়েছে কুমারীর সতীত্ব নষ্ট করার জন্য। কারণ দাসের তো মূল্যবান কুমারী ভোগ করার অধিকার থাকার কথা না। সেটা করবে সমাজের উচ্চপদস্থরা।
দ্বিতীয় হাদিসে কুমারীকে ধর্ষণের শাস্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তাও বেত্রাঘাত। মজাটা হলো কুমারী না এমন কেউ ধর্ষিত হলে কী বিধান তা হাদিস দুটি থেকে জানা যায়না!!!
০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ২:০৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ব্যস্ত আছি, পরে জবাব দিচ্ছি।
০৪ ঠা জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একটা জিনিস আমি আপনাকে আমার তরফ থেকে পরিষ্কার করে দিচ্ছি, যেটা আপনার কাছে পরিষ্কার নয়। আমি হাদীস শাস্ত্রকে বাতিল করে দেবার মত ধৃষ্টতা দেখাতে পারিনা, আমি শুধু হাদীসকে কোরান সুন্নাহর বাইরে মূল সোর্স বিবেচনা করার বিপক্ষে। যেসব হাদীস কোরানের বক্তব্য বা ধারণার সাথে কনসিস্টেন্ট, সেগুলো বাতিল করার কোন কারণ নেই। এখানে আপনি হয়তো বলবেন যে আমি সুবিধা মত হাদীস নিব আবার সুবিধামত হাদীস বর্জন করব। আসলে ব্যাপারটা সেরকম নয়, সুবিধা আর অসুবিধার কিছুনা, কোরানের সাথে কনসিসটেন্ট হলে একটা হাদীস কোনভাবে অসুবিধা সৃষ্টি করলেও আমি তা বর্জন করতে পারবনা।
প্রথম হাদীসে দাসকে নয় গোলামকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। আপনি দাস আর গোলামের পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। গোলামেরা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করত, তাদের অধিকার সাধারণ মানুষের মতই ছিল। তাই এই অধিকার বলেই তারাও দাসী রাখতে পারত। দাস দাসীদের কোন পারিশ্রমিক ছিলনা, তারা মালিকের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হত। তখন দাসের ক্ষেত্রে আরবী শব্দ 'আবদ্' ব্যবহৃত হত, আর গোলাম আরবী শব্দের অর্থ চাকর। তবে আমরা অনেকে বাংলা ভাষায় গোলাম বলতে দাস বুঝি। আবার অনেকে এখনও বাড়ির কাজের লোককে দাস বলে মনে করে। এই গুলোর পার্থক্য বুঝাটা জরুরী।
দ্বিতীয় হাদীসের ক্ষেত্রে আপনার কথাটা সঠিক। তবে এটা কোন সমস্যা বলে মনে হচ্ছেনা। কোরানে সরাসরি ধর্ষনের ব্যাপারে কোন উল্লেখ নেই, তবে অপরাধের ক্যাটাগোরী আছে কোরানে। ধর্ষনটা সমাজের জন্য খারাপ কাজ এই ক্যাটাগোরীতে পড়বে। সে ক্ষেত্রে নিজেরা আইন করে সে অনুযায়ী ধর্ষকের বিচার করা যাবে, তাতে ইসলামের কোন লঙ্ঘণ হবেনা।
৫৪| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৭
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম ।
০৪ ঠা জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য আপনাকে থ্যাঙ্কু,
৫৫| ১৬ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪০
হিমেল হিমু বলেছেন: আপনার নাস্তিক হবার আগ পর্যন্ত আপনার সাথে আমার বেশকিছু মিল আছে।
বাবা-মা নামায-রো্যা করত, আমিও ধর্মটাকে সেভাবেই দেখতাম , নামায পড়, রো্যা রাখ । স্কুল জীবনে পরিহ্মার আগে খুব ধার্মিক হয়ে যেতাম।
বিশ্ববিদ্যালয় জিবনের আগে নিজের জীবনে অনেক ভাবেই আল্লাহর অস্তিত্বের সাহ্মর পেয়েছি। তার কাছে যা চেয়েছি তা পেয়েছি, তাই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসও ছিল অগাধ।
পরে সামুতে নাস্তিকদের লেখা পরে মাথা আউট হয়ে গিয়েছিল। নিজের ভেতর একটা যুদ্ধ চলছিল- সত্যিই কি আল্লাহ আছে , নাকি সবই আমার অন্ধ বিশ্বাস? এতকিছুর পরেও আমি আস্তিক চর্চা চালিয়ে গেছি। কিন্তু আপনার মত একটা মানসিক টানাপরেন এ সবসময় থাকত।
আজ আপনার পোস্ট পড়ে মানসিক টানাপরেন টা দূর হয়ে গেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
১৬ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। একটা কথা মনে রাখবেন, কোরানের আয়াতেই বলা আছে আপনার কর্মেই আল্লাহ বিচার করবেন তার ফলাফলে নয়। আপনার যদি বিশ্বাস করার সৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে তাহলে আপনি আল্লাহকে বিশ্বাস করতে ব্যর্থ হলেও আপনি ক্ষমা পাবেন শুধুমাত্র সৎ উদ্দেশ্যের জন্য। সমগ্র কোরান পড়ে দেখেন সেখানে বলা আছে (কোরানের মূল থিম) মানবতার কথা, পরার্থে কাজ করার কথা, সারাদিন নামাজ পড়ে বা জিকির করে জীবন পার করে দিলে আপনি কোরানের বিপরীতেই কাজ করবেন।ইউরোপীয়ানরা আর অনেক নাস্তিকেরাই (ইসলাম বিদ্বেষীরা নয়) মূলত কোরানের বলা আদর্শের কাছাকাছি আছে সাধারণ মুসলিমদের চেয়ে, তারা পরার্থে কত কিছু করে অথচ আমরা মুসলিমেরা নিজ স্বার্থে ব্যস্ত আর নামাজ পড়েই ভাবি যে আমি তো বেহেশতি!! এই জন্যই মুসলিমদের আজ এই দুর্গতি। আমার ব্লগে মাঝে মাঝে দেখে যাবেন, আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আছে আমার। লিখার সময় পাই না, তাই লিখতে পারছিনা।
৫৬| ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
হাদীস নির্ভর যোগ্য উৎস নয়?
আপনি মনে হয় কোথাও ভুল করছেন!
যাক আমি এ নিয়ে আবার কথা বলব?
আবার দেখা হবে...
লেখাটা চমৎকার হয়েছে...
আল্লাহ হাফেজ
১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হয়তো আমি ভুল করছি, অথবা হয়তো আপনি ভুল করছেন। তবে এই ক্ষেত্রে কোরান কি শিক্ষা দেয়? কোরান বলে কোন কিছুকেই অন্ধ অনুকরন না করতে, বাপ দাদার ধর্মকেও না। কোরান বলে এই কোরানে বিশ্বাস আনতে হবে রিজনিং আর যুক্তির মাধ্যমে (অন্ধ বিশ্বাস থেকে নয়)। কোরান বলে আমাদের কর্মকে যাচাই করা হবে ফলাফলকে নয় (অর্থাৎ সত্য খোজার সত উদ্দেশ্য আছে কিনা তা যাচাই করা হবে সৎ উদ্দেশ্য থাকার পরেও সত্য না পেলে তার বিচার করা হবেনা)। অতএব আমার কোথাও ভুল হলেও আমিই আপনার চাইতে ঠিক পথে আছি, কারন আমি হাদীসকে অন্ধ অনুকরন করছিনা।
এবার তাহলে হাদীসকে একটু বিচার করি। অসংখ্য অসংখ্য হাদীস আছে যা সরাসরি স্ববিরোধী, কোরান বিরোধী, এবজার্ড, হাস্যকর, ইত্যাদি। সেগুলো আপাতত আলোচনায় আনলামনা, শুধু অতি গুরিত্বপূর্ণ নামাজের ব্যাপারে কিছু হাদীস এর ভিত্তিতে কি রেজাল্ট আসে দেখুন। হাদীসের রেফারেন্স আপাতত দিলামনা, সবগুলো বুখারী,মুসলিম,মুয়াত্তা থেকে নেয়া। চাইলে রেফারেন্স দিব। এগুলো দূর্বল হাদীস নয়, সব সহীহ।
১) যদি আপনি ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে ওযু করতে হবে। না আসলে করতে হবেনা। (২ হাদীসে ২ রকম) নিচে আরও দেখুন
২) রান্না করা খাবার খেলে ওযু ভেঙ্গে যাবে। না না ভাংবেনা!!
৩) রক্ত পড়লে ওযু যাবে। আরে ধুর, রক্ত পড়লেও ওযু যাবেনা।
৪) বীর্্যপাত না হলে সেক্সের পর গোসল ফরজ নয়। আরে কে বলেছে, অবশ্যই ফরজ!!
৫) আপনি জোহর,আসর,মাগরিব,এশা নামাজগুলো চাইলে একবারে একসাথেই পড়ে ফেলতে পারেন। অস্তাগফিরুল্লা, আপনি এটা পারেননা।
৬) মোনাজাতের জন্য হাত তুলবেননা। না না অবশ্যই তুলবেন!!
৭) রুকুর আগে কান পর্যন্ত হাত তুলেন। না না তুলা যাবেনা!!
৮) আসরের পর আরও দুই রাকাত নামাজ পরুন। না না, কক্ষনো না!!
৯) আপনার বাচ্চাকে কোলে বা কাঁধে নিয়ে নামাজ পড়তে পারেন। জ্বীনা জনাব তা পারেননা।
১০) নামাজের সময় মিম্বর থেকে উঠানামা করতে পারেন, রুকু এক জাগায় দাঁড়িয়ে, সেজদা সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে। আবার সুরা ফাতেহা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে। হায় হায় কি বলেন, এটা আপনি করতে পারেননা।
১১) নামাজের জন্য শুধু সুরা ফাতেহাই যথেষ্ঠ। ধুর, মোটেই যথেষ্ঠ না।
১২) আল্লাহুম্মা জোড়ে উচ্চারন করা যাবে। না যাবেনা।
১৩) আল্লাহুম্মা বলা ছাড়াও নামাজ পড়া যাবে। না আসলে যাবেনা।
১৪) নামাজ পড়ার সময় আপনি শয়তানকে অভিশাপ দিতে পারেন আবার কারও জন্য দোয়া করতে পারেন। না না , পারেননা।
১৫) আত্তাহিয়াতু দোয়া পড়ার পর যা ইচ্ছা তাই পড়েন। না না, এর পরেও আত্তাহিয়াতু দোয়াই পড়ে যান।
১৬) নামাজের সামনে দিয়ে কেউ গেলে তাকে না করুন, না শুনলে তাকে হত্যা করুন। না না, তাকে কিছুই বলার দরকার নাই।
১৭) নামাজের সামনে দিয়ে কোন নারী,গাধা বা কুকুর গেলে নামাজ হবেনা। না না, আপনি তো নামাজের সামনে স্ত্রীকে (নারী) শুইয়ে রেখেও নামাজ পড়তে পারেন!!
এছাড়া আপনি নামাজ পড়ার ইউনিফাইড কোন নিয়ম হাদীস থেকে পাবেননা। এতো মাত্র কিছু বললাম, আরও ভয়ংকর সব জিনিস আছে যা লিখার ধৈর্য এখন হচ্ছেনা। পড়ে আপনি চাইলে লিখব। যেমন ধরেন, দয়াল নবী বলেছেন উটের মূত্র পান করলে রোগ সেরে যাবে। উট চুরীর অপরাধে নবী চোরদের হাত, পা কেটে দিলেন, তারা ক্ষমা চাওওয়া স্বত্বেও, তাদেরকে পানি দিলেননা পান করতে, লোহার গরম শিক তাদের চোখে ঢুকিয়ে হত্যা করলেন, তারা পানি না পেয়ে বালু খেয়ে খেয়ে মারা গেল। দয়ার নমুনা!! নাকি হাদীস এর মাধ্যমে নবীকে চূরান্ত অপমান করা হল? আপনার যুক্তি কি বলে? এটাও সহীহ বুখারীর হাদীস। তারপর ধরেন, কোন মেয়ে অচেনা এক পুরুষকে আপন আত্মীয় করে নিতে চায় (বিয়ে নয়) যাতে পর্দা ফরজ না থাকে। হাদীসে উপায় আছে। মেয়েটা তার স্তন সাক করতে দিবে ১০ টা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। তাহলেই সেই অপরিচিত জোয়ান মর্দকে বিয়ে করা হারাম হয়ে যাবে, আর পর্দার প্রয়োজন ফুরাবে!!! ওয়াও কি চমৎকার!! মুতা বিবাহের কথা জানেনতো? বেশ্যা গমনের অনুমোদন আরকি। এক হাদীসে আনুমতি আছে, আরেক হদীসে নাই। আর কত শুনবেন? আরও অসংখ্য আছে। এর পড়েও যদি বলেন যে হাদীস শাস্ত্র রিলায়েবল, আমার কোথাও ভুল হচ্ছে, তাহলে ভাই আমি নির্বাক হয়ে যাব।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার দৃষ্টি খুলে দিক। আমীন।
৫৭| ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:১৩
ROKON বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, একটা কথা বলতে চাই যে, মুসলিমরা কখনও নাস্তিক হতে পারে না। কারন, তাঁদের ধর্ম যে বিশ্বের একমাত্র আধুনিক, শান্তির ধর্ম ইসলাম। যে কুত্তারা মুসলিমদের নাম দিয়ে নাস্তিক সেজে ব্লগারে ইসলামকে আঘাত করে সে কুত্তারা হল হিন্দু বা ইয়াহুদী (খৃষ্টানরা নয়, কারন তারা চাড়াইল্লা হিন্দুদের মত এত ইতর, বদমাইশ, বাটপার, কুচত্ক্রি নয়) । এরা নিজের নাক কেটে নিজের ধর্মকে লুকিয়ে মুসলিম সেজে ইসলামকে আঘাত করার জন্য পাগল। আসুন এই কুত্তাদেরকে কুত্তার মত ধরে কোটি কোটি মানুষের সামনে প্রকাশ্যে ক্রস ফায়ারে দেয়ার ব্যবস্থা করি। ধন্যবাদ
৫৮| ১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৮
বিমর্ষ আমি বলেছেন: আপনি হচ্ছেন মডারেট আস্তিক। মুসলমান্দের অধিকাংশ আপনার মত হলে কোনো সমস্যা আমাদের ছিল না...কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন......যাই হোক-নাস্তিকতা আস্তিকতা কোন ব্যাপার না। মুল ব্যাপার হল-মানুষ হিসেবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের একমত হওয়া দরকার-সে বিষয়গুলোতে আমরা একমত হতে পেরেছি কি-না। আর খেয়াল রাখবেন-মডারেট আস্তিক যাতে ধর্মান্ধ আস্তিক হতে সাহায্য না করে।সেটা হলে-এই ব্যক্তি আস্তিক দ্বারা কারো ক্ষতি না হলে ও ধর্মান্ধ আস্তিকদের দ্বারা দেশ ও জাতির ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে।
আমার মনে হয় – আপনি সবসময়ই কিছু খুজে বেরোচ্ছেন-যা আপনি প্রথমে আস্তিকতায় পাননি-ফলতঃ নাস্তিকতায় ভিরেছেন-কিন্তু সেখানেও পাননি-ফলে আবার আস্তিকতায়...কারন আপনি যা খুঁজে চলেছেন- তা আস্তিকতায় অন্তঃত কিছুটা হলেও মেলা সম্ভব-তবে নাস্তিকতায় অসম্ভব। ঘটনা যাই হোক-আপনার ভবিষ্যত নিয়ে আমি সন্দিহান। একটা সরলরেখা কে যেখানে বিভিন্নভাবে বিশ্লষন সম্ভব-সেখানে ৩০ পারা কুরআন আপনাকে একটা গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যায় নিয়ে জাবে-সেটাও বিভিন্নভাবে সম্ভব। আর এখান থেকে আস্তিকেরা শুধু স্বান্তনা নয়,অনুপ্রেরণাও পাবে-সন্দেহ নেই।
পরিশেষে এতটুকু বলতে চাই-আমরা আস্তিক-নাস্তিক যাই হই না কেনো-আমরা চাই একাত্নতা। আমরা যাতে আমাদের দরজা-জানালাগুলো সত্যের সন্ধানে সর্বদা খুলে রাখি। মৌলিক বিষ্যগুলোতে যাতে আমরা একমত হতে পারি।
৫৯| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৩৮
মেয়র বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই, আপনার লেখাটা আসলেই চমতকার হয়েছে।
আমি নিজে ধর্মের ব্যপারে যধেষ্ট সন্দিহান, কিন্তু সন্দেহ আসার আগ পর্যন্ত ধর্ম আমাকে অনেক শান্তি দিয়েছে, রমজান মাসে রেজা রেখে ইফতার করার মধ্যে কেমন জানি একটা স্বর্গীয় অনুভুতি আমি পেয়েছি, এবং ভাবতে খুবই কষ্ট হয় যে হয়ত এই সব কিছুই একটা ভুল। তাই আমি ইসলামের দোষ ধরে হাত তালি দেওযার মত কাজে মোটেই desparate নই, বরং আমার বাবা মা যে ধর্ম পালন করছে সে ধর্ম সত্যি ভাবতে আমার নিজেরই খুব ইচ্ছ্ হয়। ধর্মে বিশ্বাস ছাড়া নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। কিন্তু তার পরেও আমার যৌক্তিক মন শ্রেফ বাপ দাদা থেকে পাওয়া একটি ধারণা কে কোনভাবেই সত্য ভাবতে পারছে না।
আপনি ইসলামের যত সুন্দর দিক আনুন না কেন, সেগুলো কোন ভাবেই প্রমাণ করে না যে, নবী (সা একজন ইশ্বর প্রেরিত পুরুষ এবং কোনআন একটি আলৌকিক গ্রণ্থ। বরং হ্যা, ইসলামের সুন্দর দিক গুলো কে সুন্দর বলা যেতে পারে, এবং অসুন্দর দিক গুলোকেও অসুন্দর বলা যেতে পারে। আপনি যখন বিশ্বাস করে ফেলবেন যে, কোরআন আলৌকিক, তখন ইসলামের অসুন্দর দিক গুলোকেও সুন্দর লাগবে, অযৌক্তিক দিক গুলোকেও যৌক্তিক মনে হবে।
দেখুন, আপনি যত পুরাতন ধর্মের দিকে যাবেন, তত রুপকথার কাহিনী কেচ্ছা পাবেন ধর্ম গুলোতে, এটাই স্বাভাবিক যে, ধর্ম যত লেটেস্ট, সে ধর্মে তত মুজিজা, রুপকথা কম পাবেন। তার কারণ খুবই সহজ। সময় যত আগায়, ইতিহাস রেফারেন্স তত শক্ত হয় এবং মানুষের এনালাইসিস করার উপকরণ এবং ক্ষমতাও বেড়ে যায়। হিন্দুদের ধর্মের রুপকথাময় গল্পগুলো এতই আগের সময়ের যে, তখন কার সময়ের ঐতিহাসিক রেফারেন্স ভেরিফাই করা সম্ভব না কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন ধর্মেরই কোন মহাপুরুষ কোন মুজিজা কেরামতি দেখাতে পারেনা, কারণ এখন বিজ্ঞানের সময়ে যে কারও কেরামতিই পন্ডশ্রম হবে, তাই রিসেন্ট মহাপুরুষরা বলবেন যে, ঈশ্বর চায় না যে মানুষ এখন কোন কেরামতি দেখুক। কেরামতি দেখলেই ত বিশ্বাস এসে যাবে, তাহলে ত আর পরীক্ষা থাকলনা।
সময়ের হিসাবে ইসলাম সবচেয়ে রিসেন্ট ধর্ম এবং সেই অনুযায়ী ম্যাজিক লাঠি টাইপের আলৌকিক ঘটনাও নবী (সা এর সময়ে থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। এবং যারা বিশ্বাস করেই নিবে যে তিনি প্রেরিত পুরুষ তারা তার কেরামতি না দেখাতে পারা টা কে 'না দেখানো' মনে করবে।
এই যেমন আপনি বললেন একটি মন্তব্যে যে,
"....মুহাম্মদ (সঃ ) এর সময়কার কাফিরদেরও একই শাস্তি প্রাপ্য তবে আল্লাহ সরাসরি গজব না দিয়ে নবীকেই আদেশ করেছেন তাদের কতল করতে। তবু যারা জিজইয়া কর দিত আর শান্তিপূর্ণ থাকতে চাইত তাদের জন্য তাদের জন্য কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছিল। ....."
লক্ষ্য করুন, পুরনো নবীদের আমলে আল্লাহ সরাসরি আজাব গজব ইত্যাদি নাজিল করত বলে গল্প আছে কিন্তু প্রত্বতাত্বিক এবং ঐতিহাসিক রেফারেন্স আমরা জানিনা, শুধু বিশ্বাস করেছি, কিন্তু ইসলাম ধর্ম টা এমন সময় যখন মানুষের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা কিছুটা ছিল এবং পুস্তকের ব্যবহার ছিল, তাই এমন কোন গজব টাইপ ঘটনা ইসলামের যুগে ঘটেনি, বরং নবী (সা এরই দায়িত্ব ছিল যতটুকু সম্ভব গজব নিজের হাতে দেওয়া (দল ভারী হবার পর)... এবং সেটা আল্লাহর নির্দেশে। এখন আমি যদি আগে থেকেই আলৌকিকতায় বিশ্বাস না করে থাকি তাহলে আমি কিভাবে এই রকম একটা ব্যাখ্যায় কনভিনসড হব !!
ইসলামের শুধু সুন্দর দিক গুলো নিয়ে কেউ যদি এটাকে দর্শন হিসেবে পালন করতে চায়, আমি তাতে কোন খারাপ কিছু দেখিনা, কিন্তু আলৌকিকতায় বিশ্বাস করা আর দর্শন হিসেবে মেনে চলা দুটি ভিন্ন ব্যপার। আজকে আমি যদি বলি আমি এই মাত্র আল্লাহ, ভগবান বা ঈশ্বরের সংগে ডিনার করে আসলাম, এবং আমার অনেক অনুসরনীয় ভাল গুণাবরী আছে, আমি সত্যের পথে খাকি ... আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করবেন ? বিশ্বাস না করলে কেন করবেন না ? আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে আমি আসলেই ঈশ্বরের সংগে ডিনার করে আসি নাই ? এখন কেউ যদি আমার অনুসরনীয় ভাল গুণাবলী অনুসরন করতে চায়, সেটা অবশ্যই ভাল কাজ হতে পারে, সেজন্য আমাকে যদি কেউ ভালবাসে, বাসতেই পারে, কিন্তু আমি যে ঈশ্বরের সংগে ডিনার করি এই কথাটা কথনই সত্যি প্রমানিত হতে পারে না, তাই নয় কি ? আর আমার এই ডিনার করার গল্প যে বিশ্বাস করবে না, সে কাফের হয়ে নরকে পুরবে এমন ধারণা করাটাও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
সবশেষে আপনার আরেকটি মন্তব্য কোট করছি,
"... নিজের স্বতন্ত্র চিন্তায় যদি কোরান সম্পর্কে কনভিন্সড না হতে পারেন আর সেই চিন্তা করার সময় আপনি যদি সত্যিই সততার আশ্রয় নিয়ে থাকেন তবে আপনি ভুল করলেও আমার ধারণা আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন যদি কোরান সত্য হয়। .."--
আপনার এই চিন্তাটা আমার কাছে বেশ ভাল কোয়ালিটির এবং যৌক্তিক চিন্তা বলে মনে হয়েছে এবং সেজন্য ভাল লেগেছে। আমি নিজের স্বতন্ত্র চিন্তায় কোরান সম্পর্কে কনভিনসড হতে পারছি না, তবে যেহেতু ধর্ম বিশ্বাসে এক রকম সুখের অনুভুতি আছে তাই চেষ্টা করেই যাচ্ছি যৌক্তিক ভাবে কনভিনসড হওয়ার... কিন্তু ব্যর্থ।
আপনার পোষ্টের টাইটেল 'কিভাবে আমি আস্তিক হলাম' .. দেখে প্রথমে পুলকিত হয়ে ভেবেছিলাম হয়ত আজ কোন ম্যাজিক্যাল যুক্তি আপনার পোষ্টে পাব এবং তাতে আমার ঈমান চলে আসবে, কিন্তু আপনার লেখায় অনুভব করলাম যে, আপনার ইসলামে ফিরে আসাটা আবেগ এবং অনুভূতি নির্ভর, যুক্তি নির্ভর নয়। সে যাই হোক, আপনি যদি একজন ভাল মডারেট মুসলিম হয়ে কারও ক্ষতি না করে নিজে সুখী থাকতে পারেন, আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে অল্প কথায় ব্যাখ্যা দিলে আমি অনেকের রোষানলে পড়তে পারি, তবু সেই ঝুঁকিটা নিচ্ছি শুধু এই কারনে যে আমার মনে হল আপনি সত্য খুঁজার ব্যাপারে সৎ। আশা করী পরে বিষদ ব্যাখ্যা পোস্ট আকারে দিলে সেই রোষানল ঢাকা পড়বে। দয়া করে একটু মনোযোগ দিয়ে আমার এই কথাগুলো চিন্তা করবেন। ঈমান আনার সদ ইচ্ছা থাকলে আশা করি আসবে। তাহলে শুরু করছি আপনার কিছু কথা কোট করে ও তার জবাব দিয়ে।
''কিন্তু তার পরেও আমার যৌক্তিক মন শ্রেফ বাপ দাদা থেকে পাওয়া একটি ধারণা কে কোনভাবেই সত্য ভাবতে পারছে না।''
চমৎকার কথা বলেছেন। আমিও এই চিন্তা করেই বিশ্বাস হারিয়েছিলাম। তবে এ ব্যাপারে কোরানের বক্তব্য আমি একটু নিজের ভাষায় বলছি। বাপ দাদা থেকে পাওয়া একটি ধারণা অন্ধভাবে অনুকরন করা মানেই ধ্বংশে পতিত হওয়া (২/১৭০),যা সম্পর্কে তোমাদের পরিষ্কার ধারণা নেই তা অন্ধ অনুকরন করোনা (১৭/৩৬), শুধুমাত্র নামজ পড়াতে কোন লাভ নেই বরং যারা একাজ করে তারা বিপথে আছে, বেশী গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভাল কাজ করা (২/১৭৭, ৯/১৯, সুরা মাউন),যারা নিজেদের চিন্তাশক্তি আর যুক্তিবোধ ব্যবহার করেনা তারা পরিপূর্ণ মানুষের মত নয়, সাব হিউম্যান (৭/১৭৯), নবী যুক্তিবোধ ব্যবহার করেই মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেন, অন্ধ বিশ্বাস বা মিরাকলের মাধ্যমে নয় (১২/১০৮), মেজরিটি মানেই যে সঠিক তা ঠিক নয় বরং বেশীরভাগ লোকই শোনা কথা বিশ্বাস করে এবং তারা পথভ্রষ্ঠ (৬/১১৬, ১০/৩৬, ১০/৬০, ১৬/৭৫), আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে (৬/১১৬)।
আপনি চিন্তা করে দেখুন, অধিকাংশ মুসলিম কেমন শোনা কথায় ইসলাম পালন করে চলছে, তারা নামাজ পরে কিন্তু সৎ কর্ম করেনা, এতে যে কোন লাভ হচ্ছেনা তা তারা বুঝেনা শরীয়ত নামের মানুষ্য আইনের কারণে। সবাই অন্ধভাবে শরীয়ত ফলো করছে, এটা যে কোরানের বিরুদ্ধ তা কেউ যুক্তি দিয়ে বিচার করছেনা, কোরান অনুযায়ী এরা সবাই ভুল পথে আছে।
''আমি নিজের স্বতন্ত্র চিন্তায় কোরান সম্পর্কে কনভিনসড হতে পারছি না, তবে যেহেতু ধর্ম বিশ্বাসে এক রকম সুখের অনুভুতি আছে তাই চেষ্টা করেই যাচ্ছি যৌক্তিক ভাবে কনভিনসড হওয়ার... কিন্তু ব্যর্থ।
''
আপনি যদি সত্যি কথা বলে থাকেন তাহলে আমি কিছু ক্লু দিচ্ছি, যুক্তি দিয়েই বিচার করুন, বাকিটা আপনার নিজের দায়িত্ব। আপনি কনভিন্সড হতে পারছেননা কারন আপনি কোরানের এমন অনুবাদ পড়ছেন যা হাদীস দ্বারা প্রভাবিত, অথবা আপনি শরীয়তি ইসলাম ঘেঁটে দেখছেন। আসুন দেখি কোরান কি বলে।
কোরান পূর্ণ সহজ সরল (১৮/১, ৩৯/২৭-২৮, ১৭/৯, ১৭/৪১, ৫৪/১৭ ২২ ৩২ ৪০, ২/২২১, ৩/১১৮, ৬/৩৮, ৬/৫৯, ১০/৬১, ১৬/৮৯, ১৭/৮৯, ২৭/৭৪-৭৫)
কোরান ব্যাখ্যা সহ অবতীর্ণ (১৮/১, ১৮/৫৪, ৬/১২৬, ২৪/১৮ ৪৬ ৫৮ ৬১, ১২/১১১, ৬/৬৫, ৭/৫৮, ১৭/৪১)
কোরান বুঝে পড়ার কঠিন তাগিদ (২/৪৪, ৪/২৬, ১৯/৯৭, ২৪/৬১, ৪৪/৫৮, ২/১৭১, ৬২/৫, ৪৭/২৪, ২১/১০, ৮/২২, ৭/১৭৯, ১০/১০০, ২/৭৮, ২/১২১)
কোরানের বাইরে অন্য কোন হাদীস কখনোই গ্রহনযোগ্য নয় (কমপক্ষে ৮/৯ টি আয়াত আছে, খুঁজে দেব পরে)
আপনি নিজেও জানেন যে হাদীস শাস্ত্র কতটা ত্রুটিপূর্ণ, এর মাঝে এত উদ্ভট আর পরষ্পর বিরোধী আর অবৈজ্ঞানিক কথা আছে যে এটাকে ইসলামের অংশ বলে মনে করলে আপনার মত মুক্ত চিন্তার কেউ কোনদিন ইসলামে সত্য পাবেনা। হাদীস আর শরীয়তের প্রভাবে কি কি হচ্ছে তা সামান্য আলোচনা করা অতি প্রয়োজন। তাহলেই বুঝবেন কেন আপনি কোরান পড়ে কনভিন্সড হতে পারছেননা।
১) চোরের শাস্তি হাত কেটে ফেলা! সম্পূর্ণ কোরান বিরোধী! হাত কেটে ফেলার অর্থ চোরের চুরি করার ক্ষমতা কেটে ফেলা বুঝানো হয়েছে কোরানে। ক্ষমতার প্রকাশে আল্লাহ নিজের হাতের কথা অনেকবার বলেছেন কোরানে, অথচ আল্লাহ নিরাকার। ইউসুফ নবীকে দেখে মহিলারা ছুড়ি দিয়ে লেবু কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছিল ( একই হাত আর কাটা শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে)। চুরির চেয়ে অনেক বড় অপরাধেও কোরানে এত বড় শাস্তির কথা বলা নেই। ইউসুফ নবীর এক ঘটনা বর্ণনা করে চোরের শাস্তি কি তা আল্লাহ বলে দিয়েছেন, তা হল ক্ষতিপূরন আদায় করা বা কিছুদিনের নির্বাসন জাতীয় কিছু, তা থেকে আমাদের সকলের শিক্ষনীয় বিষয় আছে তা সরাসরী বলা আছে।
২) স্ত্রী প্রহার! এটাও সম্পূর্ণ হাদীস নির্ভর অনুবাদ। সমগ্র কোরানের থীম বা ছন্দের সাথে স্ত্রী প্রহার মোটেই যায় না তবু আরবী শব্দটির বিভিন্ন অর্থ থাকার পরেও প্রহার অর্থটি নেয়া হয়েছে শুধুমাত্র হাদীসের কল্যাণে! বিস্তারিত পড়তে পারেন মুক্তমণার ইবুক কালেকশনের ইসলাম ও শরিয়া বইটিতে।
৩) চার বিয়ে হালাল! কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে যদি শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারলে বিয়ের অনুমতি নেই! সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরও নেই।
৪) বেহেশতের হুর!! হাদীসের প্রভাবে হুর বলতেই সবাই বুঝে সুন্দরী নারী, যা সম্পূর্ণ ভুল। এই শব্দের অর্থ সঙ্গী বা স্পাউস। তারা ছেলেও হতে পারে আবার মেয়েও হতে পারে। ৭২ হুরের কোন কথা কোরানে নেই! কোরানের একটি আয়াত আছে যে হুরেরা অনেক উন্নত চরিত্রের অধিকারী, অথচ হাদীসের কল্যানে অনুবাদ হয় হুরেরা অনেক উন্নত স্তনের অধিকারী!!
৫) দাসপ্রথা। ৪৭/৪ আয়াত অনুযায়ী দাসপ্রথা রহিত হয়ে যায় কারন যুদ্ধবন্দী হলে তাকে হয় মুক্তিপণ সহ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে অথবা মুক্তিপণ ছাড়া ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় কোন অপশন রাখা হয়নি। কিন্তু হাদীসের কল্যাণে দিব্যি যুদ্ধবন্দীদের দাস বানানো হয়েছে যা সরাসরী কোরানের লঙ্ঘন!
৬) বোরখা। কোরান অনুযায়ী ছেলে মেয়ে সবারই পর্দা করতে হবে। মেয়েরা আটোঁসাটোঁ কাপড় না পড়ে বুকে ওড়না জড়ালেই কোরান অনুযায়ী পর্দা হয়ে যায়! মাথায়ও কাপড় দেয়া লাগেনা!
৭) নারী অধিকার। বিস্তারিত পরুন মুক্তমণার ইবুক কালেকশনের ইসলাম ও শরিয়া বইটিতে।
এর বাইরে আপনি কোরানে আর কি খুঁজে পান যা মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে? বরং যেকোন মানবাধিকার আইনের চাইতে বেশী মানবিক কথা বলে এই কোরান! কোরান পড়লেই বুঝা যায় এর উদ্দেশ্য মানুষকে সৎ পথে চালানো তাই এর অনুবাদ হতে হবে সৎ এবং পজিটিভ, হাদীস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নেগেটিভ অনুবাদ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কোরানে নৈতিকতার কিছু মানদন্ড দিব?
জন্মসূত্রে সব মানুষের সমান মর্যাদা (১৭/৭০), লিংগ বৈষম্যহীনতা (৪/৩২, ৩৩/৩৫), শুধু চরিত্রের গুনেই উচ্চতর অবস্থান অন্য বাহ্যিক গুন নয় (৪৯/১৩, ৪৬/১৯), কাজের ন্যায় প্রতিদান (৫৩/৩৯, ৫৩/৪১, ৩৯/৭০, ৩৭/৩৯), মৌলিক চাহিদার যোগান (২০/১১৮-১৯), বিশ্বাস, জীবন, মন, সম্মান এবং সম্পদের নিরাপত্তা (৬/১০৯, ৬/১৫২, ২/২৬৯, ১৭/৩৬, ২৪/২, ২২/৪০, ৬/১৫২, ৫/৯০, ২/১৯৫, ৫/৩২, ১৭/৩২, ১৭/৩৫, ১৭/২৯, ৮৩/১), জীবনসঙ্গী বাছাই (৪/১৯), ধর্ম স্বাধীনতা (২/১৪৮, ২/১৯৩, ২/২৫৬, ৪/৮৮, ৬/১০৪, ৬/১০৭-৮, ৭/১৭৭-৭৮, ১০/৯৯, ১২/১০৮, ১৮/২৯, ২২/৩৯-৪০, ২৭/৮০-৮১, ৩৯/৪১, ৫৬/৭৯, ৭৩/১৯), সত্য মিথ্যা প্রকাশের অধিকার (২/৪২, ৩/৭১), সম্মানের একমাত্র বৈশিষ্ট সদ আচরণ লিংগ বর্ণ জাতি অর্থ কিছুইনা (৪৯/১৩) ......আর কত লিখব হাত ব্যাথা হয়ে গেছে তাও লিখা শেষ হয় না। আর মানবাধিকার এর লিস্ট লিখতে বসলে নির্ঘাৎ মোটা একটা বই হয়ে যাবে। সকল মানবাধিকার আইন এক বিদায় হজ্বের ভাষনের কাছেই বিবর্ণ, আর কোরানের সামনে তো শিশু! এর পরেও কেন আপনি কনভিন্সড হতে পারেননা? সারা জীবন শরিয়া আর হাদীস নামক জিনিস কারনে অনেক মানুষ বোকা বনে আছে আর আপনি কোরানকে অস্বীকার করে তো আপনি সেই বোকা বানানোর কারিগরদের শিকারই হলেন মাত্র!
এখন কি বলবেন অলৌকিক কাহিনীতে বিশ্বাস করেননা? ফাইন, আমিও করিনা। মনে রাখবেন কোরান অনেকটা পদ্য আকারে লিখিত আর তাই সেখানে অনেক কিছুই গল্প/উপমা আকারে বর্ণনা করা হয়েছে। জানেন কি কোরান পড়ে এই অনুসিদ্ধান্তে আসা যায় যে জ্বীন বলতে আমরা যা বুঝি কোরান তা বুঝায়নি? কিছু ক্ষেত্রে জ্বীন মানে নিছক মানুষ (যাযাবর) আর কিছু ক্ষেত্রে মানুষের বিদ্রোহী ইচ্ছাশক্তি। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি অন্য কোথাও। বলবেন ঈসা আর ইমাম মাহদী আর দাজ্জাল এর কথা? জানেন ঈসা আবার আসবে এমন কথা কোরানে লিখা নাই? দাজ্জাল আর মাহদীর নামও তো কোরানে নেই! এছাড়া অলৌকিক যা কিছু পাবেন সবই হাদীস প্রসূত ভুল অনুবাদের ফসল, আপনি আমাকে রেফারেন্স দিয়েন আমি তার ব্যাখ্যা করে দিতে পারব। যেমন ধরেন সোলায়মানের পাখি বাহিনী ছিল, আবার তিনি পাখি আর পিঁপড়ার সাথে কথা বলতে পারতেন ইত্যাদি সবই ভুল অনুবাদ ! আরও অনেক কথা বলার ছিল, আপনি প্রশ্ন করবেন আমি পরে উত্তর দেবার চেষ্টা করব। এখন আর পারছিনা। আশা করি সঠিক দৃষ্টিকোন থেকে কোরান পড়ে কনভিন্সড হবেন। আপনি যে কোরানের ভাল কিছু আর খারাপ কিছু বলে পার্থক্য করলেন তা মোটেও ঠিক নয়, ঠিকভাবে বুঝলে দেখবেন অর্থ উল্টে গিয়েছে! খারাপ কিছু নেই কোরানে!
২.৫% যাকাতের কথা কোরানে নেই!! বরং বারবার বলা হয়েছে তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত যা সেটা দান করে দিও। কত মহৎ চিন্তা!! কোরানের মূল থীম অপরের জন্য নিজেকে নিবেদিত করা, উৎসর্গ করা। এতীম, ক্ষুধার্থ, স্বজনহারা, বিপদগ্রস্থ মুসাফির, হৃণগ্রস্থ, হ্যান্ডিক্যাপড, হঠাত পথে বসা ব্যবসায়ী, দুর্ভিখ আক্রান্ত ইত্যাদি সকল অসহায় মানুষকে সাহায্য করাকেই কোরানে বর্নিত সরল পথ বলা হয়েছে। হাদীসে বর্ণিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর কলেমার কথা নয় কোরানে বলা হয়েছে যে আল্লাহকে বিশ্বাস করবে আর উপরে বর্ণিত এই সরল পথে চলবে সেই সফল হবে। এই সরল পথে না চললে নামাজের কোন মূল্য নেই তা পরিষ্কার বলা আছে অনেক আয়াতে কিন্তু মানুষ কোরানকে গুরুত্ব না দিয়ে হাদীস নিয়েই ব্যস্ত!! বলুন এটাই (সরল পথ) কি মানবতার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ নয়? কোরানে ইসলামিক রাস্ট্রের কথা বলা নেই! বারবার বলা হয়েছে কোরান উপদেশ মাত্র যার ইচ্ছা সে গ্রহণ করবে যার ইচ্ছা বর্জন করবে। নামাজ আর হজ্জ্ব বলতে এখন মানুষ যা বুঝে কোরান তা বুঝায় না!! হজ্জ্ব শব্দের অর্থই শপথ, কেবল সাত পাক ঘুরে শয়তানকে পাথর মারা নয়!! তাই আপনি ভাই প্রচলিত ইসলাম নিয়ে ভুল ধারণায় না থেকে একবার অন্তত শেষ চেষ্টা করে দেখুন সত্য খুঁজে পান কিনা? আমি আপনাকে যেকোন রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত!!
আপনার জন্যেও অনেক শুভ কামনা, ধন্যবাদ।
৬০| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৪
মেয়র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। আসলে, আমি ঠিক 'কনভিনসড নই' বলতে যা বুঝাতে চেয়েছি তা এই নয় যে, কোরআনের বানী গুলো ভাল না খারাপ তাই, বরং আমি কনভিনসড নই এই ব্যাপারে যে ইহা আলৌকিক। আমি যদি ধরেই নেই যে ইহা খোদ স্রষ্টা (যদি কেউ থাকেন) থেকেই এসেছে, আমি কোন সাহসে যুক্তি তর্ক দিয়ে স্রষ্টার বানীর যথার্থতা বিচার করতে যাব ? কোরআনে যদি বলা থাকত যদি 'ছোট মেয়েদের ধরে মেরে ফেল', তাহলে সেই বানীর মধ্যেও আমি মাধুর্য খুজে পেতাম। বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করে দিতাম যে, আমাদের পরিবেশে ছোট মেয়ে থাকা বিপদজনক। ইত্যাদি। তাই আমি কথনও এই যুক্তি তর্কে যাই না যে বানী গুলো মহান কি মহান নয়, ... বৌ পিটানো, দাসীর সংগে সহবত ইত্যাদি সবই আমার কাছে পবিত্র মনে হবে, কারণ এ যে স্বয়ং বিধাতার নির্দেশ, বিধাতার থেকে কি আমার দরদ বেশী ? তাই না ? কিন্তু, সমস্যা টা হচ্ছে একদম গোড়ায়, সেটা হচ্ছে, আমি কিভাবে ধরে নিব যে ইহা আলৌকিক। হ্যা, আমি আগেও বলেছি, কোরানে সুন্দর কথাও আছে, আবার আজকের সমাজের সাথে অসংগতিপূর্ণ কথাও আছে। ত, কেউ সুন্দর কথা গুলো গ্রহণ করলে কোন ক্ষতি নেই।
একটি গ্রণ্থ আলৌকিক বলে গ্রহণ করতে হলে অনেক গুলো ফ্যাক্তর বিবেচনা করে সেটাকে আলৌকিক প্রমানিত হতে হবে। আমি ব্লগার সজীব আকিব এর পোষ্টগুলো (View this link ) পড়ে মনে হয়েছে তিনি যথেষ্ট যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে পেরেছেন যে কোরআন আলৌকিক হওয়া সম্ভব নয়। সেখানে অনেক ধার্মিক মন্তব্য করেছেন কিন্তু কেইউ টপিকের মধ্যে থেকে যুক্তি খন্ডন করতে পারেননি। আরও অনেক নাস্তিক ব্লগারের লেখা আমি পড়েছি, সবার ব্লগেই একই দৃশ্য, ভদ্র ধার্মিক রা দিয়েছেন সার্কুলার লজিক (যেমন কোরআন আলৌকিক কেন ? কারণ কোরআনে বলা হয়েছে যে ইহা আলৌকিক.. ইত্যাদি...) আর অভদ্র ধার্মিকরা করেছেন গালাগালি... কিন্তু কেউই টপিকে থেকে যুক্তিগুলো খন্ডন করতে পারেননি।
"...আমি কোথা থেকে এলাম... , এই রকম প্রশ্নের উত্তর deterministic model দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়,. এই জগতের কোন ঘটনাই র্যান্ডম নয়, সব ঘটনাই Cause and Effect chain এর মধ্যে পড়ে।
হ্যা এটা সম্ভব যে, এই বিশ্বজগৎ হয়ত একটা সফটওয়্যার প্রোগ্রাম (the idea from Matrix) এরও প্রোগ্রামার থাকা সম্ভব। কিন্তু কোরআন যে সেই প্রোগ্রামারের কাছ থেকেই এসেছে এটা ত শুধু বিশ্বাস, তাই না ? ধরুন, আপনি যদি অন্য কোন ধর্মের পরিবারে জন্ম হতেন, তাহলে কি, বৈজ্ঞানিক প্রমান ছাড়া ইসলাম ধর্মের আলৌকিকতা প্রমানিত ধরে নিতেন ? সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।
যাই হোক, আমি খুশী হলাম যে আপনি আলোচনা করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, আসলে আমার নতুন করে কোন কথা নেই, আমি কয়েকটি ব্লগের লিংক দিচ্ছি যেগুলো আমি প্রায়ই ফলে করি। আপনি যদি সেসব ব্লগের যুক্তি গুলোকে অযৌক্তিক প্রমানিত করতে পারেন, অবশ্যই সেটা যেকোন সন্দিহান ব্যক্তির জন্য উপকার হবে।
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ১
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(ক)
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(খ)
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(গ)
যে প্রশ্নগুলোর গ্রহনযোগ্য জবাব না পেয়ে আমি নাস্তিক
ধর্মে বিশ্বাস পূর্বে আমার যেসব প্রমাণ দরকার.....
ধর্মে বিজ্ঞানঃ নিম গাছে আমের সন্ধান
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ঠিক আছে, পরে সময় পেলে আপনার দেয়া লিঙ্ক গুলো পড়ব। আশা করি ভবিষ্যতে আলোচনা হবে।
৬১| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৪
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: দুইটা লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি:
১. কোরান-অনলি ড. শাব্বির আহমেদের মিথ্যাচার
2. A simple argument regarding the Quran's being clear
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার দ্বিতীয় লিঙ্কের যুক্তি খুবই কাঁচা। বিস্তারিত এখানে আর লিখলাম না কারন নেট ঘাটলেই অনেক ব্যাখ্যা চলে আসবে। এটা আমাকে বিশেষ প্রভাবিত করতে পারলনা। তবে আপনার প্রথম লিংকটি গুরুত্বপূর্ণ।
আমি ড. শাব্বির আহমদের বেশ কিছু ধারণাতে এগ্রী করি, তবে বেশ কিছু ধারণাতে দ্বিমত আছে। আমি ওনাকে পীর মনে করে অন্ধ অনুসরন করব তা কখনোই ঠিক না।
যেমন, নামাজের ব্যাপারে উনার মতামত আমার কাছে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এটা ঠিক মানি যে আজকাল আমরা যেভাবে না বুঝে নামাজ পড়ি তার কোন যুক্তি নেই। ইমাম আবু হানীফাও তার নিজের ভাষায় নামাজ পড়তেন। আমার মতে নামাজ পড়তে হবে তবে নামাজে যা বলা হচ্ছে তা বুঝে সে অনুযাআয়ী কাজ করতে হবে এটাই নামাজের উদ্দেশ্য।
উনি যেসব দুর্লভ বই এর রেফারেন্সে বেশ কিছু কথা বলেছেন যা আমি সত্য বলে পুরোপুরি গ্রহণ করিনি, কারণ তাতে অন্ধ বিশ্বাস হয়ে যায়।
হাদীস শাস্ত্রের অসারতার বিষয়ে আমি তার সাথে পুরো একমত। হাদীসের বই তো দুর্লভ নয়। আপনি পারলে প্রমাণ করে দেখান না উনি কোন কথাটা ভুল বলেছেন?
সুফীদের ব্যাপারে উনার মতামত আমার কাছে পূর্ণ গ্রহণযোগ্য নয়, তবে বেশ কিছু যুক্তি আছে। আমি নিজেই শর্শীনা পীরের মুরীদ। খুবই ভক্ত ছিলাম। আমি জানি বিভিন্ন পীরের মুরীদদের মাঝে বা ভক্তদের মাঝে বেশ শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব কাজ করে যা একেবারেই অযৌক্তিক!!
হাদীস এর অসারতার ব্যাপারে শুধু ড শাব্বিরই নন, আরও হাজারো বই আর গবেষক আছেন, তাদের যুক্তি আসলেই খন্ডানো যায়না। আর নিজের চোখেই যখন বিভৎস হাদীস পড়ি আর কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়েনা।
জ্বীন নিয়ে উনি যা বলেছেন আমি পুরা নিশ্চিৎ নই কোনটা ঠিক ভাবব। আমি এখনো এটা নিয়ে পড়ছি আর চিন্তা করছি। দেখি যুক্তিতে কি আসে।
মূল কথা আপনি ড শাব্বিরের কোন একটা ভুল পেলেন তাতে সব ভুল হয়ে যায়না। আপনার নিজস্ব লজিক খাটিয়ে ভুল পেলে তা বর্জন করুন। আমিও তাই করছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটি শেয়ার করার জন্য। ড. শাব্বির কাজটি বেশ অন্যায় করেছেন। তবে মনে রাখবেন সে কাউকে ক্রিমিনাল বললেই সে ক্রিমিনাল হয়ে যাবেনা, তার কাজই প্রমাণ করবে সে ক্রিমিনাল কিনা। হাদীস পড়ে আমার অন্তত নিরপেক্ষ ভাবে মনে হচ্ছে যে তারা ক্রিমিনাল ছিলেন। বুখারী সাহেবের বইতে তার হাদীস সহিহ হবার পিছনে যেসব যুক্তি দেখানো হয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর! আপনি সময় পেলে পড়ে দেখবেন। আর তার যুক্তি মেনে যদি ধরেও নেই যে হাদীসগুলো সহিহ তাহলে যে অজস্র আজগুবী লিজ্জাকর জিনিস সামনে আসবে তা প্রতিহত করবেন কিভাবে?
৬২| ০২ রা জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬
চল যাব তোকে নিয়ে বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। Click This Link
৬৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৯
হিমেল হিমু বলেছেন: ভাই , আপনার অনেক যুক্তি ফেলে দেবার মত না, অনেক হাদিস জাল এটা আমি মানছি, কিন্তু আপনার মন্তব্য গুলো পড়ে মনে হচ্ছে হাদিস এর পুরা concept টাই আপনি বাতিল করে দিচ্ছেন। এটা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না। আপনি হাদিস based ইসলামের অনেক মুল স্তম্ভ, আচার- কায়দা কে সম্পুর্ন বাতিল করে দিচ্ছেন (যেমন হজ্জ, যাকাত, যিন),
সব বিষয় নিয়ে বললাম না, আমার হ্মুদ্র জ্ঞানে যা মনে পড়ছে তা হল কুরানে লেখা আছে মানুষ ও যিন স্রিষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের জন্য। অথচ আপনি বলছেন -
কোরান পড়ে এই অনুসিদ্ধান্তে আসা যায় যে জ্বীন বলতে আমরা যা বুঝি কোরান তা বুঝায়নি? কিছু ক্ষেত্রে জ্বীন মানে নিছক মানুষ (যাযাবর) আর কিছু ক্ষেত্রে মানুষের বিদ্রোহী ইচ্ছাশক্তি।
যার অর্থ দাডায় আপনি যিন জাতির অস্তিত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন। সত্য অন্যেসন করুন ভাল কথা, কিন্তু এতটা নতুন থিউরি দেয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?
০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৫৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: না ভাই, আপনি ভুল বুঝেছেন। হাদীসের পুরো কনসেপ্ট আমি বাতিল করিনাই। আমি বাতিল করার কে? হাদীস থেকে তো অনেক কিছুই জানা যায়। তবে আমি এই পোস্টে আর কয়টা জিনিসই বা লিখতে পেরেছি, পুরো একটা বই লিখে ফেলা যায় এই হাদীস দিয়ে যা পড়লে হাদীস শাস্ত্রের উপর আপনার বিতৃষনা আসবেই। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, অনেক বুখারী হাদিসেই দেখবেন যে লিখা আছে বিভিন্ন সাহাবীরা হযরত আয়েশার কাছে জানতে চাইতেন কি করলে গোসল ফরজ হয়। জবাবে লিংগ যোনীতে প্রবেশ করার কথাটা এমন ভাষায় আয়েশা কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে তা খুবই আপত্তিকর, উম্মুল মুমিনিন কখনো এই ভাষায় কোন পূর্ণ বয়ষ্ক লোকের সাথে কথা বলতে পারেননা। আপনি নিজেও কি আপনার মায়ের সাথে এই ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন? আপনার মনে কি প্রশ্ন আসবেনা, যে নবীর স্ত্রীর সাথে এইসব কথা বলার ধৃষ্ঠতা কিভাবে কেউ পায়? আয়েশা কি এই কথা বলতে পারতনা যে ''নবী বেচে থাকতে তোমরা কিভাবে ফরজ গোসল করতে হয় তা জেনে নাওনি? তখন কিভাবে গোসল করেছ? এত ঘনিষ্ঠ সাহাবী হয়ে দীর্ঘদীন ধরে মুসলিম হয়ে নামাজ পড়ে আজ আমার কাছে এসেছ এই প্রশ্ন করতে?'' হাদীসের উপর আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে, তবে আমার মতে চেইন অব নেরেটর দিয়ে নয় বরং হাদীসের বক্তব্য দিয়েই হাদীসের সত্যতা নিরূপণ করা উচিৎ। যেসব হাদীস কোরানের মূল ভাবধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো গ্রহণ করা উচিত। আর বাকি গুলো ক্ষতিকর না হলে মানেন কিন্তু ক্ষতিকর হলে এড়িয়ে চলেন। মোট কথা হাদীসকে মূল ভিত্তি ধরার বিপক্ষে আমি।
জ্বীন জাতির অস্তিত্ব আমি উড়িয়ে দিচ্ছিনা। আমি শুধু সম্ভাবনার কথা বলেছি। এটা মেনে নিতে আমারো অনেক কষ্ট হয়েছে, আপনার তো হবেই, কারণ আপনি এখনো লজিকগুলোই দেখেননি। আমি শুধু দুই একটা কথা বলছি আপাতত। জ্বীন নামে একটা সুরাও আছে কুরানে। জ্বীন শব্দটাকে আমরা নাম বা টাইটেল হিসেবে জানি, কিন্তু এটা যে নিছক একটা আরবী শব্দ যার একটা মিনিং আছে তা আমরা জানিনা। আরবদেশে যাযাবরদেরকে (নোমাড) জ্বীন বলা হয়, উইকিপিডিয়াতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। জ্বীন শব্দের অর্থ যা লুকায়িত থাকে বা সহজে দেখা যায়না। তো আপনি যে আয়াতের কথা বললেন সেখানে বলা হয়েছে মানুষ ও জ্বীনকে শুধু ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তো এখানে জ্বীন মানে তো সেই যাযাবররাও হতে পারে তাইনা? কি সন্তুষ্ট হলেননা? আচ্ছা আরেকটু বলি। সুরা জ্বীন এ বলা হয়েছে একদল জ্বীন যখন নবীর মুখে কোরান শুনতে পেল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে বলল যে তারা আসল জীবন দর্শন পেয়েছে। আয়াতগুলো থেকে বুঝা যায় ঐ জ্বীনেরা ইহুদী ধর্মের অনুসারী ছিল। অন্য আরেকটি সুরার আয়াত থেকে বুঝা যায় অন্য আরেক গোত্রের জ্বীনেরা খ্রীস্টান ছিল, কোরান পড়ে মুসলিম হয়েছে। কিন্তু আপনি কি সমগ্র কোরান পড়ে জ্বীনদের জীবন পদ্ধতি কেমন হবে সেই সম্পর্কে কোন নির্দেশ পেয়েছেন যা আল্লাহ জ্বীনদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছেন? সমস্ত কোরান তো শুধু মানুষের জন্যই রচিত!! জ্বীনদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়নি কেন? সুরা আর রহমানের অনুবাদে বলা হয় হে মানব এবং জ্বীন সম্প্রদায়! অথচ সেখানে জ্বীন শব্দটাই নেই!! আসল অনুবাদ হচ্ছে O you both!! জ্বীনেরা কি মানুষের জীবন পদ্ধতি অনুসরন করে জান্নাত বা জাহান্নামে যাবে? শরীয়তি ধারণা অনুযায়ী মানুষকে কুমন্ত্রণা দেয় জ্বীন, তাহলে জ্বীনকে কুমন্ত্রণা দেয় কে? কোরানের সরাসরি আয়াত আছে যেখানে বলা হয়েছে আল্লাহ শুধুমাত্র মানুষকেই নবী রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছেন। আরেক আয়াতে স্পষ্ট বলা আছে মানুষ আর জ্বীনদের নিজ নিজ গোত্র থেকেই নবী প্রেরিত হয়েছে। তাহলে বুঝা যাচ্ছে না যে জ্বীনেরা মানুষ? আল্লাহ বলেছেন সমস্ত প্রাণ সৃষ্টি করেছেনপানি থেকে, তাহলে আপনিই বলুন পানির সাথে কি আগুন যায়? এক আয়াতের অনুবাদ করা হয় যে জ্বীনেরা আকাশে উড়লে আল্লাহ তাদের প্রতি তারা বা উল্কা নিক্ষেপ করেন। এই কথা কি বৈজ্ঞানিক? আসল অনুবাদ তো অন্যরকম, যাযাবররা ছিল জ্যোতিষি, গ্রহ তারার গতিপথ গণনা করে ভবিষ্যত বলতে চাইত, আল্লাহ এই ভবিষ্যত বলতে পারার ক্ষমতা বা ইচ্ছাকে ব্যর্থ করে দেন। অল্প কথায় সব বুঝানো যাচ্ছেনা।
আমার অনুরোধ আপনি এই লিঙ্কের বইটি পড়ে দেখেন, জ্বীন সঙ্ক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এর পরে যদি আপনি কনভিন্সড না হোন তাতে কোন সমস্যা নাই, আপনার সদ ইচ্ছাই যথেষ্ঠ, চেষ্টা করার পর আপনার মন থেকে যা সত্য বলে মনে হবে তাকেই সত্য হিসেবে জানবেন, এতে আপনার কোন ক্ষতি নেই।
এইখানে ক্লিক করুন। না খুললে পেজটা রিলোড দিন।
০৭ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:১৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হজ্ব যাকাতকে আমি বাতিল করলাম কোথায় রে ভাই? হজ্ব আর যাকাতের কথা তো কোরানেই বলা আছে। তবে কোরানে ২.৫% যাকাতের কথা বলা নেই। কোরান বলে তোমার যা অতিরিক্ত তাই দান করে দাও বা ব্যয় কর। হাদীসের ভিত্তির কথা বললে আরও সমস্যা আছে। যেমন আমরা সুন্নীরা দেই ২.৫% যাকাত। আবার শিয়ারা তাদের হাদীসের ভিত্তিতে দেয় ২০% যাকাত। দেখুন হাদীসের কত রকমফের! তো আপনি ২০% না দিয়ে ২.৫% কেন দিবেন? হাদীসের ভিত্তিতে? যেই হাদীসের ১০০% সত্য হবার কোন নিশ্চয়তা নেই তার ভিত্তিতে? যেখানে কোরানে বলে দেয়া আছে যে অতিরিক্ত জিনিস ব্যয় কর। নবী কত ধনী ছিলেন, খাদিজার কত সম্পত্তি কোথায় গেল? নবীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি বলতে সামান্য দান করা জমি, লাঠি, কাপড় ইত্যাদি মামুলী জিনিস পাওয়া গিয়েছিল। নবীর সকল সাহাবীর খোঁজ নেন, তাদের কোন সম্পত্তিই ছিলনা। তো আমরা কি যাকাত দিচ্ছি? আমরা তো ২.৫% এর উছিলায় সম্পদ জমা করার সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছি। যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা। আপনি অবাক হয়ে দেখবেন যে কোরানের সকল অনুবাদে যাকাত এর অনুবাদ পবিত্রতাই লিখা হয়েছে শুধুমাত্র কিছু আয়াত বাদে। কোন আয়াত জানেন? নামাজ কায়েম কর আর যাকাত আদায় কর। তো এইখানে পবিত্রতার কথা অনুবাদ করা হয়না কেন? আসলেই পবিত্রতা জিনিসটা আদায় বা অর্জন করার জিনিস। ২.৫% সম্পদের কথা হলে তো বলা হত যাকাত প্রদান কর!!
হজ্ব এর কোরানে বর্ণিত উদ্দেশ্য আজ ব্যহত। হজ্ব করে সবাই ভাবে সে নিষ্পাপ হয়ে গেল। তাই ফিরে এসে দেখা যায় আগের চাইতে বেশি হারে পাপ করে চলছে। আপনি খোঁজ নিলেই এর সত্যতা টের পাবেন। হজ্ব এর অর্থ শপথ। সেই শপথ কি কেউ নেয়? বিস্তারিত বলব অন্য কোন সময়। ভাল থাকুন ভাই।
৬৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২০
হিমেল হিমু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর উত্তরের জন্য
৬৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩৯
সুরবিলাসী শাহরিয়ার বলেছেন: সুন্দর লেখা ।
ভাল লাগল এবং প্রিয়তে ।
৬৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আপনার দ্বিতীয় লিঙ্কের যুক্তি খুবই কাঁচা। বিস্তারিত এখানে আর লিখলাম না কারন নেট ঘাটলেই অনেক ব্যাখ্যা চলে আসবে। এটা আমাকে বিশেষ প্রভাবিত করতে পারলনা। তবে আপনার প্রথম লিংকটি গুরুত্বপূর্ণ।}}}
আপনি নিশ্চয়ই অলরেডি জানেন যে যে-কোনো যুক্তিকে কাঁচা যুক্তি বলে এড়িয়ে যাওয়াটাই সেই যুক্তির হাতা থেকে বেঁচে যাওয়ার সবথেকে সোজা পথ। কিন্তু তাতে কিন্তু আসলে কোনো লাভ হয় না।
ঐ থ্রেডটা পুরোটা যদি পড়েন তো দেখবেন সেখানে বহু কোরান-অনলি বহু কথার ফুলঝুরি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, এবং বহু চিল্লাচিল্লিও করেছেন কিন্তু যুক্তিখণ্ডনের ধারেকাছ দিয়ে কেউ যান নি।
আপনার কাছে যদি মনে হয় যুক্তিগুলো "কাঁচা", অনুরোধ করছি জাস্ট কাঁচা বলে এড়িয়ে না গিয়ে এ্যাটলিস্ট আমার ই-মেইলে ([email protected]) লেখাটার এবং ঐ পুরো লিঙ্কে আমার দেয়া যুক্তিগুলোর কোন-কোন গুলো কেনকেন কাঁচা সেটা জানান।
____________________________
{{{আমি ড. শাব্বির আহমদের বেশ কিছু ধারণাতে এগ্রী করি, তবে বেশ কিছু ধারণাতে দ্বিমত আছে। আমি ওনাকে পীর মনে করে অন্ধ অনুসরন করব তা কখনোই ঠিক না।}}}
আপনি যে-বিষয়গুলোতে একমত পোষণ করেন সে-বিষয়েও ই-মেইল আশা করছি।
_______________________
{{{যেমন, নামাজের ব্যাপারে উনার মতামত আমার কাছে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এটা ঠিক মানি যে আজকাল আমরা যেভাবে না বুঝে নামাজ পড়ি তার কোন যুক্তি নেই। ইমাম আবু হানীফাও তার নিজের ভাষায় নামাজ পড়তেন। আমার মতে নামাজ পড়তে হবে তবে নামাজে যা বলা হচ্ছে তা বুঝে সে অনুযাআয়ী কাজ করতে হবে এটাই নামাজের উদ্দেশ্য।}}}
এই উক্তি প্রসঙ্গে দুটো কথা:
১.
{{আজকাল আমরা যেভাবে না বুঝে নামাজ পড়ি}}-এর সাথে পরের কথাগুলো গণ্ডগোল লাগছে। আরবি ভাষায় পড়লেই কি নামাজটা না বুঝে পড়া হয়? এবং নিজ ভাষায় পড়লেই বুঝে পড়া হয়?
কথাটা কেন বললাম ভালো করে বলি। আল্লাহ মাতাল অবস্থায় সাহাবিদেরকে যে নামাজ যেতে নিষেধ করেছিলেন---কেন করেছিলেন? নিশ্চয়ই এজন্য যে ঐ অবস্থায় তারা বুঝতেই পারতো না যে তারা আসলে কী বলছে? ঠিক? এখন আমাকে বলেন তাহলে এর মানে কী দাঁড়ালো? সাহাবিরা তো আরবি ভাষীই ছিলেন। এর মানে কি এই দাড়ালো-না যে নিজের ভাষায় পড়লেই বুঝা যাওয়াটা নিশ্চিত করা যায় না?
আবার দেখেন, কোরানকে আসলেই নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদেরকে তো কোরানটাকে বুঝেই পড়তে হবে। হবে না? অবশ্যই হবে। তাহলে নামাজের কথা বাদদেন, নরমালিই কোরানটা আমাদেরকে বুঝে পড়তেই হবে। এখন এ্যাজিউম করেন যে আমরা কোরানটা বুঝে পড়ছি।
তারপর আমাকে বলেন এখন যদি আমি/আমরা নামাজ পড়ি, সেই নামাজে যদি আমাদের অলরেডি বুঝে পড়া আয়াতগুলোই তেলাওয়াত করি, তাহলে সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গাটায়???
২.
ইমাম আবু হানীফা নিজের ভাষায় নামাজ পড়তেন---এই ব্যাপারে আপনার হাতে কোনো প্রমাণ আছে?
এবং এইখানে এইটাও বলবেন যে ইমাম আবু হানীফা একটা কাজ করেছেন, সেইটা কি আপনার কাছে একটা দলীল? ইসলামের ভিত্তি?
এবং এইটাও বলবেন ইমাম আবু হানীফা নিজ ভাষায় নামাজ পড়েছেন সেই প্রমাণ যদি থাকেও, তাহলে সেইটা যে কারো বানানো মিথ্যা কথা না, সেইটা আপনি কীভাবে জানলেন?
৩.
নিজের ভাষায় নামাজ পড়তে কি কোরানে কোনো হুকুম আছে নাকি এইটা কারো কারো নিজস্ব অনুমান?
এবং পূর্ব প্রশ্নটাই আর একবার:
ইমাম আবু হানীফা একটা কাজ করেছেন, সেইটা কি আপনার কাছে একটা দলীল? ইসলামের ভিত্তি?
__________________________________
{{{উনি যেসব দুর্লভ বই এর রেফারেন্সে বেশ কিছু কথা বলেছেন যা আমি সত্য বলে পুরোপুরি গ্রহণ করিনি, কারণ তাতে অন্ধ বিশ্বাস হয়ে যায়।)))
আমি খুবি জানতে আগ্রহী যে আপনি তো পুরোপুরি সত্য বলে গ্রহণ করেন নি, তো কতটা গ্রহণ করেছেন? অনুগ্রহ করে এই প্রসঙ্গেও একটু আলোকপাত করবেন।
_____________________________________
{{{হাদীস শাস্ত্রের অসারতার বিষয়ে আমি তার সাথে পুরো একমত। হাদীসের বই তো দুর্লভ নয়। আপনি পারলে প্রমাণ করে দেখান না উনি কোন কথাটা ভুল বলেছেন?}}}
আপনার এই কথাটায় খুব অবাক হয়ে যাচ্ছি। আপনি সম্ভবত নিজেই চেক করেন নি যে উনি কোন কথাটা ঠিক বলেছেন।
আপনি সত্যি করে বলেন তো ভাই আপনি কি আমার প্রবন্ধটা আসলেই মনযোগ দিয়ে পড়েছেন? সেটা যদি পড়েন, তাহলে তো অন্তত একটা বিষয়ে নিশ্চিত হতেন যে এই লোকের পড়াশোনা আর যাই হোক নির্ভরযোগ্য নয়। আমি যদি ধরেও নি যে ভদ্রলোক ইচ্ছা করে ভুলগুলো করেন নি, তবু, এই ধরণের ভুল যিনি করেন, তার ফারদার পড়াশোনার উপরে আর কি আসলেই রিলাই করা উচিত?
তিনি শুধু একটা সাধারণ ভুল করলেও হতো, এই ভুলের উপর ভিত্তি করে তিনি একজন দ্বীনী আলেমকে ক্রিমিনাল বলে দিয়েছেন!
আপনি যদি চান, তাহলে তার বইয়ের আরো ভয়ঙ্কর কয়েকটা ভুল আপনার সামনে তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ।
_____________________________
{{{সুফীদের ব্যাপারে উনার মতামত আমার কাছে পূর্ণ গ্রহণযোগ্য নয়, তবে বেশ কিছু যুক্তি আছে। আমি নিজেই শর্শীনা পীরের মুরীদ। খুবই ভক্ত ছিলাম। আমি জানি বিভিন্ন পীরের মুরীদদের মাঝে বা ভক্তদের মাঝে বেশ শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব কাজ করে যা একেবারেই অযৌক্তিক!!}}}
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
_____________________________
{{{হাদীস এর অসারতার ব্যাপারে শুধু ড শাব্বিরই নন, আরও হাজারো বই আর গবেষক আছেন, তাদের যুক্তি আসলেই খন্ডানো যায়না। আর নিজের চোখেই যখন বিভৎস হাদীস পড়ি আর কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়েনা।}}}
সমস্যাটা বোধহয় এখানেই। আপনি হাদীসের অসারতা বিষয়ক বইগুলোই কেবল পড়েছেন। তাদের যুক্তিগুলো কী নিদারুণভাবে কী স্পষ্টভাবে খণ্ডিত হয়েছে সেসব দেখেন নাই। এই ইন্টারনেটেই কিন্তু এই রকম খণ্ডনকারী অসংখ্য লেখা রয়েছে, আপনি কি একটু সময় করে সেসব দেখতে পারেন নি?
আপনি শুধু পয়েন্টআউট করেন আমি আপনাকে হেল্প করবো, কথা দিচ্ছি।
{{{ আর নিজের চোখেই যখন বিভৎস হাদীস পড়ি আর কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়েনা।}}}
অনুগ্রহ করে এই বিভৎস হাদিসগুলো একটু তুলে ধরে আমাকে মেইল করেন, আমি এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে খুবই আগ্রহী।
______________________________
{{{জ্বীন নিয়ে উনি যা বলেছেন আমি পুরা নিশ্চিৎ নই কোনটা ঠিক ভাবব। আমি এখনো এটা নিয়ে পড়ছি আর চিন্তা করছি। দেখি যুক্তিতে কি আসে।}}}
এই প্রসঙ্গে এখনই কথা বলছি না।
_______________________________
{{{মূল কথা আপনি ড শাব্বিরের কোন একটা ভুল পেলেন তাতে সব ভুল হয়ে যায়না। আপনার নিজস্ব লজিক খাটিয়ে ভুল পেলে তা বর্জন করুন। আমিও তাই করছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটি শেয়ার করার জন্য। ড. শাব্বির কাজটি বেশ অন্যায় করেছেন।}}}
আমি বোধহয় আপনাকে সমস্যাটা বুঝাতে পারি নি। ড. শাব্বিরের শুধু এইটুকুই আমার আপনাদের সামনে তুলে ধরার ইচ্ছা ছিলো, যে, ভদ্রলোকের লেখা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দলীল পাওয়া গিয়েছে যেখানে তিনি হয় ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা "ভুলপাঠ"-এর জন্য একজন লোককে সবার সামনে অগণিত পাঠকের সামনে কৃমিনাল হিসেবে উপস্থাপন করে গেছেন; এই পাঠকদের একটা বড় অংশ না বুঝে আরো বহুদিন, হয়তো মৃত্যুর আগ্ পর্যন্ত এই ইমাম রাজিকে কৃমিনাল হিসেবেই জেনে যাবেন।
আল্লাহকে কেউ সামান্য ভয় পেলে এই কাজ করতে পারে, বলেন তো? উনি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবেই এই ভুল করতেন, আপনি কি মনে করেন না যে এই ভুল ধরিয়ে দেবার পর তিনি পাঠকদের কাছে মাফ চাইতেন, অথবা সংশোধন করতেন? তিনি কিন্তু কিছুই কেরন নি। আপনি আমার প্রবন্ধটা পড়ে দেখেন, আমি উনাকে মেইল করার পর উনি আমাকে খুব অদ্ভুত একটা মিথ্যাকথা বলেছেন। অনুগ্রহ করে পড়ে নেবেন।
_________________________________
{{{তবে মনে রাখবেন সে কাউকে ক্রিমিনাল বললেই সে ক্রিমিনাল হয়ে যাবেনা, তার কাজই প্রমাণ করবে সে ক্রিমিনাল কিনা। হাদীস পড়ে আমার অন্তত নিরপেক্ষ ভাবে মনে হচ্ছে যে তারা ক্রিমিনাল ছিলেন। }}}
আপনি ঠিকই বলেছেন---সে কাউকে ক্রিমিনাল বললেই সে ক্রিমিনাল হয়ে যাবেনা, তার কাজই প্রমাণ করবে সে ক্রিমিনাল কিনা।। এবার সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ হয়ে চিন্তা করে বলেন তো, ড. শাব্বিরকে কি আপনি ক্রিমিনাল মনে করেন?
করেন??
করেন???
আপনাদের স্ট্যান্ডার্ড কি ডাবল হয়ে যাচ্ছে কি না আপনি কি সেই ব্যাপারে শিউর?
এবং আমাকে এ-ও জানাবেন যে ঠিক কোন কোন কারণে বুখারীদেরকে আপনার ক্রিমিনাল মনে হয়? এইটা আসলেই আমি জানতে আগ্রহী।
_______________________________
{{{বুখারী সাহেবের বইতে তার হাদীস সহিহ হবার পিছনে যেসব যুক্তি দেখানো হয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর! আপনি সময় পেলে পড়ে দেখবেন। }}}
অনুগ্রহ করে জানাবেন কি কী সেই যুক্তিসমূহ। অনুগ্রহ করে রেফারেন্স সহ বলবেন। আর অনুগ্রহ করে এটাও জানাবেন যে কেন সেই যুক্তিগুলো আপনার কাছে "হাস্যকর" মনে হয়।
______________________________
{{{আর তার যুক্তি মেনে যদি ধরেও নেই যে হাদীসগুলো সহিহ তাহলে যে অজস্র আজগুবী লিজ্জাকর জিনিস সামনে আসবে তা প্রতিহত করবেন কিভাবে?}}}
এবং প্লিজ অনুগ্রহ করে আমাকে উদাহরণ সহ বলেন কোন সেই {অজস্র অজস্র আজগুবী লিজ্জাকর জিনিস} যা আপনি হাদিস পড়তে গিয়ে আপনার সামনে আসে এবং আপনি তা প্রতিহত করতে পারেন না।
________________________________
ওভারঅল কয়েকটা কথা:
১. জবাব দেবার সময় অনুগ্রহ করে কোনো ভাসাভাসা কথা বলবেন না (উদাহরণ: {{আপনার দ্বিতীয় লিঙ্কের যুক্তি খুবই কাঁচা। বিস্তারিত এখানে আর লিখলাম না কারন নেট ঘাটলেই অনেক ব্যাখ্যা চলে আসবে।}})
২. টুদ্যাপয়েন্ট জবাব দিবেন উইথ রেফারেন্স। (রেফারেন্স ছাড়া কথার উদাহরণ: {{ ইমাম আবু হানীফাও তার নিজের ভাষায় নামাজ পড়তেন।}})
৩. ইসলাম এ্যাওয়ারনেস ডট অর্গ - এ হাদিস সংক্রান্ত অনেক ভুল ধারণার খণ্ডন করা আছে। একটু সময় নিয়ে দেখে নেবেন।
৪. কল টু মনোথেয়িজম আর একটি ওয়েবসাইট যা আপনার দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।
৫. সহি হাদিস আসলে কাকে বলে এই ব্যাপারটায় অধিকাংশের ভেতরেই দেখি ভুল ধারণা থাকে। মনে হলো আপনারও আছে। অনুগ্রহ করে এইটুকু পররিষ্কার হয়ে নেবেন।
৬. আরো মনে হলো, বুখারীর হাদিসগুলোকে সহি বলার পেছনে যুক্তিহগুলো আপনি নিজে আসলে পড়ে দেখেন নাই। সম্ববত শুনে শুনেই হেসেছেন। আমার ধারণা ভুল হলে মাফ চাই। তবে তারপরও আমাকে জবাব দেবাব দেবার আগে নেট থেকে অন্তত কারণগুলো আরএকবার জেনে নেবেন। দরকার হয় আরো একবার হাসবেন, কিন্তু এইটা আমার অনুরোধ যে আর েকবার দেখে নেবেন।
৭. হাদিসের অসারতা নিয়ে কেন আপনি এত নিশ্চিত?
৮. সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি এটাই:
ক. মুহম্মদ স. মুখে যা বলেছেন এবং যেভাবে বাস্তবে আল্লাহর হুকুম পালন করেছেন, তা কি আমাদের জন্য ভিত্তি বলে মনে করেন কি না। কোরানে এমন কোনো আয়াত আছে কি না।
খ. মুহম্মদ স. শুধু কোরানে লিপিবদ্ধ ওহি দ্বারাই চলেছেন নাকি তার কাছে এমন কোনো ওহিও আসতো যা কোরানে লিপিবদ্ধ হয়নি?
এইপ্রসঙ্গে আমার একটা ইকুয়েশন আছে। আপনার জন্য প্রেজেন্ট করলাম আমারই, অলরেডি লিঙক দেওয়া, লেখাটা থেকে:
Please read this comment:
(Regarding this topic, Start reading from point 2-b)
In this comment I have proved from Quran itself that Quran is not the only WAHY that was sent down to Muhammad (sm). A part was in the Quran. While obeying Allah's command, Muhammad (sm) was allowed to do nothing without the guidance of our One and ONLY source ALLAH.
So, when Quran commands us to follow the messenger, it actually indicates both Quran, and the part of the WAHY not included in the Quran but embedded in the practice of Muhammd (sm).
My conclusive equation was like this:
Following Muhammad (sm)
= Following WAHY
= Following (QURAN+the Part of the WAHY not included in the QURAN but embedded in the practice of Muhammd (sm))
= Following QURAN+ Following Part of the WAHY not included in the Quran but embedded in the practice of Muhammd (sm)
If Allah says that you must obey the messenger to get Allah's love (in return of your love for Allah) and Guidance, HE actually says that you must follow Muhammad (sm) in full, comprising of What he gave to us as a book (= included in the QURAN), and what he did and said (as guided by Allah, see 7:203), not included in the QURAN but embedded in his practice.
১৬ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ওরে বাবা, বিশাল মন্তব্য করেছেন ভাই। আপনার কষ্ট এবং সদ ইচ্ছার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জবাব দিতে একটু দেরী হতে পারে, কিছুটা ব্যস্ত আছি আর সেই সাথে রেফারেন্সগুলো খুঁজে দেখতে হবে। তবে হ্যাঁ, আমি ইনশাল্লাহ গোঁয়ার্তুমি করবনা। আমি মনটা খোলা রাখার চেষ্টা করছি। আপনার দেয়া লিঙ্কগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ব। যদি ঠিক মনে হয় তাহলে আমি আমার এখনকার সিদ্ধান্তে পড়ে থাকবনা ইনশাল্লাহ। আর ড. শাব্বির আপনার ইমেইলের জবাবে সত্যিই যদি এমন করে থাকেন তাহলে সে অবশ্যই একটা ক্রিমিনাল। তবে আপনার সাথে আমার এই জায়গাতে দৃষ্টিভঙ্গীতে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আমার কাছে কে কি করল সেটা আপাতত বিবেচ্য নয়। তার কথাগুলোই বিবেচ্য। ইমাম রাজীকে সে ক্রিমিনাল বলেছে তার মানে যে আমি ইমাম রাজীর সব কিছুই পরিত্যাগ বর্জন করব আমি সেই দলে নেই। অন্যান্য সকলের ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য। সবারই ভাল যুক্তিপূর্ণ কথা মেনে নিব, খারাপ অযৌক্তিক কথা বর্জন করব। যেসব হাদীসের রেফারেন্স চাইলেন সেগুলোর অনেক গুলাই আমি অনলাইনে আলাদা সোর্সে চেক করে দেখেছিলাম, তাই সেটা অবিশ্বাস করিনাই। আমি সেগুলো আপনাকে জানাব পরে, দেখি আমার ধারণাতে আপনি পরিবর্তন আনতে পারেন কিনা। আর ড.শাব্বিরের বই পড়ার অনেক আগেই আমি হাদীস এর অসারতাগুলো পড়েছিলাম। আপনি যে এত লিঙ্ক চাচ্ছেন হাদীসগুলো সম্পর্কে তার অনেক গুলো তো ড.শাব্বিরের বইতেই আছে, আপনি কি অস্বীকার করেন সেসব হাদীস?
১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি কি ড. শাব্বিরের একটি বা কয়েকটি অসততা দেখে তার বাকী সকল বক্তব্য বিচার না করেই পরিত্যাগ এর পক্ষপাতি? যদি তাই হন তাহলে আপনি কিভাবে হাদীস শাস্ত্রের পক্ষপাতি হন? ব্যাখ্যা করুন। আমি শিজ্ঞিরই সেই আজগুবী হাদীসগুলো দিব। আপনি তখন আবার বলে বসবেন যে এটা জাল হাদীস, এটা সঠিক নয়। সহিহ হাদীস সম্পর্কে আমার ধারণা পরিষ্কার। তাওয়াতুর , মুতাওয়াতীর ইত্যাদি সম্পর্কেও। চেইন অব নেরেটর এর কথা যে বলেন যে তারা বিশ্বস্ত , সত্যবাদী, ধার্মিক, সরাসরি যোগাযোগ ছিল, স্মৃতি ভাল ছিল ইত্যাদি, এই কথাগুলো কি প্রমাণযোগ্য? তারা কি জীবনেও মিথ্যা বলেননি? তারা কি ভুলের ঊর্ধে ছিলেন? বুখারী তাদের সত বলে দাবী করলেই কি তারা সৎ হয়ে যায়? জবাব দিয়েন।
৬৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: পরাগ সাহেব
আপনার সাথে আরো অনেক কথা আছে। কিন্তু সেসবের আগে আর একটা কথা জানাবেন:
{{{আমি শুধু হাদীসকে কোরান সুন্নাহর বাইরে মূল সোর্স বিবেচনা করার বিপক্ষে।}}}
আপনি এইরকম একটা কথা এখানকার একজনকে বলেছেন।
আমি খুব সিরিয়াসলি জানতে চাচ্ছি, আপনি কি সুন্নাহকে আসলেই মূল সোর্স বলে মনে করেন?
১৬ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সম্ভবত এই মন্তব্য করেছিলাম ড.শাব্বিরের বইগুলো পড়ার আগে। আমি কোরানকেই মূল সোর্স বিবেচনা করি। আর হাদীস ও সুন্নাহর মাঝে পার্থক্যটা বুঝি। বিদায় হজ্বে নবী বলেছিলেন তিনি আমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছেনঃ কোরান আর সুন্নাহ। আর তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন বিদায় হজ্বের ভাষন যেন একে একে অনুপস্থিত সকল মুসলিম এর কানে পৌঁছে দেয়া হয়। তো সুন্নাহ বলতে আমি নবীর ধর্মীয় আচার সঙ্ক্রান্ত প্র্যাক্টিস গুলোকেই বুঝি, অন্য সাধারণ ব্যাপার নয়। এই প্র্যাক্টিস যুগে যুগে একই সাথে অসংখ্য উম্মত দ্বারা পালিত হয়ে আসছে, আর তাই এতে পরিবর্তন করার সুযোগ কোন দুষ্কৃতকারী পায়নি বলে মনে করি। এই ধর্মীয় প্র্যাক্টিসগুলোর সাথে সাধারণ সামাজিক জীবন পদ্ধতির খুব বেশী রকম কোন সম্পর্ক নেই। তাই ইসলামের মূল সোর্স দুইটা বলা যায়। কোরান থেকে আমি কিভাবে চলব তার নির্দেশ পাব। যেমন গরীব মিসনকে সাহায্য করা, সম্পদ জমা না করা, অশ্লীলতা না করা, অন্যায় না করা ইত্যাদি। আর সুন্নাহ থেকে আমি কিভাবে ধর্মীয় আচার পালন করব তার নির্দেশ পাব। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সুন্নতে খতনা (শুধু ছেলেদের), ঈদ পালন, ওযুর নিয়ম ইত্যাদি। আমি শুধু হাদীসকে মূল সোর্স ধরার বিপক্ষে। কোরানের সাথে প্রাসঙ্গিক হাদীসকেই আমি গ্রহণ করতে রাজী আছি।
৬৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৮
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{তবে হ্যাঁ, আমি ইনশাল্লাহ গোঁয়ার্তুমি করবনা। আমি মনটা খোলা রাখার চেষ্টা করছি। আপনার দেয়া লিঙ্কগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ব। যদি ঠিক মনে হয় তাহলে আমি আমার এখনকার সিদ্ধান্তে পড়ে থাকবনা ইনশাল্লাহ। }}}
আপনার উপর এই ভরসা আছে বলেই কিন্তু জবাবটা এত বড় হলো। ইনফ্যাক্ট ভয়াবহ ব্যস্ততা যাচ্ছে। এতবড় জবাব লেখার সময় আসলেই ছিলো না।
{{{আপনি যে এত লিঙ্ক চাচ্ছেন হাদীসগুলো সম্পর্কে তার অনেক গুলো তো ড.শাব্বিরের বইতেই আছে, আপনি কি অস্বীকার করেন সেসব হাদীস? }}}
আমি তো আপনাকে বলেছিই, ড. শাব্বিরের প্রেজেন্টেশনটা আমার কাছে খুবই সন্দেহজনক মনে হয়েছে। আমার কাছে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতাই নেই। আমি শুধু তাকে মেইলই করি নাই, তার আওয়ারবিকনস ডট কম-এ গিয়ে তার ফোরামে দুইবার ভিন্ন নামে এই কথাগুলো লিখে জবাব চেয়েছি, উনি সেই লেখাই প্রকাশই করেন নাই।
সুতরাং হাদিসগুলো যে উনি উনার মনের মতো করে প্রকাশ করবেন সেটা আমি মোটামুটি ধরেই নিয়েছি।
সুতরাং সেই হাদিসগুলো সামনে কেউ যথাযথ রেফারেন্স সহকারে সামনে আনলে তবে না এই চিন্তা যে সেই হাদিস অস্বীকার করি কি না।
বেশ কিছু হাদিস আছে যার প্রেক্ষাপট আমি বুঝতে পারি না। সেসব ক্ষেত্রে আমি জাস্ট এ্যাভয়েড করি সেইসব। আল্লাহ যদি প্রয়োজন মনে করেন সেই হাদিসগুলোর প্রেক্ষাপট নিশ্চয়ই বুঝিয়ে দেবেন। কিছু হাদিস এমনো আছে যে শুধু সেই একটা হাদিস দিয়ে মূল ঘটনা বুঝা যায় না। সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোও একত্রিত করতে হয় (কোরানেরও এমন বেশ কিছু আয়াত রয়েছে)।
যাহোক, আপনি উপস্থাপন করেন, ইনশাআল্লাহ পরস্পরের আলোচনায় অনেককিছু পরিষ্কার হবে।
৬৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৮
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{তাই ইসলামের মূল সোর্স দুইটা বলা যায়। কোরান থেকে আমি কিভাবে চলব তার নির্দেশ পাব। যেমন গরীব মিসনকে সাহায্য করা, সম্পদ জমা না করা, অশ্লীলতা না করা, অন্যায় না করা ইত্যাদি। আর সুন্নাহ থেকে আমি কিভাবে ধর্মীয় আচার পালন করব তার নির্দেশ পাব। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সুন্নতে খতনা (শুধু ছেলেদের), ঈদ পালন, ওযুর নিয়ম ইত্যাদি।}}}
আপনার এই কথার সাথে দ্বিমত কিন্তু আমার একেবারেই নেই। কেবল আমি এক্সট্রা এইকথা মনে করি যে হাদিসগুলো আমি খুব সতর্কতার সাথে পড়বো, কারণ মোস্ট প্রোব্যবলি তাতে রাসুল স.-এর সুন্নাহর প্রকাশ রয়েছে। আমাকে কোরানের আদেশ মানতেই সেই সুন্নাহ এক্সট্র্যাক্ট করতে হবে (৩:৩১, ৪/৮০)।
৭০| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{আপনি কি ড. শাব্বিরের একটি বা কয়েকটি অসততা দেখে তার বাকী সকল বক্তব্য বিচার না করেই পরিত্যাগ এর পক্ষপাতি? যদি তাই হন তাহলে আপনি কিভাবে হাদীস শাস্ত্রের পক্ষপাতি হন? ব্যাখ্যা করুন। আমি শিজ্ঞিরই সেই আজগুবী হাদীসগুলো দিব। আপনি তখন আবার বলে বসবেন যে এটা জাল হাদীস, এটা সঠিক নয়। সহিহ হাদীস সম্পর্কে আমার ধারণা পরিষ্কার। তাওয়াতুর , মুতাওয়াতীর ইত্যাদি সম্পর্কেও। চেইন অব নেরেটর এর কথা যে বলেন যে তারা বিশ্বস্ত , সত্যবাদী, ধার্মিক, সরাসরি যোগাযোগ ছিল, স্মৃতি ভাল ছিল ইত্যাদি, এই কথাগুলো কি প্রমাণযোগ্য? তারা কি জীবনেও মিথ্যা বলেননি? তারা কি ভুলের ঊর্ধে ছিলেন? বুখারী তাদের সত বলে দাবী করলেই কি তারা সৎ হয়ে যায়? জবাব দিয়েন।}}}
আপনি কি জানেন ওয়াকিদি নামে একজন ন্যারেটর ছিলেন? বুখারি সাহেব তো বটেই, সকল হাদিসবেত্তারা তার ব্যাপারে কনফার্ম হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি অনির্ভরযোগ্য। কারণ তার ইচ্ছাকৃত ভাবে বানানো হাদিসের প্রমাণ তারা পেয়েছিলেন। বুখারি সাহেব ডাইরেক্ট তার কাছ থেকে সমস্ত হাদিস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। অন্যদের ব্যাপারটা জানা নেই।
কথাটা বললাম কীজন্য, আশা করি বুঝেছেন।
জি, আমি ড. শাব্বিরকে পুরোপুরিই অনির্ভরযোগ্য মনে করি।
আমি তার সবকথাকে পরিত্যাগ করি, কথাটা আসলে এরকম না। কথাটা হলো এরকম যে আমি তার যে-কোনো কথাকেই বিবেচনার অযোগ্য মনে করি। কারণ সে আমার কাছে একজন প্রমাণিত মিথ্যাবাদী। এমন মিথ্যাবাদী, যাকে তার মিথ্যা ধরিয়ে দেবার পরও সেই মিথ্যা প্রচার করা থেকে সে বিরত থাকে না (আপনার কি অবাক লাগহে না, এখনো সে তার বই থেকে ঐ নির্দিষ্ট অংশ সরায় নি? অথচ সমানে সে এবং তার অনুগতরা তার বইগুলোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে!!!)। কেউ যদি অকাট্য প্রমাণ নিয়ে তার কোনো উক্তি উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে আমি বড়জোর বলবো, বাহ এই মিথ্যাবাদী লোকটা দেখি একটা সত্য কথাও বলেছে!
বুখারী সাহেবরাও কিন্তু তাই-ই করেছেন।
পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই ভুল বলে, মাঝে সাঝে দুটো একটা খারাপ কাজও করে। আমরা কিন্তু তাদের কথা চট করে উড়িয়ে দেই না। উড়িয়ে দেই কাদের কথা? যারা জাত-মিথ্যাবাদী হিসেবে প্রমাণিত হয়ে যায়, এবং যাদের মিথ্য ধরিয়ে দেবার পরও তাওবা করে না, মিথ্যাটা কন্টিনিউই করতে থাকে। ওয়াকিদিকে যেভাবে অধিকাংশ হাদিসবেত্তা এবং উতিহাসবিদ বর্জনযোগ্য মনে করতেন, আমিও ড. শাব্বির আহমেদকে ঠিক তেমনই মনে করি। এবং সেই হাদিসবেত্তা এবং ইতিহাসবিদদের কেউ কেউ যেমন হঠাৎ অল্প কিছু ক্ষেত্রে, সাপোর্টিং-এ অন্য কারো বক্তব্য পেলে, দয়া করে ওয়াকিদির নামও দিয়েছেন, তেমনই মাঝে মাঝে আমিও সেইরকম ক্ষেত্রে ড. শাব্বির আহমেদের নাম নেব। আপনাকে কথা দিচ্ছি।
{{{তারা কি জীবনেও মিথ্যা বলেননি? তারা কি ভুলের ঊর্ধে ছিলেন? বুখারী তাদের সত বলে দাবী করলেই কি তারা সৎ হয়ে যায়?}}}
তারা কি জীবনেও মিথ্যা বলেন নি কিনা বা তারা ভুলের উর্ধে ছিলেন না কি না এইখানে প্রশ্ন তুলেই কি আপনি তার কোনো জবাব দিতে পারছেন? তারা আসলেই মিথ্যা বলেছেন---এমন কোনো প্রমাণ দেন!!! আর ভুল করলেই যে একজন নির্ভরযোগ্য হওয়া থেকে বাদ হয়ে যায় তা ত না। এইখানে কেউ একজনের কাছ থেকে হাদিস নিয়েই তার উপর পণ্ডিতি ফলাচ্ছে না। একটা মতন বহু চেইন থেকে নিয়ে ক্রসচেকিং করে তারপর রায় দেয়া হচ্ছে। বিষয় সেইরকম গুরুত্বপূর্ণ হলে ন্যারেটর কম বা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য না হলে সেইটা তারা আবার উল্লেখও করছেন। আপনি কি এইটাকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন?
{{{আমি শিজ্ঞিরই সেই আজগুবী হাদীসগুলো দিব। আপনি তখন আবার বলে বসবেন যে এটা জাল হাদীস, এটা সঠিক নয়।}}}
অবশ্যই দিবেন। যদি আপনি জাল হাদিস দেন, তাহলেও কি আমি জাল হাদিস বলবো না? আপনি যদি হাদিস দেবার সময় সহিহ হাদিস দেখে দেন, তাহলে আমি কেন সেটাকে জাল হাদিস বলবো?
এই প্রসঙ্গে একটু আগে বলা কথা আমি আরএকবার বলছি:
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
বেশ কিছু হাদিস আছে যার প্রেক্ষাপট আমি বুঝতে পারি না। সেসব ক্ষেত্রে আমি জাস্ট এ্যাভয়েড করি সেইসব। আল্লাহ যদি প্রয়োজন মনে করেন সেই হাদিসগুলোর প্রেক্ষাপট নিশ্চয়ই বুঝিয়ে দেবেন। কিছু হাদিস এমনো আছে যে শুধু সেই একটা হাদিস দিয়ে মূল ঘটনা বুঝা যায় না। সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোও একত্রিত করতে হয় (কোরানেরও এমন বেশ কিছু আয়াত রয়েছে)।
যাহোক, আপনি উপস্থাপন করেন, ইনশাআল্লাহ পরস্পরের আলোচনায় অনেককিছু পরিষ্কার হবে।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{তারা কি জীবনেও মিথ্যা বলেন নি কিনা বা তারা ভুলের উর্ধে ছিলেন না কি না এইখানে প্রশ্ন তুলেই কি আপনি তার কোনো জবাব দিতে পারছেন? তারা আসলেই মিথ্যা বলেছেন---এমন কোনো প্রমাণ দেন!!! আর ভুল করলেই যে একজন নির্ভরযোগ্য হওয়া থেকে বাদ হয়ে যায় তা ত না। এইখানে কেউ একজনের কাছ থেকে হাদিস নিয়েই তার উপর পণ্ডিতি ফলাচ্ছে না। একটা মতন বহু চেইন থেকে নিয়ে ক্রসচেকিং করে তারপর রায় দেয়া হচ্ছে। বিষয় সেইরকম গুরুত্বপূর্ণ হলে ন্যারেটর কম বা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য না হলে সেইটা তারা আবার উল্লেখও করছেন। আপনি কি এইটাকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন?}}
দুঃখিত আমি এইটাকে কমই গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ এতই যদি গুরুত্বপূর্ণ হত তাহলে হাদীসের সংকলনগুলো নবীর আমল থেকেই হওয়া উচিৎ ছিল। বরং হাদীসের সূত্র থেকেই আমরা জানতে পারি হাদীস লিখতে নবী বারন করে গিয়েছেন। এখন আপনি যদি বলেন হাদীস লিখতে গেলে কোরান সংকলন বাঁধাগ্রস্থ হত, তাহলে আমি সেটা আল্লাহর সাথে নাফরমানি হিসেবে দেখব কেননা আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন কোরানের সংরক্ষক আল্লাহ নিজেই। এর পরেও যদি ধরে নেই যে ঠিক এ কারণেই তখন হাদীস সংকলিত হয়নি, তাহলে নবীর একটা অন্তত নির্দেশ আমার চাই যেখানে তিনি বলেছেন কোরান সংকলন সুষ্ঠুভাবে হয়ে যাবার পর তোমরা হাদীস লিখতে পার। বরং আমরা দেখি যে উসমানের আমলে কোরান সুন্দরভাবে সংকলনের পরেও উসমান হাদীস খুঁজে খুঁজে নষ্ট করেছেন। সর্বোপরি, কোরানের আয়াতগুলো লিখিত হয়েছিল নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে তাই এতে ভুল হবার কোন সম্ভাবনাই ছিলনা। আর হাদীস যে নবীর বানী তা শুধু দাবী করা হয় মাত্র, নবীর কোন দায় দায়িত্ব এতে নেই, তার মৃত্যুর ২০০-৩০০ বৎসর পর এগুলোর সংকলন হয়েছে আর এর মাঝে প্রচুর জাল হাদীস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আপনি যে বললেন একটা মত বহু চেইন থেকে নিয়ে তারপর ক্রস চেকিং করে তাকে সঠিক বলা যায় এই ধারণাটা আমার কাছে কোন যুক্তিতেই সঠিক মনে হয়না। কারণ কোরানের বক্তব্য যেমন অসংখ্য উম্মত একই সাথে জানত, হাদীস তেমন গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটাও সকলে একই ভাবে জানা উচিৎ ছিল। হাদীসের চেইন নেরেটর এর যে সংখ্যা তো গুটি কয়েক মাত্র, অসংখ্য তো নয়ই। এই গুটি কয়েক মানুষ যদি অতি বিশ্বস্তও হয় তবু তাদের কথা (নবীর বানী সংক্রান্ত) বিশ্বাস করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে এমন কোন নির্দেশ কি আল্লাহ বা তার রাসুল কোথাও দিয়েছেন? অধিকাংশ হাদীস যেখানে আবু হুরায়রা বর্ণিত, সেই আবু হুরায়রা নবীর সাথে ছিলেন মাত্র শেষ তিনিটি বছর। তার এত হাদীস বর্ণনা নিয়ে অন্য সাহাবীরা প্রশ্ন পর্যন্ত করেছেন। মাত্র তিন বছরে সে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হাদীস দিয়েছে যেখানে খোলাফায়ে রাশেদীনগণ সারা জীবন নবীর সাহচর্যে থেকেও ৫০০ হাদীস সংকলন করার সাহস করতে পারেননি। লা ইলাহা ইল্লাহ বাক্যটি মৃত্যুর আগে উচ্চারণ করতে পারলে তার জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যায় এমন হাদীস বর্ণণা করার পর দ্বিতীয় খলিফা আবু হুরায়রাকে প্রহার করেছিলেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ, ১ম খন্ড, প্রথম প্রকাশ, হাদীস নং ৩৫, পৃষ্ঠা ৬৭ (মুসলিম) মুরাদ পাবলিকেশন্স)। তাই চেইন অব নেরেটরকে আমি সহিহ হাদীসের নির্ণায়ক বলে কিছুতেই মানতে পারিনা। আমার মতে হাদীসের বক্তব্যই ঠিক করবে সেটা সহিহ নাকি জাল। এটাই খুব স্বাভাবিক যুক্তি। হাদীস এত গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা নবী মাত্র গুটি কতক সাহাবীর মাঝে সীমাবদ্ধ রাখতেননা, সকলের কাছেই প্রচার করতেন। সকলের সেটা জানা উচিৎ ছিল, ২০০ বছর পর মাত্র গুটিকতক নেরেটরের কাছে এই মহামূল্যবান কথা সংরক্ষিত রইল আর বাকী অসংখ্য লোক কিছুই জানতে পারলনা সেটা ভাবতেই আল্লাহর উপরেই রাগ চলে আসে (নাউযুবিল্লাহ)।
আমি খুবই অগোছাল প্রকৃতির তাই রেফারেন্স খূজে বের করতে সময় লাগে। ইমাম আবু হানীফা যে প্রথম জীবনে নিজ ভাষায় সালাত আদায়ের পক্ষে ছিলেন এটা খুব কমন জানা বিষয়, তার অনেক জীবনী গ্রন্থে এটা লিখা আছে। তাই এটার রেফারেন্স নিয়ে এত চিন্তিত হইনি। তবু একটা বই এর নাম দিলাম। ১০১ নং পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।
Islam: the key concepts
By Kecia Ali, Oliver Leaman
Published by Routledge, 2007
ISBN 0415396395, 9780415396394
আর আবু হুরায়রার কাহিনী তার জীবনী বইতেই পাবেন।
৭১| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{দুঃখিত আমি এইটাকে কমই গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ এতই যদি গুরুত্বপূর্ণ হত তাহলে হাদীসের সংকলনগুলো নবীর আমল থেকেই হওয়া উচিৎ ছিল। বরং হাদীসের সূত্র থেকেই আমরা জানতে পারি হাদীস লিখতে নবী বারন করে গিয়েছেন।}}}
জি, আপনি ঠিকই বলেছেন। এবং হাদিস সূত্র থেকেই আমরা জানতে পারি যে রাসুল স.-ই পরে আবার হাদিস লেখার অনুমতি দিয়েছেন। এই সামুতেই দুটো লেখা আছে, একটু নাহয় দেখে আসেন:
১. রাসুল স. কি হাদিস লিখতে মানা করেছিলেন
২. রাসুল সঃ পরবর্তীতে হাদিস লেখার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছিলেন (আপডেটেড)
আপনাকে এইজন্য বারবার বলছি, শুধু একপক্ষের লেখা পড়তে হয় না, তাতে একটা চোখ বন্ধ হয়ে থাকে।
বাইদাওয়ে
আপনার কি মনে হয় না যে এই যে হাদিস লেখার নিষেধাজ্ঞা...এইটাই হাদিসের সঙ্গ্রহের পদ্ধতির শুদ্ধতার একটা বড় প্রমাণ? কারণ যদি কিছু ভণ্ড বদমাশ-ই হাদিস কালেকশন করতো, তাহলে তারা কোন দুঃখে এই নিষেধাজ্ঞার হাদিস সঙ্গ্রহে রাখবে, বলেন তো?
_____________________________
{{{এখন আপনি যদি বলেন হাদীস লিখতে গেলে কোরান সংকলন বাঁধাগ্রস্থ হত, তাহলে আমি সেটা আল্লাহর সাথে নাফরমানি হিসেবে দেখব কেননা আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন কোরানের সংরক্ষক আল্লাহ নিজেই। }}}
কোরান সংরক্ষণটাতো আল্লাহই করবেন, কিন্তু সেই করাটা যে আল্লাহ মানুষের মাধ্যমেই করাবেন না, সেটা আপনি কীভাবে জানলেন? ধরেন একটা কুকুরকেকে দেখে আপনার মনে দয়া হলো, আপনি তাকে কিছু খেতে দিলেন। এখন বলেন তো, কুকুরটাকে তো আল্লাহই খাওয়ালেন, কিন্তু আপনার মাধ্যমেই কি খাওয়ালেন না?
সুতরাং নাফরমানি আপনি কোথায় দেখলেন, সেটাই খুজতে গিয়ে জাস্ট বিমূঢ় হয়ে গেলাম।
____________________________________
{{{এর পরেও যদি ধরে নেই যে ঠিক এ কারণেই তখন হাদীস সংকলিত হয়নি, তাহলে নবীর একটা অন্তত নির্দেশ আমার চাই যেখানে তিনি বলেছেন কোরান সংকলন সুষ্ঠুভাবে হয়ে যাবার পর তোমরা হাদীস লিখতে পার। }}}
অনুগ্রহ করে এএই কমেন্টের প্রথমে যে লিংকদুটো দিয়েছি, সেগুলো দেখুন।
____________________________________
{{{বরং আমরা দেখি যে উসমানের আমলে কোরান সুন্দরভাবে সংকলনের পরেও উসমান হাদীস খুঁজে খুঁজে নষ্ট করেছেন। সর্বোপরি, কোরানের আয়াতগুলো লিখিত হয়েছিল নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে তাই এতে ভুল হবার কোন সম্ভাবনাই ছিলনা। }}}
এই কথাটার মধ্যে আপনি খুব বড় দুইটা ভুল করেছেন।
১) যারা প্রথম দিকে হাদিস নষ্ট করেছিলেন এবং পুড়িয়েছিলেনও, তারা হাদিস লেখার নিষেধাজ্ঞা শুনেই পুড়িয়েছিলেন। তখন না পুড়ানোটাই অপরাধ হতো। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। শুধু তাই না, উপরে দেওয়া লিংক পড়লে আপনি এ-ও জানতে পারবেন যে রাসুল স. এনকারেজও করেছেন। সাহাবিরা হাদিস নিজেরা মুখস্থ করতেন, এবং প্রচার করতেন।
মজার ব্যাপারটাই আপনি এখানেও টাচ করতে পারলেন না। এই যে হাদিস পুড়ানোর হাদিস, সেই হাদিসগুলো কার মাধ্যমে এসে আমাদের হাতে পৌছলো, বলেন তো দেখি।
২) আপনার দ্বিতীয় ভুলটা হলো, নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে যে কোরানের আয়াতগুলো লিখিত হয়েছিলো, সেইটা কি আপনি হাদিস লিখিত না হলে আদৌ জানতে পারতেন?
_____________________________________
{{{আর হাদীস যে নবীর বানী তা শুধু দাবী করা হয় মাত্র, নবীর কোন দায় দায়িত্ব এতে নেই, তার মৃত্যুর ২০০-৩০০ বৎসর পর এগুলোর সংকলন হয়েছে আর এর মাঝে প্রচুর জাল হাদীস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। }}}
কিছু মনে করবেন না, হাদিস নিয়ে আপনার আরও একটু পড়াশুনা করা উচিত ছিলো। আপনি হাদিসবেত্তাদের জীবনদৈর্ঘটা এ্যাটলিস্ট জানেন। ইমাম আবু হানিফা ষোলজন সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। তার থেকে বয়সে কিছুটা ছোট ইমাম মালিক একজন তাবে তাবেইন। তিনিই প্রথম ফরমাল হাদিস সঙ্গ্রাহক। তার ন্যারেটর চেইনকে বলা হতো সবথেকে অথেনটিক।
তার সময়সীমা ছিলো: 93 AH – 179 AH. প্রজন্মের হিসাব যদি করেন তাহলে এই সময়সীমা কিন্তু দূরের কিছু না। তার মাধ্যমে আসা একটা হাদিসের চেইনে আছেন: মুহম্মদ সা. থেকে ইবনে উমার, তার থেকে নাফি (তাবেয়ী এবং ইবনে উমার-এর "মাওলা"), এবং তার থেকে ইমাম মালিক।
অর্থাৎ, ইমাম মালিক - নাফি ইবনে সারজিস - ইবনে উমার - মুহম্মদ সা.
এখন বলেন আপনি কোন হিসেবে বললেন যে মুহম্মদ সা.-এর ২০০-৩০০ বৎসর পর এগুলোর সংকলন হয়েছে???
আর, এই লিংকে একটা লেখা আছে, অনুগ্রহ করে পড়ে নেবেন।
________________________________
{{{আপনি যে বললেন একটা মত বহু চেইন থেকে নিয়ে তারপর ক্রস চেকিং করে তাকে সঠিক বলা যায় এই ধারণাটা আমার কাছে কোন যুক্তিতেই সঠিক মনে হয়না। কারণ কোরানের বক্তব্য যেমন অসংখ্য উম্মত একই সাথে জানত, হাদীস তেমন গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটাও সকলে একই ভাবে জানা উচিৎ ছিল। হাদীসের চেইন নেরেটর এর যে সংখ্যা তো গুটি কয়েক মাত্র, অসংখ্য তো নয়ই। এই গুটি কয়েক মানুষ যদি অতি বিশ্বস্তও হয় তবু তাদের কথা (নবীর বানী সংক্রান্ত) বিশ্বাস করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে এমন কোন নির্দেশ কি আল্লাহ বা তার রাসুল কোথাও দিয়েছেন?}}}
আপনাকে কিছুই না বলে শুধূ অনুরোধ করবো ইসলাম-এ্যাওয়ারনেস ডট অর্গের একটা এ্যাড্রেস দিয়েছিলাম। আপনি কি অনুগ্রহ করে সেইটা একটু দেখে আসবেন? যেই ব্যাপারটা পছন্দ করেন না, সেইটা সম্পর্কে যদি ভালো করে জেনে না আসেন, তাহলে তো আপনার অপছন্দের ভিত্তিটাও মজবুত হচ্ছে না।
এই লিঙকাটার সূচিটা আপনাকে একটু জানাই:
Ḥadīth & Its Origins
*A Brief History Of Ḥadīth Collection And Criticism
This is a lecture given by Dr. Jonathan Brown, a young, eloquent western ḥadīth scholar at University of Washington where he works as an Assistant Professor. In this lecture, he briefly discusses the history of ḥadīth collection, its criticism and the evolution of western ḥadīth scholarship from Goldziher, Schacht, Juynboll to Motzki. A lot of misconceptions about ḥadīth are clarified in this lecture.
*Are There Any Early Ḥadīths?
*On The Nature Of Ḥadīth Collections Of Imam Bukhari and Muslim
*Explosive Increase Of Isnad & Its Implications
*On The Transmitters Of Isra'iliyyat (Judeo-Christian Material)
Ḥadīth Criticism
ইত্যাদি।
আশা করি, লিংকটার প্রতি আপনার আগ্রহ জন্মাবে।
১৭ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:১৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{জি, আপনি ঠিকই বলেছেন। এবং হাদিস সূত্র থেকেই আমরা জানতে পারি যে রাসুল স.-ই পরে আবার হাদিস লেখার অনুমতি দিয়েছেন। এই সামুতেই দুটো লেখা আছে, একটু নাহয় দেখে আসেন}}
অনেক ধন্যবাদ, পড়লাম। এগুলোর কথা সত্যি আগে জানা ছিলনা। জেনে ভাল লাগল। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে বৈকি!! এইখানে যে হাদীসগুলোর কথা পড়লাম সেখানে সিহাহ সাত্তার মধ্যে শুধু তিরমিজিকে খুঁজে পেলাম। এইগুলো চেইন অব নেরেটর অনুযায়ী কতটা সহিহ? আর তাছাড়া নবী এত করে হাদীস লিখার অনুমতি দিয়ে গেলেন কিন্তু একটা হাদীসের কপিও পাওয়া গেলনা!! মুয়াত্তার মাধ্যমেই প্রথম লিখিত হাদিসের আবির্ভাব ঘটল? খটকা জাগানিয়া নয়কি? এছাড়াও কোরানে অন্তত ১০ টি আয়াত আছে যেখানে হাদীস শব্দ দ্বারা কোরানকেই বুঝানো হয়েছে। তো নবী তো হাদীস (পড়ুন কোরান ) লিখতে বলতেই পারেন! আর হাদীস গুলোর মধ্যে এত ভুড়ি ভুড়ি কন্ট্রাডিকশন কেন তা কি মনে কোন অনুভূতির সৃষ্টি করেনা? নবী হাদীস লিখতে মানা করেছিলেন এই কথাটা হাদীসে আছে বলেই বিশ্বাস করছিনা, বরং এই কথা বাস্তবে ঘটেছে বলেই বিশ্বাস করছি। অন্যথায় আমরা জ্বলজ্বলে একটা হাদীসের বইও দেখতে পেতাম যা কিনা সাহাবা কর্তৃক লিখিত। তা তো দেখিনা! নবী যদি হাদীস লিখার আদেশ দিয়েই যেতেন তাহলে খলিফা সহ সাহাবারা কেন তার আদেশ পালন করলেননা? কেন মুয়াত্তার জন্য অপেক্ষা করতে হল? সেই মুয়াত্তারও এখন বেইল নাই, আছে সিহাহ সাত্তার যা কিনা আরও অনেক পড়ে রচিত!! আপনার দেয়া লিঙ্কের একটা লাইনঃ Many of Tabieen collected and compiled their hadith in books which were incorporated in books by the next generation and most of those that survive today are in that form as part of other larger books. এই কথাটা ভিত্তি কি? এর প্রমাণ তো লিঙ্কে দেয়া নাই। কোন রেফারেন্সও নাই। শুধু মুখের কথা শুনে বিশ্বাস করে ফেলব?
ভাইয়া আমি একটা কথা পরিষ্কার বলি। আমি ড.শাব্বিরের অন্ধ ভক্ত নই, তার মত আমি হাদীস শাস্ত্রকে বাতিল বলে মনে করিনা, আমি বুখারীদেরকে ক্রিমিনাল বলে মনে করিনা তবে তারা অনেক অন্যায় করেছেন বলে মনে করি। আমি কোন নেরেটর দিয়ে হাদীস এর সত্যতা নিরূপনের বিষয়টা শুধু মানিনা। আমি চাই হাদীসের বক্তব্য দিয়েই হাদীসের সত্যতা যাচাই করা হোক।
{{কোরান সংরক্ষণটাতো আল্লাহই করবেন, কিন্তু সেই করাটা যে আল্লাহ মানুষের মাধ্যমেই করাবেন না, সেটা আপনি কীভাবে জানলেন? ধরেন একটা কুকুরকেকে দেখে আপনার মনে দয়া হলো, আপনি তাকে কিছু খেতে দিলেন। এখন বলেন তো, কুকুরটাকে তো আল্লাহই খাওয়ালেন, কিন্তু আপনার মাধ্যমেই কি খাওয়ালেন না?
সুতরাং নাফরমানি আপনি কোথায় দেখলেন, সেটাই খুজতে গিয়ে জাস্ট বিমূঢ় হয়ে গেলাম।}}
কথাটা ঠিকমত অনুধাবন করলে আপনি বিমূঢ় হতেননা। কোরান তো আল্লাহই সংরক্ষণ করবেন এবং তা মানুষের মাধ্যমেই করাবেন। আগের কিতাব গুলোও তো মানুষেই সংরক্ষণ করেছিল, কিন্তু শেষতক আল্লাহ ব্যর্থ হয়েছিলেন (নাউযুবিল্লাহ) তাই পরিবর্তিত হয়েছিল। আপনি যখন বলবেন যে হাদীস লিখতে গিয়ে কোরান সংকলন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাতে বুঝা যায় আল্লাহ মানুষের কাজ কর্মের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেলেন, মানুষ এটা ওটা করলে আল্লাহ আর তার ওয়াদা ঠিক রাখতে পারবেননা। কুকুরের কথা যে বললেন, আমি যদি কুকুরকে নাও খাওয়াই (আল্লাহ প্রদত্ত আমার স্বাধীন ইচ্ছার বলে) আল্লাহ কিন্তু ঠিকই অন্য উপায়ে কুকুরকে খাওয়াবেন যদি আল্লাহ কুকুরকে খাওয়ানোর প্রতিজ্ঞা করে থাকেন। এভাবেই আল্লাহ প্রতিজ্ঞা করেছেন কোরান সংরক্ষণ করবেন, তাই কেউ হাদীস লিখল মানে আল্লাহর সেই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে হুমকির সৃষ্টি করল এমন চিন্তা সত্যি হাস্যকর বটে। সমগ্র জাহানের তাবৎ শক্তির ক্ষমতা নেই আল্লাহর প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে বাঁধা দেয়। আর আপনি সামান্য হাদীস রচনাকে এত বড় শক্তিশালী বানিয়ে দিলেন? আল্লাহকে মানুষের উপর নির্ভরশীল বানিয়ে দিলেন আবার বললেন এটা নাফরমানি নয়, এতে বলব আপনি হাদীস বাঁচানোর জন্য স্বাভাবিক যুক্তিবোধ হারিয়ে ফেলছেন।
{{মজার ব্যাপারটাই আপনি এখানেও টাচ করতে পারলেন না। এই যে হাদিস পুড়ানোর হাদিস, সেই হাদিসগুলো কার মাধ্যমে এসে আমাদের হাতে পৌছলো, বলেন তো দেখি।
আপনার দ্বিতীয় ভুলটা হলো, নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে যে কোরানের আয়াতগুলো লিখিত হয়েছিলো, সেইটা কি আপনি হাদিস লিখিত না হলে আদৌ জানতে পারতেন?}}
আসলে মজার ব্যাপারটা আপনিই টাচ করতে পারেননাই ভাইয়া। আমার কথা থেকে যদি ধরে নেন আমি সেই হাদীসগুলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তারপর হাদীস পোড়ানোর কথা বিশ্বাস করে আছি তাহলে ভুল করবেন। মজাটা এখানেই। আমি বলতে চাইলাম যে হাদীস শাস্ত্র এতই দূর্বল যে হাদীস দিয়েই হাদীসকে উপর্যপুরি আঘাত করা যায়। আপনি এমন কিছু হাদীস এনে দেখালেন যে এই দেখ হাদীস পোড়ানোর কথা নবী বললেও পরে আবার হাদীস লিখার কথাও বলেছেন। এতেই কিন্তু আমি হাদীস শাস্ত্রের উপর বিশ্বাস আনতে পারিনা, বরং আরেকবার চেষ্টা করে দেখতে পারি। সেটা করব। হাদীস এর কন্টেন্ট গুলোই হাদীস শাস্ত্রের উপর বিশ্বাস হারাতে সাহায্য করে। এই পোস্টের ৬২ নং মন্তব্যে মেয়রের দেয়া লিঙ্কুগুলো একবার দেইখেন, কোরান নাজিল এর পদ্ধতি গুলো পড়ে যদি দয়া করে আমাকে সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দিতে পারেন তাহলে সত্যি আমি কৃতজ্ঞ থাকব। হাদীস নির্ভর এইসব লিখা পড়লে ঈমান রাখা আসলেই দুষ্কর হয়ে যায়। হাদীস কোনদিন পোড়ানো হয়েছিল কিনা সেটা জানা আমার জন্য জরুরী নয়। নবীর তত্ত্বাবধানে কোরান লিখিত হয়েছে এটা বিশ্বাস করা আমার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। নবীর অন্তরেই সমস্ত কোরান একসাথে নাজিল হয়েছিল, পরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি অনুযায়ী নবীর মুখে তা প্রকাশ পেয়েছে। এই সম্পর্কে ড.শাব্বিরের কোন একটা বই এর লিখাগুলো বেশ ভাল ছিল। কোরান যে নিজেই একটা বই, পার্চমেন্টের উপর লিখিত, এগুলো উনি কোরানের আয়াত দিয়েই পরিষ্কার দেখিয়েছেন। আমি ভিন্ন ভিন্ন ট্রান্সলেশন যাচাই করে দেখেছি, কোন সমস্যা পাইনি। যুক্তিগুলো সরাসরি কোরানের আয়াত দিয়ে দেয়া, আপনি পারলে খন্ডন করবেন, আমি খন্ডন করতে চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার কাছে বরং তা গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। আপনি চাইলে বই এর লিংক দিয়ে দেব পরে। আর কোরানের মত মহামূল্যবান একটা জিনিস ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে হাড় গোড় সহ খেজুর পাতা পাথর ইত্যাদির উপর লিখা হয়েছে বলে হাদীসের ভিত্তিতে যে ধারণা সেটা ভাবতেই অবাক লাগে। আশা করি মজার জিনিসটা টাচ করতে পেরেছেন।
{{ইমাম আবু হানিফা ষোলজন সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। তার থেকে বয়সে কিছুটা ছোট ইমাম মালিক একজন তাবে তাবেইন। তিনিই প্রথম ফরমাল হাদিস সঙ্গ্রাহক। তার ন্যারেটর চেইনকে বলা হতো সবথেকে অথেনটিক।
তার সময়সীমা ছিলো: 93 AH – 179 AH. প্রজন্মের হিসাব যদি করেন তাহলে এই সময়সীমা কিন্তু দূরের কিছু না।
এখন বলেন আপনি কোন হিসেবে বললেন যে মুহম্মদ সা.-এর ২০০-৩০০ বৎসর পর এগুলোর সংকলন হয়েছে???}}
ইমাম মালিকের মুয়াত্তার নাম কতজন মুসলিম জানে বলতে পারবেন? হাদীস বলতে সবাই বুখারী মুসলিমকেই চিনে। মুয়াত্তার মূল কপি আছে কিনা সেটা নিয়েও তো বিতর্ক আছে শুনেছিলাম। এখন সত্য বা মূল হাদীস বলতে যা বুঝায় সেই সিহাহ সাত্তা তো ২০০-৩০০ বছর পরেই রচিত হয়েছে। তাই আমি এতে ভুল কি বললাম বুঝতে পারলাম না।
{{আপনাকে কিছুই না বলে শুধূ অনুরোধ করবো ইসলাম-এ্যাওয়ারনেস ডট অর্গের একটা এ্যাড্রেস দিয়েছিলাম। আপনি কি অনুগ্রহ করে সেইটা একটু দেখে আসবেন? যেই ব্যাপারটা পছন্দ করেন না, সেইটা সম্পর্কে যদি ভালো করে জেনে না আসেন, তাহলে তো আপনার অপছন্দের ভিত্তিটাও মজবুত হচ্ছে না।}}
এটা স্বীকার করছি যে আসলেই আমার আরও দ্রূত এটা পড়া উচিৎ। আমি এখনো পড়িনি। তবে আমি কথা দিয়েছি আপনাকে আবারও দিচ্ছি আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ব, ইনশাল্লাহ।
১৭ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আচ্ছা একটা কথা বলুনতো? নবী প্রথমে হাদীস লিখতে না করলেন। আপনারা দাবী করছেন আসলে হাদীস লিখতে না করেন নাই বরং একই পাতায় কোরান আর হাদীস লিখে ফেললে তা সংমিশ্রণের ভয় থাকে বলে যারা অলরেডি তা লিখে ফেলেছে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন। ভাইয়া খোলা মনে একটু বিচার করেন। পোড়ানোর ঘটনাগুলো কিন্তু খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলেও ঘটেছিল, তখন কিন্তু নবী বেঁচে ছিলেননা। অথচ এর আগেই কিন্তু নবী পুণরায় হাদীস রচনার অনুমতি তো দিয়েই গিয়েছেন আপনার বক্তব্য অনুযায়ী এনকারেজও করে গিয়েছেন। অজ্ঞাত কারণে কোন খলিফাই এই অনুমতির কথা জানতে পারেন নাই। তাই তাদের আমলে হাদীসও আর রচিত হয় নাই। পরে যারা এই হাদীসগুলো বর্ণনা করেছিলেন তারা কি খলিফাদের ইসলামের শত্রু মনে করে তাদের কাছে এই হাদীসের কথা পৌঁছে দেননি? আরেকটু চিন্তা করেন, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী ওহী মানে তো শুধু কোরানই নয়, কোরানের বাইরেও আল্লাহ ওহী দিয়েছেন। সেই ওহিতে কি এমন ক্ষতিকর বস্তু ছিল যে তা কোরানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে মহা শর্বনাশ হয়ে যেত? অথচ হাদীসের নামে সেগুলো পালন করতে এখন আপনাদের কোন আপত্তি নেই? আরও একটু চিন্তা করেন। রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের কবিতার লাইন আঁকি বুকি করে মিশালেও সেটা নিখুঁতভাবে পৃথক করা সম্ভব তাদের কবিতা আগে না পড়েও সে সম্পর্কে কি কোন ধারণা আছে আপনার? যে আল্লাহ বারবার ঘোষনা দিয়েছেন যে অনুরূপ একটি মাত্র সূরাহ রচনা করার সামর্থ সমগ্র জ্বীন আর মানব জাতির সম্মিলিত চেষ্টাতেও সম্ভব নয়, সেখানে এমন ইউনিক কোরানের সাথে হাদীসের সংমিশ্রণের যুক্তিটি একটুওকি ঠুনকো লাগেনা আপনার? অথচ কোরানের মাস্টাররা তখন উপস্থিত ছিলেন। সবাই কোরান মুখস্ত করে ফেলত। সয়ং নবী তখন উপস্থিত ছিলেন। এত কিছুর পরে হাদীসের সাথে কোরান সংমিশ্রণ হয়ে যাবে এই ভয়ে হাদীস লিখতেই না করে দিলেন নবী? হাদীসকে বাঁচানোর জন্য এমন দূর্বল যুক্তির আশ্রয় নিতে আমার বিবেকে বাঁধে ভাই, তবু নাহয় নিতাম কিন্তু কেন নিব যেখানে হাদীসের মাঝেই হাজারো কন্ট্রাডিকশন আছে সেই সাথে হাদীস গুলো কোরানকেও কন্ট্রাডিক্ট করে!!
৭২| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৫২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আপনাকে আরো একটা লিঙক দেই:
(আবার বড় মন্তব্য হয়ে যাচ্ছে, খুব সরি)
Old Manuscripts & Misconceptions About Hadith
EARLIEST MANUSCRIPTS OF HADITH.
---------------------------------------------
THE STAGES OF THE COMPILATION OF AHAADITH
-----------------------------------------------------------
The Ahaadith were not compiled and codified in the time of the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) like it is today. There existed no real need for this as the Sahaba memorised virtually every word spoken by the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam). Allah Ta'ala had granted them such perfect and excellent memories that once they heard anything they used to remember it throughout their lives. The remembering of lengthy poems and the ancestral details of horses and camels bears testimony to this fact. Once Hazrat Ibn Umar (RA) repeated Ahaadith to a bedouin, in order for him to memorize it well. The bedouin remarked, "Enough, once is sufficient I shall not forget it till death. I have performed 60 pilgrimages on 60 camels and I know perfectly well which Hajj I performed on which camel."
এইটা হলো শুরু।
তারপর আরো যে-যে পয়েন্টের উপরে আলোকপাত করা হয়েছে (আমি প্রতিটা পয়েন্ট থেকে অল্প কিছু কপি করে দিচ্ছি):
WRITING AND RECORDING THE HADITH
---------------------------------------------------
This method was also customary in the prophetic era. This procedure had passed through four stages (phases):
Recording of Ahaadith without any arrangement or sequence Arranging the Ahaadith relating to certain subject (topic) or subjects into one small book
Accumulating of various Ahaadith into one book.
Compiling Ahaadith and codifying......
THE PROHIBITION OF RECORDING HADITH AND ITS ANSWER
-----------------------------------------------------------------------------
The Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) has mentioned in one Hadith,"Do not record (write) from me anything except the Quran. Whosoever has
written anything should obliterate it." (Muslim vol.2 Pg.44)
This prohibition is of a temporary nature when the Quran was initially being revealed (and there was a possibility of the hadith and Quran being mixed
up) so that the hadith and the Quran do not get mixed up. When this initial period has passed and this possibility was ruled out, this prohibition
ceased and an order was given to write and record the Ahaadith as Allama Ibne-Hajar has detailed in his commentary on Bukhari Shareef. Allama Nawawi
in the commentary of Muslim Shareef has stated that the prohibition was when the mixing was feared. Thereafter when it was safe, permission was granted
for writing. and finally masses were not allowed to write but classes.
THE THREE METHODS OF PRESERVING AND SAFEGUARDING THE HADITH
-----------------------------------------------------------------------------------------
We hereby detail all the methods utilised to preserve Ahaadith from the prophetic era upto this day. There is consensus that recording and writing
was not the only method of safeguarding Ahaadith. There existed other reliable methods as well:
MEMORISING THE AHAADITH
------------------------------------
The most reliable method adopted by the Sahaaba (RA) to safeguard the Ahaadith was through memory.
PRESERVATION THROUGH ACTION AND PRACTICE
------------------------------------------------------------
This was another reliable means of protecting and safeguarding the Ahaadith. The Sahaaba (RA) used to transform the words of Rasulullah (Sallallaahu Alayhi Wasallam) into action immediately and every Sahaabi used to practice upon the Hadith. This resulted in every word of Rasulullah (Sallallaahu Alayhi Wasallam) becoming a practical action and deed, which was thoroughly remembered and preserved. Therefore, many traditions contact the phrases:
"This is how I saw the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) carry out and perform this."
This practical method was very effective in preserving the Ahaadith. It is continuing upto this day.
WRITING AND RECORDING THE HADITH
---------------------------------------------------
This method was also customary in the prophetic era. This procedure had passed through four stages (phases):
Recording of Ahaadith without any arrangement or sequence Arranging the Ahaadith relating to certain subject (topic) or
subjects into one small book
Accumulating of various Ahaadith into one book.
Compiling Ahaadith and codifying.
The first two types of compiling were extensively practised during the time of the Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) and the Sahaba (RA). The following details will suffice for the Rejectors of Hadith....
THE SAHIFA (COLLECTION OF HADHRAT ALI (Radhiallaahu Ánhu)
-------------------------------------------------------------------------------
Imaam Bukhari (RA) has mentioned in this Sahifa in the chapter of "Ilm" (vol. 1 pg. 21) and he has mentioned it in four places. The narrator Abu
Juhaifa reports that, "I enquired from Hazrat Ali (R.A.), do you possess a book?" He replied: "No, except the Book of Allah or the understanding
granted to a Muslim or what is in this Sahifa." I asked him, "What is in this Sahifa?" He replied, "Orders relating to 'Diyat' (penalty or murder) -
the freeing of prisoners and no Muslim will be killed in lieu of a kaafir." This Sahifa contained orders regarding, murder, compensations, capital
punishments, details of Zakaat and matters relating to non-Muslim citizens in an Islamic State.
KITABUS - SAQAH
------------------------
This collection was personally dictated by the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam). It contained details regarding Zakaat, Ushar etc.
According to some reports it seems as though this was written for the Zakaat collectors. However, the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) left
this world before it was sent to them. This kitaab remained with Hazrat Abu Bakr and Hazrat Umar (R.A.). Eventually Hazrat Umar bin Abdul Aziz memorized
it and thereafter Ibn Shihaab Zohri memorised it.
SAHIFA IBN ABBAS (R.A.)
------------------------------
Ibn Saad (R.A.) mentions in his kitaab "Tabaqaat" that the slave of Ibn Abbas (R.A.) said, "He found a large collection of the kitaabs of Ibn Abbas
equal to a camel-load."
SAHIFA JAABIR IBN ABDULLAH (Radhiallaahu Ánhu)
-------------------------------------------------------------
Imaam Muslim has reported that Hadhrat Jaabir (Radhiallaahu Ánhu) had compiled a book on Hajj. Imaam Bukhari mentioned this is his
Taarikh-e-Kabeer vol. 7 pg. 186) - Hadhrat Qataaqda bin De'aama as-Sodusi had memorised this Sahifa.
SAHIFA SAMURA IBN JUNDOB (Radhiallaahu Ánhu)
-----------------------------------------------------------
Hafiz ibn Hajar (RA) reports that Hadhrat Samoora (Radhiallaahu Ánhu) has narrated a big (volume) chapter from his father. Imaam Muhammad ibn Sireen
(RA) reports that the Kitaab which Hadhrat Samoora (Radhiallaahu Ánhu) has written for his children contains great knowledge.
SAHIFA SAAD IBN UBADA
---------------------------------------
Ibn Saad reports in Tabaqaat that Hadhrat Saad (Radhiallaahu Ánhu) had a collection of Ahaadith.
SAHIFA ABU HURAYRA (Radhiallaahu Ánhu)
-----------------------------------------------------
Imaam Hakim mentions in Mustadrak that once Hadhrat Hassan ibn Umar narrated a Hadith to Hadhrat Abu Hurayra (Radhiallaahu Ánhu). Hadhrat Abu Hurayra
denied the Hadith. Hadhrat Hassan told him, "I have narrated this Hadith from you". He replied, "If I have narrated it, it will definitely be written
down." He had written down all his Hadith in the end.
SAHIFA IBN MAS'OOD
-----------------------------
Hafiz ibn Abdul-Barr (RA) mentions in his Kitaab, Jaame Bayaan nul-Ilm that ibn Mas'ood (Radhiallaahu Ánhu) took out one Kitaab and swore an oath that
it was compiled by him.
SAHIFA AMR IBN HAZAM (Radhiallaahu Ánhu)
---------------------------------------------------
When the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) appointed Hadhrat ibn Hazam (Radhiallaahu Ánhu) as a governor of Najran, he gave him a Sahifa
which was written by Hadhrat Ubayy bin Ka'ab. It contained orders regarding cleanliness, purification, Salaat, Hajj, Umra, Jihaad, etc.
SAHIFA IBN MUBAARAK
-------------------------------
Hadhrat Sa'eed ibn Hilaal says, "When we frequented Hadhrat Anas bin Maalik he took out a volume and said, 'I heard these from the Holy Prophet
(Sallallaahu Alayhi Wasallam). I have written it and preserved it.'" (Mustadrak Hakim vol. 3 pg. 54)
There are many other small Sahifas which the holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) sent to the kings; and, other compilations which have been
omitted for the sake of brevity.
THE ERA OF HADHRAT UMAR BIN ABDUL AZIZ
--------------------------------------------------------
Though the writing of the Ahaadith had commenced it was not done in an arranged manner, i.e. it was compiled and codified. Due to the
pre-occupations of the Khulafaa-e-Raashideen with the compilation of the Noble Qurãn and other important matters, it was not possible for them to accomplish this task......
THE COMPILATIONS OF THE SECOND CENTURY
---------------------------------------------------------
Various collections of Hadith are found in this era like Jame Ma'moon bin Raashid, Jame Sufyaan Sowri, As-Sunem of Ibn Juray - Sunan Abul Waleed -
Mu'atta Imam Maalik.
From the above discussion we reach the following conclusion that:
The recording and writing of hadith had began from the time of the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam);
Compiling had began in the time of the Sahaba (R.A.) especially in the time of Hazrat Ali (R.A.);
Hazrat Umar bin Abdul Aziz strived in this matter and a large collection was accumulated during his period;
Many books were compiled in the first century;
The objections and arguments of the Rejectors of hadith are fully answered;
The fitnah of Rejection in hadith is old and detrimental to religion, in fact rejecting the Quran;
The Ahaadith are a complementary and explanation of the Quran;
The safeguarding of the Quran entails the safeguarding of the Hadith. And Allah Ta'ala knows best....
THE FALLACY OF BELIEFS OF HADITH REJECTORS.
-------------------------------------------------------------------------
1.The Holy Prophet's (Sallallaahu Alayhi Wasallam) mission was to deliver the Quran only. Obedience is restricted to the Quran only. Adherence to the
Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) is not binding upon us, nor was it binding upon the Sahaba (RA). Divine Revelation was only in the form of
the Quran. Hence there is no need for the Ahaadith.
2.The Sayings of the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) were binding and obligatory upon the Sahaba (RA) only, not upon us.
3.The teachings of the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) are binding upon the entire Ummah. However, due to the Ahaadith being
unauthentic, we are not obliged to accept them.
RESPONSES.
All these concepts are totally false and rejected. Numerous verses of the Noble Quran, prove that divine revelation besides the Noble Quran, was
revealed to the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam). Missions of the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) as mentioned in the Noble Qurãn
are to teach and explain the Noble Qurãn and its wisdom. If the Ahaadith are rejected, can this object of teaching and explaining the Quran be realised?
Another clear indication towards the authenticity of the Ahaadith is the fact that the Noble Qurãn commands us to show obedience to the Holy Prophet
(Sallallaahu Alayhi Wasallam) together with obedience to Allah. In one verse,4:80 obedience to the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi Wasallam) has
been regarded as the basis of Imaan. Logically, it is not possible to follow the Quranic injunctions without the Ahaadith as the details of many Quranic
injunctions such as Salaat, Zakaat, Haj, etc. are explained in the Ahaadith. The entire Ummah has accepted the authenticity of the Ahaadith in order to
make the divine injunctions practical. Can it be claimed that the entire Ummah is misguided? no!
The fallacy of the second (concept) belief i.e. obedience of the Holy Prophet is binding upon the Sahaba (RA) only,
------------------------
-------------------
it is evident and exposed that needs no further elaboration. This concept implies that the Prophethood of the Holy Prophet (Sallallaahu Alayhi
Wasallam) was restricted only to the period of his companions whereas numerous verses very clearly indicate the opposite. - "O people I am a
prophet to all of you". "We did not send you except to all the people as a giver of glad tidings and as a warner". "We did not send you, except as a
mercy to all the worlds". "Blessed is the one who revealed the Furqaan that he may be a warner to the worlds".
Another question that arises with this concept is: Are the Sahaba who witnessed the revelation of the Noble Qurãn more in need of its explanation
or are the ones that came after them more in need? all need the explanation equally.
The third concept is also false is also totally unacceptable because the Quran has reached us through the same method as the Ahaadith have reached us. If the Ahaadith are
unauthentic, can one declare the Noble Quran unauthentic as well. The divine promise of safe-guarding Noble Qurãn embodies the safeguarding of the
Ahaadith also, because the Ahaadith explain the Quran without which one cannot practise upon the Quran completely. Even the islamic history was
written later ,after bukhari 's writing hadith.many names of the narrators were removed and the history was thus compiled.its the same source.
৭৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{অনেক ধন্যবাদ, পড়লাম। এগুলোর কথা সত্যি আগে জানা ছিলনা। জেনে ভাল লাগল। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে বৈকি!! এইখানে যে হাদীসগুলোর কথা পড়লাম সেখানে সিহাহ সাত্তার মধ্যে শুধু তিরমিজিকে খুঁজে পেলাম। }}}
আবু দাউদ:
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As: I used to write everything which I heard from the Apostle of Allah (peace_be_upon_him). I intended (by it) to memorise it. The Quraysh prohibited me saying: Do you write everything that you hear from him while the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) is a human being: he speaks in anger and pleasure? So I stopped writing, and mentioned it to the Apostle of Allah (peace_be_upon_him). He signalled with his finger to him mouth and said: write, by Him in Whose hand my soul lies, only right comes out from it. (Book #25, Hadith #3639 )
বুখারি:
Narrated Ash-sha'bi: The clerk of Al-Mughira bin Shu'ba narrated, "Muawiya wrote to Al-Mughira bin Shu'ba: write to me something which you have heard from the Prophet (p.b.u.h) ." So Al-Mughira wrote: I heard the Prophet saying, "Allah has hated for you three things: 1. Vain talks, (useless talk) that you talk too much or about others. 2. Wasting of wealth (by extravagance) 3. And asking too many questions (in disputed religious matters) or asking others for something (except in great need). (See Hadith No. 591, Vol. Ill) (Book #24, Hadith #555 )
বুখারি:
Narrated Warrad: (the clerk of Al-Mughira bin Shu'ba) Muawiya wrote to Al-Mughira: "write to me a narration you have heard from Allah's Apostle." So Al-Mughira wrote to him, "I heard him saying the following after each prayer: 'La ilaha illal-lahu wahdahu la sharika lahu, lahu-l-mulk wa lahuI-hamd, wa huwa 'ala kulli Shai-in qadir.' He also used to forbid idle talk, asking too many questions (in religion), wasting money, preventing what should be given, and asking others for something (except in great need), being undutiful to mothers, and burying one's little daughters (alive)." (Book #76, Hadith #480 )
মুসলিম:
It is narrated on the authority of 'Itban b. Malik that he came to Medina and said: Something had gone wrong with my eyesight. I, therefore, sent (a message to the Holy Prophet): Verily it is my ardent desire that you should kindly grace my house with your presence and observe prayer there so, that I should make that corner a place of worship. He said: The Prophet (may peace be upon him) came there, and those amongst the Companions whom Allah willed also accompanied him. He entered (my place) and offered prayer at my residence and his Companions began to talk amongst themselves (and this conversation centered round hypocrites), and then the conspicuous one, Malik b. Dukhshum was made the target and they wished that he (the Holy Prophet) should curse him and he should die or he should meet some calamity. In the meanwhile the Messenger of Allah (may peace and blessings be upon him) completed his prayer and said: Does Malik b. Dukhshum not testify the fact that there is no god but Allah and verily I am the messenger of Allah. They replied: He makes a profession of it (no doubt) but does not do it out of (sincere) heart. He (the Holy Prophet) said: He who testifies that there is no god but Allah and I am the messenger of Allah would not enter Hell or its (flames) would not consume him. Anas said: This hadith impressed me very much and I told my son to write it down. (Book #001, Hadith #0052 )
মুসলিম:
Warrad, the scribe of Mughira b. Shu'ba, reported: Mu'awiya wrote to Mughira: write to me anything which you heard from the Messenger of Allah (may peace be upon him). So he (Mughira) wrote to him (Mu'awiya): I heard the Messenger of Allah (may peace be upon him) uttering (these words) at the completion of prayer:" There is no god but Allah. He is alone and there is no partner with Him. Sovereignty belongs to Him and to Him is praise due and He is Potent over everything. O Allah! no one can withhold what Thou givest, or give what Thou withholdest, and riches cannot avail a wealthy person with Thee." (Book #004, Hadith #1234 )
মুসলিম:
Abu Huraira, (Allah be pleased with him) reported. When Allah, the Exalted and Majestic, granted Allah's Messenger (may peace be upon him) victory over Mecca, he stood before people and praised and extolled Allah and then said: Verily Allah held back the elephants from Mecca and gave the domination of it to His Messenger and believers, and it (this territory) was not violable to anyone before me and it was made violable to me for an hour of a day, and it shall not be violable to anyone after me. So neither molest the game, nor weed out thorns from it. And it is not lawful for anyone to pick up a thing dropped but one who makes public announcement of it. And it a relative of anyone is killed he is entitled to opt for one of two things. Either he should be paid blood-money or he can take life as (a just retribution). 'Abbas (Allah be pleased with him) said: Allah's Messenger, but Idhkhir (a kind of herbage), for we use it for our graves and for our houses, whereupon Allah's Messenger (may peace be upon him) said: With the exception of Idhkhir. A person known as Abu Shah, one of the people of Yemen, stood up and said: Messenger of Allah, (kindly) write it for me. Thereupon Allah's Messenger (may peace be upon him) said I write it for Abu Shah. Walid said: I asked al-Auzai': What did his saying mean:" write it for me, Messenger of Allah"? He said: This very address that he had heard from Allah's Messenger (may peace be upon him). (Book #007, Hadith #3142 )
মুসলিম:
Sha'bi reported that the scribe of al-Mughira b. Shu'ba said: Mu'awiya wrote to Mughira: write for me something which you heard from Allah's Messenger (may peace be upon him) ; and he wrote: I heard Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying. Verily Allah disapproves three thingq for you: irrelevant talk, wasting of wealth and persistent questioning. (Book #018, Hadith #4259 )
আবু দাউদ:
Narrated Umar ibn al-Khattab: AbulBakhtari said: I heard from a man a tradition which I liked. I said to him: write it down for me. So he brought it clearly written to me. (It says): Al-Abbas and Ali entered upon Umar when Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd were with him. They (Abbas and Ali) were disputing. Umar said to Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd: Do you not know that the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) said: All the property of the Prophet (peace_be_upon_him) is sadaqah (alms), except what he provided for his family for their sustenance and their clothing. We are not to be inherited. They said: Yes, indeed. He said: The Apostle of Allah (peace_be_upon_him) used to spend from his property on his family, and give the residue as sadaqah (alms). The Apostle of Allah (peace_be_upon_him) then died, and AbuBakr ruled for two years. He would deal with it in the same manner as the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) did. He then mentioned a little from the tradition of Malik ibn Aws. (Book #19, Hadith #2969 )
আবু দাউদ:
Narrated AbudDarda': The Prophet (peace_be_upon_him) said: If anyone takes land by (paying) its jizyah, he renounces his immigration; and if anyone takes off the disgrace of an unbeliever from his neck he turns away his back from Islam. He (the narrator) said: Thereafter Khalid ibn Ma'dan heard this tradition from me, and he said: Has Shubayb narrated it to you? I said: Yes. He said! When you come to him, ask him to write this tradition to me. He said: He then wrote it for him. When I came, Khalid ibn Ma'dan asked me for the paper and I gave it to him. When he read (the paper), he abandoned the lands he had in his possession the moment he heard this. (Book #19, Hadith #3076 )
১৭ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এখন সিহাহ সাত্তার কিছু হাদীস পেয়ে আলোচনার একটা গ্রাউন্ড পাওয়া গেল। আশা করি যৌক্তিক আলোচনা থেকে দূরে চলে যাবেননা। আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কথা দিচ্ছি আপনার দেয়া তথ্য বা যুক্তিতে কনভিন্সড হলে আমি তা গ্রহণ করতে পিছপা হবনা। তবে আমি সত্যিই এখনো কনভিন্সড হতে পারিনাই। কারণগুলো ব্যাখ্যা করছি।
উপরে দেয়া হাদীসগুলোর মধ্যে শুধু প্রথমটি (আবুদাউদ ২৫/৩৬৩৯) আর আবু হুরায়রারটি (মুসলিম ৭/৩১৪২) থেকে জানা যাচ্ছে যে নবী হাদীস লিখার (অন্তত তাঁর মুখ নিঃসৃত কথা লিখার) অনুমতি দিয়েছেন। বাকী হাদীসগুলোতে সরাসরি নবীর অনুমতি পাওয়া যায়না তাই এগুলো হাদীস লিখার পক্ষের যুক্তি বলে মানতে পারলাম না।
এবার কন্ট্রাডিকশনটা বলি। আমি মুসলিম এর একটা হাদীস পড়েছিলাম (আমি রেফারেন্সের জন্য সত্যি দুঃখিত, আপনি ইনসিস্ট করলে খুঁজে দিতে পারব, তবে এই হাদীস অনেকেই জানে) যেখানে নবী তার সাহাবাদেরকে খেজুর গাছে কলম দেয়া সঙ্ক্রান্ত কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর উপদেশে লাভ তো হয়ইনি বরং ক্ষতি হয়েছিল। তাই নবী দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে আমার এই বিষয়ে জ্ঞান নাই, আমি তোমাদের মতই সাধারণ, শুধু মাত্র ধর্ম বিষয়ে আমার কথা তোমরা সত্য বলে জানবে, আর বাকি সব ব্যাপারে আমি তোমাদের চাইতে ভাল কিছুনা। এবার বলুন, আপনি আপনার দেয়া ১ম হাদীসে বোল্ড করে যে অংশটা দেখিয়েছেন তার সাথে পুরোপুরি সাঙ্ঘর্ষিক হয়ে গেলনা? এর কি কোন সদুত্তর দিতে পারবেন?
আর আবু হুরায়রা বর্ণিত হাদীসটিতে আরেকটা সমস্যা আছে তা কি লক্ষ করেছেন? লেখা পড়া না জানা উম্মী নবী নিজে হাদীস লিখে দিয়েছেন এই কথাটা বিশ্বাস করা কি আপনাদের জন্য ঠিক হচ্ছে? কন্ট্রাডিকটরী হয়ে যাচ্ছেনা? এ থেকেই তো বুঝা যায় কোন একটা হাদীস ভুল। হয় নবী উম্মী ছিলেন এটা ভুল অথবা নবী হাদীস লিখতে বলেছেন এটা ভুল। দুইটাই একই সাথে ঠিকনা। তো আপনি কোনটা গ্রহণ করবেন?
এবার আসি খলিফা মুয়াবিয়া প্রসঙ্গে। প্রথম চার খলিফা হাদীস লিখার সাহস পেলনা নবীর অনুমতি থাকা সত্বেও কিন্তু পরের খলিফা তা লিখতে বললেন? আচ্ছা নাহয় বললেনই, কিন্তু এর পরের সমস্যাটা বলি।
From Ibn Hanbal;
Zayd Ibn Thabit (The Prophet's closest revelation writer) visited the Khalifa Mu'aawiyah and told
him a story about the Prophet. Mu'aawiyah liked the story and ordered someone to write it down. But Zayd said. " the messenger of God ordered us
NEVER to write anything of his hadith,"
এর জবাব কি? এই ঘটনা যে নবীর মৃত্যুর অনেক পরের ঘটনা তা তো পরিষ্কার, কারণ খলিফা মুয়াবিয়ার কথা লিখা আছে, আর আমরা জানি যে নবী বেঁচে থাকার সময় যায়েদ ছিল নাবালক শিশু। তো যায়েদ কেন নবীর অনুমতির কথা জানত না? অথচ এই যায়েদের হাতে সঙ্কলিত কোরানই উসমানের বদৌলতে আমরা পেয়েছি, যদিও কোরানের আরও ভার্সন ছিল যেগুলোতে বর্তমানের চাইতে বেশী সূরা ছিল এবং যার একটার লেখক ছিলেন ইবনে মাসুদ যাকে নবী নিজেই কোরান লিখার অথরিটি দিয়ে গিয়েছিলেন (হাদীস সূত্রে জানা, শুধু ইনসিস্ট করলে লিঙ্ক দেব)। আপনি হয়তো জাবাব দেবেন যে শুধু কোরান লেখকদের জন্যই হাদীস লিখা নিষেধ ছিল সংমিশ্রণের ঝুঁকি এড়াতে। এই যুক্তি দিলে আপনার উপর শ্রদ্ধা হারাব, কেননা এটা ফাঁকি মারা যুক্তি। কারণ,
১) এই ক্ষেত্রে যায়েদ নিজের কাগজে হাদীস লিখছে না বরং মুয়াবিয়ার জন্য লিখে দিচ্ছে তাই এতে মিশ্রণের ঝুঁকি নাই।
২ এছাড়া ঘটনা তেমন হলে যায়েদ সেভাবেই বলত যে মিশ্রণের ভয়ে আমি লিখে দিতে পারছিনা, কিন্তু যায়েদ বলল যে নবী হাদীস লিখতে মানা করেছেন।
৩) মুয়াবিয়ার খিলাফতের আগেই কোরান সুষ্ঠুভাবে সংকলিত হয়ে গিয়েছে তাই সংমিশ্রণের যুক্তি দেয়া খুবই নিচু মানসিকতার লক্ষণ।
আরও সমস্যা আছে সেটা বলিঃ আপনার দেয়া বুখারীর দুই হাদীসে ওয়ারাদ এবং আশ শাবী ছিলেন মুগাইরা বিন সুবার কর্মচারী। তারা একই ঘটনা বুখারীর কাছে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু দেখেন একজনের চাইতে আরেকজন বেশ কিছু বেশী তথ্য দিয়েছেন। এমন আরও অনেক উদাহরণ আছে যেখানে দেখা যায় ভুল তথ্যও চলে আসে। এটাই স্বাভাবিক, এক কথা দশ কান হলে কতটা যে পরিবর্তিত হয়ে যায় তার পরীক্ষা আপনি জিজেই বন্ধুদের সাথে করে দেখতে পারেন। তো এই রকম ঝুঁকিপূর্ণ একটা সোর্সকে কেন আমি এত গুরুত্ব দিয়ে দেখব? আমি বরং এখান থেকে সেই সবই নিব যা সত্যি উপকারী। কিন্তু বাধ্যতামূলক ভাবে নিতেই হবে এমন দাবীর পেছনে সত্যিই আমি কোন যুক্তি পাচ্ছিনা।
১৭ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আর ভাই, আমি কোরানের সাথে হাদীস সংমিশ্রণের বিপরীতে যে যুক্তিগুলো দিয়েছি (কোরানের আয়াত কোরানে না ঢুকে ছাগলের পেটে চলে গিয়েছে আর সেটা এখন কোরানে জায়গা না পেয়ে হাদীসে জায়গা করে নিয়েছে, রবীন্দ্র-নজরুল, ইউনিক কোরান, ওহী/হাদীস এতই খারাপ যে তা কোরানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবার আশংকায় নবী রেগে গিয়েছিলেন, ইত্যাদি...৭৩ নং মন্তব্যের ২য় জবাব টা দেখুন) সেই যুক্তিগুলোর খন্ডন আশা করছি আপনার কাছে, আপনি খন্ডাতে পারলে আমি সত্যি উপকৃত হব। আর না পারলে হাদীস শাস্ত্রের উপর আস্থা আনা কোরানের লঙ্ঘণ বলেই মনে করব। (......তবে এরপর তারা কোন হাদীসে বিশ্বাস করে? কোরান-৭/১৮৫)
৭৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: The Sahabah (raa) of the Prophet صلى الله عليه وسلم use to learn Ahadith by heart. The Prophet صلى الله عليه وسلم said: "May Allah bestow vigour to a person who hears my saying and learns it by heart, then conveys it to others exactly as he hears it." (Tirmidhi)
Abu Hurairah (ra), the famous companion of the Prophet صلى الله عليه وسلم who has reported 5374 Ahadith, says, "I have divided my night into three parts. In one third of the night I perform Salah, in one third I sleep and in one third I memorize the Ahadith of the Prophet صلى الله عليه وسلم." (Sunan Darimi)
উপরের দুটো হাদিস এখান থেকে নেওয়া ।
বুখারির এই হাদিসটার শেষ অংশ দেখুন:
The Prophet further said (to them): "Memorize them (these instructions) and Convey them to the people whom you have left behind." (Book #2, Hadith #50 )
বুখারির আরো একটি হাদিস:
Narrated 'Abdullah bin 'Amr: The Prophet said, "Convey (my teachings) to the people even if it were a single sentence, and tell others the stories of Bani Israel (which have been taught to you), for it is not sinful to do so. And whoever tells a lie on me intentionally, will surely take his place in the (Hell) Fire." (Book #56, Hadith #667 )
এবং বুখারির আরো একটা হাদিস এই লিঙকে গেলে পাবেন, এই হাদিসের একটা কথা হলো এরকম:
So it is incumbent upon those who are present to Convey it (this information) to those who are absent."
এবার একটা মুসলিমের হাদিস দিয়ে এখনকার মতো শেষ করছি:
It is narrated on the authority of Sunabihi that he went to Ubada b. Samit when he was about to die. I burst into tears. Upon this he said to me: Allow me some time (so that I may talk with you). Why do you weep? By Allah, if I am asked to bear witness, I would certainly testify for you (that you are a believer). Should I be asked to intercede, I would certainly intercede for you, and if I have the power, I would certainly do good to you, and then observed: By Allah, never did I hear anything from the Messenger of Allah (may peace be upon him) which could have been a source of benefit to you and then not Conveyed it to you except this single hadith. That I intend to narrate to you today, since I am going to breathe my last. I heard the Messenger of Allah (may peace be upon him) say: He who testifies that there is no god but Allah and that Muhammad is the messenger of Allah, Allah would prohibit the fire of Hell for him. (Book #001, Hadith #0045 )
১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খেজুর গাছ সম্পর্কিত মুসলিমের হাদীসটির রেফারেন্স পেয়েছি। ইবনে মাজাহ তেও আছে।
On a certain occasion, for instance, when his passing remark about the practice of pollination the date trees was misunderstood by some of his companions to mean a binding religious instruction, the prophet clarified thus: "it was just a [personal] opinion. If you fine [my personal opinions] useful, follow them, [otherwise don't], for, I am only a mortal like you, and opinions can be both right and wrong. However, when I tell you that that's how Allah has said [follow it], for I don't misreport anything from Allah" (Ibn Majah, n.d., Vol. 2, 825).
মুসলিম Book 30, Hadith No 5831
Rafi' b. Khadij reported that Allah's Messenger (may peace be upon him) came to Medina and the people had been grafting the trees. He said: What are you doing? They said: We are grafting them, whereupon he said: It may perhaps be good for you if you do not do that, so they abandoned this practice (and the date-palms) began to yield less fruit. They made a mention of it (to the Holy Prophet), whereupon he said: I am a human being, so when I command you about a thing pertaining to religion, do accept it, and when I command you about a thing out of my personal opinion, keep it in mind that I am a human being. 'Ikrima reported that he said something like this.
এবার আপনার দেয়া আবুদাউদ এর বোল্ড করা অংশটুকুঃ
He (Prophet) signalled with his finger to his mouth and said: write, by Him (Allah) in Whose hand my soul lies, only right comes out from it.
এবার আপনি উত্তর দিন কোনটা গ্রহণ করবেন?
এবার আরেকটি হাদীসঃ
Nadar and Utba returned to Mecca and announced to their fellow tribesmen that the rabbis of Yathrib had given them three questions that would determine whether or not Muhammad was indeed the Prophet of Allah. When they reached the Prophet (sa) he listened to the questions in silence and told them he would give them a reply the next day, for he never spoke on religious matters without receiving its knowledge via the Angel Gabriel.
এগুলো থেকে কি বুঝা যায়না যে শুধু ধর্মীয় ব্যাপারেই নবীর হাদীস নেয়া যায়, অন্য ব্যাপারে নয়? কিন্তু আপনারা তো নবী কাশি দিলেও সেটাকে সুন্নাহ বলে নেবার জন্য এক পায়ে খাড়া।
কালেমা সঙ্ক্রান্ত যে হাদীসটি সর্বশেষে দিলেন সেটা যে পরিষ্কার কোরানের লঙ্ঘণ তা কি যাচাই করেও দেখতে ইচ্ছা হয়না? কোরানে বারবার বলা আছে যারা আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে তারা ইহুদী/খ্রীস্টান বা সাবেঈন হোক তাদের কোন ভয় নাই। সুরাহ মাউনে বলা আছে যাদের আশে পাশে এতীম মিসিকিন না খেয়ে থাকে তাদের নামাজ কালাম কিছুই গ্রহণ করা হবেনা। কোরানে বলা আছে বান্দার প্রতিটি কাজের হিসাব নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী বিচার করা হবে। এই রকম আরও অসংখ্য আয়াত আছে কোরানে। আর এই হাদীস অনুযায়ী আমি কালেমা পড়লেই খালাস!! আর যত পাপই করি আমি জান্নাতে যাব!! পাপ করার লাইসেন্স দিয়ে দেয়া হল!! এই হাদীসটা বর্ণনার জন্য দ্বিতীয় খলিফা আবু হুরায়রাকে প্রহার করেছেন পর্যন্ত!! আর আপনি এই হাদীস দিয়ে আমাকে কনভিন্স করতে এসেছেন আমি যাতে হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বাস করি!!! সত্যি সেলুকাস!!
৭৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ এ্যান্টি ভন্ড
বহু সংখ্যক ভয়ঙ্কর এবং লজ্জাকর এবং উদ্ভট/অবৈজ্ঞানিক হাদীসের মধ্য থেকে আপাতত এই ভয়ঙ্করটি দিলাম। ব্যাখ্যা করুনঃ
বুখারী বুক ৫২ হাদীন নং ২৬১
Narrated Anas bin Malik: A group of eight men from the tribe of 'Ukil came to the Prophet and then they found the climate of Medina unsuitable for them. So, they said, "O Allah's Apostle! Provide us with some milk." Allah's Apostle said, "I recommend that you should join the herd of camels." So they went and drank the urine and the milk of the camels (as a medicine) till they became healthy and fat. Then they killed the shepherd and drove away the camels, and they became unbelievers after they were Muslims. When the Prophet was informed by a shouter for help, he sent some men in their pursuit, and before the sun rose high, they were brought, and he had their hands and feet cut off. Then he ordered for nails which were heated and passed over their eyes, and whey were left in the Harra (i.e. rocky land in Medina). They asked for water, and nobody provided them with water till they died (Abu Qilaba, a sub-narrator said, "They committed murder and theft and fought against Allah and His Apostle, and spread evil in the land.")
এর ব্যাখ্যাতে বলবেন যে ওই রাখাল বালকের উপর বেদুঈনরা একই অত্যাচার করেছিল বলে নবী তাদেরকে একই শাস্তি দিয়েছিলেন। ভাই নবীর নামে এই রকম পাশবিকতার কথা বলতে কি একটু বুক কাঁপবেনা? ধরে নিলাম যে হাদীস বাঁচানোর স্বার্থে আপনার বুক কাঁপবেনা। তাহলে আপনার যুক্তিটি আবার খন্ডন করি।
আবু দাউদঃ বুক ৩৮ হাদীস নং ৪৩৫৭
Narrated AbuzZinad: When the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) cut off (the hands and feet of) those who had stolen his camels and he had their eyes put out by fire (heated nails), Allah reprimanded him on that (action), and Allah, the Exalted, revealed: "The punishment of those who wage war against Allah and His Apostle and strive with might and main for mischief through the land is execution or crucifixion."
দেখুন এই পাশবিক আচরণের জন্য আপনারা নবীকে দোষ দেননা কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ নাকি নবীকে তিরষ্কার করেছেন! এবার তাহলে আপনার দেয়া আবু দাউদের সেই বোল্ড করা লাইনটার কথা আবার বলি, যেখানে নবী নিজের মুখের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলেছেন ওখান থেকে শুধু সঠিক কথাই বের হয় আল্লাহর ইচ্ছাতে। তাহলে এই ভুল কথাগুলো কেন বের হয়েছিল তার জবাব কি দিতে পারেন? আর আল্লাহ সময় থাকতে নবীকে সাবধান না করে এই পাষবিক অত্যাচারের পর নবীকে সামান্য তিরষ্কার করলেন মাত্র!! অথচ কোরানেই আল্লাহ বলে দিয়েছেন আল্লাহর কথার বাইরে নবী এক বিন্দুও চলেনা। আপনারা সেই কোরান বর্জন করে হাদীস নিয়ে নাচেন? আরও দিব সামনে অপেক্ষা করুন।
১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হায়রে দয়াল নবী!! যেখানে কোরানেই বলা আছে ক্ষমার চেয়ে মহৎ কিছু নেই সেখানে নবী হয়ে খুন করার সময় তাদেরকে সামান্য পানিও দিতে পারলেনা, অথচ সামান্য পানিই তো চেয়েছিল! সুন্দর ভাবে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে তুমি লোহার শিক দিয়ে চোখ উগরে দিতে পারলে? এতই দয়া তোমার? তোমার এই দয়া দেখে দলে দলে লোকে ইসলাম গ্রহণ করবে।
৭৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{এবার কন্ট্রাডিকশনটা বলি। আমি মুসলিম এর একটা হাদীস পড়েছিলাম (আমি রেফারেন্সের জন্য সত্যি দুঃখিত...}}}
১. আমার খুব জানার ইচ্ছা ছিলো, অন্তত প্রথম হাদিসটা থেকে আপনি কি দ্ব্যর্থহীনভাবে হাদিস লেখার অনুমতি পাচ্ছেন নাকি পাচ্ছেন না? যদি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই দ্ব্যর্থহীন অনুমতির অর্থ কী আপনার কাছে? এবং তারপর বুখারির হাদিস:...it is incumbent upon those who are present to Convey it (this information) to those who are absent." ....এই কথার তাৎপর্য আপনার কাছে কতটুকু?
২. হাদিসগুলো যদি বানানো হতো তাহলে হাদিস পুড়ানোর হাদিস, এবং হাদিস লেখার নিষেধাজ্ঞার হাদিস কোনো হাদিস কালেকশনে থাকতো না-----এই প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য কী?
_________________
কন্ট্রাডিকশন প্রসঙ্গে দুটো পয়েন্ট আপনি তুলে এনেছেন। প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ দিই সেজন্য।
আপনার পয়েন্টগুলো হলো:
১) একহাদিসে বলা হচ্ছে যে রাসুল স.-এর সমুখ থেকে সত্য ছাড়া কিছুই বের হয় না।
অন্য হাদিসে বলা হচ্ছে (রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই), দুনিয়াবী বিষয়ে রাসুল স. অন্যদের চেয়ে বেটার নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে কম বোঝেন।
২) রাসুল সা. ছিলেন উম্মি। সুতরাং যে হাদিসে রাসুল সা. বলছেন, I write it for Abu Shah. তা উম্মি হবার ধারণার সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে।
আপনি বলছেন, এই দুই ক্ষেত্রেই স্পষ্ট কন্ট্রাডিকশন দেখা যাচ্ছে। সুতরাং যে-কোনো একটা রাইট। আর এই যে-কোনো একটা রাইট এই ব্যাপারটাই একটা ঝুকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
১নং পয়েন্টের ক্ষেত্রে আমার ব্যাখ্যা:
১নং হাদিসের ক্ষেত্রেতো একটা হাদিসকে আর একটা হাদিসের ব্যাখ্যা হিসেবেই উপস্থাপন করা যাচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে দুটো হাদিস পরষ্পরের পরিপূরক। "write, by Him in Whose hand my soul lies, only right comes out from it", এই কথা যে কেবল দ্বীনী বিধানগুলোর সাথে স্টৃক্টলি সম্পর্কিত, সেই কথাই খেজুর চাষের হাদিসের মাধ্যমে ব্যাখ্যাত হয়েছে।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনি শাফায়াত সম্পর্কিত কোরানের আয়াতগুলো কি পড়েছেন? কিছু আয়াতে খুব স্পষ্টভাবে লেখা যে সেদিন কারুরই জন্য কারোর শাফায়াত করার ক্ষমতা থাকবে না (২:৪৮, ২:১২৩)
আবার কিছূ আয়াতে আছে আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন, সেদিন সে শাফায়াত করতে পারবে (২:২৫৫, ১০:৩)
এখন আপনি কথিত কন্ট্রাডিকশনের প্রসঙ্গে যা বলেছেন: {{{কন্ট্রাডিকটরী হয়ে যাচ্ছেনা? এ থেকেই তো বুঝা যায় কোন একটা হাদীস ভুল। হয় নবী উম্মী ছিলেন এটা ভুল অথবা নবী হাদীস লিখতে বলেছেন এটা ভুল। দুইটাই একই সাথে ঠিকনা। তো আপনি কোনটা গ্রহণ করবেন?}}}
কোরানের এই কথিত কন্ট্রাডিকশন প্রসঙ্গেও কি একইরকমের কথা বলবেন? নাকি প্রথমেই চেষ্টা করবেন বুঝতে যে এই কন্ট্রাডিকশন কি আসলেই কন্ট্রাডিকশন, নাকি দেখে আপাতদৃষ্টিতে পরষ্পরবিরোধী মনে হচ্ছে?
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনাকে আমি যেইটুকু বুঝি, আপনি দ্বিতীয়টাই করবেন। এবং সেটা শুধু কোরানের ক্ষেত্রেই না, হাদিসের ক্ষেত্রেও।
শাফায়াতকেন্দ্রিক কন্ট্রাডিকশন ইজিলি দূর হয়ে যায়, যদি ৪০:১৮ সামনে রাখেন, যেখানে বলা হয়েছে: For the wrongdoers there will be no devoted friend and no intercessor [who is] obeyed.
অর্থাৎ, ২:৪৮, ২:১২৩ এবং এইরকমের আয়াতগুলো আসলে wrongdoers -দের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে।
ব্যস, কোনো কন্ট্রাডিকশন থাকলো না।
ঠিক সেইভাবে, রাসুল সা. যখন বলেছেন {{only right comes out from it}}, তখন আপনি যদি চাষ সঙ্ক্রান্ত হাদিসের বক্তব্যটা ব্যাখ্যা হিসেবে সামনে রাখেন, এবং ভাবেন যে {{only right comes out from it}}, এই কথাগুলো বলা হয়েছে দ্বীন সঙ্ক্রান্ত কথাবলীর জন্য, এবং দুনিয়াবী কাজ কারবারের ক্ষেত্রে না, তাহলে কিন্তু এক্ষেত্রেও আর কোনো কন্ট্রাডিকশন অবশিষ্ট থাকে না।
২নং পয়েন্টের ক্ষেত্রে আমার ব্যাখ্যা:
আসলে এই পয়েন্টে ব্যাখ্যা দেবার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। খুব সিম্পল একটা পয়েন্ট সামনে রাখলে আপনি নিজেই বুঝতে পারতেন যে {{I write it for Abu Shah}} এইটা একটা প্রিন্টিং মিস্টেক ছাড়া আর কিছুই না।
খেয়াল করুন, মুসলিমে এই হাদিস দুইবার বর্ণিত হয়েছে।
প্রথমবার এসেছে: {Book #007, Hadith #3142>>{I Write it for Abu Shah }}
দ্বিতীয়বার, ঠিক পরের হাদিসটাতেই: {Book #007, Hadith #3143>>{Write it down for Abu Shah }}
একই হাদিস মুসলিমে ঠিক তার পরেই আর একবার বর্ণিত হয়েছে, এবং সেখানে আছে {{write it down for Abu Shah}}। শুধু তাই না, বুখারিতেও সেইম হাদিস দুইটাই এসেছে, এবং
সেখানে একবার এসেছে {{Write it for Abu Shah }}
এবং দ্বিতীয়বার এসেছে: {{Write that for Abu Shah }}
এবং আরো খেয়াল করুন:
যখন {{Thereupon Allah's Messenger (may peace be upon him) said I Write it for Abu Shah}} এসেছে, তখন
ক. said -এর পরে সেমিকোলন ( নাই। (অথচ অন্য হাদিসগুলোর ক্ষেত্রে said -এর পরে সেমিকোলন (
রয়েছে।)
খ. I-এর পর Write শব্দটা শুরুই হয়েছে বড় হাতের ডাব্লিউ দিয়ে (ইন্টারনেটে {{I Write it for Abu Shah}}) দিয়ে গুগলিং করে দেখেন, সবজায়গাতেই এই অবস্থা।।
গ. {I Write} টেন্সের বিচারে ভুল গঠন হয়।
এইপ্রসঙ্গে আমি খুব সহজ একটা এ্যাজামশন করছি, দেখেন আপনার যুক্তির বিচারে সেটা যায় কি না:
আমি ধরে নিচ্ছি, যেখান থেকে দেখে টাইপ করা হয়েছে, সেই মূল অনুবাদের স্কৃপ্টে said -এর পরে সেমিকোলন ( ছিলো। কিন্তু কলমের কালির বেশি পড়ার কারণেই হোক, আর যেজন্যই হোক, টাইপ যিনি করেছেন, তিনি সেমিকোলন (
-টাকে I-হিসেবে পড়েছেন।
অর্থাৎ, আমার হিসেবে, মূল অনুবাদে {{said:}}-এর পর একটা আদেশই ছিলো অন্যদের জন্য, সেটা হলো: Write it for Abu Shah; এইজন্যই {Write }-এর ডাব্লিউটা বড় হাতের রয়ে গেছে।
সুতরাং আপনারা দুটো কন্ট্রাডিকশনের জবাবই দেওয়া হলো। অনুগ্রহ করে জানাবেন যে এই জবাবগুলো আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হলো কি না।
_________________________________________
আপাতত এই পর্যন্তই। আর একটু সময় করে আপনার অন্য পয়েন্টগুলো দেখছি
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{আমার খুব জানার ইচ্ছা ছিলো, অন্তত প্রথম হাদিসটা থেকে আপনি কি দ্ব্যর্থহীনভাবে হাদিস লেখার অনুমতি পাচ্ছেন নাকি পাচ্ছেন না? যদি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই দ্ব্যর্থহীন অনুমতির অর্থ কী আপনার কাছে? এবং তারপর বুখারির হাদিস:...it is incumbent upon those who are present to Convey it (this information) to those who are absent." ....এই কথার তাৎপর্য আপনার কাছে কতটুকু?}}
আপাত দৃষ্টিতে এটা অনুমতি মনে হচ্ছে তাবে তা দ্ব্যর্থহীনভাবে নয়। কারণ ব্যাখ্যা করছিঃ
আপনি বলেছেন {{"write, by Him in Whose hand my soul lies, only right comes out from it", এই কথা যে কেবল দ্বীনী বিধানগুলোর সাথে স্টৃক্টলি সম্পর্কিত, সেই কথাই খেজুর চাষের হাদিসের মাধ্যমে ব্যাখ্যাত হয়েছে।}} সেই সাথে আপনি সাফায়াত এর আয়াতের উদাহরণ দিয়েছেন।
এর আগের কমেন্টে (৭৭ নং) আমি যে হাদীসটা দিয়েছি সেটা দ্বীনী বিধানের সাথে সম্পর্কিত এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটা তো খেজুর চাষ ছিলনা। ছিল অপরাধীর শাস্তি বিষয়ক। সেখানে নবী ভুল করলেন কিভাবে? তাও যেন তেন ভুল নয়!!
আপনার সাথে কথাগুলো আমার মাথায় থাকবে। আমি যদি কোনদিন হাদিসের অন্তর্ভুক্ত গোঁজামিল বা কন্ট্রাডিকশন বা আপত্তিকর জিনিসগুলোর যৌক্তিক জবাব পাই তাহলে হাদীস লিখার অনুমতি আছে এই কথাগুলো আমার কাছে অর্থবহ হবে। এখন আপনি যে উদাহরণ দিচ্ছেন সেগুলো আমি সত্য বলে মেনে নিব কোন যুক্তিতে? এগুলো যে নবীই বলে গিয়েছেন সেই প্রমাণ কোথায়? এগুলো তো মাত্র কিছু লোকের দাবী যে তা নবী বলে গিয়েছেন। জানি এবার আপনি প্রশ্ন করবেন যে তাহলে কোরানকে সত্য বলে মেনে নিচ্ছি কেন? কোরানও তো একই সোর্স থেকে পেয়েছি। এইখানে আমার জবাব টা মন দিয়ে শুনেন। সোর্সের বিবেচনায় আমি কোরান বিশ্বাস করিনা। আমি নাস্তিক হয়ে গিয়েছিলাম। আবার বিশ্বাস এসেছে সোর্সের জন্য নয়। বরং কোরানের বিষয় বস্তুর জন্য। আমি কোরান পড়ে বুঝেছি এটা সত্য, এতে গোঁজামিল নেই, এটা ভাল কথা বলে, এটা বৈজ্ঞানিক কথা বলে ইত্যাদি। হাদিসের ক্ষেত্রে এই সব কথা বলা যায় না। আমি হাদীস পড়ে দেখি এটা ভুলে ভরা, এতে কন্ট্রাডিকশন আছে, এতে কোরানের বিপরীত কথা লিখা আছে , এতে ভয়ঙ্কর কথা লিখা আছে, লজ্জাকর কথা লিখা আছে, অবৈজ্ঞানিক কথা লিখা আছে ইত্যাদি। তাই হাদীসের মাঝেই যখন কেউ দাবী করে যে নবী হাদীস লিখতে বলে গিয়েছে তা আমি তার কথাতেই বিশ্বাস করব কেন? তখনই করব যখন হাদীসকে আমি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করব আর হাদীসের মাঝের আপত্তিকর জিনিসগুলো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হবে। কে হাদীস রচনা করল বা কিভাবে হাদীস রচিত হল বা কোন পদ্ধতি অনুসরন করল সেটা বিবেচনা করা মূর্খতা বলে মনে হয়। আমি গীতা তে বিশ্বাস করিনা কেন? কারণ সেখানে আবোল তাবোল জিনিস আছে। কারণ এটা নয় যে গীতা হিন্দুদের কাছ থেকে এসেছে। আমি বাইবেল বিশ্বাস করিনা কারন এতে ভুলে ভরা তথ্য আছে, কারণ এটা নয় যে বাইবেল খ্রীস্টান দের কাছ থেকে এসেছে। তামনিভাবেই আমি কোন কিছুর গুনাবলি দিয়েই তার সত্যতা মেনে নিব। কে সেটা বলল বা কে করল সেটা দিয়ে নয়।
দ্বিতীয় কন্ট্রাডিকশনের জবাব গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তবে অন্য অনেক হাদীসের সূত্রে জানা যায় নবী লিখতে পারতেন। সেটা আপাতত আর আলোচনা করলাম না।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{ঠিক সেইভাবে, রাসুল সা. যখন বলেছেন {{only right comes out from it}}, তখন আপনি যদি চাষ সঙ্ক্রান্ত হাদিসের বক্তব্যটা ব্যাখ্যা হিসেবে সামনে রাখেন, এবং ভাবেন যে {{only right comes out from it}}, এই কথাগুলো বলা হয়েছে দ্বীন সঙ্ক্রান্ত কথাবলীর জন্য, এবং দুনিয়াবী কাজ কারবারের ক্ষেত্রে না, তাহলে কিন্তু এক্ষেত্রেও আর কোনো কন্ট্রাডিকশন অবশিষ্ট থাকে না।}}
তাহলে বুঝা গেল দ্বীন সঙ্ক্রান্ত কথাবলীই শুধু লিখার অনুমতি দিয়েছিলেন নবী। কিন্তু হাদীসের বই ঘাঁটলে আমরা বিপরীত চিত্র দেখতে পাই। এদিকে আপনারা আবার সেই দ্বীনের কথা অনেক গুলো মানেন না আবার দ্বীনের বাইরের অনেক কথা মানেন। যেমন ইহুদীরা খালি পায়ে প্রার্থনা করত বলে নবী বলেছেন জুতা পায়ে মুসলিমরা যেন নামাজ পড়ে। (আবারো দুঃখিত রেফারেন্স হাতের কাছে নাই, হাদীসের রেফারেন্স পরে দিচ্ছি)। কই কোন মুসলিম কে দেখলাম না যে জুতা পায়ে নামাজ পড়ে? এদিকে নবী কিভাবে কাপড় পরত সেটা ঠিকই ফলো করেন, কোন হাতে পানি খেত, দাঁড়িয়ে না বসে খেত সেগুলো মানেন। দ্বীনের বাইরে এগুলো লিখারই বা দরকার কি ছিল আর মানারই বা দরকার কি?
৭৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{এবার আসি খলিফা মুয়াবিয়া প্রসঙ্গে। প্রথম চার খলিফা হাদীস লিখার সাহস পেলনা নবীর অনুমতি থাকা সত্বেও কিন্তু পরের খলিফা তা লিখতে বললেন? }}}
THE SAHIFA (COLLECTION OF HADHRAT ALI (Radhiallaahu Ánhu)
-------------------------------------------------------------------------------
Imaam Bukhari (RA) has mentioned in this Sahifa in the chapter of "Ilm" (vol. 1 pg. 21) and he has mentioned it in four places. The narrator Abu Juhaifa reports that, "I enquired from Hazrat Ali (R.A.), do you possess a book?" He replied: "No, except the Book of Allah or the understanding granted to a Muslim or what is in this Sahifa." I asked him, "What is in this Sahifa?" He replied, "Orders relating to 'Diyat' (penalty or murder) -
the freeing of prisoners and no Muslim will be killed in lieu of a kaafir." This Sahifa contained orders regarding, murder, compensations, capital punishments, details of Zakaat and matters relating to non-Muslim citizens in an Islamic State.
একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, কিছু মনে করবেন না। আপনার কি ভুল স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা কাজ করে? আপনার সাথে কথা বলে কিন্তু আমার সেটা মনে হয় নি। কিন্তু দেখছি, আপনাকে ২০০-৩০০ বছরে হাদিস না-লেখার কথাটা যখন ভুল হিসেবে দেখানো হলো, আপনি সেইক্ষেত্রে ভুলটা স্বীকার করেন নি। জাস্ট পরিষ্কার হবার জন্য জিজ্ঞাসা করছি, এই ভুল স্বীকার না করার কারণটা কি এই যে আসলে ভুল হয় নি বলেই আপনি মনে করেন, নাকি কথা বলতে বলতে মিস হয়ে গেছে?
চার খলিফার কেউ হাদিস লেখেন নি বলতে চাচ্ছেন, অথচ হজরত আলী লিখেছেন বলে আমি আপনাকে স্পষ্ট ডকুমেন্ট দেখালাম। এখন আপনাকে যে ভুলটা দেখানো হলো, আপনি কি একটু জানাবেন যে এই তথ্যতে আপনার অন্তত একটা ভুল আমি ভাঙাতে পারলাম কি না?
আমি ইনসিস্ট করছি, কারণ নাহলে আলোচনার অগ্রগতি হলো কিনা বুঝা যাচ্ছে না।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: না ভাই ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা কাজ করেনা আমার। আমি ২০০-৩০০ বছরের ব্যাপারটা আমার দৃষ্টিতে ভুল করিনাই তাই স্বীকার করার প্রশ্ন অবান্তর। বুঝিয়ে বলছি। আপনি ইমাম মালিকের মুয়াত্তার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে হাদীস ২০০ বছর নয় তার অনেক আগেই রচিত হয়েছিল। আমি সেইটা অস্বীকার করিনাই। আমি শুধু বলেছি মুয়াত্তার প্রভাব আমাদের হাদীস শাস্ত্রে কতটুকু? এখন মূল সুন্নী হাদীস বলতে তো সিহাহ সাত্তাকেই বুঝানো হয়। এই সিহাহ সাত্তার রচনাকাল আমি ২০০ বছর পরে বলেই জানি। যদি ভুল জানি তাহলে এইবার ঠিক করে দিয়েন, আমি ভুল স্বীকার করব। যেসব হাদীস নিয়ে আমরা আলোচনা করছি সেগুলোর রচনা ২০০ বছর পরে হয়েছে আমি এটাই বলতে চেয়েছি।
চার খলিফার কেউ হাদীস লিখেনি বলে আমার কথাটা বুঝাতে পারিনি বলে দুঃখিত। আমি বুঝাতে চেয়েছি চার খলিফার কেউ হাদীস সংকলন করেন নাই। আশা করি ভুল বুঝা বুঝির অবসান হয়েছে।
৭৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আমার একটু আগের একটা কমেন্টে
ক. said -এর পরে সেমিকোলন ( নাই। (অথচ অন্য হাদিসগুলোর ক্ষেত্রে said -এর পরে সেমিকোলন (
রয়েছে।)
এইরকম এসেছে। অর্থাৎ যতবার সেমিকোলন ( : ) লিখতে চেয়েছি, ততবারই ( এইরকম হয়ে গিয়েছে। আশা করি বুঝে নেবেন।
৭৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০০
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আপনি মুসনাদ থেকে যায়েদ বিন সাবিত-এর একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন, যার শেষ লাইনটা ছিলো, the messenger of God ordered us NEVER to write anything of his hadith. আমার কাছে যেইটা অবাক কাণ্ড মনে হলো, সেটা হলো প্রথম লাইনের সাথে একটা কথা আছে, সেইটা হলো, told him a story about the Prophet.
অর্থাৎ, নবীর ঘটনা প্রচার তিনি করেছেন, কিন্তু মুয়াবিয়া লিখতে চাইতেই যায়েদ বলেছেন যে নবী লিখতে নিষেধ করেছেন।
এর মানে কি এই না যে রাসুল সা. হাদিস প্রচার করতে নিষেধ করেন নি???
শুধূতো এটাই না, এমনকী যেই হাদিসে কোরান ছাড়া অন্যকিছু লিখতে নিষেধ করা হয়েছে, সেই হাদিসেও রাসুল সা. বলছেন: narrate from me, for there is nothing wrong with that.
It was narrated from Abu Sa'eed al-Khudri that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: "Do not write anything from me; whoever has written anything from me other than the Qur'aan, let him erase it and narrate from me, for there is nothing wrong with that." (Narrated by Muslim, al-Zuhd wa'l-Raqaa'iq, 5326)
যায়েদ কেন লিখতে চান নি, সেইটার একটা জবাবতো এই হতে পারে যে রাসুল সা. যে পরে হাদিস লেখার অনুমতি দিয়েছেন, সেইটা তিনি না-ও জানতে পারেন; কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি, আমি আগ্রহী এই বিষয়টা নিয়ে যে লিখতে নিষেধ করলেন, কিন্তু প্রচার করতে নিষেধ করলেন না, এর অর্থ কী??? আপনারা কি এই প্রশ্ন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন?
এই হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন: narrate from me, for there is nothing wrong with that.
আর এক হাদিসে তিনি বলেছেন: Memorize them (these instructions) and Convey them to the people whom you have left behind
আর এক হাদিসে বলছেন: So it is incumbent upon those who are present to Convey it (this information) to those who are absent."
এইটার কারণটা কী?
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{যায়েদ কেন লিখতে চান নি, সেইটার একটা জবাবতো এই হতে পারে যে রাসুল সা. যে পরে হাদিস লেখার অনুমতি দিয়েছেন, সেইটা তিনি না-ও জানতে পারেন}}
এটাই খুব অস্বাভাবিক যে হাদীস লিখার অনুমতির বিষয়টা চার খলিফা, যায়েদ, ইমাম মালিক ছাড়া বাকি তিন ইমাম (মাযহাবের) কেউ জানতে পারলনা। অথচ এই ইমামেরা একেকজন হাদীসে পন্ডিত ছিলেন। আর খোলাফায়ে রাশেদীনেরা ছিলেন নবীর নিত্যসঙ্গী। এই খলিফারা যদি নবীর এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা না জেনে থাকেন তাহলে নবী সহ চারজনকেই চরম দায়িত্বহীন বলে আখ্যায়িত করা যায় (আল্লাহ মাফ করুন)।
{{কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি, আমি আগ্রহী এই বিষয়টা নিয়ে যে লিখতে নিষেধ করলেন, কিন্তু প্রচার করতে নিষেধ করলেন না, এর অর্থ কী??? আপনারা কি এই প্রশ্ন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন?}}
জ্বী ভাই চিন্তা করেছি। আপনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, অনেক কিছু শিখেছি সেজন্য ধন্যবাদ।
হাদীস লিখতে না করেছেন কিন্তু প্রচার করতে না করেন নাই এটা অস্বাভাবিক। আপনাদের যুক্তি হাদীস কোরানের সাথে মিশে যাবার ভয়ে নবী হাদীস লিখতে না করেছিলেন। কিন্তু সেই আপনাদের হাদীস সূত্রেই জানা যায় যে পরে নবী আবার হাদীস লিখার অনুমতি দিয়েছেন যখনও কিনা কোরান সংকলন হয়নি অর্থাৎ তখনো মিশ্রণের ভয় ছিল। কিন্তু কোরান সংকলন না হবার পরেও কেন নবী সেই ভয় থেক মুক্ত হয়ে গেলেন আর কেন হাদীস লিখার পুণরায় অনুমতি দিলেন তার কোন ব্যাখ্যা নাই (এতে করে আপনাদের মিশ্রণের যুক্তি অর্থহীন হয়ে যায়)। সেই অনুমতির খবর কেন গুরুত্বপূর্ণ লোকে জানতে পারলনা সেটাও এক বিষ্ময়। এই সকল তথ্য হাদীস থেকে প্রাপ্ত। এতে বুঝা যায় হাদীসের দূর্বলতা। দ্বিমুখী কথাবার্তার কোন অভাব এইখানে নাই। বাইবেল পড়েন একই অনুভূতি পাবে। কোথাও বলে এই কথা আবার অন্য কোথাও বলে ভিন্ন কথা। আমরা এই প্রশ্নগুলো করি (হাদীস লিখতে নবী নিষেধ করেছেন) মানে এই না যে এই হাদীসগুলো আমরা বিশ্বাস করি। এটা শুধু এ জন্যই বলা যে হাদীস শাস্ত্র এতই দূর্বল যে হাদীস দিয়েই হাদীসকে ঘায়েল করা যায়। এই শাস্ত্রটাই ইনকন্সিস্টেন্ট।
৮০| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: চোরের হাত কাটা সঙ্ক্রান্ত কোরানের আয়াত দেখি চলুনঃ
(৫/৩৮-৩৯)যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়। অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
অর্থাৎ তওবা করে সংশোধিত হলে তার জন্য ক্ষমা আছে। এবার চলুন একটু হাদীস ঘুরে আসি।
আবু দাউদ, বুক ৩৮ হাদীস ৪৩৬৭
Narrated AbuUmayyah al-Makhzumi: A thief who had accepted (having committed theft) was brought to the Prophet (peace_be_upon_him), but no good were found with him. The Apostle of Allah (peace_be_upon_him), said to him: I do not think you have stolen. He said: Yes, I have. He repeated it twice or thrice. So he gave orders. His hand was cut off and he was then brought to him. He said: Ask Allah's pardon and turn to Him in repentance. He said: I ask Allah's pardon and turn to Him in repentance. He (the Prophet) then said: O Allah, accept his repentance.
হাত টাত কাটার পরে আবার রিপেন্টেন্সের কথা বলা হচ্ছে!! উপরের লিঙ্কের ৪৩৬৬ নং হাদীসটা দেখুন।
Narrated Wa'il ibn Hujr: When a woman went out in the time of the Prophet (peace_be_upon_him) for prayer, a man attacked her and overpowered (raped) her. She shouted and he went off, and when a man came by, she said: That (man) did such and such to me. And when a company of the Emigrants came by, she said: That man did such and such to me. They went and seized the man whom they thought had had intercourse with her and brought him to her. She said: Yes, this is he. Then they brought him to the Apostle of Allah (peace_be_upon_him). When he (the Prophet) was about to pass sentence, the man who (actually) had assaulted her stood up and said: Apostle of Allah, I am the man who did it to her. He (the Prophet) said to her: Go away, for Allah has forgiven you. But he told the man some good words (AbuDawud said: meaning the man who was seized), and of the man who had had intercourse with her, he said: Stone him to death. He also said: He has repented to such an extent that if the people of Medina had repented similarly, it would have been accepted from them.
হায়রে! এমন রিপেন্ট করল যে তা মদীনাবাসীরা করলে তারা নাকি এক্সেপ্ট করে নিত, কিন্তু নবী আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করে তাঁকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করল!!
৮১| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৯
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আপনি হয়তো জাবাব দেবেন যে শুধু কোরান লেখকদের জন্যই হাদীস লিখা নিষেধ ছিল সংমিশ্রণের ঝুঁকি এড়াতে। এই যুক্তি দিলে আপনার উপর শ্রদ্ধা হারাব, কেননা এটা ফাঁকি মারা যুক্তি। কারণ,
১) এই ক্ষেত্রে যায়েদ নিজের কাগজে হাদীস লিখছে না বরং মুয়াবিয়ার জন্য লিখে দিচ্ছে তাই এতে মিশ্রণের ঝুঁকি নাই।
২ এছাড়া ঘটনা তেমন হলে যায়েদ সেভাবেই বলত যে মিশ্রণের ভয়ে আমি লিখে দিতে পারছিনা, কিন্তু যায়েদ বলল যে নবী হাদীস লিখতে মানা করেছেন।
৩) মুয়াবিয়ার খিলাফতের আগেই কোরান সুষ্ঠুভাবে সংকলিত হয়ে গিয়েছে তাই সংমিশ্রণের যুক্তি দেয়া খুবই নিচু মানসিকতার লক্ষণ।}}}
না, আমি অবশ্যই এই জবাব দেবো না। সংমিশ্রণের ব্যাখ্যাটা কিন্তু রাসুল সা.-এর একটা হাদিস থেকেই এসেছে:
রাসুল সঃ যে চাননি যে কোরানের সাথে মিশ খেয়ে নতুন কোনো এক কিতাব তৈরি হোক' তা তার ভাসার মাধ্যমেই বুঝা গেছে:
أكتاب مع كتاب الله ! إمحضوا كتاب الله وأخلصوه
আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশাইয়া আর একখানা কিতাব লিখিত হইতেছে কি? এইরূপ লেখার নিয়ম তোমরা ত্যাগ করো। কেবল আল্লাহর কিতাব খালিসভাবে লিপিবদ্ধ করো।
সুতরাং সংমিশ্রণের যুক্তি কিন্তু সাধারণ আলেমরা এমনিতেই চিন্তা করেন নি। কিন্তু আপনি আমাকে বলেন তো যায়েদ লিখতে অস্বীকার করলেন, কিন্তু হাদিসটা প্রচারটা ঠিকই করলেন এর মানে কী?
এবং আপনাদের কাছে কেন হাদিস লিখিত হওয়া নিয়ে যত আপত্তি, হাদিস প্রচার হওয়া নিয়ে তত আপত্তি নেই? অনুগ্রহ করে জবাবটা দেবেন।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{এবং আপনাদের কাছে কেন হাদিস লিখিত হওয়া নিয়ে যত আপত্তি, হাদিস প্রচার হওয়া নিয়ে তত আপত্তি নেই? অনুগ্রহ করে জবাবটা দেবেন। }}
জবাবটা আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরে দিয়েছি (৮১ নং)
{{রাসুল সঃ যে চাননি যে কোরানের সাথে মিশ খেয়ে নতুন কোনো এক কিতাব তৈরি হোক' তা তার ভাসার মাধ্যমেই বুঝা গেছে:}}
তিনি চাননি নতুন কিতাব তৈরী হোক। পরে তিনি আবার চাইলেন কেন? (যেহেতু অনুমতি দিয়েছেন) তখনো তো কোরান সংকলিত হয়নি। এর ব্যাখ্যা কি তিনি দিয়েছেন? এমন দ্বিমুখী আচরণের মানে কি?
৮২| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৭
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: ৭৩ নং মন্তব্যের আপনার ২য় জবাবে উপস্থাপিত যুক্তির খণ্ডন:
আপনার এই ২য় জবাবটার আসল পয়েন্ট ৩টা (যদি পয়েন্টআউট করতে ভুল করি, জানাবেন)।
১) নবীর মৃত্যুর আগেই নবী হাদিস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছেন, সুতরাং তার মৃত্যুর পরে খলীফাদের সেটা অজানা থাকার কথা নয়। তবু তারা হাদিস পুড়িয়েছেন, কেন? এবং সেটা কী ইঙ্গিত করে? এবং তাদের আমলে কেন হাদিস লিপিবদ্ধ হয় নি?
২) আমার (এ্যান্টাইভণ্ড) বক্তব্য অনুযায়ী কোরানের বাইরেও ওহি আছে। সেই ওহি যদি কোরানের সাথে মিশে যেত তাহলে এমন কী ক্ষতি হতো? অথচ হাদিসের নাম দিয়ে আমরা সেগুলো পালন করে চলেছি ।
৩) যেখানে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের কবিতার লাইন আঁকি বুকি করে মিশালেও সেটা নিখুঁতভাবে পৃথক করা সম্ভব তাদের কবিতা আগে না পড়েও, সেখানে তাদের রচনার চাইতেও ইউনিক কোরানের সাথে নবির উপস্থিতিতেই (এবং যেখানে সবাই মুখস্থ করে ফেলতো) হাদিসের সংমিশ্রণের যুক্তিটা একেবারেই ঠুনকো।
এত কিছুর পরে হাদীসের সাথে কোরান সংমিশ্রণ হয়ে যাবে এই ভয়ে হাদীস লিখতেই না করে দিলেন নবী? হাদীসকে বাঁচানোর জন্য এমন দূর্বল যুক্তির আশ্রয় নিতে আমার বিবেকে বাঁধে ভাই...
____________________________
এই ছিলো আপনার ৭৩ নং কমেন্টের জবাবে আপনার ২য় কথা। এই প্রসঙ্গে আমার কথা:
////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
১) নবীর মৃত্যুর আগেই নবী হাদিস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছেন, সুতরাং তার মৃত্যুর পরে খলীফাদের সেটা অজানা থাকার কথা নয়। তবু তারা হাদিস পুড়িয়েছেন, কেন? এবং সেটা কী ইঙ্গিত করে? এবং তাদের আমলে কেন হাদিস লিপিবদ্ধ হয় নি?
^^^^^^^^^^^
আপনি কোনো রেফারেন্সই দেননি যে কোন্ খলিফা হাদিস পুড়িয়েছেন। এবং এই তথ্য আপনি কীভাবে জানেন?
হজরত আলির সহিফার কথা তো ইসলামের ইতিহাস পাঠকারী মাত্রেরই জানার কথা। এবং আপনার গোট যুক্তি তো জাস্ট এই একটা কথা দিয়েই খণ্ডিত হয়ে যায়।
এডিশনাল তথ্য হিসেবে বলি:
আবু বকর থেকে, ইমাম আননববীর হিসেবে, ১৪২টা হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
উমার বিন খাত্তাব থেকে কত হাদিস বর্ণিত হয়েছে, সেই হিসেবে আর গেলাম না। শুধু এইটুকু বলি, আপনার ধারণা যদি সত্য হতো, তাহলে আবু বকর থেকে কোনো হাদিসই বর্ণিত হতো না।
////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
২) আমার (এ্যান্টাইভণ্ড) বক্তব্য অনুযায়ী কোরানের বাইরেও ওহি আছে। সেই ওহি যদি কোরানের সাথে মিশে যেত তাহলে এমন কী ক্ষতি হতো? অথচ হাদিসের নাম দিয়ে আমরা সেগুলো পালন করে চলেছি ।
*******************
কোরানের বাইরেও ওহি আছে এটা কিন্তু আমার বক্তব্য না। এটা স্বয়ং কোরানের কথা।
আপাতত আপনাকে একটা আয়াতই দিচ্ছি:
সুরা আনফাল, আয়াত নং-৭
আর যখন আল্লাহ দু’টি দলের একটির ব্যাপারে তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে, সেটি তোমাদের হস্তগত হবে, আর তোমরা কামনা করছিলে যাতে কোন রকম কন্টক নেই, তাই তোমাদের ভাগে আসুক; অথচ আল্লাহ চাইতেন সত্যকে স্বীয় কালামের মাধ্যমে সত্যে পরিণত করতে এবং কাফেরদের মূল কর্তন করে দিতে, …
কোরানের কোনো আয়াতে আল্লাহর এই ওয়াদার কথা প্রকাশিত হয়-নি। কিন্তু আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে…. মানে হলো আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং সেটা কোরানের কোনো আয়াতের মাধ্যমে নয়।
তার মানে কী? তার মানে হলো, কোরান ছাড়াও রাসুল স.-এর কাছে ওহি নাজিল হয়েছিলো।
এর অর্থ হলো কেউ মানুক না মানুক, রাসুল সা.-এর কাছে এমন ওহিও নাজিল হয়েছিলো, যা কোরানে অন্তর্ভুক্ত হয় নি।
এখন আসি আপনার কথায় যে সেই ওহিও তো ওহিই, তাহলে সেইটা কোরানের সাথৈ মিশে গেলে এমন কী ক্ষতি হতো?
ভালো করে পড়বেন।
আমাদের জন্য আসল ওহি হলো কুরআন। কোরানই হলো আমাদের জন্য মূল জীবনবিধান। এই ব্যাপারে কোনো ধরণের কোনো সন্দেহ রাখবেন না। কিন্তু কোরানটা আল্লাহ রাসুল সা.-এর জীবনে বাস্তবায়িত করার মাধ্যমে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন, এবং আমাদেরকে জাস্ট অর্ডার দিয়েছেন রাসুল সা.-কে অনুসরণ করতে (যদি গাইডেড হইতে চাই, আর যদি আল্লাহকে আসলেই ভালোবাসি, এবং যদি আল্লাহর ভালোবাসা, অনুগ্রহ পাইতে চাই)। নিজেরে আপনি সাহাবিদের একজন কল্পনা করলে টের পাবেন যে তখন রাসুল সা. কাশি দিলৈও সেই কাশির পর রাসুল সা. কী দোয়া পড়লেন বা কী করলেন, সেইটাও আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠতো। নামাজ কিংবা জাকাত তো অবশ্যই, কারণ কোরানে সেইটা চরম গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে বলা হয়েছে।
সুতরাং, আমাদের মতো একজন মানুষ, যাকে আল্লাহ নিজে অনুগ্রহ করে আমাদের হেদায়াতের জন্য আদর্শ করে গড়েছেন, সেই মুহম্মদ সা.-এর দৈনন্দিন জীবনযাপনে কোরানের বিধি পালন করতে গিয়ে তিনি কিছু করেছেন (৭:২০৩ অনুসারে অবশ্যই তার সবই ওহি মারফত গাইডেড) তার সবই কিন্তু সাপোর্টিং ছাড়া আর কিছু না।
কোরানের গুরুত্ব আর সুন্নাহর গুরুত্ব কখনোই কিন্তু এক না। সুতরাং সেই ওহি কুরানের সাথে মিশে গেলে রাসুল স.-এরও কোনো ক্ষতি হতো না, কুরানেরও কোনো ক্ষতি হতো না, ক্ষতি হতো আমাদের মতো যথেষ্ট না-বুঝা, এবং কুরান থেকে হাদিস আলাদা করতে না পারা মানুষদের। মানুষ একসময় সাপোর্টিং-কেই মূল কোরান ভেবে বসলে অবাক হবার কিছু ছিলো না।
////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
৩) যেখানে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের কবিতার লাইন আঁকি বুকি করে মিশালেও সেটা নিখুঁতভাবে পৃথক করা সম্ভব তাদের কবিতা আগে না পড়েও, সেখানে তাদের রচনার চাইতেও ইউনিক কোরানের সাথে নবির উপস্থিতিতেই (এবং যেখানে সবাই মুখস্থ করে ফেলতো) হাদিসের সংমিশ্রণের যুক্তিটা একেবারেই ঠুনকো।
এত কিছুর পরে হাদীসের সাথে কোরান সংমিশ্রণ হয়ে যাবে এই ভয়ে হাদীস লিখতেই না করে দিলেন নবী? হাদীসকে বাঁচানোর জন্য এমন দূর্বল যুক্তির আশ্রয় নিতে আমার বিবেকে বাঁধে ভাই...
****************************
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ...এদের কবিতা আগে না পড়েও কীভাবে নিখুঁতভাবে আলাদা করা সম্ভব, সেইটা অবশ্য বুঝি নাই, কিন্তু এইখানে সেইটা নিয়ে বিতর্কেরও অবকাশ নাই। ধরেন আপনার কথাই সত্য। কথা হলো সেইটা কি সবাই পারবে? সবার কি সেই যোগ্যতা আছে? আজকেই কোরানের মত নিখুঁত এবং ইউনিক একটা গ্রন্থ নিয়ে আপনি আপনার বাড়িরই কাউকে বা একজন রিকশাওয়ালাকেই নাহয় পরীক্ষা করে ফেলেন। কিছু আয়াত এবং আরবি কোনো একটা ম্যাগাজিন থেকে কোট করা কিছু কথা একসাথে করে দিয়ে দেখেন তো তারা আলাদা করতে পারে কি না। আপনার বক্তব্যানুসারে যদি এই কথা সত্য হয় যে আগে তাদের কবিতা না পড়েও যদি রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলকে পৃথক করা যায়, তাহলে তাদের রচনার চেয়ে অনেক ইউনিক কোরানকে তো আরো সহজেই পৃথক করা সম্ভব। সম্ভব না?
পারবে না। কেন? কারণ এইখানে যোগ্যতার প্রশ্ন আছে। হ্যা অনেকেই পারবে। এবং রাসুল সা. বা তখনকার অনেক সাহাবাদের পক্ষে তো অবশ্যই সম্ভব ছিলো। কিন্তু আপনি বলেন তো, কোরান কি পৃথিবীর সবসময়ের সব মানুষের জন্যই নাজিল হয়েছিলো না?
আশা করি ৭৩ নং কমেন্টের জবাবে আপনার ২য় কথাবলীর যুক্তিসমূহ যথাযথভাবেই খণ্ডিত করেছি। কিছু বাকি থেকে গেলে অনুগ্রহ করে দেখিয়ে দিলে বাধিত হবো।
৮৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আরও একটা ভয়ঙ্কর হাদীস। একজন নবী হয়ে কেউ এমন নিচ হতে পারে? অপরাধী যদি অনেক খারাপও হয় তবুতো আল্লাহ বলেছেন (কোরানে) তোমাদেরকে কেউ আক্রমণ না করলে তোমরা তাদের ঘাঁটিওনা। নবী কি পারতেননা তাকে সরাসরি যুদ্ধের আহবান করে পরাজিত করতে? অন্ততপক্ষে বিচার করে মৃত্যুদন্ড দিতে? মিথ্যা কথা বলে তার সুযোগ নিয়ে বন্ধু সেজে পিছন দিন দিয়ে আক্রমণ করা যে কাপুরুষতার নমুনা সেটা কি নবী জানতেননা?
বুখারী, বুক ৫৯, হাদীস ৩৬৯
শুধু লিংক দিলাম। কপি পেস্ট আর করলাম না। এই হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়েন।
৮৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অসংখ্য লজ্জাকর হাদীসের মাঝে একটি দিলামঃ
"The Messenger of God ... said, ‘God MARRIED ME IN PARADISE TO MARY THE DAUGHTER OF 'IMRAN and to the wife of Pharaoh and the sister of Moses.’ (Tabarani)" (Ibn Kathir, Qisas al-Anbiya [Cairo: Dar al-Kutub, 1968/1388], p. 381- as cited in Aliah Schleifer's Mary The Blessed Virgin of Islam [Fons Vitae; ISBN: 1887752021; July 1, 1998], p. 64; bold and capital emphasis ours)
বিবি আছিয়া ও মরিয়ম (ভার্জিন মেরি, ঈসা নবীর মা) নাকি বেহেশতে নবী মুহাম্মদের সাথে বিয়ে বসবেন। (বুখারীঃ ৫ম খন্ড ৫ম সংস্করন, আ. হক পৃষ্ঠা ৩৬ ফুটনোট, হামিদিয়া লাইব্রেরী)
সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে !!!!
৮৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{এর আগের কমেন্টে (৭৭ নং) আমি যে হাদীসটা দিয়েছি সেটা দ্বীনী বিধানের সাথে সম্পর্কিত এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটা তো খেজুর চাষ ছিলনা। ছিল অপরাধীর শাস্তি বিষয়ক। সেখানে নবী ভুল করলেন কিভাবে? তাও যেন তেন ভুল নয়!!}}}
৭৭ নং কমেন্টে উল্লিখিত আপনার জন্য ভয়ঙ্কর এবং লজ্জাকর একটি হাদিস (আটজন খুনী বেদুইনকে কঠোর শাস্তিপ্রদান) সম্পর্কিত কথা:
৫:৩৩ অনুসারে
যারা ১) আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে সংগ্রাম করবে, ২) দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হবে, এদের জন্য শাস্তি: ক) হত্যা, খ) শূলীতে চড়ানো, গ) হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে, ঘ) দেশ থেকে বহিষ্কার,
উপরের যে-কোনো একটির সাথে যোগ হবে
ঙ) পরকালে কঠোর শাস্তি।
এবং কোরানের আর একটা আয়াত: ৫:৪৫>>আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।
এখন এই প্রথম আয়াত অনুসারে একজন সাধারণ খুনীর চারটা শাস্তির যে-কোনো একটা শাস্তিই দেওয়া যায়। দ্বিতীয় আয়াতানুসারে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম কিন্তু কোরানিক প্রেসক্রিপশনই। কেউ যদি এই দুটো আয়াতানুসারে কোনো বিচার ফায়সালা করে, সেইটা যতই কিনা আপনার অমানবিক মনে হোক, কোনো কোরানানুসারী তার প্রতিবাদ করতে পারে না।
ঐআটজন খুনী বেদুইন রাখালটিকে যেভাবে খুন করেছিলো (হাত-পা কেটে, তৃষ্ঞার্ত অবস্থায় ফেলে রেখে), কেবল ৫:৪৫ আয়াতানুসারেই তাদেরকে ঠিক সেইভাবে শাস্তি দেওয়াটা কোরানমতেই দোষণীয় বলে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
আপনার কাছৈ ঠিক কোনটাকে পাশবিক মনে হচ্ছে? কোরানকে, নাকি হাদিসকে? হাদিসতো জাস্ট রিপ্রেজেন্ট করেছে রাসুল সা. কোরান মানতে গিয়ে কী কী করেছেন, কীভাবে করেছেন...।
আমার মনে হচ্ছে, আপনার কাছে যদি হাদিসকে পাশবিক এবং অমানবিক মনে হয়, তাহলে কেবল আল্লাহ ওরাসুলের সাথে যুদ্ধ (এইটাকে কোরানের আলৌকে কীভাবে ডিফাইন করবেন?) কিংবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টির অপরাধে বিপরীত দিক থৈকে হাত পা কেটে নেওয়ার আয়াতও আপনার কাছে পাশবাক, অমানবিক, এবং লজ্জাকর মনে হবে। এইপ্রসঙ্গে কোরানের এই আয়াতটা কোন আপনার কাছে পাশবিক মনে হবে না, এবং লজ্জাকর মনে হবে না, এবং সেইজন্য গোটা কুরানটাই কেন আপনার কাছে সন্দেহজনক জয়ে উঠবে না, সেই কথার একটা ব্যাখ্যা চাচ্ছি আপনার কাছৈ, দিবেন কি?
তো আসি এখন আপনার কমেন্টে: {{{এটা তো খেজুর চাষ ছিলনা। ছিল অপরাধীর শাস্তি বিষয়ক। সেখানে নবী ভুল করলেন কিভাবে? তাও যেন তেন ভুল নয়!!}}}
তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন, কোরানানুসারে রাসুল সা. বিন্দুমাত্রও ভুল করেন নি।
কথা হলো, তাহলে আবু দাউদের হাদিসটাতে রাসুল সা.-কে "তিরষ্কার" করা হলো কেন?
ভালো করে হাদিসটা পড়ে দেখেন, "তিরষ্কার" কথাটা নিতান্তই Abu al-Zinad-এর নিজস্ব মত। কোরানের আয়াতটা পড়ে তিরষ্কারের কিছুই খুঁজে পেলাম না।
৮৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আগের কমেন্টটাতে একটা লাইন ভুল এসেছে:
৫:৪৫ আয়াতানুসারেই তাদেরকে ঠিক সেইভাবে শাস্তি দেওয়াটা কোরানমতেই দোষণীয় বলে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
এই লাইনটা হবে:
৫:৪৫ আয়াতানুসারেই তাদেরকে ঠিক সেইভাবে শাস্তি দেওয়াটা কোরানমতেই দোষণীয় নয় বলে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
{{{এর আগের কমেন্টে (৭৭ নং) আমি যে হাদীসটা দিয়েছি সেটা দ্বীনী বিধানের সাথে সম্পর্কিত এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটা তো খেজুর চাষ ছিলনা। ছিল অপরাধীর শাস্তি বিষয়ক। সেখানে নবী ভুল করলেন কিভাবে? তাও যেন তেন ভুল নয়!!}}}
৭৭ নং কমেন্টে উল্লিখিত আপনার জন্য ভয়ঙ্কর এবং লজ্জাকর একটি হাদিস (আটজন খুনী বেদুইনকে কঠোর শাস্তিপ্রদান) সম্পর্কিত কথা:
৫:৩৩ অনুসারে
যারা ১) আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে সংগ্রাম করবে, ২) দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হবে, এদের জন্য শাস্তি: ক) হত্যা, খ) শূলীতে চড়ানো, গ) হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে, ঘ) দেশ থেকে বহিষ্কার,
উপরের যে-কোনো একটির সাথে যোগ হবে
ঙ) পরকালে কঠোর শাস্তি।
এবং কোরানের আর একটা আয়াত: ৫:৪৫>>আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।
এখন এই প্রথম আয়াত অনুসারে একজন সাধারণ খুনীর চারটা শাস্তির যে-কোনো একটা শাস্তিই দেওয়া যায়। দ্বিতীয় আয়াতানুসারে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম কিন্তু কোরানিক প্রেসক্রিপশনই। কেউ যদি এই দুটো আয়াতানুসারে কোনো বিচার ফায়সালা করে, সেইটা যতই কিনা আপনার অমানবিক মনে হোক, কোনো কোরানানুসারী তার প্রতিবাদ করতে পারে না।
ঐআটজন খুনী বেদুইন রাখালটিকে যেভাবে খুন করেছিলো (হাত-পা কেটে, তৃষ্ঞার্ত অবস্থায় ফেলে রেখে), কেবল ৫:৪৫ আয়াতানুসারেই তাদেরকে ঠিক সেইভাবে শাস্তি দেওয়াটা কোরানমতেই দোষণীয় নয় বলে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
আপনার কাছৈ ঠিক কোনটাকে পাশবিক মনে হচ্ছে? কোরানকে, নাকি হাদিসকে? হাদিসতো জাস্ট রিপ্রেজেন্ট করেছে রাসুল সা. কোরান মানতে গিয়ে কী কী করেছেন, কীভাবে করেছেন...।
আমার মনে হচ্ছে, আপনার কাছে যদি হাদিসকে পাশবিক এবং অমানবিক মনে হয়, তাহলে কেবল আল্লাহ ও রাসুলের সাথে যুদ্ধ (এইটাকে কোরানের আলৌকে কীভাবে ডিফাইন করবেন?) কিংবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টির অপরাধে বিপরীত দিক থৈকে হাত পা কেটে নেওয়ার আয়াতও আপনার কাছে পাশবাক, অমানবিক, এবং লজ্জাকর মনে হবে।
তো আসি এখন আপনার কমেন্টে: {{{এটা তো খেজুর চাষ ছিলনা। ছিল অপরাধীর শাস্তি বিষয়ক। সেখানে নবী ভুল করলেন কিভাবে? তাও যেন তেন ভুল নয়!!}}}
তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন, রাসুল সা. বিন্দুমাত্রও ভুল করেন নি।
কথা হলো, তাহলে আবু দাউদের হাদিসটাতে রাসুল সা.-কে "তিরষ্কার" করা হলো কেন?
ভালো করে হাদিসটা পড়ে দেখেন, "তিরষ্কার" কথাটা নিতান্তই Abu al-Zinad-এর নিজস্ব মত। কোরানের
আয়াতটা পড়ে তিরষ্কারের কিছুই খুঁজে পেলাম না।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার জবাবটা অবশ্যই বিচারের দাবী রাখে। এ নিয়ে আমি আরও চিন্তা করব। তবে কিছু প্রশ্ন মনে থেকেই যাচ্ছে।
যেমন ৫/৩৩ অনুযায়ী আল্লাহর সাথে কারও যুদ্ধ করা সম্ভব না। কুফরীকেই আল্লাহর সাথে যুদ্ধ বিবেচনা করা হয়।
এর মানে এই যে এটাতে মূলত সেই সব কাফেরদের (আয়াতের ১ম অংশঃ যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে) কথা বলা হচ্ছে যারা শান্তির পথ বেছে নেয়না ( আয়াতের ২য় অংশঃ দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়), শান্তির পথ বেছে নিলে কাফেরদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে আল্লাহ না করেছেন (২/১৯২-১৯৪)। কাফের হত্যা করার বিধান শুধুমাত্র নবীদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল, অন্য সাধারণের জন্য নয়, এই ব্যাপারে এই পোস্টে ১০ ও ৪০ নং মন্তব্যে আমার জবাব এবং প্রমাণ দেখতে পারেন। আর এইখানে মূলত দেশ দ্রোহীতার কথাও বলা হয়েছে (দেশে হাঙ্গামা), এছাড়া আল্লাহ বলেছেন এক হাত এক পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলতে কিন্তু নবী দুই হাত পাই কেটে ফেলেছিলেন, সেই সাথে চোখ। বর্ণিত হাদীসে এমন কোন আলামত নেই যেটাকে নবীর প্রতি কাফেরদের আক্রমণ বুঝা যায় বা দেশদ্রোহীতা বুঝা যায়। এই অপরাধের জন্য নবী বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে পারেন কিন্তু যে উপায়ে তিনি তা করলেন তা প্রেক্ষাপটের কারণেই ঠিক মনে হচ্ছেনা। বরং এটাই যৌক্তিক মনে হচ্ছে যে কোরান জানা কোন লোক নিজের মত করে একটা হাদীস রচনা করেছে।
৫/৪৫ আয়াতে কোরান নয় তাওরাত গ্রন্থের কথা বলা হয়েছে। এইখানে দেখলাম বাংলা 'অতঃপর' শব্দটা আপনাকে কিছুটা কনফিউজ করেছে (চোরের হাত কাটার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম), আসলে ইংরেজী অনেকগুলো অনুবাদ দেখলাম যেখানে 'বাট' লিখা হয়েছে। ''অতঃপর'' বললে ধারাবাহিক ঘটনা বুঝায় কিন্তু ''বাট'' বললে সেটা ধারাবাহিক হয়না।
এবার দেখুন ট্রান্সলেশনটা
৫:৪৫>>আমি এ গ্রন্থে (তাওরাত) তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। কিন্তু যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।
এই আইনটি আল্লাহ বনী ঈসরাইল এর মানুষের প্রতি দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে চোখের বিনিময়ে চোখ নিয়ে নিলে আর ক্ষমা করার প্রশ্ন আসে কিভাবে? তাই কেউ চাইলে ক্ষমাও করতে পারত অথবা চোখও নিতে পারত। কিন্তু কোরান তাওরাতের চাইতে মডিফাইড ভার্সন। কোরানে এই আইন আর প্রযোজ্য নয়। এখনো এই আইন প্রযোজ্য এমন কোন প্রমাণ কোরানে নেই। কোরানে পূর্বের এমন অনেক কিছুই বলা আছে যা এখন প্রযোজ্য নয়। ব্যাপারটা আরেকটু ব্যাখ্যা করা যায় পিছনের আরেকটি আয়াত দেখে।
৫/৪১> হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এবং যারা ইহুদী; মিথ্যাবলার জন্যে তারা গুপ্তচর বৃত্তি করে। তারা অন্যদলের গুপ্তচর, যারা আপনার কাছে আসেনি। তারা বাক্যকে স্বস্থান থেকে পরিবর্তন করে। তারা বলেঃ যদি তোমরা এ নির্দেশ পাও, তবে কবুল করে নিও এবং যদি এ নির্দেশ না পাও, তবে বিরত থেকো। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান, তার জন্যে আল্লাহর কাছে আপনি কিছু করতে পারবেন না। এরা এমনিই যে, আল্লাহ এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং পরকালে বিরাট শাস্তি।
দেখা যাচ্ছে ইহুদীরা তাওরাতের আয়াত পরিবর্তন করে কোন অংশ গ্রহণ করতে বলত অন্য অংশে নিষেধ করত। এর প্রমাণও আমরা দেখতে পাই এখনকার তাওরাত (ওল্ড টেস্টামেন্ট) গ্রন্থে যেখানে ৫/৩৩ আয়াতের কথাগুলো (চোখের বিনিময়ে চোখ) আছে কিন্তু ক্ষমা করার অংশটা নেই।
আর আপনি বলেছেনঃ {{কথা হলো, তাহলে আবু দাউদের হাদিসটাতে রাসুল সা.-কে "তিরষ্কার" করা হলো কেন?
ভালো করে হাদিসটা পড়ে দেখেন, "তিরষ্কার" কথাটা নিতান্তই Abu al-Zinad-এর নিজস্ব মত। কোরানের
আয়াতটা পড়ে তিরষ্কারের কিছুই খুঁজে পেলাম না। }}
এ থেকেই প্রমাণ হয় হাদীস কতটা অনির্ভরযোগ্য হতে পারে। নবীর নামে রাবী একটা মিথ্যা ঢুকিয়ে দিল। অন্য হাদীসেও যে এভাবে কিছু আসেনি তা নিশ্চিত করে কিভাবে বলবেন?
৮৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: *********************************
আরও একটা ভয়ঙ্কর হাদীস। একজন নবী হয়ে কেউ এমন নিচ হতে পারে? অপরাধী যদি অনেক খারাপও হয় তবুতো আল্লাহ বলেছেন (কোরানে) তোমাদেরকে কেউ আক্রমণ না করলে তোমরা তাদের ঘাঁটিওনা। নবী কি পারতেননা তাকে সরাসরি যুদ্ধের আহবান করে পরাজিত করতে? অন্ততপক্ষে বিচার করে মৃত্যুদন্ড দিতে? মিথ্যা কথা বলে তার সুযোগ নিয়ে বন্ধু সেজে পিছন দিন দিয়ে আক্রমণ করা যে কাপুরুষতার নমুনা সেটা কি নবী জানতেননা?
বুখারী, বুক ৫৯, হাদীস ৩৬৯
শুধু লিংক দিলাম। কপি পেস্ট আর করলাম না। এই হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়েন।
**********************************
কাব বিন আশরাফ হত্যার ব্যাখ্যা:
উইকি থেকে: Ka'b ibn al-Ashraf rode to the Quraish at Mecca, in order to lament the loss at Badr and to incite them to take up arms to regain lost honour, noting the statement of Muhammad: "He (Ka'b) has openly assumed enmity to us and speaks evil of us and he has gone over to the polytheists (who were at war with Muslims) and has made them gather against us for fighting". Some sources suggest that during his visit to Mecca, Ka'b concluded a treaty with Abu Sufyan, stipulating cooperation between the Quraysh and Jews against Muhammad.
স্পষ্টতই, কাব বিন আশরাফ "আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধককারী"দের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এঅবস্থায় কোরানের ৫:৩৩ অনুসারে, কাব বিন আশরাফের জন্য নিম্নের যে-কোনো একটা শাস্তি অবধারিত হয়ে যায়:
ক) হত্যা, খ) শূলীতে চড়ানো, গ) হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে, ঘ) দেশ থেকে বহিষ্কার,
উপরের যে-কোনো একটির সাথে যোগ হবে
ঙ) পরকালে কঠোর শাস্তি।
এখন এই হাদিসটা অনুসারে কাব বিন আশরাফের জন্য হত্যাটাই রাসুল সা. নির্ধারণ করেছেন। আর মিথ্যা বলার অনুমতিটাকে আমার কাছে যুদ্ধাবস্থার ভেতরে একটা সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য স্ট্রাটেজি বলেই মনে হয়েছে।
আপনি যদি কোরানের অনুসারী বলে নিজেকে দাবী না করতেন, তাহলে আলোচনাটা অন্যভাবে করতাম। কিন্তু একজন কোরানানুসারীর সাথে এই আলোচনা করা অনেক সহজ। কারণ যদি প্রমাণ করা যায় যে একজন কেউ আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী, তাহলে কোরানের ৫:৩৩ অনুসারে তার শাস্তিটা যে-কোনোটাই হতে পারে।
একজন কোরানানুসারীর তাতে প্রতিবাদের কোনো কারণ আমি দেখি না।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: উইকির কথাগুলো কতটা সত্য বা নির্ভরযোগ্য আমি জানিনা। আমি সাধ্যমত খোঁজ নিতে চেষ্টা করব। যদি কাব বিন আশরাফ সত্যিই নবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে (আক্রমণকারী কাফের) তাহলে নবীর আচরণ ঠিক আছে। কিন্তু হাদীস সূত্রে এই তথ্য পাওয়া উচিৎ ছিল। এটাই হাদীসের দূর্বলতা।
৮৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: ********************
অসংখ্য লজ্জাকর হাদীসের মাঝে একটি দিলামঃ
"The Messenger of God ... said, ‘God MARRIED ME IN PARADISE TO MARY THE DAUGHTER OF 'IMRAN and to the wife of Pharaoh and the sister of Moses.’ (Tabarani)" (Ibn Kathir, Qisas al-Anbiya [Cairo: Dar al-Kutub, 1968/1388], p. 381- as cited in Aliah Schleifer's Mary The Blessed Virgin of Islam [Fons Vitae; ISBN: 1887752021; July 1, 1998], p. 64; bold and capital emphasis ours)
বিবি আছিয়া ও মরিয়ম (ভার্জিন মেরি, ঈসা নবীর মা) নাকি বেহেশতে নবী মুহাম্মদের সাথে বিয়ে বসবেন। (বুখারীঃ ৫ম খন্ড ৫ম সংস্করন, আ. হক পৃষ্ঠা ৩৬ ফুটনোট, হামিদিয়া লাইব্রেরী)
সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে !!!!
*************************************
মেরি মুহম্মদ সা. বিয়ে সঙ্ক্রান্ত কথা নিয়ে এই লিংকে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পড়ে নেন।
প্রথম কথা হলো:
বুখারির বাংলা অনুবাদে অনুবাদক কী ফুটনোট দিয়েছেন, এইখানে সেইটার কি আসলেই কোনো গুরুত্ব রয়েছে? বুখারির কোনো হাদিস শুধু না, সিহাসিত্তার কোনো হাদিসেই এইজাতীয় কোনো ধরণের কোনো কথা নেই।
দ্বিতীয় কথা হলো:
হাদিসবিশেষজ্ঞরা চেইন অব ন্যারেটর দেখে সন্দেহজনক ন্যারেটর-এর উপস্থিতি দেখে হাদিসটাকে শুদ্ধ হাদিসের কাতারে ফেলেন নি।
কিন্তু আপনি আমাকে বলেন তো, যদি হাদিসটা সবদিক থেকে সহিহও হতো, তাহলে ঠিক কী কারণে আপনার মনে হচ্ছে যে সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানহানি হচ্ছে? এইখানে আপনার লজিকটা ঠিক কী? বেহেশতে যদি মেরির সাথে মুহম্মদ সা.-এর বিয়ে হয়, তাহলে এইখানে কোন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান নিয়ে সমস্যা হচ্ছে? এবং সেটা কেন?
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লিঙ্কের আলোচনা পড়ার পর জবাব দেব।
৮৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১৮
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{কালেমা সঙ্ক্রান্ত যে হাদীসটি সর্বশেষে দিলেন সেটা যে পরিষ্কার কোরানের লঙ্ঘণ তা কি যাচাই করেও দেখতে ইচ্ছা হয়না? কোরানে বারবার বলা আছে যারা আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে তারা ইহুদী/খ্রীস্টান বা সাবেঈন হোক তাদের কোন ভয় নাই। সুরাহ মাউনে বলা আছে যাদের আশে পাশে এতীম মিসিকিন না খেয়ে থাকে তাদের নামাজ কালাম কিছুই গ্রহণ করা হবেনা। কোরানে বলা আছে বান্দার প্রতিটি কাজের হিসাব নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী বিচার করা হবে। এই রকম আরও অসংখ্য আয়াত আছে কোরানে। আর এই হাদীস অনুযায়ী আমি কালেমা পড়লেই খালাস!! আর যত পাপই করি আমি জান্নাতে যাব!! পাপ করার লাইসেন্স দিয়ে দেয়া হল!! এই হাদীসটা বর্ণনার জন্য দ্বিতীয় খলিফা আবু হুরায়রাকে প্রহার করেছেন পর্যন্ত!! আর আপনি এই হাদীস দিয়ে আমাকে কনভিন্স করতে এসেছেন আমি যাতে হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বাস করি!!! সত্যি সেলুকাস!!}}}
*************************************
হাদিসের কথা বাদ দেন। কোরানের ২:২৬২ নং আয়াত দেখেন:
{{{যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।}}}
এই আয়াত থেকে কি আমরা এই সিদ্ধান্ত নেবো যে যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, যেহেতু আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেই দিয়েছেন যে {{তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।}}, সুতরাং তারা আসলে একধরণের পাপ করার লাইসেন্স পেয়ে গেল???
আপনি যদি বলেন যে না আসলে কোরান থেকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অবশ্যই গোটা কুরান মাথায় রাখতে হবে, তাহলে আমাকে বলেন সেই একই কথা কেন আপনি হাদিস সম্পর্কে বলবেন না?
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জবাব সুন্দর হয়েছে। এই কথা স্বীকার করে নিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গোটা কোরান মাথায় রাখলে আর কোহেরেন্টলী চিন্তা করলে কোন কন্ট্রাডিকশন পাওয়া যায় না বা দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়না। হাদীসের ক্ষেত্রে এই কথা বলা যায়না। যেমন কোন হাদীসে আয়েশার বিয়ের সম্য বয়স ৬ ছিল আবার কোন হাদীসে ৭। আবার অন্যান্য হাদীস থেকে প্রমাণ করা যায় ১৪,১৫, ১৮,২০, ২২ ইত্যাদি রকম বয়স ছিল।
গুপী গায়েনের এই পোস্ট দেখেন।
এইটা মাত্র একটা উদাহরণ। এমন আরও অনেক আছে। সেক্ষেত্রে কি হাদীসকে কোরানের সাথে তুলনা করা উচিৎ?
৯০| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{চার খলিফার কেউ হাদীস লিখেনি বলে আমার কথাটা বুঝাতে পারিনি বলে দুঃখিত। আমি বুঝাতে চেয়েছি চার খলিফার কেউ হাদীস সংকলন করেন নাই। আশা করি ভুল বুঝা বুঝির অবসান হয়েছে।}}}
আমি কি আপনাকে বুঝাতে পারি নি?
হজরত আলীর নিজস্ব একটা সহিফা ছিলো, যাতে কিছু বাছাই করা হাদিস তিনি সঙ্কলন করে রেখেছিলেন। সেই বর্ণনা আমি উপরে দিয়ে এসেছি। প্লিজ!!! একটু ভালৌ করে দেখুন।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হযরত আলীর ব্যাপারটা ভুল বলেছি। দুঃখিত। তবে অন্য তিন খলিফা লিখেননি। আলী কতটি হাদীস লিখেছিলেন তা কি বলতে পারেন? শুনেছিলাম অতি অল্প আর সেগুলো দ্বীন বিষয়ক নয় ব্যাবহারিক বিষয়ক খুঁটি নাটি বিষয়, তাও শুধুমাত্র নিজের জন্য, তা তিনি তলোয়ারের খাপে ভরে রাখতেন। বই আকারে প্রচারের উদ্দেশ্যে নয়। এই ব্যাপারে এরেকটু পড়াশুনা করব। আমার এইটুকু জানায় কোন ভুল আছে কি? ভুল না থাকলে আলী কেন দ্বীনের হাদীস (নবী যা লিখতে বলেছেন) না লিখে ব্যবহারিক হাদীস (খুনের শাস্তি, কাফেরদের সাথে আচরণ ইত্যাদি) লিখতে গেলেন তার কি ব্যাখ্যা দিবেন?
৯১| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২০
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আমার একটা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনার জবাব:
{{{জবাবটা আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরে দিয়েছি (৮১ নং)
{{রাসুল সঃ যে চাননি যে কোরানের সাথে মিশ খেয়ে নতুন কোনো এক কিতাব তৈরি হোক' তা তার ভাসার মাধ্যমেই বুঝা গেছে:}}
তিনি চাননি নতুন কিতাব তৈরী হোক। পরে তিনি আবার চাইলেন কেন? (যেহেতু অনুমতি দিয়েছেন) তখনো তো কোরান সংকলিত হয়নি। এর ব্যাখ্যা কি তিনি দিয়েছেন? এমন দ্বিমুখী আচরণের মানে কি? }}}
*******************
এই প্রসঙ্গে আমার কথা:
এইকথাটা আপনি নিজেই সলভ করতে পারতেন, কোরানের দুটো আপাত পরস্পর বিরোধী আয়াতকে যেভাবে একটাকে দিয়ে আরএকটার ব্যাখ্যা হিসেবে গ্রহণযোগ্য ভাবে বা যৌক্তিকভাবে উস্থাপন করার জন্য আয়াতগুলোর দিকে তাকান, ঠিক সেইভাবে যদি হাদিসের দিকেও তাকাতেন।
কোরানের আপাত পরস্পর বিরোধী আয়াতগুলো দেখলে কি আপনার মনে কি বাইবেলের কথা মনে হয়?
আপনার নিজের মন্তব্যটাই পড়েন (৮১ নং কমেন্টের জবাবে):
দ্বিমুখী কথাবার্তার কোন অভাব এইখানে নাই। বাইবেল পড়েন একই অনুভূতি পাবে। কোথাও বলে এই কথা আবার অন্য কোথাও বলে ভিন্ন কথা। আমরা এই প্রশ্নগুলো করি (হাদীস লিখতে নবী নিষেধ করেছেন) মানে এই না যে এই হাদীসগুলো আমরা বিশ্বাস করি। এটা শুধু এ জন্যই বলা যে হাদীস শাস্ত্র এতই দূর্বল যে হাদীস দিয়েই হাদীসকে ঘায়েল করা যায়। এই শাস্ত্রটাই ইনকন্সিস্টেন্ট।
একই কথা কি আপনি কোরান সম্পর্কে বলবেন? কেন বলবেন না?
ধরেন, এই যে {{তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না}}
আপনি কি জানেন এই আয়াতাংশগুলো কোরানে বহুবার রয়েছে? আপনি ইচ্ছে করলেই কিন্তু একটার সাথে আর একটার সংঘর্ষ দেখিয়ে {দ্বিমুখী কথাবার্তা}-এর কথা বলে বাইবেল পড়ার অনুভূতি রিক্যাপ করতে পারেন।
আপনি কি তাই বলে বলবেন যে কোরানটা এতই দূর্বল যে কোরান দিয়েই কোরানকে ঘায়েল করা যায়???
নাকি আপনি সম্পূর্ণ অন্যভাবে চিন্তা করেন। আপনি নিশ্চয়ই আগে দেখেন যে আয়াতগুলো কি আসলেই কন্ট্রাডিক্টরি, নাকি দেখে মনে হচ্ছে কন্ট্রাডিক্টরি; আমি কি ঠিক বলি নি?
এইবার আসেন আমরা দেখাই যে কীভাবে হাদিসের প্রতি ঠিক সেইভাবে তাকিয়ে আমরা এই আপাতকন্ট্রাডিকশন সলভ করতে পারি।
ইমাম নববীর ব্যাখ্যাই এইক্ষেত্রে আমার সলিউশন মনে হচ্ছে:
তিনি বলেছেন:
হাদিস লিখতে প্রথমে নিষেধ করা হয়েছিলো। কুরআন পরিচিত হবার পূর্বে এই নিষেধ ছিলো প্রত্যেকের জন্য। তখন কুরআন ব্যতীত অপর সবকিছুই লিখে রাখতে নিষেধ করা হয়েছিলো কুরআনের সাথে উহার মিশ্রিত হওয়ার ও তদ্দরুণ সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি হওয়ার ভয়ে। পরে যখন কুরআন সর্বজনপরিচিত হয়, এবং এই ভয়ের কারণ থেকে পরিত্রান লাভ হয়, তখন উহা লিখবার অনুমতি দেওয়া হয়। (হাদীস সঙ্কলনের ইতিহাস, মাওলানা আব্দুর রহীম, পৃষ্ঠা-১৬০
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ১ম অংশের জবাব ৯১ নং এ দিয়েছি।
ইমাম নববীর এই ব্যাখ্যা তাঁর নিজস্ব মতামত মাত্র। এর মাঝের ফাঁকটা কয়েকবার বলেছি কিন্তু গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারছেননা। হাদীস এত গুরুত্বপূর্ণ হলে নবীর আমল থেকেই একটা লিখিত হাদীসের ভার্সন পাওয়া উচিৎ ছিল। অন্তত খলিফাদের আমল থেক। যে কাজটা মালিক বুখারীরা করেছেন সেটা খলিফারা করলে কি আরও গ্রহণযোগ্য হতনা? উপরন্তু দেখা যাচ্ছে খলিফারা জানতই না হাদীস লিখার অনুমতির কথা। হযরত আলী কিছু লিখেছেন সেটা অপ্রতুলের চেয়েও কম আর তা সংরক্ষন বা প্রচারের ব্যবস্থা তিনি করেননাই।
খলিফাদের বিষয়ে রেফারেন্স চেয়েছেন কিন্তু খোঁজার সময় পাচ্ছিনা, তবে এগুলো আমার ধারণা খুব দুর্লভ রেফারেন্স নয়। আমি কোথাও পড়েছিলাম, পরে দিয়ে দিব। আপাতত উইকির লিঙ্ক দিলাম। সেখান থেকে যা জানি, খলিফা আবু বকর প্রায় ৫০০ হাদীস লিখেছিলেন কিন্তু পরে নষ্ট করে (পুড়িয়ে) ফেলেন। খলিফা উমর জনগণকে কথা দিয়েছিলেন হাদীস সঙ্কলন করার কিন্তু পরে ১ মাস চিন্তা করে সেই কথা আর রাখেননি কারন তিনি দেখেছিলেন আগের জমানার মানুষ আসমানী কিতাব ভুলে হাদীস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে নিজেদের ধ্বংশ এনেছিল। আর খলিফা উসমান বলেছিলেন যে তিনি হাদীস বর্ণনা করেননা এর কারণ এইনা যে তিনি কম হাদীস জানেন বরং নবীর সম্পর্কে মিথ্যা উক্তি এসে যাবার সম্ভাবনা থাকে যার শাস্তি ভয়ঙ্কর বলেই তিনি বিরত থাকেন। বাস্তবিকই দেখা যায় এমন হাদীসের সংখ্যা খুবই কম যা উসমান কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে বলে দাবী করা হয়।
তাহলে ইমাম নববির কথা মত ধরে নিলাম কোরান সর্বজনপরিচিত হবার পরেই আবু বকর হাদীস লিখেছিলেন। কিন্তু পরে সেটা নষ্ট করলেন কেন? আর উমর লিখতে ইছা প্রকাশ করেও পরে অস্বীকার করলেন কেন? তখন তো কোরান পরিচিত হয়ে গিয়েছিল।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: উপরে ভুল লিঙ্ক এসেছে। [link|http://en.wikipedia.org/wiki/Hadith_of_Umar's_ban_on_hadith|এটা ঠিক।
৯২| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{ইমাম মালিকের মুয়াত্তার নাম কতজন মুসলিম জানে বলতে পারবেন? হাদীস বলতে সবাই বুখারী মুসলিমকেই চিনে। মুয়াত্তার মূল কপি আছে কিনা সেটা নিয়েও তো বিতর্ক আছে শুনেছিলাম। এখন সত্য বা মূল হাদীস বলতে যা বুঝায় সেই সিহাহ সাত্তা তো ২০০-৩০০ বছর পরেই রচিত হয়েছে। তাই আমি এতে ভুল কি বললাম বুঝতে পারলাম না।}}}
ইমাম মালিকের মুয়াত্তার নাম কতজন মুসলিম জানে, সেইটার উপর আসলে কী নির্ভর করে বুঝলাম না। তার নাম না জানলে কি এটা ভুল হয়ে যায় যে ফরমাল হাদিস কালেকশন আসলে অনেক আগের থেকেই হয়েছিলো?
আর মুয়াত্তার মূল কপি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। Austrian National Library, Vienna.-তে মুয়াত্তার প্রাচীনতম ম্যানুস্কৃপ্টটি সংরক্ষিত রয়েছে।
সিহা সিত্তার যে কোনো হাদিসগ্রন্থের চাইতে মুয়াত্তার সহীহ-ত্ব অনেক বেশি। আচ্ছা বলেন তো, তবু কেন মুয়াত্তা সিহা সিত্তার অন্তর্ভুক্ত নয়?
এই প্রশ্নটা আপনার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য করলাম।
মুয়াত্তাকে বলা হয় আল-কুরানের পর পৃথিবীতে সবথেকে নির্ভুল কিতাব।
Abu Bakr ibn al-`Arabi said: "The Muwatta’ is the first foundation and the core, while al-Bukhari’s book is the second foundation in this respect. Upon these two all the rest have built, such as Muslim and al-Tirmidhi."
সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ২০০-৩০০ বছরের কথাটা আসলে শাব্বির-টাইপের হাদিসবিরোধীদের মিথ্যা প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই না।
আপনার এই মন্তব্য: {{আর হাদীস যে নবীর বানী তা শুধু দাবী করা হয় মাত্র, নবীর কোন দায় দায়িত্ব এতে নেই, তার মৃত্যুর ২০০-৩০০ বৎসর পর এগুলোর সংকলন হয়েছে আর এর মাঝে প্রচুর জাল হাদীস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। }}
এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য আশা করছি।
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মুয়াত্তার সংকলনের সাথে বুখারীর সংকলনের সংখ্যা আর কনটেন্টে পার্থক্য আছে। আমি তো অস্বীকার করিনাই যে ফরমাল হাদীস কালেকশন আরও আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু তবু যেটুকু সময় আর বর্ণনাকারী পার হয়েছে তাতে করে ''করিম বিড়াল দেখে ভড়কে গিয়েছিল'' কথাটা ''করিম বাঘ বাঘকে ভড়কে দিয়ে সেটা শিকার করেছিল'' কথাতে রুপান্তরিত হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। যেহেতু তা লিখিত ছিলনা, মৌখিক ছিল। বুখারীদ্র ক্ষেত্রে তো সময়টা বেড়ে দাঁড়ায় ২০০-৩০০ বছর। কোন কথা পরিবর্তিত হয়েছিল কিনা তা জানার কোন উপায়ই নাই। তবে পরিবর্তিত যে হয়েছিল তা হাদীস পড়লেই বুঝা যায় একেক জনের একই বিষয়ে একেক রকম বর্ণনা দেখে। আর জাল হাদীস যে ঢুকেছে সে কথা তো সর্বজন স্বীকৃত।
৯৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: ৮২ নং কমেন্টের জবাবে:
চোরের হাত কাটা সঙ্ক্রান্ত কোরানের আয়াত:
(৫/৩৮-৩৯) যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়। অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
আয়াতটা থেকে আমি খুব স্পষ্টভাবে যেইটা বুঝি তা হলো, সাজাটা হলো হাতকাটা। কিন্তু এটাতো পার্থিব জীবনের কথা হলো। ৫:৩৩ দেখেন, পার্থিব শাস্তির পর আবার পরলৌকিক শাস্তির কথাও আছে। অর্থাৎ, পার্থিব শাস্তটাই শেষ না। আমার কাছে মনে হয়েছে যে "চুরি"-এর ক্ষেত্রে পরলৌকিক শাস্তি থেকে মাফ পেতে হলে তওবা করে সংশোধিত হতে হবে। কিন্তু দুনিয়াবী সাজা অবশ্যই পেতে হবে। অন্তত কোরান থেকে সেই শাস্তি মাফ পাবার কোনো আয়াত আমার চোখে পড়ছে না।
"যে তওবা করে"-এর আগে যে "অতঃপর " আছে, সেটাই প্রমাণ করে যে আমার যুক্তিটাই ঠিক। আপনার যদি আমার যুক্তিটা ভুল মনে হয়, অনুগ্রহ করে জানাবেন।
________________________________________
আবু দাউদ, বুক ৩৮ হাদীস ৪৩৬৭
Narrated AbuUmayyah al-Makhzumi: A thief who had accepted (having committed theft) was brought to the Prophet (peace_be_upon_him), but no good were found with him. The Apostle of Allah (peace_be_upon_him), said to him: I do not think you have stolen. He said: Yes, I have. He repeated it twice or thrice. So he gave orders. His hand was cut off and he was then brought to him. He said: Ask Allah's pardon and turn to Him in repentance. He said: I ask Allah's pardon and turn to Him in repentance. He (the Prophet) then said: O Allah, accept his repentance.
হাত টাত কাটার পরে আবার রিপেন্টেন্সের কথা বলা হচ্ছে!!
অর্থাৎ, রাসুল সা. কোরানের বিধান বাস্তবে এ্যাপ্লাই করে দেখিয়ে দিলেন যে হ্যা, পার্থিব শাস্তিতো নিতেই হবে, তবে পরলৌকিক শাস্তি থেকে যদি মাফ পেতে চায়, তাহলে তাকে তওবা করে সংশোধিত হতে হবে।
_________________________________________
Narrated Wa'il ibn Hujr: When a woman went out in the time of the Prophet (peace_be_upon_him) for prayer, a man attacked her and overpowered (raped) her. She shouted and he went off, and when a man came by, she said: That (man) did such and such to me. And when a company of the Emigrants came by, she said: That man did such and such to me. They went and seized the man whom they thought had had intercourse with her and brought him to her. She said: Yes, this is he. Then they brought him to the Apostle of Allah (peace_be_upon_him). When he (the Prophet) was about to pass sentence, the man who (actually) had assaulted her stood up and said: Apostle of Allah, I am the man who did it to her. He (the Prophet) said to her: Go away, for Allah has forgiven you. But he told the man some good words (AbuDawud said: meaning the man who was seized), and of the man who had had intercourse with her, he said: Stone him to death. He also said: He has repented to such an extent that if the people of Medina had repented similarly, it would have been accepted from them.
{{{হায়রে! এমন রিপেন্ট করল যে তা মদীনাবাসীরা করলে তারা নাকি এক্সেপ্ট করে নিত, কিন্তু নবী আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করে তাঁকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করল!! }}}
কোরানে কি ধর্ষণের কোনো শাস্তির কথা বলা হয়েছে? রাসুল সা. এই শাস্তি এ্যাপ্লাই করে দেখালেন যে, আল্লাহর ওহি অনুসারে ধর্ষণের শাস্তি এভাবেই দিতে হবে।
আর, তওবার কথা নিয়ে আবার বলি। ৫:৩৩ দেখুন, সেখানে বলা আছে পার্থিব জীবনে শাস্তি ভোগ করবার পর আবার পরলৌকিক শাস্তিও ঐ অপরাধীদের ভৌগ করতে হবে। আমি ধারণা করছি, সকল কুকর্ম-এরই এই পরলৌকিক ফল ভোগের ব্যাপার রয়েছে। প্রকৃত তওবা যদি কেউ আসলেই করে, তাহলে সেটা তাকে পরলৌকিক শাস্তি থেকে বাচাতে পারে। পার্থিব থেকে বাচাতে পারে কি না কোরানে সেসম্পর্কে কিছু আমি এখনো পাই নাই।
হঠাৎ করে মাথঅয় একটা ব্যাপার আসলো। আচ্ছা, যদি এমন হতো যে, তওবা করলেই পার্থিব সকল শাস্তি থেকে মাফ পাওয়ার ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিতেন, তাহলে আপনি কি এটা বলতেন না যে, আল্লাহ মনে হয় তওবা করার মাধ্যমে সকল আকাম-কুকাম করার লাইসেন্স দিয়ে দিলেন (!!!)!
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:১১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{{"যে তওবা করে"-এর আগে যে "অতঃপর " আছে, সেটাই প্রমাণ করে যে আমার যুক্তিটাই ঠিক। আপনার যদি আমার যুক্তিটা ভুল মনে হয়, অনুগ্রহ করে জানাবেন।}}}
জ্বী ভুল মনে হচ্ছে। বাংলা অতঃপর শব্দটা ভুল অনুবাদ। এটা ইংরেজীতে BUT হিসেবে আছে। অতঃপর দিয়ে ধারাবাহিক ঘটনা বুঝায়, কিন্তু BUT দিয়ে তা বুঝায় না।
ক্ষমাকে আল্লাহ অনেকবারই উত্তম বলেছেন। সেটা দুনিয়াতেই আমরা করতে সক্ষম। আখিরাতে আমাদের কাউকে ক্ষমা করার দরকার হবেনা।
{{পার্থিব থেকে বাচাতে পারে কি না কোরানে সেসম্পর্কে কিছু আমি এখনো পাই নাই।}}
অতঃপর শব্দের কারণেই মনে হয় আপনার এই ধারণা জন্মেছে। ভুল স্বীকার করে ঈমান আনলে কাফেরদেরকেও ক্ষমা করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ (তওবা না করলে হত্যা), মুশরিকদেরকেও। সূরা তওবা দেখুন। এমন কিছু কোরানে পেলেননা কেন বুঝলাম না।
{{{আচ্ছা, যদি এমন হতো যে, তওবা করলেই পার্থিব সকল শাস্তি থেকে মাফ পাওয়ার ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিতেন, তাহলে আপনি কি এটা বলতেন না যে, আল্লাহ মনে হয় তওবা করার মাধ্যমে সকল আকাম-কুকাম করার লাইসেন্স দিয়ে দিলেন (!!!)! }}}
শরীয়তি যে তওবার কথা আমরা জানি কোরানের তওবা কিছুটা আলাদা। যে সত্যিই তওবা করল সে আসলেই আর পাপ কাজ করবেনা। আল্লাহই অন্তরের খবর জানেন। বারবার পাপ আর বারবার তওবার কথা আল্লাহ কোরানে বলেননাই, তাই আপনার এই প্রশ্নটা খুব একটা সুন্দর হয়নাই।
৯৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:১০
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{তাহলে বুঝা গেল দ্বীন সঙ্ক্রান্ত কথাবলীই শুধু লিখার অনুমতি দিয়েছিলেন নবী। কিন্তু হাদীসের বই ঘাঁটলে আমরা বিপরীত চিত্র দেখতে পাই। এদিকে আপনারা আবার সেই দ্বীনের কথা অনেক গুলো মানেন না আবার দ্বীনের বাইরের অনেক কথা মানেন। যেমন ইহুদীরা খালি পায়ে প্রার্থনা করত বলে নবী বলেছেন জুতা পায়ে মুসলিমরা যেন নামাজ পড়ে। (আবারো দুঃখিত রেফারেন্স হাতের কাছে নাই, হাদীসের রেফারেন্স পরে দিচ্ছি)। কই কোন মুসলিম কে দেখলাম না যে জুতা পায়ে নামাজ পড়ে? এদিকে নবী কিভাবে কাপড় পরত সেটা ঠিকই ফলো করেন, কোন হাতে পানি খেত, দাঁড়িয়ে না বসে খেত সেগুলো মানেন। দ্বীনের বাইরে এগুলো লিখারই বা দরকার কি ছিল আর মানারই বা দরকার কি?}}}
কিছু মনে করবেন না, {{{ইহুদীরা খালি পায়ে প্রার্থনা করত বলে নবী বলেছেন জুতা পায়ে মুসলিমরা যেন নামাজ পড়ে।}}}- আপনার এই কথার কোনো সত্যতা নেই। নবী কখনোই এই কথা বলেন নি।
নবী কীভাবে কাপড় পরতো, কী করতো কী খেত, দাড়িয়ে না বসে.....আপনার ভাষার এ্ই ব্যবহারটা নিয়ে আমি একটু কনফিউজড হচ্ছি। আপনি কি নবীর উপর কোনো কারণে অসন্তুষ্ট? আমরা তো এই ভাষাতে নিজের বাবা-মা-এর কথাও বলি না। আর কোরান অনুসারে রাসুল সা তো মুমিনদের সবার চাইতেই বেশি ঘনিষ্ঠ। আপনি কি এই পর্যায়ে খুব সিরিয়াসলি একটু জানাবেন, নবীর প্রতি আপনার কোনো রাগ আছে কি না।
আর একটা কথা, আল্লাহ যেহেতু বলেছেন যে কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসে, তাহলে সে যেন রাসুল সা.-কে অনুসরণ করে, তাহলে সে আল্লাহর অনুগ্রহ পাবে, গাইডেড হবে ইথ্যাদি, এবং আল্লাহ গোটা কুরানের কোত্থাও বলেননাই যে কোন কোন ক্ষেত্রে নবীকে অনুসরণ না করলেও চলবে, সেহেতু একজন শুধু-কুরানানুসারী হিসেবে আপনাদেরতো এমনকী দুনিয়াবী ক্ষেত্রেও রাসুল সা.-কে অন্ধের মতো অনুসরণ করা উচিত। যারা হাদিস অনুসরণ করে তারা তো জানে যে হ্যা দুনিয়াবী ক্ষেত্রে রাসুল সা.-কে ফলো করার দরকার নেই। কিন্তু আপনারা তো এ্ই হাদিস মানার কথা না। আপনার কেন রাসুল সা.-কে দুনিয়াবী ক্ষেত্রেও মানবেন না? এ্ই ব্যাপারে হাদিস মানা লোকদের চেয়ে শুধু-কুরান মানার কথা যারা বলে, তাদেরই কি অনেক বেশি অগ্রগামী হওয়ার কথা না?
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, {{{ইহুদীরা খালি পায়ে প্রার্থনা করত বলে নবী বলেছেন জুতা পায়ে মুসলিমরা যেন নামাজ পড়ে।}}}- আপনার এই কথার কোনো সত্যতা নেই। নবী কখনোই এই কথা বলেন নি
_________________________________________________
নবী এই কথা বলেন নাই আপনি শিওর? নবী যে এই কথা বলেছেন তা কিন্তু আবু দাউদে আছে। আর ইবনে মাজাহ তেও আছে যে নবী জুতা পড়ে নামাজ পড়েছেন। আপাতত এইখানে দেখুন।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে এরপর আপনি জুতা পায়ে নামাজ পড়বেন নাকি হাদীস লঙ্ঘণ করবেন? নতুন ফতোয়াতে বলে যে পরিষ্কার থাকার জন্য নবী জুতা পরেছেন, এখনকার মসজিত পরিষ্কার তাই আর জুতা পড়ার দরকার নেই। আপনি কি বলেন? পরিষ্কার থাকার জন্য নাকি ইহুদীদের বিপরীত হবার জন্য? নবীতো বিপরীতের কথাই বলেছিলেন। _________________________________________________
{{আপনি কি এই পর্যায়ে খুব সিরিয়াসলি একটু জানাবেন, নবীর প্রতি আপনার কোনো রাগ আছে কি না। }}
না রাগ থাকবে কেন? আমি কি মুসলিম নই? উনার সম্মান সকল মানুষের উপরে। আমার কথাগুলো এভাবে এসেছে হাদীস এর উপর রাগ থেকে। নবীকে অসম্মান করার ধৃষ্ঠতা আমার নাই, আমি করে থাকলে অনুতপ্ত।
________________________________________________
{{আল্লাহ যেহেতু বলেছেন যে কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসে, তাহলে সে যেন রাসুল সা.-কে অনুসরণ করে, তাহলে সে আল্লাহর অনুগ্রহ পাবে, গাইডেড হবে ইথ্যাদি, এবং আল্লাহ গোটা কুরানের কোত্থাও বলেননাই যে কোন কোন ক্ষেত্রে নবীকে অনুসরণ না করলেও চলবে, সেহেতু একজন শুধু-কুরানানুসারী হিসেবে আপনাদেরতো এমনকী দুনিয়াবী ক্ষেত্রেও রাসুল সা.-কে অন্ধের মতো অনুসরণ করা উচিত।}}
এই আয়াতের ব্যাখ্যা আপনি খুবই ভুল হিসেবে নিয়েছেন। একটা ফোরামে আপনার এই সঙ্ক্রান্ত যুক্তিগুলো আমি আপনার দেয়া লিঙ্কে পড়েছি। এর উত্তরটা না হয় পরেই আলোচনা করি? কারণ সেটা দীর্ঘ হতে পারে।
৯৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৫১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{এই সম্পর্কে ড.শাব্বিরের কোন একটা বই এর লিখাগুলো বেশ ভাল ছিল। কোরান যে নিজেই একটা বই, পার্চমেন্টের উপর লিখিত, এগুলো উনি কোরানের আয়াত দিয়েই পরিষ্কার দেখিয়েছেন। আমি ভিন্ন ভিন্ন ট্রান্সলেশন যাচাই করে দেখেছি, কোন সমস্যা পাইনি। যুক্তিগুলো সরাসরি কোরানের আয়াত দিয়ে দেয়া, আপনি পারলে খন্ডন করবেন, আমি খন্ডন করতে চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার কাছে বরং তা গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। আপনি চাইলে বই এর লিংক দিয়ে দেব পরে। আর কোরানের মত মহামূল্যবান একটা জিনিস ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে হাড় গোড় সহ খেজুর পাতা পাথর ইত্যাদির উপর লিখা হয়েছে বলে হাদীসের ভিত্তিতে যে ধারণা সেটা ভাবতেই অবাক লাগে। আশা করি মজার জিনিসটা টাচ করতে পেরেছেন।}}}
অনুগ্রহ করে লিংকটা দেবেন। ড. শাব্বিরকে আপনার জন্য নাহয় আর একটা চেকিং দেবো।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: (2/2)This is a Book whereof there is absolutely no doubt
concerning its authority and authenticity
(80/11-16)Nay, this is an Advisory. So let him pay heed who wills. In Scrolls Dignified. Exalted, Purified. By the hands of scribes. Honorable and virtuous.
(52/2-3)And a well-scored Book it is. Written on fine parchment, unrolled, open for everyone to read, widely published.
[Raqq = Deer skin = Parchment. Right here is the unequivocal negation of many accounts of fabricated Hadith that the Qur’an was written on bones, date-leaves, stones etc. Manshoor = Unfolded, unrolled, available to be seen and read, open to understanding, widely distributed]
এখান থেকে বুঝা যায় সাহাবীরা কোরান লিখেছিলেন পার্চমেন্টের উপর। হাড় গোড় পাথর বা খেজুর পাতায় নয়।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরানের সবচেয়ে পুরানো যে ম্যানুস্ক্রীপ্ট পাওয়া যায় তা পার্চমেন্টে লিখিত। এইখানে দেখুন। অন্যদিকে হাড়গোর পঁচনশীল হলেও পাথর পঁচনশীল নয়। কোন পাথরের খোঁজ পাওয়া যায়নি যেখানে কোরানের আয়াত লিখা আছে। কিন্তু আর্কিওলজি ইতিহাসে এমন অনেক পাথর পাওয়া গিয়েছে যাতে কোরানের চাইতে বহু পুরানো লিখা আছে।
৯৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{যায়েদ কেন লিখতে চান নি, সেইটার একটা জবাবতো এই হতে পারে যে রাসুল সা. যে পরে হাদিস লেখার অনুমতি দিয়েছেন, সেইটা তিনি না-ও জানতে পারেন}}
৮১ নং কমেন্টে উল্লিখিত আমার এই মন্তব্যোংশের জবাবে আপনি বলেছেন:
{{{এটাই খুব অস্বাভাবিক যে হাদীস লিখার অনুমতির বিষয়টা চার খলিফা, যায়েদ, ইমাম মালিক ছাড়া বাকি তিন ইমাম (মাযহাবের) কেউ জানতে পারলনা। অথচ এই ইমামেরা একেকজন হাদীসে পন্ডিত ছিলেন। আর খোলাফায়ে রাশেদীনেরা ছিলেন নবীর নিত্যসঙ্গী। এই খলিফারা যদি নবীর এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা না জেনে থাকেন তাহলে নবী সহ চারজনকেই চরম দায়িত্বহীন বলে আখ্যায়িত করা যায় (আল্লাহ মাফ করুন)।}}}
আমাকে মাফ করবেন, আমি কথাটা বুঝতে পারি নি। চার খলিফা, যায়েদ, ইমাম মালিক ছাড়া বাকি তিন ইমাম (মাযহাবের) সম্পর্কে আমি কি কিছু বলেছি?
আবু বকর, উমার এবং উসমান জানতেন না, বা সেইরকম আন্দাজ করা যায় (যেমন পাওয়া যায় যায়েদের ক্ষেত্রে), এধরণের কোনো হাদিস পাই নাই।
আলির তো নিজস্ব একটা হাদিসের কালেকশনই ছিলো।
চার ইমামের কথা যদি চিন্তা করেনতো শোনেন:
ইমাম আবু হানিফা ষোলজন সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন বলে শুনা যায়। তার নিজস্ব হাদিস কালেকশন ছিলো। সেটার নাম: Kitaab-ul-Aathaar
বইটা এখন পাওয়াও যাচ্ছে। এ্যামাজনের ঠিকানা।
ইমাম শাফিরও একটা নিজস্ব কালেকশন ছিলো। ইমাম শাফির উপরে উইকির প্রবন্ধে লিখেছে: তার ওয়ার্কস:
Musnad ash-Shafi'i (on hadith) - it is available with arrangement, Arabic 'Tartib', by Ahmad ibn Abd ar-Rahman al-Banna
আর ইমাম আহমদ ইবনে হামবলের মুসনাদ তো ব্যাপকভাবেই পরিচিত। বাংলাভাষাতে এই মুসনাদের অনুবাদ বের হয়ে গেছে।
এবার বলেন তো আপনার এ্ই মন্তভ্যের তাহলে আসলে কি কোনো ভিত্তি থাকলো?
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইমামদের সম্পর্কে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করছি। প্রথম তিন খলিফা আর যায়েদের কথায়তো ভুল করিনি। তাহলে সেক্ষেত্রে জবাবটা কি হবে? এখনতো দেখছি হযরত আবু বকর এবং উমর জানতেন যে হাদীস লিখার অনুমতি নবী দিয়েছিলেন। তাহলে কেন একজন লিখেও নষ্ট করে ফেললেন আরেকজন ইচ্ছা প্রকাশ করেও পরে আর লিখলেন না? এত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ না করে তারা কি অন্যায় করেননি? যায়েদের না জানার ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। সে ছিল নতুন প্রজন্ম। তার মানে হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন প্রচলিত ছিলনা। থাকলে এতদিনে অনুমতির কথা সকলেই জেনে যেত আর সকলেই হাদিস লিখে রাখত। দুঃখের বিষয় এত গুরুত্বপূর্ণ অনুমতিটি নবী মাত্র কয়েকজনকে দিয়েছিলেন যারা কিনা অন্য সবার কাছে তা পৌঁছেও দেননি! অথচ তখন নাকি সবার স্মৃতি খুবই ভাল ছিল আর সবাই অনেক বেশী করে হাদীস মুখস্ত করত আর প্রচার করত!
৯৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আপনি যে বললেন একটা মত বহু চেইন থেকে নিয়ে তারপর ক্রস চেকিং করে তাকে সঠিক বলা যায় এই ধারণাটা আমার কাছে কোন যুক্তিতেই সঠিক মনে হয়না। কারণ কোরানের বক্তব্য যেমন অসংখ্য উম্মত একই সাথে জানত, হাদীস তেমন গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটাও সকলে একই ভাবে জানা উচিৎ ছিল। হাদীসের চেইন নেরেটর এর যে সংখ্যা তো গুটি কয়েক মাত্র, অসংখ্য তো নয়ই। }}}
আপনার মন্তব্যের কথাগুলো ভুল। অনুগ্রহ করে নিচের লিংকটা থেকে ঘুরে আসুন। আবার বলছি, হাদিসকে অপছন্দ করেন ভালো কথা, আমার কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু ভুল ধারণা নিয়ে অপছন্দ করা কি উচিত?
Explosive Increase Of Isnad & Its Implications
৯৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{হযরত আলীর ব্যাপারটা ভুল বলেছি। দুঃখিত। তবে অন্য তিন খলিফা লিখেননি। আলী কতটি হাদীস লিখেছিলেন তা কি বলতে পারেন? শুনেছিলাম অতি অল্প আর সেগুলো দ্বীন বিষয়ক নয় ব্যাবহারিক বিষয়ক খুঁটি নাটি বিষয়, তাও শুধুমাত্র নিজের জন্য, তা তিনি তলোয়ারের খাপে ভরে রাখতেন। বই আকারে প্রচারের উদ্দেশ্যে নয়। এই ব্যাপারে এরেকটু পড়াশুনা করব। আমার এইটুকু জানায় কোন ভুল আছে কি? ভুল না থাকলে আলী কেন দ্বীনের হাদীস (নবী যা লিখতে বলেছেন) না লিখে ব্যবহারিক হাদীস (খুনের শাস্তি, কাফেরদের সাথে আচরণ ইত্যাদি) লিখতে গেলেন তার কি ব্যাখ্যা দিবেন? }}}
খুনের শাস্তি, কাফেরদের সাথে আচরণ----এসবকে দ্বীনের হাদিস কেন ভাবছেন না? দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহ যতকিছুর জন্য ওহি নাজিল করেছেন, সবকিছুই দ্বীনের সাথে সম্পর্কিত।
আলির এই হাদিস সংখ্যা কতগুলো, এই সম্পর্কে আমি কিছু পাই নি। আপনি পেলে আমাকে জানাবেন। এই হাদিসগুলো যে প্রচারের উদ্দেশ্যে নয়, সেইটা আপনি কীভাবে জানলেন? বুখারিতে একটা হাদিস আছে যেখানে আলি সেই সহিফার রেফারেন্স দিয়ে মানুষের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন। এবং এই হাদিসটাও দেখবেন।
আর সংখ্যাটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন মনে হচ্ছে?
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খুনের শাস্তি , কাফেরদের সাথে আচরণ এর আলোচনা কোরানেই পরিষ্কার এবং বিস্তারিত দেয়া আছে। এর কোন ব্যাখ্যার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই। কোরানের বাইরে আমি দ্বীন বলতে শুধু ধর্মীয় আচার পালনকেই বুঝাচ্ছি যেটা সুন্নাহ হিসেবে আমরা বংশ পরম্পরায় পেয়েছি। এতে ভুল ধুকার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে কারণ তা একই সাথে অজস্র মানুষ দ্বারা পালিত। কিন্তু হাদীসের ক্ষেত্রে এটা ঠিকনা, দেখা যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাদীস অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেই জানতেননা।
আলীর হাদীসগুলো (লিখিতগুলোর কথা বলছি মৌখিক নয়) প্রচারের উদ্দেশ্যে ছিলনা তা আমি পড়েছিলাম। নিজের তরবারীর খাপে লুকিয়ে রাখতেন। প্রচারের উদ্দেশ্য থাকলে তিনি আরও কপি বানিয়ে বিলি করতে পারতেন।
সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে আলী (রাঃ) নিজেই গুরুত্বপূর্ন বলে মনে হয়েছে এমন হাদীস লিখে রেখেছিলেন। তাই অনেক সংখ্যক হলে হাদীসের গুরুত্ব বুঝা যেত। এই সংখ্যার বাইরের কিছু তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। আবু হুরায়রার ৫ হাজারের বেশী হাদীস বর্ণনা করাটা যে সন্দেহজনক তা বুঝাতেই মূলত এই প্রশ্ন করেছি। আবুর চেয়ে আলী নবীর অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন আর বেশী সময় সাথে ছিলেন।
৯৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{(2/2)This is a Book whereof there is absolutely no doubt
concerning its authority and authenticity
(80/11-16)Nay, this is an Advisory. So let him pay heed who wills. In Scrolls Dignified. Exalted, Purified. By the hands of scribes. Honorable and virtuous.
(52/2-3)And a well-scored Book it is. Written on fine parchment, unrolled, open for everyone to read, widely published.
[Raqq = Deer skin = Parchment. Right here is the unequivocal negation of many accounts of fabricated Hadith that the Qur’an was written on bones, date-leaves, stones etc. Manshoor = Unfolded, unrolled, available to be seen and read, open to understanding, widely distributed]
এখান থেকে বুঝা যায় সাহাবীরা কোরান লিখেছিলেন পার্চমেন্টের উপর। হাড় গোড় পাথর বা খেজুর পাতায় নয়।}}}
৯৭নং কমেন্টে আমার অনুরোধের জবাবে আপনি ড. শাব্বিরের এই ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছেন।
৫২:১ নং আয়াতটা হলো: وَالطُّورِ
ড. শাব্বির এই আয়াতের অনুবাদ করেছেন: Mount Sinai stands witness.
মাইন্ট সিনাইতে হজরত মুসা আ.-এর উপর ওহি নাজিল হয়।
এবার আমাকে বলেন তো ঠিক কোন যুক্তিতে এর পরের আয়াতে লেখা কিতাব কোরানকে মিন করার জন্য হবে?
ড. শাব্বির ৫২:২নং আয়াতে { it is} নিজের থেকে লাগিয়ে কুরানের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
একেবারে স্বাভাবিক চিন্তায় এইখানে কিতাব শব্দটা তাওরাতকে ইঙ্গিত করার কথা। করে নি যে, তার প্রমাণ কী?
কোনো প্রমাণ নেই। হ্যা আল্লাহ যদি কোনো আলাদা ওহি নাজিল করে অথবা অন্য কোনো আয়াতে ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে এই আয়াতে ব্যবহৃত কিতাব অবশ্যই কুরান হবে, সেইটা আলাদা কথা। আপনার কাছে সেইরকম কোনো আয়াত কিংবা ওহির নমুনা আছে?
_____________
(80/11-16)Nay, this is an Advisory. So let him pay heed who wills. In Scrolls Dignified. Exalted, Purified. By the hands of scribes. Honorable and virtuous.
فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
এই আয়াতের অনুবাদে লেখা হয়েছে: In Scrolls Dignified
আপনি আমাকে বলেনতো এইখানে Scrolls লেখার ভিত্তিটা কী? এবং সেইটা দিয়ে কীভাবে প্রমাণ করা সম্ভব যে কুরান আসলে পার্চমেন্টের উপর লিখিত হয়েছিলো, হাড়গোড় বা পাতার উপরে নয়?
_____________
আপনি নিশ্চয়ই আশা করছেন না যে ২:২-তে আল্লাহ বলেছেন যে কুরান কীসের উপর লিখিত...।
অনুরোধ করবো, বিশেষ করে ৮০/১১-১৬ এবং ৫২/১-৩ আয়াতের অনুবাদ অন্যদের সাথে চেক করে নেবেন। ড. শাব্বির একটা বিশেষ চিন্তা মাথায় তৈরি করে নিয়েছেন, তারপর সেইটা কোরানের উপর চাপিয়েছেন। আশা করি বুঝতে পারবেন।
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:১২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার কথাগুলো যদি ঠিকও হয় তবু তো প্রশ্ন আসে যে তাওরাত যেখানে পার্চমেন্টে লিখিত হতে পারল সেখানে কোরান তা পারলনা? হাড় গোড়ের কথা বলে কি কোরানকে অপমান করা হচ্ছেনা? আর এমন তো না যে সেই আমলে লিখন সামগ্রী আবিষ্কৃত হয়নাই। হযরত আবু বকর বা আলি তাহলে কিভাবে হাদীস লিখেছিলেন? স্বাভাবিক যুক্তিতে কোরান পার্চমেন্টে লিখিত ছিল এটাই বুঝা যায়। সিনাই এর সাথে আল্লহ সেখানে কাবা ঘরেরও উপমা দিয়েছেন। আরও দিয়েছেন আকাশ সাগর সহ অন্য অনেক কিছুর। তাই সিনাই এর সাথে মিলিয়ে এটা তাওরাত হতে হবে এমন কোন কথাও নাই। কাবার সাথে মিলিয়ে কোরানও হতে পারে। আল্লাহ শুধু পবিত্র জিনিসগুলোর কসম দিয়েছেন এখানে। কোরান নাজিলের সময় তাওরাত বিকৃত ছিল, তাই সেটার কসম দেওয়াটা অযৌক্তিক। কোরানের ক্ষেত্রে আল্লাহ সবসময়ই যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং পবিত্র বলেছেন, সুরা বাকারাও শুরু করেছেন কোরানের কথা বলেই। তাই বিকৃত ও বাতিল (বাতিল না হলে আমাদেরকে আল্লাহ তাওরাতই দিতেন, মডিফাইড কোরান দিতেন না) গ্রন্থ তাওরাতের কসম করা পুরোটাই অযৌক্তিক। ৮০ নং সুরাতে scrolls এর জায়গাতে scripture page ইত্যাদি অনুবাদ দেখলাম। তো সেগুলো তো পার্চমেন্টের সাথেই বেশী যায়, হাড়গোড়ের সাথে তো যায়না।
১০০| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৯
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{দেখা যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাদীস অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেই জানতেননা।
আলীর হাদীসগুলো (লিখিতগুলোর কথা বলছি মৌখিক নয়) প্রচারের উদ্দেশ্যে ছিলনা তা আমি পড়েছিলাম। নিজের তরবারীর খাপে লুকিয়ে রাখতেন। প্রচারের উদ্দেশ্য থাকলে তিনি আরও কপি বানিয়ে বিলি করতে পারতেন।
সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে আলী (রাঃ) নিজেই গুরুত্বপূর্ন বলে মনে হয়েছে এমন হাদীস লিখে রেখেছিলেন। তাই অনেক সংখ্যক হলে হাদীসের গুরুত্ব বুঝা যেত। এই সংখ্যার বাইরের কিছু তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। আবু হুরায়রার ৫ হাজারের বেশী হাদীস বর্ণনা করাটা যে সন্দেহজনক তা বুঝাতেই মূলত এই প্রশ্ন করেছি। আবুর চেয়ে আলী নবীর অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন আর বেশী সময় সাথে ছিলেন।}}}
১. হাদিস লেখার অনুমতির হাদিস না জানাটা হেদায়াতের জন্য কোনো সমস্যাকর কিছু না।
২. প্রচার করার উদ্দেশ্য মানুষ লেখা ছাড়াও আরো অনেক কিছু করে। যেমন মানুষের সামনে ভাষণ দেয়। বুখারির হাদিসটা আবার রেফার করছি।
৩. হজরত আলি যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন অবশ্যই মনে করেছেন। কিন্তু বাকিগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নি, এই সিদ্ধান্তটা ভুল। আমি তো আমার কথা জানি, সব ফোন নাম্বার আমি লিখি না। যেগুলো মনে আছে, সেসব লিখে রাখার কোনো প্রয়োজন আমি রাখি না। এই না লিখে রাখার ভেতরে আমার জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা ফোন নাম্বার রয়েছে।
৪. আবু হুরায়রাকে নিয়ে আর একদিন কথা বলি। হাদিসবিরোধীদের মিথ্যাকথার ষড়যন্ত্র অনেক গভীরে পৌছে গেছে। আপাতত একটা লিঙক রেফার করছি। কথা বলবো পরে।
৬. আবু হরায়রার হাদিসে যদি আপত্তি থাকে তাহলে হজরত আয়েশার হাদিসে কি আপত্তি আছে? আপনি কি সেগুলো মানেন?
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{১. হাদিস লেখার অনুমতির হাদিস না জানাটা হেদায়াতের জন্য কোনো সমস্যাকর কিছু না।}}
ভাইরে আপনি বুঝতেছেন না কেন? কেন নবী হাদীস লিখতে না করেছিলেন তার যেসব ব্যাখ্যা আপনি বা আপনারা দিচ্ছেন তা সুস্থ নিরপেক্ষ চিন্তাতে আমার কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তো অনেকবার বললামই। আবার পরেই বা কেন আবার অনুমতি দিলেন সেটার ব্যাখ্যা (ইমাম নববী) আরও অস্বাভাবিক লেগেছে। তাই নবী আসলেই হাদীস লিখিত বা মৌখিক ভাবে প্রচার করতে বলেছিলেন কিনা সেটা নিশ্চিৎ হওয়া যাচ্ছে না। হাদীসের বাইরে অন্য সোর্স থেকে জানা গেলেই নিশ্চিৎ হতে পারব। আর নবীকে ফলো কর মানে হাদীস ফলো করা এমন উদ্ভট চিন্তা আমার মাথায় আসবেনা। খলিফাদের সম্পর্কে আরও কিছু লিখা পেলাম। এইখানে দেখেন। এটা পড়েতো মনে হচ্ছে বুখারীকে পেলে হযরত উমর নির্ঘাৎ মৃত্যুদন্ড দিতেন নাহয় কারাবাস দিতেন।
{{প্রচার করার উদ্দেশ্য মানুষ লেখা ছাড়াও আরো অনেক কিছু করে। যেমন মানুষের সামনে ভাষণ দেয়। বুখারির হাদিসটা আবার রেফার করছি।}}
কোরানটাও তাহলে ভাষণ দিয়েই প্রচার করা যেতনা? আল্লাহ কি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে (নাউযুবিল্লাহ) বুঝতে পারেননাই যে মানুষ গ্রন্থ পরিবর্তন করে ফেলবে? সেক্ষেত্রে কোরান সংরক্ষণের ঘোষনা দিলেন কিন্তু হাদীসের ব্যাপারে কিছু বললেন না? হাদীসও সেই আমলে লিখার নির্দেশ আল্লাহই দিয়ে দিতেন আর সংরক্ষণের ঘোষনাও দিয়ে দিতেন।
{{আমি তো আমার কথা জানি, সব ফোন নাম্বার আমি লিখি না। যেগুলো মনে আছে, সেসব লিখে রাখার কোনো প্রয়োজন আমি রাখি না। এই না লিখে রাখার ভেতরে আমার জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা ফোন নাম্বার রয়েছে।}}
গুরুত্বপূর্ণ নাম্বারগুলো শুধু আপনার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলে আপনি তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতেন। আলীও তাই করেছিলেন। তাই আমাদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ নয় সেটা দেখার কি দরকার?
{{আবু হরায়রার হাদিসে যদি আপত্তি থাকে তাহলে হজরত আয়েশার হাদিসে কি আপত্তি আছে? আপনি কি সেগুলো মানেন? }}
আয়েশার নিজের লিখা হাদীস হলে আপত্তি ছিলনা। কিন্তু অমুক বলেছেন তমুক বলেছেন সেমুক বলেছেন আয়েশা বলেছেন দিয়ে বুঝা যায়না যে আয়েশা এই কথাই বলেছিলেন।
১০১| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫৬
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{খুনের শাস্তি , কাফেরদের সাথে আচরণ এর আলোচনা কোরানেই পরিষ্কার এবং বিস্তারিত দেয়া আছে। এর কোন ব্যাখ্যার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই। কোরানের বাইরে আমি দ্বীন বলতে শুধু ধর্মীয় আচার পালনকেই বুঝাচ্ছি যেটা সুন্নাহ হিসেবে আমরা বংশ পরম্পরায় পেয়েছি। }}}
খুনের শাস্তি, কাফেরদের সাথে আচরণের আলোচনা কোরানেই পরিষ্কার এবং বিস্তারিত দেয়া রয়েছে, এর কোনো ব্যাখ্যার আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এটা কি আপনার কথা নাকি কোরানের?
অনুগ্রহ করে কোরানের ঐ নির্দিষ্ট আয়াতটা তুলো ধরেন যা থেকে আপনার এ্ই কথা মনে হয়েছে।
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খুনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড সেরকম একটা আয়ততো আপনিই রেফারেন্স হিসেবে দিয়েছিলেন।এর চাইতে বেশী কিছুর আর দরকার আছে কি? হাদীসে কি এর চাইতেও বেশী কিছু আছে? থাকলে সেগুলো কি আসলেই প্রয়োজনীয়?
আর কাফেরদের কথা আল্লহ অসংখ্যবার আলোচনা করেছেন। রেফারেন্স দেয়া নিষ্প্রয়োজন। সুরা তওবা সুরা মুহাম্মদ এই যথেষ্ঠ আলোচনা আছে। এর বেশী কি দরকার?
১০২| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:২১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{ইমামদের সম্পর্কে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করছি। প্রথম তিন খলিফা আর যায়েদের কথায়তো ভুল করিনি। তাহলে সেক্ষেত্রে জবাবটা কি হবে? এখনতো দেখছি হযরত আবু বকর এবং উমর জানতেন যে হাদীস লিখার অনুমতি নবী দিয়েছিলেন। তাহলে কেন একজন লিখেও নষ্ট করে ফেললেন আরেকজন ইচ্ছা প্রকাশ করেও পরে আর লিখলেন না? এত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ না করে তারা কি অন্যায় করেননি? যায়েদের না জানার ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। সে ছিল নতুন প্রজন্ম। তার মানে হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন প্রচলিত ছিলনা। থাকলে এতদিনে অনুমতির কথা সকলেই জেনে যেত আর সকলেই হাদিস লিখে রাখত। দুঃখের বিষয় এত গুরুত্বপূর্ণ অনুমতিটি নবী মাত্র কয়েকজনকে দিয়েছিলেন যারা কিনা অন্য সবার কাছে তা পৌঁছেও দেননি! অথচ তখন নাকি সবার স্মৃতি খুবই ভাল ছিল আর সবাই অনেক বেশী করে হাদীস মুখস্ত করত আর প্রচার করত!}}}
ইমামদের সম্পর্কে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করছি।
>>আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রথম তিন খলিফা আর যায়েদের কথায়তো ভুল করিনি। তাহলে সেক্ষেত্রে জবাবটা কি হবে? এখনতো দেখছি হযরত আবু বকর এবং উমর জানতেন যে হাদীস লিখার অনুমতি নবী দিয়েছিলেন। তাহলে কেন একজন লিখেও নষ্ট করে ফেললেন আরেকজন ইচ্ছা প্রকাশ করেও পরে আর লিখলেন না?
>>প্রথম তিন খলীফাদের ব্যাপারেও যে আপনি ভুল ছিলেন, সেইটাতো পরের কথাতেই প্রকাশ করলেন। হ্যা, তারাও জানতেন। ব্যস, এইটাইতো যথেষ্ট। বেশি সতর্ক ছিলেন বলে একজন লেখেনই নি, আরএকজন লিখেও পুড়িয়ে ফেলেছেন। এবং আর একজন শুধু লেখেনই নি, সর্বক্ষণ সাথে নিয়ে ঘুরতেন। আমার জন্য এই ইনফোটুকুই যথেষ্ট যে রাসুল সা. লেখার অনুমতি দিয়েছিলেন।
এত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ না করে তারা কি অন্যায় করেননি?
>>হাদিস লেখার ব্যাপারে কোরান থেকে বা রাসুল সা.-এর কাছ থেকে এমন কোনো বাণী কি পেয়েছেন যে হাদিস না লিখলে অন্যায় হবে?
যায়েদের না জানার ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। সে ছিল নতুন প্রজন্ম। তার মানে হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন প্রচলিত ছিলনা। থাকলে এতদিনে অনুমতির কথা সকলেই জেনে যেত আর সকলেই হাদিস লিখে রাখত। দুঃখের বিষয় এত গুরুত্বপূর্ণ অনুমতিটি নবী মাত্র কয়েকজনকে দিয়েছিলেন যারা কিনা অন্য সবার কাছে তা পৌঁছেও দেননি! অথচ তখন নাকি সবার স্মৃতি খুবই ভাল ছিল আর সবাই অনেক বেশী করে হাদীস মুখস্ত করত আর প্রচার করত!
>>একজন যদি একটা বিষয় না জানে, তাহলেই সেটা তখন প্রচলিত ছিলো না, এই চিন্তাটা খুব দুর্বল মনে হলো। আর জানলেই যে সকলে লিখে রাখতো, এইটা আপনাকে কে বললো? একটা বড় অংশতো লিখতেই জানতো না, এবং অন্য অনেকের প্রচারের কাজটাতো মুখ দিয়েই চলছিলো। অর্থাৎ, অধিকাংশ প্রচারের কাজটা ছিলো একজন থেকে আর একজন। মুখে মুখে প্রচার।
যারা সংরক্ষণের প্রয়োজন অনুভব করেছে, তারা লিখেছে। আর, রাসুল সা. তো কাউকে নির্দেশ দেননি লিখতে। প্রচার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। লেখার অনুমতি দিয়েছেন। লেখার অনুমতি আর লেখার নির্দেশের পার্থক্যটা নিশ্চয়ই আমার বলার প্রয়োজন নেই।
আপনাকে একটা অনুরোধ করছি বারবার, অনুরোধটা রাখছেন না। আপনার জানার যে আগ্রহ আছে, সেইটুকু বুঝতে পারছি। কিন্তু জানার জন্য প্রয়োজনীয় লিংক সরবরাহ করছি, তখন সেইটা না পড়েই সেই রিলেটেড কথা বলচেন, আমার একটু খারাপ লাগছে, কিছু মনে করবেন না।
Explosive Increase Of Isnad & Its Implications
আর একবার অনুরোধ করছি, এই লিংকটা পড়ে আসুন।
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: পড়ে আসলাম। আমি যে হাদিস বিজ্ঞানের কথা শুনিনাই তা নয়। তবু দেখে এসে আরেকটু ভাল ধারণা পেলাম। এটা সত্যি ইম্প্রেসিভ। তো এই লিঙ্কেই লিখা আছে যে Schacht নামের একজন ব্যক্তি ইসনাদের দূর্বলতা নিয়ে একটা বই লিখেছেন। তার কিছু কিছু যুক্তির খন্ডন প্রফেসর মুস্তফার রেফারেন্সে এই লিঙ্কেই দেয়া হয়েছে। আমি Schacht এর বইটা পরে পড়ে দেখব, তবে আপাতত যে প্রশ্নটা আমার মাথায় আসছে তা আপনাকে বলি।
লিঙ্কের যুক্তিগুলোতে Schacht মূলত দ্বিতীয় বা তৃতীয় জেনারেশনে জাল হাদীসের সূচনা হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন। কিন্তু আমি যদি প্রথম জেনারেশন থেকেই সন্দেহ করি? ১ম জেনারেশনে দেখলাম আবু হুরায়রা সহ আয়েশা, আলী, ইবনে মাসুদ ইত্যাদি আরও অনেকে ছিলেন। এখন আবু হুরায়রাকেই আমি ফেব্রিকেটর ধরলাম। তো আবু হুরায়রা তার ১৪ জন ছাত্রের মাঝে একটা জাল হাদীস ছড়িয়ে দিলেন (ছাত্রেরা কেউ জানলনা এটা জাল, আবার হুরায়রা মাঝে মাঝে সত্যি হাদীসও বর্ণনা করেন), কিন্তু হুরায়রার ট্রিকটা হলো তার গোপন আরেক দল ছাত্র (সহযোগী) আছে যারা জাল হাদীস বানানোর কারিগর। তো তারা হুরায়রার কাছ থেকে জাল হাদীসটা শুনে মিথ্যা প্রচার করল যে আলীর কাছ থেকে শুনেছে (কারণ তার সাথে আলীর যোগাযোগ ছিল) কেউ প্রচার করল আয়েশার কাছ থেকে শুনেছে (কারণ তার সাথে আয়েশার যোগাযোগ ছিল) এর পাশাপাশি তারা সত্য হাদীসও প্রচার
করল যা সত্যিই আলী বা আয়েশার কাছ থেকে শুনেছে। মিথ্যা হাদীসগুলো প্রচারের সময় তারা একটু সাবধান রইল যেন ধরা পড়ে না যায় (হয়তো দেরী করে প্রচার করেছিল, হয়তো তাদের মৃত্যুর পর) এদিকে হুরায়রার সাথে যে এদের যোগাযোগ আছে তা নিজেদের স্বার্থেই তারা গোপন রেখেছিল। ব্যস হয়ে গেল। পরবর্তী প্রজন্মের বাঘা বাঘা স্কলারেরও সাধ্য নাই এটা ধরে। এবার আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে আয়েশা বা আলীর রেফারেন্সে হাদীস বলেছে এমন সকলের সাথে হুরায়রার যোগাযোগ হওয়া একেবারেই অসম্ভব ছিল? যদি না পারেন তাহলে আমার যুক্তি খন্ডাতে পারবেন না। হুরায়রার অতিরিক্ত পরিমান হাদীস বর্ণনার ঘটনার সাথে আমার যুক্তিটি মিলানো যায়।
১০৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৪
চিত্তবিকারগ্রস্ত বলেছেন: আপনার জ্ঞান, যুক্তি খণ্ডন এবং লেখনীর ধার দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ...সম্ভবত সামুতে পড়া এটা আমার শ্রেষ্ঠ ব্লগ...অবশ্যই এর জন্যে +++ এবং আমার প্রিয়তে ...ভালো থাকবেন এবং ভবিষ্যতেও এরকম লেখা চালিয়ে যাবেন...শুভ কামনা রইল।
বিঃদ্রঃ আমি নিজেও এখন আস্তিকতা ও নাস্তিকতার মাঝামাঝি অবস্থানে আছি এবং কোনটি সঠিক জানার চেষ্টা করছি!
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । এত প্রশংসা কি আমার প্রাপ্য? আমাকে তো ফুলিয়ে দিলেন, হাহা
চেষ্টা করুন। কোরান পড়ুন। আপনি যদি নিজেকে তুচ্ছ ভেবে খোলা মনে একবার কোরান পড়েন তাহলে আশা করি সকল দ্বিধা চলে যাবে। এর পরেও ব্যর্থ হলে আপনার চেষ্টাটাই দেখা হবে, আল্লাহ ক্ষমাশীল। ভাল থাকুন। শুভকামনা।
১০৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:১৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আপনার কথাগুলো যদি ঠিকও হয় তবু তো প্রশ্ন আসে যে তাওরাত যেখানে পার্চমেন্টে লিখিত হতে পারল সেখানে কোরান তা পারলনা? হাড় গোড়ের কথা বলে কি কোরানকে অপমান করা হচ্ছেনা? আর এমন তো না যে সেই আমলে লিখন সামগ্রী আবিষ্কৃত হয়নাই। হযরত আবু বকর বা আলি তাহলে কিভাবে হাদীস লিখেছিলেন? স্বাভাবিক যুক্তিতে কোরান পার্চমেন্টে লিখিত ছিল এটাই বুঝা যায়। সিনাই এর সাথে আল্লহ সেখানে কাবা ঘরেরও উপমা দিয়েছেন। আরও দিয়েছেন আকাশ সাগর সহ অন্য অনেক কিছুর। তাই সিনাই এর সাথে মিলিয়ে এটা তাওরাত হতে হবে এমন কোন কথাও নাই। কাবার সাথে মিলিয়ে কোরানও হতে পারে। আল্লাহ শুধু পবিত্র জিনিসগুলোর কসম দিয়েছেন এখানে। কোরান নাজিলের সময় তাওরাত বিকৃত ছিল, তাই সেটার কসম দেওয়াটা অযৌক্তিক। কোরানের ক্ষেত্রে আল্লাহ সবসময়ই যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং পবিত্র বলেছেন, সুরা বাকারাও শুরু করেছেন কোরানের কথা বলেই। তাই বিকৃত ও বাতিল (বাতিল না হলে আমাদেরকে আল্লাহ তাওরাতই দিতেন, মডিফাইড কোরান দিতেন না) গ্রন্থ তাওরাতের কসম করা পুরোটাই অযৌক্তিক। ৮০ নং সুরাতে scrolls এর জায়গাতে scripture page ইত্যাদি অনুবাদ দেখলাম। তো সেগুলো তো পার্চমেন্টের সাথেই বেশী যায়, হাড়গোড়ের সাথে তো যায়না।}}}
আপনার কথাগুলো যদি ঠিকও হয় তবু তো প্রশ্ন আসে যে তাওরাত যেখানে পার্চমেন্টে লিখিত হতে পারল সেখানে কোরান তা পারলনা?
>>এইটা খুব অদ্ভুত প্রশ্ন করেছেন, ভাই। তাওরাত যেখানে পার্চমেন্টে লিখিত হতে পারলো, সেখানে কোরানও পার্চমেন্টে লিখিত হতে হবে???
আপনার সাথৈ আমার কথা হচ্ছে কী নিয়ে? কথা হচ্ছে, কোরান থেকে আমরা কি বের করতে পারি কি না যে কোরান পার্চমেন্টে লিখিত হয়েছিলো। আমি খুব স্পষ্ট করে আপনাকে জানিয়েছি যে কোরানের আয়াত থেকে আয়াত-বিকৃতকরণ ছাড়া আর কোনোভাবে বলার উপায় নাই যে কোরান পার্চমেন্টের উপর লিখিত ছিলো।
এইটুকু আপনি বুঝতে পেরেছেন কি না সেইটা আমাকে একটু জানান।
হাড় গোড়ের কথা বলে কি কোরানকে অপমান করা হচ্ছেনা?
খুব অদ্ভুত কথা। আপনার মান-অপমান বোধ দেখছি একটু ভিন্ন। না, আমার কাছে কোরানের জন্য মোটেও অপমানকর মনে হচ্ছে না।
The initial revelations were written on different sorts of parchments, tablets of stone, branches of date trees, other wood, leaves, leather and even bones.
একটু শেয়ার করবেন, কেন হাড়গোড় আপনার কাছে কোরানের জন্য অপমানকর মনে হচ্ছে?
সিনাই এর সাথে আল্লহ সেখানে কাবা ঘরেরও উপমা দিয়েছেন। আরও দিয়েছেন আকাশ সাগর সহ অন্য অনেক কিছুর। তাই সিনাই এর সাথে মিলিয়ে এটা তাওরাত হতে হবে এমন কোন কথাও নাই। কাবার সাথে মিলিয়ে কোরানও হতে পারে।
আল্লাহ এখানে وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ বায়তুল মামুর-এর কথা বলেছেন। আপনার কাছৈ কেন মন হলো যে এই বাইতুল মামুর আসলে কাবা। কোনো রেফারেন্স আছে?
বাইতুল মামুর কী, সেইটা যদি কনফার্ম নাহতে পারেন, তাহলে এটা কাবা কি না কীভাবে বলবেন?
এখন বলেন কাবার ইতিহাস কি কোরানের সাথে রিলেটেড? কোরানের বহু বহু আগে থেকে কাবার ইতিহাস। তাহলে যদি এই আয়াত কাবার কথা হয়ে থাকেও, তবু তার সাথৈ কোরানের সম্পর্ক আসে কীভাবে?
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{এইটা খুব অদ্ভুত প্রশ্ন করেছেন, ভাই। তাওরাত যেখানে পার্চমেন্টে লিখিত হতে পারলো, সেখানে কোরানও পার্চমেন্টে লিখিত হতে হবে??? }}
অদ্ভুত হবে কেন? যুগে যুগে কি মানব সভ্যতার উন্নতি হয় নাকি অবনতি? আপনাদের দাবী অনুযায়ী মুহাম্মদের আমলে পার্চমেন্ট পাওয়া যেতনা তাই খেজুর পাতার আশ্রয় নিতে হয়েছে। অথবা তারা গরীব ছিলেন বিধায় পার্চমেন্ট কিনার পয়সা ছিলনা। কিন্তু নবী মুহাম্মদ যে খাদিজার ব্যবসার দেখাশুনা করতেন, হিসাব নিকাশ করতেন সেটা তো আপনারাই বলেন। যেই বিপুল ধনবতী খাদিজা নবীর জন্য খাবার নিয়ে হেরা গুহায় যেতেন কিন্তু তিনি পার্চমেন্টের সামান্য কয়টা পয়সা দিতে পারলেননা? আর ঐ আমলে যে পার্চমেন্ট পাওয়া যেত তার প্রমাণ আছে। তখন অনেক কবিতা সাহিত্য রচিত হয়েছিল পার্চমেন্টে। কাবা গৃহের দেয়ালেও সেরা কবিতা সাঁটিয়ে রাখা হত। তো কোন দুঃখে যে কোরানের মত গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে এখানে সেখানে লিখা হত তা হাদীসের প্রভাবে আপনার কাছে অদ্ভুত মনে না হতে পারে কিন্তু যেকোন নিরপেক্ষ লোকের কাছেই অদ্ভূত লাগবে।
{{আমি খুব স্পষ্ট করে আপনাকে জানিয়েছি যে কোরানের আয়াত থেকে আয়াত-বিকৃতকরণ ছাড়া আর কোনোভাবে বলার উপায় নাই যে কোরান পার্চমেন্টের উপর লিখিত ছিলো।}}
কোরান থেকে কোনভাবে এটাকি বলার উপায় আছে যে কোরান হাড়গোড় খেজুর পাতার উপর লিখা হয়েছিল? নিজেরটা যখন কোরান থেকে প্রমাণ করতে পারছেননা তখন আমারটার দোষ দিচ্ছেন কোন যুক্তিতে? তালগাছের যুক্তি?
{{আল্লাহ এখানে وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ বায়তুল মামুর-এর কথা বলেছেন। আপনার কাছৈ কেন মন হলো যে এই বাইতুল মামুর আসলে কাবা। কোনো রেফারেন্স আছে?
বাইতুল মামুর কী, সেইটা যদি কনফার্ম নাহতে পারেন, তাহলে এটা কাবা কি না কীভাবে বলবেন?}}
সিনাই পর্বতের নামও কিন্তু আল্লাহ বলেননাই। পবিত্র পর্বতের কথাই বলেছেন। কেই অনুবাদ করছেন সিনাই তেমনি করে কেউ কেউ মামুরকে কাবা অনুবাদ করেছেন। কাবা নাহয় নাই হল তাতে কি আমার যুক্তির মূলভাবটা পরিবর্তীত হল? সকল পবিত্র জিনিসের কসম দিয়েছেন আল্লাহ। এর সাথে বিকৃত তাওরাত কেন মিলাতে যাবেন? এই আয়াতে তাওরাতের চেয়ে কোরান যেকোন যুক্তিতেই বেটার কেনডিডেট, সেটা অনস্বীকার্য।
{{এখন বলেন কাবার ইতিহাস কি কোরানের সাথে রিলেটেড? কোরানের বহু বহু আগে থেকে কাবার ইতিহাস। তাহলে যদি এই আয়াত কাবার কথা হয়ে থাকেও, তবু তার সাথৈ কোরানের সম্পর্ক আসে কীভাবে?}}
কাবার ইতিহাস কোরানের সাথে রিলেটেড নয়কি? কাবার অস্তিত্ব কোরানের নাজিলের আগেই ছিল কিন্তু কোরান নাজিল হয়েছে কাবার খুব আশে পাশেই এবং যার উপর নাজিল হয়েছে তার সাথে কাবার গভীর সম্পর্ক। তেমনি সিনাই এর সাথে আপনি তাওরাতের সম্পর্ক কিভাবে দেখেন? সিনাই পর্বত কি মুসার আগে ছিলনা? আপনি নিজের যুক্তি ঠিক না রেখেই আমার যুক্তি ভাঙ্গতে আসছেন দেখে খুবই অবাক হচ্ছি।
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরানের সাথে হাদীস মিশে যাবার আশঙ্কাতে নবী হাদীস লিখতেই বারণ করে দিলেন, অথচ হাড় গোড়ের আর খেজুর পাতার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে লিখলে যে মিশামিশির আশঙ্কা আরও বেড়ে যেত তা নবী বুঝতে পারলেন না। অথচ তখন চাইলেই পার্চমেন্ট পাওয়া যেত। আর কোরান সঙ্কলনের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজটা নবী নিজে করে যেতে পারলেননা, ৩য় খলিফার এসে সেটা করা লাগল!! তখন এই হাড় গোড়ের কারণে নাকি যায়েদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা!
হাদীসের প্রভাবে স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন। নবীর স্থানে নিজেকে কল্পনা করে দেখুন, সেই পরিস্থিতে আপনি নিজেই কোরান সঙ্কলনের ব্যবস্থা করে যেতেন কিনা? নবীকে এত দায়িত্বহীন মনে করতে কি খারাপ লাগেনা? আর হাদীসের ভিত্তিতে যে জানা যায় কোরানের আরও অনেকগুলো কপি ছিল, ভিন্ন ভিন্ন সুরা ছিল, ভিন্ন হরফে লিখা ছিল সে সম্পর্কে আপনার মতামত কি? সেই সুরাগুলো যে হারিয়ে গেল তাতে কি উসমানকে দোষী মনে হয়না? আল্লাহ নিজের কথা অনুযায়ী কোরান সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মনে হয়না? এর পরেও হাদীস বিশ্বাস করেন কিভাবে আমি সত্যি বুঝিনা।
১০৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৩১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{নবী এই কথা বলেন নাই আপনি শিওর? নবী যে এই কথা বলেছেন তা কিন্তু আবু দাউদে আছে। আর ইবনে মাজাহ তেও আছে যে নবী জুতা পড়ে নামাজ পড়েছেন। আপাতত এইখানে দেখুন।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে এরপর আপনি জুতা পায়ে নামাজ পড়বেন নাকি হাদীস লঙ্ঘণ করবেন? নতুন ফতোয়াতে বলে যে পরিষ্কার থাকার জন্য নবী জুতা পরেছেন, এখনকার মসজিত পরিষ্কার তাই আর জুতা পড়ার দরকার নেই। আপনি কি বলেন? পরিষ্কার থাকার জন্য নাকি ইহুদীদের বিপরীত হবার জন্য? নবীতো বিপরীতের কথাই বলেছিলেন। }}}
আপনি সম্ভবত এখনো এই কনফিডেন্স আমার উপর পান নি যে হাদিস থেকে সুন্নাহ এক্সট্র্যাক্ট করতে চাচ্ছি আমি শুধু এই কারণে কোরান আমাকে বলেছে রাসুল সা.-কে অনুসরণ করতে, এবং তার হুকুম পালন করতে। কোরান আমাকে বলেছে নামাজ পড়তে, নিয়ম বলে নি। বলে দিয়েছে রাসুল সা. যেভাবে নামাজ পড়েন, সেভাবে পড়তে। এখন যদি সহিহ হাদিস থেকে আমি পাই যে রাসুল সা. জুতা পরে নামাজ পড়েছেন, আমি কেন জুতা পরে নামাজ পড়বো না?
আমি কিন্তু আপনার কাছৈ থেকে সহিহ হাদিসের ঠিকানা চেয়েছিলাম যেখানে রাসুল সা. বলেছেন, জুতা পায়ে রাখা নামাজের একটা অপরিহার্য অংশ বা রিকমেন্ডেড অঙ্গ। অর্থাৎ, জুতা পায়ে না রাখলে নামাজ হবে না, বা দোষযুক্ত হয়ে পড়বে।
জুতা পায়ে রাখা নামাজের একটা অংশ???
(এবং অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত আমাকে দেবার সময় গোটা সিহা সিত্তাহ সামনে রেখে কথা বলবেন, যেন আপাতভাবে অন্য কোনো হাদিসের সাথে সেই হাদিসের বিরোধীতা না থাকে)
আর, হাদিসের লিংক চেয়েছি, কোনো ফতোয়ার লিংক না।
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লিঙ্কটা ভাল করে পড়ে দেখুন হদীসের লিঙ্কই দেয়া আছে। সেই সাথে ফতোয়া। এমন সর্বজনবিদিত হাদীস নিয়ে কেন খামাখা তর্ক করছেন? আপনার কি ধারণা আমি মিথ্যা হাদীস বানিয়ে বলছি? আপনি জুতা পড়ে নামাজ এই কারণে পরবেননা যে মসজিদে গেলে সবাই আপনাকে পাগল ভাববে আর তাড়াও করতে পারে। এ ছাড়াও জুতা পড়ে নামাজ পড়ার সময় শান্তি পাবেননা। বৈঠকের সময় সমস্যা হবে। তো এই সমস্যার অজুহাতে যদি জুতা না পড়েই নামাজ পড়েন তাহলে আপনার মনে অসততা আছে বলতেই হয়। কারণ বলবেন এটা ফরজ না। কিন্তু নবী যে বেশ ভাল করে রিকমেন্ড করেছেন সেটা ভুলে যাবেন। এইটাকেই বলে সুবিধাবাদী আচরণ।
১০৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আচ্ছা, যদি এমন হতো যে, তওবা করলেই পার্থিব সকল শাস্তি থেকে মাফ পাওয়ার ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিতেন, তাহলে আপনি কি এটা বলতেন না যে, আল্লাহ মনে হয় তওবা করার মাধ্যমে সকল আকাম-কুকাম করার লাইসেন্স দিয়ে দিলেন (!!!)! }}}
আমার এই কথার জবাবে আপনি বলেছেন:
শরীয়তি যে তওবার কথা আমরা জানি কোরানের তওবা কিছুটা আলাদা। যে সত্যিই তওবা করল সে আসলেই আর পাপ কাজ করবেনা। আল্লাহই অন্তরের খবর জানেন। বারবার পাপ আর বারবার তওবার কথা আল্লাহ কোরানে বলেননাই, তাই আপনার এই প্রশ্নটা খুব একটা সুন্দর হয়নাই।
অন্তরের খবর তো অবশ্যই আল্লাহ জানেন। আপনি জানেন না। তাহলে একজন মনে একটা কুকর্ম করলো, তারপর বললো যে সে ভুল করেছে, তাওবা করলো, আপনি কি তাকে মাফ করবেন নাকি করবেন না?
আমার মন্তব্যে উল্লিখিত উদাহরণটা নিয়েই চিন্তা করি আসেন। একজন ধর্ষণ করলো। তারপর সে বললো যে সে তাওবা করছে আর করবে না। আপনি কি তাকে মাফ করে দিবেন?
এবং এইটা আপনি যে-কোনো উদাহরণে খাটান। তাহলে একজন মানুষ যে-কোনো কুকর্ম করতে পারে করার পর তাওবা করে ফেলবে এই চিন্তা নিয়ে???
(কোরানকে আপনার মতো চিন্তা করলে আমি নিশ্চিত ধর্মের উপর বিশ্বাস হারায় ফেলতাম, ভাই। )
আর কিছু মনে করবেন না। শরিয়তি তাওবা বলে আলাদা কিছু নাই। কোরানের তাওবা আর শরিয়তি তাওবা একই জিনিস।
১০৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৫
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{কোন কথা পরিবর্তিত হয়েছিল কিনা তা জানার কোন উপায়ই নাই। তবে পরিবর্তিত যে হয়েছিল তা হাদীস পড়লেই বুঝা যায় একেক জনের একই বিষয়ে একেক রকম বর্ণনা দেখে। আর জাল হাদীস যে ঢুকেছে সে কথা তো সর্বজন স্বীকৃত।}}}
সত্যের কাছাকাছি বলেছেন। কথা পরিবর্তিত হয়েছে, এবং সেই কথা ঠিক করা হয়েছে, সেইটাও হাদিস থেকেই আপনি পেয়েছেন। একেকজনের ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা আসায় একদিক দিয়ে খুব ভালো ব্যাপার হয়েছে, হাদিস যে বুখারি মুসলিমরা বানাননাই, সেইটা প্রমাণিত হলো। বানাইলে এত ভ্যারিয়েশন হইতো না। আর মৌখিক বর্ণনায় সবসময়েই ভিন্নতা থাকে। তাতে সত্য ঝটনা বের করাতে কোনো সমস্যা হয় না। পৃথিবীর যত ঘটনাই বলেন, মৌখিক সব বর্ণনাতেই বর্ণনার ভিন্নতার সমস্যা ফেইস করতে হয়, সেইটা কোনো সমস্যা না।
মনে রাখবেন, একটা হাদিসের বর্ণনা কিন্তু আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য না। মুখ্য উদ্দেশ্য হলো হাদিসের মাধ্যমে ফুটে ওঠা সুন্নাহ। হাদিসের অনেক অনেক বর্ণাতেই ভিন্নতা আছে, কিন্তু মূল ঘটনা বুঝা যায়। রাসুল সা.-এর আসল প্র্যাক্টিসটা বুঝা যায়। সেইটা এক্সট্র্যাক্ট করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য।
১০৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আর জাল হাদীস যে ঢুকেছে সে কথা তো সর্বজন স্বীকৃত।}}}
জি, আর জাল হাদিসকে যে ঘেটি ধরে বেরও করা হয়েছে, সেটাও কিন্তু সর্বজনবিদিত।
১০৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{কোরানের সবচেয়ে পুরানো যে ম্যানুস্ক্রীপ্ট পাওয়া যায় তা পার্চমেন্টে লিখিত। এইখানে দেখুন। অন্যদিকে হাড়গোর পঁচনশীল হলেও পাথর পঁচনশীল নয়। কোন পাথরের খোঁজ পাওয়া যায়নি যেখানে কোরানের আয়াত লিখা আছে। কিন্তু আর্কিওলজি ইতিহাসে এমন অনেক পাথর পাওয়া গিয়েছে যাতে কোরানের চাইতে বহু পুরানো লিখা আছে।}}}
আরলিয়েস্ট ম্যানুস্কৃপ্ট পার্চমেন্ট লিখিত এটা কোথায় লেখা আছে? অনুগ্রহ করে লাইনটা এখানে কপিপেস্ট করে দিন।
{{{কোন পাথরের খোঁজ পাওয়া যায়নি যেখানে কোরানের আয়াত লিখা আছে।}}}
এই লিংকে গিয়ে একটু দেখেন । পাবেন।
হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়াটা কি ঠিক? উরওয়া একজন সাহাবির নাম। তিনি মারা গিয়েছিলেন ২৯ হিজরিতে। তার কবরে খোদাই করা আছে সুরা আহাদ।
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{আরলিয়েস্ট ম্যানুস্কৃপ্ট পার্চমেন্ট লিখিত এটা কোথায় লেখা আছে? অনুগ্রহ করে লাইনটা এখানে কপিপেস্ট করে দিন।}}
এইটা লিখা নাই। ছবি দেয়া আছে। একটু খোঁজ করলেই পেতেন। তো দাবী করা হচ্ছে যে এগুলো উসমানের আমলের মেনুস্ক্রীপ্ট (1st century Hijra)। কার্বণ ডেটিং এর মাধ্যমে এর চেয়ে নিখুঁত ভাবে তারিখ বলা যায় না। এবার আসুন একটু চিন্তা করি। নবীর মৃত্যুর ১২ (প্রায়) বছর পরেই উসমান খলিফা হলেন। এর সাথে যদি আরও ১২ বছর যোগ করেন তবু বৈজ্ঞানিক ভাবে চিন্তা করলে ঐ মেনুস্ক্রীপ্ট নবীর আমলেরও হতে পারে।
আর কবরে তো আজও পাথরে খোদাই করে আমরা দুই একটা দোয়া বা কোরানের আয়াত লিখি। তাহলে বলুন, যেখানে পার্চমেন্টে লিখিত কোরান পাওয়া গেল যার মাঝে ৯৯% কোরানের অংশ বিদ্যমান আর সেখানে কিছু কিছু টম্ব স্টোন পাওয়া গেল যাতে দুই একটা আয়াত পাওয়া গেল যা কোরানের ১% হবে কিনা সন্দেহ। অথচ পার্চমেন্টের চাইতে পাথরই বেশী টেকসই হবার কথা।
আমি শুধু এটাই বুঝাতে চাই যে কোরান নবীর আমলেই পার্চমেন্টে লিখা হয়েছিল এই দাবী করা মোটেই অযৌক্তিক নয়। তা খুবই সম্ভব।
১১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৫৮
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{ইমাম নববীর এই ব্যাখ্যা তাঁর নিজস্ব মতামত মাত্র। এর মাঝের ফাঁকটা কয়েকবার বলেছি কিন্তু গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারছেননা। হাদীস এত গুরুত্বপূর্ণ হলে নবীর আমল থেকেই একটা লিখিত হাদীসের ভার্সন পাওয়া উচিৎ ছিল। অন্তত খলিফাদের আমল থেক। যে কাজটা মালিক বুখারীরা করেছেন সেটা খলিফারা করলে কি আরও গ্রহণযোগ্য হতনা? উপরন্তু দেখা যাচ্ছে খলিফারা জানতই না হাদীস লিখার অনুমতির কথা। হযরত আলী কিছু লিখেছেন সেটা অপ্রতুলের চেয়েও কম আর তা সংরক্ষন বা প্রচারের ব্যবস্থা তিনি করেননাই।
খলিফাদের বিষয়ে রেফারেন্স চেয়েছেন কিন্তু খোঁজার সময় পাচ্ছিনা, তবে এগুলো আমার ধারণা খুব দুর্লভ রেফারেন্স নয়। আমি কোথাও পড়েছিলাম, পরে দিয়ে দিব। আপাতত উইকির লিঙ্ক দিলাম। সেখান থেকে যা জানি, খলিফা আবু বকর প্রায় ৫০০ হাদীস লিখেছিলেন কিন্তু পরে নষ্ট করে (পুড়িয়ে) ফেলেন। খলিফা উমর জনগণকে কথা দিয়েছিলেন হাদীস সঙ্কলন করার কিন্তু পরে ১ মাস চিন্তা করে সেই কথা আর রাখেননি কারন তিনি দেখেছিলেন আগের জমানার মানুষ আসমানী কিতাব ভুলে হাদীস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে নিজেদের ধ্বংশ এনেছিল। আর খলিফা উসমান বলেছিলেন যে তিনি হাদীস বর্ণনা করেননা এর কারণ এইনা যে তিনি কম হাদীস জানেন বরং নবীর সম্পর্কে মিথ্যা উক্তি এসে যাবার সম্ভাবনা থাকে যার শাস্তি ভয়ঙ্কর বলেই তিনি বিরত থাকেন। বাস্তবিকই দেখা যায় এমন হাদীসের সংখ্যা খুবই কম যা উসমান কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে বলে দাবী করা হয়।
তাহলে ইমাম নববির কথা মত ধরে নিলাম কোরান সর্বজনপরিচিত হবার পরেই আবু বকর হাদীস লিখেছিলেন। কিন্তু পরে সেটা নষ্ট করলেন কেন? আর উমর লিখতে ইছা প্রকাশ করেও পরে অস্বীকার করলেন কেন? তখন তো কোরান পরিচিত হয়ে গিয়েছিল।}}}
{{{হাদীস এত গুরুত্বপূর্ণ হলে নবীর আমল থেকেই একটা লিখিত হাদীসের ভার্সন পাওয়া উচিৎ ছিল। অন্তত খলিফাদের আমল থেক।}}}
>>এইটা কিন্তু একান্তই আপনার নিজস্ব মত। কথাটা হওয়া উচিত এইরকম যে, হাদিস গুরুত্বপূর্ণ হলে তো সর্বস্তরে হাদিসের প্রচার হওয়াটা জরূরি ছিলো।
হ্যা সেটাই হয়েছে।
আপনি একটা জিনিস বুঝতে চাইছেন না কেন, হাদিসের গুরুত্বটা হাদিস দিয়ে বুঝতে চাইবেন কেন? আপনার তো হাদিসেরগগুরুত্ব আদৌ আছৈ কি না, সেইটা বুঝতে চাওয়া উচিত কোরানের কাছৈ। কোরান কী বলে এই ব্যাপারে?
কোরান বলে, রাসুল সা.-কে অনুসরণ করা ছাড়া আমরা আসলে হেদায়াতই পাইতে পারি না, আল্লাহর অনুগ্রহই পাইতে পারি না। সুতরাং কোরান বলেছে বলেই রাসুল সা. কী করছেন, কী বলছেন, সেইটা গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু করছেন, এবং যা কিছু বলছেন, তার সাথে দুনিয়াবী প্রসঙ্গ ছাড়া (কী বাজার করলেন, রান্না কী করলেন, ইত্যাদি) যতকিছু আছে (দৈনন্দিন প্রতিটা কাজে কোরানের যে ব্যবহারিক প্রয়োগ, খাওয়া দাওয়ার সাথে হারাম হালাল, নামাজ, রোজা, হজ্ব, জাকাত, ইত্যদি যে-কোনো কিছু যার সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি জড়িত) সবকিছুতে রাসুল সা.-কে অনুসরণ করাটা কোরান অনুসারেই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সাহাবিরা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতেই, এবং হেদায়াত পেতেই রাসুল সা. কী বলছেন এবং কী করছেন তা খুব সচেতনভাবে খেয়াল করতেন, নিজেদের ভেতরে ডিসকাস করতেন।
এইটুকু যা বললাম ,তার পুরোটাই কিন্তু কোরান থেকেই লজিকাল ডিডাকশনের মাধ্যমে আসলাম। অবশ্যই এরকম হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হাদিসের গুরুত্ব না বুঝার কিছুই নাই, এবং এটা অন্য কোনো সোর্স থেকে না, বরং স্বয়ং কোরান থেকেই সেই গুরুত্বটা উৎসারিত।
আবু বকর বা ওমরের ব্যাপারে আপনি প্রশ্ন করেছেন। অথচ,
আবু বকর বা ওমর -এর হাদিস না লেখা বা লিখেও পুড়িয়ে ফেলার ব্যাপারে আপনি যে-লিংক দিয়েছেন, সেইটাই কিন্তু এনাফ ছিলো।
Abu-Dhahabi reports: The Caliph Abu-Bakr compiled a work, in which there were 500 traditions of the Prophet, and handed it over to his daughter 'Aishah. The next morning, he took it back from her and destroyed it, saying: "I wrote what I understood; it is possible however that there should be certain things in it which did not correspond textually with what the Prophet had uttered."
As to Umar, we learn on the authority of Ma'mar ibn Rashid, that during his caliphate, Umar once consulted the companions of the Prophet on the subject of codifying the Hadith. Everybody seconded the idea. Yet Umar continued to hesitate and pray to God for a whole month for guidance and enlightenment. Ultimately, he decided not to undertake the task, and said: "Former peoples neglected the Divine Books and concentrated only on the conduct of the prophets; I do not want to set up the possibility of confusion between the Divine Qur’an and the Prophet's Hadith." [2]
এইখানে আপনার জন্য কি না বুঝার কিছু আছে?
১১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:০৬
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{জবাব সুন্দর হয়েছে। এই কথা স্বীকার করে নিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গোটা কোরান মাথায় রাখলে আর কোহেরেন্টলী চিন্তা করলে কোন কন্ট্রাডিকশন পাওয়া যায় না বা দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়না। হাদীসের ক্ষেত্রে এই কথা বলা যায়না। যেমন কোন হাদীসে আয়েশার বিয়ের সম্য বয়স ৬ ছিল আবার কোন হাদীসে ৭। আবার অন্যান্য হাদীস থেকে প্রমাণ করা যায় ১৪,১৫, ১৮,২০, ২২ ইত্যাদি রকম বয়স ছিল।
গুপী গায়েনের এই পোস্ট দেখেন।
এইটা মাত্র একটা উদাহরণ। এমন আরও অনেক আছে। সেক্ষেত্রে কি হাদীসকে কোরানের সাথে তুলনা করা উচিৎ?}}}
এইখানে কেউ কিন্তু কোরানের সাথে হাদিসের তুলনা করছে না। আমি যেইটা বলছি, যুক্তিবোধ খাটানোর সময় বিরোধীতায়ও অন্ধ হবেন না, সাপোর্টিংয়েও অন্ধ হবেন না। এইটা কোনোভাবেই লাভজনক না। গুপিগায়েনের পোস্ট আমি দেখবো, কিন্তু মনে রাখবেন, আমি এখনো কোরানের অনেক কথার সুস্পষ্ট সলিউশন পাই নি। কিন্তু আমি ওভারঅল কোরানের উপর ফেইথ এসেছে দেখে ইমান থেকে সরে যাই না।
একই যুক্তি দিয়েই কিন্তু আমি হাদিস পর্যালোচনা করি।
১১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৫৫
বীরেনদ্র বলেছেন: Dear sir,
Thank you very much for your article. I do fiffer with you in many respects What you believe and what gives you peace is perfect for you.It is also nice to know that you live an honest happy life.
I am an atheist and my claim is not very different from yours. I lead an honest and happy life. I have no affiliation to any particular religion still I am in perfect peace of body and mind
Maybe your religion gave you peace but religion gave nothing to me. In my boyhood I was inclined to religion too and read many religious texts but could rely on none.
May be religion is imporatnat for you and for me disbelief in god and religion is the key to the peace of my mind.
Thank you again.
২০ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: Dear Brother
Thank you very much for your comment. But for your kind information, I do not believe in religion in order to find peace. If that had been the case then I would have cheated myself. I found truth in QURAN and this is the only reason why I beliebe in religion.
If you do not find any truth in religion then it is absolutely OK for you to reject it. But have you asked yourself whether you really tried enough to find truth in religion? If you say you didn't then you are not honest. You should have tried sincerely atleast once in lifetime.
But it is really a good thing that you atheists (not all) follow Quranic ideals and morals more than common muslims do. That is why I salute you.
Take good care of yourself.
Thank you.
১১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{আপনি বলেছেনঃ {{কথা হলো, তাহলে আবু দাউদের হাদিসটাতে রাসুল সা.-কে "তিরষ্কার" করা হলো কেন?
ভালো করে হাদিসটা পড়ে দেখেন, "তিরষ্কার" কথাটা নিতান্তই Abu al-Zinad-এর নিজস্ব মত। কোরানের
আয়াতটা পড়ে তিরষ্কারের কিছুই খুঁজে পেলাম না। }}
এ থেকেই প্রমাণ হয় হাদীস কতটা অনির্ভরযোগ্য হতে পারে। নবীর নামে রাবী একটা মিথ্যা ঢুকিয়ে দিল। অন্য হাদীসেও যে এভাবে কিছু আসেনি তা নিশ্চিত করে কিভাবে বলবেন? }}}
আয়াতটা পড়ে আবু আল জিনাদের মনে হয়েছে যে আয়াতটা তিরষ্কার হিসেবেই এসেছে, এইজন্য তিনি বলেছেন যে এইটা তিরষ্কার। এইখানে নবীর নামে মিথ্যা কথা বলার কী হলো সেইটা বুঝলাম না, ভাই। তিনি কি বলেছেন যে নভী বলেছেন যে এই আয়াত দিয়ে তাকে তির্ষকার করা হয়েছে?
আর তাই দেখে কী করে হাদিসের অনির্ভরযোগ্যতা বের হলো বলেন তো?
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই আপনি তাহলে এইটা স্বীকার করেন যে এই রাবী নিতান্তই বোকা ছিলেন? কোরানের এই আয়াতে কোন শিশুও তিরষ্কার পাবেনা। কিন্তু বোকা রাবী সেটা পেয়ে গেলেন। এই রকম বোকা একজন রাবীর বর্ণিত হাদীস কতটা নির্ভরযোগ্য হতে পারে বলে মনে করেন? নবীর নামে মিথ্যা বলতে কি বুঝিয়েছি বুঝলেননা? যেখানে আল্লাহ নবীকে তিরষ্কার করেননাই সেখানে এই রাবী মিথ্যা বলে দিলেন যে আল্লাহ নবীকে তিরষ্কার করেছেন। আর এমনটাও কি হতে পারেনা যে তিরষ্কারের কথাটা ওহী হিসেবে এসেছিল আয়াত হিসেবে নয়। সেভাবেই রাবী জানতে পেরেছিলেন যে ওটা তিরষ্কার, কারণ এই রাবী এই আয়াতে কোন যুক্তিতে তিরষ্কার খুঁজে পেলেন তা আমিও বুঝতে পারছিনা। কেন হাদীসের উপর ভরসা হারাই এর পরেও যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আর কি বলব ভাই?
১১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৬
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{ভাইরে আপনি বুঝতেছেন না কেন? কেন নবী হাদীস লিখতে না করেছিলেন তার যেসব ব্যাখ্যা আপনি বা আপনারা দিচ্ছেন তা সুস্থ নিরপেক্ষ চিন্তাতে আমার কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তো অনেকবার বললামই। আবার পরেই বা কেন আবার অনুমতি দিলেন সেটার ব্যাখ্যা (ইমাম নববী) আরও অস্বাভাবিক লেগেছে। তাই নবী আসলেই হাদীস লিখিত বা মৌখিক ভাবে প্রচার করতে বলেছিলেন কিনা সেটা নিশ্চিৎ হওয়া যাচ্ছে না। হাদীসের বাইরে অন্য সোর্স থেকে জানা গেলেই নিশ্চিৎ হতে পারব। আর নবীকে ফলো কর মানে হাদীস ফলো করা এমন উদ্ভট চিন্তা আমার মাথায় আসবেনা। খলিফাদের সম্পর্কে আরও কিছু লিখা পেলাম। এইখানে দেখেন। এটা পড়েতো মনে হচ্ছে বুখারীকে পেলে হযরত উমর নির্ঘাৎ মৃত্যুদন্ড দিতেন নাহয় কারাবাস দিতেন।}}}
কেন নবী হাদীস লিখতে না করেছিলেন তার যেসব ব্যাখ্যা আমি বা আমরা দিচ্ছি তা সুস্থ নিরপেক্ষ চিন্তাতে আমার কাছে কিন্তু পুরোটাই গোহণযোগ্য। তো? কী বুঝা গেলা? বুঝা গেল যে আপনার আমার কাছে নিজেদের সুস্থতা এবং নিরপেক্ষতা দাবী করে কোনো কিছুর গ্রহণযোগ্যতা নির্ণয় করার আসলে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই।
আপনি যে নিরপেক্ষভাবে হাদিসকে দেখছেন না, সেইটা বুঝা যেতে পারে খুব সহজভাবেই। আপনি কোরানের ক্ষেত্রে একটা আপাত কন্ট্রাডিকশনকে কন্ট্রাডিকশন হিসেবে মানছেন না, কিন্তু একটা হাদিসের সাথে অন্য হাদিসের আপাত কন্ট্রাডিকশন দেখিয়ে হাদিসকে বানানো প্রমাণ করতে চাচ্ছেন।
এর অর্থ হলো আপনি {শুধু-কোরান}ধারণার প্রতি বায়াসড থেকে হাদিসগুলো বিবেচনা করছেন। যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে যে আপনি আসলে নিরপেক্ষ নন।
আপনি কিন্তু আপনার হাদিস-কেন্দ্রিক মতামতেও কনসিস্টেন্ট না। এই পোস্টেরই এক কমেন্টে আপনি বলছেন যে বুখারিদেরকে আপনার কৃমিনালই মনে হয় {{হাদীস পড়ে আমার অন্তত নিরপেক্ষ ভাবে মনে হচ্ছে যে তারা ক্রিমিনাল ছিলেন।}}, আর এক কমেন্টে বলছেন {{আমি বুখারীদেরকে ক্রিমিনাল বলে মনে করিনা তবে তারা অনেক অন্যায় করেছেন বলে মনে করি।}}
এক কমেন্টে বলছেন যে হাদিসের অসারতা নিয়ে আপনার কোনো সন্দেহ নাই এবং এবিষয়ে আপনি ড. শাব্বিরের সাথে একমত {{হাদীস শাস্ত্রের অসারতার বিষয়ে আমি তার সাথে পুরো একমত। }}, এবং অন্য এক কমেন্টে বলছেন {{আমি ড.শাব্বিরের অন্ধ ভক্ত নই, তার মত আমি হাদীস শাস্ত্রকে বাতিল বলে মনে করিনা}}
সেলুকাসকে সত্যিই কিন্তু ডাকতে ইচ্ছা হচ্ছে!
সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ হয়ে কথা বলুন, আমার ধারণা, আপনি ইমাম নববীর ব্যাখ্যাটার মধ্যে আলো খুঁজে পাবেন।
কথাগুলো কিন্তু খুবই সিম্পল ছিলো:
ক) রাসুল সা. সন্দেহ করেছিলেন যে কোরান আর হাদিস একসাথে লেখা হয়ে গেলে মিশ্রিত হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং তিনি লিখতে মানা করে দিলেন। কিন্তু প্রচার করতে অনুমতি দিয়ে দিলেন।
খ) তারপর যখন কোরান পরিচিত পেয়ে গেল, এবং রাসুল সা.-এর এই ভয় দূর হয়ে গেল, এবং তিনি বুঝতে পারলেন যে এখন আর মিশ্রিত হবার সম্ভাবনা নেই, তখন তিনি অনুমতি দিয়ে দিলেন। মনে রাখবেন এটা নির্দেশ ছিলো না। অনুমতি ছিলো। অনুমতি ছিলো কথাটা বলার কারণ হলো এই যে যারা লিখতে চাচ্ছিলো, তারা অনুমতি ছাড়া লিখতে পারছিলো না।
গ) প্রথমদিকে মৌখিক প্রচার শুধু সাধারণভাবে অনুমোদিত ছিলো, পরবর্তীতে সেটা ইনকাম্বেন্ট হয়ে গেল।
এইখানে আপনার সমস্যাটা ঠিক কোনজায়গাটায় আমি আসলৈই বুঝি নাই।
প্রশ্ন হতে পারে
১) কোরান কি বলে যে হাদিস গুরুত্বপূর্ণ?
---কোরান বলে যে আল্লাহর হুকুম মানার যতগুলো ক্ষেত্র রয়েছে দৈনন্দিন জীবনে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাসুল সা. কী করছেন, কীভাবে করেছেন, এবং কী বলেছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, কোরানে আল্লাহ বলেছেন যে এই রাসুল সা.-কে অনুসরণ না করলে হেদায়াত পাবে না, আল্লাহর অনুগ্রহ পাবে না, এবং সেই অনুসরণ না করার একটা সমার্থক ব্যাপার হবে: আল্লাহকে ভালো-না-বাসা।
কোরান যেহেতু এই "অনুসরণ" করার কোনো এক্সেপশন (অর্থাৎ কোনকোন ক্ষেত্রে রাসুল সা.-কে অনুসরণ করা যাবে না) দেয় নি, সেহেতু কোরানানুসারে প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাসুল সা.-কে অনুসরণ করতে হবে। তবে আল্লাহ রাসুল সা.-এর মাধ্যমে মানুষকে একথাও বলিয়েছেন যে, না, সবক্ষেত্রে না, শুধু দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহর হুকুম মানার যতগুলো ক্ষেত্র রয়েছে , সেইসব ক্ষেত্রেই রাসুল সা.-কে অনুসরণ করতে হবে।
আসলেই যদি নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন, আল্লাহর হুকুম মানার যতগুলো ক্ষেত্র রয়েছে দৈনন্দিন জীবনে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাসুল সা. কী করছেন, কীভাবে করেছেন, এবং কী বলেছেন, সেইসবকিছু সেইসময়কার প্রতিটা কোরানানুসারীর জন্য সবকিছু থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো।
আমি বিশ্বাস করি, আপনি তখন থাকলে আপনিও অবশ্যই সেইরকমই হতেন।
এর মানে কী? এর মানে হলো এই যে যারাই কিনা প্রকৃত কুরানানুসারী, তারাই অবশ্যই রাসুল সা.-এর দৈনন্দিন জীবনে চর্চা করা আল্লাহর হুকুম রিলেটেড প্রতিটা কাজ, কথাকে নিজেদের জীবনের চর্চায় নিয়ে এসেছিলো। আরো ভালো করে বললে, এই চর্চাগুলো তখন সেই সমাজের কালচারের অংশ হয়ে গিয়েছিলো।
কেন?
কারণ আর কিছুই না। কোরান এই চর্চাগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিলো। তখন, এই চর্চাগুলোরই নাম ছিলো "হাদিস"।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, কোরানের মতেই, হাদিস গুরুত্বপূর্ণ।
_______________________________________
{{{কোরানটাও তাহলে ভাষণ দিয়েই প্রচার করা যেতনা? আল্লাহ কি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে (নাউযুবিল্লাহ) বুঝতে পারেননাই যে মানুষ গ্রন্থ পরিবর্তন করে ফেলবে? সেক্ষেত্রে কোরান সংরক্ষণের ঘোষনা দিলেন কিন্তু হাদীসের ব্যাপারে কিছু বললেন না? হাদীসও সেই আমলে লিখার নির্দেশ আল্লাহই দিয়ে দিতেন আর সংরক্ষণের ঘোষনাও দিয়ে দিতেন।}}}
আপনি আবার ভুল করছেন। কোরান যদি আল্লাহ সংরক্ষণ করার কথা বলে থাকেন, তাহলে অবশ্যই হেদায়াতের জন্য রাসুল সা.-কে অনুসরণ করার জন্য যেটুকু যথেষ্ট, সেইটুকু হাদিস অবশ্যই আল্লাহ সংরক্ষণ করবেন। এ্ইটা বলা লাগবে কেন? কোরান সংরক্ষণ করতে গিয়ে যদি হেদায়াতের জন্য জরূরি রাসুল সা.-এর প্র্যাক্টিসগুলোও সংরক্ষণ করা না হয়, তাহলে তো সেই রিলেটেড কোরানের আয়াতগুলোই অর্থহীন হয়ে পড়লো। ভালো করে বুঝে দেখেন, রাসুল সা.-কে অনুসরণ করাটা যদি জরূরি এবং অপরিহার্য হয়, তাহলে তার অনুসরণীয় কাজ এবং কথাগুলো সংরক্ষণ করাও জরূরি। নয়তো কোরান সংরক্ষণ করাটাই তো অর্থহীন হয়ে পড়ে।
এর অর্থ হলো, আল্লাহ যদি বলে থাকেন যে কোরান সংরক্ষণ আল্লাহ করবেন, এর মানে হলো আল্লাহ প্রয়োজনীয় হাদিসগুলোও সংরক্ষণ করবেন।
________________________________________
{{{গুরুত্বপূর্ণ নাম্বারগুলো শুধু আপনার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলে আপনি তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতেন। আলীও তাই করেছিলেন। তাই আমাদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ নয় সেটা দেখার কি দরকার?}}}
চমৎকার কথা বলেছেন, কিন্তু খেয়াল করেন নি যে এই কথাটা আসলে আপনার কথার বিপক্ষেই যাচ্ছে। আলি কিন্তু সেইগুলো গোপনে সংরক্ষণ করেন নি। বা অন্যকথায়, সংরক্ষণ করে ব্যাপারটা এবং তার কন্টেন্টস গোপন রাখেন নি। উপরে আমি বুখারির একটা হাদিস উল্লেখ করেছি, যেখাএন দেখানো হয়েছে যে, আলি সেই সহিফার কন্টেন্টস থেকে পাবলিকের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন। সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই তিনি সেইটা করেছেন।
__________________________________
{{{আয়েশার নিজের লিখা হাদীস হলে আপত্তি ছিলনা। কিন্তু অমুক বলেছেন তমুক বলেছেন সেমুক বলেছেন আয়েশা বলেছেন দিয়ে বুঝা যায়না যে আয়েশা এই কথাই বলেছিলেন।}}}
আপনার এই কথার সবথেকে সিম্পল অর্থ হলো, আবু হুরাইরা নামক সাহাবির বিপক্ষে যত কথা বলেন হাদিসবিরোধীরা, আসলে সেইসব যতই মিথ্যা বলে প্রমাণ করি না কেন, কোনো লাভ নাই, কারণ, তখন আর একটা জাল বিছানো আছে সেইটা উত্তোলিত করা হবে, সেইটা হলো, বুঝলাম আবু হুরাইরা ভালো লোক, কিন্তু এই হাদিস তিনি বলছেন বললেই কি বুঝা যায় যে এইটা আসলৈই তিনি বলেছেন?
আমি কি ঠিক বলেছি, মেহেদী সাহেব?
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি কিন্তু আপনার হাদিস-কেন্দ্রিক মতামতেও কনসিস্টেন্ট না। এই পোস্টেরই এক কমেন্টে আপনি বলছেন যে বুখারিদেরকে আপনার কৃমিনালই মনে হয় {{হাদীস পড়ে আমার অন্তত নিরপেক্ষ ভাবে মনে হচ্ছে যে তারা ক্রিমিনাল ছিলেন।}}, আর এক কমেন্টে বলছেন {{আমি বুখারীদেরকে ক্রিমিনাল বলে মনে করিনা তবে তারা অনেক অন্যায় করেছেন বলে মনে করি।}}
_________________________________________________
ড.শাব্বির যেভাবে বুখারীদেরকে ক্রিমিনাল মনে করেন (বুখারীরা নিজে নিজেই হাদীস বানিয়েছেন) আমি নিশ্চিৎ ভাবে তেমন মনে করিনা কারণ ভিন্ন ভিন্ন রাবীর মতামত দেখা যায়। কিন্তু আমি মনে করি তারা হাদীস লিখে অন্যায় করেছেন (ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়ার মত)। নবী সাহাবী খলিফাদের দায়িত্ব বুখারীর চাইতে অনেক বেশী ছিল হাদীস লিখা জরুরী হলে। তো এই অন্যায় তো এক অর্থে ক্রাইমই তাই না? আমি বুখারীদেরকে ক্রিমিনাল মনে করিনা বলতে শাব্বিরের ধারণার মত ক্রিমিনাল মনে করিনা বুঝিয়েছি তা একটু চাইলেই বুঝতে পারতেন। কারণ একই বাক্যে আমি তাদেরকে অন্যায়কারীও বলেছি। তাই সেলুকাসকে আপাতত তার জায়গাতেই থাকতে দেন।
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
এক কমেন্টে বলছেন যে হাদিসের অসারতা নিয়ে আপনার কোনো সন্দেহ নাই এবং এবিষয়ে আপনি ড. শাব্বিরের সাথে একমত {{হাদীস শাস্ত্রের অসারতার বিষয়ে আমি তার সাথে পুরো একমত। }}, এবং অন্য এক কমেন্টে বলছেন {{আমি ড.শাব্বিরের অন্ধ ভক্ত নই, তার মত আমি হাদীস শাস্ত্রকে বাতিল বলে মনে করিনা}}
_________________________________________________
এখানেও কেন সেলুকাসকে বিরিক্ত করতে চাইলেন বুঝলাম না। হাদীস শাস্ত্রের অসারতা মানে হাদীসকে জীবন পদ্ধতির মূল সোর্স হিসেবে নেবার আপত্তির কথা বলেছি তা এই পোস্ট কমেন্ট সহ শুরু থেকে পড়লেই বুঝতে পারতেন। তাই বলে যে আমি হাদীস শাস্ত্রকে বাতিল মনে করি তা হবে কেন? হাদীসের ভাল উত্তম কিছু পেলে তা গ্রহণ করতে আমার আপত্তির কথা কোথাও বলেছি কি?
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
১) কোরান কি বলে যে হাদিস গুরুত্বপূর্ণ?
---কোরান বলে যে আল্লাহর হুকুম মানার যতগুলো ক্ষেত্র রয়েছে দৈনন্দিন জীবনে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাসুল সা. কী করছেন, কীভাবে করেছেন, এবং কী বলেছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, কোরানে আল্লাহ বলেছেন যে এই রাসুল সা.-কে অনুসরণ না করলে হেদায়াত পাবে না, আল্লাহর অনুগ্রহ পাবে না, এবং সেই অনুসরণ না করার একটা সমার্থক ব্যাপার হবে: আল্লাহকে ভালো-না-বাসা।
_________________________________________________
আমি তো এটা অস্বীকার করিনাই ভাই। আমাকে কেন দোষারোপ করছেন? রাসুলকে তো আমি অনুসরন করি। আমি সুন্নাহর কথা বলেছিনা? যেমন ৫ অয়াক্ত নামাজ, ওযুর নিয়ম, সুন্নতে খতনা যা একই সাথে বহু সংখ্যক উম্মত দ্বারা পালিত হয়ে আসছে বিধায় ভুল ঢুকার সম্ভাবনা নাই। কোরানেও ভুল ঢুকেনাই ঠিক এই কারণেই, বহু সংখ্যক হাফেজ একই সাথে কোরান মুখস্ত রাখতেন। তো এইভাবেই নবীকে অনুসরন করব। তো এইখানে হাদীসের সাথে সম্পর্ক টানতে যাচ্ছেন কেন? মুহাম্মদ কে অনুসরণ করা মানে কি হাদীস বিশ্বাস করা (যা মুহাম্মদ নিজে লিখেন নাই, অথরাইজও করেননাই) না সুন্নাত অনুসরণ করা আপনিই বলেন? আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিলাম আমিঃ হাদীস এর সাহায্য নিয়ে নামাজ পড়ার একক একটা নিয়ম দাঁড় করান। যার সাথে এখনকার মিল আছে। যদি পারেন তো আর বিতর্ক করবনা। হাদীস মেনে নিব। কোন নিয়মে হাদীস ভিত্তিক কন্ট্রাডিকশন পেলে কোনটা গ্রহণ করবেন এবং তা কিসের ভিত্তিতে সেটাও পরিষ্কার করবেন। আমি নিশ্চিৎ আপনি পারবেননা। তাহলে হাদীস মানার দরকারটা কি আমাকে বুঝান। কোরানের আয়াতে আল্লাহ কি বলেছেন তা ভাল করে বুঝার চেষ্টা করুন। সুন্নাহ মানুন, হাদীস নয়।
///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
কারণ আর কিছুই না। কোরান এই চর্চাগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিলো। তখন, এই চর্চাগুলোরই নাম ছিলো "হাদিস"।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, কোরানের মতেই, হাদিস গুরুত্বপূর্ণ।
________________________________________________
ভাই এটা কি বললেন? তখন এই চর্চাগুলোর নাম হাদীস ছিল? আপনাকে বলিনাই যে কোরানে অন্তত ১০ টা আয়াতে হাদীস শব্দ দ্বারা কোরানকেই বুঝানো হয়েছে? অন্যদিকে মূল আসমানী কিতাব এর সাথে নবীদের হাদীস এর কারণেই যে পূর্ববর্তী অনেক প্রজন্ম ধ্বংশ হয়েছে তা তো খলিফার বক্তব্যেই জানা যায়। তাহলে কি বলবেন? রেফারেন্স আগেই দেয়া হয়েছে।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
এর অর্থ হলো, আল্লাহ যদি বলে থাকেন যে কোরান সংরক্ষণ আল্লাহ করবেন, এর মানে হলো আল্লাহ প্রয়োজনীয় হাদিসগুলোও সংরক্ষণ করবেন।
____________________________________
আল্লাহ কি তা করেছেন? হাদীস সংরক্ষণের সেই ঘোষনা কি আল্লাহ দিয়েছেন? তাহলে জাল হাদীসগুলো ঢুকার সুযোগ পেয়েছিল কিকরে? তাহলে তাওরাত বিকৃত হয়েছে বলছেন কেন? প্রয়োজনীয় বাইবেলও তো ইহুদী খ্রীস্টানদের নিকট সংরক্ষিত হয়েই আছে। সেখান থেকে এক্সট্রাক্ট করে নিলেই তো হয়। আর সহিহ হবার পরেও বুখারী কোন সাহসে শুধুমাত্র দৈর্ঘের কারণে হাদীস বাদ দিয়ে দিল? সে কি আল্লাহর উপরে খবরদারী করলনা? আল্লাহর ওহীকে বিলুপ্ত করে দিলনা?
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
{{{গুরুত্বপূর্ণ নাম্বারগুলো শুধু আপনার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলে আপনি তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতেন। আলীও তাই করেছিলেন। তাই আমাদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ নয় সেটা দেখার কি দরকার?}}}
চমৎকার কথা বলেছেন, কিন্তু খেয়াল করেন নি যে এই কথাটা আসলে আপনার কথার বিপক্ষেই যাচ্ছে। আলি কিন্তু সেইগুলো গোপনে সংরক্ষণ করেন নি। বা অন্যকথায়, সংরক্ষণ করে ব্যাপারটা এবং তার কন্টেন্টস গোপন রাখেন নি। উপরে আমি বুখারির একটা হাদিস উল্লেখ করেছি, যেখাএন দেখানো হয়েছে যে, আলি সেই সহিফার কন্টেন্টস থেকে পাবলিকের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন। সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই তিনি সেইটা করেছেন।
___________________________________
আপনি খুবই শিশুতোষ ভুল করে ফেলেছেন এইখানে। প্রথমে আপনি বলেছিলেন যে অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আপনি লিখে রাখেননা, মনের মাঝেই রেখে দেন, যেমন ফোন নাম্বার। সেই অনুসারেই বলেছিলেন আলীও অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো লিখেননাই মনের মাঝেই রেখেছিলেন। কিন্তু এখন কথা ঘুরিয়ে অন্য কথা বলছেন। তো আপনার এই ঘুরানো কথা অনুযায়ীই বলিঃ সহিফাই আলীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল তাই সেটা লিখে তিনি প্রচারও করেছিলেন। এর বাইরের জিনিস এত জরুরী ছিলনা বলেই লিখেননাই। তাই সহিফার বাইরের বুখারী নিয়ে এত নাচা নাচি করার কি দরকার?
///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনার এই কথার সবথেকে সিম্পল অর্থ হলো, আবু হুরাইরা নামক সাহাবির বিপক্ষে যত কথা বলেন হাদিসবিরোধীরা, আসলে সেইসব যতই মিথ্যা বলে প্রমাণ করি না কেন, কোনো লাভ নাই, কারণ, তখন আর একটা জাল বিছানো আছে সেইটা উত্তোলিত করা হবে, সেইটা হলো, বুঝলাম আবু হুরাইরা ভালো লোক, কিন্তু এই হাদিস তিনি বলছেন বললেই কি বুঝা যায় যে এইটা আসলৈই তিনি বলেছেন?
আমি কি ঠিক বলেছি, মেহেদী সাহেব?
___________________________________
ঠিকই বলেছেন। কে ভাল ছিল আর কে ভাল ছিলনা এ থেকেই সব কিছু বুঝা যায় না। অতি সৎ ব্যক্তিও মাঝে মাঝে অসততা করতে পারেন। আপনি বরং নিচের মন্তব্যগুলোতে প্রমাণ করে দেখান যে হাদীস বিজ্ঞানের ইন্টারপ্রিটেশন সর্বসম্মতভাবে সত্য বলে প্রমাণ করা সম্ভব
১১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{লিঙ্কের যুক্তিগুলোতে Schacht মূলত দ্বিতীয় বা তৃতীয় জেনারেশনে জাল হাদীসের সূচনা হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন। কিন্তু আমি যদি প্রথম জেনারেশন থেকেই সন্দেহ করি? ১ম জেনারেশনে দেখলাম আবু হুরায়রা সহ আয়েশা, আলী, ইবনে মাসুদ ইত্যাদি আরও অনেকে ছিলেন। এখন আবু হুরায়রাকেই আমি ফেব্রিকেটর ধরলাম। তো আবু হুরায়রা তার ১৪ জন ছাত্রের মাঝে একটা জাল হাদীস ছড়িয়ে দিলেন (ছাত্রেরা কেউ জানলনা এটা জাল, আবার হুরায়রা মাঝে মাঝে সত্যি হাদীসও বর্ণনা করেন), কিন্তু হুরায়রার ট্রিকটা হলো তার গোপন আরেক দল ছাত্র (সহযোগী) আছে যারা জাল হাদীস বানানোর কারিগর। তো তারা হুরায়রার কাছ থেকে জাল হাদীসটা শুনে মিথ্যা প্রচার করল যে আলীর কাছ থেকে শুনেছে (কারণ তার সাথে আলীর যোগাযোগ ছিল) কেউ প্রচার করল আয়েশার কাছ থেকে শুনেছে (কারণ তার সাথে আয়েশার যোগাযোগ ছিল) এর পাশাপাশি তারা সত্য হাদীসও প্রচার
করল যা সত্যিই আলী বা আয়েশার কাছ থেকে শুনেছে। মিথ্যা হাদীসগুলো প্রচারের সময় তারা একটু সাবধান রইল যেন ধরা পড়ে না যায় (হয়তো দেরী করে প্রচার করেছিল, হয়তো তাদের মৃত্যুর পর) এদিকে হুরায়রার সাথে যে এদের যোগাযোগ আছে তা নিজেদের স্বার্থেই তারা গোপন রেখেছিল। ব্যস হয়ে গেল। পরবর্তী প্রজন্মের বাঘা বাঘা স্কলারেরও সাধ্য নাই এটা ধরে। এবার আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে আয়েশা বা আলীর রেফারেন্সে হাদীস বলেছে এমন সকলের সাথে হুরায়রার যোগাযোগ হওয়া একেবারেই অসম্ভব ছিল? যদি না পারেন তাহলে আমার যুক্তি খন্ডাতে পারবেন না। হুরায়রার অতিরিক্ত পরিমান হাদীস বর্ণনার ঘটনার সাথে আমার যুক্তিটি মিলানো যায়।}}}
আপনার এই মন্তব্যটা আমার খুবই পছন্দ হলো। আমি খুবই আগ্রহ পাচ্ছি এই হাইপোথেসিসটা নিয়ে কথা বলতে। দেখি না চেক করে, তাই না?
কিন্তু আলোচনা শুরুর আগে, আমাকে কয়েকটা পয়েন্ট পরিষ্কার করে দেন।
১) এই তত্ত্ব নিয়ে কাজ করতে গেলে আবু হুরাইরার মোটিভ নিয়ে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। সো, আমি এ্যাজিউম করে নিচ্ছি যে এইখানে আবু হুরাইরার মোটিভ ছিলো ইসলামের ভেতরে বিকৃতি ঢুকানো।
সেইক্ষেত্রে আমার কমনসেন্স বলে, আয়েশা বা আলীর নামে হাদিস অনেক বেশি রচনা করানো উচিত ছিলো। কারণ রাসুল সা.-এর সাথে মাত্র তিনবছর কাটানো আবুহুরাইরার তুলনায় তাদের নামে কম হাদিস, এইটাই একটা বড় সন্দেহের কারণ। সুতরাং, এই তত্ত্বের সবথেকে বড় দুর্বলতা এই যে এই তত্ত্বানুসারে আবু হুরাইরা ইসলামে বিকৃতি ঢুকানোর জন্য সংঘবদ্ধভাবে একটা কাজ করেছেন, কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আয়েশা, আবু বকর, ওসমান, আলী ইত্যাদির নামে সন্দেহ ঘুচানোর মতো যথেস্ট বেশি হাদিস রচনা করাতে পারেন নি।
এই মাত্র একটা কারণেই এই তত্ত্ব ঠিক ধৌপে টেকে না, আমার মতে।
২) বুখারি সাহেবদের কাছে আবু হুরাইরাদের হাদিস পৌঁছানো পর্যন্ত হাদিসগুলোর স্ট্যাটাস আমরা কী হিসেবে এ্যাজিউম করে নেবো? আমার এই কথা বলার কারণটা হলো, যদি হাদিসগুলো বিকৃত হয়েছে, অর্থাৎ আবু হুরাইরার রচিত হাদিস অবিকৃত অবস্থায় বুখারি সাহেবদের কাছে পৌঁছে নি বলে ধরে নেই, তাহলে আবু হুরাইরার হাদিস রচনার প্রসঙ্গ এখানে গৌন হয়ে পড়ে।
ইনফ্যাক্ট তখন আবু হুরাইরা ফ্যাব্রিকেটর, এটা বলার কোনো দরকারই পড়ে না। কারণ যদি আমরা ধরেই নেই যে পরবর্তীতে কেউ হাদিস রচনা করেছে, তাহলে বরং এটা ধরাই তো অধিক যৌক্তিক হয় যে সে আবু হুরাইরার নাম নিয়ে হাদিস রচনা করেছে। আমাদের প্রকল্পই যেহেতু আবু হুরাইরার হাদিস "রচনাকারী" হবার সম্ভাবনা পরখ করা, সেহেতু ধরে নিতে কি পারি যে বুখারি সাহেব পর্যন্ত আবু হুরাইরার রচিত হাদিসগুলো অবিকৃত অবস্থায় পৌঁছেছে?
৩) কিন্তু উপরের ধারণাটা যদি সত্য হয়, তাহলে আর একটা কথাও সত্য হয়ে যায়, সেটা হলো, হাদিস অবিকৃত অবস্থায় সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব।
এই সিদ্ধান্ত কি আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত?
যদি প্রস্তুত না হই, তাহলে আমাদেরকে স্পষ্টভাবে এবঙ অবিকল্পভাবে ধরে নিতে হবে যে বুখারীদের সময় পর্যন্ত, আবু হুরাইরার রচিত হাদিসগুলো আরো এক বা একাধিক দফা বিকৃতির শিকার হয়েছে।
কিন্তু ২ নং অনুসারে, সেইটাই যদি আমি ধরে নি, তাহলে আবু হুরাইরাকে সন্দেহ করার কোনো নিশ্চিত সুযোগ নেই, এবং এই এ্যাজামশন ধরে কাজ করারও কোনো ফায়দা নেই।
অর্থাৎ, ২ এবং ত নং থেকে আমরা যেটা পাই সেটা হলো, হয় আমি আবু হুরাইরাকে নিশ্চিতভাবে এ্যাকিউজ করবো, আর নাহয়তো, স্বীকার করবো যে হাদিস সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত অবিকৃতভাবে পৌঁছানো সম্ভব।
১১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪৪
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{লিঙ্কের যুক্তিগুলোতে Schacht মূলত দ্বিতীয় বা তৃতীয় জেনারেশনে জাল হাদীসের সূচনা হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন। কিন্তু আমি যদি প্রথম জেনারেশন থেকেই সন্দেহ করি? ১ম জেনারেশনে দেখলাম আবু হুরায়রা সহ আয়েশা, আলী, ইবনে মাসুদ ইত্যাদি আরও অনেকে ছিলেন। এখন আবু হুরায়রাকেই আমি ফেব্রিকেটর ধরলাম। তো আবু হুরায়রা তার ১৪ জন ছাত্রের মাঝে একটা জাল হাদীস ছড়িয়ে দিলেন (ছাত্রেরা কেউ জানলনা এটা জাল, আবার হুরায়রা মাঝে মাঝে সত্যি হাদীসও বর্ণনা করেন), কিন্তু হুরায়রার ট্রিকটা হলো তার গোপন আরেক দল ছাত্র (সহযোগী) আছে যারা জাল হাদীস বানানোর কারিগর। তো তারা হুরায়রার কাছ থেকে জাল হাদীসটা শুনে মিথ্যা প্রচার করল যে আলীর কাছ থেকে শুনেছে (কারণ তার সাথে আলীর যোগাযোগ ছিল) কেউ প্রচার করল আয়েশার কাছ থেকে শুনেছে (কারণ তার সাথে আয়েশার যোগাযোগ ছিল) এর পাশাপাশি তারা সত্য হাদীসও প্রচার
করল যা সত্যিই আলী বা আয়েশার কাছ থেকে শুনেছে। মিথ্যা হাদীসগুলো প্রচারের সময় তারা একটু সাবধান রইল যেন ধরা পড়ে না যায় (হয়তো দেরী করে প্রচার করেছিল, হয়তো তাদের মৃত্যুর পর) এদিকে হুরায়রার সাথে যে এদের যোগাযোগ আছে তা নিজেদের স্বার্থেই তারা গোপন রেখেছিল। ব্যস হয়ে গেল। পরবর্তী প্রজন্মের বাঘা বাঘা স্কলারেরও সাধ্য নাই এটা ধরে। এবার আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে আয়েশা বা আলীর রেফারেন্সে হাদীস বলেছে এমন সকলের সাথে হুরায়রার যোগাযোগ হওয়া একেবারেই অসম্ভব ছিল? যদি না পারেন তাহলে আমার যুক্তি খন্ডাতে পারবেন না। হুরায়রার অতিরিক্ত পরিমান হাদীস বর্ণনার ঘটনার সাথে আমার যুক্তিটি মিলানো যায়।}}}
আপনার এই মন্তব্যটা আমার খুবই পছন্দ হলো। আমি খুবই আগ্রহ পাচ্ছি এই হাইপোথেসিসটা নিয়ে কথা বলতে। দেখি না চেক করে, তাই না?
কিন্তু আলোচনা শুরুর আগে, আমাকে কয়েকটা পয়েন্ট পরিষ্কার করে দেন।
১) এই তত্ত্ব নিয়ে কাজ করতে গেলে আবু হুরাইরার মোটিভ নিয়ে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। সো, আমি এ্যাজিউম করে নিচ্ছি যে এইখানে আবু হুরাইরার মোটিভ ছিলো ইসলামের ভেতরে বিকৃতি ঢুকানো।
সেইক্ষেত্রে আমার কমনসেন্স বলে, আয়েশা বা আলীর নামে হাদিস অনেক বেশি রচনা করানো উচিত ছিলো। কারণ রাসুল সা.-এর সাথে মাত্র তিনবছর কাটানো আবুহুরাইরার তুলনায় তাদের নামে কম হাদিস, এইটাই একটা বড় সন্দেহের কারণ। সুতরাং, এই তত্ত্বের সবথেকে বড় দুর্বলতা এই যে এই তত্ত্বানুসারে আবু হুরাইরা ইসলামে বিকৃতি ঢুকানোর জন্য সংঘবদ্ধভাবে একটা কাজ করেছেন, কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আয়েশা, আবু বকর, ওসমান, আলী ইত্যাদির নামে সন্দেহ ঘুচানোর মতো যথেস্ট বেশি হাদিস রচনা করাতে পারেন নি।
এই মাত্র একটা কারণেই এই তত্ত্ব ঠিক ধৌপে টেকে না, আমার মতে।
২) বুখারি সাহেবদের কাছে আবু হুরাইরাদের হাদিস পৌঁছানো পর্যন্ত হাদিসগুলোর স্ট্যাটাস আমরা কী হিসেবে এ্যাজিউম করে নেবো? আমার এই কথা বলার কারণটা হলো, যদি হাদিসগুলো বিকৃত হয়েছে, অর্থাৎ আবু হুরাইরার রচিত হাদিস অবিকৃত অবস্থায় বুখারি সাহেবদের কাছে পৌঁছে নি বলে ধরে নেই, তাহলে আবু হুরাইরার হাদিস রচনার প্রসঙ্গ এখানে গৌন হয়ে পড়ে।
ইনফ্যাক্ট তখন আবু হুরাইরা ফ্যাব্রিকেটর, এটা বলার কোনো দরকারই পড়ে না। কারণ যদি আমরা ধরেই নেই যে পরবর্তীতে কেউ হাদিস রচনা করেছে, তাহলে বরং এটা ধরাই তো অধিক যৌক্তিক হয় যে সে আবু হুরাইরার নাম নিয়ে হাদিস রচনা করেছে। আমাদের প্রকল্পই যেহেতু আবু হুরাইরার হাদিস "রচনাকারী" হবার সম্ভাবনা পরখ করা, সেহেতু ধরে নিতে কি পারি যে বুখারি সাহেব পর্যন্ত আবু হুরাইরার রচিত হাদিসগুলো অবিকৃত অবস্থায় পৌঁছেছে?
৩) কিন্তু উপরের ধারণাটা যদি সত্য হয়, তাহলে আর একটা কথাও সত্য হয়ে যায়, সেটা হলো, হাদিস অবিকৃত অবস্থায় সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব।
এই সিদ্ধান্ত কি আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত?
যদি প্রস্তুত না হই, তাহলে আমাদেরকে স্পষ্টভাবে এবঙ অবিকল্পভাবে ধরে নিতে হবে যে বুখারীদের সময় পর্যন্ত, আবু হুরাইরার রচিত হাদিসগুলো আরো এক বা একাধিক দফা বিকৃতির শিকার হয়েছে।
কিন্তু ২ নং অনুসারে, সেইটাই যদি আমি ধরে নি, তাহলে আবু হুরাইরাকে সন্দেহ করার কোনো নিশ্চিত সুযোগ নেই, এবং এই এ্যাজামশন ধরে কাজ করারও কোনো ফায়দা নেই।
অর্থাৎ, ২ এবং ৩ নং থেকে আমরা যেটা পাই সেটা হলো, হয় আমি আবু হুরাইরাকে নিশ্চিতভাবে এ্যাকিউজ করতে পারবো-না (অর্থাৎ, আপনার তত্ত্বটা ভুল), আর নাহয়তো, স্বীকার করবো যে হাদিস সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত অবিকৃতভাবে পৌঁছানো সম্ভব।
২০ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার ১ নং পয়েন্টের প্রেক্ষিতেঃ আপনি যে যুক্তি দিয়েছেন তা অবশ্যই একটা যুক্তি, কিন্তু এটা নিশ্চিৎ প্রমাণ নয়। আপনার মতে আবু হুরায়রার হাদীস বিকৃতি ধোপে টেকেনা কারণ সেটা সত্যি হলে তিনি একাই এত বেশী হাদীস রচনা করতেননা বরং আলী আয়েশার নামে আরও বেশী হাদীস প্রচার করাতেন।
কিন্তু ঠিক এই কারণেই আমার মতে আবু হুরায়রার হাদীস বিকৃতি ধোপে টেকে। কারণ তারও ভয় ছিল যদি কোনও ভাবে ব্যাপারতা ফাঁস হয়ে যায় যে আলী এটা বলেননি তাহলে তিনি সমস্যায় পড়তেন। সেটা অনেক উপায়েই হতে পারে। অপরাধী সাধারণত নিজের অপরাধ লুকানোর চেষ্টাই করে। আর যদি ধরেও নেই যে তিনি আলীর নামে হাদীস হাদীস প্রচার করলেও সমস্যায় পড়তেননা তবু এই যুক্তিতে আসা যায় যে তিনি নিজের নামেই বেশী প্রচার করতে পছন্দ করতেন পরিচিতির আশায়, আর এতে কোন সমস্যাও নেই কারণ ততদিনে তার বিশ্বস্ততা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে (যেহেতু আলী, আয়েশা একই হাদীস প্রচার করেছেন)
আমার যুক্তিটাও যে সঠিক তা নিশ্চিৎ করে বলা যাচ্ছেনা। তাই এই ব্যাপারে সাধারণ যুক্তিবোধ আপাতত বাইরে রাখি। তখনই নিশ্চিৎ হতে পারব যখন প্রমাণ করা সম্ভব যে ২য় জেনারেশনের সকল রাবী যারা আবু হুরায়রার রেফারেন্স দেননি তাদের সাথে আবুহুরায়রার যোগাযোগ একেবারেই অসম্ভব ছিল।
আপনার ২ নং পয়েন্টের প্রেক্ষিতেঃ জ্বী এটা ধরে নিতে পারি যে তা অবিকৃত ভাবে বুখারীর কাছে পৌছানো সম্ভব। তবে এর জন্য পূর্বশর্ত হল তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা। ২য় বা ৩য় প্রজন্মের অনেক দূরবর্তী ইসনাদের (শব্দটার ভুল প্রয়োগ করে ফেলেছি মনে হয়, তবু বুঝে নিয়েন) মাঝে যোগাযোগ হওয়া একেবারেই সম্ভব ছিলনা তা প্রমাণ করতে হবে। এমন কি হতে পারেনা যে হজ্বের সময় যোগাযোগ হয়ে গেল? সে ইসনাদদের জীবনী যারা লিখেছেন তারাও যে তাদের বাসস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়েছেন তা কি নির্ভরযোগ্য সূত্রে বলা যাবে? আশা করছি অনেক হাদীসের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব, সেই সব হাদীস সত্য বলে ধরে নিতে আমার কোন আপত্তি নাই। তবে প্রথম জেনারেশনে যদি বেশ কয়েকজন রাবী (যেমন আবু হুরায়রা প্লাস আলী প্লাস আয়েশা প্লাস ইবনে মাসুদ ইত্যাদি) না থাকে, শুধুমাত্র আবু হুরায়রা থাকে সে ক্ষেত্রে সন্দেহের জায়গা থেকেই যাবে। অন্যথায় হাদীস বিজ্ঞানের কল্যাণে এইরকম হাদীস মেনে নিতে আমার সত্যি কোন আপত্তি নাই।আর আবু হুরায়রার পরবর্তী জেনারেশন এর সকলেই যদি ১০০% সত্য আর সঠিকও হয় সেটা কিভাবে প্রমাণ করে যে আবু হুরায়রা সত্য বলেছিলেন? আগে ১ নং পয়েন্ট প্রমাণ করুন।
আপনার ৩ নং পয়েন্টের প্রেক্ষিতেঃ জ্বী আমি এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। আমি তো সেটা আগেই মেনে নিয়েছি। আমি তো বলিনা যে সকল হাদীসই মিথ্যা আর ভুল। আমি যদি ধরেও নেই যে আবু হুরায়রা মিথ্যা হাদীস প্রচার করেছেন, আমিতো এটাও ধরে নিয়েছি যে তিনি একই সাথে সত্য হাদীসও প্রচার করেছেন। সেই সত্য হাদীসটা ইসনাদের মাধ্যমে বের করা গেলে আমি কেন তা মেনে নিবনা? তবে ইসনাদ ছাড়াও অন্যভাবে সেটা বের করা যায়। তা হল কোরান দিয়ে। কোরানের বক্তব্যের সাথে সরাসরী সঙ্গতিপূর্ণ হাদীস আমি তো আমি সবসময়ই মেনে নেই।
{{অর্থাৎ, ২ এবং ৩ নং থেকে আমরা যেটা পাই সেটা হলো, হয় আমি আবু হুরাইরাকে নিশ্চিতভাবে এ্যাকিউজ করতে পারবো-না (অর্থাৎ, আপনার তত্ত্বটা ভুল), আর নাহয়তো, স্বীকার করবো যে হাদিস সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত অবিকৃতভাবে পৌঁছানো সম্ভব।}}
এইখানে আপনি কথার প্যাঁচ ফেলেছেন বলে কষ্ট পেলাম। আপনি আইদার /অর সিচুয়েশন এনেছেন কেন? তৃতীয় পরিস্থিতি আছেনা? ২ এবং ৩ নং থেকে আমরা আসলে পাই আবু হুরায়রাকে আমরা নিশ্চিৎ ভাবে দোষও দিতে পারবনা আবার নিশ্চিৎভাবে তাকে নির্দোষও বলতে পারবনা। আর স্বীকার করবো যে হাদিস সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত অবিকৃতভাবে পৌঁছানো যেমন সম্ভব তেমনি বিকৃতভাবেও পৌঁছানো সম্ভব (দুটো আবার একই সাথে ঘটতে পারে)। আগে ১নং পয়েন্ট প্রমাণ করেন তারপর ২ নং আর ৩ নং এ আসেন। ১ নং প্রমাণ না করেই আমার তত্ত্ব ভুল বলে দিলেন?
১১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪৯
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: ১১৭ নং কমেন্টটা হয় মুছৈ দেন, নয়তো ইগনোর করেন। ঐ মন্তব্যে আমার আসল কথাগুলোই ভুল এসেছে:
অর্থাৎ, ২ এবং ৩ নং থেকে আমরা যেটা পাই সেটা হলো, হয় আমি আবু হুরাইরাকে নিশ্চিতভাবে এ্যাকিউজ করতে পারবো-না (অর্থাৎ, আপনার তত্ত্বটা ভুল), আর নাহয়তো, স্বীকার করবো যে হাদিস সাহাবীদের আমল থেকে বুখারীদের আমল পর্যন্ত অবিকৃতভাবে পৌঁছানো সম্ভব।
২০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অসম্ভব ব্যস্ততার জন্য আমি আপনার দ্রুত আলোচনার সাথে তাল মেলাতে পারছিনা। আশা করি ব্যাপারটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি একটু আস্তে ধীরে আপনার মন্তব্যের জবাব দেব আর নতুন আলোচনা করব। ধন্যবাদ।
১১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২৯
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: {{{এইখানে আপনি কথার প্যাঁচ ফেলেছেন বলে কষ্ট পেলাম। }}}
আমার মনে হয় না আপনি যথেষ্ট সময় ও ঠাণ্ডা মাথা নিয়ে মন্তব্যটা পড়েছেন। আপনাকে যেটুকু বুঝেছিলাম, তাতে এই মন্তব্যটায় আপনার আরো আগ্রহ পাবে বলে মনে হয়েছিলো।
আপনার অন্য জবাবগুলোও পড়লাম। আর তাতেও মনে হলো, আসলেই আপনার সময় নেই। প্রথম প্রথম যুক্তির যাও এক আধটু আলোচ্ছটা দেখা যাচ্ছিলো, শেষদিকে সেরকম পাই নি। অবশ্য সেটা আমার বুঝার ভুলও হতে পারে।
সুন্নাহর প্রতি যদি আপনার আগ্রহ টিকে থাকে, তাহলে হাদিস নিয়ে আমি আর তর্ক করছি না। দোয়া করছি, এই আগ্রহ যেন শেষমেষ আসলেই থাকে। ঠিক এই অবস্থাতেই শেষ করছি এই বিতর্ক। ভালো থাকবেন।
২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খুবই পিছলা মার্কা কথা বলে পালিয়ে যেতে চাচ্ছেন। শেষদিকে আমার কোন যুক্তিতে ভুল পেলেন তা বলুন না। আর ইসনাদের ব্যাপারটা যে আপনি পুরা প্যাঁচ মেরেছেন তা সাধারণ পাঠক মাত্রই বুঝবে। আমি তো আপনার ২ আর ৩ নং পয়েন্ট মেনেই নিয়েছি। তাহলে ১ নং প্রমাণ করেন তবেই আমি পুরাপুরি হাদীস মেনে নিতাম। কিন্তু আপনি ১ নং প্রমাণ না করেই এখন ফাঁকি মারা মন্তব্য করে আমাকে অযৌক্তিক বলে পালিয়ে যাচ্ছেন? সত্যিই হতাশ করলেন !!
১১৯| ২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫৯
মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন:
পোষ্ট পড়লাম।
অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছে। আমারো অনেক কিছু বলার ছিলো। কমেন্ট বড় করতে ইচ্ছে হলো না।
তবে লেখক, আপনার জানার আরো অনেক অনেক কিছু বাকী আছে। আপনি যেগুলো কথা বলেছেন , ভবিষ্যতে যখন আরো জানবেন তখন এই পোষ্টকে ছেলে মানুষি মনে হবে।
ধন্যবাদ।
২১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৪৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। জ্বী ভাই আমার জানার অনেক কিছু বাকি আছে। আমি জানার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এইভাবে ভবিষ্যতে আরও জানার পরে যদি মনে হয় আমি ছেলেমানুষি করেছি তাতে তো কোন ক্ষতি নাই। আমি এইটুকু অন্তত শান্তি পাচ্ছি যে আমি অন্ধভাবে কোনকিছু ফলো করছিনা ঠিক যেভাবে আল্লহ কোরানে নির্দেশ দিয়েছেন। আমার কাছে যা যৌক্তিক মনে হচ্ছে তাই ঠিক মনে করছি। ভবিষ্যতে হাদীস সত্য মনে হলে অবশ্যই আমি হাদীস পালন করব। দেখা যাক কি হয়। কিন্তু আপনি এতটা নিশ্চিত হলেন কিকরে যে আপনার জানাটাই ঠিক? আপনি এসেছেন যখন কিছু না হয় জানিয়ে যেতেন আমাকে। হয়তো উপকৃত হতাম। ধন্যবাদ।
১২০| ২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:২০
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: কেউ যদি কোনো একটা তত্ত্ব দেয়, তাহলে বার্ডেন অব প্রুফ কিন্তু তার। আমি শুধু বলছিলাম, কয়েকটা পয়েন্ট পরিষ্কার করেন, তাহলে আপনার এই হাইপোথেসিসটা নিয়ে কথা বলতাম। আমি বরং আগ্রহীই ছিলাম।
১নং পয়েন্ট আপনি পরিষ্কার করতে পারেন নি। আমি বলেছিলাম, স্বাভাবিক যুক্তিতে, যার মোটিভ ইসলামের ক্ষতি করা, সে অবশ্যই সেই পদ্ধতিই ব্যবহার করবে যাতে ইসলামের আসলেই সে ক্ষতি করতে পারবে। আবু হুরাইরা মাত্র তিনবছর রাসুল সা.-এর সাথে ছিলেন। এই তিনবছরে অত হাদিস তৈরি করা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলেই একটা সন্দেহের ব্যাপার। যেহেতু আপনিই বলেছেন যে সে অত্যন্ত সাবধানে কাজ করেছে যেন ধরা না পড়ে, সেহেতু এই সন্দেহ তৈরিটাও আবু হুরাইরা করতে দিতে পারেন না। সুতরাং অবশ্যই তিনি নিজের নামে হাদিস তৈরি করলৈও আয়েশা বা আলী বা আবুবকরের চাইতে বেশী হাদিস তৈরি করতেন না।
এটা আমার যুক্তিবোধ থেকে বলেছি। এবং এই যুক্তি যদি আপনি খণ্ডন করতে না পারেন, তাহলে আপনার হাইপোথেসিসকে এখান থেকেই বিদায় জানানো উচিত। ইনফ্যাক্ট খণ্ডন করতে পারলে আমরা আরো আলোচনা চালাইতেই পারি। সেইজন্যই পরিষ্কার করতে বলেছি।
জবাবে আপনি যেটা করেছেন, তা হলো, পাল্টা একটা যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন। বলেছেন:
{{{কিন্তু ঠিক এই কারণেই আমার মতে আবু হুরায়রার হাদীস বিকৃতি ধোপে টেকে। কারণ তারও ভয় ছিল যদি কোনও ভাবে ব্যাপারতা ফাঁস হয়ে যায় যে আলী এটা বলেননি তাহলে তিনি সমস্যায় পড়তেন। সেটা অনেক উপায়েই হতে পারে। }}}
এই কথাগুলো যে আপনারই বিপক্ষে যায়, সেইটা কি বুঝতে পারছেন না? আপনি তো আমার যুক্তি স্বীকার করেই এসেছেন। তারউপর আবার যে-যুক্তি দিচ্ছেন, তাতে মনে হয় যে আলি আয়েশার নামেও হাদিস বানানোর যুক্তি আবু হুরাইরার নেই, কারণ তাহলেই তো একটা ঝুঁকি থেকে যেত। সুতরাং যেটা হবার কথা ছিলো, সেটা হলো, একেবারেই অন্যকারো নামে হাদিস বানানো হবে। এমন কারো নামে যার নামে কোনো সন্দেহ তৈরির ঝুকি আসবে-না, কিন্তু ইসলামের সিঁদটা ঠিকই কাটা যায়। আবার নিজের নামেও কিছু হাদিস তৈরি করা হবে, যাতে একটু পরিচিতি পাওয়া যায়।
সুতরাং, আমার যুক্তিটা আপনার যুক্তি দ্বারা আরো সমৃদ্ধ হলো, আসলে। এবং আপনার হাইপোথেসিসটা আপনার নিজেরই দেয়া যুক্তিতে আরো দূর্বল হলো, আসলে।
_________________
আরো গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার রয়েছে ১ নং কেন্দ্রিক।
যদি হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন সমাজে বহুলভাবে প্রচলিতনা থাকতো, তাহলে আবু হুরাইরার মাথায় হাদিস বানানোর মাধ্যমে ইসলামের বারোটা বাজানোর চিন্তা আসাতো না নিশ্চয়ই, কারণ তাহলে সন্দেহ চলে আসতো সবার মধ্যে। আর তাহলে, ধরা পড়ে যাওয়াটা খুব ইজি হয়ে যেত। সুতরাং, আপনার হাইপোথেসিসটার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়া উচিত এই যে তখন সমাজে হাদিস লেখার অনুমতির কথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিলো।
আপনি কি এ্ইটা মানতে প্রস্তুত? এই পোস্টেরই কোনো এক কমেন্টে আপনি বলেছিলেন:
যায়েদের না জানার ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। সে ছিল নতুন প্রজন্ম। তার মানে হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন প্রচলিত ছিলনা।
আপনার পূর্বেকার এই সিদ্ধান্তটির তাহলে কী হবে?
______________________________
পিছলামি, পালানো, সুবিধাবাদ....এই শব্দগুলো ব্যাবহার না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আমি আপনার কাছে যেইটুকু যুক্তিবাদিতা আশা করেছিলাম, সেইটা পাই নি বলেই চলে যেতে চাচ্ছিলাম। আমার আগ্রহের অনেকটাই নষ্ট হয়েছে আপনার গত কিস্তির জবাবগুলো দেখে। ঐ জবাবগুলো আমি কোনো নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করা যুক্তি মানা লোকের কাছে আশা করি নাই।
আপাতত ১ নং পয়েন্ট নিয়েই কথা বলেন। বেশি পয়েন্ট নিয়ে একসাথে কথা বলার দরকার নেই। ১ নং শেষ হলৈই নাহয় ২ এবং ৩ নং নিয়ে কথা বলবো। এছাড়া উপরের আরো যে-যে পয়েন্টগুলো আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে, পরে সেসব নিয়েও কথা বলবো।
আর, প্লিজ ভুলে যাবেন না, বার্ডেন অব প্রুফ হলো তার, যে তত্ত্ব তুলেছে।
২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি আমার যুক্তিটি বুঝতেই পারেননাই। তাই সেখানে কোন আলোকচ্ছটা দেখতে পাননি। ১ নং পয়েন্ট নিয়েই আলোচনা করছি। এইবার আমার যুক্তিগুলো একটু ঠান্ডা মাথায় বুঝার চেষ্টা করেন। এই যে ইসনাদ এবং হাদীস বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তাটা আসল কেন? কারণ হাদীস যে সত্যই নবীর বানী তা ১০০% প্রমানিত নয়, তাই এই ইসনাদের মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে যে যেন ১০০% সত্য হাদীসগুলো বের করা যায়।
আপনি স্বাভাবিক যুক্তি প্রয়োগ করে বলতে চাইছেন যে আবু হুরায়রার জাল হাদীস বানানোর কোন কারণ ছিলনা। এটা কিন্তু স্বাভাবিক যুক্তি, নিশ্চিৎ প্রমাণ নয়। আপনি কখনো গোয়েন্দা ব এসপিওনাজ উপন্যাস পড়েছেন কিনা জানিনা, পড়ে থাকলে নিশ্চয়ই জানেন যে স্বাভাবিক যুক্তি প্রয়োগ করে অপরাধীকে বের করা প্রায় অসম্ভব। পুরো গল্পেই মনে হয় যে অপরাধীই সবচেয়ে নিরপরাধ ছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত গোয়েন্দার কারণেই অপরাধী ধরা পড়ে।এবার আপনি নিশ্চিতভবেই আমার ভুল ধরে বলবেন যে গল্প উপন্যাস আর বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস। সেক্ষেত্রে আমি বলব ডিবি পুলিশের কারও সাথে আলাপ করে দেখতে। অথবা এটাও ভেবে দেখতে পারেন সি আই এ, মোসাদ, কেজিবি, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো বসে বসে কি করে। এতেও সন্তষ্ট না হলে আপনাকে বাস্তবেই নিয়ে আসি। আপনিকি সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর নাম শুনেছেন? উনি একসময় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন, তখন ইসলামের পক্ষে প্রচুর কলাম লিখেছেন উনি। সেই সব কলাম পড়লে নির্দ্বিধায় আপনার মনে হবে যে তিনি ইসলামের একনিষ্ঠ একজন বলিষ্ঠ সৈনিক। কিন্তু জানেন কি এই সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ইসরাইলের একজন গর্বিত বাংলাদেশী বন্ধু? তিনি ২০০৩ সালে ২৯ নভেম্বর ইসরাইল যাওয়ার পথে জিয়া বিমান বন্দরে ইসরাইলী পাসপোর্ট সহ আটক হন।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে কোন নাগরিক ঈসরাইল ভ্রমন করতে পারেন না।সেই সময় ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় (চিলে কোঠার সেপাই, ২০০৮)।
জেরুজালেম পোষ্টে তাকে নিয়ে রিপোর্টটি দেখুন এই লিঙ্ক এ
Click This Link Uddin Shoaib Choudhury
ইসরায়েল ন্যাশানাল নিউস এর ওয়েবসাইট এর রিপোর্টটিও দেখুনঃ
Click This Link
২০০৭ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের হাউস রেজলিউশান ওনার পক্ষে ইঊনাইটেড স্টেটস হাঊস কমিটি অন ফরেইন অ্যাফেয়ার্স একটা বিল পাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলেছিল।এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদন্ডও হতে পারত। ২০০৮ সালে উনার নেত্বৃত্বে নিষিদ্ব ঘোষিত জঙ্গীবাদী ইসলামী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী-(হুজি) ইসলামী ডেমোক্রেটিক পার্টি-(আইডিপি) নামে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করে।
উনার ইসরায়েল প্রেমের স্বাক্ষর বহন করে Proud Friend of Israel লিস্টটিঃhttp://www.reborn-by-design.com/if-project03.html
উনি আছেন ২৭০ নাম্বার এ আগে ৩০ এ দেখেছি এটা চেঞ্জ হয়, সেখানে তার ইমেইলও এড্রেস পাবেন।শুধু তাই নয় UK এবং Canada তে Dr. Zakir Naik কে ঢুকতে না দেয়ার জন্য যে campaign হয় তাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুনিকা পালন করেন। আন্তর্জাতিক লবিং এর কারণে সরকার শেষ পর্যন্ত এই লোকের কিছুই করতে পারেনি। তিনি বহাল তবিয়তে বাংলাদেশে বসে সাপ্তাহিক ব্লিটজ সহ অন্যান্য পত্রিকায় ইসলামের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন। ব্ল্যাক নামে বিতর্কিত এক সিনেমা বানিয়ে ইসলাম ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। এবার বলুন সেদিন যদি ইসরাইলী পাসপোর্ট হাতে সে ধরা না পড়ত তাহলে সে মুসলিম ছদ্মবেশে তার গোপন মিশন পালন করে যেত না? সেটা কি আমরা কেউ জানতে পারতাম? আমরা তো পত্রিকায় তার কলাম পড়ে ভাবতাম তিনি সাচ্চা মুসলমান, বেহেশতবাসী। এটা মাত্র একটা উদাহরণ দিলাম, এমন প্রচুর বাস্তবিক উদাহরন আছে। কোরানেই এমন উদাহরণ অনেক দেয়া আছে মুনাফেকদের কথা বলে সেটা নিশ্চয়ই জানেন।
এবার দ্বিতীয় আরেকটি যুক্তি। একথা নিশ্চয়ই স্বীকার করেন যে ইসলামের জন্মলগ্ন থেকেই ইসলামের শত্রুর অভাব নেই? ইহুদীরা সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামের পেছনে চক্রান্তে লিপ্ত। এই ব্যাপারে বহুল জনপ্রিয় সিরিজ The Arrival (ইউটিউবে পাবেন) দেখলে ইহুদীদের চক্রান্ত আরও পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। নাইন এলেভেন এর টুইন টাওয়ারের ঘটনা যে ইহুদীরা ঘটিয়ে মুসলিমদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে এটাতো নিশ্চয়ই দাবী করেন। এদের চক্রান্ত অনেক নিখুঁত হয় সেটা বলে দেয়া লাগেনা। এদের সকল ষড়যন্ত্রই যে ধড়া পড়েছে বা পড়বে তা আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননা। আবু হুরায়রার বা অন্য কোন রাবীর ব্যাপারে ইহুদী ষড়যন্ত্র ছিলনা তা কি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবেন? নবী বেঁচে থাকতে আল্লহ ওহীর মাধ্যমে মুনাফেকদের ধরিয়ে দিতেন। কিন্তু আবু হুরায়রার হাদীস বর্ণনার সময় তো নবী বেঁচে ছিলেননা।
এবার মূল কথায় আসি। আপনার সাথে এই বিষয়ে আর অযথা তর্ক করতে চাই না, তাই আপনার কথামতো স্বাভাবিক যুক্তিতে ধরেই নিলাম আবু হুরায়রা অনেক ভাল লোক হবার সম্ভাবনা ৯৮%। কিন্তু এসবের পরেও আপনি অন্তত ২% সম্ভাবনা রাখবেন যে সে খারাপও হতে পারে (উপরের আলোচনা অনুসারে), তো আমি এই ২% নিয়েই কথা বলতে চাই। কিন্তু আপনি সেটা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে আমাকে যুক্তিহীন বলে আলোচনা ছেড়ে যেতে চাইলেন। পরোক্ষ ভাবে আপনি কি দাবী করে বসলেন না যে আবু হুরায়রার বিশ্বস্ততা ১০০ % প্রমানিত? এ কেমন যুক্তিবাদী আপনি? প্রমাণ না করেই প্রমাণিত বুঝাতে চান?
এবার আমার বক্তব্যটা পরিষ্কার করি। আমি অন্ধভাবে কোন মানুষকেই বিশ্বাস করবনা। আল্লাহ কোরানে এমন কোন নির্দেশ দিয়ে দেননি যে আবু হুরায়রা বা বুখারীকে তোমরা বিশ্বাস করতে পার। তবে হাদীস বিশ্বাসযোগ্য হলে হাদীস মেনে নিতে আমার কোন আপত্তি নেই। তাই ইসনাদের মাধ্যমে যদি কোন হাদীস যদি ১০০ % সত্য প্রমাণ করা যায় আমি নির্দ্বিধায় তা মেনে নেব। এবার আপনিই স্বীকার করবেন যে যেসকল হাদিসের ১ম জেনারেশনের বর্ণনাকারী একা শুধু আবু হুরায়রা বা একা অন্য যেকেউ, সে সকল হাদীস ১০০% সত্য বলে প্রমাণ করার কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে সেই হাদীস বিশ্বাস করা মানে অন্ধভাবে হুরায়রাকে অনুসরন করা, কারণ দুনিয়ার আর দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি দাবী করছেনা যে নবী এই কথা বলেছিলেন। তবে সেই হাদীস একেবারেই আস্তাকুড়ে ফেলে দেবার পক্ষেও আমি নই। তাই আমি সেই হাদীসের বক্তব্য কোরান দিয়ে যাচাই করে দেখব যে তা কোরানের সাথে সামঞ্জস্বপূর্ণ কিনা। হলে তা আমি সত্য বলে গ্রহণ করব। কোরানের সাথে এবার পার্থক্যটা দেখুন। এক দুই বা চার পাঁচজন দাবী করছে না যে কোরান মুহাম্মদের মুখ থেকে তার শুনেছে। বরং প্রতিটি জেনারেশনে অসংখ্য মানুষ কোরান মুখস্থ করে এসেছে। তাই অন্ধভাবে কাউকে আপনার বিশ্বাস করার কোন প্রয়োজন নেই। কোরানের বক্তব্য সম্পর্কে আপনি শতভাগ নিশ্চিৎ হয়ে গেলেন। এই ইসনাদের সাথে হাদীসের ইসনাদের তুলনা হিমালয়ের সাথে পরমানুর তুলনার মত। আপনার লিঙ্কে দেয়া হাদীসের যে ইসনাদ এর চার্ট দেয়া আছে সেটা ৯৯% বিশ্বাস করা যায়, তবু ১০০% এর জন্য এটা প্রমাণ করা জরুরী যে ২য় জেনারেশনের সকল রাবী যারা আবু হুরায়রার রেফারেন্স দেননি তাদের সাথে আবু হুরায়রার যোগাযোগ একেবারেই অসম্ভব ছিল।
সর্বশেষে আপনি বলেছেনঃ আর, প্লিজ ভুলে যাবেন না, বার্ডেন অব প্রুফ হলো তার, যে তত্ত্ব তুলেছে।
আপনি এই রকম অযৌক্তিক কথা বলে কিভাবে নিজেকে যুক্তিবাদী দাবী করেন ভেবে অবাক হচ্ছি। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন। তত্ত্ব কি আমি তুলেছি? ইসনাদের তত্ত্ব হাদীস বিজ্ঞান তুলেছে, আর এই তত্ত্ব তুলে দাবী করা হচ্ছে সেসব হাদীস ১০০% সত্য। আমি শুধুমাত্র এর একটা গ্যাপ দেখিয়েছি বলেছি ওটা প্রমাণ না করলে সেসব হাদীসকেও ১০০% সত্য বলা যাবেনা, আমি কোন তত্ত্ব তুলিনাই। তো যে এখন ইসনাদ এর মাধ্যমে হাদীসকে কে সত্য বলে দাবী করবে তারই দায়িত্ব এই ইসনাদ তত্ত্বের গ্যাপটা পূরণ করা। এটা খুবই সাধারণ ভাবে বুঝা উচিৎ ছিল আপনার। উলটো আপনি আমাকে বার্ডেন অব প্রুফ দেখাচ্ছেন!! সেলুকাসের ঘুম না ভাঙ্গিয়ে দেখি আপনি ছাড়বেনইনা।
নাস্তিকদের সাথে কোনদিন তর্ক করেছেন কিনা জানিনা। আমরা দাবী করি আল্লাহ আছেন। নাস্তিকেরা বলে নাই। তখন অনেক আস্তিক বলে প্রমাণ করে দেখান যে আল্লহ নাই। তখন নাস্তিকেরা বলে বার্ডেন অব প্রুফ হলো তার, যে আল্লাহ আছে তত্ত্ব তুলেছে। তেমনি আপনি ইসনাদ তত্ত্বে বিশ্বাস করেন বলে আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে এটা ১০০% সত্য হওয়া সম্ভব। ধর্ম সঙ্ক্রান্ত ব্যাপারে ২% ঝুঁকি নেয়াটাও আমি বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করিনা।
আপনি আরও বলেছেনঃ
{{যদি হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন সমাজে বহুলভাবে প্রচলিতনা থাকতো, তাহলে আবু হুরাইরার মাথায় হাদিস বানানোর মাধ্যমে ইসলামের বারোটা বাজানোর চিন্তা আসাতো না নিশ্চয়ই, কারণ তাহলে সন্দেহ চলে আসতো সবার মধ্যে। আর তাহলে, ধরা পড়ে যাওয়াটা খুব ইজি হয়ে যেত। সুতরাং, আপনার হাইপোথেসিসটার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়া উচিত এই যে তখন সমাজে হাদিস লেখার অনুমতির কথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিলো।
আপনি কি এ্ইটা মানতে প্রস্তুত? এই পোস্টেরই কোনো এক কমেন্টে আপনি বলেছিলেন:
যায়েদের না জানার ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। সে ছিল নতুন প্রজন্ম। তার মানে হাদিস লিখার অনুমতির কথা তখন প্রচলিত ছিলনা।
আপনার পূর্বেকার এই সিদ্ধান্তটির তাহলে কী হবে?}}
আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে যে আপনার যুক্তিবোধ আসলেই ঘুমিয়ে পড়েছে। একের পর এক শিশুতোষ কথা বলছেন। আপনি বুঝাতে চাইলেন যে আমার হাইপোথিসিস এর জন্য এটা ভাবা জরুরী যে হুরায়রার সময় হাদীস লিখার অনুমতির কথা ব্যাপক ভাবে প্রচলিত ছিল। কেনরে ভাই? ক্ষতি করার জন্য হাদীস লিখিতই হতে হবে এটা ভাবছেন কেন, মৌখিক প্রচারে কি অসুবিধা করল? আমার হাইপোথিসিস টিকিয়ে রাখতে হলে হাদীস লিখিতই হতে হবে এমন কোন কথা নাই, তাই যায়েদের ব্যাপারে আমার আগের সিদ্ধান্তটি আগের মতই থাকবে।
১২১| ২১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সাদাত. বলেছেন: @এন্টাইভন্ড,
আপনার ধৈর্য দেখে আমি অবাক হয়ে যাই।
তবে ব্যক্তি সংশোধনের চেয়ে ব্যক্তির মত সংশোধন সব দিক থেকে কার্যকরী। কয়জনের সাথে পৃথকভাবে এভাবে তর্ক করে যাবেন?
এক একটা বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদা পোস্ট দেন। যার ইচ্ছা হয় মানুক, যার ইচ্ছা হয় না মানুষ। আর একসাথে এক পয়েন্টের বেশি আলোচনায় যাবেন না, সেটা খুবই অকার্যকর একটা পদ্ধতি।
২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার যুক্তিটি ভুল। আলাদা পোস্ট তো এন্টাইভন্ড ভাই দিচ্ছেনই। আর এইখানে আলোচনা যে শুধু আমাদের মাঝেই হচ্ছে তা নয়, আরও অনেক পাঠক নিয়মিত আমাদের আলোচনা দেখছেন। আমি ভিজিটর লিস্টে তা দেখি। এতে করে দুটি মতই তাদের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে। এরপর আপনার কথা অনুযায়ী তারা যেটা যৌক্তিক মনে করবে সেটা নিবে। এই আলোচনা যে একেবারেই অর্থহীন হয়েছে তা কিন্তু নয়। এই আলোচনা পড়ে অনেকেই হয়তো এন্টাইভন্ড ভাইকে সমর্থন করেছেন অনেকে হয়তো আমাকে। ধন্যবাদ।
১২২| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০১
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: @সাদাত, ধন্যবাদ, আপনার প্রস্তাব ভেবে দেখবো।
@মেহেদী পরাগ
(আপনার জন্য আর একটি শিশুতোষ যুক্তি)
আপনি বলেছেন:
আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে যে আপনার যুক্তিবোধ আসলেই ঘুমিয়ে পড়েছে। একের পর এক শিশুতোষ কথা বলছেন। আপনি বুঝাতে চাইলেন যে আমার হাইপোথিসিস এর জন্য এটা ভাবা জরুরী যে হুরায়রার সময় হাদীস লিখার অনুমতির কথা ব্যাপক ভাবে প্রচলিত ছিল। কেনরে ভাই? ক্ষতি করার জন্য হাদীস লিখিতই হতে হবে এটা ভাবছেন কেন, মৌখিক প্রচারে কি অসুবিধা করল? আমার হাইপোথিসিস টিকিয়ে রাখতে হলে হাদীস লিখিতই হতে হবে এমন কোন কথা নাই, তাই যায়েদের ব্যাপারে আমার আগের সিদ্ধান্তটি আগের মতই থাকবে।
**************************************
এই মন্তব্যের জবাবে আমার বক্তব্য::
আপনার হাইপোথেসিসটার জন্য একটা আবশ্যিক শর্ত হলো এই কথা সত্য হওয়া যে, সেই সমাজে ব্যাপকভাবে হাদিস প্রচারিত হতো.................(১)
মনে করি, এই হাদিস প্রচারটা ছিলো মৌখিক।
এখন, আমরা জানি, হাদিস লৈখার অনুমতিটাও ছিলো একটা হাদিস।
সুতরাং (১) নং থেকে পাই
হাদিস লেখার অনুমতির যে-হাদিস সেইটাও ব্যাপকভাবে মৌখিক সূত্রে প্রচারিত হয়েছিলো।
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, হাদিস লেখার অনুমতির কথা তখন সেই সমাজে ব্যাপকভাবে প্রাচারিত ছিলো।
অর্থাৎ, আপনার হাইপোথেসিসের আবশ্যিক একটি শর্ত হলো আপনাকে অবশ্যই ধরে নিতে হবে যে তখন হাদিস লেখার অনুমতির হাদিস ব্যাপকভাবে প্রচারিত ছিলো।
[আপনার মন্তব্যটির বাকিকথাগুলো বড়তোষ হওয়ায় ধৈর্য ধরে পড়তে পারলাম না। হয় আপনি আমার মতো শিশুতোষী-উপযোগী করে লিখুন, নয়তো একটু অপেক্ষা করুন, আমি যখন বড় হবো, তখন আপনার জবাব দেবো ]
_____________________________________
আপনার জন্য আরো কয়েকটি শিশুতোষ যুক্তি:
১) হাদিস মানেই ওহি না। তবে হাদিস ওহির মাধ্যমে গাইডেড হওয়া একজন মানুষের জীবনের একটা অংশ রিফ্লেক্ট করে। কোরান যেহেতু বলেছে, এই লোকটাকে অনুসরণ না করলে আমরা গাইডেড হবো না, ইত্যাদি, সেহেতু, আমাদেরকে নিজেদের স্বার্থেই গবেষণা করে অনুসরণীয় অংশটুকুন এক্সট্র্যাক্ট করতে হবে।
২) Abu al-Zinad বোকা ছিলেন নাকি চিন্তা করতে গিয়ে ভুল করেছিলেন, সেইটা নিয়ে আমি কথা বলছি না, ইনফ্যাক্ট সেইটা আমার জন্য কোনো বিষয়ই না। ঐ স্পেসিফিক বক্তব্যটাকে আমি তার নিজস্ব মত বলে মনে করেছি। খুব খৈয়াল কৈরা, ঐ নির্দিষ্ট অংশটুকু ওহিও না, ওহির রিফ্লেকশনও না, এন্ড কনসিকুয়েন্টলি, আমাদের জন্য অনুসরণীয় কি না, সেই প্রশ্নের কোনো স্কোপও নেই। আবু আল জিনাদ-এর বর্ণিত আরো হাদিস আছে, তাকে আমার বোকা মনে হয়-নি, এবং শিশুতোষও মনে হয়-নি।
এমনকী যদি তার বক্তব্য সঠিকও ধরতাম, তাও সমস্যার কিছু দেখি না। কোরান নিজেই বলেছে যে রাসুল সা. মনগড়া কথা বলেন না, এবং ওহি ছাড়া অন্যকিছু ফলো করার কোনো অনুমতি নেই তার, তারপরও রাসুল সা.-এর কিছু কাজের পর তাকে আল্লাহ তিরষ্কার করে আয়াত নাজিল করেছেন। সুতরাং, হাদিসে only right comes out from it বলার পর যদি রাসুল একটা কাজ করে আল্লাহর কাছ থেকে তিরষ্কৃত হন, তাহলে ব্যাপারটা কোরানের প্যারালালই থাকছে। যদি কোরানের ঐ কন্ট্রাডিকশনের কোনো ব্যাখ্যা থাকে (অবশ্যই আছে), সেই একই ব্যাখ্যা আমি এই ক্ষেত্রেও ব্যবহার করার একটি শিশুতোষ অনুরোধ করছি।
৩) জুতা পরে নামাজ পড়ার হাদিস আমি আসলেই পাইনাই। আমি আপনাকে যেভাবে হাদিসের লিংক দিয়েছি, আমি আপনার কাছে থেকে ঠিক সেইভাবে সেই হাদিসেরও লিংক চাচ্ছিলাম। আপনি দেখেন, আমার লিংক দিয়ে কিন্তু আপনি চট করে একটা হাদিসের ডাটাবেইজে চলে গিয়ে চেক করতে পারছেন।
৪) কোরানের একটা আয়াত নিয়ে আমি যখন বুঝতে পারি না যে এইটা কী বলতে চাচ্ছে, বা মনে প্রশ্ন চলে আসে যে আল্লাহ কীভাবে এধরণের একটা কথা বললেন, বা আল্লাহর পক্ষে কি এইধরণের কথা বলা সম্ভব, তখন আমি সেই্ আয়াতকে ফরদাটাইমবিং পাশে সরিয়ে রেখে দিই। প্রশ্নটাকেও ডাবায় দেই না, আবার জাস্ট সেই প্রশ্নের উপর ভর করে কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্তও নেই না। তখন জাস্ট আশা করি যে, আল্লাহ যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে আমার চিন্তাকে তিনি খুলে দেবেন, এবং সেই আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা আমি বুঝতে পারবো। এইটা কেন করি? করি, কারণ, ওভঅরঅল কোরানের উপর আমার একটা ভরসা চলে এসেছে। এইজন্য, যেটুকু আমি বুঝি না, সেইটা বুঝি-না বলে তার উপর আমি কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেই না।
এইটা হয়তো একটু শিশুতোষ যুক্তিবাদীর কাজ, তবে আমি এইটা বলি যে, ঠিক এই পদ্ধতিটাই আমি ফলো করি যখন আমি একই সমস্যায় পড়ি হাদিস পড়তে গিয়ে।
২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: থাক হাদীস লিখার অনুমতি নিয়ে আর তর্ক করার আসলেই কোন দরকার নেই মনে হচ্ছে। আমরা কেউ কাউকে কনভিন্স করতে পারিনাই। তবে আপনি যেহেতু বললেন হাদীস লিখার অনুমতি ব্যপকভাবে প্রচারিত ছিল সেক্ষেত্রে যায়েদ কেন তা জানলনা সেটা আমার কাছে একটা প্রশ্ন হয়েই থাকবে।
নিচে আপনার চাওয়া হাদীসের লিঙ্ক দিলাম। আশা করি এরপর জুতা সহকারে নামাজ পড়বেন।
বুখারীঃ বুক ২, হাদীস ৬৫২
এইখানে ইহুদীরা জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রার্থনা করেনা বলে নবী আমাদেরকে ইহুদীদের চেয়ে ভিন্ন আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুখারীঃ বুক ৮, হাদীস ৩৮৩
এইখানে পরিষ্কার বলা আছে নবী জুতা পড়ে নামাজ পড়েছেন।
আপনি নাছোড় বান্দা বলে আপাতত শুধু বুখারীর রেফারেন্স দিলাম। এই হাদীস মুসলিম, আবুদাউদ,ইবনে মাজাহ তেও আছে।
আর আমার মন্তব্যের প্রথমটুকু না পড়েই কিকরে নিচেরটুকু পড়লেন তা বুঝলাম না। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অনুরোধ করব পড়েন, কেননা ১ নং পয়েন্টটা আপনি ক্লীয়ার করতে বলেছিলেন, আমি তা একেবারেই ক্লীয়ার করেছি।
২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৪৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: দুঃখিত, প্রথম হাদীসটি বুখারীর নয় আবুদাউদের। বই আর হাদীস নং ঠিক আছে।
১২৩| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৩১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: @এ্যান্টি ভন্ড
মুরতাদ (কোন মুসলিম অমুসলিম হয়ে গেলে) এর শাস্তি তো মৃত্যুদন্ড এবং তা হাদীস অনুযায়ী। এটা যে কোরানের লঙ্ঘণ তা কি মানবেন?
কোরান (৪/১৩৭) যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।
এমন আরও আয়াত আছে। এখান থেকে দেখা যায় কোরান অনুযায়ী অমুসলিম হবার পরেও আবার মুসলিম হবার সুযোগ আছে যা হাদীস অস্বীকার করে। এর ব্যাখ্যাটা আমাকে জানাবেন, হয়তো ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
১২৪| ২২ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:২৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: @এ্যান্টি ভন্ড
লজ্জাজনক হাদীসঃ
এটা নাকি কোরানের আয়াত ছিল যে ১০ বার নারীর স্তন সাকল করলে সেই পুরুষ আর নারীর বিবাহ হারাম হয়। সহিহ মুসলিম
এইভাবে যেখানে পর্দা করা আবশ্যক সেইখানেও এই নিয়ম পালন করে পর্দার প্রয়োজনীয়তা দূর করা যায়।
দেখুন আরও কিছু হাদীস। এই পৃষ্ঠার সবগুলো হাদীস পড়ুন।
দাঁড়ি ওয়ালা লোকে একজন নারীর স্তন চুষে পর্দার প্রয়োজনীয়তা লাঘব করবে!! আপনি কি পারবেন আপনার মা বোনকে দিয়ে এই কাজ করাতে?
অনেকে বলে যে এই হাদীসের (কোরানের আয়াতের ) এখন প্রয়োগ নাই, কিন্তু এর সমর্থনে কোন হাদীস দেখাতে পারেনা। অন্য লেখকের বই দেখায়। আপনি কি অন্য লেখকের কথায় মুসলিমের হাদীস অস্বীকার করবেন? আমার প্রশ্ন যদি এর প্রয়োগ এখন নাও থাকে তবু এমন একটা কথা আল্লাহ কোরানে দিয়েছিল বলে মনে করেন? তাহলে আল্লাহ অন্য আয়াতে কিজন্য বলেন যে দুই বছর পার হলে নিজের সন্তানও যেন মায়ের বুকের দুধে মুখ না দেয়? আপনার কাছে কি একটুও অবাক লাগেনা?
আমাকে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েন।
১২৫| ২২ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:২২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: জুতা পরে নামাজ:
ধন্যবাদ আপনার লিংকের জন্য। এর অর্থ হলো, আমি যে বলেছিলাম, নবী এ-ধরণের কোনো কথা বলেন নি, আমার সে-কথা ভুল ছিলো।
আবু দাউদ থেকে আপনি যে-লিংক দিংয়েছেন, সেটাও উল্লেখ করলাম, তারপর তার সাথে তার ঠিক পরের হাদিসটাও উল্লৈখ করলাম:
0652
Narrated Aws ibn Thabit al-Ansari: The Apostle of Allah (peace_be_upon_him) said: Act differently from the Jews, for they do not pray in their sandals or their shoes.
0653
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As: I saw the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) praying both barefooted and wearing sandals.
০৬৫২ নং হাদিস সম্পর্কে ১২৪ নং কমেন্টে করা আমার ৪ নং কথাবলী পড়েন, যেখানে আমি বলেছি, কোরানে এমন আয়াত পেলে আমি কী করি, এবং তারপর আমি আপনাকে বলেছি, সেই একই কাজ আমি হাদিসের ক্ষেত্রেও করি।
জুতা পরে নামাজ পড়ার হাদিস বানিয়ে একজন মানুষের ফায়দাটা কী বলে আপনার মনে হয়?
______________________
আপনার মন্তব্যের প্রথমটুকু না পড়ে কী করে নিচেরটুকু পড়লাম, এইটা বুঝতেন, যদি ভালো করে আমার মন্তব্যটা পড়তেন:
আমি বলেছি:
[আপনার মন্তব্যটির বাকিকথাগুলো বড়তোষ হওয়ায় ধৈর্য ধরে পড়তে পারলাম না। হয় আপনি আমার মতো শিশুতোষী-উপযোগী করে লিখুন, নয়তো একটু অপেক্ষা করুন, আমি যখন বড় হবো, তখন আপনার জবাব দেবো ]
আর একবার পড়ার পর এইটুকু বুঝলাম যে, ১ নং পয়েন্টের আমার যুক্তিটা খণ্ডনের ধারের কাছে দিয়ে যান নি। কেবল এইটুকু এস্ট্যাবলিশ করতে চেয়েছেন যে স্বাভাবিক যুক্তি দিয়ে এইখানে কাজ হবে না। তা কোন অস্বাভাবিক যুক্তি দিয়ে আসলে কাজ হবে, এবং সেই অস্বাভাবিক যুক্তিটির স্বরূপ কী, সেই প্রসঙ্গে আপনার কোনো কথাবলি পাই নি। হয়তো আপনি বলেছেন, তবে সম্ভবত আমার যুক্তিবোধ শিশুতোষ বলে বুঝতে পারি নি।
সুতরাং, ১২২ নং কমেন্টে উল্লিখিত আমার কমেন্টটিকে আমি আবার পেশ করছি, এবং এইকথাটাও স্পষ্টভাবে আরো একবার বলছি:
এই যুক্তি যদি আপনি খণ্ডন করতে না পারেন, তাহলে আপনার হাইপোথেসিসকে এখান থেকেই বিদায় জানানো উচিত।
আর, মনে রাখবেন, আপনার হাইপোথেসিসকে বিদায় দেওয়া মানেই হলো, এইকথা এস্ট্যাবলিশ করা যে আবু হুরায়রার উপর কোনোভাবেই হাদিস বানানোর দোষ চাপানো যেতে পারে-না।
১%-ও না, ২%-ও না।
__________________________
মুরতাদের শাস্তি আছে, কোরানে কেবল এইটুকু বলা আছে, শাস্তিটা কী সেইটা বলা নেই:
১৬:১০৬
Whoever disbelieves in Allah after his belief... except for one who is forced [to renounce his religion] while his heart is secure in faith. But those who [willingly] open their breasts to disbelief, upon them is wrath from Allah , and for them is a great punishment.
এ অর্থ হলো, তাদের জন্য আল্লাহ শাস্তি ফিক্স করেছেন, সেই শাস্তিটা কী, তা বলে দেন নি। অন্য আয়াতের সাথে মেলালে বুঝা যায় যে, সেই শাস্তির স্বরূপ জানতে হবে রাসুল সা.-কে অনুসরণ করে।
৪:১৩৭ এখানে ১৬:১০৬-এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না, বরং ব্যাখ্যা করে এইভাবে যে, শাস্তি দেবার আগে একাধিকবার সুযোগ দিতে হবে।
____________________________
সাকলিং সঙ্ক্রান্ত আয়াতের হাদিস নিয়ে কথা:
আপনার দেওয়া লিংকে গিয়ে নিচের দুটো হাদিস পেলাম একদম প্রথমেই:
3421
'A'isha (Allah be pleased with, her) reported that it had been revealed in the Holy Qur'an that ten clear sucklings make the marriage unlawful, then it was abrogated (and substituted) by five sucklings and Allah's Apostle (may peace be upon him) died and it was before that time (found) in the Holy Qur'an (and recited by the Muslims).
3422
'Amra reported that she beard 'A'isha (Allah he pleased with her) discussing fosterage which (makes marriage) unlawful; and she ('A'isha) said: There was revealed in the Holy Qur'an ten clear sucklings, and then five clear (sucklings).
এই ফস্টারেজ শব্দটা বোধহয় খেয়াল করেন নি আপনি। এইদুটো হাদিসে যদিও বয়সের সীমানাটা বলা নেই, নিচে উল্লেখ করা বুখারির হাদিসটায় কিন্তু সেইটাও স্পষ্ট করা আছে
Narrated Aisha: Once the Prophet came to me while a man was in my house. He said, "O 'Aisha! Who is this (man)?" I replied, "My foster brothers" He said, "O 'Aisha! Be sure about your foster brothers, as fostership is only valid if it takes place in the suckling period (before two years of age)." (বুখারি, Book #48, Hadith #815 )
সুতরাং টেন সাকলিং আয়াতের হাদিসটি আসলে লজ্জাজনক কোনো হাদিস না।
________________________
এ্যাডাল্ট সাকলিং সঙ্ক্রান্ত হাদিস নিয়ে কথা:
আপনি বলেছেন:
দাঁড়ি ওয়ালা লোকে একজন নারীর স্তন চুষে পর্দার প্রয়োজনীয়তা লাঘব করবে!! আপনি কি পারবেন আপনার মা বোনকে দিয়ে এই কাজ করাতে?
অনেকে বলে যে এই হাদীসের (কোরানের আয়াতের ) এখন প্রয়োগ নাই, কিন্তু এর সমর্থনে কোন হাদীস দেখাতে পারেনা।
উপরে উল্লেখ করা বুখারির হাদিসটা থেকে আমরা স্পষ্টভাবে যেইটা বুঝি, তা হলো, fostership is only valid if it takes place in the suckling period (before two years of age). সুতরাং, পর্দার প্রয়োজনীয়তা লাঘব করার এই পদ্ধতির অনুমতির আর কোনোই ভ্যালিডিটি নাই। অতএব, এই হাদিসগুলো ডেফিনিটলি আমার জন্য প্রয়োজনীয় (অর্থাৎ, অনুসরণীয়) হাদিসের তালিকায় থাকবে না। অতএব, এই হাদিস যা-ই কি না মিন করুক, তাতে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
____________________
২২ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{জুতা পরে নামাজ পড়ার হাদিস বানিয়ে একজন মানুষের ফায়দাটা কী বলে আপনার মনে হয়?}}
ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন যে কোন কিছু ইসলামে ঢুকানোই তো আসল ফায়দা। আর সেই সাথে যোগ হল ইহুদীদেরকে অনুসরণ না করার পরামর্শ, এতে দেখা যাবে ইহুদীরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেলেও মুসলিমেরা সেটা অনুসরণ না করে পিছিয়ে পড়বে। বাস্তবিক আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি। অন্যদিকে আরেক হাদীসে বলা আছে মদীনার ইহুদীরা আশুরায় রোযা রাখতেন বলে নবী জিজ্ঞেস করলেন রোযা রাখার কারণ কি? ইহুদীরা বলল এই দিনে মুসা ফিরাউনকে পরাজিত করেছিল। নবী তখন বলেছিলেন তাহলে আমরাও এই দিনে রোযা রাখব। রেফারেন্স পরে দিচ্ছি। এতে দেখা যাচ্ছে নবীর কথার কোন ঠিক নাই।
{{সুতরাং, ১২২ নং কমেন্টে উল্লিখিত আমার কমেন্টটিকে আমি আবার পেশ করছি, এবং এইকথাটাও স্পষ্টভাবে আরো একবার বলছি:
এই যুক্তি যদি আপনি খণ্ডন করতে না পারেন, তাহলে আপনার হাইপোথেসিসকে এখান থেকেই বিদায় জানানো উচিত।
আর, মনে রাখবেন, আপনার হাইপোথেসিসকে বিদায় দেওয়া মানেই হলো, এইকথা এস্ট্যাবলিশ করা যে আবু হুরায়রার উপর কোনোভাবেই হাদিস বানানোর দোষ চাপানো যেতে পারে-না।
১%-ও না, ২%-ও না।}}
আপনার যুক্তি যে ফুলপ্রুফ নয় সেটা তো দেখালামই, এর পরেও সেটা খন্ডন করা হলনা কিকরে আমি বুঝলাম না। আমি তো হাজার হাজার উদাহরণের মাত্র একটা দেখালাম যে আপাত দৃষ্টিতে ভাল মনে হয় কিন্তু বাস্তবে প্রচন্ড খারাপ কাজ করে এমন লোক আছে। কোরানেও এর উদাহরণ আছে, কোরান অবিশ্বাস করেন? আপনি কি আরও উদাহরণ চান? এর পরেও আপনি বলছেন যে এটা অস্বাভাবিক যুক্তি? ভাই একটু নিরপেক্ষ হবার চেষ্টা করেন। আর আপনি কি কোন প্রমাণ দেখাতে পেরেছেন যে আবু হুরায়রা দ্বারা মিথ্যা বলা একেবারেই সম্ভব না? বা ভুল করা একেবারেই সম্ভব না। অথচ প্রমান না দেখিয়েই আপনি এইটাকে আপনার যুক্তি বলছেন আর আমাকে বলছেন এইখান থেকেই হাইপোথিসিস বিদায় করানো উচিত। আমি যদি প্রমাণ করতে পারি যে আবু হুরায়রা ভুলও করেছিলেন তাহলে আপনার অবস্থান কি হবে? আপনি যুক্তি প্রয়োগ করে কিভাবে সেটাকে ১০০% প্রমাণিত দাবী করেন?? আশ্চর্য্য!!!!!!! আর যেভাবে এক এবং একমাত্র আবুহুরায়রার কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস করার কথা বলছেন (যেসব হাদীসে অন্য কোন রাবী নেই) সেই ভাবে অন্ধ বিশ্বাস আপনিই করুন, কোরানে বলা আছে অন্ধ ভাবে কিছুই বিশ্বাস না করতে, বরং যুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে। তাই আবু হুরায়রা কি বলেছেন সেটা আমি যুক্তি দিয়েই দেখব, কে বলেছেন তা দেখবনা ।
{{৪:১৩৭ এখানে ১৬:১০৬-এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না, বরং ব্যাখ্যা করে এইভাবে যে, শাস্তি দেবার আগে একাধিকবার সুযোগ দিতে হবে।}}
এইতো লাইনে এসেছেন। কোরানের আয়াত যে কন্ট্রাডিক্ট করেনা সেতো আমি জানিই। আমি তো হাদীসের কথা বলেছিলাম। আপনি এর আশ পাশের সকল আয়াত পড়ে দেখেন এইখানে আল্লাহ পরকালের শাস্তির কথা বলেছেন। আর আপনি কোরান অনুযায়ী বুঝতে পেরেছেন যে একাধিকবার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু হাদীস অনুযায়ীকি সেটা বুঝা যায়? নিচের হাদীসগুলো পড়ুনঃ
Click This Link
Click This Link
Click This Link
এইখানে একাধিক সুযোগের কথা লিখা নাই। আর শরীয়া আইনে খুঁজে দেখুন কোথাও একাধিক সুযোগের কথা লিখা নাই। তো এইটা কি করে কোরানের ব্যাখ্যা হল? অন্ধবিশ্বাসের জন্য একদিন আল্লাহর কাছে আপনাকে জবাবদিহী করতে হবে, মনে রাখবেন।
{{উপরে উল্লেখ করা বুখারির হাদিসটা থেকে আমরা স্পষ্টভাবে যেইটা বুঝি, তা হলো, fostership is only valid if it takes place in the suckling period (before two years of age). সুতরাং, পর্দার প্রয়োজনীয়তা লাঘব করার এই পদ্ধতির অনুমতির আর কোনোই ভ্যালিডিটি নাই। অতএব, এই হাদিসগুলো ডেফিনিটলি আমার জন্য প্রয়োজনীয় (অর্থাৎ, অনুসরণীয়) হাদিসের তালিকায় থাকবে না। অতএব, এই হাদিস যা-ই কি না মিন করুক, তাতে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।}}
যার ভ্যালিডিটি নাই সেই রকম হাদীস বুখারী কোন যুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন? আর এক জায়গাতে নবী বলছেন ফস্টারশীপ শুধু সাকলিং পিরিওডে ভ্যালীড, অন্য জায়গাতে বলছেন দাড়ি ওয়ালার জন্যও ভ্যালীড। পরিষ্কার কন্ট্রাডিকশন। একটা দিয়ে আরেকটাকে ইনভ্যালীড করে দিচ্ছেন, কিন্তু কোনটা ইনভ্যালীড হবে সেটা কোণ হাদীস দিয়ে নির্ণয় করলেন? কোনো হাদীস তো কোনটাকে সরাসরী ইনভ্যালীড করেনাই। মুতা বিবাহের ক্ষেত্রেও তো কিছু হাদীস আছে যা মুতা বিবাহকে ইনভ্যালীড করে দিয়েছিল।
{{অতএব, এই হাদিস যা-ই কি না মিন করুক, তাতে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।}}
চোখ থাকিতে অন্ধ' প্রবাদ বাক্যটির কথা মনে করিয়ে দিলেন। হাদীসের প্রতি চরম বায়াসড বলেই এই কথাটা বলতে পেরেছেন। অন্যথায় পারতেননা। এখন ইসলামের অংশ নয় এটা বলেই খালাস হয়েছেন, কিন্তু এমন একটা জিনিস ইসলামের অংশ ছিল তা ভাবতে খারাপ লাগছেনা। আর বুখারীর বিচার বুদ্ধি নিয়েও কোন প্রশ্ন করছেন না বরং বুখারীকেই সহিহ বলে দিলেন। তাহলে বুখারী যে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর অনুমতি পেয়ে হাদীস অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন সেই কথার কি হবে জাবাব আছে কি? ইনভ্যালীড একটা জিনিস লিখার অনুমতি আল্লাহ দিয়ে দিলেন? চক্ষু খুলুক, এই দোয়াই করি আল্লাহর কাছে।
২২ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{সুতরাং টেন সাকলিং আয়াতের হাদিসটি আসলে লজ্জাজনক কোনো হাদিস না।}}
সাকলিং পিরিয়ডের কথা তুলে বলে দিলেন যে টেন সাকলিং লজ্জাজনক না !! আমি কি পরিষ্কার রেফারেন্স দেই নাই যেখানে দাঁড়িওয়ালা পূর্ণবয়ষ্ক লোকের কথা বলা আছে? লজ্জাজনক নয় কথাটা বলতেও লজ্জা করলনা, এতটাই হাদীস বায়াসড আপনি! কোরানের আয়াতের সত্যতাই প্রমাণ করছে আপনি।
২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরান ২/১০৬
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?
আপনাদের এই ''টেন সাকলিং'' আয়াতের ক্ষেত্রে সমপর্যায়ের বা উত্তম কোন আয়াতটি আল্লাহ আনয়ন করেছেন একটু বলবেন কি? একই কথা ছাগলে খেয়ে ফেলা আরেকটি আয়াতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, সেই পাথর ছুড়ে হত্যার আয়াতের জায়গাতে আল্লাহ কোন আয়াত দিয়েছেন?
১২৬| ২২ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মুয়াত্তা থেকে
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Dinar from Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar from Abdullah as-Sunabihi that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "The sun rises and with it is a horn of Shaytan and when the sun gets higher the horn leaves it. Then when the sun reaches the meridian the horn joins it and when the sun declines the horn leaves it, and when the sun has nearly set it joins it again." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade prayer at these times.
Click This Link
Abdullah ibn Umar that Umar ibn al-Khattab used to say, "Do not intend to do your prayer at either sunrise or sunset, for the horns of Shaytan rise with the rising of the sun and set with its setting." Umar used to beat people for that kind of prayer. Click This Link
বুখারী থেকেঃ
Narrated Ibn Umar: Allah's Apostle said, "When the (upper) edge of the sun appears (in the morning), don't perform a prayer till the sun appears in full, and when the lower edge of the sun sets, don't perform a prayer till it sets completely. And you should not seek to pray at sunrise or sunset for the sun rises between two sides of the head of the devil (or Satan)."
Click This Link
কোরান থেকেঃ
36:38 And the sun: it runs its appointed course. ---. [The sun along with its Solar system is moving to the Solar Apex, Constellation of Hercules, at a speed 150 miles per second, according to the current science]
পৃথিবী তো গোল। সূর্্য সারাক্ষণই কোথাও না কোথাও উদিত হয় বা অস্তগামী হয়। তাহলে তো সারাক্ষণই শয়তান এর সিং সূর্যের সাথে লেগে থাকার কথা। আবার ছুটে কেন? আর আমাদেরও তো সারাক্ষণই নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কোরানের ব্যাখ্যা যে হাদীস তা বেশ চমৎকার বুঝা গেল এই হাদীস গুলো থেকে। কোরান কি বলল আর হাদীস কি বলল?
১২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:২৭
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: জুতা পরে নামাজের প্রসঙ্গ কি শেষ?:
জুতা পরে নামাজ পড়ার হাদিস বানিয়ে কী ফায়দা, সেই প্রশ্নের আগে আপনাকে জিজ্ঞাসা দুটো হাদিস তুলে দিয়েছিলাম, তারপর আমি বলেছিলাম:
{{0653
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As: I saw the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) praying both barefooted and wearing sandals.
০৬৫২ নং হাদিস সম্পর্কে ১২৪ নং কমেন্টে করা আমার ৪ নং কথাবলী পড়েন, যেখানে আমি বলেছি, কোরানে এমন আয়াত পেলে আমি কী করি, এবং তারপর আমি আপনাকে বলেছি, সেই একই কাজ আমি হাদিসের ক্ষেত্রেও করি।}}
আরো পরিষ্কার করি। কোরানে এরকম কন্ট্রাডিক্টরি আয়াত পেলে আমি একটা আয়াত দিয়ে আর একটা আয়াতকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। কখনো যদি সফল না হই, তাহলে ফরদাটাইমবিং সরিয়ে রাখি। হাদিসের ক্ষেত্রেও আমি একই পন্থা অবলম্বন করি।
জুতা পরার ক্ষেত্রে খুব সহজেই একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়, সেটা হলো, ইহুদিদেরকে এই অনুসরণ না করার নির্দেশটা ছিলো প্রাথমিক। তারপর যখন মুসলমানদের নিজস্ব একটা শক্তিশালী কালচার দাড়িয়ে যায়, তখন খালি পা এবং জুতা পরা উভয়ই গ্রহণযোগ্য রীতি হিসেবে গৃহীত হয়।। মদ নিষিদ্ধের ক্ষেত্রেও সিস্টেম ডেভেলপ করা হয়েছিলো এভাবেই।
___________________________________
আপনি বলেছেন:
ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন যে কোন কিছু ইসলামে ঢুকানোই তো আসল ফায়দা।
আমার কথা:
কথাটা সত্য এবং সুন্দর। তার আগে প্রমাণটা করতে হবে যে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন জিনিস আসলেই ইসলামে ঢুকেছে। তাই না?
আপনি কি জানেন, রাশাদ খলীফা নামক একজন হাদিস রিজেক্টর দাবী করেছেন যে কোরানের ভেতরে দুটো আয়াত ইনজার্ট করা হয়েছে?
আপনি কি জানেন, হাদিস রিজেক্টর লায়থ সাহেব দাবী করেছেন যে কোরান ম্যানিপুলেটেড হয়েছে?
আপনি কি জানেন মজবাশার সাহেব দাবী করেছেন কোরানের ভেতরে আয়াত বদলানো হয়েছে?
এই প্রসঙ্গগুলো নিয়ে কিছু বলবেন নাকি?
________________________________________
আপনি বলেছেন:
আর সেই সাথে যোগ হল ইহুদীদেরকে অনুসরণ না করার পরামর্শ, এতে দেখা যাবে ইহুদীরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেলেও মুসলিমেরা সেটা অনুসরণ না করে পিছিয়ে পড়বে। বাস্তবিক আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি।
আমার কথা:
আপনি খুব দরকারী প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। মুসলমানদেরকে আসলেই দুটো এক্সটৃমের মাঝামাঝি থাকার দরকার। ইহুদি মাত্রেই এ্যাভয়েড করবো, এরকম হলে আসলেই আপনি যেটা বলেছেন, সেরকমই হতো। তারা যেসবে ভালো সেই ক্ষেত্রগুলোতে পিছিয়ে থাকা হতো। আবার এমন গভীরভাবেও অনুসরণ করা কোনোভাবেই উচিত হতো না, যাতে তার কালচারই (যা ইসলামের অংশ নয়) মুসলমানদের কালচারের ভেতর ঢুকে পড়ে, যেমন আপনি একটু আগেই আপনার কথায় বলেছেন।
কিন্তু মুসলমানদের কালচার তখন কেবল ডেভেলপ করছে। সুতরাং, ইহুদিদের থেকে, তাদের অনুসরণ থেকে এই কচি অবস্থায় অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব মেইনটেইন করা উচিত ছিলো। হ্যা, তারপর যখন ইসলামি কালচার একটা পরিণত অবস্থা পেয়ে যায়, তখন তাদের ভালোটা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই।
এবার জুতা পরে নামাজ পড়ার হাদিস এবং ফেরাউনকে হারানোর দিনে রোজা রাখার হাদিস (আপনি রেফারেন্স দেন নি) এইকথাগুলো সামনে রেখে পড়েন। আপনার ভেতরে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
আপনার মন্তব্য পড়েই, এবং সেইটা বুঝতে গিয়েই এই দুটো হাদিস খুব ভালো বুঝলাম। আপনাকে সেজন্য ধন্যবাদ।
___________________________
আপনার যুক্তি যে ফুলপ্রুফ নয় সেটা তো দেখালামই.....
আপনি এইরকম একটা কথা বলেছেন। আমি আপনার এইকথাটা ভালো করে ধরতে পারছি না। আপনি একটা হাইপোথেসিস নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছিলেন। হাইপোথেসিসটা হলো: আবু হুরায়রা এন্ড গং হাদিস বানিয়েছেন।
আমি দেখিয়েছি যে, এই হাইপোথেসিসটা ধরে কাজ করার দূর্বলতাগুলো হলো:
ক) আবু হুরাইরা মাত্র তিনবছর রাসুল সা.-এর সাথে ছিলেন। এই তিনবছরে অত হাদিস তৈরি করা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলেই একটা সন্দেহের ব্যাপার। সুতরাং, ইসলামের ক্ষতি করা যার টার্গেট, সে অবশ্যই নিজের নামে অত হাদিস তৈরি করার মতো একটা সন্দেহপূর্ণ কাজ করে তার টার্গেট নষ্ট করবে না।
খ) যদি পরিচিতির জন্য কিছু হাদিস বানাতোও, অবশ্যই সেই সংখ্যা আয়েশা/আলী/আবুবকর-এর চেয়ে বেশী হতো না। (এটা আপনারই একটা পাল্টা যুক্তিতি থেকে ডিরাইভ করা হয়েছে)
গ) রাসুল সা.-এর সাথে তার কাটানো সময় বানানো হাদিসের মাধ্যমে ইজিলি ৩ বছরের সাথে আরো ৩/৪ বছর বাড়িয়ে নেওয়া যেত---এইকথাটাও এইখানে এ্যাড করতে পারেন।
এই দূর্বলতাগুলো হলো এমন যে খণ্ডন করতে না পারলে, আপনার হাইপোথেসিসটা আর দাঁড়াতে পারেনা।
আপনার হাইপোথেসিসটা দাড়াইতে পারেনা, এর মানে হলো, আবু হুরাইরা হাদিস বানান নাই। ১%ও না। ২%ও না।
ইনফ্যাক্ট ১টা হাদিসও বানানির মানসিকতাও যদি তার থাকতো, তাইলেই উপরের তিনটা পয়েন্টের দূর্বলতা উনি রাখতেন না।
আপনি খুব স্পেসিফিকালি বলেন, এইখানে আমার ঠিক কোনো যুক্তিটা আপনি টাচ করেছেন।
_________________
মুরতাদের শাস্তি সঙ্ক্রান্ত আলোচনা:
আপনি বলেছেন:
{{৪:১৩৭ এখানে ১৬:১০৬-এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না, বরং ব্যাখ্যা করে এইভাবে যে, শাস্তি দেবার আগে একাধিকবার সুযোগ দিতে হবে।}}
এইতো লাইনে এসেছেন। কোরানের আয়াত যে কন্ট্রাডিক্ট করেনা সেতো আমি জানিই। আমি তো হাদীসের কথা বলেছিলাম। আপনি এর আশ পাশের সকল আয়াত পড়ে দেখেন এইখানে আল্লাহ পরকালের শাস্তির কথা বলেছেন। আর আপনি কোরান অনুযায়ী বুঝতে পেরেছেন যে একাধিকবার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু হাদীস অনুযায়ীকি সেটা বুঝা যায়? নিচের হাদীসগুলো পড়ুন.....
আমার জবাব:
হাদিসগুলোর প্রথমটাতে বলা হয়েছে: যে ইসলাম ত্যাগ করেছে, এবং মুসলিমদেরকেও ত্যাগ করেছে....
এই সেইম হাদিস আবু দাউদে আয়েশার বরাত দিয়ে এসেছে:
one who goes forth to fight with Allah and His Apostle, in which case he should be killed or crucified or exiled from the land
অর্থাৎ, দ্বিতীয় হাদিস দিয়ে প্রথম হাদিসটির ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে এইভাবে যে, ইসলাম ত্যাগ করার পর মুসলিমদেরও ত্যাগ করার মানেটা হলো এই যে সে ইসলাম ত্যাগ করেই চুপ থাকছে না, বরং আল্লাহ ও তার রাসুল সা.-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও হাত লাগাচ্ছে। তার জন্য আলাদা সুযোগ দেবার কোনো কথা কোরানই বলে নি।
এই হাদিস তিন হাদিস গ্রন্থে তিনবার পেলাম। তিনটার কোনোটাতেই শুধু ইসলাম ত্যাগের জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয় নি। এবং ভাষাটা খেয়াল করেন: The blood of a Muslim who confesses that none has the right to be worshipped but Allah and that I am His Apostle, cannot be shed except in three cases....
অর্থাৎ, এর বাইরে আর সকল মুসলমান (ইনক্লুডিং যে ইসলাম ত্যাগ করেছে, এবং শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করেছে) এর ক্ষেত্রে এই কথা: The blood of a Muslim cannot be shed...
সুতরাং প্রথম হাদিসটা কোনোভাবেই কোরানের বিপক্ষে যায় না।
দ্বিতীয় হাদিসটায় যেটুকু বর্ণনা এসেছে তাতে শাস্তি প্রসঙ্গে এবং তার পুরো কারণ প্রসঙ্গে কনক্লুসিভ কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
তৃতীয় হাদিসটা রাসুল সা.-এর একটা স্বপ্নের বিবরণ। এখানে শাস্তি নিয়ে কিছু বলা হয় নি।
___________________________________________
সাকলিং সঙ্ক্রান্ত আরো আলোচনা:
আপনি বলেছেন:
যার ভ্যালিডিটি নাই সেই রকম হাদীস বুখারী কোন যুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন? আর এক জায়গাতে নবী বলছেন ফস্টারশীপ শুধু সাকলিং পিরিওডে ভ্যালীড, অন্য জায়গাতে বলছেন দাড়ি ওয়ালার জন্যও ভ্যালীড। পরিষ্কার কন্ট্রাডিকশন। একটা দিয়ে আরেকটাকে ইনভ্যালীড করে দিচ্ছেন, কিন্তু কোনটা ইনভ্যালীড হবে সেটা কোণ হাদীস দিয়ে নির্ণয় করলেন? কোনো হাদীস তো কোনটাকে সরাসরী ইনভ্যালীড করেনাই। মুতা বিবাহের ক্ষেত্রেও তো কিছু হাদীস আছে যা মুতা বিবাহকে ইনভ্যালীড করে দিয়েছিল।
আমার জবাব:
ক) বুখারি কোন যুক্তিতে এই হাদিস অন্তর্ভুক্ত করবেননা, সেইটা বলা উচিত আপনার। ইনভ্যালিড হলেই কি বাইরে রাখতে হবে? নামাজের সময়ের বাইরে মদ খাবার অনুমতির আয়াত তো ইনভ্যালিড, রাসুল সা. নিজেইতো সেই আয়াত মূল কোরানের বাইরে রেখে যান নি; বুখারি কেন এই হাদিস মানুষের না-জানার বাইরে রাখবেন?
খ) কোনটা কোনটাকে ইনভ্যালিড করে দিচ্ছে....এইটা নিয়ে আপনি কনফীউজড।
তাহলেতো মদের ব্যাপারেও কোরানের আয়াত নিয়েও আপনি একইরকম কনফিউজড হবেন। সেইম ব্যাপার। এক আয়াতে লেখা যে মদ হলো শয়তানের কারবার। আর এক আয়াতে লেখা, মাতাল হয়ে যেন কেউ নামাজে না আসে। অর্থাৎ, মদ খেলেও মাতাল যদি না হয়, তাহলে মদ খেয়েও নামাজে আসতে পারে। আবার নামাজের সময়ের আশৈপাশে ছাড়া মদ খেয়ে মাতাল হলেও কোনো সমস্যা নেই। যার আরেকটা অর্থ হলো শয়তানের কারবারে অংশগ্রহণ করার জন্য কোরান অনুমতি দিচ্ছে।
এখন বলেন, এইখানে কোন আয়াত কোন আয়াতকে ইনভ্যালিড করে দিচ্ছে?
____________________
সাকলিং সঙ্ক্রান্ত আরো আলোচনা:
আপনি বলেছেন:
চোখ থাকিতে অন্ধ' প্রবাদ বাক্যটির কথা মনে করিয়ে দিলেন। হাদীসের প্রতি চরম বায়াসড বলেই এই কথাটা বলতে পেরেছেন। অন্যথায় পারতেননা। এখন ইসলামের অংশ নয় এটা বলেই খালাস হয়েছেন, কিন্তু এমন একটা জিনিস ইসলামের অংশ ছিল তা ভাবতে খারাপ লাগছেনা। আর বুখারীর বিচার বুদ্ধি নিয়েও কোন প্রশ্ন করছেন না বরং বুখারীকেই সহিহ বলে দিলেন। তাহলে বুখারী যে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর অনুমতি পেয়ে হাদীস অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন সেই কথার কি হবে জাবাব আছে কি? ইনভ্যালীড একটা জিনিস লিখার অনুমতি আল্লাহ দিয়ে দিলেন? চক্ষু খুলুক, এই দোয়াই করি আল্লাহর কাছে।
আমার জবাব:
এইখানে ব্যবহৃত সাকলিং শব্দটার অর্থা যাই হোক, তাতে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অপ্রয়োজনীয় কিছুর পেছনে সময় ব্যয় করতে চাচ্ছিলাম না।
ইসলামের অংশ হিসেবে সেটাকে খারাপ কেন লাগবে, সেটাই বুঝলাম না।
সাকলিং শব্দের মানে কি শুধু সরাসরি স্তন থেকে দুধ খাওয়া? সাকলিং শব্দটা আরবি যেই শব্দের অনুবাদ (الرَّضَاعَة এবং يُرْضِعْني ) তার অনেকগুলো অর্থের ভেতরে আছে:
Sakhr Dictionary - 2006/2007:
"suckling, nursing."
Without the diacritical marks and vowels, الرضاعة means:
Sakhr Dictionary - 2006/2007:
"suckling, nursing, fosterling, nursing bottle, feeding bottle."
The root word means:
Steingass Dictionary - Page 266:
"Sucking; foster."
The Hans Wehr Dictionary of Modern Written Arabic, Page 344:
"suckling, nursing bottle, foster relationship."
এবং সালেমকে আবু হুজাইফার স্ত্রী শৈষ পর্যন্ত কীভাবে দুধ খাইয়েছিলেন? ইবনে সাদের তাবাকাতে পাওয়া যায় তার বিস্তারিত বিবরণ:
"Muhammad Ibn 'Umar told us: Muhammad Ibn 'Abdullah, Az-Zuhri's nephew, told us on authority of his father that he said: an amount of one milk drink was collected in a pot or glass, so Salem used to drink it every day, for five days. After this, he used to enter at her while her head is uncovered. This was permission from Messenger of Allah to Sahla bint Suhail." (Ibn Sa'd, Kitab At-Tabaqat Al-Kabir, Volume 10, page 257. Also, Ibn Hajar, Al-Isabah, Volume 7, page 717).
আরো বিস্তারিত পড়ার জন্য এই লিংকে যাবেন: There is no adult breastfeeding in Islam
সুতরাং এমন একটা জিনিস ইসলামের অংশ ছিলো এটা ভাবতে খারাপ লাগবে কেন, একটু স্পষ্ট করে বলেন। বুখারির বিচার বুদ্ধি নিয়েই বা প্রশ্ন আসছে কেন? আপনি বোধহয় বিতর্কের সময় ইমোশনাল হয়ে পড়েন, প্রচুর অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ফেলছেন। অনুগ্রহ করে একটু কন্ট্রোল করেন।
আর নিতান্ত নোংরা মানসিকতা না হলেতো এইরকম চিন্তা মাথায় আসার কথা না যে ১) রাসুল সা. এইক্ষেত্রে সরাসরি স্তন থেকে দুধ পান করাতে বলবেন, যেখানে আলাদা করে পান করানোর ফলেও সেই দুধ খাওয়ানোই হয়, ২) সরাসরি স্তন থেকে দুধ পান করাবেন আবু হুজাইফার স্ত্রী, আর তাই শুনে আবু হুজাইফার মনে থেকে ডিসগাস্ট দূর হয়ে যাবে!!!
আশা করছি, আপনি এরকম নোংরা মানসিকতার অধিকারী নন।
ভালো করে বুঝে নেন সাকলিং সঙ্ক্রান্ত আমার কথাগুলো:
* সাকলিং-এর যে-আয়াতের কথা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবেই ফস্টারেজ কেন্দ্রিক, এবং ফস্টারশিপ শুধু প্রথম দুবছরের দুধপানের জন্যই প্রযোজ্য। এটা হচ্ছে জেনারেল রুলিং।
* সালেম-এর জন্য রুলিংটা ছিলো হয় এই "দুবছরের হুকুম" (কোরান এবং হাদিস)-এর আগে, অথবা বিশেষ করে তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
* সালেমের দুধপান ছিলো আলাদা পাত্র থেকে। সরাসরি স্তন থেকে নয়।
_________________________
আপনি আরো বলেছেন:
সাকলিং পিরিয়ডের কথা তুলে বলে দিলেন যে টেন সাকলিং লজ্জাজনক না !! আমি কি পরিষ্কার রেফারেন্স দেই নাই যেখানে দাঁড়িওয়ালা পূর্ণবয়ষ্ক লোকের কথা বলা আছে? লজ্জাজনক নয় কথাটা বলতেও লজ্জা করলনা, এতটাই হাদীস বায়াসড আপনি! কোরানের আয়াতের সত্যতাই প্রমাণ করছে আপনি।
আমার জবাব
কথা যদি না বুঝে থাকেন তো আবার বলছি, (অনুগ্রহ করে মনযোগ দিয়ে পড়বেন)
সালেমকে দাড়িওয়ালা পূর্ণবয়ষ্ক লোক বলেছেন!
সালেম আসলে কে ছিলেন? সালেম ছিলেন আবু হুজাইফার স্বাধীন করে দেওয়া চাকর, যাকে পালকপুত্রের মতো বড় করছিলেন। তো সে যখন জাস্ট সাবালক হয়েছে, তখনকার ঘটনা হলো এ্ই হাদিসের মূল কথা।
'A'isha (Allah be pleased with her) reported that salim, the freed slave of Abu Hadhaifa, lived with him and his family in their house. She (i. e. the daughter of Suhail came to Allah's Apostle (may peace be upon him) and said: salim has attained (purbety) as men attain, and he understands what they understand, and he enters our house freely, I, however, perceive that something (rankles) in the heart of Abu Hudhaifa, whereupon Allah's Apostle (may peace be upon him) said to her: Suckle him and you would become unlawful for him, and (the rankling) which Abu Hudhaifa feels in his heart will disappear. She returned and said: So I suckled him, and what (was there) in the heart of Abu Hudhaifa disappeared. (Book #008, Hadith #3425 )
প্রথম কথা হলো:
সালেম কে দাড়িওয়ালা পূর্ণবয়ষ্ক বলে আসলে কি একটা মিথ্যাচারই করলেন না? এবং এই মিথ্যাচারের পেছনে আসলে কী? আপনার এতে কী লাভ হলো মেহেদী পরাগ, বলেন তো? অন্ধ হাদিসবিরোধিতা?
দ্বিতীয় কথা হলো:
{{She returned and said: So I suckled him}}-এর So I suckled him-এর বিস্তারিত আমি অলরেডি তুলে দিয়েছি। না! সরাসরি স্তন থেকে না, বরং আলাদা একটা পাত্রে দুধ তুলে দেওয়া হয়েছিলো, সেই দুধ পান করেছেন সালিম।
অতএব, টেন সাকলিং-এর আয়াত-এর সাথৈ কোনো লজ্জাজনক ঘটনা জড়িত নেই।
২৩ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:০৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার ১নং পয়েন্টের যুক্তি সরাসরী টাচ করা মোটেই জরুরী নয়। কারণ বারবারই বলছি যে মুনাফিকদের কর্মকান্ড দেখে কিছু বুঝার উপায় নাই। তবু আপনার ইনসিস্টের কারণে আমি টাচ করলাম।
আপনার পয়েন্ট ক) আবু হুরাইরা মাত্র তিনবছর রাসুল সা.-এর সাথে ছিলেন। এই তিনবছরে অত হাদিস তৈরি করা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলেই একটা সন্দেহের ব্যাপার। সুতরাং, ইসলামের ক্ষতি করা যার টার্গেট, সে অবশ্যই নিজের নামে অত হাদিস তৈরি করার মতো একটা সন্দেহপূর্ণ কাজ করে তার টার্গেট নষ্ট করবে না।
আমার যুক্তি খন্ডনঃ তার টার্গেট হচ্ছে জাল হাদীস ঢুকানো। তো হাদীস না বলে তো আর জাল হাদীস ঢুকানো সম্ভব নয়। তাই হাদীস তাকে বলতেই হত। এইটুকু ঝুঁকি না নিলে তো চেষ্টাই করা হলনা। এখন যাতে কেউ সন্দেহ না করে সেজন্য সে প্রথমে সত্য হাদীস প্রচুর বয়ান করেছে। এই সময়ে সে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে যে লোকে তার বেশী হাদীস বর্ণনা কিভাবে নেয়, এদিকে তার ভয়েরও কিছু ছিলনা কারণ সে মিথ্যা কিছু বলছেনা। লোকে খারাপ ভাবে নিলে সে এই পদ্ধতি পরিত্যাগ করত। এইভাবে সে মূল কাজে যাবার সাহস অর্জন করল। এই পর্যন্ত যেহেতু সে প্রচুর হাদীস বর্ণনা করেছে তাই আত্মবিশ্বাস তার আসবেই। সন্দেহ যা করার তা অলরেডি মানুষ করে ফেলেছে, সে জবাবও দিয়েছে যে তার স্মৃতি ভাল (এটা সত্য ঘটনা) এবং এর পর তেমন ঝামেলাও হয়নাই, কেউ তেমন প্রশ্নও করেনাই। এবার সে মূল কাজে যাবার ব্যাকগ্রাউন্ড পেল। এই পর্যায়ে এসে জাল হাদীস বানানো তার জন্য মোটেই হুমকি নয়। উপরের আমার আগের মন্তব্যে আমি আবু হুরায়রার ভন্ডামী প্রমাণ করে দেখিয়েছি, এতেই আমার যুক্তির সত্য হবার সম্ভাবনা দেখা যায়। আপনি মোটেই তা ০% বলে উড়িয়ে দিতে পারেননা।
আপনার পয়েন্ট খ) যদি পরিচিতির জন্য কিছু হাদিস বানাতোও, অবশ্যই সেই সংখ্যা আয়েশা/আলী/আবুবকর-এর চেয়ে বেশী হতো না। (এটা আপনারই একটা পাল্টা যুক্তিতি থেকে ডিরাইভ করা হয়েছে)
আমার যুক্তি খন্ডনঃ কেন বেশী হতনা? সে চেয়েছিল অন্য সকলের চাইতে অনেক গুন বেশী হাদীস বর্ণনা করে বেশী পরিচিতি পাবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে, অন্যান্য যেকোন রাবী অপেক্ষা (প্রধান চার সাহাবী আর আয়েশার কথা অনন্য) আবু হুরায়রার নাম বেশী মানুষ জানে। সেই সংখ্যা আয়েশা/আলী/আবুবকর-এর চেয়ে বেশী না হলে আবু হুরায়রার নাম এইভাবে কেউ জানতনা।
আপনার পয়েন্ট গ) রাসুল সা.-এর সাথে তার কাটানো সময় বানানো হাদিসের মাধ্যমে ইজিলি ৩ বছরের সাথে আরো ৩/৪ বছর বাড়িয়ে নেওয়া যেত---এইকথাটাও এইখানে এ্যাড করতে পারেন।
আমার যুক্তি খন্ডনঃ এই কথাটা ঠিক বুঝিনাই।
___________________________________________
মুরতাদ সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন তা ঠিক আছে। কিন্তু শরীয়া আইনের কথাটা আপনি বেমালুম ইগনোর করছেন। শরীয়া আইনে আপনার মত করে ব্যাখ্যা দেয়া নাই। সেখানে বলা আছে মুরতাদ মানেই হত্যা কর। আর আমার দেয়া তিন হাদীসে যখন আপনি শুধু ইসলাম ত্যাগের জন্য শাস্তি মৃত্যুদন্ড পাননি, তখন আরও একটা দিলাম।
Click This Link
এইখানে সরাসরী নবী বলেছেন যে শুধু ইসলাম ত্যাগের শাস্তিই মৃত্যুদন্ড। শরীয়া আইনের প্রবক্তারা এই হাদীসটিই অনুসরণ করবেন, আপনার মত ব্যাখ্যা তারা করবেননা। যাই হোক মুরতাদ নিয়ে কোরানে বহুবার বহু কিছু বলা হয়েছে, তাই আর মাত্র দুইটা শব্দ kill them কেন আল্লাহ কোরানে দিতে পারলেননা তা আশ্চর্যজনক। যেখানে কোরান দাবী করে এই কোরানে সব কিছুই দেয়া আছে। আমরা যাতে সহজে বুঝতে পারি তাই আল্লাহ একই জিনিস কোরানে পুন পুন বর্ণনা করেন। দুইটা শব্দ দিয়েই যেখানে সব বুঝানো যেত সেখানে নবীর জীবনে তার প্র্যাক্টক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশন করিয়ে তা ইসলামে অন্তর্ভুক্ত করাটা ঠিক যৌক্তিক মনে হয়না, অন্য অনেক কঠিন ব্যাপার হলে না হয় নবীকে ফলো করা সঙ্ক্রান্ত আপনার যুক্তিগুলো বিবেচনা করা যেত। তাহলে কোরানে আমাদের প্রয়োজনীয় সব কিছুই দেয়া আছে এই আয়াতের কি হবে? চোরের হাত কাটার ব্যাপারটাও কোরানে কেন দেয়া হল বুঝা গেলনা, নবীকে দিয়ে কাটালেই হতনা?
_________________________________________
সাকলিং ভার্স সম্পর্কেঃ
আপনি বলেছেনঃ {{সালেম কে দাড়িওয়ালা পূর্ণবয়ষ্ক বলে আসলে কি একটা মিথ্যাচারই করলেন না? এবং এই মিথ্যাচারের পেছনে আসলে কী? আপনার এতে কী লাভ হলো মেহেদী পরাগ, বলেন তো? অন্ধ হাদিসবিরোধিতা?}}
মিথ্যাচার করব কেন? এতদিন আলোচনার পর আমাকে মিথ্যাবাদী মনে হল? আপনার দেয়া লিঙ্কেই ৩৪২৮ নং হাদীসে লক্ষ করুন লিখা আছে He has a beard. আরও লিখা আছে who has passed the period of foster age. বানান ভুল আছে, অন্য কোথাও চেক করে নিতে পারেন। আর আয়েশার হাদীসে লিখা আছে Salim has attained as men attain, and he understands what they understand. এখন পূর্ণবয়ষ্ক বলতে যদি মনে করেন আমি ৫০ বছরের বুড়া বুঝিয়েছি তবে সেটা আপনার ব্যর্থতা, আমার নয়। যে ছেলের দাড়ি উঠে আর পূর্ণবয়ষ্ক পুরুষ যা বুঝে সেটাও বুঝতে শিখে যায় তাকে পূর্ণবয়ষ্ক বলাটা (সাকলিং প্রসঙ্গে) কিভাবে মিথ্যাচার হল একটু বুঝিয়ে দিলে বাধিত হব। আর অন্ধ বলছেন কেন? বৈজ্ঞানিক ভাবে সম্পূর্ণ ভুল হাদীস বিশ্বাস করাটা বরং আমি অন্ধ বলব। হাদীস বিশ্বাস করিনা সে কথা আমি এক বারও বলিনাই, আমি শুধু বলেছি বক্তব্য দিয়ে বিচার করে আমি হাদীস বিশ্বাস করি। এতেই বুঝা যায় আমি অন্ধ হাদীস বিরোধী নই বরং যুক্তিবাদী।
সাকলিং শব্দ এর যে এরাবীক রূট আপনি দেখালেন তা হাদীসের কন্টেক্স এর কারণেই বাতিল হয়ে যায়, কেননা ফস্টার এইজ পার হয়ে গিয়েছে। ফিডিং অর্থটাও যায়না কারণ এই অর্থ দিয়ে বুঝানো যায় না যে বাটিতে করে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সাকলিং শব্দটাই সবচেয়ে বেশী প্রযোজ্য। আর নবী যখন বলেন সাকলিং এর কথা তখন সাহলা জানিয়েছিলেন যে সালিমের দাড়ি আছে এবং সে এডাল্ট। বাটিতে দুধ খাওয়ানোর ব্যাপার হলে নবীর আদেশের পর আর এই কথা জানানোর দরকার ছিলনা। ৩৪২৬ নং হাদীসেও দেখছি যে ইবনে আবু মুলাইকা ভয়ে এই হাদীস বর্ণনা থেকে বছর খানেক বিরত ছিলেন। সাকলিং শব্দটাই যে ভয়ের কারণ তা কাউকে বলে দেয়া লাগেনা। আর সর্বোপরি এই আয়াতের সমমানের বা বেটার আয়াত আপনি দেখাতে পারেননাই। আর এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন স্কলার এই সাকলিং প্রথা (বাটি থেকে দুধ খাওয়া নয়) বর্তমানেও প্রযোজ্য আছে বলে মনে করেন। মাওলানা মউদুদীও এই সাকলিং এর পক্ষে বেশ সাফাই গেয়েছেন।
তো আপনি দুধপান সম্পর্কিত যতই রেফারেন্স দেননা কেন এইসব রেফারেন্সের শতভাগ নিশ্চয়তা নেই। তাবেরীর বইতে পর্যন্ত প্রচুর ভুল আছে। ইবনে সাদ এর বইও লিখা হয়েছে ওই সাকলিং ঘটনার অনেক পরে, সাদ কি কোন রেফারেন্স দিয়েছিলেন যে তিনি কার কাছ থেকে এই কথা শুনেছেন? নাকি নিজের যুক্তিবোধ প্রয়োগ করেছেন? হাদীস পড়ে আমি মোটামোটি নিশ্চিত যে তিনি নিজের যুক্তিবোধ প্রয়োগ করেছিলেন। এই ব্যাপারটা পারলে একটু ক্লীয়ার করবেন। সাদ কোন রেফারেন্সে (আন অথেন্টিক হলেও সমস্যা নেই) এই কথা বলে থাকলে আমি আর সাকলিং ভার্স নিয়ে অন্য রকম ধারণা করবনা।
২৩ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আর কোন নোংরা মানসিকতা আমার নেই। আপনি কি ভাবছেন যে আমি এই হাদীস বিশ্বাস করি? আমি এটা নবীর নামে এমনকি কোরানের নামে জঘন্য মিথ্যাচার বলে মনে করি। কোরানের আয়াত কখনো এইভাবে ছাগলে খেয়ে ফেলেনা। কোরানের আয়াত হলে নবীর অন্য স্ত্রীরাও এই ধারণার বিপক্ষে অবস্থান নিতেননা। অথচ আপনি এটাকে কোরানের আয়াত বলেই বিশ্বাস করেন।
১২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আবু হুরায়রার স্মৃতি বিভ্রাটঃ
Musnad of Ahmad ibn Hanbal, 6/246
Abu-Hassan reports that two people came to Aishah and said to her that Abu Hurayrah narrates that the Prophet used to say that bad luck is to be found only in women, horses and houses. At this Aishah replied: By the God who revealed the Qur’an to the Prophet ! The Prophet never said this; what he did say was that the People of the Jahilliyyah hold this opinion.
আবদুল্লাহ বিন উমরেরও কি একই সমস্যা? নাকি আয়েশা মিথ্যাবাদী?
বুখারী, বুক ৭১, হাদীস ৬৪৯
হাদীস সিলেকশনের জন্য বুখারী যে ক্রাইটেরিয়া দিয়েছিলেন, তাতে তো মিথ্যাবাদী/স্মৃতিভ্রংশ কোন লোকের হাদীস নেয়ার কথা নাই। আবু হুরায়রা তো এই ক্ষেত্রে বাদ পড়ে যাবার কথা (কারণ আইদার সে মিথ্যাবাদী অথবা শর্ট মেমরীর অধিকারী অথবা দুটাই সেটা প্রমাণ করেছি), কিন্তু বুখারীর প্রায় অর্ধেক হাদীস আবু হুরায়রা বর্ণিত!! গুড গড!!
১২৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: সূর্য এবং শয়তানের শিং সঙ্ক্রান্ত আলোচনা:
এই প্রসঙ্গের আলোচনায় আপনি মূলত রাসুল সা.-এর নিম্নোক্ত উক্তিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন:
The sun rises and with it is a horn of Shaytan and when the sun gets higher the horn leaves it. Then when the sun reaches the meridian the horn joins it and when the sun declines the horn leaves it, and when the sun has nearly set it joins it again." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade prayer at these times.
এই হাদিসে সূর্যের মাধ্যমে শয়তান যে জাতিগুলোকে তার পূজারী বানিয়েছে, তাদের প্রসঙ্গে কথা বলা হয়েছে। রূপকভাবে শয়তানের শিং কথাটা ব্যবহৃত হয়েছে।
এই সূর্যপূজারীদের পূজার সময়ে নামাজ পড়া নিষেধ করা হয়েছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি এইভাবে যুক্তি দিলে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সত্যিকারের কন্ট্রাডিকশনও প্যারালাল করে ফেলা সম্ভব।
লক্ষ করুনঃ আপনিই দাবী করেন যে কোরান আমাদের পক্ষে বুঝা সম্ভব না। তাই কোরানের বক্তব্য পরিষ্কার করতে নবীকেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে। এখন নবীই যদি এইরূপ রুপক ভাবে কথা বলেন তাহলে আপনার যুক্তির স্থান কই? নবী কি বলে দিতে পারতেননা যে তোমরা সূর্যপূজারীদের পূজার সময়ে নামাজ পড়োনা। এটাই স্বাভাবিক ছিলনা?
আপনার জন্য আরেকটা হাদীসঃ
বুখারী, বুক ৫৩, হাদীস ৩৩৬
Narrated 'Abdullah: The Prophet stood up and delivered a sermon, and pointing to 'Aisha's house (i.e. eastwards), he said thrice, "Affliction (will appear from) here," and, "from where the side of the Satan's head comes out (i.e. from the East)."
এইখানে খেয়াল করবেনঃ ব্র্যাকেটের কথাগুলো বুখারীর নয়। আয়েশার ঘরের সাথে ইস্ট বা সূর্যের কোন সম্পর্ক নেই। তো ব্র্যাকেটের কথাগুলো না থাকলে আয়েশা দোষী হয়ে যায়। আসলেই দেখি যে আয়েশা থেকে বর্ণিত হয়েছে অনেক হাদীস আছে যা ইসলামের ক্ষতিই করছে বলে মনে করি। কিন্তু আয়েশাকে দোষ দেয়া থেকে বাঁচাতেই সূর্যোদয় এর সাথে শয়তানের শিং সম্পর্কিত হাদীসটি সম্পূর্ন অপ্রাসঙ্গিকভাবে এইখানে মিলানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এবার শ্যাম রাখবেন না কুল? সূর্যের হাদীসটাকে রূপক বলা থেকে বিরত থাকবেন নাকি আয়েশাকে দোষারোপ করবেন? জানি কোনটাই করবেননা। অন্ধ হাদীস বিশ্বাস থেকে মনগড়া আরেকটা ভিত্তিহীন ব্যাখ্যা দাঁড় করাবেন।
১৩০| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২৯
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আবু হুরাইরার উপর মিথ্যাচারের অপবাদ:
Narrated Abu Huraira: "The Prophet said, 'The best alms is that which is given when one is rich, and a giving hand is better than a taking one, and you should start first to support your dependents.' A wife says, 'You should either provide me with food or divorce me.' A slave says, 'Give me food and enjoy my service." A son says, "Give me food; to whom do you leave me?" The people said, "O Abu Huraira! Did you hear that from Allah's Apostle ?" He said, "No, it is from my own self." বুখারী, বুক ৬৪, হাদীস ২৬৮
এই হদিসটাকে সামনে রেখে আপনি বলেছেন:
লক্ষ করুন হুরায়রা প্রথমে দাবী করেছেন যে নবী এটা বলেছেন। পরে স্বীকার করেছেন যে এটা তার নিজের কথা। নবীর নামে এইভাবে মিথ্যা বলার পরেও তাকে সত্যবাদী বলা যায় কোন যুক্তিতে? বুখারীর বিচার বুদ্ধি নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন করিনা।
এই প্রসঙ্গে আমার জবাব:
১) আবু হুরাইরা যদি আসলেই হাদিস বানানোর টার্গেট নিয়ে মাঠে নামতেন, তাহলে মানুষ তাকে চার্জ করার পর স্বীকারই করতেন না যে এইটা তিনি নিজেরই থেকে বলেছেন।
২) ১ নং থেকে পাই, যে, আবু হুরাইরা হাদিস বানানোর টার্গেটে মাঠে নামেন নাই।
৩) সুতরাং তিনি যখন বলেছেন যে "নবী বলেছেন:...", তখন সেইটা মিথ্যা হবার প্রশ্নই আসে না। আর্থাৎ, আসলেই নবীর একটা উক্তি তিনি উল্লেখ করেছেন।
৪ ক) যদি ধরে নেই যে তিনি হাদিস বানানোর টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন, তাহলে লাস্টে তার মিথ্যা করে এইকথা বলার কোনো কারণ নাই যে তিনি এইটা নিজের থেকেই বলেছেন। বরং তিনি যদি এই শেষ কথাটায় মিথ্যা বলতেই চাইতেন, তাহলে অবশ্যই বলতেন যে, হ্যা, এইটা রাসুল সা.-ই বলেছেন।
খ) যদি ধরে নেই যে তিনি হাদিস বানানোর টার্গেট নিয়ে মাঠে নামেন নি, তাহলেও লাস্টে তার মিথ্যা করে এইকথা বলার কোনো কারণ নাই যে তিনি এইটা নিজের থেকেই বলেছেন।
অর্থাৎ, হাদিস বানানো বা না-বানানো উভয় এ্যাজামশনেই তার শেষ কথাটা (No, it is from my own self) মিথ্যা না, এইটা আমরা প্রমাণ করলাম।
অর্থাৎ, এই হাদিসে তার বক্তব্যও আছে।
৫) সুতরাং ২ এবং ৪ নং থেকে আমরা পাই,
এই হাদিসে নবী এবং আবু হুরাইরা উভয়েরই বক্তব্য রয়েছে।
এবার খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখেন, হাদিসটায় মানুষেরা তাকে চার্জ/জিজ্ঞাসা করার আগে আবু হুরাইরা যা বলেছেন, তার ভেতরে দুটো অংশ আছে।
অংশ-১:
The Prophet said, 'The best alms is that which is given when one is rich, and a giving hand is better than a taking one, and you should start first to support your dependents.
অংশ-২:
A wife says, 'You should either provide me with food or divorce me.' A slave says, 'Give me food and enjoy my service." A son says, "Give me food; to whom do you leave me?"
আমরা যদি আমাদের ৫নং-এ প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত এই দুটো অংশের উপরে এ্যাপ্লাই করি, তাহলে দেখবো যে, ১ম অংশটা অবশ্যই রাসুল সা.-এর। এবং ২য় অংশটা অবশ্যই আবু হুরাইরার।
সামান্য সচেতনভাবে পড়লেই টের পাবেন যে আবু হুরাইরার অংশটুকুন ইচ্ছাকৃত এডিশন না। এটা রাসুল সা.-এর কথার প্রেক্ষিতে তার বলা উদাহরণ ছাড়া আর কিছুই না। আমরা কোরান থেকে বাংলায় অনুবাদ করে কিছু বলার পর যখন সেইটা নিয়ে কিছু বলি তখন কেউ যদি আমার বক্তব্যকেও কোরানের অংশ ভাবা শুরু করে সেইটা তার সমস্যা।
আপনি যদি খৈয়াল করে পড়তেন, তাহলে দেখতেন, এই হাদিসে আবু হুরাইরার গোটা ন্যারেশন ডাবল ইনভার্টেড কমার ভেতরে রাখা, এবং রাসুল সা.-এর বক্তব্যটা সিঙ্গেল ইনভার্টেড কমার ভৈতরে। এবং অর্থাৎ, রাসুল সা. বক্তব্য শেষ হবার পর অর্থাৎ, সিঙ্গেল ইনভার্টেড কমা শেষ হবার পর যেটুকু, তা আবু হুরাইরার নিজের বক্তব্য।
অর্থাৎ, যিনি হাদিস কালেক্ট করেছেন, অথবা যার কাছৈ থেকে কালেক্ট করেছেন, অথবা শেষ পর্যন্ত যিনি লিপিবদ্ধ করেছেন, তাদের কেউ একজন অবশ্যই হাদিসটার প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পেরেছেন।
বুখারির বিচার বুদ্ধি নিয়ে আমার ভরসা আরো বাড়ায়া দিলেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
২৩ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি যে এই রকম একটা ব্যাখ্যা দেবেন তা বুঝেছিলাম, আগেই তা একটা ফোরামে দেখেছি। এইখানে আপনার ব্যাখ্যাটা কেন গ্রহণযোগ্য নয় তা বলছি।
আপনি ইনভার্টেড কমার কথা বলেছেন, সেটা আমি আগেই ভালভাবে খেয়াল করেছিলাম। এইবার দেখেন ইনভার্টেড কমার ভেতর নবীর বক্তব্য আছে, ওয়াইফের বক্তব্য আছে, স্লেভ এর বক্তব্য আছে আর সানের বক্তব্য আছে। হুরায়রায় নিজের বক্তব্য একেবারেই নাই। পিপল যেখানে পরিষ্কার শুনল যে ওয়াইফ আর সানের বক্তব্য বলা হয়েছে সেখানে এই অংশটা নবীর বক্তব্য কিনা জিজ্ঞেস করাটা অবান্তর। বরং নবীর নামে যেটা বলা হয়েছে সেটাই পিপল জিজ্ঞেস করেছে। আর স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করে দেখেন কোন দাসী/স্ত্রী/সন্তান এর কোটেশন দেয়া বক্তব্য কোনক্রমেই আবু হুরায়রার নিজস্ব বক্তব্য হতে পারেনা অথচ আপনি বলছেন যে হুরায়রা সেটাই দাবী করেছেন!! এইরিকম অদ্ভুত যুক্তি দেখেই নিজের পক্ষে যাচ্ছে বলে চোখ বুজে মেনে নেয়াটা মোটেই পক্ষপাতহীন আচরণ নয়।
১৩১| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: আবু হুরায়রার স্মৃতি বিভ্রাট???
আবু হুরাইরার স্মৃতিবিভ্রাট শিরোনাম দিয়ে আপনি এই হাদিসটা উল্লৈখ করেছেন:
Musnad of Ahmad ibn Hanbal, 6/246
Abu-Hassan reports that two people came to Aishah and said to her that Abu Hurayrah narrates that the Prophet used to say that bad luck is to be found only in women, horses and houses. At this Aishah replied: By the God who revealed the Qur’an to the Prophet ! The Prophet never said this; what he did say was that the People of the Jahilliyyah hold this opinion.
তারপর সবার শেষে বলেছেন:
হাদীস সিলেকশনের জন্য বুখারী যে ক্রাইটেরিয়া দিয়েছিলেন, তাতে তো মিথ্যাবাদী/স্মৃতিভ্রংশ কোন লোকের হাদীস নেয়ার কথা নাই। আবু হুরায়রা তো এই ক্ষেত্রে বাদ পড়ে যাবার কথা (কারণ আইদার সে মিথ্যাবাদী অথবা শর্ট মেমরীর অধিকারী অথবা দুটাই সেটা প্রমাণ করেছি), কিন্তু বুখারীর প্রায় অর্ধেক হাদীস আবু হুরায়রা বর্ণিত!! গুড গড!!
_________________
এই প্রসঙ্গে আমার মন্তব্য:
এই সঙ্ক্রান্ত আর একটা হাদিস পাওয়া যায়, যা কিনা এই হাদিসটাকে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করে:
Musnad of al-Tayalisi, 1/215
Muhammad bin Raashid narrated to us on the authority of Makhool, it was said to 'Ayesha that Abu Huraira says: that the Messenger of Allaah said: “Pessimism (অর্থাৎ তিয়ারা বা এভিল ওমেন) is found in three things: in a house, a woman and a horse.”.. Ayesha said: Abu Huraira did not memorize this, because when he entered, the Messenger of Allaah -sallAllaahu alayhi wa sallam - was saying: May Allaah curse the Jews; they say: “Without doubt pessimism is in a house, a woman and a horse,' so he heard the end of the hadeeth, and he never heard the beginning of it.”
This hadeeth has one missing link in the isnad, however like other scholars pointed out, it's clearly supported by the authentic hadeeth in Musnad of Imam Ahmad.
Ayesha said: Abu Huraira did not memorize this, because when he entered, the Messenger of Allaah -sallAllaahu alayhi wa sallam - was saying: May Allaah curse the Jews; they say:....এই অংশটুকুই এই কথা পরিষ্কার করে দেয় যে, এই আবু হুরাইরার স্মৃতিবিভ্রাট নিয়ে কোনো কথা আসলে আয়েশা বলেন নি। সুতরাং, তার মিথ্যাবাদী হবার যেমন কোনো কারণ নাই, আবু হুরাইরারও শর্ট মেমোরির প্রসঙ্গে কোনো কথা এখানে হচ্ছে না।
যদি একটা দুটো হাদিসে এই ভুলে যাবার ব্যাপারটা থাকেও, তবু, খুব স্পষ্টভাবেই এই প্রশ্ন তুলা যায় যে, একটা দুইটা কন্টেক্সট থেকে কী করে একজনের স্মৃতিশক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় অথবা সিদ্ধান্ত নেয়া যায়?
_________________
তারপর আপনি বুখারী, বুক ৭১, হাদীস ৬৪৯ -এর লিংক দিয়ে প্রশ্ন করেছেন যে, {{আবদুল্লাহ বিন উমরেরও কি একই সমস্যা? নাকি আয়েশা মিথ্যাবাদী?}}
হাদিসটা এখানে তুলে দিলাম:
Narrated 'Abdullah bin 'Umar: Allah's Apostle said, "There is neither 'Adha (no contagious disease is conveyed to others without Allah's permission) nor Tiyara, but an evil omen may be in three a woman, a house or an animal."
ভালো করে বুঝে নেবেন, এইখানে Tiyara শব্দটাই হলো evil omen বা Pessimism -এর আরবি শব্দ।
অর্থাৎ, nor Tiyara (অর্থাৎ, evil omen বা Pessimism ) পর্যন্ত আয়েশার হাদিসের সাথে কোনো কন্ট্রাডিকশন নাই।
কিন্তু তারপরই বলা হচ্ছে, but an evil omen may be in three a woman, a house or an animal.
অর্থাৎ, একই হাদিসে দুটো বক্তব্যের মাঝে কন্ট্রাডিকশন।
এই কন্ট্রাডিকশনটা আমার কাছে শাফায়ত সম্পর্কিত কন্ট্রাডিকশনের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে পরপর দুটো আয়াত পরস্পর কন্ট্রাডিক্ট করে। আমি এ্ইজন্য আরো হাদিস খুঁজলাম পসিবল এক্সপ্লানেশনের জন্য।
হজরত আনাস থেকে বর্ণিত একটা হাদিসে এই কন্ট্রাডিকশনের একটা সুস্পষ্ট জবাব পেলাম:
‘A bad omen only affects the one who believes in it.’
এই হাদিসটার অথেনটিসিটি নিয়ে কিছু সমস্যা আছে, তবে কন্ট্রাডিকশনটার বিপরীতে সহজ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এখান থেকে,
অর্থাৎ,
যখন বলা হচ্ছে যে, 'Abdullah b. 'Umar reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying. There is no transitive disease, no ill omen, and bad luck is lound in the house, or wife or horse. (মুসলিম, Book #026, Hadith #5524)
অথবা, Abu Huraira reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: There is no transitive disease, no hama, no divination, but I like good omen. (Book #026, Hadith #5522)
তখন ঈমানদারদের কথা বলা হচ্ছে, অর্থাৎ, যারা এভিল ওমেন-এর উপর বিশ্বাস রাখে না। কিন্তু যারা বিশ্বাস রাখে, তাদেরকে যেহেতু এভিল ওমেন এ্যাফেক্ট করে, সেহেতু, নিচের হাদিসে তাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে:
Narrated 'Abdullah bin 'Umar: I heard the Prophet saying. "Evil omen is in three things: The horse, the woman and the house." (Book #52, Hadith #110)
Narrated Sahl bin Sad Saidi: Allah's Apostle said "If there is any evil omen in anything, then it is in the woman, the horse and the house." (Book #52, Hadith #111)
এই তিনটা বিষয়েই কথা হচ্ছে তার কারণ আয়েশা বলে দিয়েছেন (May Allaah curse the Jews; they say), নিচের হাদিসে:
Ayesha said: Abu Huraira did not memorize this, because when he entered, the Messenger of Allaah -sallAllaahu alayhi wa sallam - was saying: May Allaah curse the Jews; they say: “Without doubt pessimism is in a house, a woman and a horse,' so he heard the end of the hadeeth, and he never heard the beginning of it.”
কোরানের দুইটা আয়াত এই প্রসঙ্গে সামনে রাখলে ভালো করবেন:
১৬:৯৯-১০০
(99. Verily, he has no power over those who believe and put their trust only in their Lord.)
(100. His power is only over those who obey and follow him (Shaytan), and those who join partners with Him (Allah).)
১৩২| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: এরপর আপনি বলেছেন যে,
আপনি আপনার মন্তব্যে বলেছিলেন যে আপনি আবু হুরায়রাকে নির্দোষ এবং ভাল মানুষ প্রমাণ করতে পারলে আমি হাদীসে বিশ্বাস আনব কিনা। আমি এইবার আপনাকে অনুরোধ করছি আবু হুরায়রাকে নির্দোষ প্রমাণ করুন।
আর এই প্রমাণ গুলো দেয়ার পরেও যদি বলেন আপনার ১ নং পয়েন্টের যুক্তি আমি খন্ডাতে পারিনাই তাহলে দয়া করে................................
এই প্রসঙ্গে আমার কথা:
আবু হুরায়রার বিপক্ষে আপনার দেওয়া প্রত্যেকটা অভিযোগ খণ্ডন করলাম। আমার ১নংপয়েন্টের যুক্তি খণ্ডন করা তো অনেক দূরের কথা, প্রতিবার আপনার চেষ্টা করার পর আপনার নিজেরই বিপক্ষে সেই ১ নং পয়েন্ট আরো শক্তিশালী থৈকে শক্তিশালীতর হচ্ছে।
এইবার আপনার সিদ্ধান্ত জানানোর পালা।
২৩ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জ্বীনা জনাব, প্রতিটি যুক্তি মোটেই খন্ডন করতে পারেন নাই। উপরের মন্তব্য গুলোতে আমার উত্তর দেখুন।
১৩৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন:
আমার ১নং পয়েন্টের বিপক্ষে আপনার যুক্তি-১ এর যুক্তিখণ্ডন
{{তো হাদীস না বলে তো আর জাল হাদীস ঢুকানো সম্ভব নয়। তাই হাদীস তাকে বলতেই হত।}}
>>এইটা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু সেইজন্য হাদিস তার নিজের নামে হতে হবে কেন?
{{লোকে খারাপ ভাবে নিলে সে এই পদ্ধতি পরিত্যাগ করত। }}
লোকে যে খারাপভাবে নিয়েছে, সেইটা কি আপনি দেখেন নাই। ভালোভাবে নিলে মানুষ কেন হাদিস বর্ণনার মাঝখানে জিজ্ঞেস করবে যে এই হাদিস কি তিনি রাসুল সা.-এর থেকে শুনেছেন কি না। আবু হুরাইরা শুরুতেই তো বলেছেন যে মুহম্মদ সা. বলেছেন, তারপরও কেন তাকে আবার এইকথা জিজ্ঞেস করবে? এর অর্থই হলো লোকে খারাপভাবে নিচ্ছে। তিনি কি পরিত্যাগ করেছেন?
আপনার বাকি কথাগুলো টাচই করলাম না, কারণ আবু হুরাইরার কোনো ভণ্ডামীই আপনি প্রমাণ করতেই পারেন নি।
__________________
আমার ১নং পয়েন্টের বিপক্ষে আপনার যুক্তি-২ ও ৩ এর যুক্তিখণ্ডন
{{{কেন বেশী হতনা? সে চেয়েছিল অন্য সকলের চাইতে অনেক গুন বেশী হাদীস বর্ণনা করে বেশী পরিচিতি পাবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে, অন্যান্য যেকোন রাবী অপেক্ষা (প্রধান চার সাহাবী আর আয়েশার কথা অনন্য) আবু হুরায়রার নাম বেশী মানুষ জানে। সেই সংখ্যা আয়েশা/আলী/আবুবকর-এর চেয়ে বেশী না হলে আবু হুরায়রার নাম এইভাবে কেউ জানতনা।}}}
{{আপনার পয়েন্ট গ) রাসুল সা.-এর সাথে তার কাটানো সময় বানানো হাদিসের মাধ্যমে ইজিলি ৩ বছরের সাথে আরো ৩/৪ বছর বাড়িয়ে নেওয়া যেত---এইকথাটাও এইখানে এ্যাড করতে পারেন।}}
মাত্র তিন বছর রাসুল সা.-এর সঙ্গলাভ করে সে আবুবকর আর আয়েশার চেয়ে বেশি পরিচিত হতে চাইবে? শুনার সাথে সাথেই মানুষের সন্দেহের উদ্রেক করছে। সুতরাং সে কেন আর একটি বানানো হাদিসের মাধ্যমে রাসুল সা.-এর সাথে তার কাটানো সময়ের কথা আরো ৩/৪ বছর বা ৭/৮ বছর বাড়িয়ে নিলো না? মুসলিম উম্মাহ যদি দেখতো যে রাসুল সা-এর দীর্ঘদিনের একজন সাথি এতগুলো হাদিস বর্ণনা করছে, তাহলে কে এত বেশি কোশ্চেন করতো, বলেন?
আপনি বুঝছেন না, মানুষ যে আবু হুরাইরার বেশি বেশি হাদিস বর্ণনা নিয়ে কথা বলতো, তার প্রমাণ হাদিসে আছে। আপনার ধারণা যদি ঠিক হতো, তাহলে অবশ্যই তিনি নিজ নামে হাদিস রচনা করা স্টপ করে অন্য কারো নামে হাদিস বানাতো।
আমি খুবই দুঃখিত, আপনার জবাবগুলো নিতে পারছি না।
___________________________________________
{{মুরতাদ সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন তা ঠিক আছে। কিন্তু শরীয়া আইনের কথাটা আপনি বেমালুম ইগনোর করছেন। শরীয়া আইনে আপনার মত করে ব্যাখ্যা দেয়া নাই। সেখানে বলা আছে মুরতাদ মানেই হত্যা কর। আর আমার দেয়া তিন হাদীসে যখন আপনি শুধু ইসলাম ত্যাগের জন্য শাস্তি মৃত্যুদন্ড পাননি, তখন আরও একটা দিলাম।}}
>>শরিয়া আইন নিয়ে আমি এখন কথা বলবো না, এইজন্য এই বিষয়টা টাচ করি নাই।
আর কন্ট্রাডিক্টরি হাদিস যদি থাকে, তাহলে, আমি তো বলেছি, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য হাদিসের সাথে রিকনসাইল করতে হবে।
আমার বক্তব্যটা ভালো করে খেয়াল করেন:
এই হাদিস তিন হাদিস গ্রন্থে তিনবার পেলাম। তিনটার কোনোটাতেই শুধু ইসলাম ত্যাগের জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয় নি। এবং ভাষাটা খেয়াল করেন: The blood of a Muslim who confesses that none has the right to be worshipped but Allah and that I am His Apostle, cannot be shed except in three cases....
অর্থাৎ, এর বাইরে আর সকল মুসলমান (ইনক্লুডিং যে ইসলাম ত্যাগ করেছে, এবং শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করেছে) এর ক্ষেত্রে এই কথা: The blood of a Muslim cannot be shed...
ইন্টারনেটে আমি যতটুকু পড়লাম, শরিয়া আইন প্রসঙ্গে আপনার কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। উইকিতে এই লিংকে বিস্তারিত আলাপ আছে। সম্ভব হলে পড়ে আসবেন।
যাহোক, কিছুদিন একটু ব্যস্ত থাকবো, তারপর যদি সম্ভব হয়, তাহলে এই নিয়ে কথা বলবো।
__________________
{{দুইটা শব্দ দিয়েই যেখানে সব বুঝানো যেত সেখানে নবীর জীবনে তার প্র্যাক্টক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশন করিয়ে তা ইসলামে অন্তর্ভুক্ত করাটা ঠিক যৌক্তিক মনে হয়না, অন্য অনেক কঠিন ব্যাপার হলে না হয় নবীকে ফলো করা সঙ্ক্রান্ত আপনার যুক্তিগুলো বিবেচনা করা যেত। তাহলে কোরানে আমাদের প্রয়োজনীয় সব কিছুই দেয়া আছে এই আয়াতের কি হবে? চোরের হাত কাটার ব্যাপারটাও কোরানে কেন দেয়া হল বুঝা গেলনা, নবীকে দিয়ে কাটালেই হতনা?}}
>> নবীকে ফলো করা সঙ্ক্রান্ত যুক্তিগুলো কিন্তু আমার না, স্বয়ং কোরানের। আপনার আপত্তিটা যদি কোরানের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে এই বিষয়ে আমি আপাতত কিছু বলছি না। আল্লাহ কেন মাত্র দুটো শব্দ দিয়ে কোরানে না জানিয়ে রাসুল সা.-কে ফলো করতে বলেছেন, এইটা মৃত্যুর পর আল্লাহকে জিজ্ঞেস করাটাই বেটার বলে আমি মনে করি।
>> কোরানে কিন্তু এই হুকুমও দেয়া আছে যে রাসুলকে ফলো করো। অবশ্যই আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই কোরানে আছে। এবং এই প্রয়োজনীয় সবকিছুর মধ্যে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ হুকুম হলো রাসুলকে ফলৌ করো। এতই গুরুত্বপূর্ণ যে তাকে ফলৌ না করলে আসলে আপনি প্রমাণ করলেন যে আপনি আল্লাহকে ভালোবাসেন না, এবং আপনিও তার অনুগ্রহ এবং হেদায়াত পাবেন না।
_________________________________________
{{সাদ কোন রেফারেন্সে (আন অথেন্টিক হলেও সমস্যা নেই) এই কথা বলে থাকলে আমি আর সাকলিং ভার্স নিয়ে অন্য রকম ধারণা করবনা।}}
"Muhammad Ibn 'Umar told us: Muhammad Ibn 'Abdullah, Az-Zuhri's nephew, told us on authority of his father that he said: an amount of one milk drink was collected in a pot or glass, so Salem used to drink it every day, for five days. After this, he used to enter at her while her head is uncovered. This was permission from Messenger of Allah to Sahla bint Suhail." (Ibn Sa'd, Kitab At-Tabaqat Al-Kabir, Volume 10, page 257. Also, Ibn Hajar, Al-Isabah, Volume 7, page 717)
এইখানে বোল্ড করা অংশটুকু পড়েন। আজ-জুহুরীর নেফিউ তার বাবার অথরিটিতে বলেছে ইবনে সাদকে।
এই লিংকে আরো বিস্তারিত পাবেন।
২৭ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: {{নবীকে ফলো করা সঙ্ক্রান্ত যুক্তিগুলো কিন্তু আমার না, স্বয়ং কোরানের। আপনার আপত্তিটা যদি কোরানের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে এই বিষয়ে আমি আপাতত কিছু বলছি না।}}
এইখানেই আপনারা আজব এক কথা বলেন। নবীকে ফলো করা মানে কিভাবে হাদীসকে ফলো করা হল? হাদীস নবীর তত্বাবধানে লিখিত হয়নি, আর ইসনাদ যতই স্ট্রং হোক না কেন সেটাও যে কত বড় ভুল হতে পারে তা নিচের এক হাদীসে দেখিয়েছি। বংশ পরম্পরায় আমরা যে সুন্নাহ পেয়েছি সেটা ফলো করাই রাসূল কে ফলো করা। মানুষ রচিত আজগুবি হাদীস ফলো করা কখনো নবীকে ফলো করা নয়।
১৩৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: কিছুদিন খুব ব্যস্ত থাকবো। সময় দিতে পারবো না। আশা করছি কিছু মনে করবেন না। আপনি জবাব দিয়ে রাখেন, আমি সময় মতো পড়ে নেবো। তারপর সুযোগমত জবাব দেবো।
উইকির এ্যাপস্টেসির লিংকটা আসে নি। এই লিংক ধরে যান।
১৩৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল হাদীসঃ
ইবনে কাথিরের তাফসির থেকে উধৃতঃ শুধু বোল্ড করা অংশটুকু পড়লেই যথেষ্ঠ।
Imam Ahmad recorded that Ibn `Abbas said, "A group of Jews came to Allah's Prophet and said, `Talk to us about some things we will ask you and which only a Prophet would know.' He said, `Ask me about whatever you wish. However, give your pledge to Allah, similar to the pledge that Ya`qub took from his children, that if I tell you something and you recognize its truth, you will follow me in Islam.' They said, `Agreed.' The Prophet said, `Ask me about whatever you wish.' They said, `Tell us about four matters: 1. What kinds of food did Isra'il prohibit for himself 2. What about the sexual discharge of the woman and the man, and what role does each play in producing male or female offspring 3. Tell us about the condition of the unlettered Prophet during sleep, 4. And who is his Wali (supporter) among the angels' The Prophet took their covenant that they will follow him if he answers these questions, and they agreed. He said, `I ask you by He Who sent down the Tawrah to Musa, do you not know that Isra'il once became very ill When his illness was prolonged, he vowed to Allah that if He cures His illness, he would prohibit the best types of drink and food for himself. Was not the best food to him camel meat and the best drink camel milk' They said, `Yes, by Allah.' The Messenger said, `O Allah, be Witness against them.' The Prophet then said, `I ask you by Allah, other than Whom there is no deity (worthy of worship), Who sent down the Tawrah to Musa, do you not know that man's discharge is thick and white and woman's is yellow and thin If any of these fluids becomes dominant, the offspring will take its sex and resemblance by Allah's leave. Hence, if the man's is more than the woman's, the child will be male, by Allah's leave. If the woman's discharge is more than the man's, then the child will be female, by Allah's leave.' They said, `Yes.' He said, `O Allah, be Witness against them.' He then said, `I ask you by He Who sent down the Tawrah to Musa, do you not know that the eyes of this unlettered Prophet sleep, but his heart does not sleep' They said, `Yes, by Allah!' He said, `O Allah, be Witness.' They said, `Tell us now about your Wali among the angels, for this is when we either follow or shun you.' He said, `My Wali (who brings down the revelation from Allah) is Jibril, and Allah never sent a Prophet, but Jibril is his Wali.' They said, `We then shun you. Had you a Wali other than Jibril, we would have followed you.' On that, Allah, the Exalted revealed,
এর সমর্থনে সহিহ মুসলিমেও হাদীস আছে। Sahih Muslim Book 3, Number 0608
শুধুমাত্র পুরুষের শুক্রের মাধ্যমেই সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয়। এটা প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান। কোরানেও এর সমর্থনে পরিষ্কার আয়াত আছে। তো নবী কি সেই কোরান বুঝতেন না? তিনি সম্পূর্ণ ভুল একটা কথা বলে দিলেন?
২৭ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আবার নিচের হাদীসগুলো দেখুনঃ বলা আছে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয় গর্ভ ধারণের ৪০/৫০ দিন পর। তার মানে হাদীস নিজেদের মাঝে কন্ট্রাডিক্ট তো করেই সেই সাথে কোরান আর বিজ্ঞানের সাথেও করে। এত অনির্ভরযোগ্য একটা সোর্সকে কিভাবে বিশ্বাস করতে বলেন?
Muslim, Book 33, Hadith 6392
Muslim, Book 33, Hadith 6397
Bukhari, Book 77, Hadith 594
এই সব হাদীস সহিহ, ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনাকারী আছে, আর ইসনাদও শক্তিশালী।
১৩৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ {{বুখারির বিচার বুদ্ধি নিয়ে আমার ভরসা আরো বাড়ায়া দিলেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। }}
আসুন বুখারীর বিচার বুদ্ধি নিয়ে সহজেই প্রশ্ন তোলা যায় এমন অগুনিত হাদীসের মাঝ থেকে মাত্র একটা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বুখারী, বুক ৫৮, হাদীস ১৮৮
Narrated 'Amr bin Maimun: During the pre-lslamic period of ignorance I saw a she-monkey surrounded by a number of monkeys. They were all stoning it, because it had committed illegal sexual intercourse. I too, stoned it along with them.
জিনার কারণে পাথর মেরে হত্যার ব্যাপারে মানুষ প্রশ্ন তুলতে পারে বলেই কি বুখারী বানরের এই অবিশ্বাস্য হাদীসটি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন? এই ঘটনা যে সত্য নয় তা সহজেই অনুমেয় তবু আলোচনার খাতিরে ধরে নিলাম যে এটা সত্য, সেক্ষেত্রে বানরের এই ঘটনা যার সাথে নবীর কোন সম্পর্কই নাই এমনকি যা ইসলামের আগের যুগের ঘটনা তা হাদীসের বইতে ঢুকানোর অর্থ কি? আর বানর দিয়ে আল্লাহ জিনার শাস্তির ডেমনস্ট্রেশন দেখালেন অথচ নবীর সারাটা জীবন চলে গেল একটা কোরানের আয়াত নাজিল করলেন না, করলেন এমন অন্তিম সময়ে যার পরপরই নবী মারা গেলেন, আর সেই সাথে সেই আয়াতও ছাগলে খেয়ে ফেলল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এদিকে আপনি দাবী করেছেন যে কোরান স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কোরান এক্সপ্লেইন্ড হয়েছে নবীর কাজের মাধ্যমে। এইবার চিন্তা করেনঃ কোরানের আয়াত না পেয়েই নবী সারা জীবন জিনার শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যা চালিয়ে এসেছেন, কিন্তু মানুষ যখন শাস্তির কথা নবীর কাজের মাধ্যমে জেনেই গেল তখন আল্লাহ খামাখা নবীর অন্তিম মুহুর্তে কোরানের জিনার শাস্তি সম্পর্কিত আয়াতও নাজিল করলেন। আর আল্লাহ এতটাই অক্ষম যে সেই আয়াতখানাও টিকিয়ে রাখতে পারলেন না, সামান্য ছাগল আল্লাহকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আয়াত পেটে চালান করে দিল। বুকে হাত দিয়ে বলেন তো ভাই, সত্যি কি এতটুকু উদ্ভট লাগেনা? বানরের এই হাদীসটি বুখারীতে ছোট্ট করে এসেছে, অন্য কোথাও পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে লম্বা কাহিনী পড়েছিলাম, যা আরও অবিশ্বাস্য লাগবে। স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে বুখারীর অসৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া মোটেই কঠিন কিছুনা। আপনি জানেন কি জিনার কারণে পাথর ছুড়ে হত্যার কালচার সম্পূর্ণ ইহুদী ধর্মের নিজস্ব? হাদীসের মাধ্যমে কিভাবে ইসলামে জঘণ্য জিনিস ঢুকেছে তা কি দেখেও দেখবেন না?
২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে, বানরের ইলিগ্যাল সেক্স বলতে কি বুঝায় বুখারী কি কোথাও সেটা ব্যাখ্যা করেছেন? বানরেও কি বিয়া করে? এখন তো দেখছি আশ পাশের গরু ছাগল হাঁস মুরগী কুত্তা বিলায় সবগুলারেই পাথার দিয়া ঢিলাইয়া মাইরা ফালাইতে হবে। বেয়াদব জানোয়ারগুলো চোখের সামনে ইলিগ্যাল সেক্স করে বেড়াইতেছে আর আমরা বুখারীর হাদীস অমান্য করে যাচ্ছি!!! আমাদের যে কি হবে!!!!!!!!!
১৩৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ১৩৫ নং মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি।
১৩৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যা অবশ্যই বিচারের দাবী রাখে। আমরা জানি যে নবীর সাহাবার সংখ্যা ছিলেন অনেক। একেকটা যুদ্ধেই হাজার হাজার সাহাবা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এদিকে আপনি দাবী করছেন যে হাদীস লিখার অনুমতি না থাকলেও মৌখিক প্রচারের অনুমতি ছিল (যা আসলে আদৌ সত্য নয় বলেই দেখলাম, খলিফাদের হাদীসের প্রতি আচরণ আরেকবার রিভাইজ করে। আবু হুরায়রাও তার সিংহভাগ হাদীস বর্ণনা করেছেন মুয়াবিয়ার খিলাফতকালে) । তো মৌখিক প্রচারের অনুমতি থাকলে স্বভাবতই আমরা অযুত সাহাবাদের মাঝে অন্তত সহস্র সাহাবা পেতাম যারা হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে? আসুন লিস্ট দেখিঃ (একদম নিচের লিস্ট দেখুন) মাত্র ১৮ জন! মাত্র!! মাত্র!!! মাত্র!!!! এই ১৮ জনের মাঝে ১০ জনই মূলত পাঁচ শতাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই ১০ জনের মাঝে মূলত ৭ জনের বর্ণনা দ্বারাই হাদীসের বইগুলো ভরাট হয়েছে। যার মাঝে প্রধান চার খলিফার একজনও নাই অথচ তাদেরই অগ্রগণ্য থাকার কথা।
তাহলে কি দাঁড়াল? হাদীসের মৌখিক বর্ণনা এতই প্রচারিত ছিল (!) যে অযুত লক্ষ সাহাবাদের মাঝ থকে আমরা মাত্র ৭ জনের বর্ণনা দিয়ে কাজ চালাচ্ছি! আবার এই দাবী করছি যে এটা ফলো করা মানেই মুহাম্মদকে ফলো করা! যেটাতে আবার অসংখ্য ভুল আর আজগুবি জিনিসপত্র আছে! হাদীসের মৌখিক প্রচারও যে নিষিদ্ধ ছিল তা এই যুক্তি আর খলিফাদের কথা আর বাস্তব রেকর্ড থেকে সরাসরিই প্রমাণিত হয়ে গেল।
এইবার, আপনারা ইসনাদের কথা বলে কিভাবে কোরানকেও অমান্য করছেন তা বলিঃ
(কোরান ৬৩/১-২)
মুনাফিকরা আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। আল্লাহ জানেন যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। তারা তাদের শপথসমূহকে ঢালরূপে ব্যবহার করে। অতঃপর তারা আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে। তারা যা করছে, তা খুবই মন্দ।
কোরানের এই আয়াত থেকে বুঝা যায় রাসুলের সময় মুনাফিক ছিল যারা শপথ করে মিথ্যা কথা বলত। এইবার নিচের আয়াত দেখুনঃ
(কোরান ২৪/১১,১৩,১৫)
যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। তাদের প্রত্যেকের জন্যে ততটুকু আছে যতটুকু সে গোনাহ করেছে এবং তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যে রয়েছে বিরাট শাস্তি।
তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।
যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল।
এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ শিখিয়েছেন কেউ কোন দাবী করলেই তা অন্ধভাবে বিশ্বাস করা উচিৎ নয় যতক্ষণ না সে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে। আপনি হয়তো বলবেন যে এটা শুধুমাত্র জিনার জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু এটা গুরুতর যেকোন দাবীর জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে কারণ কোরান স্বয়ংসম্পূর্ণ। একটু ভাবুনঃ নবীর সাথেই চলাফেরা করেছে এমন মুনাফিক ছিল যারা মিথ্যা বলত। তারা অবশ্যই নবীর মৃত্যুর পরে মিথ্যা হাদীস প্রচার করতে পারে। তাই নবীর নামে একটা কথা যে বলছে ( এটাআল্লাহর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কিন্তু আপনারা শুধু একজনের কথায় বিশ্বাস করে তা তুচ্ছ করে ফেলছেন) তা চারজন সাক্ষী ছাড়া গ্রহণ করা মোটেই কোরানের আদর্শের সাথে যায়না। তাই ইসনাদের মাঝে অন্তত চারজন ১ম জেনারেশন এর সাহাবী থাকলেই সেটা বিবেচনার যোগ্য হতে পারে। এইটা করলে হুরায়রার প্রায় সকল হাদীসই বাদ পড়ে যাবে। আর হুরায়রা যে মিথ্যা কথা বলত সেটা সে নিজেই স্বীকার করেছে, হাদীসের রেফারেন্স পরে দিচ্ছি। যেখানে সে নিজে স্বীকার করেনাই মিথ্যা বলেছে সেখানেও অন্যভাবে প্রমাণ করে দেখিয়েছি সে মিথ্যা বলেছে। এমনকি হুরায়রা যে ভাল লোক বা সত্যবাদী ছিল এমন সাক্ষী হুরায়রা নিজে ছাড়া আর কেউ দেয় কিনা জানিনা। আপনার এত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিশ্বাস এক হুরায়রার উপর নির্ভরশীল করে ফেলবেননা।
The Sahaabah (Companions) who memorized Hadith.
1. Abu Hurairah (Abdur-Rahmaan) (radi-Allaahu ‘anhu) d.59H at the age of 78; he narrated 5374 ahaadeeth. The number of his students reaches 800
2. Abdullaah Ibn Abbaas (radi-Allaahu ‘anhu) d.68H at the age of 71; he narrated 2660 ahaadeeth
3. Aa’ishah Siddeeqa (radi-Allaahu ‘anhaa) d.58H at the age of 67; she narrated 2210 ahaadeeth
4. Abdullaah Ibn Umar (radi-Allaahu ‘anhu) d.73H at the age of 84; he narrated 1630 ahaadeeth
5. Jaabir Ibn Abdullaah (radi-Allaahu ‘anhu) d.78H at the age of 94; he narrated 1560 ahaadeeth
6. Anas Ibn Maalik (radi-Allaahu ‘anhu) d.93H at the age of 103; he narrated 1286 ahaadeeth and
7. Abu Sa’eed al-Khudree (radi-Allaahu ‘anhu) d.74H at the age of 84; he narrated 1170 ahaadeeth.
These Companions were amongst those who had memorised more than 1000 ahaadeeth.
Furthermore:
8. Abdullaah Ibn Amr Ibn al-Aas (radi-Allaahu ‘anhu) d.63H
9. Alee Ibn Abee Taalib (radi-Allaahu ‘anhu) d.40H and
10. Umar Ibn al-Khattaab (radi-Allaahu ‘anhu) d.33H
Are amongst those Companions who narrated between 500 and 1000 ahaadeeth.
Likewise the folowing are amongst those Companions who narrated more than 100 but less than 500
ahaadeeth.
11. Abu Bakr as-Siddeeq (radi-Allaahu ‘anhu) d.13H
12. Uthmaan Ibn Affaan Dhun-Noorain (radi-Allaahu ‘anhu) d.36H
13. Umm Salamah (radi-Allaahu ‘anhaa) d.59H
14. Abu Moosaa al-Asha'aree (radi-Allaahu ‘anhu) d.52H
15. Abu Dharr al-Ghaffaree (radi-Allaahu ‘anhu) d.32H
16. Abu Ayyoob al-Ansaaree (radi-Allaahu ‘anhu) d.51H
17. Ubayy Ibn Ka’ab (radi-Allaahu ‘anhu) d.19H and
18. Mu’aadh Ibn Jabal (radi-Allaahu ‘anhu) d.81H
১৩৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:২২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হুরায়রা স্বয়ং আল্লাহকেও দোজখে ঢুকাতে ছাড় দেয়নিঃ
Bukhari, Book 60, Hadith 373
As for the Fire (Hell), it will not be filled till Allah puts His Foot over it whereupon it will say, 'Qati! Qati!' At that time it will be filled,
অর্থাৎ, আল্লাহ নিজের পা দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। এ ব্যাপারে কোরান কি বলে দেখিঃ
(৩৮/৮৫) তোর (ইবলিশ) দ্বারা আর তাদের মধ্যে যারা তোর (ইবলিশ) অনুসরণ করবে তাদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।
অন্যান্ন অনেক হাদীসে হুরায়রা আল্লাহর হাত পা মাথা ইত্যাদি আছে বলে দাবী করেছে। যেখানে স্বয়ং কোরান ঘোষনা করে আল্লাহ নিরাকার।
এখন এইটাকেও যদি বলেন রূপক হাদীস তাহলে ভাই আমার রূপক হাদীসের চেয়ে কোরানকেই সহজ বলে মনে হচ্ছে, কারণ আল্লাহ কোরানে সরাসরিই বলে দিয়েছেন শয়তান আর তার অনুসারী দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। আর আল্লাহর পা কে যদি শয়তানের অনুসারী বলেন (নাউযুবিল্লাহ) তাইলে আর কি বলব!!
২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:২৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মুসলিমের হাদীসটিও দেখুন। Muslim, Book 40, Hadith 6819
১৪০| ২৭ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ এন্টি ভন্ড
আপনি বলেছিলেনঃ{{প্রথমে একটা কথা বলি। আপনি কথার ভেতরে এই অদ্ভুত আচরণ কেন শুরু করেছেন? আমি কি কখনো বলেছি যে আবু হুরাইরা ১ বা ২% ভুলও করতে পারেন না?
তার যে হাদিস বানিয়ে বলার একটা ফোটাও সম্ভাবনা নাই, সেইটা তো আমি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছি। আপনি সেইটা খণ্ডন করতে পারেন নি।
কিন্তু ভুলও কি করতে পারেন না? অবশ্যই পারেন। যে-কেউ পারে। ১০০% বিশ্বাস করতে বলেছি তার সততাকে। কিন্তু প্রত্যেকটা হাদিসই অবশ্যই কোরানের আলোকে যাচাই করে নিতে হবে। স্পষ্টভাবে যদি কোরানের সাথে কোনো বিরোধিতা পাই, তাহলে সাথে সাথে কোনো চিন্তা ছাড়াই সেই হাদিস খারিজ করে দিতে পারি। সেইজন্য তাকে বানানোর অভিযোগেও ফেলার দরকার পড়ে না। কেন? কারণ একটাই। সেইটা হলো, তিনিও মানুষ। তিনিও ভুল করতে পারেন।
আমি আর একটু এগিয়ে থাকি। যখন দেখি, আমার দ্বীনের সাথে রিলেটেড না, আমার অনুসরণের সাথে রিলেটেড না, অথবা এমন কোনো বিষয় যা কোরানেই যথেষ্ট স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে, তখন সেই সংলগ্ন হাদিসে কোনো সামান্য সমস্যা পেলেই আর তা নিয়ে আগাই না। প্রচুর সময় বেচে যায়।
বিতর্কের জন্য অনেক হাদিস নিয়ে কথা বলছি বটে, কিন্তু বাস্তবে উপরের প্যারাতে উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোতে আমি সিম্পলি হাদিসগুলো এড়িয়ে যাই।}}
////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনার এই মন্তব্যের পর আর বিতর্ক করার কোন প্রয়োজন অনুভব করছিনা। আমরা একই পয়েন্টে এসে পৌছেছি। আমি এই কথাটাই প্রথম থেকে বারবার বলে আসছি। হাদীস বিশ্বাস করব কোরান এর আলোকে। যে সকল হাদিস কোরানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তা গ্রহণ করতে আমার কোন আপত্তি নাই। তবে আপনার হাদীস বিশ্বাস আর আমার বিশ্বাসে পার্থক্য সুবিশাল। আপনি শুধু সে সকল হাদীসই বর্জন করবেন যেগুলো কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয় আর বাকি অজস্র হাদীস যার সাথে কোরানের কোন বক্তব্যের সম্পর্কই নাই সেগুলো ঠিকই বিশ্বাস বা আমল করবেন। কোরানের বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন হাদীস তো কোন উপায়েই কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবেনা। সে রকম কিছু হাদীস নিচে আলোচনা করেছি। পক্ষান্তরে আমি শুধু সে সকল হাদীসই গ্রহণ করব যা কোরানের মূল আদর্শ আর ভাবধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
আর আপনি বলেছিলেন শুধু দ্বীন সঙ্ক্রান্ত হাদীসগুলোই সত্য হলে ফলো করা উচিত। এইখানে দেখবেন যে বুখারীর সাথে আপনার তফাত। বুখারী প্রচুর অপ্রয়োজনীয় বিষয় তার বইতে ঢুকিয়েছেন। এমন অসংখ্য হাদীস আছে যার সাথে নবীর কোন সম্পর্কই নাই, অন্য লোকের বক্তব্য হাদীসের বইতে ঢুকানোর কোন যুক্তি আমি পাইনা।
আর রাসুলকে ফলো করার ক্ষেত্রে অনির্ভরযোগ্য হাদীসের চাইতে নির্ভরযোগ্য সুন্নাহ কেই ফলো করা বেশি যুক্তিযুক্ত।
কোরান যেখানে নারীকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছে, হাদীস তার বেশীরভাগই কেড়ে নিয়েছে, তাই স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত টাইপ হাদীসকে আমি নবীর সুন্নত বলে ভাবতে পারব না। কোরান যেখানে বলে স্বামী স্ত্রী একে অপরের পোষাক স্বরুপ উপরোক্ত হাদীসকে সেখানে কোরানের ব্যাখ্যা বলাটা নিতান্তই ভ্রান্ত কথা।
ইসনাদের ব্যাপারে যুক্তি নয় শতভাগ প্রমাণ আর কোরানের অনুকল্যই সহিহ হাদীস হবার মাপকাঠি হবে বলে মনে করি।
ঈসা বা দাজ্জাল এর আগমণ এর কথা কোরানের কোন আয়াতের ব্যাখ্যা বলে দাবী করা যায়না, এটা সম্পূর্ন নতুন তথ্য। এগুলো খ্রীস্টান ধর্ম থেকে এসেছে বলেই ধারণা করা যায়। ইমাম মাহদীর আশায় বসে থেকে আমরা মুসলিমেরা নিজেদেরকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছি, ভাবছি মাহদী এসেই আমাদের অবস্থার উন্নতি করবেন। এটা মোটেই কোরানের আদর্শ নয়।
কোরানে অসংখ্যবার আদেশ দেয়া হয়েছে কোরান বুঝে পড়তে আর সে অনুযায়ী কাজ করতে। না বুঝে পড়লে তাকে তিরষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু হাদীসের ১ হরফে ১০ নেকীর কথা শুনে আমরা যুগ যুগ ধরে না বুঝেই তোতা পাখির মত কোরান আবৃত্তি করে যাচ্ছি। এই হাদীস কোরানের ব্যাখ্যা বা নবীর সুন্নাহ বলে দেয়াটা অন্যায়। না বুঝে কোরান পড়ে সময় নষ্ট করেই আমরা মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। ইবনে সিনা রা এক সময় জ্ঞান সাধনায় উন্নতির যে ধারা শুরু করেছিলেন তা তৎকালীন খলীফা আর ইমাম গাজ্জালীর মত আলেমদের কারনে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। আজ অবধি তা ঠিক হয়নি। আজ দুর্নীতি,মিথ্যা,অনিয়ম,ঘুষ,অবিচার,অত্যাচার ইত্যাদি মুসলিমদের মাঝেই বেশী দেখা যায়, কারণ কোরানের মূল আদর্শ না মেনে আমরা হাদীস পালনে ব্যস্ত। আপনি ইয়োরোপ ভ্রমণ করে যান, সেখানে আপনি মুসলিম দেখবেন না কিন্তু ইসলাম এর বাস্তব প্রতিফলন দেখবেন, কোরানের আদর্শের সাথে ৯০% মিল পাবেন। আপনি আরব দেশগুলো ভ্রমন করুন আপনি মুসলিম দেখবেন কিন্তু ইসলামের প্রতিফলন পাবেননা, কোরানের আদর্শের সাথে ১০% মিলও পাবেননা।
কোরান যে বলে অতিরিক্ত সব সম্পদই দান করে দাও সেটা ভুলে আমরা ২.৫% যাকাত দিয়েই ক্ষান্ত। শিয়ারা তাদের হাদীস অনুযায়ী যে যে ২০% যাকাত দিচ্ছে সেটাও আমরা দিচ্ছিনা। সম্পদ জমা করছি। অথচ নবী বা সাহাবাদের সম্পত্তির নমুনা দেখলেই ২.৫% এর ভ্রান্ততা বুঝা যায়। খাদিজার এত সম্পত্তি কোথায় গেল তা বুঝা যায়। আপনি কোরানের সাথে এই হাদীসের কোন বিরোধিতা পাবেননা জানি বরং বলবেন এটা কোরানের ব্যাখ্যা নবীর সুন্নত।
আমরা ফকিরকে দুই দশ টাকা দান করেই ভাবি আমার দায়িত্ব শেষ। দান খয়রাত করলাম। এদিকে সম্পদের পাহাড় গড়ি, যেখানে কোরান বলে তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব কিছুই আল্লাহর পথে ব্যয় কর। সম্পদ জমা করা (২.৫% যাকাত দেয়ার পরেও) যে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক তা হাদীসের কারণে আমরা বুঝতে পারিনা।
হজ্জ্ব বা শপথ করে এসে কেন বেশীরভাগ লোকেই আরও বেশী পাপ করে সেটা আপনি বুঝতে চাইবেননা। হাদীস ভিত্তিক হজ্জ্বের ধারণা ( হজ্জ্ব করলে যেকোন গুনাহ মাফ) যে অনেক মানুষকে পাপ কাজ করার ইন্ধন যোগায় যা তারা স্বাভাবিক সময়ে করতনা তা বুঝতে চাইবেননা। আমি নিজ কানে অনেকের মুখে শুনেছি যে পার্থিব স্বার্থে তারা কিছু জঘণ্য অপরাধ করার প্ল্যান করেছিল, হজ্ব করে পাপ মুক্ত হবার অপশন দেখেছিল বলেই তারা এই চিন্তা করেছিল সেটা নিজেরাই স্বীকার করেছে। অনেকে জিনা করতেও দ্বিধা করেনা হজ্বের কথা চিন্তা করে। হজ্বের হাদীস ভিত্তিক ধারণা আমি কোরানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করিনা।
আমরা প্রতিদিন নামাজে সুরা মাউন পড়ি, কিন্তু মাউনে যে বলা হয়েছে আশ পাশে এতীম মিসকীন থাকলে আর তাদেরকে সাহায্য না করলে তোমার নামাজ কবুল হবেনা সেটা কেউ আমরা জানিনা। আমরা না বুঝেই নামাজ পড়ে যাচ্ছি। কি উচ্চারণ করছি নিজেরাই তা জানিনা, এই নামাজের কোন মানে নাই (কোরান অনুযায়ী) তা আপনি মানবেন না। হাদীস অনুযায়ী আপনি না বুঝে পাঁচ ওয়াক্ত নামজ কেই যথেষ্ঠ মনে করবেন।
এবার দেখুন তো আমাকে কোরান অনলি ট্যাগ দিয়ে আপনি আমার বিরোধিতা করছেন অথচ আমার অবস্থানটা বুঝতে চাইছেননা। আমি শেষবার পরিষ্কার করে বলছিঃ আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, নবী রাসুল ফেরেশতা, পরকাল, ঐশী কিতাব সবই বিশ্বাস করি। সুন্নাহর মাধ্যমে প্রাপ্ত নামজ কায়েম করি, রোযা রাখি। অতিরিক্ত সম্পদ ব্যয় করি। হজ্জ যা কিনা শপথ তা সত্যিকার অর্থে পালন করা আশা রাখি যার পরে মিথ্যা/অন্যায় করবনা বলে পরিষ্কার শপথ করব। বাবা মা, প্রতিবেশী, গরীব দুঃখী, এতীম মিসকিন, অনাহারী, দরিদ্র আত্মীয়, প্রতিবন্ধি মানুষ, দেউলিয়া হয়ে পথে বসা ব্যবসায়ী, বিপদে পড়া মুসাফির/পথিক, এদের সম্পর্কে কোরান যা বলে তার অর্থ মুখস্থ করে সে অনুযায়ী জান প্রাণ দিয়ে আমল করার চেষ্টা করি। কোরান অনুযায়ি মিথ্যা কথা/অশ্লীলতা/সুদ/ঘুষ/চুরি/জিনা থেকে দূরে থাকি। মানুষকে সৎ কাজ করার পরামর্শ দেই আর অন্যায় করতে বিরত থাকার অনুরোধ করি। তসবি নিয়ে জপ করা বা না বুঝে উপরের একই আয়াতগুলো নামাজে বা তেলাওয়াতে উচ্চারণ করে অথচ না বুঝার কারনে তা আমল না করে সওয়াব কামানোর ভ্রান্ত হাদীস ভিত্তিক চিন্তার অনুসরণ করিনা যা আপনি আমাকে করার আহবান করছেন। আয়াতুল কুরসীর অর্থ না জেনেই তা উচ্চারণ করার মাধ্যমে নেকী পেয়ে বেহেশতে চলে যাব এই উদ্ভট ধারণা কোরানের সাথে মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।অথচ হাদীস ভিত্তিক এই ধারণাগুলোর জন্যই যে আমরা বেহেশতের নিশ্চয়তা পেয়ে কোরান বুঝার চেষ্টা না করেই সমাজ আর জীবনের বারোটা বাজাচ্ছি সেটা আপনি মানতে চাইবেননা। এইবার আপনিই বলে দিন কোরান না বুঝা বা সে অনুযায়ী আমল না করা কিন্তু পাক্কা নামাজী আর দশটা সাধারণ মুসলিমের চাইতে আমি কেমন করে আল্লাহর পথ থেকে ডাইভার্টেড হলাম? ঈসা বা দাজ্জাল এর কথা বিশ্বাস করিনা বলে আমি কি জাহান্নামী? মিরাজের রাতে নবী দোজখে মানুষ দেখে এলেন এটা বিশ্বাস করিনা বলে আমি দোজখী যেখানে এখনো কেয়ামত/ বিচারই শুরু হলনা আর দোজখে মানুষ চলে গেল? আজগুবী উদ্ভট ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেই হাদীস বিশ্বাস না করার কারণে আমি দোজখে যাব অথচ আল্লাহ বলে দিয়েছেন ভবিষ্যতের জ্ঞান শুধু মাত্র আল্লাহর কাছেই? যেটুকু ভবিষ্যত আমাদের জানা দরকার সেটুকু আল্লাহ কোরানেই বলে দিয়েছেন, সন্দেহজনক অবিশ্বাস্য হাদীস এর কোন দরকার নেই আমাদের জীবনে! বাংলার মেয়েরা ওড়না সহ সেলোয়ার কামিজ এর যে শালীন পোষাক পড়ে তা কোরান অনুযায়ী সম্পূর্ণ ঠিক হলেও হাদীসের কারণে অচল। হাদীসের কল্যানে স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরেও যেতে পারেনা এমনকি বাবা অসুস্থ হয়ে গেলেও। নারীদেরকে অবমাননা করে ঘরে বন্দি করে ভোগ্য বস্তু বানানোর পাকা ব্যবস্থা করেছে হাদীস যা কোনভাবেই কোরানিক নয়। এতে করে দেশের সমাজের বারোটা বাজতেছে। পশ্চিমাদের মত নগ্নতা যেমন কাম্য নয় তেমনি আরবের মত বোরখায় পেঁচানোও কাম্য নয়। পর্দা শুধু মেয়েদের নয় কোরানে আল্লাহ ছেলেদেরকেও পর্দার কথা বলেছেন। অথচ একজন ধর্ষিতা হলে আমরা পর্দার দোহাই দিয়ে মেয়েটিকেও দোষ দিতে ছাড়িনা। আমার কথাগুলো একটু ভেবে দেখবেন, হাদীস বিরোধী মানে হাদীস/নামজ/রোজা বর্জন নয় বরং হাদীসের কারণে ক্ষতিগুলো বর্জন। আপনি যদি আর দশ জনকে এটা বুঝাতে পারেন যে না বুঝে নামাজ পড়ে সে অনুযায়ী আমল না করে বেহেশতের আশা করা কোরানিক নয় হাদীসিক তাতে তাতে আপনার ধর্মের এক বিন্দু ক্ষতিও হবেনা বরং দেশ ও সমাজের অনেক লাভ হবে। কোরান বুঝে আমল করার পর কেউ যদি হাদীস ঘেটে সুন্নত পালন করে যা কোরান/দেশ/সমাজ বিরোধী নয় তাতে আমার কেন কোন কোরান অনলীর আপত্তি থাকবেনা, নিশ্চিত থাকেন।
আরও অনেক কিছু লিখতে পারতাম, তবে আর লিখছিনা। এইসব হাদীস কিভাবে কোরানের ব্যাখ্যা হয় বা নবীর সুন্নাহ হয় সেই তর্কে আমাদের আর ঐক্যমত হবেনা। আপনার সময় এবং শ্রমের জন্য আর বিতর্কে অংশ নেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতে কথা হবে। ভাল থাকবেন।
১৪১| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: মেহদী ভাই,
আপনি সম্ভবত হাদীসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে সকল হাদীস সংগ্রাহককেই বিপথগামী/ভ্রান্ত ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ছয়টি হাদীস গ্রন্থের সংগ্রাহক ও গ্রন্থাকারগন কেউই এই কাজের মাধ্যমে এমনকোন দুনিয়াবী সুযোগ-সুবিধা-বিনিময় লাভ করেন নি যার ভিত্তিতে তাদের আন্তরিকতা বা সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
মুলত আপনি আজকে যে কাজ করছেন সেই দিন তারাও ঠিক সেটাই করেছিলেন - তখনকার সমাজে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত লক্ষাধিক হাদীস থেকে বাছাই করে মাত্র কয়েক হাজারকে তারা গ্রন্থবদ্ধ করেছিলেন। আপনি দেখেছেন এই কয়েক হাজার হাদীসের প্রভাবেই আমাদের কিরকম মতোভেদের সম্মুখীন হতে হয়েছে - যদি সেই লক্ষ লক্ষ হাদীস প্রচলিত থেকে যেত তাহলে অবস্থা কেমন হত চিন্তা করলেই হাদীস গ্রন্থকারদের অবদান অনুধাবন করতে পারবেন।
হ্যা, তার পরও হাদীসের উপর গবেষনা কখনই চুড়ান্ত করা যাবে না। এটা সকল সময়েই চালু থাকবে ঠিক যেমন কোরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলবে কেয়ামত পর্যন্ত। আজকের প্রক্ষাপটে কোরআনের বর্তমান ব্যাখ্যার আলোকে হাদীসের উপর গবেষণা ও ছয়টি গ্রন্থের সকল হাদীস মিলিয়ে পুন:উল্লেখিত হাদীসগুলো একত্রিত করা হলে এবং কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলি বাদ দিলে হাদীসের সংখ্যা আরো কমে যাবে।
তবে আপনি যদি হাদীসকে একেবারে বাতিল করে দিতে চান তহালে সেটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারণ আপনি আজকের জ্ঞানের আলোকে কোন কিছু চুড়ান্ত করতে পারবেন না। আপনাকে আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয়গুলি বেছে নিতে হবে বাকি গুলিকে রেখে দিতে হবে অন্য সময়ের অন্য সমাজের মানুষের জন্য। কারণ ইসলামতো শুধু আজকের জন্য বা শুধুমাত্র আমাদের সমাজের জন্য আসে নি - এসেছে কেয়ামত পর্যন্ত সকল সমাজের সকল মানুষের জন্য।
ধন্যবাদ।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি সম্ভবত হাদীসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে সকল হাদীস সংগ্রাহককেই বিপথগামী/ভ্রান্ত ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ছয়টি হাদীস গ্রন্থের সংগ্রাহক ও গ্রন্থাকারগন কেউই এই কাজের মাধ্যমে এমনকোন দুনিয়াবী সুযোগ-সুবিধা-বিনিময় লাভ করেন নি যার ভিত্তিতে তাদের আন্তরিকতা বা সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
সুযোগ সুবিধা পায়নি আপনি এ ব্যাপারে নিশ্চিৎ হচ্ছেন কিকরে? শিয়াদের দাবী অনুযায়ী তারা যথেষ্ঠ সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। শিয়াদের দাবীর পক্ষে সিহাহ সিত্তাতে যেসব আলী বিরোধী হাদীস দেখানো হয় সেগুলো বাতিল করে দেয়ার মতো নয়।
বর্ণনাকারীদের নিয়ে বুখারীর আরেকটি বই আছে জানেন নিশ্চয়ই? সেখানে অন্তত ১০ জন বর্ণনাকারী আছে যাদের বুখারী নিজেই নির্ভরযোগ্য নয় বলে রায় দিয়েছেন। অথচ তাদের প্রত্যেকের অনেক হাদীস বুখারীর বইতে আছে। এর কি ব্যাখ্যা দিবেন? অনির্ভরযোগ্য লোকের হাদীস ঢুকানোর উদ্দেশ্য কি? আবার তাদেরকে সহিহ বলারই বা উদ্দেশ্য কি?
আর উপরে বানরের একটা হাদীস দিয়েছি, সেটা পড়ে দেখুন, এখানেই বুঝা যায় তাদের সৎ উদ্দেশ্য কতটুকু ছিল। এই রকম আরও বহু হাদীস আছে যার সাথে নবীর কোন সম্পর্ক নাই, নবী বলেন নাই বরং অন্য কেউ বলেছেন এবং সেটা দ্বীনের ক্ষেত্রে এমন কিছু জরুরীও না। তো এইসব হাদীস ঢুকানোর পিছনে কি উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করেন?
___________________________________________
মুলত আপনি আজকে যে কাজ করছেন সেই দিন তারাও ঠিক সেটাই করেছিলেন - তখনকার সমাজে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত লক্ষাধিক হাদীস থেকে বাছাই করে মাত্র কয়েক হাজারকে তারা গ্রন্থবদ্ধ করেছিলেন। আপনি দেখেছেন এই কয়েক হাজার হাদীসের প্রভাবেই আমাদের কিরকম মতোভেদের সম্মুখীন হতে হয়েছে - যদি সেই লক্ষ লক্ষ হাদীস প্রচলিত থেকে যেত তাহলে অবস্থা কেমন হত চিন্তা করলেই হাদীস গ্রন্থকারদের অবদান অনুধাবন করতে পারবেন।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
এণ্টি ভন্ড ভাই বুঝাতে চাইলেন যে বুখারীর ৬ লক্ষাধিক হাদীস বাছাই এর কথা সত্য নয়, এত হাদীস ছিলনা মোটেই। তার দেয়া একটা লিঙ্কে সেকথাই বলছে। লক্ষ হাদীস হলে কিন্তু আপনারাই বেশী বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ লক্ষ হাদীস এর লিঙ্ক চেক করতে যতটা সময় দরকার তা বুখারীর কয়েক জীবনেও ফুরাবেনা।
আর হাজার হাদীসও যদি ধরে নেই তবু সমস্যা আছে, বুখারীরা সর্বশেষ জেনারেশনের হাদীস রাবীদের সত্যতা নাহয় যাচাই করলেন, কিন্তু বাকি ৫/৬ জেনারেশনের রাবী তাদের ব্যাপারে চেক করার কোন উপায় ছিলনা, তারা সকলেই মৃত ছিলেন।
___________________________________________
আজকের প্রক্ষাপটে কোরআনের বর্তমান ব্যাখ্যার আলোকে হাদীসের উপর গবেষণা ও ছয়টি গ্রন্থের সকল হাদীস মিলিয়ে পুন:উল্লেখিত হাদীসগুলো একত্রিত করা হলে এবং কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলি বাদ দিলে হাদীসের সংখ্যা আরো কমে যাবে।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
এখানেই একটা বড় ভুল করেন আপনারা। আপনি কি জানেন সহিহ/জাল সব হাদীস মিলিয়েও কোরানের ১০-২০% আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়া যাবেনা? অর্থাৎ ৮০-৯০% হাদীসই কোরানের বিষয়বস্তুর বাইরে। তো কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হাদীস বাদ দিলে কয়টা হাদীস কমবে? বড়জোর ২০০ টা। অথচ বাকি অজস্র হাদীস যা কোরানের সাথে কোন ভাবেই রিলেটেড না কিন্তু আজগুবি জিনিসে ভরপুর সেগুলো থেকেই যাবে।
___________________________________________
তবে আপনি যদি হাদীসকে একেবারে বাতিল করে দিতে চান তহালে সেটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারণ আপনি আজকের জ্ঞানের আলোকে কোন কিছু চুড়ান্ত করতে পারবেন না। আপনাকে আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয়গুলি বেছে নিতে হবে বাকি গুলিকে রেখে দিতে হবে অন্য সময়ের অন্য সমাজের মানুষের জন্য। কারণ ইসলামতো শুধু আজকের জন্য বা শুধুমাত্র আমাদের সমাজের জন্য আসে নি - এসেছে কেয়ামত পর্যন্ত সকল সমাজের সকল মানুষের জন্য।
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনার এ কথাটা একেবারেই বহু আগে শুনা একটা মুখস্ত কথার মত লাগল যা প্রায় সকল হাদীস বাদিই বলে থাকেন, স্বীকার করি আমি নিজেও বলতাম এককালে। কিন্তু তখন চিন্তা না করেই পক্ষপাতিত্বের কারণে বলতাম, নিজের পক্ষে যায় বলে।
দেখুন, কোরানেই একবার দুইবার নয় বহুবার বলা হয়েছে যে কোরান সয়ংসম্পূর্ণ/ পরিপূর্ণ। তো এন্টি ভন্ড ভাই এর কথা অনুযায়ী ধরে নিলাম এই সম্পূর্ণ কোরান বুঝার ক্ষমতা আমাদের নাই, তাই আমি কোরানের কথাগুলো বুঝার জন্য যে হাদীস গুলো প্রয়োজন সেগুলোই নেই। বাকি গুলোর কি দরকার? শুধুমাত্র কোরানের আদর্শ বাস্তবায়িত হলেই যে একটা দেশ স্বর্গে রূপান্তরিত হতে পারে তাতে কি আপনার অবিশ্বাস? সত্যি বলছি হাদীসের প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনার যুক্তিটাই খন্ডন করছি নিচে খেয়াল করুন।
প্রেক্ষাপট ১/ উন্নত ইয়োরোপীয়ান দেশগুলোঃ এইখানে পরিবার প্রথা, নগ্নতা, অবৈধ যৌনতা সহ আর দুই একটা জিনিস বাদ দিলে বাকি সকল কিছু শুধুমাত্র কোরানের আদর্শের সাথে পুরোপুরি প্যারালাল। এই দেশগুলোর সুখ শান্তির কথা বলে বুঝানো সম্ভব না। ১০০% কোরানিক হয়ে গেলে এইখানে অশান্তি বলতে কিছুই থাকতোনা।
প্রেক্ষাপট ২/ আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং আরব বিশ্বঃ এইখানে একটু খেয়াল করলেই দেখবেন এই দেশগুলোতে কোরানের উপরে হাদীস/শরীয়া কিভাবে ডমিনেট করে। এই দেশগুলোর অবস্থা আর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলামনা। মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘণ হয় এখানে।
এইবার বলুন, ইসলাম তো সর্বকাল সর্বযুগের জন্য। তাহলে বর্তমান কালে আমাদের এই দূরবস্থা কেন? যেকোন কালেই এই সব হাদীস মানুষের শান্তির অন্তরায় তা আফগানিস্তান দেখলেই বুঝা যায়। কোরান এবং সেই সাথে কোরানের প্যারালাল হাদীস থাকলেই তা যথেষ্ঠ হওয়া উচিৎ। অতিরক্ত হাদীসের কোন দরকার নেই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার শেষ প্যারার কথা শুনে মনে হয় ইসলাম ভবিষ্যতের জন্য। বর্তমান কালের জন্য নয়। ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তির কারণে সব কিছু ধ্বংশ হয়ে গিয়ে পূনরায় মানুষ প্রযুক্তিহীন আরব সভ্যতায় ফিরে যাবে। তখন উটের পিঠে চড়ে বউকে উটে চড়েই মিলনের আহবান করা হবে, বউ না শুনলে সংরক্ষিত হাদীস শুনিয়ে বলা হবে এটা সর্বকালের ইসলাম, নবীর আদেশ। আবারো দাস প্রথা চালু করা হবে। হাদীস মানেই যে শুধু আরব্য সংস্কৃতি আর কিছু এরাবিয়ানদের বেহেশত/দোজখ/দুনিয়া সম্পর্কিত ভবিষ্যত কল্পকাহিনী এটুকু কেন যে বুঝেননা!! কোরানে কি কোন আরব্য সংস্কৃতি খুঁজে পান যা সকলকেই পালন করতে হবে? কোরান তো বিশ্বজনীন।
১৪২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৩
এ্যান্টি ভন্ড বলেছেন: অনেকগুলো মন্তব্য দিয়েছেন। আমি খুব বেশি সময় ম্যানেজ করতে পারি নি। তারপরও...এই দফায় অল্প অল্প করে এগুবো।
১৫৭ নং মন্তব্যে আপনার বক্তব্যের জবাবে:
১.
আপনি যথেষ্ট সচেতনভাবে হাদিস পড়ছেন না। Musnad,Imam Ahmed bin Hanbal, vol.2, p.p.43-এর কোথাও পেলাম না যে আবু হুরায়রা "দম্ভে মাটিতে পা ছুঁড়ে আঘাত করে" কিছু বলেছেন।
কথাটা স্পষ্ট করে বুঝে নেবেন। টেক্সট থেকে আমি এরকম কিছু পাই নি। আমার তো মনে হলো, যেন সেই বাহরাইনের আমিরকেই ব্যঙ্গ করছেন। কিন্তু সেইটাই বা আমি কীভাবে বলি? টেক্সট থেকে কি আমি সেইরকমের কিছু পাচ্ছি? না, পাচ্ছি না। দম্ভেরও পাচ্ছি না, ব্যাঙ্গেরও কিছু পাচ্ছি না। অতএব, আমি যদি এই দুটোর কোনো একটা বলতেই চাই, তাহলে স্পষ্ট করে বলতে হবে যে "টেক্সট থেকে আমার মনে হচ্ছে"। নয়তো যে-কেউ বলতেই পারে যে আপনি আবু হুরায়রা সম্পর্কে একটা মিথ্যা কথা বলছেন।
২.
আপনি আসলেই হাদিস মনযোগ দিয়ে পড়েন না।
Muslim, Book 24,Hadith 5201-এর হাদিসটা দেখেন। রাসুল সা. কোন আচরণকে খারাপ বলেছেন?
He (Abu Huraira) reported that Allah's Messenger (may peace be upon him) said: Allah will not look toward him who trails his lower garment out of pride.
আবু হুরায়রা কি এমন কোনো আচরণ করেছেন? তাহলে আপনার এই কথা কীভাবে আসে যে {{এই হাদীসে বাহরাইনের আমীর ঠিক একই আচরণ করেছিল বলে নবী না করে দিয়েছেন যে এমন আচরণ খারাপ}}???
৩.
এবং তারপর খুব অদ্ভুত একটা কথা বলেছেন।
{{বাংলাদেশের নিকৃষ্ট মানের রাজনীতিকও ক্ষমতায় গেলে এমন আচরণ করেনা।}}
এই কথার কোনো অর্থই বের করতে পারলাম না। বাংলাদেশের নিকৃষ্ট মানের রাজনীতিকও কোন আচরণ করেন না? এবং আবু হুরায়রা এইখানে সেই কোন আচরণটা করেছেন?
_________________________
১৫৫ নং মন্তব্যে আপনার বক্তব্যের জবাবে:
{{পাপ করার লাইসেন্সঃ প্রদায়ক আবু হুরায়রা}}-এই শিরোনামে আপনি কতগুলো কথা বলেছেন, যা থেকে বুঝা যায়, আপনি কোরানটাও ঠিকমতো পড়েন না।
আসুন প্রথমে আমরা এই আয়াত পড়ি:
“As for those who fear their Rabb Unseen, for them is Forgiveness and a great Reward.” (67:12)
Muslim, Book 37, Hadith 6642-এর টেক্সটে গেলে দেখবেন লোকটাকে আল্লাহ ক্ষমা করছেন তার আল্লাহভীতির নমুনা দেখেই। লোকটা যেরকম ওসিয়ত করে গেছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে সে কাজে আল্লাহভীতির নমুনা না রাখতে পারলেও আসলেই ঐ না দেখা আল্লাহকে প্রচণ্ড ভয় পায়। সুতরাং
এই হাদিসটাকে যদি আপনার বুলশীট মনে হয়, তাহলে কোরানের আয়াতটাও কি আপনার কাছে বুলশীট???
________________________
আপনি বলেছেন:
এই ধারণা সম্পূর্ণ কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ বলেছেন প্রতিটি কাজের হিসাব হবে। আল্লাহ অসীম দয়ালু, তিনি তওবা কবুল করেন তবে কখনোই পাপ করার লাইসেন্স দিয়ে দেননা।
এই বিষয়টা নিয়ে অলরেডি কথা বলেছি।
হাদিসের কথা বাদ দেন। কোরানের ২:২৬২ নং আয়াত দেখেন:
{{{যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।}}}
এই আয়াত থেকে কি আমরা এই সিদ্ধান্ত নেবো যে যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, যেহেতু আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেই দিয়েছেন যে {{তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।}}, সুতরাং তারা আসলে একধরণের পাপ করার লাইসেন্স পেয়ে গেল???
অর্থাৎ, যে-লোক যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তারা কি কোরানানুসারে পাপ করার লাইসেন্স পেয়ে গেল???
_________________________________
ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে দুইটা কথা।
১. আপনার ভাষাবোধের ব্যাপারে আপনি কি আসলে সচেতন? আপনি প্রায়ই আবু হুরায়রার মিথ্যাচার, দাম্ভিকতা, ভণ্ডামী.....ইত্যকার শিরোনামে লেখা দিচ্ছেন। একবারও কি চিন্তা করেছেন, এই গালিগুলো যে আপনি দিচ্ছেন, তাতো সেই ইতিহাসের তথ্যের উপরে, যা আপনারা নিজেরাই বানানো বলে মনে করেন? যদি আবু হুরায়রা নামে আসলেই কোনো সাহাবী থেকে থাকেন, আর যদি ইতিহাসের মিথ্যার ব্যাপারে আপনাদের ধারণাই সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে তো আপনাদের বরং মনে করা উচিত যে এগুলৌ আবু হুরায়রার নামক সাহাবীর নামে ঐ ইতিহাসবিদরা মিথ্যা বানিয়েছেন। আবু হুরায়রার নিজের বানানো হাদিসই (যদি "বানানো"র ব্যাপারে আপনাদের ধারণা ঠিক হয়েই থাকে) আমরা অপরিবর্তিতভাবে পেয়েছি, সেই কথা কি কোনো নিশ্চিত সূত্রে আপনারা জানতে পেরেছেন?
তাহলে, আবু হুরায়রাকে আপনার এই গালিগুলো দেবার আদৌ কি কোনো যুক্তিগত ভিত্তি থাকছে?
২. বেশ কতগুলো হাদিসের ব্যাপারে আপনার মতামত পড়তে গিয়ে টের পেলাম যে আপনি আসলে সচেতনভাবে কোরানও পড়ছেন না, হাদিসও না। আপনি কি মনে করেন না যে আপনার এ্ই পড়ার স্টাইলটা আসলে খুব ক্ষতিকর?
৩. বেশ কতগুলো হাদিস তুলবার আগে আপনি শিরোনামে আবু হুরায়রার মিথ্যাচার, দাম্ভিকতা, ভণ্ডামী.. ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন। তার ভেতরে কয়েকটা আপনাকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং আপনিও স্বীকার করেছেন যে এই ক্ষেত্রে তাঁকে দোষ দেয়া যাচ্ছে না।
এই অবস্থায় আপনি কি মনে করেন যে আপনি যে অন্যায়ভাবে আবু হুরায়রাকে দোষী করেছেন এবং গালি দিয়েছেন, সেইজন্য আপনাকে পরকালে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে-না?
৪. হাদিসবিরোধী যেই মানুষগুলো খুব শাউট করে ২০০-৩০০ বছরের পরে "বানানো" হাদিস নিয়ে, অথচ সেই তারাই আবার সাহাবী আবু হুরায়রাকে গালি দেবার সময় সেই "বানানো" কথাটা খেয়াল করে না। গালিটা ঠিক সাহাবী আবু হুরায়রাকেই দেয়। আপনার কি মনে হয় না তাদের এই আচরণ খুবই সন্দেহজনক?
________________________________
(সময় পাইলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে। আগামি মাসের শেষ দিকে ছাড়া সেই সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। এমনকী সেইটাও নিশ্চিত না। আমি খুবই দু:খিত সেইজন্য।)
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মুসনাদের ব্যাপারটা আমি একটা বইতে পড়েছি। আমি চেক করে দেখে পরে কথা বলব। কিন্তু বাকি হাদীসগুলোতো আমি নিজেই সিহাহ সিত্তাতে দেখলাম, লিঙ্কও এইখানে দিলাম। মুসনাদের একটা হাদীস যদি ভুলও হয়ে থাকে তাতে তো বাকি হাদীসগুলো ভুল হয়ে যাচ্ছেনা।
///আবু হুরায়রা কি এমন কোনো আচরণ করেছেন? তাহলে আপনার এই কথা কীভাবে আসে যে {{এই হাদীসে বাহরাইনের আমীর ঠিক একই আচরণ করেছিল বলে নবী না করে দিয়েছেন যে এমন আচরণ খারাপ}}??? ///
আপনি নিজেই ভাল করে হাদীসটি পড়েছেন কিনা সন্দেহ হচ্ছে। ভাল করে পড়ে দেখুন, কাপড় ছেঁচরানোটা মূল কারণ নয় বরং অহংকারটাই মূল কারণ যা নবী নিষেধ করেছেন। আর মাটিতে পা ছুঁড়ে আঘাত করে রাস্তা ক্লীয়ার করাটাতো পরিষ্কার অহঙ্কার। হাদীসের মূল অর্থই যদি না বুঝলেন তাহলে আর হাদীস পড়ে কি হল?
//////“As for those who fear their Rabb Unseen, for them is Forgiveness and a great Reward.” (67:12)
Muslim, Book 37, Hadith 6642-এর টেক্সটে গেলে দেখবেন লোকটাকে আল্লাহ ক্ষমা করছেন তার আল্লাহভীতির নমুনা দেখেই। লোকটা যেরকম ওসিয়ত করে গেছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে সে কাজে আল্লাহভীতির নমুনা না রাখতে পারলেও আসলেই ঐ না দেখা আল্লাহকে প্রচণ্ড ভয় পায়। সুতরাং এই হাদিসটাকে যদি আপনার বুলশীট মনে হয়, তাহলে কোরানের আয়াতটাও কি আপনার কাছে বুলশীট???//////
কোরানের আয়াত বুলশীট মনে হবার কোন কারণই নেই। যে আল্লাহকে সত্যি ভ্য় পায় সে কোন যুক্তিতেই অন্যায় কাজ করবেনা। যে অন্যায় করে সে আসলে ভয় পায়না।
আর সে এটাও জানবে যে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করবেন, সে আল্লাহর কাছ থেকে এইভাবে তওবা না করে পালানোর চিন্তা করতনা। এইভাবে পালানো সম্ভব নয় সেটাও কি সে জানতনা? বড়ই অদ্ভুত যুক্তি দেন আপনি!!
আর আল্লাহ যে বলে দিলেন তুই যা খুশি কর আমি তোকে মাফ করে দিয়েছি! এই কথা কি বিশ্বাস করেন? এটা যে পাপ করার জন্য প্রমোট করে তা কি স্বীকার করেন? পরিষ্কার জবাব দেবেন। আপনার উল্লিখিত কোরানের আয়াতটি কিভাবে এইরকম ধারণা দেয় তা কি ব্যাখ্যা করবেন? আপনি তো কোরান দেখিয়ে আরও সুন্দর পন্থা শিখিয়ে দিলেন ভাই, এখন তো একদিকে আল্লাহকে ভয় করব আরেক দিক দিয়ে চুরি ডাকাতি রেপ করে বলব আল্লাহ মাফ কইরা দিও। আল্লাহকে ভয় করলে কি আমি আসলে এই কাজ করতে পারব? অথচ এই হাদীস পড়লে আমি ঠিকই এই কাজ করতে পারব। ভাইরে কোরানের আয়াতের কি রকম অপব্যাখ্যা করলেন তা কি একটুও বুঝেছেন!?
//////হাদিসের কথা বাদ দেন। কোরানের ২:২৬২ নং আয়াত দেখেন:
{{{যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।}}}
এই আয়াত থেকে কি আমরা এই সিদ্ধান্ত নেবো যে যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, যেহেতু আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেই দিয়েছেন যে {{তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।}}, সুতরাং তারা আসলে একধরণের পাপ করার লাইসেন্স পেয়ে গেল???//////
খুবই আশ্চর্য হচ্ছি আপনার যুক্তি দেখে!! আপনি এই আয়াত দিয়ে আগেও একটি যুক্তি দেখিয়েছিলেন তখন আমি ঠিক ভাবেই মেনে নিয়েছিলাম। কারণ সেখানে যুক্তিটি ঠিক ছিল। এখন সেটা মোটেই এক যুক্তি নয়।
আপনার যুক্তি অনুযায়ী সমগ্র হাদীস বিচার করে ইউনিফাইড ভাবে দেখতে হবে কি করলে বেহেশতে যাওয়া যায়। কিন্তু এই নির্দিষ্ট হাদীসে আলোচ্য ব্যক্তি অলরেডি ক্ষমা পেয়ে গিয়েছে, সে ইউনিফাইড হাদীসের মধ্যে নাই সে যত পাপই করুক সে ক্ষমা পেয়ে গিয়েছে শুধু মাত্র বারবার মাফ চেয়ে আল্লাহকে বিরক্ত করার মাধ্যমে। এইখানে তো অন্য হাদীস অনুযায়ী যা করলে ক্ষমা পাওয়া যায় তার কিছু করেনি লোকটি, বরং পাপ করার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। আপনার যুক্তির বলিহারি!!!! তাহলে আমি অন্য হাদীস দেখতে যাব কেন? এই লোকের মতই অন্য হাদীস না ঘেঁটে বারবার পাপ করে মাফ করে দাও বলবনা কেন?
////বেশ কতগুলো হাদিস তুলবার আগে আপনি শিরোনামে আবু হুরায়রার মিথ্যাচার, দাম্ভিকতা, ভণ্ডামী.. ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন। তার ভেতরে কয়েকটা আপনাকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং আপনিও স্বীকার করেছেন যে এই ক্ষেত্রে তাঁকে দোষ দেয়া যাচ্ছে না।////
কয়েকটা না, শুধুমাত্র একটা হাদীস। কয়েকটা বলছেন কিভাবে?
আবু হুরায়রাকে দেয়া টাইটেল প্রসঙ্গেঃ আমি সাহাবী আবু হুরায়রা যিনি আসলে ভাল লোক ছিলেন বলেই বিশ্বাস করি তাকে উদ্দেশ্য করে টাইটেল গুলো দেইনি। মন থেকে আমি এইটুকু পরিষ্কার ছিলাম, আমি আল্লাহর কাছে বলেওছি যে- ''আল্লাহ আমি যে টাইটেল গুলো ব্যবহার করছি তা শুধু হাদীসের কারণে হুরায়রার যে চিত্রটি ফুটে উঠেছে সে চিত্রটির প্রতি, সত্যিকারের হুরায়রা ভাল হয়ে থাকলে তার প্রতি নয়।''
আর এই গুলো গালি নয়। আমি নির্দিষ্ট আচরণের উপযুক্ত টাইটেল দিয়েছি। যেখানে পরিষ্কার প্রমাণ করেছি মিথ্যা বলেছেন সেখানে মিথ্যাবাদী বলেছি। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই নিয়ম। হাদীস এর অসারতা বুঝাতে এইসব শব্দ ব্যবহার করাটা বাঞ্ছনীয় ছিল। যেখানে প্রমাণ করলাম সে মিথ্যা বলেছিল সেখানে আমি মিথ্যাবাদী ছাড়া অন্য আর কি শব্দ ব্যবহার করতে পারি?
১৪৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:০৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: মেহদী ভাই,
আপনি আমর ব্লগে একটা কমেন্ট করেছিলেন - সেখানে কিছু কথা বলেছি। সময় করে দেখবেন আশা করি।
এখানে আরো কিছু কথা বলি -
আপনি প্রচলিত ইসলামী ধ্যান ধারনা বিশ্বাস সংস্কারের মধ্যে বহু সমস্যা বাহুল্য সংকীর্ণতা অনুধাবন করতে পেরেছেন এটা খুবই ভাল বিষয় - আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষই তা পারে না। এবং এই সকল সমস্যার মুল কারণ হিসেবে আপনি চিন্হিত করেছেন অতিমাত্রায় হাদীস নির্ভরতা - এটাও ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এ'থেকে পরিত্রানের উপায় কি?
আপনি যে পথটা অনুসরণ করছেন তার ব্যাপারে আমার কিঞ্চিত আপত্তি আছে। আপনি যা করছেন তার মুল বিষয় হল হাদীসের মধ্য থেকে দুর্বল অপ্রয়োজনীয় অগ্রহনযোগ্য হাদীসগুলি বের করে উপস্থাপন করা এবং তার মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রচলিত হাদীসের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষন দুর করা। আমি আপনার আন্তরিকতা বা সততার প্রতি পুর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই এটা হচ্ছে নেতিবাচক পদ্ধতি - এবং এর পরিনতি খুব একটা সুখকর হওয়ার কথা নয়। এর ফলে মানুষের সাথে আপনার মতভেদ ও দ্বন্দ বৃদ্ধি পাবে এবং পাস্পরিক আক্রমনমুলক বিতর্ক উভয়কে ক্রমান্ময়ে আরো দুরে নিয়ে যাবে। আর বিতর্কের মুল কাজই হল প্রতিপক্ষের দুর্বলমত বিষয়গুলো খুজে আনা - উভেয়ে যখন উভয়ের দুর্বলতম অংশের খোঁজে থাকে তখন তা শুধুমাত্র বিভেদ ছাড়া কখনই বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।
আমার বিবেচনায় হাদীসের সবচেয়ে দুর্বলতম দিক হচ্ছে এটি মুলত রাসুল(স.) এর কথা ও কাজের লিখিত বর্ণনা। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন লিখিত বর্ণনার পক্ষে মুল চেতনা ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। বক্তা ও শ্রতার মাঝে যে ভাবের আদান প্রদান হয় তার ৭০% ধারণ করে পরিবেশ পরিস্থিতি, বক্তার প্রতি শ্রতার মনোভাব, বক্তার বডিল্যাঙ্গুয়েজ ইত্যাদি বহুকিছু যা বর্ণনার টেক্সটে কখনই ধারণ করা যায় না। তাই যদি হাদীসে বর্নিত ঘটনা বা বক্তব্যের ভিডিও সংগ্রহ করা যেত, অথবা আমরা যদি শশরিরে সেই অবস্থায় উপস্থিত হতে পারতাম তাহলে হয়ত দেখাযেত অধিকাংশ হাদীসের বক্তব্য/শিক্ষাই বদলে যেত। সুতরাং হাদীস বা ইতিহাসকে যদি ত্রুটি খোঁজার মানসিকতা নিয়ে অনুসন্ধান করা হয় তাহলে ত্রুটির কোন সীমা পরিসীমা থাকবে না। এ'কারণেই নাস্তিকগন খোদ কোরআনের মধ্যেও প্রচুর সমস্যা খুঁজে পায় - এবং কোরআনকেও মানুষের রচিত স্বাধারন গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করা শুরু করে।
এটাই সত্য কথা, আপনি যা চাইবেন তার পক্ষেই যথেস্ট যুক্তি প্রমান খুঁজে পাবেন। সুতরাং আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত আমরা কি চাই? এবং সবসময় আমাদের চাওয়াকে ইতিবাচক দিকে পরিচালিত করতে হবে। যদি আপনি নেতিবাচক দৃস্টিভঙ্গি নিয়ে কোন কিছুর দোষ ত্রুটি খুঁজতে থাকেন তাহলে আপনার চোখে শুধু ত্রুটিই ধরা পরবে এমনকি ফেরেশতারও ক্রটিমুক্ত থাকবে না। এ'জন্যই দেখা যায় মানুষ চোখের সামনে নবী, নবীর মুজিজা, অহী নাজিল হওয়া ইত্যাদি দেখার পরও বিশ্বাস করতে পারেনি - সন্দেহ করেছে 'হয়ত এ'গুলি যাদু হবে'।
আমার মতে হাদীসের প্রতি ইতিবাচক দৃস্টিভঙ্গি হওয়া উচিত এরকম যে আমরা হাদীস অধ্যয়ন করে তার মধ্যে গ্রহনযোগ্য কল্যানকর যৌক্তিক হাদীসগুলো খুঁজব এবং যা পাওয়া যাবে তাই নিজে পালন করব অন্যকেও তা পালনের ব্যাপারে উৎসাহীত করব। এ'ভাবে সবাই যদি ভাল, কল্যানকর, যৌক্তিক, গ্রহনযোগ্য হাদীস অনুসন্ধান করতে থাকি এবং ইতিবাচক দৃস্টিভঙ্গি নিয়ে নিজেরাও তা মানি ও অন্যদের মাঝে প্রচার করি তাহলেই দেখা যাবে সেই হাদীসগুলোই সমাজে প্রচলিত হবে, টিকে থাকবে, অন্যগুলি সময়ের ব্যাবধানে এমনিতেই হারিয়ে যাবে। বর্তমানেই সেটা হয়েছে - আপনি বাজারে প্রচুর হাদীস সংকলন পাবেন যেখানে বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ থেকে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক হাদীসগুলি সংকলিত হয়েছে - এবং মানুষ এ'গুলিই জানে। আপনি যদি বিতর্কের খাতিরে খুঁজে খুজে দুর্বল অযৌক্তিক অগ্রহনযোগ্য হাদীস বের করেন আর তার ভিত্তিতে সকল হাদীস সংগ্রাহকদের/বর্ণনাকারীদের মিথ্যাবাদী/বিভ্রান্ত/চক্রান্তকারী হিসেবে প্রচার করেন তাতে কী কল্যান হবে? বরং ঐসব অপ্রচলিত হাদীসগুলিরই প্রচার হবে এবং ইসলাম বিরোধীরা ওগুলোর সুযোগ নিয়ে ইসলামকেই আক্রমন করবে।
সুতরাং আপনার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আসুন আমরা দোষ-ত্রুটি নয় বরং ভাল যৌক্তিক গ্রহনযোগ্য হাদীস খুঁজি - যা খুঁজে পাই তাই মানি প্রচার করি আর বাকিগুলি উপেক্ষিত থাক। আর চুড়ান্তভাবে অনুসরনের জন্য কোরআনতো আছেই। কোরআন চর্চা বৃদ্ধির চেস্টা করি - কোরআন চর্চা যত বৃদ্ধি পাবে হদীসের প্রভাব ততই কমে যাবে।
আশা করি আপনি আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের সকল কল্যানকর প্রচেস্টা কবুল করুন - আমীন।
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মুরশিদ ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি আমার পথটাকে নেতিবাচক বলছেন। কিন্তু আমাকে বুঝান ইতিবাচকতা দিয়ে কি করা সম্ভব এইখানে? আর আমি তো মিথ্যা বানিয়ে কিছু বলিনাই। এর কারণে সবাই আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে বলছেন কিসের ভিত্তিতে? আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেই দেখেছি অনেকে বরং কাছে এসেছে, ভুল ধারণা দূরে ঠেলে দিয়েছে।
ইতিবাচকতা দিয়ে ভাল কিছু হলে তো আমার আপত্তি কিছু ছিলনা। আপনি বলুন তো যেখানে কোরান নির্দেশ দেয় সকলেই যেন আল্লাহর রাস্তায় একটা মাত্র পথ/রজ্জু ধরে থাকে সেখানে আমরা আজ বহু দলে বিভক্ত হয়েছি কিসের কারণে?
শিয়া সুন্নী হানাফি মালিকি শাফী হাম্বলী আহলুল বায়াত পীরের মুরীদ তাবলীগ জামাত জামাত শিবির ওয়াহাবী কাদিয়ানী এমন আরও অনেক।
এই যে এতগুলো দলের কারণ টা কি হাদীস নয়? এক পীরের মুরীদ অন্য পীর দেখতে পারেনা। শর্শীনা বলে আটরশি খারাপ আর আটরশি বলে শর্শীনা খারাপ। সকল পীরেই বলে তাবলীগ জামাত খারাপ, তাবলীগ বলে তারাই আসল বাকি সব খারাপ। সবাই বলে জামাত শিবির খারাপ, শিবির বলে তারাই ভাল। আপনার এত সাধের সিহাহ সিত্তার কানাকড়ি মূল্য নাই শিয়াদের কাছে। কওমী বলে আলীয়া খারাপ, আলীয়া বলে কওমী খারাপ। সৌদীরা বলে বাঙ্গালীরা নাকি মুসলমানই নয়।
এই বিভিন্ন দলগুলোকে এক করার কোন উপায় জানা আছে কি? আমার আছে, সেটা হল বিভক্তির মূল কারণ হাদীসকে বাদ দিয়ে এক কোরানের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া।
তবু এই বিভক্তিগুলো ইগনোর করে আপনার কথা অনুযায়ী যদি ইতিবাচক চিন্তা করি সেক্ষেত্রে কি হচ্ছে একটু আলোচনা করি আসুন।
খারাপ হাদীস বর্জন করে ভাল হাদীস গ্রহণ করব? শুনুন ভাই, যে সকল খারাপ হাদীস দিয়ে হাদীস শাস্ত্রকে এটাক করা যায় সেসকল খারাপ হাদীস কিন্তু সিংহভাগ মুসলিম জানেনা। সকলেই ভাল হাদীসই জানে। খারাপ হাদীস না জানার পরেও সেই ভাল হাদীসই কি কি ক্ষতি করে একটু চিন্তা করে দেখুন।
১) কোরান বুঝে পড়া জরুরী নয়। বেশী করে হাদীস পড়। আর না বুঝে কোরান শুধু সকাল/বিকাল তেলাওয়াত করলেই ১ হরফে ১০ নেকি----- অথচ এটা কোরানের ১৫/২০ টা আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক।
২) নামাজ পড়ার সময় না বুঝে আয়াত পড়ে গেলেও নামাজ কবুল হবে। ------ অথচ এটা কোরানের আয়াতের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। কোরানে সরাসরি আয়াত আছে না বুঝে নামাজ পড়ার বিপক্ষে। ইমাম আবু হানিফাও নিজ ভাষায় নামাজ পড়ার পক্ষে ছিলেন কারণ তাতে যা পড়ছি তা বুঝা যায়।
এর বাস্তবতা যাচাই করতে চান? যেকোন ওয়াজ মাহফিলে যান দেখুন হাদীস কিভাবে ডমিনেট করে, কোরান কিভাবে উহ্য থাকে। পীরের বাতসরিক জলসায় যান দেখুন কোরানের অবস্থান হাদীসের তুলনায় কত নিম্নে অবস্থান করে। তাবলীগের যেকোন গোল বৈঠকে বসুন দেখুন কোরান বাদ দিয়ে কিভাবে হাদীস পড়া হয়। সকল সাধারণ মুসলিমের ধারণা কোরান বুঝা কঠিন, কোরান শুধু আবৃত্তি করে নেকি কামানোর মাধ্যম। হাদীস পড়লে কোরান তো বুঝা হবেই বরং কোরানের ১০ গুন বেশী বুঝা হয়ে যাবে।
এর প্রভাবটা কি তা কি বলে দিতে হবে? হাদীসের প্রভাবে আমরা সকলেই জেনে নেই যে ঠিকমত নামাজ রোজা করলে আর শেষ জীবনে হজ্ব করলে যত পাপই করিনা কেন বেহেশত পাওয়ার আশা করা যায়। এর ফলে কোরানে আল্লাহ সরাসরী কি নির্দেশ দিলেন তা কেউই আমরা জানিনা। পাপ করতেও আমরা দ্বিধাবোধ করিনা। হুজুরেরা দেখেছি বেশি পাপ করে কারণ তারা ভাবে তারা তো নামাজ রোজা ঠিকমত করে তাই কোন অসুবিধা নাই। আমার পরিচিত যত মসজিদের ইমাম দেখেছি কেউই কোরান বুঝতনা বা বুঝে পড়তনা। সকলেই হাদীসে বিরাট পন্ডিত ছিলেন। ছোটবেলায় বেশি করে হাদীস পড়তে বলতেন আর কোরান তেলাওয়াত করতে বলতেন। কখনো কোরান এর অনুবাদ পড়ার উতসাহ দিতেননা।
আচ্ছা চুরির শাস্তি হাত কেটে ফেলা। আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন জাগে না? চুরির চাইতে বড় অপরাধেও কেন এমন শাস্তির কথা বলা নাই কোরানে? এই খানে দেখুন সুন্নি ফোরামেই আলোচনা করা হয়েছে। অথচ হাদীস পড়ার কারণে আপনি কোরানকে কত ভুল ভাবে বুঝেন!
স্ত্রী প্রহার। একই কথা। এইখানে পড়ে দেখুন অথচ হাদীসে আছে যেকোন কারণেই স্ত্রী প্রহার করলেও আমাদের কোন জবাবদিহী করতে হবেনা। কোরানের কত ভুল ইন্টারপ্রিট করা হয় হাদীসের কারণে!
এই যে আপনি বারবার যৌক্তিক গ্রহণযোগ্য হাদীস বাছাই এর কথা বলছেন এটা নাহয় আমি মেনে নিলাম। কিন্তু এটাতো দ্বিতীয় স্টেপ হবার কথা তাইনা? প্রথম স্টেপে আগে সবাইকে কোরান পড়তে বলুন, বুঝে শুনে, পরে নাহয় যৌক্তিক হাদীস পড়া যাবে। আমার আপত্তি নাই কোন। কিন্তু সেই কথা কি কোন হাদীসপন্থীকে বলতে শুনেছেন? সবাই তো বলে হাদীস ছাড়া কোরান বুঝা সম্ভব না, হাদীস আগে পড়া উচিৎ পরে কোরান বুঝে পড়লে পড়ুক না পড়লেই নাই। দেখুন হাদীস ছাড়া নাকি কোরান বুঝা সম্ভব নয়, তাহলে কোরান প্রথমে পড়ার উতসাহ কিভাবে পাবে মানুষ? যেখানে মানুষ জানে যে কোরান বুঝে পড়া জরুরী নয়? আর আপনার এই কথাটা '''আর চুড়ান্তভাবে অনুসরনের জন্য কোরআনতো আছেই। কোরআন চর্চা বৃদ্ধির চেস্টা করি - কোরআন চর্চা যত বৃদ্ধি পাবে হদীসের প্রভাব ততই কমে যাবে।''' এর কি হবে তাহলে? আপনার এই কথার সাথে আমি কিন্তু পূর্ণ সহমত ছিলাম। কিন্তু আপনার বর্ণিত ইতিবাচকতা দিয়ে এর বাস্তব প্রয়োগ জীবনেও সম্ভব না। সত্যি সত্যি মানুষকে কোরানে ডাইভার্ট করতে হলে প্রাথমিক ভাবে হাদীস বর্জন করতেই হবে। এর পর সুসময় এলে হাদীস বাছাই করে ফলো করলে কোন ক্ষতি নাই।
আর যে শাস্ত্রে খারাপ কিছু আছে সে শাস্ত্র নির্ভরযোগ্য নয়, সেটা কেন এত জরুরী হয়ে গেল আপনাদের কাছে? আপনি যে বললেন খারাপ খুঁজলে সব কিছুতেই খারাপ পাওয়া যায় এটা বলে কি আপনি অন্যায় করলেন না? এটা বলে আপনি যুক্তি ব্যবহার করতে না করলেন। অথচ কোরান সেটা ব্যবহার করতে বলে। শুনেন ভাই নাস্তিক/কাফিরদের সাথে সবার তুলনা করবেননা। আমি নাস্তিক হয়ে গিয়েছিলাম (অথচ চূড়ান্ত রকমের আস্তিক ছিলাম) কোরানে অযৌক্তিক কিছু পেয়েছি বলে নয়, বরং হাদীসে অযৌক্তিক কিছু পেয়েছিলাম বলে। তখন আমি হাদীসের এত কাহিনী জানতামনা, হাদীসকে কোরানের মতই গুরুত্বপূর্ণ মনে করতাম। আমি কোরানের অনুবাদ বুঝে পড়ার পরেও কিন্তু হাদীসের প্রভাবের কারণে আমার চিন্তা/মানসিকতায় কোন পরিবর্তন আসতনা। কোরানের আসল বক্তব্য বুঝতে পারতামনা। প্রাথমিক পর্যায়ে হাদীসকে বাদ না দিলে কোরান বুঝার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
পরিশেষে কোরানের একটা আয়াত দিয়ে শেষ করি।
৩৯:১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে সকল কথা শুনে, অতঃপর তার মাঝে যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
১৪৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মেহেদী পরাগ,
এই পোস্টের (Click This Link) লিংক দিতেই এখানে আসা।
এসে পোস্টটাও একটানে পড়লাম। বিভিন্ন জায়গায় মতভিন্নতা থাকলেও, পড়তে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
১৪৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫
এস. আই. হিরন বলেছেন: লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ ভাবে একমত। ইসলামকে যত যুক্তি এবং তর্কের বিচারে দেখা হবে, ততই তার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ দূর হবে এবং ঈমান গাঢ় হবে।
সুন্দর উপস্হাপনা এবং সঠিক যুক্তির জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন (আমিন)।
১৪৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৬
বাংলা আমার প্রাণ বলেছেন: আপনার লেখাটা এখন পরলাম এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাই জীবনটা এখন অন্যরকম মনে হচ্ছে।
১৪৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৫
এইতোআমি০০৭ বলেছেন: এস. আই. হিরন বলেছেন: লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ ভাবে একমত। ইসলামকে যত যুক্তি এবং তর্কের বিচারে দেখা হবে, ততই তার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ দূর হবে এবং ঈমান গাঢ় হবে।
সুন্দর উপস্হাপনা এবং সঠিক যুক্তির জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন (আমিন)।
১৪৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
অন্যরকম একজন বলেছেন: হাদিসএর ব্যাপারে আপনার ভিউ এর সাথে আমি একমত।আপনার সাথে ইন্সট্যান্ট যোগাযোগের কোনো উপায় আছে?মেইল,ফেবুক বা মেসেঞ্জার?থাকলে জানাবেন প্লিজ।ঈদ মোবারক।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: [email protected]
আপনাকেও ঈদ মোবারক, ভাল থাকুন।
১৪৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
অন্যরকম একজন বলেছেন: আর,নবীর ভুল হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে বলতে চাই নবীরা অনুকরনীয় মানুষ।তাদের সামান্যতম ভুল হলেও আল্লাহ তাতক্কনিকভাবে তা শুধরে দিয়েছেন যেন উম্মতরা গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসায়।সে কারনেই,যেসব হাদিসে বর্নিত ঘটনাবলী কোন নবীর আচরনের সাথে তো য্য-ই না বরং কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলো আমি বিনা দ্বিধায় বাদ দিয়ে দেবার পক্ষে।
১৫০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৩
উন্মাদ অভিক বলেছেন: আসল ঘটনা আপনি আগে থেকেই আস্তিক ছিলেন! আর এরকম ভণ্ড নাস্তিক এর চেয়ে আস্তিক থাকা ভাল মনে করি.।
১৫১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৫
অযুত বলেছেন: +++++++++++++++
প্রিয়তে।
১৫২| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
একলা বগ বলেছেন: ++++++++
ভাই, আপনারে কিভাবে অভিনন্দন দিব বুঝতে পারতেছি না। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আরো সন্মানিত করুন, আমিন।
১৫৩| ০১ লা জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬
অসহায় নাগরিক বলেছেন: ভাই, অনেক ধন্যবাদ পোস্ট এর জন্য।
আপনার মতো সুন্দর ভাবে ও যুক্তি দিয়ে খুব কম আস্তিক ই লেখে ব্লগ এ। বেশির ভাগ আস্তিক এর সমস্যা হল তারা বলে অমুক জিনিস আল্লাহ্ বলসে, তাই মানতে হবে। তারা চিন্তা করতে নারায। এমন করলে তো একদিন চিন্তা শক্তি বিলুপ্ত হবে, মানুষ ধরম কর্ম ছাড়া আর কিছু করবে না। তারা এইটা বঝে না যে চিন্তা কইরা, ও বুইঝা ইসলাম এর পথে অনুসারি হওয়া যায়।
১৫৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ সকাল ১১:০০
মুদ্দাকির বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
১৫৫| ১৪ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:০৩
জামিল আহমেদ জামি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
১৫৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩১
আতিকুর রহমান সুমন বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগল।
আমার মনে হয় নিজেকে এভাবে আস্তিক বা নাস্তিক হিসেবে লেবেলিং না করলেই ভালো। শুধু তাই না কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, পেশা ইত্যাদির সাথেও নিজেকে খুব বেশি আত্মীকরন করলে নিরপেক্ষভাবে বা স্বাধীনভাবে চিন্তা করা সম্ভব না। চিন্তা কারা বা জ্ঞান অর্জন করা একটা প্রক্রিয়া, এটা সঠিকভাবে গড়ে তুললেই কেবল সঠিক ফল দেবে।
১৫৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৬
দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: আমার বিশ্বাস একটা দিনের জন্য কোন নাস্তিক যদি ধর্মীয় ভাবে নয় একান্ত নিজের মত করে প্রার্থনা করে বলে ‘ইশ্বর তুমি যদি থেকেই থাকো তাহলে সত্যটা আমাকে দেখাও, আমি আবারও সত্য জানার শেষ চেষ্টা ক৬রব, আমি সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করব। তারপরও যদি সত্য না দেখি তাহলে জেনে রেখ তোমার অস্তিত্ব আমি অস্বীকার করব, সেক্ষেত্রে আমি দোষী নই’ .....................খুবই সুন্দর লাগলো এই কথাগুলো।
১৫৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৯
ঐদিকের কেউ!! বলেছেন: এমন চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত লেখা জীবনে কম ই পড়েছি । প্রিয়তে নিলাম ।
১৫৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: `এভাবে যখন সত্য জানছি তখন খেয়াল করে দেখলাম এখনকার বেশীরভাগ মুসলিম অনেক ভুল ভাবে ইসলামকে জানে আর মানে (এভাবে ভুল বলাটাও মনে হয় ঠিক হলনা, আসলে বলা উচিৎ আমার দৃষ্টিতে ভুল। আমার যুক্তি প্রত্যেকেই স্বাধীন ভাবে চিন্তা করে সঠিক না ভুল তা ঠিক করে নিক, কারও কথাতে প্রভাবিত হয়ে নয়)। আমার নিজের পূর্বের আস্তিক জীবনেও অনেক ভুল খুজে পেলাম, অথচ সেই সময় তা ভুল মনে হয়নি। ট্র্যাডিশনালি এই ভুল ইসলাম জেনেই নাস্তিকেরা ইসলামকে অস্বীকার করে।" আপনার এই কথার সাথে আমি বিশেষ ভাবে একমত।
১৬০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৬
নতুন বলেছেন: {{{আমার বিশ্বাস একটা দিনের জন্য কোন নাস্তিক যদি ধর্মীয় ভাবে নয় একান্ত নিজের মত করে প্রার্থনা করে বলে ‘ইশ্বর তুমি যদি থেকেই থাকো তাহলে সত্যটা আমাকে দেখাও, আমি আবারও সত্য জানার শেষ চেষ্টা ক৬রব, আমি সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করব}}}
যদি আপনি ইশ্বরকে বিশ্বাস করেই তার কাছে প্রাথনা করছেন তার মানে আপনি তো তাকে বিশ্বাস করেই ফেলেছেন.... নিরপেক্ষ কিভাবে হবেন?
ধম` বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে প্রমান করা যায়না... শুধু বিশ্বাসই করতে হয়...
১৬১| ২৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭
Unignee বলেছেন: However, because the collagen content in the media was at the limit of detection, collagen was also determined at mRNA level in MAs canadian pharmacy cialis 20mg EM, extensive metabolizer; hetEM IM, heterozygous extensive intermediate; PM, poor metabolizer
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৯
মুসাফির... বলেছেন: সেরা একটা লেখা পড়লাম...
আপর পোষ্টের বর্ননায় নিচের মন্তব্যটি মনে ধরেছে..
আমি যেটা বুঝেছি কোরান অনুযায়ী আজকের শান্তিকামী খ্রীষ্টান বা হিন্দুরাও কাফির নয়।
আপনার জন্য শুভ কামনা..