নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালিখি করিনা তেমন।অন্যের লেখা পড়তে ভালোলাগে।তাই রেগুলার আসা হয় সামুতে।

শাহিদ উজ জামান

হাবিজাবি

শাহিদ উজ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়াশুনায় অমনোযোগীদের জন্যে পোমোডোরো টেকনিক!!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩১

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনেক পড়াশুনা করতে চান কিন্ত অলসতা,অমনোযোগিতা ইত্যাদি কারনে ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারেন না।অনেকে আবার তাদের পড়ার এফিশিয়েন্সি নিয়ে শংকিত থাকেন।তারা ভাবেন সারাদিন তো বই নিয়েই বসে আছি কিন্ত পড়াশুনা তো এগুচ্ছে না।তাদের জন্যেই আমার আজকের পোস্ট।
সবসময় মনে রাখবেন আপনি কতক্ষন বই নিয়ে বসে আছেন সেটা কোন ব্যাপার না বরং আপনি কতক্ষন মনোযোগ দিয়ে পড়লেন সেটাই চিন্তার বিষয়।আচ্ছা,এখন আপনাদের কাছে আমাদের মতই এক সাধারন স্টুডেন্ট এর গল্প বলব।
আশির দশকে Francesco Cirillo নামে একজন সাধারন ছাত্র ছিল।সে সারাদিন পড়াশুনা করতে চাইত।কিন্ত পড়াতে ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারত না।পড়তে বসার কিছুক্ষন পরেই বিরক্ত হয়ে পড়ত।এতে তার রেজাল্টও অনেক খারাপ হচ্ছিল।কিন্ত সে ছিল নাছোড়বান্দা।তাই অনেক চিন্তাভাবনা করে সে একটা নতুন টেকনিক আবিস্কার করল এবং সেটার নাম দিল Pomodoro Technique.   পোমোডোরো ইটালিয়ান শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে টমেটো।সে তার পুরো সময়কে অনেক গুলো পোমোডোরোতে ভাগ করে নিল।প্রতিটা পোমোডোরো ছিল ত্রিশ মিনিট করে যার মধ্যে প্রথম পঁচিশ মিনিট মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে এবং বাকি পাঁচ মিনিট ছিল বিশ্রামের জন্যে।
আমি এখন পোমোডোরো টেকনিকের নিয়ম গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করার চেস্টা করছি।

১. আপনার পুরো পড়ার সময়কে পোমোডোরোতে ভাগ করে নিন।প্রতিটা পোমোডোরো ত্রিশ মিনিট হবে যার মধ্যে পঁচিশ মিনিট মনোযোগ দিয়ে পড়া আর বাকি পাচ মিনিট বিশ্রাম।
২.একটা পোমোডোরো শুরু করার পর কোনভাবেই তা বন্ধ করা যাবেনা।
৩.পোমোডোরোর মাঝে পড়াশুনা ছাড়া  অন্যকিছু করা যাবেনা।যেমনঃ ফেইসবুক,ইউটিউব এগুলো কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবেনা।
৪.প্রতি চারটা পোমোডোরোর পরে আপনি একটা লম্বা ব্রেক নিতে পারেন যাতে পরের পোমোডোরো গুলোতে ঠিকভাবে পড়তে পারেন।
৫.সময়ের হিসেব রাখার জন্যে আপনি কিছু এপস ব্যবহার করতে পারেন।এপস গুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর এলার্ম দেয়।প্লে-স্টোরে এরকম অনেক এপ পাবেন।তবে আমি Productivity Challenger এপ টা ব্যবহার করি।

প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে আমি এই টেকনিক অবলম্বন করছি।বলতে গেলে আমি অনেকটা ইমপ্রেসড।শুধু পড়াশুনা নয় আপনি কর্মজীবনেও এটা ট্রাই করতে পারেন।শুভকামনা রইল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটাকে ব্লগিং'এ কিভাবে ব্যবহার করা যাবে? যদি পথ বের করতে পারেন, নিজে ব্যবহার করবেন, আমার লাগবে না; তবে, খেয়াল রাখবেন, অকালে পেকে গেলে সমস্যা আছে, টমেটো সব ধরণের রান্না ও সালাদে দেয়া যায়।

পোমোডোরো, মনে হচ্ছে টমেটো

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

শাহিদ উজ জামান বলেছেন: ব্লগিং এ মনে হয় ব্যবহার করা যাবেনা।থামেন আমি চিন্তাভাবনা করি।যদি নতুন কিছু আবিস্কার করা যায়। =p~

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২০

নাগরিক কবি বলেছেন: ভাই আপনার টমেটো টা দেন। খাইয়্যা পড়তে বসি। বিদেশে এই জিনিস এখন কোহিনূর :P

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

শাহিদ উজ জামান বলেছেন: ভাই এটা তো প্লাস্টিকের টমেটো।খাওয়া যাবেনা।আপনি দেশে আসেন।ফ্রেশ ফ্রেশ টমেটো পাবেন। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.