![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নদ ও নদীর পার্থক্য জানতে চাই।
আমি জানি যেসব স্রোতস্বীর নাম পুরুষবাচক তারা নদ, আর যাদের নাম নারীবাচক তারা নদী।
নদ : ব্রহ্মপুত্র, নাইল, হোয়াংহো, বিজয়, দামোদর।
নদী: গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, পদ্মা, মেঘনা।
এই মতের সাথে কেউ কেউ একমত হতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে কিছু জানা থাকলে জানানোর অনুরোধ করছি।
০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: একমত হতে পারলাম না। আড়িয়াল খাঁ সাগরে মিশে নাই। উৎপত্তি পদ্মা থেকে। অথচ এটি নদ, নদী না।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১
রাজসোহান বলেছেন:
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩
বাবুল হোসেইন বলেছেন:
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০
যোগী বলেছেন: যে নদীর কোন শাখা নদী নাই কিন্তু উপনদী থাকতে পারে তাদের নদ বলে।
আর যে নদীর শাখা নদী বা শাখা নদী ও উপনদী আছে তাদের নদী বলে।
তার আগে আপনাকে শাখা নদী ও উপনদীর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।
যদি কোন নদী থেকে অন্য একটা নদীর উৎপত্তি হয় তাহলে সেই অন্য নদীকে ঐ নদীর শাখা নদী বলে।
আবার অন্য কোন নদী যদি আর একটা নদীর সাথে মিলিত হয় তাহলে সেই অন্য নদীকে সেই আর একটা নদীর উপনদী বলে।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১
দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: যে সব রিভারের নারী সুলভ গুণাবলী কবিরা খুঁজে পেয়েছেন সেগুলো নদী। যেমন পদ্মা, সুরমা, কর্ণফুলী।
আর যে সব রিভারের মাঝে পুরুষ সুলভ গুণাবলী কবিরা খুঁজে পেয়েছেন সেগুলো নদ। যেমন ব্রহ্মপুত্র, কপোতাক্ষ ইত্যাদি।
তবে এই নামগুলো কোনো বিশেষ নিয়ম মেনে রাখা হয়নি।
সব নদীরই পুরুল সুলভ গুণাবলী যেমন বন্যা, ভাঙন ইত্যাদি আছে । আবার সব নদেরও নারী সুলভ গুণ যেমন কলকল সুর আছে।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: যোগী ঠিকই বলেছেন, সাধারণ ভাবে কোনো নদীর শাখানদী (distributaries) না থাকলে তাকে নদ বিবেচনা করা হয়। নদের উপনদী (tributaries) থাকতে পারে, যার সাথে মিলিত হয়ে উক্ত নদ আরো বড় নদ/নদী সৃষ্টি করে, যেমন হোয়াইট নীল (White Nile) ও ব্লু নীল (Blue Nile) মিলে বৃহদাকার নীল গঠিত হয়েছে। শাখা নদীকে নদীর ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে আমাদের উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে নদ-নদীকে নারী-পুরুষ হিসেবে ভাগ করার পেছনে পুরাণ, ধর্মীয় ও লোকজ বিশ্বাসের প্রভাবই মুখ্য; শাখানদীর ব্যাপারটি, বিশেষ করে বিদেশি নদীর ক্ষেত্রে, সবসময় খাটে না। শাখা থাকুক আর নাই থাকুক, ব্রহ্মার পুত্র ব্রহ্মপুত্রকে তো আর আপনি মেয়ে ভাবতে পারেন না; তেমনিভাবে হিমালয়দুহিতা গঙ্গা, সে তো নারীই হবে!
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
টেকিবাবা বলেছেন: নদ হল পুংলিঙ্গ আর নদী হল স্ত্রীলিঙ্গ - তাইলে যেসব নদী পুরুষ তারা নদ আর যেসব নদী নারী তারা হইলো গিয়া নদী। সহজ ব্যাপার
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ভাল প্রশ্ন ..পোষ্টে +
যোগী এবং ম্যাভেরিকের মন্তব্যে +
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৭
সকলম বলেছেন: নদ বা নদী generally বাংলা বা সংসকৃত নামের । যেসব নাম অ-কারান্ত সেগুলো নদ আর যেগুলো আ বা ি-কারান্ত, সেগুলো নদী - general rule.
১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭
মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: মন্তব্যগুলো খুবই ভালো লাগছে। আরো মতামত আসা দরকার একটি স্টোরি লেখা যাবে। আমার মনে হয় এই প্রশ্নটি আমার একার নয়।
১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮
১২৩৪ বলেছেন: +++++++++ আমারও জানার ইচ্ছা ছিলো...
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০
ময়মনসিংহ হতে বলেছেন: যেগুলো নদ সেগুলোর অধিকাংশরই শেষে আকার ‘া’/্ি নাই, খেয়াল করেছেন কি? আসলে নদ আর নদীর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকার কথা নয়
১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১০
শামীম অহাম্মদ মজুমদার বলেছেন: এইখানে দেখেন, আশা করি উত্তর পাবেন।
১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
আতিফ বলেছেন: নদ’ আর ‘নদী’ এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?- এই প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগ লোকই হাস্যকর সব ভুল উত্তর দেয়। উত্তরের একটা নমুনা দেখা যাকঃ
নদ আর নদীর মধ্যে পার্থক্য হল- “নদীর শাখা আছে, নদের শাখা থাকে না”। বেশিরভাগ লোকই এই উত্তরটা দেয়। সবাই এটা বংশানুক্রমে পায় ( আমি নিজেও স্কুলে আমার শিক্ষকের কাছে এই উত্তরটাই পেয়েছিলাম ) এই উত্তরের ব্যাকরণগত ভিত্তি কেউই জানে না ( ভিত্তি থাকলে তো জানবে!!!!! )। মজার ব্যাপার হল উইকিপিডিয়া ও একই পথের পথিক। নদ ও নদী সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে লেখা আছেঃ
“যে জলস্রোত কোন পর্ত, হ্রদ, প্রস্রবণ ইত্যাদি জলাধার হতে উৎপন্ন ও বিভিন্ন জনপদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোন জলাশয়ে পতিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমনঃ মেঘনা, যমুনা, কুশিয়ারা ইত্যাদি। যখন কোন নদী হতে কোন শাখা নদীর সৃষ্টি হয়না, তখন তাকে বলা হয় নদ। যেমনঃ কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল নদ ইত্যাদি নদ। সুরমা, গঙ্গা, বুড়িগঙ্গা ইত্যাদি নদী।”
এখন আমার প্রশ্ন হল, ব্রহ্মপুত্রের কী শাখা নেই? শীতলক্ষ্যা, যমুনা এইগুলো তাহলে কোন নদীর শাখা? শীতলক্ষ্যা, যমুনা যদি ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হয় তাহলে সংজ্ঞানুসারে ‘ব্রহ্মপুত্র’ তো নদী হবার কোথা, একে আমরা নদ বলি কেন? সেটা দূর করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন অধ্যাপক। নদ ও নদীর সাথে শাখা থাকা না থাকার কোন সম্পর্ক নেই। এই দুয়ের মাঝে যা পার্থক্য আছে তা হল ব্যাকরণগত।
বাংলা, হিন্দি, ফারসি ইত্যাদি ভাষার ক্ষেত্রে, পুরুষবাচক শব্দ সাধারণত অ-কারান্ত এবং নারীবাচক শব্দ আ-কারান্ত বা ই,ঈ-কারান্ত হয়। যেমনঃ
রহিম (অ-কারান্ত) -রহিমা (আ-কারান্ত, নামের শেষে আ আছে ) , রজক (অ-কারান্ত) – রজকী ( ঈ-কারান্ত, নামের শেষে ঈ আছে )
তেমনিভাবেঃ ফুল-ফুলি, কুমার-কুমারী, নদ-নদী ইত্যাদি।
তাই যে সকল ‘নদীর’ নাম পুরুষবাচক অর্থাৎ অ-কারান্ত তারা নদ আর যে সকল ‘নদীর’ নাম নারীবাচক অর্থাৎ আ-কারান্ত বা ঈ,ই-কারান্ত তারা নদী।
এই কারণে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী থাকলেও এটি নদ। একই কারণে নীল ‘নদী’ নয় ‘নদ’। অনেকে আমাজন নদী বললেও উপরে উল্লেখিত কারণে তা হবে নদ। তাই এখন থেকে যে নদীর নাম অ-কারান্ত দেখবেন, নিশ্চিন্তে তাকে নদ বলুন।
১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
নাঈমুল ইসলাম প্রজন্ম ’৭১ বলেছেন: মুস্তাফিজ ভাই, অনেকদিন আগের পোস্ট, নতুন পোস্ট কই। নদ-নদী নিয়ে কি স্টোরি লিখেছিলেন?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১
মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: ‘স্বাধীন’ সিকিম ও একজন লেন্দুপ দর্জি Click This Link
১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
হেডস্যার বলেছেন:
থ্যাঙ্কস টু আতিফ
১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১১:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নদী নাম স্ত্রীবাচক আর নদের নাম পুরুষ। নদের উৎপত্তি হ্রদ থেকে । নদীর উৎপত্তি হিমবাহ থেকে ।অথবা পাহাড়ি ঢল থেকে ।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১১:১৫
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: আতিফ ভাইরে কইতাছি, আফনের ওই স্যাররে জিগায়েন- শেষে আ কারান্ত থাকলে যদি নদী হয় তাইলে আড়িয়াল খাঁ নদ ক্যা? আর নদ-নদীর সংজ্ঞা যদি আ কারন্ত , ই কারান্ত দিয়েই নির্ধারিত করেন তাহলে বিদেশীরা কী কারান্ত দিয়ে করেন? তাদের দেশেও কিন্তু শাখানদী (Distributary )
,উপনদী (tributary) আছে । নীল নদের শেষে অকারান্ত আছে, এটাই কি তার নদ হওয়ার পক্ষে যুক্তি? কিন্তু ইংরেজিতে এটা লিখলে nile লিখতে হয় (শেষে e- যা বাংলা ভাষার ই কারান্তের মত)। তাইলে কি এটা বাংলাদেশে নদ, বিদেশে নদী? পুরুষবাচক, স্ত্রীবাচক শব্দ দিয়ে কখনো কোনো সংজ্ঞা নির্ধারণ করা যায় না এটা ঐ স্যাররে জানায়ে দিয়েন। এগুলো দিয়ে তাদের জাতি শনাক্ত করা যায় মাত্র । যেমনঃ পুরুষ কাকে বলে, নারী কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর এমন হতে পারে না যে, রহিম নাম হলে তাকে পুরুষ বলে, রহিমা হলে তাকে নারী বলে। কিন্তু এই নামগুলোর দ্বারা শনাক্ত করা যায় কে নারী, কে পুরুষ । একটা শিশু জন্মগ্রহন করার পর তার নাম আগে রাখা হয় নাকি তার লিঙ্গ আগে দেখা হয়? আগে লিঙ্গ দেখা হয়, তারপর পুরুষ হলে পুরুষবাচক নাম, স্ত্রী হলে স্ত্রীবাচক নাম রাখা হয় । কিন্তু পরবর্তিতে তাকে শনাক্ত করতে আর লিঙ্গ দেখার প্রয়োজন হয় না। নাম শুনলেই বোঝা যায়, নারী না পুরুষ । তেমনি, নদ-নদী আগে এসেছে, পরে বৈশিষ্ট দেখে নাম এসেছে । আর আপনি কিনা নাম দিয়ে নদ-নদীর সংজ্ঞা দিতাছেন ?
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বাহ! কমেন্ট থেকে অনেক কিছুই জানা হইলো
২০| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:১৯
শায়মা বলেছেন: আমি জানি যেসব স্রোতস্বীর নাম পুরুষবাচক তারা নদ, আর যাদের নাম নারীবাচক তারা নদী।
হা হা এইজন্যই এইখানে একজন নদী নদ সেজে আছেন।
২১| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২১
শায়মা বলেছেন: দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: যে সব রিভারের নারী সুলভ গুণাবলী কবিরা খুঁজে পেয়েছেন সেগুলো নদী। যেমন পদ্মা, সুরমা, কর্ণফুলী।
আর যে সব রিভারের মাঝে পুরুষ সুলভ গুণাবলী কবিরা খুঁজে পেয়েছেন সেগুলো নদ। যেমন ব্রহ্মপুত্র, কপোতাক্ষ ইত্যাদি।
তবে এই নামগুলো কোনো বিশেষ নিয়ম মেনে রাখা হয়নি।
সব নদীরই পুরুল সুলভ গুণাবলী যেমন বন্যা, ভাঙন ইত্যাদি আছে । আবার সব নদেরও নারী সুলভ গুণ যেমন কলকল সুর আছে।
হা হা মজার
২২| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১০
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন: শতভাগ সঠিক উত্তর তাহলে কারটা ধরে নিতে পারি???
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: যে নদী অন্য কোন নদীর সঙ্গে না মিশে সরাসরি সাগরে গিয়ে মিশে সেগুলোকে নদ বলে।
আর যে নদী অন্যান্য নদীর সাথে মিশে সাগরে পড়ে সেগুলোকে নদী বলে।