নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক এবং ডক্টরাল ক্যান্ডিডেট, ইউনিভার্সিটি এট বাফেলো, নিউ ইয়র্ক।

কুয়েটিয়ান পাভেল

টাইম পাস করি

কুয়েটিয়ান পাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী চরিত্র

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২

ক্লাস ৪/৫ এ পড়ার সময় যে বাসায় থাকতাম তার পাশের ফ্লাটের বড় ছেলেটা একদিন গনপিটুনীতে মারা গেল। এলাকার কোন এক বাহিনীর সাথে মিশত, চাদাবাজি করত। একদিন সন্ধ্যায় চাদা কালেক্ট করার সময় কাচাবাজারের ব্যাবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে লাঠি-রড দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেয়। শরীরের পচন রোধ করতে দুই হাত দুই পা কেটে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু তারপরেও সে একরাতও টেকেনি। একটা ভদ্র ফেমিলির ছেলেও খারাপ সঙ্গে মিশে কতটুকু নিচে যেতে পারে সেই অভিজ্ঞতার হাতে খড়ি হয়ে গেলো।

২০১৪/২০১৫ সালেরই কথা। বড় ভাই সন্ধ্যার বন্ধুর বাসায় আড্ডা দিতে আর ক্লাস নোট কালেক্ট করতে গেছে। বন্ধু বাসার নিচে চায়ের দোকানে যাবার কথা বলল। হঠাৎ করে রাস্তায় চার/পাচজন ছেলে এসে পথ আটকালো। চাকু দেখিয়ে শুধু আমার ভাইয়ের মোবাইলটা নিয়ে গেলো। বড় ভাই বাসায় আসল কিছু না বুঝেই। পড়ে বোঝা গেলো ঐটা ওর বন্ধুরই পাতানো ফাদ ছিলো। কে ভাবতে পারবে সচিবালয়ে চাকুরী করা ফার্স্ট ক্লাস অফিসারের ছেলে ছিনতাইয়ের মূল হোতা !!!

ভার্সিটি জীবনে মনে হয় সবচেয়ে বেশি অবাক হইছি ছাত্রদের মধ্যে মারামারির হিংস্রতা দেখে। যেই ছেলের মা দিনের মাঝে ৫ বার ফোন দেয় ছেলে ভাত খেয়েছে কিনা, সেই ছেলের হাতেও ধারালো অস্ত্র। শুরুতেই বড় ভাইরা এসে বলে, ভার্সিটিতে বুক উচা করে চলতে চাস?? আমার সাথে থাক। সাথে আছে হলের মাঝে চার/পাচটা রুম জোর-দখল (চর দখলের সমার্থ) করে থাকার গ্যারান্টি। তবে এই বড় ভাইয়ের এত স্নেহ!! আর ফ্রি সিট কিন্তু একেবারে ফ্রিতে আসে না। নিজের ব্যাচের বা সিনিয়র ব্যাচের বিরোধী মতাদর্শের ছাত্রদের পেটাতে হবে, হলছাড়া করতে হবে, দরকার হলে আদর করে দুই একটা কোপও দিতে হতে পারে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পড়াশোনা করা সবচেয়ে শিক্ষিত শ্রেণীর মানসিক অবস্থা। শেষ বর্ষে থাকাকালীন সময়ে ঈদের ছুটিতে ঢাকায় আসলাম। চুয়েটের একফ্রেন্ডকে দেখতে পঙ্গুতে গেলাম। কোপাকুপির মাঝে পরে ডান হাতের কনে আঙ্গুলটা পড়ে গেছে। বিপক্ষ দলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় আঙ্গুল খোজার সুযোগটাও পায় নাই।

এই মারামারি কোপাকুপি আমাদের জন্যে ডালভাত। দুনিয়ার সবচেয়ে অসভ্য জাত হিসেবে উন্নত দেশে ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী-বাংলাদেশীদেরকেই বুঝে। এখানে শিশু রাজনকে পিটিয়ে মেরা ফেলা হয়। তুচ্ছ ঘটনায় বিহারী ক্যাম্পে আগুন দিয়ে পুরিয়ে মারা হয়, আচোদা নেত্রীর ডাকা হরতাল সফল করতে বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে যাত্রী পুড়িয়ে মারা হয়। এত বড় অপরাধ করেও সবাই পার পেয়ে গেলেও জেলে যায় বন্ধুকে ১০/১২ টা থাপ্পড় মারা জুনায়েদ!!!

নিচের ভিডিওটা কিছুক্ষণ আগে দেখলাম। বাংগালী সংস্কৃতি আর বাঙ্গালী চরিত্র জলের মত পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে এই ভিডিওতে।

https://www.facebook.com/saim.karim2/videos/994706393956232/

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২০

ঝাপসা বালক বলেছেন: দারুণ বলেছেন ।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

রুমি৯৯ বলেছেন: আচোদা নেত্রী!

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: বেশ।
+++

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

বিপরীত বাক বলেছেন: বন্ধুরা সবচেয়ে বেশি ইর্ষাকাতর হয়।
এদেশে এই জাতে বন্ধু শব্দটা ডিকশনারী থেকে তুলে দেয়া উচিৎ

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

কালীদাস বলেছেন: যেকোন ঝগড়ায় বাংলাদেশিদের কমন ডায়লগ "আমার চিনস আমি কে?" খারাপ লেখেন নাই। বাইদ্যাওয়ে, বিএনপির লোকজন এই পোস্ট দেখলে আপনের খবর আছে।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পোস্টের বক্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.