নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যন্ত্রণায় কাতঁরাই

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

ফাযলামির সীমা থাকলেও সীমার ফাযলামি গুলো কখনওই শেষ হত না। হটাৎ রিক্সা ভাড়া দিতে গিয়ে দেখতাম ম্যানিব্যাগে কোন টাকা নেই ছোট্ট একটা চিরকুটে লেখা 'কি জনাব মনে পড়লো আমাকে! বলেছিলাম না! ভুলতে দেব না'। অজব! পুরাই ফাজিল মেয়ে, একে দুই বেলা নিয়ম করে থাপড়ানো দরকার। হটাৎ মাঝ রাতে অক্লান্তিকর ভাবে আমার ফোনটা বেজেই চলতো, আমি ঘুম জড়ানো চোখ নিয়ে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসতো একটা নরম মধুর কন্ঠ। কড়া ধমকের সুরে বলতো 'কি খুব ঘুমানো হচ্ছে না!' আমি বিরক্তির ভান করে বলতাম 'আজব মধ্য রাতেতো মানুষ ঘুমায়, নাকি! মাঝ রাতেতো আর কেউ ফুটবল খেলে না।' সে অভীমানি সুরে বলতো 'আমার ঘুম আসছে না।' আমি বিরক্তি হবার ভান রেখেই বলতাম 'তো আমি কি করব! আমাকে ঘুমাতে দাও।' সে ধমকের সাথে অভীমান মিশিয়ে বলতো 'উহু, আমার ঘুম আসছে না আর তুমি নাক ডেকে ঘুমাবা! তা হবে না। আমার সাথে তোমাকেও জাগতে হবে'। কোন মন্ত্রেই সে আর পোষ মানতো না। আগত্যা আমাকেই জেগে থাকতে হত, ছাগলের পাতা চিবানোর মতই আমাকে তার সাথে বকর বকর করতে হত। আমার কিন্তু খারাপ লাগতো না। যন্ত্রণা পীড়াদায়ক হয়, কিন্তু আমাকে প্রেরণা দিত। কোন কোন বিকালে সে আমার কাঁধে চুল এলিয়ে দিয়ে বলতো 'আমি তোমাকে অনেক যন্ত্রণা দেই, না!' আমার ঠোঁটের হাসি প্রশস্থ হত। সে নিজে থেকেই আবার বলতো 'দেখো একদিন আমি সুবোধ বালিকা হয়ে যাব, তোমাকে আর যন্ত্রণা দেব না' আমার ঠোঁটের হাসি হাওয়ায় মিলিয়ে যেত। আমাদের প্রেম সম্পূর্ণ এক গল্পের মতই ছিল, সব গল্পের যেমন শেষ হয় আমাদেরও হল। তার উচ্চভীলাসি চাওয়ার কাছে আমার ভালোবাসা সিগারেটের ধৌয়ার মত উড়ে গেল। সেই থেকে সিগারেট টাই সঙ্গী হল, সিগারেটের সাথে আমার অনেক মিল, সিগারেটও জ্বলে আমিও জ্বলি। আজ তার সব হয়েছে, একটা গোছানো ঘর, সাজানো সংসার, কোল আলো করা ফুটফুটে একটা সন্তান। শুধু আমি সব হারিয়েছি। এখন সে সুবোধ গৃহীণি, আমাকে একদম জ্বালায় না। আমি বেশ শান্তিতেই আছি। এখন মাঝ রাতে আর কেউ ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গায় না, তবুও রাতের পর রাত আমি জেগে থাকি। এখন রিক্সার ভাড়া দিতে গিয়ে আর কারো কথা মনে পরে না, তবুও প্রতিটা নিঃস্বাশে কেনো জানি একটা দীর্ঘনিঃস্বাশ বেড়িয়ে যায়। এখন আমি বেশ ভালো আছি, শান্তিতে আছি। আচ্ছা, শান্তিতো আনন্দায়ক তবুও কেন আমাকে পীড়াদেয়? প্রতিটা দিন, প্রটিটা রাত, প্রতিটা নিঃস্বাশে আমি যন্ত্রণায় কাতঁরাই.........।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভাল লাগল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.