নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কদর্য এশীয়

গণতন্ত্র হল এমন এক অস্তিত্বহীন মদ, যাতে সবাই মাতাল, কিন্তু কেউ কখনো পান করে নি।

পারভেজ রবিন

আয়নার মতো মানুষ আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার : কন কি! আমার চারদিকে কত বিপদ!

পারভেজ রবিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্জার নিধন কাব্য: ‘বাসর রাতে বিড়াল মারা’র পেছনের কথা (প্রবচনটির উৎপত্তি কাহিনী)

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৪

বিড়াল আমার প্রিয় একটি প্রানী। এর আদুরে চেহারা আর হাস্যকর কাজের জন্য বরাবরই আমার প্রিয়। আর আমার বইগুলো ইদুরের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিড়ালের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই বিড়ালদের কেন মারতে হবে। তাও আবার বাসর রাতে, সংসার যে একটা যুদ্ধক্ষেত্র তা বোঝাতে প্রথমেই রিংয়ের বাইরের লোককে খুন করে বুঝিয়ে দেয়ার প্রচেষ্ট নাকি? বহুকাল আগে থেকে আমাদের সমাজে চলে আসছে একটি কথা ‘বাসর রাতে বিড়াল মারা’। এ নিয়ে টিভিতে নাটকও হয়েছে। এই কথাটা এমন প্রসঙ্গে এমন সুরে বলা হয়ে থাকে তাতে বেশ একটা রসালো ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যার কারনে এ নিয়ে ভুল ধারণা করা অস্বাভাবিক কিছু না।



এই কথাটার উৎপত্তি কোথায় এর প্রকৃত মানেই বা কি এই প্রশ্নের উত্তর ছিল অজানা। হঠাৎ করে কাল উত্তর পেয়ে গেলাম। এবারের বইমেলা হতে সৈয়দ মুজতবা আলীর এক খণ্ড সমগ্র কিনেছি। সেটাই পড়ছিলাম। কাব্য সাহিত্যে সৈয়দ সাহেবের জ্ঞান প্রবাদতুল্য কিন্তু তিনি কবিতা লিখেছেন বলে শুনি নি, তাকে রসের কারবারী বলা চলে। তাই তার পঞ্চতন্ত্র বইয়ে একটি কবিতা দেখে অবাক হয়েছিলাম। ইরানে প্রচলিত একটি গল্পের কাব্যরুপ। কবিতাটি তার নিজের লেখা না অনুবাদ করা এ ব্যাপারে কিছু লেখা নেই। সেই কবিতাটি গল্প আকারে বলছি-



ইরান দেশেতে ছিল যমজ তরুণী

ইয়া রঙ ইয়া ঢঙ, নানা গুনে গুনী।

কোথায় লাইলী লাগে কোথায় শিরীন

চোখেতে বিজলী খেলে ঠোঁটেঁ বাজে বীণ।

ওড়না দুলায়ে যবে দুই বোন যায়

কলিজা আছাড় খায় জোড়া রাঙা পায়।




এই সুন্দরীদের এমনই রুপ ফকিরেরাও বেহুশ হয়ে যায়। শুধু রুপই নয় সম্পদও ছিল অঢেল। তাদের বাপ-দাদা’র মৃত্যূতে তারা বিশাল সম্পদের মালিক হলেন। তাই তাদের ভরন পোষণের জন্য বিয়ের প্রয়োজন ছিল না। তাই তারা স্বাধীন জীবন যাপনে আগ্রহী ছিল। কিন্তু কলঙ্কের ভয়ে তারা বিয়ে করতে রাজি হল। রুপে গুনে তারা অতুলনীয় আর সম্পদ, এমন পাত্রীর জন্য পাত্ররা লাইন লাগাবে তাতে আর সন্দেহ কি! কিন্তু দুই বোন এমন একটা শর্ত জুড়ে দিল, তাদের বিয়ে করতে হলে এই শর্ত মানতে হবে -



তখন সে করিল শর্ত সে বড় অদ্ভুত

সে শর্ত শুনিলে ডর পায় যমদূত।

বলে কিনা প্রতি ভোরে মিঞার গর্দানে

পঞ্চাশ পয়জার মারি রাখিবে শাসনে!




ফার্শী '‘পয়জার’' মারার কোমল বাংলা হল পাদুকা পরশ, সোজা বাংলায় বললে জুতা মারা। এমন শর্ত কে মানবে বলুন। এতক্ষণ যে সব ‘'ওয়াটার ক্যান্ডিডেট'’ এগিয়ে এসেছিলেন তারা শর্ত শুনে পাগাড় পার। বহু সময় গড়িয়ে গেল কেউ বিয়ে করতে রাজি হয় না।

সেই নগরে বাস করত দুই ভাই, ফিরোজ মতীন। অতি দারিদ্রের সাথে তাদের দিন কাটত, কোন কাজ নেই, চাকরি নেই। অসহায় অবস্থা। একদিন ছোট ভাই বড় ভাই ফিরোজকে বলে ‘এইভাবে না খেয়ে মরার চে’ জুতার বাড়ি খাওয়া ভাল।‘ ফিরোজ বলল, "আমিও তাই ভাবছি।" শাদীতে আয়েস আছে তবে জুতারো ভয়। তবু পেটের দায়ে তারা দুই ভাই দুই বোনকে বিয়ে করল। দুই দম্পতি দুই মহলে উঠল।



চলি গেলা দুই ভাই ভিন্ন হাবেলিতে

মগ্ন হইলা মত্ত হইলা রসের কেলিতে।




তিন মাস পর নগরের রাস্তায় দুই ভায়ের আচানক দেখা হল। পরষ্পরকে দেখে দুই ভাই আনন্দে কোলাকুলি করল। ফিরোজ মতিনকে জিজ্ঞাস করল, “তোমার মাথায় টাক নাই কেন ভাই?” অবাক হয়ে মতিন বলল, “টাক কেন বল তাই”? ফিরোজ, “জোরে কি মারে না চটি?” মতিন, “আরে দু্ত্তোর হিম্মত কাহার, আমি কি তেমন বটি?”

তারপর মতিন বিস্তারিত বলল। বিয়ের রাতে খাবার আসরে নানান রকম খাবার আসল, আর আসল বীবীর প্রিয় বিড়ালটি। যেই না বিড়াল ‘ম্যাও’ বলেছে মতিন সাথে সাথে খাপ থেকে তলোয়ার খুলে বিড়ালের গলায় এক কোপ।



তাজ্জব বীবী আক্কেল গুড়ুম

জবানে র'’টি না কাড়ে।

গুসসা কৈরা কই ‘এসব না সই

মেজাজ বহুত কড়া

বরদাস্ত নাই বিলকুল আমার

তবিয়ৎ আগুনে গড়া।




তারপর আর কি, কার ঘারে দুইটা মাথা যে জুতা মারবে। ফিরোজতো শুনে মহা খুশি। আজই এই বৌয়ের উপর এই চিকিৎসা প্রয়োগ করবে। সেই রাতে খাবার সময় সে তার বৌয়ের প্রিয় বিড়ালটির মাথা কেটে ফেলল। এবং সেও মতিনের মত ডায়লগ ঝাড়ল। হায়রে কিসমৎ, ফল ফলিল উলটা। এতদিন যা শরবৎ ছিল তা হয়ে গেল বিষ। স্ত্রী তখুনি ক্ষেপে গিয়ে জুতা মারতে আরম্ভ করল-



“মেজাজ চড়েছে তব হয়েছ বজ্জাৎ?

শাবুদ করিব তোমা শুনে লও বাৎ।

আজ হৈতে হৈল একশ’ পয়জার”।




একি হিতে বিপরীত! এতো দিন যা ছিল পঞ্চাশ তা সেঞ্চুরীতে গিয়ে ঠেকল! মনেহয় রাগে বীবী একটু জোরেই মেরেছিল। পরদিন রক্তাক্ত ফিরোজ মতিনের কাছে গেল। তার দুরবস্থার কথা জানালে মতিন তার যত্ন নিয়ে তাকে বলল, “বিড়াল মেরেছ ঠিকই, সন্দেহ নেই, কিন্তু ভুল তো একটা করেছ।



বিলকুল বরবাদ সব গুর হইল মাটি।

আসলে এলেমে তুমি করোনি খেয়াল

শাদীর পয়লা রাতে বধিবে বিড়াল”।"




ফার্শীতে বলা হয় '‘গুরবে কুশতান, শব-ই আওওয়ল’', অর্থাৎ পয়লা রাতেই মারবে বিড়াল। এই বেলা তাহলে আসল ঘটনা জানতে পারলাম। যারা শিঘ্রই বিয়ের বাসনা করেছেন তারা এই গল্প হতে শিক্ষা নিয়েন, সাবধান নইলে শরবৎ হয়ে যাবে বিষ!





কবিতাটি অবতারণার অর্ন্তনিহিত রহস্য: কথাটার উত্পত্তি বিড়াল মারা থেকে কিন্তু এটা আক্ষরিক অর্থেই বিড়াল মারা নয়। সৈয়দ মুজতবা আলী যে প্রসঙ্গে কবিতাটির অবতারণা করেছিলেন সেটা বর্ণনা করা উচিত্ ছিল। ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমরা কালোবাজারীদের নির্মূল করি নি, এই বিড়াল এখন আর মারলে লাভ নেই সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন।

কবিতার শেষে আলাদা করে এই লাইনগুলো জুড়ে দিয়েছিলেন-

স্বরাজ লাভের সাথে কালোবাজারীরে

মারনি এখন তাই হাত হানো শিরে।

শাদীর পয়লা রাতে মারিবে বিড়াল

না হলে বর্বাদ সব, তাবৎ পয়মাল।






আগের পোস্ট- ভার্চুয়াল কবিতা (যদি কবিতা বলা যায়): এই ব্লগ ছেড়ে দুরে বহু দুরে অন্য কোন ওয়েবসাইটে

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +২৭/-১

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪১

মেঘ রোদ্দুর বলেছেন: নইলে শরবত হয়ে যাবে বিষ.......হা হা হা

মজার জিনিস জানলাম

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১১

পারভেজ রবিন বলেছেন: এটা পড়ে আমিও মজা পেয়েছি, বিস্মিতও হয়েছি ইরানীদের রসবোধ দেখে। তারচে' বড় বিষয় তা হল একটা প্রশ্নের জবাব পেলাম।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: রিপোষ্ট?

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

পারভেজ রবিন বলেছেন: নাহ্! কালকে পড়লাম, আজকে লিখলাম। রিপোস্ট হবে কি করে?

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫১

পলাশ আহমেদ বলেছেন: অনেক উপকার করলেন ভাই। জানা ছিল না ।

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

পারভেজ রবিন বলেছেন: কেন, শিঘ্রই বিয়ে করবেন নাকি? :)

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: জানা ছিল। তারপরও আপনার লেখা ভালো লেগেছে। মুজতবা আলীর লেখা এক সময় পড়তাম খুব। তার শবনম আমার প্রিয় উপন্যাস।

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: মুজতবা আলী আমার প্রিয় লেখক। শবনম এখনো পড়া হয় নি। এই খণ্ডে আছে। এখন পঞ্চতন্ত্রে আছি।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:০৩

বলাক০৪ বলেছেন: আহা বেশ বেশ বেশ।

১৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৫১

পারভেজ রবিন বলেছেন: অনুভূতির চমত্কার প্রকাশ, ধন্যবাদ!

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:০৮

'লেনিন' বলেছেন: বাবার মুখে পুরো গল্পটা শুনেছিলাম দারুণ মজা করে বর্ণনা করেন তিনি। তবে মুজতবা আলী'র লেখাটি পড়া ছিলোনা। ধন্যবাদ :)

১৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৪৭

পারভেজ রবিন বলেছেন: আপনার মুখেও শুনব গল্পটা।
পাছে বড় হয়ে যায়, তার উপর আবার অন্যের গল্প তাই রস চরাতে যাই নি। :)

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১১

'লেনিন' বলেছেন: @লে. জো. শামীম 'শবনম' আমারও প্রিয় উপন্যাস :)

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:২৫

পারভেজ রবিন বলেছেন: @ লেফটেন্যান্ট জোনারেল শামীম 'শবনম' আমারও প্রিয় উপন্যাস হবে আশা করি :)

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

আইরিন সুলতানা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং !

১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৩

পারভেজ রবিন বলেছেন: আসলেই ইন্টারেস্টিং। ইরানীদের রসবোধ ছিল বটে, আর যিনি কবিতাটি লিখেছেন তারও!

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলীর রম্য লেখা গুলো দারুন লাগে।

'ঝান্ডুদার' কথা এখন মনে আছে।

১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: মনে থাকবে না আবার, সেই যে রসগোল্লা খেয়েছিলাম, এতোদিন শুধু খুজেই গেছি। এবার পেয়ে গেছি সৈয়দ সাহেবের রসগোল্লার কারখানা।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬

মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: কোন বে-আক্কল এই পোষ্টে মাইনাচ দিল??এটা জানা ছিল না রে ভাই।বিয়ার পয়লা রাইতে অবশ্যই আমাকে বিড়াল মারতে হইব।তয় কালা না সাদা??কোন রংঙের???++++++

১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

পারভেজ রবিন বলেছেন: আপনার বিবি যেটা পোষবেন সেটা হলে ভাল হয়, না হলে সেটার রঙের সাথে মিলিয়ে। :) তবে আমি বিড়াল না মারার পক্ষপাতি, বিড়াল আমার পছন্দের প্রাণী। ইদুর মেরে চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭

মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: কোন বে-আক্কল এই পোষ্টে মাইনাচ দিল??এটা জানা ছিল না রে ভাই।বিয়ার পয়লা রাইতে অবশ্যই আমাকে বিড়াল মারতে হইব।তয় কালা না সাদা??কোন রংঙের???++++++

১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৫৯

পারভেজ রবিন বলেছেন: যে দিছে সে দিয়া শান্তি পাইলেই হয়, তার কপাল ফিরোজের মত কিনা আল্লা জানে। অনেক ক্ষণ বিদ্যূত ছিল তাই খেয়াল করতে পারি নি।

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২২

ধুসর আকাশ বলেছেন: :) :) +

১৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:১৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: ধন্যবাদ! :)

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩

সজল৯৫ বলেছেন: আমার মনে হয় "শবনম" যে পড়বে তারই ভাল লাগবে। অসাধারণ একটা উপন্যাস। রম্যরসিকের (মুজতবা আলীর)কোন লিখাই আমার খারাপ লাগেনি।।

পোষ্টে ++++

১৫ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:০৫

পারভেজ রবিন বলেছেন: ধন্যবাদ। শবনম সংগ্রহে আছে, শীঘ্রই পড়ব।

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২৬

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: কয়েকমাস আগে এনিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। এবার পড়ার সময় কেন জানি মনে হল লেখাটা ঠিক এরকমই ছিল। সেজন্য বললাম।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৪৯

পারভেজ রবিন বলেছেন: খুজে দেখলাম সামহোয়ারেও দিয়েছেন। নাহ্ ব্যাপারটা খারাপ হয়ে গেল, চর্বিত চর্বনের মত।

১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:২১

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: ঠিক এই লেখাটা কিনা নিশ্চিত নই। কেন জানি মনে হয়েছিল সামুতেই পড়েছি। দেখুন

Click This Link

যাই হোক না কেন ধন্যবাদ এবং প্লাস।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৪১

পারভেজ রবিন বলেছেন: আশ্চর্য়! তার আর আমার লেখার স্টাইল একই। শেরজা তপন আমার পছন্দের একজন ব্লগার। তবু এটা চোখে পড়ে নি। আমি প্রথম আলো ব্লগে যাই না বহু দিন। তাই দেখি নি। দেখলে হয়তো এই পোস্টটার জন্ম হতো না।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৮

সুমন সালেহী বলেছেন: We want to give this post to First issue of Roshik group Online Fun Paper 'Hashshokor'..........coming 13th April, 2010

Are you agree? then comment on the sticky post in the group or here.

১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫১

পারভেজ রবিন বলেছেন: Yes, agree with আনন্দ!

১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:২৪

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: অনেকদিন আগেই পড়েছি: সম্ভবত এটা মেঘনাদবধ কাব্যের প্যারোডি। অক্ষর গুণে দেখুন, সনেটের বৈশিষ্ট্য পাবেন।।।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৪৫

পারভেজ রবিন বলেছেন: আমি কবিতার এই সব টেকনিক্যাল দিকগুলো বুঝি কম। তবু মনে হল মাত্রাগত দিক দিয়ে সনেটের সাথে মিল থাকতেও পারে তবে পঙতি সংখ্যায় সনেটের চেয়ে অনেক বেশি।

১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৯:০১

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: আসলেই আপনার লেখার সাথে তার লেখার অনেক মিল। তবে দুইটা লেখা পরপর পড়ার পর আপনারটাকে বেশী নম্বর দিলাম।

ভাল থাকবেন। আরো সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিবেন এই আশা করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫৬

পারভেজ রবিন বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন।
আমিও তাই আশা করি ও চেষ্টা করতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমি খুব অলস প্রানী, মাথায় বেশ কিছু পোস্ট থাকলেও কীবোর্ডে হস্তান্তর করতে পারছি না।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:৪১

'লেনিন' বলেছেন: আমার ভার্শন শুনতে চান? আমি আর পোস্টটোস্ট লিখতে পারবোনা মনে হয়। গত মাসে দিনে-রাতে দুটো জব করে ঘুমানোর সময় পেতাম ৩/৪ঘন্টা করে। রসনাপ্রিয় রসিকরাজ মুজতবা আলীর গল্প তার চেয়ে রসিয়ে তো আর বলতে পারবোনা আর সময়ও নাই। :)

তবে, ভ্রাতা অনেকে সত্যি সত্যি বিড়াল মারতে হবে ভেবে বসতে পারে তাদের জ্ঞানদান করা যেতে পারে টীকা-টিপ্পনি দিয়ে ;) কারণ আমিও বিড়াল খুবই পছন্দ করি।

১৮ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:০৯

পারভেজ রবিন বলেছেন: কথাটার উত্পত্তি বিড়াল মারা থেকে কিন্তু এটা আক্ষরিক অর্থেই বিড়াল মারা নয়। সৈয়দ মুজতবা আলী যে প্রসঙ্গে কবিতাটির অবতারণা করেছিলেন সেটা বর্ণনা করা উচিত্ ছিল। ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমরা কালোবাজারীদের নির্মূল করি নি, এই বিড়াল এখন আর মারলে লাভ নেই সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন।
কবিতার শেষে আলাদা করে এই লাইনগুলো জুড়ে দিয়েছিলেন-

স্বরাজ লাভের সাথে কালোবাজারীরে
মারনি এখন তাই হাত হানো শিরে।
শাদীর পয়লা রাতে মারিবে বিড়াল
না হলে বর্বাদ সব, তাবৎ পয়মাল।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ২:১৩

রনি রাজশাহী বলেছেন: গল্পটা আগেই পড়েছিলাম কোন এক গল্পের বইতে। আপনার লেখাটা অনেক ভাল হয়েছে ।

১৮ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:১৪

পারভেজ রবিন বলেছেন: তাই! অনেক ধন্যবাদ!

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৫

সুমন সালেহী বলেছেন: Very pleased that u agree with anondo!

please send the Ms word document of this post to

[email protected]

or

[email protected]

১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৭

পারভেজ রবিন বলেছেন: আর তো কোন ফলাফল পাইলাম না?

২২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪২

মার্ক্স বলেছেন: ++++

২৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৯

পারভেজ রবিন বলেছেন: ধন্যবাদ!

২৪| ১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৭

শরীফ িবিড বলেছেন: রাষ্ট্রপ্রধানদের এই কবিতাটি পডানো উচিত।

২৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯

দুরন্ততম পথিক বলেছেন: এই কাহিনীর আরেক শিক্ষা হল বাসর রাতেই বউকে কুপোকাত না করলে সারা জীবন পস্তাতে হবে!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

পারভেজ রবিন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা কিরকম? :)

২৬| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এই কাহিনী নিয়ে আমাদের দেশীয় ধাঁচে আবার গল্প বানানো হলো।খুব ভালো লাগল লেখা।রম্যের মূল অর্থটা চেপে গিয়ে এখন হাসির খোরাক হয়েছে অন্য অর্থে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.