![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই, সিনেমা, গান, অল্প স্বল্প ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং, ইত্যাদি নিয়ে
কিশোর, মুসা আর রবিন আসলে কে?
আমার মতে কিশোর, রবি বা মুসার ছবি পেতে গেলে তা হতে হবে পুরনো বইগুলো থেকে, যেমন (ভলিউম ১-২২ এর গল্পগুলোর প্রকৃত প্রচ্ছদ থেকে। কেননা, ওগুলোই আমার মতে তিন গোয়েন্দার সোনালী যুগ (প্রাক-চিলার যুগ)। কিন্তু এ ছবিগুলোর মধ্যেও, ওদের ছবি প্রায় কোথাও ঠিকভাবে নেই। একমাত্র ব্যতিক্রম ‘হারানো উপত্যকা’ (১৯৮৯, ভলিউম ৪/২)।
কিন্তু এখানেও আবার কিশোরকে মনে হচ্ছে এশিয়ান/চীনা ধরণের চেহারা। তাই এই ছবিটা আমি কিশোরের সাথে মেলাতে পারিনা। আর সেক্ষেত্রে কিশোরের সত্যিকার কোন ছবি নেই। কিশোর পাশার চেহারা আমাদের কল্পনার কাছেই একমাত্র দায়বদ্ধ। আবার, এখানে যে কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেটি কে দেখছি, মুসার ছবি এটা হতে পারে। তবে ঠিক ভাবে চেনা যায়না। বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যায় Webster টিভি সিরিজ (১৯৮৩-১৯৮৯) খ্যাত শিশু শিল্পী, Emmanuel Lewis-এর সাথে। এই ছবিতে Emmanuel Lewis-কে, আরো কম বয়সে দেখা যাচ্ছে।
আবার অন্য কেউও হতে পারে ছেলেটি। আমি নিশ্চিত নই। তবে এখন থেকে, একেই মুসা আমানের আসল পরিচয় বলে ভেবে নিতে পারব মনে হয়।
পেছনের মেয়েটি হতে পারে জিনা। কিন্তু জিনার ছবিতো আমরা জিনার সে দ্বীপেই দেখেছি। আমার আগের পর্বে এই ব্যাপারে পড়তে পারেন। তাই এই ছবিটি নিয়েও ভাবছিনা। তাছাড়া জিনার পক্ষে বয়সও মেলেনা সম্ভবত।
বাকি থাকল, রবিন মিলফোর্ড। রবিনের ছবি পরিষ্কার এসেছে এই প্রচ্ছদে। এছাড়া একেবারে প্রথম বইতে (তিন গোয়েন্দা) একটি চশমা পড়া ছেলের ছবি আছে। কিন্তু সেই ছেলেটির বয়স, তিন গোয়েন্দা বইতে ওদের যা বয়স ছিল তার চাইতে স্পষ্টতই বেশি। কাজেই এনাকে কি আমরা ভিক্টর সাইমন বা এরকম কাউকে হিসেবে ধরে নেব? আপনারা মতামত দিন।
সুতরাং, হারানো উপত্যকার রবিনই ছোটবেলার রবিন মিলফোর্ড, যখন চশমা পরত। মনে রাখা ভাল, সম্ভবত ‘ঠগবাজি’ (অথবা, গাড়ির জাদুকর) থেকে রবিন লাইব্রেরির চাকরি ছেড়ে, গানের কোম্পানিতে চাকরি নেয় ও চশমা পরা বাদ দেয়। অর্থাৎ, বড় হয়ে যায়।
ছবিটা ভাল করে দেখিঃ
এই ছবিটি পরিষ্কার করতে Photoshop ছাড়াও AI ব্যাবহার করা হয়েছে। সুতরাং চেহারার সূক্ষ্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো একটু বদলে যেতে পারে। কিন্তু যদি এখন খুঁজে বের করা দরকার, বাস্তবে এই ছেলেটি কে? খুব খোঁজা-খুঁজির পরে, আমার কাছে মনে হয়েছে এই ছেলেটির আসল নাম, Corey Haim (IMDB Profile)। তিনি Lucas (১৯৮৬), Firstborn (১৯৮৪) সহ প্রায় ৫০টির মত মুভিতে অভিনয় করেন।
দুঃখের বিষয়, তিনি ২০১০ সালে নিউমোনিয়া রেগে মারা যান। মৃত্যুর আগে মাদকসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছিলেন। তার সর্বশেষ মুভির নাম Underground Groove (২০২৪)। এই মুভিটি আসলে ১৯৯৯ সালে ধারণ করা হয়েছিল, তবে মুক্তি পায় ২০২৪ সালে।
পাঠকের closure
আমরা যখন পড়েছি, আমরা কিন্তু জানতাম, যে, এগুলো বিদেশী বিভিন্ন বাস্তবের মানুষ বা চরিত্রের ছবি। কিন্তু তারা কারা সেটা জানতামনা। অথচ আমাদের কল্পনার জগতে ওদেরও নিশ্চয়ই অনুপ্রবেশ ছিল। সেটা কার্টুন থেকে নেওয়া হলেও (যেমন, ফগ)। সে কারণেই এই পরিচয়গুলো জানতে চাওয়া। আমার মনে হয়, এটা একরকম closure দিতে পারে। একটা পরিণতি। এই সুযোগে বেশ কিছুটা গোয়েন্দাগিরি (ডিজিটাল হলেও) করারও সুযোগ পেলাম। এছাড়া, বিনা খরচে আরো একবার down the memory lane, ৯০ এর দশকে ঘুরে আসতে পারলাম। যে দশকটা ছিল বাংলাদেশের স্বল্প পথ-পরিক্রমায় অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠ দশক। অবশ্য তাদের মতে, যারা ঐ সময় শৈশব বা কৈশোরের কিছু অন্তত পার করেছেন।
এখনো সমাধান বাকিঃ
যদি কেউ ফগর্যাম্পারকটকে চিনে থাকেন, আমাকে দয়া করে জানান। আর মতামত দিতে ভুলবেননা।
পুনশ্চঃ
একেবারে প্রথম বই, ‘তিন গোয়েন্দা’-তে থাকা চশমা পরা ছেলেটি/লোকটি আসলে কে?
দেখুনতো ইনি হতে পারেন কিনা? Moon Martin লস এ্যাঞ্জেলেসের একজন সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি প্রয়াত হন।
©somewhere in net ltd.