![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে হটাৎ করে বেহুশ হয়ে যায়। ১০-১৫ মিনিট তার কোন সেন্স থাকে না! ১০-১৫ মিনিট পর সেন্স আসে কিন্তু গত১০-১৫ মিনিট কি ঘটেছে তার কিছুই সে মানে করতে পারে না! বেহুশ হাবার সমায় তার শরির ঝাকুনি দিতে থাকে। ঝাকুনি দিতে দিতে এক সময় শরির নিস্তেজ হয়ে যায়।
এখন আমার জানার বিষয় হল আমি তাকে কোন ধরনের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব???(ডাক্তারের তো আবার কিছু শাখা আছে)
এটা হাবার কি কারন থাকতে পারে?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: ধন্যবাদ। সিরিয়াস কিছু নাকি? আমাকে আর আগেও এক জন বলেছিল নিউরোলজির ডাক্তার দেখান। আমি ভেবেছিলাম দুর্ভলতা থেকে তাই আর যাওয়া হয় নাই
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪২
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: মনে হয় ম্রিগি ব্যমার.. (আঞ্চলিক ভাষা)
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০০
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: ধন্যবাদ! কিন্তু সমাধান কি?
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: আপনার স্ত্রীর epilepsy (generalized বা grand mal) হয়েছে। এর জন্য নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ কে দেখাবেন। আপনার স্ত্রীকে এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ খেতে হবে। বাংলায় এ রোগকে মৃগী রোগ বলে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০১
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: এই থেকে একেবারে মুক্ত হওয়া সম্ভব?
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: শুনে মনে হচ্ছে এপিলেপসি, তবে নিশ্চিত না, একটা ইইজি করতে হবে।
কত দিন ধরে হচ্ছে তা জানা দরকার।
বেহুশ হবার সময় তার শরীর ঝাকুনি দেবার সময় সাবধান থাকবেন যেনো আঘাত না পায়, সবসময় চোখে চোখে রাখুন।
ভালো চিকিৎসা এখন আমাদের কাছে আছে, ১০-১৫ মিনিট ঝাকুনি হলে ভয় আছে, ডায়াজিপাম সাপোজিটোরিজ দিবে সাথে সাথে, ঘুম যেনো ভালো হয়, খেয়াল রাখবেন।
আর ভ্যালপ্রোয়িক এসিড অনেকদিন ধরে খেয়ে যেতে হবে (আরও ওষুদ আছে, তবে এর চেয়ে ভালো আমি পাইনি)
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৫
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: দের বছরে ৭/৮ বার হইছে। প্রথম বার হবার পর ৬ মাস পর দ্বিতীয় বার হইছে! এখন আসতে আসতে সময় টা কমে যাচ্চে!
১০-১৫ মিনিট ঝাকুনি হয় না! প্রথম ৫ মিনিট হয়! পরে দাতের সাথে দাত লেগে যায়!
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫০
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: এটা হয় যখন ব্রেইনের কোন যায়গা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অতিরিক্ত ইম্পালস তৈরী করতে থাকে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৬
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: এটা হাবার কারন কি?
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: দীর্ঘমেয়াদী নিয়মিত ওষুধ সেবনের পর এপিলেপসি সেরে যাবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা দিতে পারে এবং তা হলে আবারও আগের মত দীর্ঘমেয়াদী অষুধ লাগতে পারে।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৩
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কারণ পাওয়া যায়না যাকে বলে ইডিওপ্যাথিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্রেইনের কোন অর্গানিক ডিজিজ থেকে হতে পারে যেমন স্ট্রোক, ব্রেইন টিউমার, অনেক সময় মাথায় আঘাত পেলেও (হেড ইঞ্জুরি) হতে পারে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৪
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাই একটু দোয়া করবেন
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৪
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমরা রোগ বড় না হওয়া পর্যন্ত গুরুত্ব দেইনা। আপনি আপাতত কিছুই করবেন না, এর কারণ আপনার জানার কোন প্রয়োজন নেই (অনেকেই বলেছে, কিন্তু টেকনিকাল বিষয় সহজে বোঝানো সম্ভব নয়)।
আপনাকে যেটা করতে হবে তা হচ্ছে আপনার নিকটস্থ্য সবচেয়ে ভালো নিউরোলজিস্টের কাছে যাবেন। তিনি ডায়াগোনোসিস করে রোগের চিকিৎসা কি হওয়া উচিত বলবেন। ঠিকমত ট্রিটমেন্ট কনটিনিউ করলে ইনশাল্লাহ্ আপনার স্ত্রী সুস্থ্য হয়ে যাবেন দ্রুত।
ভয় পাবেননা। স্ত্রীর যত্ন নিন, পাশে থাকুন, চোখে চোখে রাখুন। নিজে দুঃশ্চিন্তা করবেন না ওনাকেও করতে দেবেন না।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৬
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: ধন্যবাদ
কাল যাব। আল্লাহ ভরশা।
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩১
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ্। সঠিক চিকিৎসায় উনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন এই প্রত্যাশা এবং দোয়া রইল
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
দয়াল সাহেব বলেছেন: কষ্ট করে লেখা পুরোটা পড়বেন :
আপনার এ রোগটি মৃগী বা এপিলিপসি । এ রোগে বলা যায় আমি নিজে ভুক্তিভোগী । আমার একমাত্র ছেলে এ রোগের রোগী। তখন তার বয়স ৩/৪ বছর, হঠাৎ করে বিকিলে বাসায় হেটে হেঁটে বাসায় ফিরতে ফিরতে শরীর এলিয়ে দিয়ে সেন্সলেস হয়ে গেল মুখ দিয়ে একটু একটু করে লালা বের হচ্ছে , আমি তখন বাইরে ছিলাম ওর আম্মু দৌড়ে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছিল তারপর জোর করে ছাড়পত্র নিয়ে বাইরে ডাক্তার দেখালাম সেটা আমার ভুল হয়েছিল কারন বাইরের ডাক্তার কিছু বিবরণ না দিয়ে শুধু নিদিষ্ট দিনের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিল ।
তার একবছর পর আবার সেই সমস্যা । আবার হাসপাতাল। এবার আমি ঘাটাঘাটি শুরু করলাম, ডাক্তারদের সাথে আন্তরিক হয়ে গেলাম ।দেখলাম অনেকেই এ সমস্যায় আছে, অন্যরোগী ও তার অভিভাবকদের সাথে সাক্ষাত করলাম অনেকে ভারত গেছেন তাদেরও সাক্ষাতকার নিলাম, অনেকে জ্বীনে ধরা বলেছেন তাদেরও কথা শুনেছি, বিভিন্ন পেপার কাটিং জোগাড় করলাম ।
আমার ছেলের ৩বার এট্যাক হয়েছিল ৩য়বার যে ডাক্তারের অধীনে ছিলাম উনি ডা: শফি উদ্দিন। তিনি এখন কোথায় আছেন জানিনা । তিনি আমাকে যা যা বলেছিলেন তা হলো :
১. বেশীক্ষন টি.ভি দেখতে দিবেন না
২. পানিতে নামতে দিবেন না
৩. ধারালো কোন জিনিষ নিয়ে খেলতে বা ব্যবহার করতে দিবেন না
৪. সাইকেল চালাতে দিবেন না
৫. বাইকের পিছনে বসাবেন না
৬. সর্বোপরি একা কখনো ছাড়বেন না
কারন এরকমভাবে সেন্সলেস যে কোন সময় হতে পারে একদম তাৎক্ষনিক ভাবে ।
যদি এট্যাক হয়ে যায় তবে ডায়জিপাম ইনজেকশান সিরিন্জের মাথায় চিকন পাইপ লাগিয়ে পায়খানার রাস্তায় দিতে হবে ।
উনি বদলী হবার পর ডা: নারায়ন চন্দ্র কুন্ডু এর তত্বাবধানে ছিলাম এবং এখনো প্রয়োজন হলে তার পরামর্শ নিই । বর্তমানে তিনি সম্ভবত পপুলার ডায়াগনিষ্টিক, ঢাকায় বসেন । তাদের তত্বাবধানে থাকার সময় আমাকে কয়েকবার ই.ই.জি করাতে হয়েছে আর কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়নি ।
আমাকে ছেলেকে দীর্ঘ ৭ বছর ওষুধ খাইয়েছিলাম। ওষুধের ডোজটা ডাক্তার স্যারেরা একেক সময় একেক রকম করে দিত , আর এটা নির্ধারন হতো শরীরের ওজন ও বয়সের উপর । ছেলের মূল মেডিসিন ছিল , " টেগরিটল- সি.আর " । একটা ওষুধই তাকে খাইয়েছি ।
আমার ছেলে আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন পরিপূর্ণ সুস্থ । ডাক্তারও ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছেন দীর্ঘ ৭বছর আগে ।
সবশেষে একটাই পরামর্শ জোর করে দিব যা আমি সব সময় মেনেছি তা হলো ভাত-পানি খাওয়া বাদ গেলেও ওষুধ বাদ দেয়া যাবেনা । ঘুমিয়ে গেলেও ডেকে ওষুধ খাওয়াতে হবে এমনকি অন্যান্য ওষুধ খেলেও এ রোগের ওষুধ বাদ য়ো যাবেনা । ভুলে গেলে সংগে সংগে খেয়ে নিতে হবে সেটা যাত্রা পথে হোক বা মসজিদে হোক ।
এভাবে চললে ইনশাল্লাহ তিনিও সুস্হ হয়ে উঠবেন ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিগতা শেয়ার করার জন্য!
ডা: নারায়ন চন্দ্র কুন্ডু এর ফোন নাম্বার টা দিলে অনেক উপকিত হতাম
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
ছেরা বলেছেন: আগারগাও এ national institute of neuroscience & hospital এ রোগী কে নিয়ে দেখাতে পারেন। আশা করি ভাল ট্রিটমেন্ট পাবেন।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
দয়াল সাহেব বলেছেন: পাইলট সাহেব আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ । আমি গত এবছর আগে তার সংগে শেষ সাক্ষাত করে ছিলাম এই নিন ডাক্তারের বিবরণ :
ডা: নারায়ন চন্দ্র কুন্ডু, এফ.সি.পি.এস(মেডিসিন), এম.ডি(নিউরোলজী),এম.এ.সি.পি (আমেরিকা) পপুলার কানসালটেশন সেন্টার-১, বাসা নং-১৩, সড়ক নং-২, ধানমন্ডি, ঢাকা
মোবাইল নং - ০১৭১৭-৮৪১৯৪৬, সিরিয়ালেন জন্য নং- ৯৬৬৯৪৮০- ৮৯, ৯৬৬১৪৯১-৩,
রোগী দেখার সময় : বিকাল ৫টা - ৯টা, শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন বন্ধ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: সঠিক ডায়াগোনোসিস ছাড়াতো এর কারণ বলা সম্ভব নয়, বিভিন্ন কারণ হতে পারে স্ট্রেস, কোন ধরণের মানসিক আঘাত, নিউরোট্রাসমিটার-এর সাম্যাবস্থায় কোন সমস্যা... ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনি খুব দ্রুত একজন নিউরোলজির ডাক্তার দেখান। ল্যাব এইডে যেতে পারেন।