![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।
দেয়ালে যখন পিঠ থেকে গিয়েছিল; তখনই হঠাৎ করে শাহবাগ তার সমস্ত বিস্ময় নিয়ে বিস্ফোরিত হোল। হেরে যেতে যেতে হতোদ্যম বিহ্বল মানুষ বোধ হয় শুধু এই একটা ডাকের অপেক্ষায় ছিল। সেই কাঙ্খিত ডাক এল ব্লগার আর অনলাইন আক্টিভিস্টদের কাছে থেকে, যাদের কোন রাজনীতি নেই, কোন দল নেই, প্রচলিত কোন রাজনৈতিক বিশ্বাসও হয়তো নেই। সেই স্ফুলিঙ্গ দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়তে সময় নিলনা একটুকুও। এই শাহবাগের মুল শিক্ষাটা কী, কী ভাবে এই শাহবাগের চেতনা আরো বৃহত্তর অর্জনের পথ খুলে দিতে পারে?
একটা সফল দেশ ও জাতির কোন একটা আদর্শকে অবলম্বন করে অগ্রসর হয়। যেই আদর্শের একটা সর্বব্যাপী প্রভাব সমাজ এবং রাষ্ট্রে অনুভুত হয়। সেই আদর্শ জাতির সামনে একটা শেয়ারড অবজেক্টিভ তুলে ধরে। তার প্রভাবেই জাতি একটি স্বেচ্ছা আরোপিত শৃঙ্খলা ধারণ করে শেয়ারড অবজেক্টিভ অর্জনের পথে অগ্রসর হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য এই শেয়ারড অবজেক্টিভ খুব জরুরী। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শেয়ারড অব্জেক্টিভ ছিল জাতীয় স্বাধিকার অর্জনের আকাঙ্খা, মুক্তির আকাঙ্খা। দুঃখজনক ভাবে মুক্তি্যুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ধারণ করতে পারে এমন কোন নতুন ইকোনমিক এবং সোশ্যাল অর্ডার গড়ে তোলার ব্যর্থতায় আমাদের শাসককুল ক্রমাগত আশ্রয় করেছে ধর্মকে। ক্ষমতার লোভে ধর্মের সর্বব্যাপী প্রভাবকে শেয়ারড অব্জেক্টিভ করে তোলার ফলে সমাজ হয়ে উঠেছে প্রগতিবিমুখ, বিজ্ঞানবিরুদ্ধ এবং পশ্চাৎপদ। প্রাধান রাজনৈতিক দলগুলো আঁকড়ে ধরেছে একের পড় এক ধর্মীয় রেটরিক। ধর্মীয় রাজনীতিকে আশ্রয় করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের অভিপ্রায়ে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।
শাহবাগ প্রমাণ করেছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা শেয়ারড অব্জক্টিভকে মনে করে মুক্তির পথ। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রক্তের ভেতর প্রোথিত করে দিয়েছে সেই মুক্তির আকাঙ্খা, এবং সেই আকাঙ্খাকে ধারণ করা কোন একটা নতুন ইকোনমিক এবং সোশ্যাল অর্ডার। তারুণ্য তাই বিক্ষুব্ধ লাগামহীন দুর্নীতি দেখে, তারুণ্য বিক্ষুব্ধ দেশের নিরন্তর লাঞ্ছনা দেখে, তারুণ্য বিক্ষুব্ধ মৌলবাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে। সেকারনেই তাঁরা গর্জে উঠেছে। যেন কাদের মোল্লার লঘু শাস্তি তারুণ্যের সেই আজন্ম লালিত মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে বেড়ে ওঠা মুক্তির স্বপ্নকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে। এই তারুণ্য প্রচলিত রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবজ্ঞা করে নিজেই প্রতিরোধের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে। প্রতিবাদ আর বিক্ষোভ তুঙ্গস্পর্শী হয়ে উঠছে।
তারুণ্যের এই জাগরণকে অর্থবহ হবে যদি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে, বিচারহিনতার সংস্কৃতিকে নির্মূল করে তাঁদের সেই কাঙ্খিত দেশ উপহার দেয়ার যায় ।
কাঙ্খিত দেশে নতুন ইকোনমিক এবং সোশ্যাল অর্ডার হবে একটি কল্যাণমুখী বেসামরিক রাষ্ট্র যেখানে বিজ্ঞান আর প্রগতি আমাদের পথ দেখাবে, যেখানে শৈশব পাবে রাষ্ট্রের অপত্য স্নেহ, তারুণ্য পাবে একটা স্বপ্ন, যৌবন পাবে বিজয়ের আনন্দ আর বয়স্করা পাবে নির্ভরতা। এই আন্দোলনকেই নিশ্চিত করতে হবে যেন এই সুযোগেই বৈষম্য দূর করার যে অতি জরুরী কাজ এখনো বাকি রয়ে গেছে সেটা সম্পন্ন করা হয়।
এই লড়াই সহজ নয়, এই লড়াই স্বল্পমেয়াদী নয় কিন্তু শেষ বিচারে, শাহবাগের ডাক সেই নতুন দিন গড়ারই ডাক। তরুণরা যে স্বপ্নের জন্য লড়াই করে সেই স্বপ্নের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। আমরা নিশ্চিত ভাবেই একটা মহান বিজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।
জয় বাংলা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: ধন্যবাদ েমাঃ_হাসান_আিরফ আপনার মতামতের জন্য। আন্দলনে ব্লগারদের নিশ্চয় হাত এবং নিয়ন্ত্রনে আছে।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
পুরান ঢাকাইয়া বলেছেন: এই উদ্দেশ্য সফল হলে তরুনদের এই স্পৃহা দেশকে ঢেলে সাজানোর কাজেও লাগাতে হবে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: পুরান ঢাকাইয়া অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: রাজনীতি পচে গেছে তাতে কাজ হবে না
দেখুন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে মানুষের ঢল
তবে ব্লগারদের এটা ধরে রাখতে হেব
কিন্ত
আন্দোলন কি ব্লগারদের হাতে আছে
Click This Link