![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।
প্রথম আলোতে বিশ্বজিৎ চৌধুরী চট্টগ্রাম চিকিৎসক হেনস্থার একটা সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকেরা আইনের ঊর্ধ্বে কিনা? চট্টগ্রামের সার্জন ডাঃ সুরমান আলীকে অপারেশনের সময় সুঁই রেখে দেয়ার অভিযোগে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে চালান দেয়, ডাঃ সুরমান কে এরপর হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ জেলে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রাইভেট প্রাকটিস স্থগিত করেছিলেন। অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন প্রাইভেট প্রাকটিস স্থগিত করা আইন বহির্ভূত।
একজন চিকিৎসকের ভুল হতেই পারে, পেশাগত দায়িত্বে অবহেলা হতেই পারে, তিনি ফেরেস্তা নন। তার জন্য অভিযোগ করা যেতেই পারে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের শাস্তি বা জরিমানা হবে। আমরাও চাই জনগণ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করুক এবং আদালতে এর মীমাংসা হোক। ডাঃ সুরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার হোক, এবং যদি কেউ ক্ষতির স্বীকার হয়ে থাকেন তবে তিনি যথার্থ ক্ষতিপূরণ পান সেই বিষয়ে সেটা সচেতন যেকোন মানুষ মেনে নেবে। বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা বিশ্বমানের নয়। কিছু কিছু চিকিৎসকের দায়িত্ব বা কর্তব্যে অবহেলা আমাদের লজ্জিত ও ব্যথিতই করে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সমাজের সর্বব্যাপী নৈতিক অবক্ষয় যে চিকিৎসক সম্প্রদায়কে স্পর্শ করবে না এমন হতে পারে না। কিন্তু ডাঃ সুরমান কী যথার্থ আচরণ পেয়েছে? তার লিগ্যাল রাইট কী রক্ষিত হয়েছে? আমাদের মত জড়বৎ সমাজে কেউ প্রশ্ন করে না, সবাই মেনে নেয়। আমরা মেনে নেই বলেই, অসংখ্য সামাজিক-রাজনৈতিক আর মানবিক বিপর্যয়ের অধিকাংশ সময়ে কোন মন্তব্য না করতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
ডাঃ সুরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি যদি সত্য বলে আদালতে প্রমাণিতও হয় তবে এটা ক্রিমিনাল অফেন্স নয় এটা হয় মেডিক্যাল নেগ্লিজেন্স অথবা ক্লিনিক্যাল এরর। কিন্তু কোন যুক্তিতে তাকে হাতকড়া পরানোর মত অপমানজনক ঘটনার শিকার হতে হোল? হাতকড়া পরানোর সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক নীতিমালা আছে। সে নীতিমালায় বলা আছে, “ দ্যা ইউজ অব হান্ডকাফস ইজ আমাউন্টস টু সাচ অ্যান আসাল্ট অ্যান্ড ইজ আন ল ফুল আনলেস ইট ক্যান বি জাস্টিফাইড। এই জাস্টিফিকেসন টা কীভাবে আসবে? আসবে লিগ্যাল গ্রাউন্ড এবং অবজেক্টিভ কন্ডিশন থেকে। অবজেক্টিভ কন্ডিশনটাও বলে দেয়া আছে, সেটা হতে হবে রিজনেবল, নেসেসারি এবং প্রোপোরশনেট। যদি অভিযুক্তের শক্তি প্রয়গে পালাবার বা পলায়ন চেষ্টার সম্ভাবনা থাকে, যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুরুতর হয় যেমন হত্যা, সহিংসতা, সহিংস আচরণের ইতিহাস ইত্যাদি। পুলিশ বাহিনী কী সুরমান কে হাতকড়া পরানোটা জাস্টিফাই করতে পারবে? এটাকে রিজনেবল, নেসেসারি এবং প্রোপোরশনেট বলে প্রমাণ করতে পারবে?
আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছে কোন প্রমাণের ভিত্তিতে? প্রমাণ হচ্ছে কোলকাতার একজন চিকিৎসকের সার্টিফিকেট। চিকিৎসকটি যদি বাংলাদেশের ও হতো তাহলে সার্টিফিকেটটি আমলে নেয়ার আগেও কী সেই সার্টিফিকেট টেস্টিফাই করানোটা যুক্তিযুক্ত ছিলনা? বিশেষ করে সেই অভিযোগে যেই অভিযোগ এতই গুরুতর যে অভিযুক্তকে জেল হাজতে যখন পাঠানোর প্রয়োজন হয়। প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সুরমানকে গ্রেফতারের আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি কী নেয়া হয়েছিলো?
পাশাপাশি এর প্রতিবাদে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস স্থগিতের বিষয়টিতে শ্রদ্ধেয় আইনজ্ঞ রানা দাশগুপ্ত আইনসিদ্ধতা দেখতে পাননি । গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্য সকলেই গুরুত্ব দেন। কিন্তু এই বক্তব্যটি বিস্মিত করার মতো। তিনি এমন বিস্মিত হবার মত মন্তব্য কেন করলেন সেটা আমার কাছে অস্পষ্ট। চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মস্থলে কাজ করছিলেন ঠিকই। রানা দাশগুপ্তের ওপর পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কোন চিকিৎসক প্রাইভেট প্রাকটিস করতে বাধ্য নন। নিজস্ব সময়ে পরিবারকে এবং নিজেকে বঞ্চিত করে একটু অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য যে প্রাণপাত পরিশ্রম করেন চিকিৎসকরা; সেই অতিরিক্ত উপার্জন না করার জন্য নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার চিকিৎসকদের আছে।
দায়িত্ব অবহেলার জন্য আদালতে শুধুমাত্র একটি পেশাকে শাস্তি দেয়ার নজির বাংলাদেশে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে হার্ভার্ড এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে আমেরিকাতে অধিকাংশ ডাক্তারই তাঁর পেশাগত জীবনে ম্যালপ্রাকটিস অথবা কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আদালতের মুখোমুখি হন। প্রত্যেক বছর ৭ শতাংশের বেশী ডাক্তারম্যাল প্রাকটিসের অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
একটা প্রশ্ন আসতেই পারে, বাংলাদেশের হাজারো লাঞ্ছনার মধ্যে একজন রোগীর ক্লিনিক্যাল এরর কী প্রধান সমস্যা? অবশ্যই নয়। তবে ডাঃ সুরমান একটা সহজ টার্গেট। বদ মেজাজি গৃহাকর্ত্রী যেমন গৃহকর্মীকে কখনো কখনো গরম খুন্তির ছ্যাকা দেন তেমনি ডাক্তারকে চাইলে মারধর করা যায়, পিটিয়ে জখম করা যায়, অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া যায়, ইচ্ছেমত গালি, কর্মস্থলে খুন করে ফেলে রাখা যায়, হাতকড়া পরিয়ে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়া যায়। বাঙালি মধ্যবিত্তের সকল লাঞ্ছনা আর বঞ্চনার ক্ষোভ গিয়ে পড়ে মোটা চশমার নিরীহ গোবেচারা ডাক্তারের ওপর-- যে ছেলেটা বা মেয়েটা স্কুল কলেজের সেরা ছাত্র ছিল, ছয় বছরের গ্রাজুয়েশন, চার বছরের ট্রেনিং (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিনা বেতনে) তারপর সৎ জীবনযাপনের চেষ্টা করতে থাকা একজন “মানুষের” পরিচিতি মানুষের কাছে দিনে দিনে বদলে হয়ে উঠতে থাকে “অমানুষ-কসাই”। শুধু বাংলাদেশের ডাক্তাররা। বিদেশী ডাক্তাররা পরিত্রাতা।
কর্পোরেটের দাপটে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আজকে বাংলাদেশে চিকিৎসক এক প্রান্তিক খেলোয়াড়, যার অর্থ নেই, ব্যাক্তিগত জীবন নেই, প্রতিষ্ঠা নেই, সন্মান নেই আছে শুধু চিৎকার করে ‘না” বলার অধিকার সেই অধিকারটুকুও কেড়ে নিতে হবে, চিকিৎসক বলতে পারবে না, “ আমি এই অসন্মানের প্রতিকার চাই, বলতে পারবে না, আমার আইনি সুরক্ষা চাই, বলতে পারবে না, এই চিকিৎসার বাজার বাণিজ্যের উপকরন হতে পারবে না। বলতে পারবে না, কারণ চিকিৎসককে আজকে ক্রীতদাস মনে করা হয়। মনে করা হয় কয়েকশো টাকার ফি নিয়ে অহোরাত্র সেবা দিয়ে যেতে আমি বাধ্য। সকালে আট ঘণ্টা কাজ করে, নিজের জীবনী শক্তিকে নিঃশেষ করে আরো অতিরিক্ত পরিশ্রম না করলে তাই সবার সমালোচনার চাবুক আমার প্রাপ্য। এই জীবন ক্রিতদাসের চাইতে আর বেশী কী?
একটা বিশাল চক্রান্ত চলছে। খেয়াল করলে দেখবেন বিপুল ব্যয়ের কর্পোরেট হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, অভিযোগ নেই বিদেশের ডাক্তারদের বিরুদ্ধেও। যত অভিযোগ সব পুওর মেনস ডক্টরদের বিরুদ্ধে যারা এখনো কর্পোরেটের বাইরে। এই অবশিষ্ট অভিমন্যুর দল পরাজিত হলেই শুরু হবে কর্পোরেট আর বিদেশী হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা শোষণ। ততদিনে গ্রাম থেকে উঠে আসা সুরমানরা পরাজিত আর লাঞ্ছিত হতে হতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: জীবনানন্দদাশের ছায়া যুক্তি দিন উত্তর পাবেন। আমার লেখায় যে সুনির্দিষ্ট যুক্তি আছে সেটা খণ্ডন করুন।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: একটু বেশি শাস্তি পাওয়াতে এমন উগরে লিখলেন না দাদা, যেন মনে হচ্ছে বাংলাদেশে ডাক্তাররা কুকুরের জীবন যাপন করেন । কয়টা কেসে বাংলাদেশে ডাক্তাররা শাস্তির আওতায় আসেন যে এত গোসসা করলেন ?
০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: বিচারিক প্রক্রিয়াই তো শুরু হোল না। শাস্তির প্রসঙ্গে তো কোন আপত্তি নাই। নিগ্রহের প্রসঙ্গে আপত্তি আছে। এই ইস্যু গুলো ফয়সালা কীভাবে হবে? আমি যতটুকু আইন বুঝি এই কেসে ডাক্তারের কিছুই হবেনা। তাই উকিলরা হাতকড়া পড়িয়ে একটা স্যাডিস্টিক প্লেজার নিয়েছেন। মক্কেল কে বুঝ দিয়েছেন। পয়সাটা হালাল করতে হবে না?
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: শুনেন মহামান্য ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, বাংলাদেশে সবচেয়ে করাপটেড সেক্টর হলো স্বাস্থ্য খাত আর চিকিৎসকরা হচ্ছেন সবচেয়ে লোভী পেশাজিবী শ্রেনী। দু' চার টা উদাহরণ ছাড়া কসাই চিকিৎসকএর উদাহরণ পাবেন ভুরী ভুরী।
স্যরি টু বি রুড, বাট ইউর পোস্ট ডিসার্ভস দিস কম্প্লিমেন্ট!
০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: যার হাতে যুক্তি খণ্ডনের মতো অস্ত্র নেই তার রুড হওয়া ছাড়া আর উপায় কি? জীবনানন্দদাশের ছায়া
৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
দি সুফি বলেছেন: শাস্তি হয় না বলেই অবহেলার পরিমান বাড়তেছে। দুই একটা শাস্তি হলেই দেখবেন কারো শরীরের ভিতর সুই-ব্যান্ডেজ থাকার পরিমান কমে যাবে।
৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: @ জীবনানন্দদাশের ছায়া, আপনার সাথে একটু ডিফার করব । করাপ্সনের দিক থেকে আমার চোখে সিরিয়ালটা হল এরকম - ১। আইনজীবি, ২। পুলিশ, ৩। ডাক্তার , । তবে সে যাই হোক, এই ব্লগে আমি বহুবার দেখেছি, ডাক্তারদের মত আর কেউ রিএক্ট করে না । হুমায়ূন আহমেদের সেই নাটকটার কথা ভুলেননি নিশ্চয়ই ।
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: @প্রত্যাবর্তন@
আপনার সিরিয়ালের সাথে আমি মোটেও ডিফার করবোনা। কিন্তু এই পোস্টে লেখকের প্রতিক্রিয়ার জন্য এভাবেই লিখলাম।
৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ৫ নং মন্তব্যে - আর কেউ রিএক্ট করে না = আর কেউ এত এবং এইভাবে রিএক্ট করে না
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
না পারভীন বলেছেন: +++
৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
রায়হান মাহবুব বলেছেন: দাদা, একটা লোকের গুহ্যদারে সুঁই ঢুকিয়ে রেখে সেলাই করে দিসে ! ঐ বেচারা সুঁই পেছনে নিয়ে ঘুরতেসে ! ব্যাপার টা ঠিক মেনে নেয়া যায়না। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা দিন দিন এতো এক্সপেন্সিভ এবং বাণিজ্যিক হয়ে যাচ্ছে যে আমরা গরীব মানুষরা সহজে আর ডাক্তার এর কাছে যাই না, রোগ শোক যতক্ষণ পারা যায় সহ্য করে যাওয়ার চেষ্টা করি। বিদেশে কিন্তু ডাক্তাররা প্রচুর মামলা খায়, এই মরার দেশের কয়টা ডাক্তার দায়িত্তে অবহেলার জন্য মামলা খাইসে ? আমার মনে হয় কিছু দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হলে মহামান্য চিকিৎসক দের একটু সচেতনতা আসবে।
০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: রায়হান মাহবুব মামলা করতে তো না করা হয়নি। মামলা হোক। প্রত্যেকটা ক্লিনিক্যাল এরর ের জন্য মামলা হোক। শাস্তি ও হোক। কিন্তু ের জন্য তো আইন লাগবে। আইন কি আছে? নাই। নাই জন্যই উকিল রা ডাক্তারকে হাতকড়া পড়িয়ে মক্কেলকে প্রবোধ দেয়। ক্লিনিক্যাল এরর এর মামলা না করে ক্রিমিনাল কেস করে। এটা করে কোন সমাধান আসবে না। এই কেস নিয়ে খোঁজ করে দেখবেন কোন শাস্তি হবে না। অভিযোগ প্রমাণ ই করতে পারবে না।
১০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
মুদ্দাকির বলেছেন: এই পোস্ট পর্যবেক্ষন করছি, জানতে চাই পক্ষে বিপক্ষে মতামত, জানাটা জরুরী। খুব জরুরী
১১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫০
মায়াবীনি৬৫৪ বলেছেন: অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত পোস্ট । লেখকের সাথে সহমত আর পোস্ট এ ++++++++++
১২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
বিপ্লব রহমান বলেছেন: "কোন চিকিৎসক প্রাইভেট প্রাকটিস করতে বাধ্য নন। নিজস্ব সময়ে পরিবারকে এবং নিজেকে বঞ্চিত করে একটু অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য যে প্রাণপাত পরিশ্রম করেন চিকিৎসকরা; সেই অতিরিক্ত উপার্জন না করার জন্য নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার চিকিৎসকদের আছে। "
০১. বাংলাদেশ বিমানের বৈমানিকরা ওভারটাইম করতে বাধ্য নন। কিন্তু বৈমানিক সংকট থাকায় বরাবরই তাদের ওভারটাইম করে বিমানকে সচল রাখতে হয়। কয়েক বছর আগে ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বৈমানিকরা শুধু ওভার টাইম বন্ধ রেখেছিলেন। তাতেই জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি বসে গিয়েছিলো। কোটি কোটি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে দেশের। ভাবমূর্তি, সুনামের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল। পরে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় বিষয়টির সুরাহা হয়। বৈমানিকরা কিন্তু এই ধর্মঘটে কোনো আইন লংঘন করেননি।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা একযোগে প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রেখে খুব অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও তারা আইনের কোনো লংঘন করেননি। কিন্তু কে না জানেন, প্রাইভেট প্রাকটিসের বেশকিছু রোগিদের নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ-প্রেসক্রিপশন নিতে হয়। অ্যাপয়েন্ট নেওয়ার ঝক্কিও বিশাল। এতে হাসপাতালের বাইরে যেসব রোগি নিয়মিত চেম্বারে গিয়ে সেবাপত্র নেন, নিশ্চিতভাবে তাদের বড় রকমের মাশুল গুনতে হয়েছে।
বরং চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে মুল চিকিৎসা সেবা ঠিক রেখে প্রাইভেট প্রাকটিসের সময় দু-এক ঘন্টা কমিয়ে মানবন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, প্রতিকী সমাবেশ করতে পারতেন। বরং তারা তা না করে মূল চিকিৎসার কাজ বন্ধ রেখেই প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন; আবার প্রাইভেট প্রাকটিসও তারা বন্ধ রেখেছেন।
রোগিদের ওপর শোধ তোলার এই নিষ্ঠুর সংস্কৃতির অবসান কবে হবে বলতে পারেন?
০২. তবে নোটের ফোকাস পয়েন্টের সঙ্গে একমত। অভিযুক্ত চিকিৎসক এমন কোন ফৌজদারী অপরাধ করেননি যে, দাগি আসামীর মতো আচরণ করে তাকে জেলের ভাত খাওয়াতে হবে। তাকে সতর্ক করে চড়া অংকের জরিমানা বা দু-এক বছরের জন্য তার ট্রেড লাইসেন্স স্থগিতও করা যেতো।
কিন্তু তার বদলে এই চিকিৎসককে হাতকড়া পরিয়ে চৌদ্দ শিকের ভেতর পুরো নোবেল প্রফেশনটিকেই অপমান করা হয়েছে।...এসবই পুরো পেশাটি সর্ম্পকে অজ্ঞতা/তাচ্ছিল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
০৩. নোটের বটম পয়েন্টের সঙ্গেও একমত। এসবই করা হচ্ছে সাধারণের নাগালের বাইরে করপোরেট চিকিৎসাকে আরো দিন দিন উৎসাহিত করার জন্য। এসবই বাজারী অর্থনীতি গতিশীল রাখার দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসূচির সুক্ষ বাস্তবায়ন। ...
___
ভাবনাটিকে উস্কে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: বিপ্লব রহমান যুক্তি পূর্ণ মতামত। সাদরে গ্রহণ করলাম।
১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ-এর দুই পর্বের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশনের কাজ করছে সুইপার, পিয়ন আর বহিরাগতরা৷
শুধু মাঝে মধ্যে নয়, নিয়মিতই নাকি এমন দায়িত্ব পালন করছেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা – এমন চিত্র দেখানো হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে৷ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি এম এ খালেক এটিএন নিউজকে বলেন, ‘‘আমাদের যদিও এ কাজের কোনো এখতিয়ার নেই, কিন্তু যখন ইমারজেন্সি রোগী আসে তখন অনেক সময়ই দেখা যায় যে ডাক্তার থাকে না৷ এ সময় রোগীর ব্লিডিং বন্ধের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করে৷ কেননা দেখা যায় যে, রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা চিল্লাচিল্লি করে৷ ওদের থামানোর জন্য আমাদের লোকজন এ কাজগুলো করে দেয়৷ অবশ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি চায়, তাহলে আমাদের লোকজন একাজ করবে না৷''
সুত্রঃ ডয়েচে ভেলে
১. ডাক্তার থাকেনা
ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে ডাক্তার না থেকে কোথায় যায়? প্রাইভেট প্র্যাকটিসে। সেখানে ১ মিনিটে ১ রোগী দেখে ৫০০-৮০০ টাকা ভিজিট পার পেশেন্ট। কোম্পানী থেকে ফ্রি স্যাম্পল বিক্রির টাকা, খামে ভরা টাকা, ফ্লেক্সি লোডের টাকা, ঐ কলমটা, এই গিফটটা। নেপালে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাবেন তারা আপ-ডাউন টিকিট!!
কি বলবেন? সরকারী বেতনে চলেনা? দরিদ্র দেশে বাকি মানুষগুলো চলে কিভাবে যেখানে আপনার মাসে ৫-১০ লাখ টাকা আয় না হলে স্ট্যাটাস থাকেনা?
২. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি চায়
ও আচ্ছা তা কতৃপক্ষে কারা আছেন ভাই? ওখানেও তো ডাক্তার আছেন। নাকি? তারাই চাইছেন মেথর-ঝাড়ুদার অপারেশন করুক!!
সত্যি মিঃ পিনাকী কি বিচিত্র এই দেশ!
১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
না পারভীন বলেছেন: খুব বিখ্যাত এক লেখক দেশের ডাক্তারের উপর ভরশা করতে না পেরে বিদেশে যান গুহ্য এলাকার ( রেকটাল ক্যান্সারের ) চিকিতসা নিতে । শেষে অপারেশনের জোড়া লাগানো নালী খুলে তিনি মারা যান , বিদেশের মাটিতে ।
বিডির ডাঃ রা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল , কারন দেশের ডাক্তারের হাতে এই ঘটনা ঘটলে ডাক্তারের কপালে কি থাকত কে জানে ।
বিডির সব বড় বড় দেশপ্রেমিক রাজনিতী বিদরাই সিংগাপুরের মাঊন্ট এলিজাবেথ হাস্পাতালে মারা যান । কেন ভাই তারা মরতে তো যায়না সেখানে , বাঁচতে যায় , তবু এ অবস্থা কেন ?
১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: @না পারভীন
আমি যদি ভুল জেনে না থাকি বিএসএমএমইউর বড় একজন অধ্যাপকও নাকি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। তিনিও তো ডাক্তার! অন্যের সমালোচনা করার আগে ডাক্তারদের কিছু সমালোচনা করুন, সমালোচনা হজম করতে শিখুন।
১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৫
মুদ্দাকির বলেছেন: এই পোস্টটা স্টিকি হোক অনেক আলোচনার দরকার আছে, উভয় পক্ষের অনেক কিছু বুঝবার দরকার আছে।
১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৭
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: না পারভীন বলেছেন:।
বিডির সব বড় বড় দেশপ্রেমিক রাজনিতী বিদরাই সিংগাপুরের মাঊন্ট এলিজাবেথ হাস্পাতালে মারা যান । কেন ভাই তারা মরতে তো যায়না সেখানে , বাঁচতে যায় , তবু এ অবস্থা কেন ?
@ না পারভীন, কিসের সাথে কি মেলালেন । বয়সজনিত কারণে মারা যাওয়াতে ডাক্তারের কতটুকু হাত আছে আর রোগীর শরীরে অপারেশনের ইন্সট্রুমেন্ট রেখে দিয়ে সেলাই করাতে ডাক্তারের কতটুকু ভূমিকা আছে একটু ভেবে বলুন তো ?
১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯
অন্য কথা বলেছেন: " নিজস্ব সময়ে পরিবারকে এবং নিজেকে বঞ্চিত করে একটু অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য যে প্রাণপাত পরিশ্রম করেন চিকিৎসকরা; সেই অতিরিক্ত উপার্জন না করার জন্য নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার চিকিৎসকদের আছে। "
হুমম ! আমারও খুব কষ্ট (প্রাণপাত পরিশ্রম) হয় যখন, যে চিকিৎসা হাসপাতালে পাবার কথা সে চিকিৎসা হাসপাতালে না পেয়ে প্রাইভেট চেম্বারে ৫০০-১০০০ টাকা ভিজিট দিয়ে দেখাতে হয়।
১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৭
না পারভীন বলেছেন: প্রত্যাবর্তন@ ভাই , বয়স জনিত কারনে কি দেশের ডাক্তারের হাতে মরা যায় না ?
ভাল চিকিতসার জন্য দরকার লজিস্টিক সাপোর্ট আর ম্যানপাওয়ার সাপোর্ট । নেতারা ভালই জানেন দেশে তারা তার কোনটাই ঠিক মত নাই ।
আর কোন রগি যখন বেঁচে ফিরে ডাঃ সিম্পলি বলেন , একে আল্লাহ বাঁচাইছে ।
ডাক্তার সাহেব বিচার হোয়ার আগেই জেলে যেতে পারেন না ।
২০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২
ডা আলী বলেছেন: Me being a doctor thinks the negligence which this doctor did for that he should be punished so that an example is created for doctors. And they will be very careful in future before doing this kind of mistakes. Frankly speaking I have worked with doctors in both BD and abroad...but BD doctors are too much rude with the patients. In holy Family hospital outdoor the orthopedic surgeon addresses the patient by calling them with kuttar baccha only because they are poor patients.
২১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে যখনই ডাক্তারের চেম্বারে যাই তখনই দেখি চেম্বারের সিট দখল করে থাকা অর্ধেকের বেশী হলো মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ আর ডাক্তারের টেবিল ভর্তি থাকে ওষুধের স্যাম্পল আর ওষুধ কোম্পানীর প্যাড আর কলমে। সামান্য কাশি নিয়ে গেলেও হাজার টাকার টেষ্ট আর ওষুধ প্রেসকাইব করা একটা কমন ব্যাপার। আর যদি ক্যান্সার বা বড় কোন রোগ হয় তাহলেতো রোগী ডাক্তারের থিসিস লেখার স্যাম্পল হয়ে যান।হাজার রকম টেষ্ট চলতে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা যেটা হলো রোগীর সাথে ঠিকভাবে কথা বলা কিংবা তার অভিযোগ বা সমস্যা শোনা তা যেন ডাক্তারদের কাছ থেকে আশা করা পাপ। কথায় বলে ডাক্তারের সাথে কথা ঠিকমত হলে রোগী অর্ধেক ভালো হয়ে যান। আমাদের দেশে এটা আশা করাটা যেন চরম বোকামী। জিজ্ঞাস করলে ডাক্তার সাহেবরা বলবেন আমাদের অনেক রোগীর প্র্রেশার একজন রোগীকে দেখার সময় কোথায়? আমার বলতে ইচ্ছে করে মশাই/সাহেবা আপনার এত রোগী দেখার দরকার কি? যদি ঠিকতম দেখতে না পারেন তাহলে একগুলি রোগীর দেখার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তার সাহেবরা যে আন্দোলনে গেছেন তা কি ভূয়া? রোগীর শরীরে কি সূচ থেকে গিয়েছিল না? যদি থেকে থাকে তবে সেই ডাক্তার সাহেবকে কেন গ্রেপ্তার করা যাবে না? আপনারা যে কাজ বাদ দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচীতে গেলেন সেই আপনারা ঐ ডাক্তারের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিয়েছেন? আয পর্যন্ত কি কোন ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে দায়িত্বে অবহেলা করার জন্য? কয়জন ডাক্তারের বিএমএ-এর সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে জানতে পারি কি? জানি আপনারা কোন উদাহরণ দিতে পারবেন না।আর আপনারা দাবি করছেন রোগীর শরীরে সূচ রেখে দেয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে বেশী হলে ক্ষতিপূরণের শাস্তি দেয়া যেত। বাহ বাহ কত সুন্দর বিবেচনা! ক্ষতিপূরণ যদি দিতে হয় তবে কিছু রোগী বেশী দেখলেই তো তা আদায় হয়ে যাবে তাই না? কত সহজ বুদ্ধি! কত সুন্দর বিবেচনা। আমাদের দেশের ডাক্তারেরা ভুলে যান যে পাবলিকের ট্যাক্সের টাকায় ওনারা ডাক্তার হয়েছেন। আর এই দেশের বেশীর ভাগ লোকের যে য্যোগ্যতা তাতে তাদের যত্নটা একটু বেশী দরকার। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সত্যি বিচিত্র এই দেশ। রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ, উকিল, বিচারক সবাই যখন নিজেদের্ ইচ্ছেমত চলেন আর চালান তখন ডাক্তারেরা বাদ যাবে কেন? এই বোধহয় তৃতীয় বিশ্বের জবাবদিহিতা।
২২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৭
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ডা আলী বলেছেন: Me being a doctor thinks the negligence which this doctor did for that he should be punished so that an example is created for doctors. And they will be very careful in future before doing this kind of mistakes. Frankly speaking I have worked with doctors in both BD and abroad...but BD doctors are too much rude with the patients. In holy Family hospital outdoor the orthopedic surgeon addresses the patient by calling them with kuttar baccha only because they are poor patients.
@ ডা আলীকে তার সাহসী উচ্চারণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
২৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩২
কালো রাজপুত বলেছেন: ++++++++++++
২৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
মাহাবুব১৯৭৪ বলেছেন: ডাক্তার এর ডাক্তারী ভুলের শাস্তি হিসাবে BMDC সনদ বাতিল করতে পারে, ক্ষতিপুরন চাইতে পারে, কিন্তু ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট, কখনোই হতে পারেনা।
২৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪০
বজ্জাদ সাজ্জাদ বলেছেন: ডাকতারি ভুল মানে হত্যাকান্ডের কাছাকাছি। সুতরাং অই শালার হত্যা চেস্টা মামলায় বিচার হওয়া উচিত
২৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৬
কালীদাস বলেছেন:
আইজকা অসুস্হ হইলে, হাতপা ভাইঙা রাস্তায় পড়লে এখজন ডাক্তারের কাছেই যামু নিজেরে ভালা করনের লিগা, তাই পারতপক্ষে ডাবলস্ট্যান্ডার্ড দেখায়া গালিগালাজ করিনা। তয়, আপনেগর কিছু কাজকর্ম দেখলে পেট ফাইট্টা হাসি আসে মাঝে মাঝে, আর কপালরে গালি দেই এই দেশে জন্ম হইছে বইলা। পলিটিকাল এজেন্ডায় প্রেসক্লাবে রাস্তা ব্লক কইরা হাসপাতাল বন্ধ কইরা ইলেকশন মারানি কেবল বাংলাদেশের ডাক্তাররাই পারে
সেবা দিতে না পারলে সেবা দিতে হয় এমন প্রফেশনে না যাওনই ভাল।
২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪
ডা আলী বলেছেন: পলিটিকাল এজেন্ডায় প্রেসক্লাবে রাস্তা ব্লক কইরা হাসপাতাল বন্ধ কইরা ইলেকশন মারানি কেবল বাংলাদেশের ডাক্তাররাই পারে ।
সহমত।।।।
২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২০
রূপস আমীন বলেছেন:
বাংলাদেশের আম জনতা সবাই কম বেশি ডাক্তার। সবাই জানে কি করতে হবে। যখন মারাইতে পারেনা তখনই ত বড় ডাক্তারের কাছে ধর্না দিতে হয়। রুগি মরল কেন? ডাক্তার আর হাসপাতালের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে।
----- হিজবুল আমিন রুপস
হেলথ চেক আপ ডিপার্টমেন্ট
ল্যাব এইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল
২৯| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৯
রাজীব দে সরকার বলেছেন: সবার কমেন্টই পড়লাম
যাই হোক, এদেশে কোন দিনই মানুষ ভালো চিকিতসা সেবা পাবেনা
কারন আকাশ থেকে ডাক্তাররা নামে না, তারা আপনাদেরই একজন
কুত্তার মতো বিহেইভ করবেন, কুত্তার মতোই ট্রিটমেন্ট পাবেন - সোজা হিসাব
ডাক্তারদেরকে সম্মান দিবেন না, ক্লাস এইট পাস করা হাবিলদাররে 'স্যার' বইল্যা ডাকবেন
ভালোই তো!
যারা ফালতু ফালতু কমেন্ট করলেন, সাহস থাকলে নিজেরদের কোন রোগি চেম্বারে / হাসপাতালে কোন ডাক্তার এর কাছে দেখানোর সময় পারলে বইলেন আপনি ব্লগে এইরকম 'মন্তব্য' করছেন!
আর কিছুই বললাম না
পুলিশকে ভয় পাবেন, সাংবাদিক দের ভয় পাবেন, অ্যাডভোকেট দের ভয় পাবেন
আর ২০১৩ এর লেটেস্ট ফ্যাশন হিসেবে ডাক্তারদের ক্রিটিসাইজ করবেন
আপনাদের জন্য 'পাছার মধ্যে শুঁই' ই হলো উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট
৩০| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: If someone hurts you, don’t mind it. It is the law of nature, “The tree that bears the sweetest fruits gets the maximum number of stones.”
আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ড এর অধিবাসী। আগে রাগ হত একথা শুনলে । এখন আর হয় না। আমার কাছে মনে হয় ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড এর চিকিতসক, আইন, সরকার কাঠামো, মিডিয়া, সব কিছু থেকেই আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু।
ধন্যবাদ।
৩১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৯
েসাহাগ২৫কগগ বলেছেন: কসাই গুলার বিচার হোক।শালারা মানুষ কে মানুষই মনে করে না।
৩২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
ম্যাভেরিক বলেছেন: আপনার পোস্টের মূল বক্তব্য বোঝা গেল না, অনেকটা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতো হয়েছে।
১। "ডাঃ সুরমান কে এরপর হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ জেলে নিয়ে যায়।"
— এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অমানবিক কাজ হয়েছে, রাষ্ট্রের পুলিশী চরিত্রটিকেই প্রকট করে। চিকিৎসক হোন, কিংবা সাধারণ মানুষ হোন, এভাবে যতদিন হাতকড়া পরানোর ঘটনা চলবে, রাষ্ট্রের আচরণ পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হবার যথেষ্ট কারণও থাকবে। এখানে আপনার সঙ্গে একমত।
২। "রানা দাশগুপ্তের ওপর পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কোন চিকিৎসক প্রাইভেট প্রাকটিস করতে বাধ্য নন।"
— রানা দাশগুপ্ত আইনজীবি, আপনি চিকিৎসক। আবেগ ছাড়া ওনার বিপরীতে আপনি আইনবিষয়ক কোনো যুক্তি দিতে পারেননি। কারণ আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন, প্রাইভেট প্র্যাকটিসেরও নীতিমালা রয়েছে, তাও আইনের অন্তর্ভুক্ত। আপনার মনোভাবটি স্বৈরাচারী টাইপ, আমার যখন খুশি প্রাইভেট চিকিৎসা করব, ইচ্ছে না হলে না করব। বিষয়গুলো এত সহজ নয়, জনাব, আইন এভাবে চলে না বিশেষ করে তাতে যদি সামগ্রিক জনস্বার্থ জড়িত থাকে। তবে আপনি যদি বলেন, এ ধরণের আন্দোলন ছাড়া আমাদের দেশে দাবি আদায় হয় না, সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু তাও হতে হবে একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে, পরিকল্পনামাফিক। দুম করে লাগাতার ধর্মঘট দিলেই হলো না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ আর তথাকথিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
৩। "বদ মেজাজি গৃহাকর্ত্রী যেমন গৃহকর্মীকে কখনো কখনো গরম খুন্তির ছ্যাকা দেন তেমনি ডাক্তারকে চাইলে মারধর করা যায়, ..."
— এটিই সম্ভবতঃ আপনার মূল বক্তব্য। শীবের গীতটি এখানেই গাওয়া হয়েছে, যুক্তিবিদ্যার ভাষায় প্রতিজ্ঞার সঙ্গে উপসংহারের সামঞ্জস্য নেই। কারণ এ বিষয়টি চিকিৎসক-বিশেষ কোনো ব্যাপার নয়।
৪। "একটা বিশাল চক্রান্ত চলছে। খেয়াল করলে দেখবেন..."
— আসলেই নাকি!
৩৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আপনি যুক্তির কথা লিখছেন। বলিহারী যাই ভাই!! আপনার পোস্টইতো ভীষণভাবে একপেশে। এখানে যুক্তি দেয়ার জায়গা কোথায়? ১৩ নাম্বার মন্তব্যের একটু যুক্তি খন্ডন করুন পিনাকী সাহেব। আর ম্যাভেরিকের মন্তব্যটা বেশ যৌক্তিক মনে হচ্ছে, দেখা যাক যুক্তিপূর্ণ মন্তব্যে আপনার প্রতিক্রিয়া কী!
৩৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
নীরব কন্ঠ বলেছেন: +++
ছোট বেলায় ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা না পূরন হবার মনের সাব কন্সাস মাইন্ডের যে প্রতিক্রিয়া তা সবাই আমরা ডাক্তারদের ওপরই প্রয়োগ করি।
@রাজীব দে সরকার, ডাক্তারদেরকে সম্মান দিবেন না, ক্লাস এইট পাস করা হাবিলদাররে 'স্যার' বইল্যা ডাকবেন
ভালোই তো! -সহমত।
আর করাপ্সন ..... ইঞ্জিনিয়ার,আমলা,রাজনীতিবিদ,পুলিশ,উকিল,ব্যাবসায়ী।মাছ বিক্রেতা,দর্জি,দোকানদার,কোথায় কে কম।কেমনভাবে নাম্বারিং করবেন।যার যার ক্ষেত্রে সবাই প্রথম।
৩৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৭
মুদ্দাকির বলেছেন:
সমস্যা এবং বাস্তবতার আলোচনা হবে ভেবেছিলাম, কিছুই হলনা,
ডাক্তাররা এত ঘৃনা পাবার যোগ্য না। যতটা অনেকেই করেন।
আর ডাক্তারদের ও তাদের কাজের নানান সীমাবদ্ধতা মানুষের কাছে প্রকাশ করে উচিত।
৩৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
রাজীব দে সরকার বলেছেন: @নীরব কন্ঠ, নাম্বারিং করাই আছে, জেনে নিন বয়োজেষ্ঠ্য কারো কাছে থেকে!! হাবিলদার এর র্যাংক একজন শিক্ষকের চেয়েও অনেক নিচে! এবং সেই শিক্ষক এর র্যাংক এর একটু উপরে ডাক্তার সমাজ (১ নম্বর)
৩৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
মাভেরিকদা ঠিকই বলেছেন।
পিনাকী দা এবার আপনার যুক্তিটিও একটু শুনি।
কতিপয় বাঙালী না হয় হুজুগে মাতাল, তাই বলে আপনাদের মতো কিছু ভালো বুদ্ধিমান মানুষ তো আছে তো আপনারা মিলে একটা পরির্বতন আনুন না। ক্লাস এইট পাশের হাবিলদারদের মতো যেন দেশের ডাক্তারদেরও সবাই শ্রদ্ধা করতে পারে তেমন একটা পরিবর্তন কিংবা দেশ ছেড়ে বিদেশ গিয়ে যেন চিকিৎসা করাতে সাধারনদের মৃতু না হয় তেমন একটা কিছু।
আর পুলিশ বা রাজনীতিবিদদের কথা যদি বলেন তাহলে বলা যায় নীচ হবার জন্য ডাক্তারদের নিশ্চই পেটে কৃমি হয়নি।
৩৮| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
মাভেরিকদা ঠিকই বলেছেন।
পিনাকী দা এবার আপনার যুক্তিটিও একটু শুনি।
কতিপয় বাঙালী না হয় হুজুগে মাতাল, তাই বলে আপনাদের মতো কিছু ভালো বুদ্ধিমান মানুষ তো আছে তো আপনারা মিলে একটা পরির্বতন আনুন না। ক্লাস এইট পাশের হাবিলদারদের মতো যেন দেশের ডাক্তারদেরও সবাই শ্রদ্ধা করতে পারে তেমন একটা পরিবর্তন কিংবা দেশ ছেড়ে বিদেশ গিয়ে যেন চিকিৎসা করাতে সাধারনদের মৃতু না হয় তেমন একটা কিছু।
আর পুলিশ বা রাজনীতিবিদদের কথা যদি বলেন তাহলে বলা যায় নীচ হবার জন্য ডাক্তারদের নিশ্চই পেটে কৃমি হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৪
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হ্যা তাইতো চিকিৎসকরা ক্রীতদাস হতে যাবেন কেন? চিকিৎসকরা হলেন সমাজের সবচেয়ে সন্মানী মানুষ, তাঁরা হলেন এলিট অব দ্য এলিটস! দু' একটা ভুল তাঁরা করতেই পারেন, দু' চারটা সুঁই থেকে গেলে ব্লাডি পেশেন্ট মে সাফার। হোয়াই দ্য ফিজিশিয়ান।